নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষমা করো হে তোহাইত!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

আভূমি সাষ্টাঙ্গে সিজদাবনত, তুমি
চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে আমাদের ব্যার্থতা
মানবতার নামে প্রহসন,
শান্তি আর গণতন্ত্রের নামে কপটতা, দু'পায়ে দলে
কি পরম আবেগে ছুঁয়ে মাটির বিছানা
আক্ষেপহীন! ভয়হীন!! শংকাহীন!!!



আর কোন বুলেট তাড়া করবে না
আর কোন রাত আতংকে জেগে ছূটতে হবে না মাকে
বোনের আর্তচীৎকার আর শুনতে হবে না।
বাবার উষ্ণ বিশাল বুকে কতদিন উম পাইনা!

বড় ভাইটা টুপ করে জলে পড়ে গেলে
হতবুদ্ধ বাবা - স্তব্ধ আবেগহীন পাথর চোখ
পাটাতন ভেদ করে কখন যে গুলি মাথা ছেদ করে গেছে
শুধূ রক্তের দাগ টুকু লেগে আছে বুকে হাতে মাখামাখি---

সব চাওয়া পাওয়ার উর্ধে আজ-
আহা মায়ের চোখের জলেই যে নাফ নদী
কেউ তো বলেনি আমায়
আমাকে বাঁচাবে বলে কি আকুতি!
কত সেনার ধর্ষনেও নির্বিকার মা
আজ কেন এত ব্যাকুল... মায়ের মন কি সব বুঝতে পারে!

বারবার আঁচল দিয়ে ঢেকে রাখছেন্। মাথার উপর বৃষ্টির ছাট
এপারে গুলির ছাট, ওপারে ভিনদেশী বিধানের কাটাতার
ভাসছি জলে সকলে...পেটে ক্ষুধার আগুন
জ্বলতে জ্বলতে পিত্তি পোড়ায়
মায়ের স্তনে দুধও শুকিয়ে গেছে। প্রবোধ দিতেই মূখে পুরে রাখে
শুকনো জিভে চোঁ চোঁ প্রাণান্ত চেষ্টা! ভেজে না গলা!

হঠাৎ আলোর ঝলকানি...
তীব্র ঝাঁকিতে কেঁপে ওঠা... হঠাৎ দুফোটা গরম জল গালে
তারপর হালকা হতে হতে ঝুপ!
প্রাণপণ চীৎকার, ঝাপিয়ে পড়তে চায় মা..
বাবা আকড়ে ধরে..হঠাৎ নৌকার পাটাতনেই কাৎ হয়ে দু’জনেই!


মায়ের আঁচল হঠাৎ জল হয়ে গেল
আমাকে কি গভীর আদরে ঢেউয়ের তালে দুলিয়ে
তীরের নরোম মখমল মাটিতে শুইয়ে দিল
আমার নীচে চাপা পড়ে আছে কি এগুলো ? এত্তকিছু!!!
বিস্ময়ে খেলনার মতো নেড়ে চেড়ে দেখি

পতাকা পতপত করে উড়া
খেলনা জাতিসংঘ ভবন
নো’বেল শান্তি পুরস্কার,
মানবতার গালভরা সেমিনার,
কাটাতার, কলেমা খচিত পতাকা
মৃত ওআইসি সারি সারি শেখের চলমান দেহ
অং সং সুচি না হওয়া অশুচি

সব দু’পায়ে ঠেলে -
এগিয়ে যাই.....ঐতো হাসছে আয়লান
গেরুয়া বসনে কে? ওহ!
মহামতি বুদ্ধ অধোবদনে, চোখে জলের ধারা!!






