নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিলিথ নামটি শুনে চমকে উঠেছিলাম। তাও আবার প্রথম রমনী হিসাবে !
সবসময় জেনে আসা এডাম ইভ বা আদম হাওয়ায় যখন জ্ঞানভান্ড পূর্ণ, লিলিথ যেন ঝড় উঠালো চেতনায়!
প্রথম নারী লিলিথ! হাওয়া নয়????
হজম করতে সময় লাগল। শুরু হলো অন্তর্জাল সন্ধান। উইকি, মিথ, ধর্মগ্রন্থ সব গোগ্রাসে গিললুম।কত অজানারে!!!
লিলিথ শব্দের প্রচলিত অর্থ রাত্রি।
লিলিথের অস্তিত্ব নিয়ে চালু রয়েছে বহু উপাখ্যান। ইহুদিদের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ ‘দ্যা বুক অব জেনেসিস’ এ বলা ছিল- প্রথম মানবী ইভ নয়, । ইভের আগেও আরেকজন নারী ছিলেন আদমের জীবনে। সৃষ্টিকর্তা আদমকে পৃথিবীর যে মাটি দিয়ে তৈরি করেছিলেন, তাকেও সেই একই মাটি দিয়ে একইসময়ে তৈরি করেছিলেন। হাওয়ার মত আদমের শরীরের কোন অংশ থেকে তাকে তৈরি করা হয়নি। তিনি ছিলেন আদমের প্রথম স্ত্রী’ – লিলিথ। যাকে ‘রহস্যময় এবং বিদ্রোহী বলেও আখ্যায়িত করা হয়।
ইসলাম ধর্মগ্রন্থ অনুসারে সৃষ্টির আদিতে ছিলেন প্রথম মানব আদম (আঃ) এবং তারপর প্রথম মানবী হাওয়া (আঃ)। হাওয়াকে সৃষ্টিকর্তা তৈরি করেছিলেন আদমের পাঁজরের একটি হাঁড় থেকে। খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থও একই কথা বলে। শুধু আদমকে তারা বলেছেন, ‘অ্যাডাম’ এবং হাওয়াকে বলেছেন ‘ইভ’।
ধারাবহিকতা এবং ক্রমানুসারে মৌলিকত্ব এবং রুপান্তরএসব কারণে ধর্মগ্রন্থগুলোর মধ্যে মিল এবং অমিল দুটোই উপস্থিত। তবে কোরআন শরিফ সবার শেষে নাজিল হওয়ায় এটা হচ্ছে আসমানী ধর্মগ্রন্থের সর্বশেষ রূপ। আদম এবং হাওয়ার ব্যাপারে কিন্তু ইহুদিরাও দ্বিমত পোষণ করেন না, বরং সেখানে এর সাথে যোগ করা ছিল আরও বেশি কিছু। কিন্তু কোরআনে এই প্রসংগে তেমন কিছু আলোচিত হয়নি।
দি অালফাবেট পুস্তিকাটিতে বেন সিরা অরামিক ও হিব্রু বর্ণমালার ক্রম অনুসারে ২২টি করে প্রবচন উল্লেখ করে প্রতিটির উৎস ব্যাখ্যায় বিভিন্ন পূরাণ ও উপাখ্যান অবতারণার মাধ্যমে সেগুলিকে সমৃদ্ধ করেছেন। তার ঐ পুস্তিকা হতে আমরা আদমের প্রথমা স্ত্রী লিলিথের উপাখ্যান জানতে পারি। এই পুস্তিকাটি সিই ৮ম ও ১০ম শতকের মাঝে লিখিত বলে গ্রন্থ বিশারদগণ অভিমত দিয়েছেন যদিও এর কাহিনী যথেষ্ট পূর্বকার। কিন্তু ঠিক কতটা পূর্বকার তা তারা সুস্পষ্ট করে বলতে পারেননি।
Gershom Scholem.
তবে ব্যাবিলনে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে প্রাপ্ত হিব্রুদের বাণ, অভিশাপ, অশুভ আছর বা কাল যাদু থেকে মুক্তির জন্য ব্যবহৃত জাদুকারী বাটি (Incantation bowl) প্রমান করে যে, লিলিথ বা লিলোথের সঙ্গে পরিচিতি ৬০০ সিইতে ইহুদি সমাজে ছিল। এতে ধারণা করা হয় ৬০০ বিসিইতে হিব্রুগণ তাদের ব্যাবিলনে নির্বাসন কালে বা নির্বাসনের পর লিলিথ উপাখ্যানের অবতারণা করে।
জাদুকারী বাটি, নমুনা-১
Gershom Scholem - এর মতে ৮ম ও ৯ম শতকের মাঝে লিখিত কাব্বালা নামে পরিচিত ইহুদি পূরাণ "জোহার" সংকলক কাব্বালিষ্ট রাব্বি মোজেস ডি লিয়ন (অনেকের মতে জোহার ২য় ও ৩য় শতকের মাঝে রাশবি নামে পরিচিত সিমোন বার ওচায় কর্তৃক লিখিত) এই পুস্তিকাটি সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন (See, Major Trends in Jewish Mysticism, p. 174)।
তবে পূর্ব প্রচলিত কাহিনীর সাথে বেন সিরা উপস্থাপিত "লিলিথ" উপাখ্যানের কোন মিল নেই এবং আপাত দৃষ্টিতে এটিকে সে সবের সাথে একসূত্রে গাঁথার কোন প্রচেষ্টাও কখনও করা হয়নি। আর সত্যি বলতে কি, হাওয়া পূর্বাপর কাহিনী কিন্তু বেন সিরার নিকট নতুন কিছু ছিল না, এমনটা অবশ্য জেনেসিস রাব্বাতেও দেখতে পাওয়া যায়। যদিও সেখানে লিলিথের কোন উল্লেখ নেই।
জাদুকারী বাটি, নমুনা-২
বেন সিরার লিলিথ উপাখ্যান বর্ণনা ও বিশ্লেষণের পূর্বে প্রথমেই আমরা জেনে নেই হাওয়া পূর্বাপর এ কাহিনীর ধারণা কোত্থেকে এল বা এর ভিত্তি কি?
বুক অফ জেনেসিসে আমরা দেখতে পাই খোদা হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেন আদমের পাঁজড় থেকে “Then the Lord God made a woman from the rib he had taken out of the man, and he brought her to the man.”-Genesis 2:22 (সর্বশেষ ঐশীগ্রন্থ কোরআনও এমনটাই বলে- তিনি আদমকে সৃষ্টি করলেন ও তার থেকে তার সঙ্গিনী সৃষ্টি করেন-৭:১৮৯)
অথচ ইতিপূর্বকার এক আয়াত “So God created man -----------; male and female He created them.”-Genesis 1:27, ইতিমধ্যেই এ নির্দেশণা দিয়েছে যে একজন নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে। Book of Genesis-এর দু’টি অধ্যায়ের এ দু’টি আয়াতের অসঙ্গতি দূর করতেই মূলত: লিলিথ উপাখ্যান অবতারণার কারণ। পরবর্তীতে আমরা দেখব আলফাবেটে লিলিথের কাহিনী শুরু হয়েছে জেনেসিস, ২:১৮ আয়াত- “it is not good for man to be alone”; বর্ণনার মধ্য দিয়ে।
জাদুকারী বাটি, নমুনা-৩
দি অালফাবেট পুস্তিকাটির শুরুতে বেন সিরার অনন্য সাধারণ জন্মগ্রহণের কথা বলা হয়েছে। তিনি নবী অরামিয়ার পুত্র বা পৌত্র হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছেন। একজন পূর্ণ মানুষের মস্তিস্ক তথা মানসিক শক্তি ও প্রজ্ঞা নিয়ে পিতা ছাড়াই তার জন্ম হয়েছিল।
প্রকৃতপক্ষে পুস্তকে উল্লেখিত প্রবচনগুলি তিনি তৈরী করেছিলেন যখন তার বয়স মাত্র এক বৎসর এবং তাকে একজন শিক্ষকের নিকট পাঠান হয়েছিল বর্ণমালা শেখার জন্যে। কথিত আছে, ঐ শিক্ষক যখন তাকে বর্ণমালা পাঠ করে শোনাতে যান, তখন বেন সিরা তাকে থামিয়ে দিয়ে ঐ বর্ণ যা তাকে শেখান হবে, তার সাথে সম্পর্কিত একটি প্রবচন শুনিয়ে দেন।
Shimon Bar Yochai.
খুব শীঘ্রই বেন সিরার প্রজ্ঞা ও খ্যাতির যশ: চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল। যখন তার খ্যাতি এবং সুনাম পারস্য সম্রাট নেঁবু চাঁদ নেজ্জারের নিকট পৌঁছিল, তখন তিনি তাকে রাজদরবারে তলব করলেন।
বেন সিরা রাজদরবারে উপস্থিত হলে সম্রাট তাকে অনেকগুলো অগ্নিপরীক্ষায় ফেলেন। তখন তিনি ২২টি গল্পের মাধ্যমে সেসব পরীক্ষায় একে একে উত্তীর্ণ হন যা হিব্রু বর্ণমালার ক্রম অনুসারে দি অালফাবেটে তিনি উপস্থাপন করেছেন এবং তা তথাকথিত ২য় অালফাবেট হিসেবে পরিচিত।
অবশ্য এসকল গল্প-উপকথার প্রায় অর্ধেকটা নেয়া হয়েছে তালমুদ থেকে, বাকীগুলোর কিছু ক্রিশ্চিয়ান পূরাণ এবং ভারতীয় পঞ্চতন্ত্র থেকে গৃহীত বলে অনুমিত হয়, যদিও সেগুলোর সাথে বেন সিরার উপস্থাপনার মধ্যে বিস্তর ফাঁরাক রয়েছে। যা হোক, লিলিথ উপাখ্যানটি ছিল সম্রাটের অগ্নিপরীক্ষায় পড়া বেন সিরার পঞ্চম প্রতিউত্তর। উপাখ্যানটি এই-
"সম্রাট নেঁবু চাঁদ নেজ্জারের কনিষ্ঠ পুত্র পীড়িত হয়ে পড়লে তিনি বেন সিরাকে ডেকে নিয়ে বললেন, "আমার পুত্রকে যথাশীঘ্র আরোগ্য করে তোল, বিফলে তোমার গর্দান যাবে।"
Moses de Leon.
বেন সিরা তৎক্ষণাৎ রোগীর শিয়রে বসে এক টুকরো পার্চমেন্টের উপর ডানা, হাত ও পা মিলিয়ে অদ্ভূত আকারের কয়েকটি চিত্র একে সেখানে কিছু লিখলেন। নেঁবু চাঁদ নেজ্জার সেগুলো এক নজর দেখে নিয়ে বললেন, "এরা কারা?"
বেন সিরা বললেন, "এই রক্ষাকবচ এর উপর এই ছবিগুলো হচ্ছে ঔষধ পথ্যাদির দায়িত্ব প্রাপ্ত ফেরেস্তা সেনয়, সানসেনয় ও সেমানজিলফ (Snvi, Snsvi, and Smnglof) এর। যখন আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছিল তখন সে ছিল একা। খোদা বললেন, "পুরুষ মানুষের একা থাকা ঠিক না।" -জেনেসিস ২:১৮। অত:পর তিনি আদমকে যেভাবে সৃষ্টি করেছিলেন তেমনিভাবে একজন নারীকে সৃষ্টি করলেন এবং তার নাম দিলেন লিলিথ (Lilith)।"
"আদম ও লিলিথের মধ্যে কোন বনিবনা ছিল না। সামান্য কারণে তাদের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকত। একদিন শোয়া নিয়ে তাদের মধ্যে তুমুল হট্টগোল হল। লিলিথ বলল, "আমি তোমার নীচে শোব না।"
আদম বলল, "You are fit only to be in the bottom position. তাছাড়া আমি তোমার থেকে শ্রেয়, সুতরাং আমি তোমার উপরেই থাকব।"
লিলিথ তার কথা মেনে নিল না। সে বলল, "আমরা কেউ কারো থেকে শ্রেয় নই বরং আমরা উভয়ে সমান।"
যখন লিলিথ দেখল আদমকে সে যুক্তি দিয়ে পরাভূত করতে পারছে না, তখন সে খোদার যাদুকরী নাম (Ineffable Name) পাঠ করে উড়ে বাতাসের মধ্যে মিলিয়ে গেল। আদম তৎক্ষণাৎ দাঁড়িয়ে সৃষ্টিকর্তার নিকট তার প্রার্থনা নিবেদন করল, "হে আমার প্রভু! তুমি আমাকে সঙ্গী করে যে নারী দিয়েছিলে, সে তো পালিয়ে গেল।"
Title page of The Zohar.
তখন মহান প্রভু তিন ফেরেস্তা- সেনয়, সানসেনয় ও সেমানজিলফকে পাঠালেন লিলিথকে ফিরিয়ে আনতে। আর তিনি আদমকে বললেন, "যদি সে ফিরে আসে তো ভাল, অন্যথায় দিনে তার এক’শ সন্তানের ধ্বংস অনিবার্য।” জানিয়ে দিয়েছি"
এদিকে ঐ তিন ফেরেস্তা লিলিথের পশ্চাৎধাবন করে তাকে পাকড়াও করল লোহিত সাগরের সেইস্থানে যেখানে মিশরীয়দের ডুবে মরার জন্যে পূর্বনির্ধারিত ছিল। যা হোক, তারা লিলিথকে খোদার আদেশ শুনিয়ে তাকে ফিরে যেতে অনুরোধ করল, কিন্তু লিলিথ রাজী হল না। তখন তারা তাকে সমুদ্রের অতলে ডুবিয়ে দেবার ভীতি প্রদর্শণ করল।
"আমাকে নিস্তার দাও" -লিলিথ ক্ষিপ্ত হয়ে বলল। অন্য কাহিনী মতে লিলিথ এসময় ফেরেস্তাগণকে জানিয়েছিল সে ইতিমধ্যে আযাযিলের সাথে সহবাস করে ফেলেছে তাই সে আর এখন আদমের কাছে ফিরে যেতে পারে না। তখন ফেরেস্তাগণ তাকে জানাল যে, সে না ফিরলে প্রতিদিন তার এক’শ সন্তানের মৃত্যু অনিবার্য। এতে লিলিথও আদম সন্তানের অনিষ্ট করার হুমকি দিল, বলল, ”আমি দুগ্ধপোষ্য শিশুদের ব্যাধি সৃষ্টির নিমিত্ত হব। নিশ্চয়ই কোন শিশু পুত্রসন্তান হলে তার উপর আমার ক্ষমতা থাকবে জন্মের আট দিন পর্যন্ত, আর কন্যা হলে বিশ দিন।”
ফেরেস্তাগণ ঐসময় লিলিথকে একটি মাত্র শর্ত দিয়েছিল যে, তারা তাকে না নিয়েই ফিরে যাবে যদি কি-না সে আদম সন্তানের কোন অনিষ্ট না করার প্রতিজ্ঞা করে। লিলিথ দিনে তার এক'শ সন্তানের মৃত্যুকে মেনে নিয়ে তার প্রতিজ্ঞা থেকে ফিরে আসেনি বটে, তবে ফেরেস্তাদেরকে একেবারে নিরাশও করেনি। কেননা সে তাদের নিকট জীবন্ত ও চিরন্তন খোদার নামে প্রতিজ্ঞা করে বলেছিল, "যখনই কোন শিশুর রক্ষাকবচে আমি তোমাদেরকে বা তোমাদের নাম অথবা তোমাদের আকার দেখতে পাব, নিশ্চয়ই ঐ শিশুর উপর আমার কোন ক্ষমতা থাকবে না।"
প্রতিদিন লিলিথের এক'শ সন্তানের মৃত্যুর আদেশ ছিল। তদানুসারে দিনে তার এক'শ সন্তান মারা যায়। “আর ঠিক একই কারণে,” বেন সিরা বললেন, "আমরা শিশুদের রক্ষাকবচে ঐ ফেরেস্তাগণের নাম লিখি। যখন লিলিথ তাদের নামগুলো দেখে, সে স্মরণ করে তার প্রতিজ্ঞার কথা এবং ঐ শিশু আরোগ্য লাভ করে।"
এদিকে লিলিথ ফিরে আসতে অস্বীকৃতি জানানোর পর খোদা পরবর্তীতে আদমের বাম পাঁজড়ের হাঁড় থেকে হাওয়াকে (আদমের অধীনতার প্রতীক স্বরূপ) সৃষ্টি করেন যাতে সে সমতা দাবী করতে না পারে এবং যেন সে তার থেকে কখনও বিযুক্ত না হয়।
মা ও শিশুকে সুরক্ষায় ব্যবহৃত রক্ষাকবচ।
এ উপাখ্যান যতই রূপকথার মত শুনতে হোক না কেন, এটি কিন্তু বাইবেলের দু'টি আয়াতের ফাঁক পূর্ণ করা ছাড়াও হাওয়াকে আদমের মত্ একই ভাবে সৃষ্টি না করে কেন আদমের পাঁজড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছিল তা কিন্তু ব্যাখ্যা করে। উপরন্তু, লিলিথ নামটি একেবারে নতুন নয়, বাইবেলে একবার হলেও এ নামটি উল্লেখিত হয়েছে। অবশ্য সেখানে তাকে হায়েনা ও শৃগালের পর্যায়ভূক্ত করে খোদার গজবে নিপতিত ধ্বংসপ্রাপ্ত নগরীতে তার বসবাসের কথা বলা হয়েছে -
When the Holy One, blessed be He, will bring about the destruction of the wicked Rome, and turn it into a ruin for all eternity, He will send Lilith there, and let her dwell in that ruin, for she is the ruination of the world. And to this refers the verse, And there shall repose Lilith and find her a place of rest. -Isaiah 34:14.
সুমেরিয়ান (Sumerian) ভাষায় লিল (Lil) অর্থ হাওয়া (Air), শ্বাস (Breath) উভয়ই। অন্যদিকে ভাবার্থে হাওয়া বা বায়ূর উপাদান এবং আত্মার উপাদান সমার্থক হওয়ায় হিব্রুতে Lilith [Lamed (L), Yod (I), Lamed (L), Vav (O), Tau (Th)] উচ্চারণ লিলোথ (Liloth), যার অর্থ আত্মা (Spirit) সম্বলিত প্রানী।
সুমেরিয়ান লিলিথ।
প্রায় দেড়’শ বৎসর আগে বাগদাদের কাছে চার হাজার বছরের পুরোনো একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের ভিতর লিলিথের দূর্লভ একটি মূর্তি খুঁজে পায় এক ইরাকি।
মন্দিরের ভূ-গর্ভস্থ কোন একটা চেম্বারের দেয়ালে আটকানো একটি ফলকে খোঁদিত ছিল লিলিথের মূর্ত্তি। আর ঐ মূর্তির পায়ের কাছে প্রাচীন কিউনিফর্ম লিপিতে লেখা ছিল- “রাতের রানী লিলিথ তার বড় বোন ইরেশকিগালকে (Ereshkigal- "Queen of the Great Earth") নিয়ে ব্যাবিলনের সব বেশ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করে।” আর একথা সত্য যে, হাজার হাজার বৎসর পূর্বে প্রাচীন ব্যাবিলনে বড় বড় সব বেশ্যালয় গড়ে উঠেছিল। ইতিহাসের প্রথম এবং সব থেকে বড় ‘Sincity’ কিন্তু ওটাই।
যা হোক, প্রাপ্ত ফলকটি অত:পর স্থানীয় এক এন্টিক ব্যবসায়ীর হাত ঘুরে তা চলে আসে লন্ডনের এক এন্টিক ব্যবসায়ী সিডনী বার্নির হাতে। বার্নির রিলিফে দেখা যায়, ভরা যৌবণা লিলিথ একটা সাপকে জড়িয়ে ধরে আছে, যার মাথাটা ঝুলে আছে তার কাঁধের ওপর। আর তার দু’দিকে দাঁড়িয়ে আছে তরুণীর পায়ের মত পা বিশিষ্ট দু’টো পেঁচা।
ভর সন্ধ্যায় লিলিথের মূর্তির দু’দিকে দু’টো মোমবাতি জ্বালালেই তাকে পূঁজারী হিসেবে গ্রহণ করে সে। চরম অশুভ বলে যুগের পর যুগ ইহুদি ও খ্রিষ্টান ধর্মগুরুরা তার সকল মূর্তি ধ্বংসের অধীন করে। ১৮২৭ সনে বার্নির হাতে লিলিথের মূর্তিটা না আসা পর্যন্ত এ যুগের মানুষ জানতই না তার স্বরূপ কেমন। যতদূর জানা যায়, লিলিথ তার কোনো পূঁজারীকেই সে বেশীদিন বাঁচতে দেয় না, যদি না অন্য কেউ ওই সময়ের মধ্যে স্বেচ্ছায় তাকে পুঁজা না করে বা ইতিপূর্বকার পূঁজারী চিরতরে তাকে ত্যাগ করে সৎ জীবন-যাপনের পথ বেঁছে না নেয়।
ইহুদিগণ বিশ্বাস করে লিলিথ রাতের প্রেত, গর্ভধারিণী ও নবজাতকের শত্রু। এ কারণে তারা প্রসূতি কক্ষের চারিকোণে সূত্র লেখে তাকে বিতাড়নের উদ্দেশ্যে। আর এসব সূত্র যা জাদুকারী বাটিতে লেখা হত, তাতে লিলিথকে এমনিভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে-“(Lilith) who appear to human beings, to men in the likeness of women and to women in the likeness of men, and they lie with all human beings at night and during the day”-(Montgomery 117). “Hablas the lilith, grand daughter of Zarni the lilith” of “striking boys and girls”-(ibid, 168). বা “(Lilith) destroys and kills and tears and strangles and eats boys and girls” -(ibid, 193).
আর রাব্বানিক সাহিত্য লিলিথের স্বল্প যে পরিচয় দিয়েছে তা জাদুকারী বাটির লিলিথের চরিত্রের সাথে খুবই সামঞ্জস্যপূর্ণ। কয়েকটি সূত্র তার শারিরিক এমনই অবয়বের নির্দেশনা দেয়: “She has wings and long hair. Drawings of the liliths or demons on the incantation bowls bear out these details of physical appearance. “Rav Judah said in the name of Samuel: An abortion with the likeness of a lilith, its mother is impure because of the birth, for it is a child, but it has wings” (BT Niddah 24b).