উৎসর্গ: তোহাইত । ক্ষমা করো আমাদের।
ছেলেটির নাম তোহাইত।মংডুর বড় গওজবিল এলাকার জাফর আলম ও ছেনুয়ারার সন্তান। এই শিশুর সঙ্গে একই নৌকায় যাত্রী হয়েছিলেন টেকনাফে সোমবার সকালে উদ্ধার হওয়া রেহেনা বেগম। ছবি দেখানোর পর তিনি জানিয়েছেন, নিহত শিশুটির নাম তোহাইত। তার বয়স ১০ মাস। সে সম্পর্কে রেহেনার খালাত ভাই। যে স্থানটি দেখা যাচ্ছে তা মিয়ানমারের ওপারের চিত্র।

তথ্য সূত্র

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল


মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬

জুন বলেছেন: বালুকাবেলায় শুয়ে থাকা নিথর শিশুটির প্রানহীন দেহ দেখে গনতন্ত্রের মানস কন্যা সুচি বা তার দেশের ধর্মান্ধদের বিকার হবে কি না সন্দেহ। যে মহিলা তার স্বামীর কথা না হয় বাদই দিলাম , তার স্বীয় গর্ভজাত সন্তানদের পর্যন্ত ছেড়ে আসতে পারে তার প্রতি আমার কখোনোই শ্রদ্ধা ছিলো না । অনেকে বলবেন দেশ প্রেম । তাই যদি হতো তবে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশের প্রেসিডেন্ট রাজা বাদশাহ রা তাদের সন্তানদের নিরাপত্তার জন্য এত কঠোর ব্যবস্থা নিতো না । কারন এই একটি ক্ষেত্রেই তারা দুর্বল , কিন্ত সুচির ভেতর ক্ষমতা ছাড়া আর কারো প্রতি দূর্বলতা আছে মনে করি না ।
আর মিয়ানমার ভ্রমনের সময় অনেক যুবক ভিক্ষুকে (সবাই নয়) সানগ্লাস পড়ে হাসাহাসি করে দলবেধে সেলফি তুলছে । তাদের এই আচরন দেখে সত্যি বিস্মিত হয়েছিলাম ভৃগু।
আপনার কবিতা পড়ে চোখের জল আর আসে না । বিশ্ব বিবেকের প্রতি তীব্র ঘৃনা জেগে ওঠে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অল্প শােকে কাতর অধিক শােকে পাথর- পাথর চোখে জল আসেনা জুনাপু! তীব্র ঘ্রনা দহন হয়ে জ্বলে উঠলেই হয় বিপ্লব!!

সভ্যতা বুঝি সত্য সুন্দর সভ্যতা প্রসব যাতনায় কাতর!

আপনার বিশ্লেষন যথাযথ-কার্যেই তা প্রমাণ! ধিক ক্ষমতার নেশা ! ততোধিক নিস্ঠুর বিবেক বর্জিত বোধকে!

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ক্ষমা করো শিশু..
এই বিপন্ন মানবতার যুগে মানুষের জীবনের মূল্য নেই এমনকি শিশুরও!!!
ধিক্কার জানাই এই বর্বরতা কে,,,,
......

লেখা খুব কঠিন হইছে.,,, ভেতরের আত্মায় গিয়ে বিধে গেছে...
++++++++
মায়ের আঁচল হঠাৎ জল হয়ে গেল

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।

আত্মায় বেঁধা অনুভব জেগে উঠুক মানবতার টানে..

শুভেচ্ছা অনেক অনেক

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ক্ষমা করো আমাদের, আমরা মানবতার মুখোশে সব অমানব ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমমম

মিথ্যার ফানুসে মেকি সভ্যতার দাবী
অন্তরাল হায়েনার নখর
ব্যাক্তি থেকে রাষ্ট্র
বিশ্বটাই পঁচে গলে একাকার---

মূখোশের আড়ালে স্বার্থ ক্ষমতা আর মোহের ঘেরে সব এক!!!!

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
বিপন্ন মানবতা, এ কেমন বর্বরতা।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অকল্পনীয়! বর্বরতায় ভরপুর!

তাদরে অতীত স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে- মগের মুল্লুক প্রবাদটােই যেন প্রমাণ করতে চাইছে!

প্রকৃতি ক্ষমা করবে না। কক্ষনোই না!

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: অনেক কিছু বলার ছিল কিছুই বলবো না.
পোস্টে ±±

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম!

বললে মন হালকা হয়! ;)

না হয় বলেই ফেলুন ;)

প্লাস মাইনাস ডাবল হার্ট আর ফেইসের মতোই ওভার লেপড ;) হা হা হা

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গেরুয়া বসনে কে? ওহ!
মহামতি বুদ্ধ লাজুক চেয়ে আছেন!!!