অন্যদিকে, কাব্বালার মূল Zohar মূলত: লিলিথের দুষ্ট যৌণতাকে প্রাধান্য দিয়েছে। জোহারে বলা হয়েছে- “সে পুরুষকে প্ররোচিত করে স্বপ্নের মধ্যে এবং তাদের শুক্রাণু থেকে উৎপন্ন করে তার অশরীরিক প্রেত সন্তান। অমাবশ্যায় তার কামনা বাসনা চরমে পৌঁছে অর্থাৎ সে পূর্ণ ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়।”
স্বপ্নের মধ্যে লিলিথের পুরুষকে কামনায় উত্তেজিত করার নীতিকে রাব্বি অনিনা (b. Shab. 151b) যৌণ বিপদ উল্লেখ করে শূণ্য বাড়ীতে একাকী রাত্রিযাপনে এমনই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, “It is forbidden to sleep in a house alone, and whoever sleeps in a house alone, a lilith seizes him.” অন্যদিকে জোহার স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের পূর্বে এক বিশেষ রীতি পালনের পরামর্শ দিয়েছে। ঐ রীতি অনুসারে স্বামীকে খোদার প্রতি মনোনিবেশ করে নীচের আয়াতটি পাঠ করতে বলা হয়েছে:
“Veiled in velvet, are you here?
Loosened, loosened (be your spell)!
Go not in and go not out!
Let there be none of you and
nothing of your part!” -(Scholem 1965:157).
এতক্ষণ যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে পরিস্কার যে, লিলিথ আদমের মত মাটি থেকে সৃষ্ট ছিলনা। কেননা তার বৈশিষ্ট্য ভিন্ন। সে ডানা বিশিষ্ট ও দ্রুত গতিশীল। উপরন্তু হিব্রুতে লিলিথ অর্থ হাওয়া বা আত্মা অর্থাৎ জ্বিণ। ফলে উপস্থাপিত বক্তব্যের সারসংক্ষেপ দাঁড়ায় এমন-
আদমকে সৃষ্টির পর তার একাকীত্ব দূর করতে ধ্বংস প্রাপ্ত জ্বিণ জাতির এক নারীকে দুনিয়া থেকে এনে আদমের সঙ্গী করে দেয়া হয় এবং তারা ইডেন উদ্যানে বসবাস করতে থাকে। ইবলিস হয়ত: তার জাতির কারো মাটির তৈরী মানবের সঙ্গী হওয়াকে মানতে পারেনি। ফলে তার প্ররোচনায় লিলিথ আদমের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং বিরোধের এক পর্য়ায়ে সে তার নিজস্ব বৈশিষ্টের গুণে মুহূর্তে অদৃশ্য হয়ে দুনিয়াতে নিজ বাসস্থানে ফিরে আসে। তখন আদমের অনুরোধে খোদা ফেরেস্তা পাঠিয়ে তাকে পাকড়াও করেন। কিন্তু লিলিথ ভয়-ভীতিতেও ফিরে আসতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করায় খোদা এক পরিকল্পণা করেন। তিনি আদমের শরীরের একাংশ দিয়েই হাওয়াকে সৃষ্টি করেন (যাতে সে কখনও তার থেকে বিযুক্ত হবার বাসনা না করে।)। আর গন্ধম ফলের চরম নাটকীয়তা শেষে তাদের দু’জনকে দখল দারিত্বের একচ্ছত্র অধিকার দিয়ে জ্বিণ জাতির আবাসস্থলে (দুনিয়া তথা দৃশ্যলোক) পাঠিয়ে দেন। অবশ্যই একজাতিকে অন্য জাতির শত্রু করে এবং কর্মফলের পরিণামের ভয়াবহতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে। যেমন-
আদমকে-‘তোমরা একে অন্যের শত্রু হিসেবে কিছুকালের জন্যে পৃথিবীতে নেমে যাও। আর (সেখানে) তোমাদের জন্যে আবাস ও জীবিকা রইল। সেখানেই তোমরা জীবন-যাপন করবে, সেখানেই তোমাদের মৃত্যু হবে আর সেখান থেকেই তোমাদেরকে বের করে আনা হবে।’-(৭:২৪-২৫).‘পরে আমার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে সৎপথের নির্দেশ এলে যে আমার পথ অনুসরণ করবে সে বিপথগামী হবে না, And whoever turns away from My remembrance - indeed, he will have a depressed life, and We will gather him on the Day of Resurrection blind. -(২০:১২৩)
ইবলিসকে- ‘আর আমি সত্যিই বলছি যে, তোমাকে দিয়ে ও ওদের মধ্যে যারা তোমার অনুসারী হবে তাদেরকে দিয়ে আমি জাহান্নাম ভরিয়ে তুলব। -(৩৮:৮৪-৮৫)
এ বিষয়ে মজার একটা প্রশ্নোত্তর ছিল । পাঠকের জণ্য তা হুবহু তুলে দিলাম।
# একজন প্রশ্ন করল, “আরে ভাই আদমকে সৃষ্টি করারইবা দরকার কি ছিল! আর সৃষ্টি যখন করাই হল, তখন যুগলভাবে না করে একক আদমকেই বা সৃষ্টি করা হল কেন?”<
আমি বললাম, “ভাইরে আপনে “আদমের মত একই ভাবে মাটি থেকে লিলিথকে সৃষ্টি করলে তার ডানা এল কোত্থেকে, যখন আদমের কোন ডানা নেই? বা, আদম যেখানে জানে না সেখানে লিলিথ খোদার জাদুকরী নাম জানল ক্যামনে?” এমনি ধারার প্রশ্ন না করে, এ কেমন প্রশ্ন করলেন? আমারে বিপদে ফেলতে চান নাকি? যা হোক, করেই যখন ফালাইছেন কি আর করা, উত্তর তো একখান দেওন-ই লাগে, কি কন?”
“আপনে তো ম্যাকানিকেল ইঞ্জিনিয়ার, তো বলেন দেখি, আপনে যে উদ্দেশ্যে একটা মেশিন (জ্বিণ জাতি) তৈরী করলেন, তা আপনার ঐ উদ্দেশ্য পূরণ করল না, তখন আপনে কি করবেন?”
“বিয়োজন (খারাপ অংশগুলো তথা বাই প্রোডাক্ট ধ্বংস করা), সংযোজন (আগুনে তৈরী জ্বিণ লিলিথের সাথে মাটির আদম), অথবা প্রতিস্থাপন (জ্বিণ জাতির স্থলে মানব জাতি) নয় কি?
খোদা হয়ত: তাই করেছেন। এখন আপনে কি বলেন?”
Source:
• Qur'an;
• Bible (Old Testament);
• The Zohar-Shimon Bar Yochai ("Rashbi");
• The Alphabet- Ben Sira;
• Babylonian Talmud, Niddah 24b;
• Babylonian Talmud, Shabbat 151b;
• On the kabbalah and its Symbolism- Gershom Scholem, 1965: 157;
• Aramic Incantation Text from Nippur-James Montgomery, 1913.
• "Lilith" In Kabbalah- Gershom Scholem, 1974;
• Major Trends in Jewish Mysticism-Gershom Scholem.
>>>>>
মানুষ যেন লিলিথের গল্প বলে শেষ করতে পারছেন না। সেই প্রাচীন কাল থেকে ঘুরে ফিরে লিলিথের যতগুলো রূপ চালু রয়েছে সেখানে লিলিথ সবসময়ই রহস্যময় একজন নারী। কখনো পিশাচী, কখনো বিদ্রোহী স্ত্রী, ছলনাময়ী এবং আরো কত কি। লিলিথের যতগুলো রূপ রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী রূপ হচ্ছে, মাথা অবনত না করার রূপ। লিলিথ আদমের অধীনতাকে অস্বীকার করেছিলেন কারণ যুক্তিতে তিনি আদমের সমান সমান। আত্মমর্যাদা রক্ষা করতে লিলিথ যেন চিরকালের জন্য সেচ্ছা নির্বাসন নিয়েছেন।
আধুনিক সময়ে লিলিথ উপাখ্যানকে মানুষ ব্যাখ্যা এবং ব্যবহার করেছে নারী স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে। অনেক নামকরা কবি সাহিত্যিকেরা লিলিথকে ব্যাখ্যা করেছেন নতুন রূপে। এদের মধ্যে সবেচেয়ে বেশি জনপ্রিয় আধুনিক লিলিথ গল্প বোধ হয় জুডিথ প্লাস্কোর লেখা ‘দ্যা কামিং অব লিলিথ’।
এখানে লিলিথের নারীচেতনাকে তুলে ধরা হয়েছে। লিলিথ যে আদমের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হয়ে স্বাধীনতা চায় সেটাও মুখ্য হয়েছে এই গল্পে। তবে এই গল্পে একটা নতুনত্ব যোগ হয়েছে। এখানে লিলিথ নারী সঙ্গ পছন্দ করে এবং সে গোপনে আদমের স্ত্রী ইভের সাথে বন্ধুত্ব করে এবং একত্রে জ্ঞান অনুসন্ধান করে। স্বর্গে যে সাপ ইভকে প্ররোচিত করেছিল সে হচ্ছে এই ছদ্মবেশী লিলিথ।
এই রহস্যময় নারী যেন মানব সভ্যতার সাথে সাথে হেঁটে চলেছেন অনন্তকাল ধরে, আর আহত হয়ে দেখছেন পৃথিবীর মানুষ কে কি বলছে তার সম্বন্ধে? আধুনিক সময়ে এসে অনেকে লিলিথকে বিবেচনা করতে শুরু করেছেন নারী স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে। অর্থাৎ লিলিথ সাম্যতায় বিশ্বাস করতেন। বৈষম্যের প্রতিবাদ করতে গিয়েই তিনি হলেন বিদ্রোহী। অন্ধকারে নির্বাসিত জীবন যাপনের কারণেই তিনি হলেন রহস্যময়ী।
@ লেখাটি - সংগৃহিত, সংকলিত, সংযোজিত, নব বিন্যস্ত।
কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল, উইিক, সহ সকল লেখকের নাম পাইনি,
কিন্তু তথ্য কয়েক স্থান থেকে সংগৃহিত। সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা রইল
২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
লিলিথেরা চিরকালই ছলনাময়ী । ধরা দেয়না , কেবল পালিয়েই যায় .....
তবে খুব খাটি একটা কথা বলে গেছে সে --।আমরা কেউ কারো থেকে শ্রেয় নই বরং আমরা উভয়ে সমান।
অনেক কষ্টের লেখা । সাধুবাদ জানাতেই হয় ।
২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জিএস ভাই।
হুমম! এ ভুবনে এত খেলা এত আয়োজন সবইতো তারই অংশ মাত্র
আমরা কেউ কারো থেকে শ্রেয় নই বরং আমরা উভয়ে সমান- এটা দু অর্থেই বলা যায়! জ্ঞানার্থে তা পজিটিভ। অহংকারে তা নেগেটিভ!
লিলিথ উপাখ্যানে নেগেটিভ টাই ফুটেছে বেশি!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা। কৃতজ্ঞতা।
৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
রূপকাথার অনেক রূপান্তর
২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হয়তো !
৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৪৩
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: লিলিথের যতগুলো রূপ রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী রূপ হচ্ছে, মাথা অবনত না করার রূপ। লিলিথ আদমের অধীনতাকে অস্বীকার করেছিলেন কারণ যুক্তিতে তিনি আদমের সমান সমান। আত্মমর্যাদা রক্ষা করতে লিলিথ যেন চিরকালের জন্য সেচ্ছা নির্বাসন নিয়েছেন। ===
ভাল লাগলো অনেক
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমম..
অনেক ধন্যবাদ
তবে একটা কথা আত্মমর্যাদা আর অহংকারের মাঝে কিন্তু পার্থক্য বিশাল! লিলিথের চলে আসা আজাজিলের সাথৈ সহবাস এবং আদমকে ইগনোর করা কি আত্মমর্যাদার ছিল? না অহংকারের??? গবেষনা প্রয়োজন
৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫১
অগ্নি সারথি বলেছেন: অন্য কাহিনী মতে লিলিথ এসময় ফেরেস্তাগণকে জানিয়েছিল সে ইতিমধ্যে আযাযিলের সাথে সহবাস করে ফেলেছে তাই সে আর এখন আদমের কাছে ফিরে যেতে পারে না। - ছলনা আর বেঈমানীর শুরুটা তাইলে সৃষ্টির শুরু হতেই।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
যাক! আমাদের পয়লা ডজ খাোয়াতে এখন আর মনে দুষক থাকল না
এটলিষ্ট বাপকা বেটা না বাপেই খাইছে -পুলার আর কি দুষ
এই জন্যেই শেষ বলে দিযেছে তোমরা পরষ্পরের শত্রু রুপে নীচে নেমে যাও! সুতরাং এখন থেকে সাধু! সাবধান!
ধন্যবাদ ভ্রাতা
৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হায়রে সখা! কোথায় কোথায় নারী খুঁজে বেড়ায়! সখীকে ব্যাথাভরা হৃদয়ে এসবও দেখা লাগে!
না আমি সিরিয়াসলি টপিকটি নিয়ে বলার লোভ সামলাতে পারছিনা। আমি একটা লাইনও জানতাম না এ বিষয়ে। একদমই নতুন কিছু জানানোর জন্যে ধন্যবাদ। আপনি কোথাও একটা লিলিথকে অহংকারী, স্বেচ্ছাচারী ভাবছেন। বাট ইউ নো হোয়াট মাই ডিয়ার সখা? শি ওয়াজ আ স্ট্রং ওম্যান! আই কাইন্ডা লাইক হার! হুমম অন্যায় হয়ত করেছেন, কোন শক্ত মোরালস ছিলনা ওনার মধ্যে। যা ইচ্ছে করে গিয়েছেন। তবে ওনার মধ্যে নিজের চাওয়া পাওয়া প্রকাশ করার একটা সাহস ছিল ভীষন! সরল স্বীকারক্তি এই যে ওনাকে পছন্দ করা একধরনের গিল্টি প্লেজার আমার কাছে! তবে আমার খুব মজা লেগেছে ওনার চরিত্র! আমি কিছু ডকুমেন্টারি দেখব নারীটিকে নিয়ে। আমার হাতে ইন্টারেস্টিং কিছু ধরিয়ে দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন, সুখে থাকুন।
যেতে যেতে সখী অনেক শুভকামনা রেখে গেল!
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
সখী এ যে শেকড়ের সন্ধান
এতে ব্যাথা নিতে নেই। শেকড়ে গেলেই না মিলবে মুক্তি
শি ওয়াজ আ স্ট্রং ওম্যান! আই কাইন্ডা লাইক হার! নাথিং টু ফিল গিল্টি সখি
আসলে কি আমাদের জানার শূন্যতাই অনেক শূন্যতার জন্ম দেয়। এটা শুধু লিলিথের একার অভিব্যাক্তি ছিলনা। সৃষ্টি তত্ত্বে অবশ্যই ধর্মীয় অংশে- আত্মার সাইজ করনের কাহিনী পড়লে জানা যায়- প্রথম সৃস্টির পর সকল আত্মাকে যখন ডেকে বলা হল-
রবকে স্বীকার করতে! পাজিরা একটাও স্বীকার করেনি! বলেছে তুমি তুমি, আমি আমি বোঝ ঠেলা !!!
তারপর বারবার শাস্তি এবং শক্তি কমাতে কমাতে এক পর্যায়ে এসে বলল- অকে মাইনে নিনু- তুমি সব! আমরা কিছূ না
তারপর সেই গ্রুপে আবার লেগে গেল কম্পিটিশন! এইবার সবাই খুশি করতে শোরগোল তুলল! আমি বেশি ভালবাসি! আমি বেশী অনুগত!
তখন রব আবার সবাইকে শান্ত করলেন একটা গেম প্লানে! থাম। তোমাদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ তা জন্য পরীক্ষা দেবে। পৃথিবীতে তোমাদের পাঠাব অল্প কিছূ সময়ের জন্য। সেখানে যে টিকে আসবে সেই পাশ!
ব্যাস গেলাম ফেসে জ্নম-মৃত্যুর চক্রে!!!!
এই যা! কত্ত কি কইয়ে ফেল্লাম! সখির ইন্টারেস্টিং লেগেছে দেখে! কতজনায় জানি ভুল বুঝবে
তাহলে সামনে আমরা এরচে সমৃদ্ধ দারুন কিছু পেতে যাচ্ছি! গ্রেট সেই পোষ্টের অপেক্ষায়!
সকল শুভ কামনা আপনার জন্যেও।
এসেই এত্ত এত্ত শুভকামনা পেয়ে আপ্লুত
৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০১
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই বলেছেনঃ বিদ্রোহী ভৃগু,
লিলিথেরা চিরকালই ছলনাময়ী । ধরা দেয়না , কেবল পালিয়েই যায় .....
তবে খুব খাটি একটা কথা বলে গেছে সে --।আমরা কেউ কারো থেকে শ্রেয় নই বরং আমরা উভয়ে সমান।
অনেক কষ্টের লেখা । সাধুবাদ জানাতেই হয় ।
পোস্ট প্রিয়তে ঠাণ্ডা মাথায় আরো ভালো করে পড়ে আবার ফিরে আসছি ।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। প্রিয়তে রেখেছেন জেনে-কষ্ট নাই হয়ে গেল
অনেকেই যে ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে- আমার প্রথমবারের মতোই বেশ বুঝতে পারছি রেসপন্স রেসিওতে
ব্যাপার না।
ফিরে আসুন দারুন আলোচনা নিয়ে- অপেক্ষায়
৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:১৮
রমিত বলেছেন: মজার আর্টিকেল লিখেছেন ভৃগু ভাই।
লিলিথ সম্পর্কে আমি প্রথম জেনেছিলাম আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে (১৯৯৪ সালে)। আমার দর্শনের অধ্যাপক অবশ্য নামটির উচ্চারণ একটু ভিন্নভাবে করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন 'লিলিয়া' (ভাষাভেদে নামের উচ্চারণ ভিন্ন ভিন্ন হয়)। অধ্যাপক আরো বলেছিলেন যে সমঅধিকারী এই রমনীর থেকে 'ডেমন'দের জন্ম হয়েছিলো।' মা হাওয়ার পূর্বে পিতা আদমের আরেক স্ত্রী ছিলো' - এই কথা শুনে আমি রীতিমতো তাজ্জব বনে গিয়েছিলাম, পূর্বে কখনো এমনটি শুনিনি।
বিষয়টি ইন্টারেস্টিং হলেও এই নিয়ে লিখতে সাহস করিনি। যাহোক আপনি উদ্যোগ নিয়ে এই উপকথা সম্পর্কে লিখছেন। আপনার লেখার কল্যাণে উপকথাটি অনেকেরই জানা হবে।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই প্রথম শ্রবলে আমিও কম চমকাইনি! কবি হেলাল হাফিজ স্যারের কাছে প্রথম শুনে চমকে থমকে গেছি।
তারপর আগ্রহ আর আগ্রহ থেকেই এই সংকলন
উপকথা হিসেবে জানায়তো কোন দোষ নেই নাকি বলেন?
৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮
মাদিহা মৌ বলেছেন: লিলিথের ব্যাপারে প্রচন্ড কৌতুহল আমারো ছিল। কিছু কিছু জানতাম। আর বাকিটা নতুন করে জানলাম। তবে আমার বিশ্বাস, কুরআনে যেহেতু এর কোন ভিত্তি নাই, তাই এটা পুরোটাই রূপকথা।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যাক। আপনার কৌতুহল কিছূটা হলেও মিটেছে আশা করি।
রুপকথা, উপকথা যেভাবেই ভাবুন। শাস্ত্রে কিন্তু একটা কথা আছে যেখানে ধৌঁয়া আছে- সেকানে কোথাও না কোথাও আগুনও আছে
ভাল থাকুন। অনেক শুভেচ্ছা
১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫১
হানিফঢাকা বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট দেওয়ার জন্য। মিথলজি/ ফ্যান্টাসি আমার বরাবরই প্রিয়, তার উপরে লেখকের অনবদ্য সাবলীল ভাষায় লেখা এই পোস্টটার আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। একবার নয় বেশ কয়েকবারই পড়লাম। সম্পূর্ণ মিথলজিকাল গল্প হিসাবে এইটা একটা অনন্য সাধারণ গল্প- এইটা আবারও বলছি। কিন্তু যখন মিথের সাথে ধর্ম এবং কোরআন মিশে, সেই পারস্পেক্টিভে কিছু বলছি। দয়া করে গঠন মূলক সমালোচনা হিসাবে দেখলে বাধিত হব।
১। আপনি বলেছেনঃ “ইহুদিদের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ ‘দ্যা বুক অব জেনেসিস’ এ বলা ছিল- প্রথম মানবী ইভ নয়, । ইভের আগেও আরেকজন নারী ছিলেন আদমের জীবনে”। - দ্যা বুক অব জেনেসিস’ –এ কোথায় লিলিথের কথা বা “প্রথম মানবী ইভ নয়” –এইধরনের কথা বলা আছে যদি একটু দয়া করে রেফারেন্স দিতেন তাহলে নিজেকে একটু আপডেট করতে পারতাম। জানার জন্যই বলছি।
২। “বুক অফ আইজায়া”- এইটা ইহুদিদের সবচেয়ে মিস্টিরিয়াস বুক। এইখানে অনেক ভবিষ্যৎবাণী, ধাধা, প্যারাবল আছে, সেই জন্য সবাই কম বেশী এই বইটা বেশী পছন্দ করে। যদিও আইজায়া ৩৪ঃ১১,১৪ তে শব্দটা এসেছে Lilith (Hebrew: לִילִית Lîlîṯ) আর এই ফিমেল ডেমন হচ্ছে lilītu । (সুত্রঃ উইকিপিডিয়া)। সুতরাং এই দুইটা জিনিশ সত্যিকার অর্থে এক না হবার সম্ভাবনা বেশী। যদিও ইহুদী প্রিস্ট রা এইটা নিয়ে বিভিন্ন মিথলজিকাল গল্প বানিয়েছে। এই রকম গল্প বানানোর উদাহ্রন আমাদের ধর্মেও আছে।
৩। আপনি বলেছেন “ইসলাম ধর্মগ্রন্থ অনুসারে সৃষ্টির আদিতে ছিলেন প্রথম মানব আদম (আঃ) এবং তারপর প্রথম মানবী হাওয়া (আঃ)। হাওয়াকে সৃষ্টিকর্তা তৈরি করেছিলেন আদমের পাঁজরের একটি হাঁড় থেকে। খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থও একই কথা বলে। শুধু আদমকে তারা বলেছেন, ‘অ্যাডাম’ এবং হাওয়াকে বলেছেন ‘ইভ’”।যদিও আপনি এই প্যারাতে ধর্ম গ্রন্থের নাম বলেন নি, কিন্তু তার পরের প্যারাতেই কোরআনের কথা বলেছেন। মাঝে মধ্যে সময় পেলে কোরআন পড়ি। কিন্তু এই ধরনের কোন কথা কোরআনে লেখা আছে বলে আমি জানি না। থাকতে পারে, কিন্তু আমি পাইনি। আমি যেটা পেয়েছি সেটা হচ্ছেঃ
কোরআনঃ
O mankind! Fear your Lord the One Who created you from a soul single and created from it its mate and dispersed from both of them many men and women. And fear Allah (through) Whom you ask [with it] and the wombs. Indeed, Allah is over you Ever-Watchful. (৪:১)
He (is) the One Who created you from a single soul and made from it its mate that he might live with her. (৭:১৮৯)
বুখারীঃ
Narrated Abu Huraira: Allah 's Apostle said, "Treat women nicely, for a women is created from a rib, and the most curved portion of the rib is its upper portion, so, if you should try to straighten it, it will break, but if you leave it as it is, it will remain crooked. So treat women nicely. (৪:৫৫:৫৪৮)"
Narrated Abu Huraira: The Prophet said, "Whoever believes in Allah and the Last Day should not hurt (trouble) his neighbor. And I advise you to take care of the women, for they are created from a rib and the most crooked portion of the rib is its upper part; if you try to straighten it, it will break, and if you leave it, it will remain crooked, so I urge you to take care of the women (৭:৬২:১১৪)
ওল্ড টেস্টামেন্টঃ
So the LORD God caused the man to fall into a deep sleep; and while he was sleeping, he took one of the man's ribs and then closed up the place with flesh.Then the LORD God made a woman from the rib he had taken out of the man, and he brought her to the man. (জেনেসিস, ২:২১-২২)
উপরের তিনটা বর্ণনা থেকে কোন দুইটা আপনার কাছে একরকম মনে হচ্ছে? কোরআন এবং বুখারি?/ কোরআন এবং ওল্ডটেস্টামেন্ট?/ বুখারি এবং ওল্ড টেস্টামেন্ট?