মানবতার বুলি কপচানো বিশ্ব বিবেকের মুখে থুথু!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভায়া..

মানবতার বুলি কপচানো বিশ্ব বিবেকের মুখে থুথু! ......

শুভেচ্ছা

৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

সুমন কর বলেছেন: ক্ষমা করো আমাদের। ...........আমরা আর কি বা'ই বলতে পারি !!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেইই!!!
অক্ষমতার চূড়ায় বসে আর কিইবা বলার আছে....

ক্ষমা করো আমাদের!

শুভচ্ছো সুমন দা

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

ইমরান আল হাদী বলেছেন: হে পবিত্রতম মানব তোমাকে কিছুই দিতে পারেনি পৃথিবী।
অথচ কি আশ্চর্য তোমার মুখে এত টুকু ঘৃণা নেই,শুধুই করুনা।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বলেছেন। ধন্যবাদ

কি আশ্চর্য তোমার মুখে এত টুকু ঘৃণা নেই,শুধুই করুনা..হুমম

ব্যার্থ সভ্যতার মূখে চপেটাঘাত তার করুনা মিশ্রিত হাসি

শুভেচ্ছা

৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: ছবিটার দিকে নির্বাক তাকিয়ে থেকে মানবতাবাদিদের প্রতি ঘৃণা উগরে দেওয়া ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারছি না! :( |-) X((

কবিতা ভাল হইছে ভৃগু ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

অফটপিকঃ-
ছবিটা যেহেতু ভাইরাল, সেহেতু তার স্বপক্ষে নিশ্চই কোন সংবাদ বের হয়েছে? লিংকটা দিতে পারবেন!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ সা. সা ভাই

আপনার কয়ারীেত দারুন আপেডেটড তথ্য পেলাম এবং পোষ্টে যোগ করে দিলাম

ছেলেটির নাম তোহাইত।মংডুর বড় গওজবিল এলাকার জাফর আলম ও ছেনুয়ারার সন্তান। এই শিশুর সঙ্গে একই নৌকায় যাত্রী হয়েছিলেন টেকনাফে সোমবার সকালে উদ্ধার হওয়া রেহেনা বেগম। ছবি দেখানোর পর তিনি জানিয়েছেন, নিহত শিশুটির নাম তোহাইত। তার বয়স ১০ মাস।

সংবাদ সূত্র সমূহ:
রোহিঙ্গা শিশু হত্যার মর্মস্পর্শী চিত্র

পরিচয় মিলল সেই রোহিঙ্গা শিশুর

ধন্যবাদ আবারো শুভেচ্ছা সহ

১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

নীলপরি বলেছেন: পাঠককে নাড়িয়ে দেবে আপনার কবিতা । তবে নড়ানোর সত্যিই দরকার তাদের ঘরে কবিতার বই বুকসেল্ফের শোভাবর্ধন করে ।

ছবিটা কি প্রতীকি কিছু দেওয়া যেত ? তাড়াতাড়ি স্ক্রল করলাম । অসহনীয় দৃশ্য ।

এমন একটা কবিতা লেখার জন্য আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই । আমরা , যাদের দেখেও দেখার সময় নেই তাদের দেখতে বাধ্য করলেন ! ধন্যবাদ ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এড়িয়ে গেলেই কি পেরিয়ে যাওয়া যায়!!!

আমিও স্ক্রল করে গেছি ক'দিন!
কাল যেন চোখে চোখ রেখে বাধ্য করল লিখতে- ঢুকে গেলাম তার মতো করে ভাবনার অনুভবে!

কখনো নিষ্টূর সত্যের মূখোমুখি দাড়াতে হয়! দেখাটাকে কথায় অনুভব করার চেষ্টা করেছি মাত্র।

তোহাইতরা একটা নিরাপদ মাতৃকোলের নিশ্চয়তা পাক। নিরাপদ গৃহ! নিরাপদ দেশ!

বৌদ্ধ মগ জঙ্গিরা মানুষ হয়ে উঠুক। জীব হত্যা মহাপাপ শেখানো গৌতম বুদ্ধাহকে যাতে লজ্জ্বায় অধোবদন হতে না হয়!