৪। একটা মিথলজিক্যাল গল্প কে কোরআন দিয়ে ব্যাখা বের করতে চাওয়া বিপদজনক, যেখানে কোরআনে মানব সৃস্টির কথা উল্লেখ করেছে। প্রসঙ্গত এইখানে উল্লেখ্য যে ওল্ড টেস্টামেন্টের প্রথম মানব সৃস্টির বর্ণনা এবং কোরআনের প্রথম মানব সৃস্টির বর্ণনা সম্পূর্ণ বিপরীত। কিন্তু আমরা ওল্ড টেস্টামেন্টের গল্পকেই কোরআনের বলে চালিয়ে দেই। মাইন্ড কইরেন না, এইটা বেশিরভাগ মানুষই করে।
৫। ধর্মীয় রেফারেন্স এবং এর ব্যখা গুলি বাদ দিলে, এই লিলিথের গল্প সত্যিই উপভোগ্য। গল্পের সাথে সাথে লেখকের বর্ণনা গল্পটাকে আরও উপভোগ্য করে তুলেছে। লেখকের কাছ থেকে এই রকম লেখা আরও আশা করছি।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
আসলে অনেক বেশী প্রশংসা করেছেন দেখে লাল হয়ে গেছি
মিথ হিসাবেই দেখা ভাল।
আর ধর্মের প্রকৃত রুপ যে বুঝেছে সে কনফ্লিক্ট এড়িয়েই চলে। সংঘাত আসে অজ্ঞতা অথবা কেবলই নিজের মতে অন্য চাপিয়ে দেবার বাসনা থেকে! আমার ভেতরই হোক বা অন্য কারো!
ভাই প্রথমেই ক্ষমা চাই- আপনার মতো গবেষক আমি নই।
স্রেফ কৌতুহল থেকে নেট ঘেটে যে তথ্য পেয়েছি তাই সংকলিত করেচী নিজের মতো করে।
১। বুক অফ জেনেসিসে আমরা দেখতে পাই খোদা হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেন আদমের পাঁজড় থেকে “Then the Lord God made a woman from the rib he had taken out of the man, and he brought her to the man.”-Genesis 2:22 (সর্বশেষ ঐশীগ্রন্থ কোরআনও এমনটাই বলে- তিনি আদমকে সৃষ্টি করলেন ও তার থেকে তার সঙ্গিনী সৃষ্টি করেন-৭:১৮৯)
২ ৩ এ সহমত।
কোরআনে হাওয়া নাম নেই বরং সংগীনি বলা হয়েছে।
আর বিশ্বাসের অনেক কিছূরই হাকিক্বত জানলে তা ভিন্নরকম হয়। পজিটিভলি নিলে সহজাত মনে হয। নেগেটিভলি নিয়েল ধর্মের তেরটা বাজাতে উদ্যত হয়।
হাজরে আসওয়াদ এবং হ্বজ্বের রিচুয়াল নিয়ে কিছূ হাকিকি (গূঢ় সত্য) এক হাজিকে বলতেই চোখ চড়ক গাছ!
অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আমার দিকে। কিছু করার নেই।
কারো বিশ্বাসকে আহত করার মধ্যে যেমন বীরত্ব নেই। আবার ভুল বিশ্বাস নিয়ে জীবন কাটানোতেও বিশেষত্ব নেই।
নয় কি?
ভাল থাকুন।
১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২
নিউ সিস্টেম বলেছেন: ভালো লাগলো
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল।
১২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার কাছে একেবারে আনকোরা বিষয়। লিলিথের নামই জানতাম না। আপনার শ্রমসাধ্য ও তথ্যবহুল পোস্টের সৌজন্যে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা
১৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩৯
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
কিছুই জানতাম না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল।
আজকের আর সেইদিনের মধ্যে পার্থক্য নাই। ছলনায় পারদর্শী ললনা।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রতিটি দিনই নতুন
ভুবনের প্রতিটি ভোরই ফজর
প্রতিটি জন্মে নতুন ভুবন
মরণেই কায়ামত!!!
রাজপুত্তুর একি কলেন কে দিল আঘাত অমন নিঠুর হয়ে
১৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৪০
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
কিছুই জানতাম না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল।
আজকের আর সেইদিনের মধ্যে পার্থক্য নাই। ছলনায় পারদর্শী ললনা।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঐ
১৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৫৮
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সখা অন্যকিছুতে মুক্তি খোঁজে সেই তো সখির ব্যাথার হেতু! সখা তো বুঝিয়াও না বুঝিবার ভান করে।
হুম মাঝেমাঝে জীবনে যখন কঠিন সময় আসে মনে হয় ফেঁসেই গেলাম! আপনি কষ্ট করে এত কিছু শেয়ার করলেন সেজন্যে ধন্যবাদ। আপনার এবং আমার বিষয়টিকে নেবার ধরন কি ভীষন বিপরীত তা দেখে থমকে গেলাম। আপনি স্বাভাবিকভাবেই ধর্মীয় দৃষ্টিকোনটি তুলে এনেছেন। আর আমি শুধু একজন নারীকে দেখছিলাম! উদাহরন দেই, ক্লিওপেট্রা আমার খুব পছন্দের একটি ঐতিহাসিক চরিত্র। উনি রোমান কালচারে, তথা পৃথিবীর ইতিহাসে অসামান্য অবদান রেখেছেন। কিন্তু আমি ওনাকে একজন নারী হিসেবে দেখতাম। ওনার সবচেয়ে আকর্ষনীয় বিষয় আমার কাছে মনে হত উনি বাস্তবিক ভাবে তেমন সুন্দরী ছিলেন না। কিন্তু বিশ্বের নামকরা সুন্দরীদের মধ্যে নিজের আত্মবিশ্বাস, চার্ম নিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। যা চাইতেন তার জন্যে যেকোন লিমিট পর্যন্ত যেতে পারতেন। এই ফ্যাসিনেশন থেকে অনেক ডকুমেন্টারি দেখা এবং রিয়ালাইজ করা শি ওয়াজ নট জাস্ট আ মেক আপ ওয়েয়ারিং প্রিটি ফেইস! রোমান ইতিহাসে ডুব মারার চেয়ে আমার কাছে এক শক্তিশালী নারী চরিত্র অনুধাবন বেশি জরুরি ছিল। লিলিথের ব্যাপারেও হয়ত আমি তেমনই করেছি আবারো। ধর্ম, দর্শন, সৃষ্টিকথা নয় কেবল একজন নারীকে দেখেছি! সাধে কি আর নিজেকে বোকামতী বলি?
তাহলে সামনে আমরা এরচে সমৃদ্ধ দারুন কিছু পেতে যাচ্ছি! গ্রেট সেই পোষ্টের অপেক্ষায়!
ইশ! বিনয়ের সীমা থাকে! এর চেয়ে ভালো সম্ভব লেখা? এত ডিটেইলড কষ্টাসাধ্য পোষ্ট! আর তাও কে লিখবে আমি? ধুর পারতাম না। মাফ চাই!
আবারো এসেছিলাম দুটো কারনে। এক সখার এতো কষ্টসাধ্য পোষ্টে লাইক দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। আর প্রতিউত্তর দেখতে। মনে হলো মনে আসা কথাগুলো শেয়ার করেই ফেলি।
অনেক বকবক করেছি, সখার মাথা ধরে যাবার কথা। তাই এবারে বিদায় নেই।
শুভকামনা রাশি রাশি!
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সখী !
ডাকলে যদি সখা
আসা যাবার কারণ কেন ব্যাখ্যা?
যতবার খুশি যতক্ষন
বেড়াবে আসবে যাবে যত চায় মন
হা হা হা মুক্তি অন্য আর কোথা
অমন সখি আছে যেথা
স্মরনে নাই মরণ জানি
তাই জপি- সখিনং স্মরনং গচ্ছামি
প্রত্যেকের স্বাতন্ত্রই তার গ্রহণ বর্জন, অনুভব পছন্দ ভাললাগা পৃথক করে দেয়। স্বাতন্ত্রের জন্ম হয় প্রাপ্ত জ্ঞান, পরিবার, বিশ্বাস, সামাজিকতা ইত্যাদি মিলিয়ে। তাই ভিন্নতাই সৃষ্টির বৈচিত্র আর আনন্দও বটে।
আসলে ধর্মটা আমার কাছৈ ভিন্নার্থ বহন করে।
ধৃ মূলধাতুর থেকেই ধর্ম। একজন ব্যক্তির বিশ্বাস, কর্মই তার ধর্ম! বাহ্যিকতা নয়। একজন পূজিবাদী যখন তার পূজির জন্য তার সমস্ত মেধা, মনন, শ্রম ব্যায় করে তখন তার ধর্ম! পূজিবাদই । তার রিচূয়াল যাই হোকনা কেন! কারণ এটাকেই সে ধারন করছে!
একই ভাবে ভোগবাদী, নারী বাদী, সমাজবাদী, মানবতাবাদী, ক্ষমতাবাদী, সামন্তবাদী, সাম্রাজ্যবাদী সকলেই যার যার বোধে যারযার প্রকৃত ধর্ম বোধ নিয়ে পৃথক হয়ে যায়!
ক্লিওপেট্রা, চেঙ্গিস খান, মনরো বা লালন তাই আপনাপন পথে দৃঢ়তায় এগিয়ে গেছেন তাদের নিজ নিজ ধর্ম (ধারন কৃত স্বভাব ধর্ম )র স্বভাবেই!
মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত, নিম্নবিত্তের প্যারালাল অবস্থানও প্রত্যেকের স্বভাব ধর্মেরই ফলমাত্র। যারা বদলাতে পেরেছে তারাই এক স্তর থেকে অন্য স্তরে উন্নত বা অবনত হয়েছে মাত্র।
না বোকামতি অবশ্যই নন সখি! দেখার এই মাত্রাটাও জরুরী। অনেকটা ল্যাবে অনুবীক্ষনিক দেখার মতো! সূক্ষাতিসূক্ষ দৃিষ্টই জ্ঞানকে উচ্চস্থানে পৌছে দেয়! নিজেকে জানাতো সবচে বড় জ্ঞান। যে নিজেকে চিনল সে তার রবকে চিনল! ভাবুন কত্ত বড় ম্যাসেজ!
আর নিজকে চিনতে হলে সবার আগে চাই ঐ আনুবীক্ষনিক দৃষ্টি ভঙ্গি। ভেঙ্গুচূড়ে, চুলচেরা বিশ্লেষন করে তবেই না মেলে সত্য!
যেখানে আনন্দ সেখানে মাথা ধরার প্রশ্নই আসে না
শুভকামনা অনন্ত......................
১৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯
নীলপরি বলেছেন: প্রায় কিছুই জানতাম না লিলিথ সমন্ধে । আপনার লেখার সাথে পূরানের অলিগলি ঘুরে বেড়ালাম ।
খুব সুন্দর উপস্থাপনা ! অসাধারণ লাগলো ।
লিলিথরা আজ ও আছে বিভিন্নরূপে !
শুভকামনা ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ নীলপরি
অনুপ্রানীত হলাম।
আপনার দারুন কাব্যোপস্থাপনায় হয়ে যাবে নাকি লিলিথ নিয়ে দারুন এক কাব্য?
লিলিথরা আজো আছে বিভিন্নরুপে-দারুন বলেছেন। থাকবেই। সৃষ্টির ধারাক্রমেই থাকার কথা। বিপরীত ধারা স্রোত না হলে যে সৃষ্টির গতি থেমে যাবে!
প্রেম-ঘৃনা, আঘাত-সেবা, অন্ধকার- আলো, মন্দ-ভালো এভাবেই চলছে সময়।
অন্তহীন শুভকামনা আপনার জন্যেও। ভাল থাকুন সতত সুন্দর শুভ আর কল্যান লয়ে
১৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি হাসতে হাসতে গড়াগড়ি, আপনি না পারেনও! উফফ! কবিতাটি জোশ! ডাকলে? তুমি? আচ্ছা যান কবিতায় সব মাফ।
আপনি অনেক বেশি জ্ঞানী, আর জানার আগ্রহটা খুব বেশি। আসলেই আমরা বেশ আলাদা মানুষ। একটা জিনিসকে আপনি যতোটা সুক্ষ্ণ জটিলতায়, মূলে যেয়ে দেখবেন, আমি ঠিক ততটাই সরল, সাদামাটা আংগিকে দেখব। বাট সামহোয়েআর উই বোথ নো আওয়ার প্রায়োরিটিস ওয়েল! এজন্যেই তো সখা সখী হতে পেরেছি, হাহা।
আবারো ধন্যবাদ এত সুন্দর প্রতিমন্তব্যে।
শুভকামনা!
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এইবা কম কি?
সখিকে হাসাতে পেরেছি
কবিতায় কবিরা সবাই ইশ্বর!
আপনার ভূবনে আপনি রচে যায় ভাবনার ভুবন আপন মনে।
অনেক কেতার্থ হলাম কবিতায় সব মাফ পেয়ে
জ্ঞানী কিনা জানিনা। তবে জানার চেষ্টা করি। আর অবশ্যই সরল সাদামাটা দৃষ্টি বেশি প্রশান্তির! যত গভীরে তত যন্ত্রনা, ততই প্রশান্তি। তবে তা হিমালয়ের চূড়ার মৌনতার মতো, কিংবা প্রশান্তর গভিরতার মতো ব্যাপকতর!
এই জানাজানি অনুভটাই হল জীবনের সেরা পাওয়া। নজরুল যেমন বলেছেন-অনেকে একই ঘরে একই ছাদের নীচে থেকেো কেউ কাউকে জানল না। এক হয়েও ভিন্ন তারা।
আবার অনেকে দূর দিগন্তে বসবাস করেও আপনার চেয়ে আপন - সে কেবলই ভাবনায়, চেতনায় মিল-অমিলে! নয়?
আপনাকেও ধন্যবাদ অন্তহীন, শুভকামনাও
১৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০৫
নীলপরি বলেছেন: কবিতা আমার দ্বারা হবে কি না জানি না । তবে উত্তর দেখতে এসে দারুন একটি কবিতা পড়ে যাচ্ছি । যদিও কাজটা ঠিক করলাম কিনা জানিনা । নিজ গুনে মাফ করবেন ।
ডাকলে যদি সখা
আসা যাবার কারণ কেন ব্যাখ্যা?
যতবার খুশি যতক্ষন
বেড়াবে আসবে যাবে যত চায় মন
হা হা হা মুক্তি অন্য আর কোথা
অমন সখি আছে যেথা
স্মরনে নাই মরণ জানি
তাই জপি- সখিনং স্মরনং গচ্ছামি
------------------------------- ব্যপক ।
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেকি পরী এ কেমন কথা?
ঠিক বেঠিকের কথা আসবে কেন? এতো উন্মুক্ত আলাপন সো মাফের প্রশ্নই নাই কোন!
আপনার কবিতার কাছে এ সবতো ছাই
ছড়ায় ছড়ায় যা মনে আসে কয়ে যাই!
সেই ঋদ্ধ ভাবনা কোথায়
যেমন পাই আপনার লেখায়? ???
১৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:২৭
নীলপরি বলেছেন: উফ , সকাল বেলায় আপ্লুত করে দিলেন যে । আকাশে উড়ছি !
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ডানা থাকলে কত্ত সুবিধা
পরী হতে মুঞ্চায়
২০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩০
নীলপরি বলেছেন: উফ , সকাল বেলায় আপ্লুত করে দিলেন যে । আকাশে উড়ছি !
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
২১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:০১
অদৃশ্য বলেছেন:
নতুন কাহিনী... লিলিথকে নিয়ে এর আগে আমি কোন কল্প-গল্প শুনিনি... বেশ মজার... গতকালকে অনেকখানি পড়েছিলাম আজকে বাকিটা শেষ করেছি... মজা পেয়েছি সবকিছু মিলিয়েই...
শুভকামনা...
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। বেশ সময় নিয়ে পড়ে মজা পেয়েছেন।
লেখনি স্বার্থক।
অনেক শুভেচ্ছা
২২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: জানলাম অনেক কিছুই ..।
বাস্তবতা ও খুব ভিন্ন কিছু না রিয়েল লাইফ থেকেই উঠে আসে কল্প কাহিনী ।
বৈষম্যের প্রতিবাদ করে নির্বাসনে যেতে হয় ।
ধন্যবাদ চমৎকার পোস্ট এর জন্য
২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুন্দর বলেছেন।
আর ক্ষমতাসীনদের পক্ষেই যেহেতু ইতিহাস কথা কয়- সো ভিন্ন মত ভিলেন হতে বাধ্য
অনেক ধন্যবাদ মনিরাপু
২৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক প্রয়াসসাধ্য লিখা । গবেষনার অনেক সুযোগ আছে ।
প্রদত্ত সুত্র ধরে ধরে অনেক বিষয় জানা যাবে ।
গবেষণার জন্য বেশ একটা উপাদেয় বিষয়
উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।
আসলেই তাই। অনেক গবেষনার সুযোগ আছে।
তাহলে আমরা দারুন একটা কিছূ পেতে যাচ্ছি-আশায় রইলাম
২৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮
গোফরান চ.বি বলেছেন: রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও এমন সুন্দর একটি পোস্টে লাইক না দিয়ে পারলাম না ।
পোস্টে ভালো লাগা।
২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
মৌলিক বিষয়ে মিনিমাম ঐক্যমতের চর্চা এভাবেই শুরু হোক।
রাজনৈতিক মতপার্থক্য হোক সু-নীতি নির্মানের ইস্যুতে সরব, অন্য সব সুন্দরের প্রতি সহনশীলতা আর ঐক্যের ভিত রচিত হোক ছোট ছোট পদক্ষেপেই
শুভেচ্ছা জানবেন।
২৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪
গোফরান চ.বি বলেছেন: ঠিক আছ ব্রো । গুড রিপ্লায়
২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইউ আর ওয়েলকাম
ভাল থাকুন সদা
২৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: খুব অল্পই জানতাম লিলিথ চরিত্রটি সম্পর্কে, পোস্ট পড়ে নতুন অনেক কিছুই জানলাম।
ভাল থাকুন
২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমিও খুবই কম জানতাম। আগ্রহ থেকেই সামান্য তথ্যের অনুসন্ধান
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভচ্ছো জানবেন অনেক অনেক
২৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১০
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: একজন মুসলিম হিসেবে আমি কুরআনের বানীতেই বিশ্বাস রাখি
২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমমম তাতো রাখতেই হবে।
তার মানে কিন্তু এই নয়-বাকী সত্য-তথ্যকে সন্ধান করা যাবেনা!!!!!
ভাল থাকুন।
২৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১১
প্রামানিক বলেছেন: লিলিথের নাম এই প্রথম শুনলাম। সম্পূর্ন নতুন একটি বিষয় জানলাম। ধন্যবাদ আপনাকে
২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
লিখে ফেলবেন নাকি আদম-হাওয়া লিলিথ নিয়ে দারুন একটি ছড়া!!?
ভাল থাকুন
২৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৩৮
সৈয়দ আবুল ফারাহ্ বলেছেন: লিলিথ আগুনের তৈরী। তাই সে মাটির তৈরী আদমের চেয়ে নীচের হতে পারে না। স্রষ্টা তা বুঝতে পেরেছেন। তাই হাওয়া বা ইভ-কে মাটি থেকে তৈরী করেছেন। আদম-হাওয়া দু'জনেই মাটির, তবে হাওয়া মাটির তৈরী আদম থেকে তৈরী। এর মধ্যে (ক) আগুনের সৃষ্টি, (খ) মাটির সৃষ্টি, (গ) মাটির সৃষ্টি ও আগুনের সৃষ্টির যৌথ বসবাস, (ঘ) মাটির সৃষ্টি - মাটির সৃষ্টির বসবাসের চর্চা জানতে পারি।
আগুনের সৃষ্টি লিলিথ সব ভূমিকাতেই নেতৃত্ব দিয়েছে। আগুনের সৃষ্টি নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে ওই সমাজে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন কি না বা সমান হতে চেয়েছেন কি না তা জানতে পারিনি।
লিলিথের সমাজ লিলিথকে মেনে নিয়েছে। তাই তার কথা লিখেছে। মূর্তি বানিয়েছে। সংরক্ষণ করেছে। পরবর্তি সমাজ লিলিথ-কে এভাবে দেখতে চায়নি। তাই তার অস্তিত্ব মুছে দিতে চেষ্টা করেছে। আমাদের বর্তমান সমাজও কি লিলিথের সবগুলো কাজ ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে তাকে পেতে চাই ?
লেখার জন্য ধন্যবাদ।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বলছেন।
অনেক ধন্যবাদ! এভাবেই গ্রঞন বর্জনের মাঝ দিয়েই চলছি অন্তহীন পথে।
শুভেচ্ছা
৩০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০৫
সৈয়দ আবুল ফারাহ্ বলেছেন: লিলিথ তুমি কে জানতে ইচ্ছে করে
আমার জানতে ইচ্ছে করে।
সাম্য ও সমতায় নতুন কথা
না কি নতুন সত্য ?
মাতৃতান্ত্রিক কৃষি অর্থনীতি,
নারীর প্রজনন নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ক্ষমতা না থাকা
সন্তানের পরিচয়ে মা লিলিথ
এটা কি নতুন কোন সত্য ?