১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১১

নীলপরি বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি :)

১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: বিশ্ব বিবেক নাড়ানো চমৎকার কবিতা। ধন্যবাদ

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রামাণিক ভাই!

বিশ্ব বিবেক নড়বে কিনা জানিনা- আমার বিবেকে ছবিটা বারবার কড়া নেড়ে যাচ্ছিল!
অক্ষমতম সক্ষমতার নূন্যতম চেষ্টা - ক্ষমা প্রার্থনায় সত্যকে তুলে ধরার আয়োজন।

শুভেচ্ছা

১৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০০

আলোরিকা বলেছেন: আমার মত তুচ্ছ মানুষের ক্ষমা চাওয়ায় কিই বা এসে যায় এ দেবশিশুর !!! এ মৃত্যুর দায়ভার স্বাধীন - নিরাপদ ভূখণ্ডে বাস করা প্রতিটি সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী মানুষের :(

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হয়তো কিছুই এসে যায় না। আবার যায়ও

নিজের আত্মার কাছে প্রশান্তিটুকু- অন্তহীন ব্যর্থতার, রাষ্ট্রীয়, ধর্মীয়, বিশ্ব নেতৃত্বের .. অনু তত্ত্বে আমিও যে অংশ!!

আমি অন্তত একটা শুভ আত্মাও যদি হতে পারতাম-
যেখানে বলা হয়
তেরা খূদিকো ইতনা বুলন্দ কর
খোদ খোদা পুছে বল বান্দা তেরে যাজা ক্যায়া হ্যায়!!!!
যদি সেখানেও যেতে পারতাম- হয়তো আমার ইচ্ছাতেই অনেক কিছু হতো! হয়তও তোহাইত মায়ের কোলে থাকত!!!!

১৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ সময়োচিত কবিতাটা বিবেককে বেত্রাঘাত করে গেল, এতদিন এ নিয়ে নিশ্চুপ থাকার জন্য। মন্তব্য লেখার আগেই একটা কবিতা বেরিয়ে এলো, তার থেকে একটি স্তবকঃ
অধোবদনে স্বর্গে বসে কাঁদে আজ মহামতি
তাঁর আনত আননে বহে জলের ধীর গতি।
বিশ্ববিবেক স্তব্ধ, কষছে হিসেব লাভক্ষতির
দ্বিধায় দোদুল্যমান কেন বিবেক স্বজাতির?

কবিতাটা আগামীকাল এখানে প্রকাশের আশা রাখি।
মায়ের আঁচল হঠাৎ জল হয়ে গেল
আমাকে কি গভীর আদরে ঢেউয়ের তালে দুলিয়ে
তীরের নরোম মখমল মাটিতে শূইয়ে দিল
- চোখ দুটো আর্দ্র হয়ে গেল! (টাইপোঃ শূইয়ে<শুইয়ে)
জুন, কথাকথিকেথিকথন, নীলপরি এবং আলোরিকাঃ আপনাদের মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে!!!



১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অধোবদনে স্বর্গে বসে কাঁদে আজ মহামতি
তাঁর আনত আননে বহে জলের ধীর গতি।
বিশ্ববিবেক স্তব্ধ, কষছে হিসেব লাভক্ষতির
দ্বিধায় দোদুল্যমান কেন বিবেক স্বজাতির?

অসাধারন!!! আগামীকাল পুরোটা পরার অপেক্ষায় রইলাম।

ধন্যবাদ টাইপো নজরে আনায়! সহমত।
ধন্য লেখনি আপনার মন্তব্যে। শুভেচ্ছা অফুরান।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঠিক করে দিয়েছি

১৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এ চোঁখে এখন আর জল আসে না
এ চোঁখে ঝরে শুধু আগুন।
অসাধারন কবিতা লিখেছেন। যারা মানবতাকে পদদলিত করে নির্বিকারে মানুষ মারছে তাদের একদিন সাজা হবেই

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা:)

প্রকৃতির নিত্যতাতো এই বলে। কিন্তু অপেক্ষার প্রহর যে খুব্বি যাতনার!
নিশ্চয়ই সাজা হবে। নইলে যে সব মিথ্যে হয়ে যাবে!!!!!!

ভাল থাকুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.