আমরা কি মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় যাব ?
২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুন্দর গানের সুরে লিখেছেন
মাতৃতান্ত্রিকতা কিন্তু খুব বেশিদিন আগের নয়! আমাদের দেবীর সংখ্যাধিক্য কিন্তু নারীবাদেরই ইশারা!!!
আমাদের বহুল প্রচলিত একটি শব্দেও নাকি সে ইশারা এক গবেষেকর প্রবন্ধে পেয়েছিলাম।
পুরস্কার শব্দটি নিয়ে বিশ্লেষনে দেখিয়েছেন- নারীবাদী আিধপত্য সময়ে পুরুষেদর মদ্যে যোগ্যতম বাছাই করার ইভেন্ট শেষে বিজয়ীর হাত ধরে নাকি বলা হতো -এ পুরুষ কার??? মােন েকান নারী নিত আগ্রহী!!!!??
যে নিত পুরুষটি তার হয়ে যেত!
পুরুষ কার? থেকেই বিবর্তনে পুরস্কার এসেছে বলেই দাবী!!!!
সো ! আপনার শংকা আবার সত্যি হলেও হতে পারে
শুভেচ্ছা
৩১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩
নীলপরি বলেছেন: আজকে প্রথম রেসিপি পোষ্ট দিলাম । সময় পেলে দেখবেন ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাই!!! তবেতো জলদি যেতে হয়..
হৃদয় থেকে রসনায় জল আনার বন্দোবস্ত
জলদি আসছি! শেষ হবার আগেই
অনেক ধন্যবাদ নেমতন্নে
৩২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সম্পূর্ণ নতুন একটা বিষয় পড়লাম !
অনেক পরিশ্রমী পোস্ট ।
ধন্যবাদ ভৃগু ভাই ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লটিন ভাই
দেরীতে পড়লেও মিসান নাই হা হা হা
শুভেচ্ছা অনন্ত
৩৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৩
সৈয়দ আবুল ফারাহ্ বলেছেন: পুরুষ যেদিন বুঝতে পেরেছে তার শুক্রনুই সন্তান জন্ম ও লিঙ্গ নির্ধারনে মূল ভূমিকায় রয়েছে তখন থেকেই মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা ভাঙ্গতে শুরু করেছে।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এটাও একটা গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট।
ধন্যবাদ শেয়ারে।
আরো বিস্তারিত তথ্যে লিখে ফেলুন এই বিবর্তনের ধারাবাহিকতা নিয়ে। দারুন হবে।
শুভেচ্ছা
৩৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৪৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ক্যামনে কী! আমি যে লিলিথের ব্যাপারে কিছুই জানতাম না! কতকিছু জানি না রে!
লিলিথের স্বভাব নারীদের মধ্যে ব্যাপক হারে বর্তমান ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জানার সমুদ্রে এখনো অন্ধকারেই বসবাস আমাদের
এইটা কি কইলেন নারীবাদীরা ক্ষেপবেতো
বাবাজান যে কথা মানে নাই--পুলারা খুশি মনেই তাতে রাজী হইয়া যায় কলিকাল বলে কথা
৩৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৮
অভি চৌধুরী বলেছেন: আমি পড়েছি লিলিথ ঘটনাটা, কিন্তু ততটা গুরুত্ব দেইনি। গতকাল এই পোষ্ট পড়ে এটা নিয়ে অনেক ঘাটা ঘাটি করলাম।
আরো একটু দেখবো এখনো অনেক বিষয় কন্ফিউজড আছি।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
কনফিউশন কাটানো কিছু পেলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
শুভচ্ছো অফুরান
৩৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৩৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এই লিখাটিতে অনেক কিছুই
গবেষণা করার মত আছে
আবারো আসব ।
শুভেচ্ছা রইল
২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হুমম.. যে খুঁজতে আগ্রহী তার জন্যে
আবার আসার অপেক্ষায় রইলাম শুভেচ্ছা সহ
৩৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৯
সোহানী বলেছেন: লিলিথ সম্পর্কে কিছুই জানা ছিল না। ভালো লাগলো নতুন কিছু জেনে। আর ধন্যবাদ অসংখ্য তথ্যকে সামারি আকারে উপহার দেয়ার জন্য।+++++++++++++++
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। আমিও জানতাম না। কবি হেলাল হাফিজের মূখে প্রথম শুনি।
তারপর খোঁজ আর খোঁজ...
তারপর আপনাদের সবার ভাললাগা
অনেক ধন্যবাদ ভাল থাকুন।
৩৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৭
লেখোয়াড়. বলেছেন:
কি খবর বিদ্রোহী? আছেন কেমন?
ব্লগে আপনার ৮ বছর পূর্তির শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম।
শুভকামনা।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক আগে- এক ছিল রাজা আর এক ছিল রাণী
উরিব্বাসসসসস
সেইরকম সময় পেরিয়ে সময় হল আমাদের জন্য !
অনেক ভাল লাগল আছি দয়ালের অসীম কৃপায় ভাল
বহমান সময় আসলেই নিভৃতে কেমন বয়ে যায় নিরবে নিরবে। স্মরণ করায় কৃতজ্ঞতা।
অনেক অনেক শুভ কামনা
৩৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫০
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ইন্টারেস্টিং !! মজা পেলাম পড়ে
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
আপনার মজা আমার কষ্টকে খুশিতে ভরে দিল
৪০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬
সেলিম৮৩ বলেছেন: পৌরাণিক কাহিনী গল্পই। তাই, আল কোরআনে বর্ণিত আদম এবং হাওয়ার সাথে এখানের অ্যাডাম এবং ইভ-এর কোন সম্পর্ক নেই।
বাইবেল এবং তিলমুদের তথ্যের অপূর্ণতা থেকে পৌরাণিক কাহিনীতে সৃষ্টি হয়েছে লিলিথের। যেমন ব্যাবিলন তিলমুদে লিলিথ-এর কথা ৪ বার এলেও একথা কোথাও উল্লেখ নেই যে, অ্যাডামের প্রথম স্ত্রীর নাম ছিল লিলিথ। তাকে সেখানে ডেমন বা শয়তান/দানব রূপেই দেখতে পাওয়া যায়।
লিলিথের শেষ অংশটুকুও দারুণ। স্বর্গ থেকে বিতাড়িত লিলিথ এখন একা, অতৃপ্ত। রাতের আঁধারে অবিবাহিত ঘুমন্ত ছেলেদের সাথে মিলিত হয়ে যাচ্ছে লিলিথ, শতাব্দীর পর শতাব্দী। অতৃপ্ত লিলিথ নিজের যৌন ক্ষুধা মিটিয়ে যাচ্ছে এভাবেই। আর কথা মত, প্রতিদিন ১০০ শিশু ডেমনের মৃত্যু ঘটছে এই যৌথ ক্রিয়ায়।
অনেকেই বলেন, এ কারনেই নাকি ছেলেদের রাতে স্বপ্ন স্খলন বেশি হয়, যেখানে মেয়েদের তেমন হয়না! তাহলে, লিলিথের অস্তিত্ব সত্যিই আছে নাকি?
যাহোক, আধুনিককালে অনেকে লিলিথকে নারীবাদের অগ্রপথিক হিসেবে দেখেন। স্বৈরশাসন থেকে স্বনির্ভরতা ও স্বাধীনতার জন্য যে কিনা ইডেন গার্ডেনের সুরক্ষিত জীবন ত্যাগ করে বরন করে নিয়েছিল একাকীত্ব!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খুব গুছিয়ে সুন্দর করে বলেছেন । ভাবনা গুলো ভাবনার মতোই।
আমাদের ফিতরাতেই মনে হয় অনিশ্চয়তায়র প্রতি টান আছে চ্যলেঞ্জিং ড্রিম বেশি টানে
শুভেচ্ছা অনেক অনেক
৪১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০
রুবিনা পাহলান বলেছেন: নতুন কিছু পেলাম। অত্যন্ত জ্ঞান ভান্ডারে ভরা ব্লগটি। ভাল লাগা রেখে গেলাম। আর বেঁচে থাকলে আবার আসার ওয়াদাও করে গেলাম।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক।
ভাললাগাটুকু সযতনে রক্ষিত হল
আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি যাতে বারবার আসতে পারেন
৪২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৪
কোলড বলেছেন: I first came to know about Lillith from Isaac Bashevis Singer's short story.
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জেনে ভাল লাগল।
আমি শুনেছি কবি হেলাল হাফিজের মূখে।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা
৪৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৩
আমিই মিসির আলী বলেছেন: ভাই,
আমার কাছে রূপকথাই মনে হইলো।
কারন দলিল বিশ্বাসযোগ্য নয়।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রুপকথাই মনে করুন। দবে কি দারুন রুপকথা নয়? ভাবনায় আমুল ঢেউ তোলা
ধন্যবাদ পাঠে ও মন্তব্যে
শুভেচ্ছা
৪৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ভাইজান, আজকে একটা নতুন পোস্ট দিবেন প্লিজ । আপনার নতুন লেখা পরতে ইচ্ছা করতেছে
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
বুবুজান- ইচ্ছা পূরণ করার চেষ্টার শতভাগ ইচ্ছা রইল ....
৪৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩
সাহসী সন্তান বলেছেন: এই পোস্টে আমার মন্তব্য পাইলাম না ক্যান? পোস্ট কয়েকবার পড়েছি সেটা তো সিউর, মন্তব্যও তো করেছি মনে হয়; তাহলে সেটা গেল কই? আমি আরো ভাবছি, পোস্টে আগেই তো মন্তব্য দিয়েছি তাইলে এখন আর গিয়ে লাভ নেই।
কিন্তু গুতাইয়া ভিত্রে আইসা দেখি নাই! যাহোক, তখন কি কইতে চাইছিলাম তাহা আর মনে নাই। আর নতুন করে এখন আর লিখতেও চাইতেছি না। মেজাজ খ্রাপ হয়ে গেছে!
শুভ কামনা ভৃগু ভাই!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমম!! মেজাজ খ্রাপ হবারই কথা!
কিনতু আমরা যে একখান মূল্যবান মন্তব্য হারাইলাম ! তার কি হপি!!!
সামুরে কি আবারো বাঘে (গ) ধরল নি! আরেকটা কার পোষ্টে যেন এইরাম আলাপ দেখেছিলাম! কিন্তু গুরুত্ব দেই নাইক্যা!
কত্তিপক্ষের সু-দৃষ্টি থাকুক সকল বিষয়ে
৪৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬
সাহসী সন্তান বলেছেন: আমার কিছু পরিচিত ব্লগার আছেন। ভাল লিখুক অথবা মন্দ লিখুক, বন্দুকের গুলি মিস হইতে পারে কিন্তু তাদের পোস্টে আমার মন্তব্য মিস হওয়াটা অসম্ভব! আমি কিন্তু ভাবছিলাম, মন্তব্যটা হয়তো আপনি ভুল করে মুছেও দিতে পারেন। কিন্তু সেজন্য তো অবশ্যই আপনি ফিরতি কমেন্টে জানাতেন?
টপিক ছাড়া মন্তব্য করাটা আমার নীতি বিরুদ্ধ! অফটপিকে কিছু বললেও সেটা অবশ্যই উল্লেখ করে দিই! তাছাড়া ফান করার মন মানসিকতা থাকলে সেটাও মানুষ বিশেষই করি। সামুর বাগ কিনা জানি না, তবে ভুল হয়তো আমারও হতে পারে। হয়তো পোস্ট পড়ে মন্তব্য করতে ভুলেই গিয়েছিলাম।
ইদানিং ভুলটা একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছে! বয়স বাড়ছে তো, তাই হবে হয়তো! আপচুচ ফাদার এন্ড মাদার ব্যাপারটাকে কোন ভাবেই আমলে নিচ্ছে নাহঃ......
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শতভাগ আস্থা আছে
আর মোছারতো প্রশ্নই ওঠে না। আর ভূল বশ:ত ডিলিট হলেও তা বলা সৌজন্যতা জানি এবং মানি!
অকে ব্যপার না। ব্যাপার হইল আপচুচ ফাদার এন্ড মাদার ব্যাপারটাকে কোন ভাবেই আমলে নিচ্ছে নাহঃ......
এ বিষয়ে উনাদের সু-দৃষ্টির প্রার্থনা করা হইল
ভাল থাকুন নিয়ত.....
৪৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮
জেন রসি বলেছেন: মিথ পড়লে বুঝা যায় যে মানুষের কল্পনাশক্তি কতটা প্রখর হতে পারে। যখনি মানুষ প্রশ্নের জবাব খুঁজে পায়নি তখনি নিজেদের কল্পনার রং দিয়ে সাজিয়েছে চমকপ্রদ সব হাইপোথিসিস। আদি মানব মানবী নিয়ে মিথগুলোও সেই উত্তর খুঁজে ফেরার প্রচেষ্টা মাত্র।
চমৎকার পোস্ট বিদ্রোহী ভাই।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা!
৪৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১২
যুক্তিহীন আঁতেল বলেছেন: লিলিথের ব্যপারে আগে কিছুটা জানতাম ।তবে এই পোস্টে অনেক নতুন তথ্য পাইলাম ।ধন্যবাদ ।পোস্ট প্রিয়তে ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে কৃতার্থ হলাম অনেক শুভেচ্ছা
৪৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: অনেক কিছু জানা হল। আসলে জানার শেষ যে নেই এই লেখাটা পড়ে আরো তা ভালমত বোঝা গেল!
ধন্যবাদ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমম
আসেলেই জানার কোন শেষ নাই
যদিও পরের লাইনটা মানা যায় না-
জানার চেষ্টা বৃথা তাই
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা
৫০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ভাইজান পোস্ট দেওয়ার বিষয় খুঁজে পাইলা না? কি আর করবা , সাত বছর আগের একটাই না হয় রি পোস্ট দাও।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
বুবু দিয়েছিতো..দেরীর জন্য দু:খিত
৫১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৭
বিলিয়ার রহমান বলেছেন:
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তা একটু বটে!
আপনাদের অনুভবে তা কবেই দূর হয়ে গেছে
ঈদ মোবারক
৫২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮
সত্তা ত্বদীয় বলেছেন: লিলিথ নাম টা সুন্দর , বোঝার আর জানার মতো অনেক কিছু
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৫৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৩
ডট কম ০০৯ বলেছেন: লিলিথ প্রসঙ্গটা জানতাম তবে এত বিস্তৃত ও ব্যাপক আকারে নয়। আপনার লেখা পড়ে বেশ অনেক কিছু জানলাম আরো ভাল করে।কষ্ট করে এত বিষয় একত্রিত করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ডটকম
হুম আমি্ও শোনার পর থেকেই তীব্র কৌতুহল বোধ করছিলাম! যা থেকে এই সামান্য চেষ্টা
অনেক শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ আপনাকেও
৫৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:০৫
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
অর্ধেক পড়ছি। আরো পড়ুম পরে। মাথা ঘুরাইতেছে পইড়া।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
বাকী অর্ধেক পড়ে পের পুরা মন্তব্য কইরেন
শুভেচ্ছা অনেক অনেক
৫৫| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৩
নীল আকাশ বলেছেন: মাত্র একটা বাক্যই যথেষ্ঠ - অসাধারণ, অনবদ্য।
আমি অনেক খুঁজাখুঁজি করে গল্পটা লিখেছিলাম। তখন যদি এই লেখাটা পেতাম তাহলে আমার কষ্ট অনেক কমে যেত। এত ঘাঁটাঘাঁটি করতে হতো না। এই পোস্টেই সবকিছু আছে। আমার গল্পটাও আরও সুন্দর করে লিখতে পারতাম।
ঠিক আছে আমি লিলিথ'কে নিয়ে যদি পারি আরেকটা পোস্ট লিখবো।
একটা ভালো লিংক দিয়ে গেলাম। গল্পটা শেষ করার পর পেয়েছি। ভালো লেগেছে আমার কাছে। পড়ে দেখতে পারেন।
https://www.biblicalarchaeology.org/daily/people-cultures-in-the-bible/people-in-the-bible/lilith/
পোস্ট লাইকড এবং সোজা প্রিয়'তে।
১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
আপনার গল্পের নামটাই আমাকে এ কারণে চুম্বকের মতো টেনেছে
নতুন গল্পের অপেক্ষায়
৫৬| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৭
নীল আকাশ বলেছেন: আরেকটা কথা -
এই লেখা এবং এর কিছু মন্তব্য, যেমনঃ ১০, ২৯, ৪০ সহ কপি করলাম আপনাকে জানিয়ে নিয়ে।
মনে হচ্ছে পরের লেখায় কাজে লাগবে।
রেফারেন্সে আপনার এই পোস্ট দেবো।
অফ টপিকঃ আপনার বইয়ের তো কোন হদিস পেলাম না আর শেষ দিকে? ঘটনা কী?
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।
১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। আনন্দের সাথে কপি করুন
লিটন ভাইয়ের পোষ্টের মন্তব্যে বিস্তারিত বলেছি। পকরোনা প্রকাশকের পাল্লায় পড়েছিলমা
হা হা হা
নভেম্বরে পান্ডুলিপি নিয়ে, ডিসেম্বরে আমার খরচে কাভার করিয়ে ফ্রেব্রুয়ারীতে পিঠটান
যাক ব্যাপারস না!
অভিজ্ঞতা হলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ অনুসন্ধানে
৫৭| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩২
নীল আকাশ বলেছেন: নভেম্বরে পান্ডুলিপি নিয়ে, ডিসেম্বরে আমার খরচে কাভার করিয়ে ফ্রেব্রুয়ারীতে পিঠটান
এত বড় জানোয়ার কোন প্রকাশক? নাম বলুন? অন্তত সচেতন থাকা তো যাবে?
১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৪২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এরাইতো ভরা মেলা জুড়ে!
সিজনাল....গৃধ্নুর দল!
থাক বাদ দেন। সে মন্দ বলে তো আর আমিও মন্দ হতে পারি না।
জ্ঞান হলো সেইই বেশ।
৫৮| ১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২১
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
নীল আকাশ ভাইয়ের পোষ্টের মন্তব্যে থেকে এখানে এলাম। পড়লাম। খুব বড় কিছু মিস করেছিলাম এতোদিন। +++
পোস্ট প্রিয়তে নিতে বাধ্য করলেন আপনি।
১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাগ্যিস নীলাকাশ ভায়া গল্প লিখেছিল
নইলে লিংক্ও দয়ো হতোনা, আপনাকেও পেতাম না!
আপনার আন্তরিকতা আর ভালবাসায় আপ্লুত। প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা।
অনেক অনেক ধন্যবাদেআর শুভেচ্ছা ভায়া
৫৯| ১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩
আখেনাটেন বলেছেন: আপনি রীতিমত ঝড় তুলেছেন এ পোস্টে। আগে চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। প্রিয়তেও নিয়ে রাখলাম।
১২ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরেহ কি যে বলেন?
ঝড় তোলা তো আপনাদের কাজ গুনিজনদের। আমিতো এই আরকি এমনি এমনি কিছু মিছু ভাবনা নিয়েই থাকি
প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে সম্মানীত বোধ করছি।
কৃতজ্ঞতা প্রিয় আখেনাটেন
অন্তহীন শুভেচ্ছা রইল
৬০| ১২ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫
রাশিয়া বলেছেন: লিলিথ কিছু বিপথগামী ধার্মিকের সৃষ্টি করা একটা মিথ, যাকে ব্যবহার করে ধর্মের আশ্রয় নিয়ে নারী জাতিকে হেয় করা যায়। সত্যকার অর্থে লিলিথের অস্তিত্ব কোন ধর্মেই স্বীকার করেনা। নারীকে ধর্মের তথা ঈশ্বরের প্রতি বীতশ্রদ্ধ করে তোলার জন্য স্যাটানিক ইলুমিনাতির এটা একটা ষড়যন্ত্র।
ইসলামেও এই ধরণের অনুসারী আছে। এরা কথায় কথায় হাওয়া (আ) কে আদম (আ) এর হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে - এরকম ধারণা দিয়ে নারীকে ছোট করার প্রয়াস চালায়। কুরআনে কোথাও এরকম কোন আয়াত নেই। হাদীসে এরকম ইঙ্গিত আছে - কিন্তু তা স্পষ্ট নয়। যা স্পষ্ট নয়, তা নিয়ে উপন্যাস বানিয়ে ফেললেও সচেতন ঈমানদার তা খাবে - এরকম মনে করার কোন কারণ নেই।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক পুরোরো কমেন্ট তবুও চোখে যখন পড়লো উত্তর দেই
লিলিথের প্রস্তর মূর্তি কিন্তু বাস্তব।
ঈমানদার পান কই ভাই? আমিতো হ্যারিকেন দিয়া খুঁজতেছি!!
এটা কারো খা্ওয়া না খাওয়ার ভাবনা নয়। একটা ঘটনা/ধারনা/মিথকে নিয়ে স্রেফ আলোচনা।
৬১| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬
শের শায়রী বলেছেন: ম্যাভাই মন্তব্য করতে যাইয়া দেখি সবাই সব কিছু আগে ভাগে কইয়া ফালাইছে, আমার জন্য নতুন কিছু রাখে নাই। তয় একটা জায়গায় আমি নতুন ই থাকলাম আমার নিজের হিসাবে এবং চোখে পড়ার মাঝে যত মনিমুক্তা এই ব্লগে পাইছি সব এই জায়গায় এক করছি। আপনার লেখাটা দুই নাম্বারে যোগ দিয়া রাখলাম শের শায়রীর রহস্যের দুনিয়ায় স্বাগতম ইচ্ছা আছে এই দিয়া একটা সংকলন বই বানামু এক সময়। আপনার ও মন্তব্য আছে আগে থিক্কাই ওই ব্যাপারে ওই জায়গায়
লেখা ভালো লাগছে। আইজকা পোলারে দিমু পড়তে। আমার বড় ছেলেকে প্রতিদিন নিয়ম করে একটা ব্লগ পোষ্ট পড়াই।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহ ম্যা ভাই.। দুই বছর পর চোখে পড়লো কমেন্ট!
দু:খ কই রাখি
যাক। বেটার লেট দ্যান নেভার
আপনার রহস্যের দুনিয়ার কাছে ইগ্লাতো নস্যি। তবুও মন্তব্যে বরাবরের মতোই অনুপ্রাণীত
মিস ইউ অল
৬২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৯
নীল আকাশ বলেছেন: এটা নিয়ে আস্ত একটা উপন্যাস আসছে। শিঘ্রই....
ফিনিস পালটিয়ে দিয়েছি। লিলিথ হিরোইন।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাই নাকি?
বিশাল ব্যাপার
আশাকরি মূল থিম কে যথাযথ ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২৬
নোমান প্রধান বলেছেন: ভালো লাগলো