নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মা।
অনন্তকালের মধুময় ডাক।
হৃদয় জুড়িয়ে আসা, প্রশান্তির আঁচল মা। মা নিয়ে কত কাব্য কত সাহিত্য, তবুও যেন শেষ হবার নয়।
মা শব্দটি খুব ছোট। ছোট হলে কি হবে ‘মা’ যে বড় মমতাময়ী। মায়ের মৃত্যু হলে বাবা বিয়ে করে। কিন্তু বাবার মৃত্যু হলে মা তার সন্তান আগলে ধরে বাকিটা জীবন কাটিয়ে দেয়। মায়ের মমতা ও গুন কীর্তন নিয়ে হাজারও গান রয়েছে।
এর মধ্যে উল্লেখ গান যোগ্য হলো- হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ‘পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহ ভরা কোলে তব মাগো’। খুরশীদ আলমের ‘মাগো মা ওগো মা, আমারে বানাইলি তুই দিওয়ানা’। ফকির আলমগীরের ‘মায়ের একধার দুধের দাম কাটিয়া গায়ের চাম’। ফেরদৌস ওয়াহিদের ‘এমন একটা মা দে না’। মা বন্দনায় আমরাই সেরা।
" মা দারুণ উদ্বেগ নিয়ে বসে আছেন সন্তানের রোগশয্যার পাশে।" এমন চিত্র প্রতিদিনের না হলেও প্রতিটি পরিবারেই পরিচিত দৃশ্য। মাঝে মাঝে এমন উদ্বেগাকুল পরিস্থিতি প্রায়-সকল পরিবারেই দেখা যায়। রোগের যন্ত্রণায় সন্তান যখন ছটফট করে, পিতা-মাতার ভেতরেও তখন ছটফটানি কম থাকে না। সন্তান দূরে কোথাও থাকলে, বিদেশে বিদেশের স্কুলে-কলেজে-কর্মক্ষেত্রে, তখন যেন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার তীব্রতা আরও বাড়ে। মানুষের মধ্যে এ বাৎসল্য, আপত্য স্নেহ অতিপ্রাকৃতিক বায়োলোজিক্যাল বিষয়। ইংরেজিতে বলা যায় ইনস্টিংকটিভ। প্রকৃতিই শরীরবৃত্তীয়ভাবে এমনটি মানুষের রক্তে-স্বভাবে-প্রবণতায় ভরে দিয়েছে। বংশের ধারাবাহিকতা, ঐতিহ্যের চেরাগ, নিজের উত্তরাধিকার রক্ষার জন্যই মানুষ এই স্নেহ ও বাৎসল্য অনুসরণ করে।
শুধু মানুষের মাঝেই নয় জীব জগতেও সন্তান বাৎসল্য দেখা যায়। এতকাল ধারণা ছিল পিতৃত্ব বা মাতৃত্ব শুধু মানুষ, বড়জোর স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে তা শুধু স্তন্যপায়ী নয়, অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যেও বিদ্যমান। আর ভালো দায়িত্ববোধ থাকার প্রমাণ এতদিন দেখা গেছে বানর, হনুমান, গরিলা, শিম্পাঞ্জি, বাঘ, সিংহ, হাতি ইত্যাদি স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যেই। তবে সাম্প্রতিককালে বিজ্ঞানীরা ভিন্নতর কিছুর সন্ধান পেয়েছেন। তারা এক ধরনের ছোট আকৃতির পোকার মধ্যে সন্তানের প্রতি দায়িত্ববোধ ও যত্নশীলতার রীতিমতো চমকপ্রদ উদাহরণ খুঁজে পেয়েছেন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ধরনের পোকারা তাদের সন্তানদের জন্মের আগে থেকেই তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে রাখে এবং এই খাবারকে সতেজ রাখার জন্য তারা সেটির ওপর এক ধরনের এ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রয়োগ করে।
কিন্তু গত ক'দিনের আলোচিত রামপুরার ঘটনাটি বেশ বিচলিত করল। যদিও আগেও মোহাম্মদপুরের নৃশংসতা একসময় সবাইকে পীড়িত করেছিল। আবার সময়ের আবর্তে সকলেই ভুলেও গেছে।
এই বিষয়টা নিয়ে লিখব মনস্থির করে গুগল করতেই মাথা ঝিমঝিম করতে লাগল!
শুধু রেফারেন্স লিংক ৮ পাতা হয়ে গেল! সবই হয় মাতা নয় পিতা নয় উভয় কর্তৃক সন্তান হত্যা সম্পর্কিত। কখনো সন্তান কর্তৃক পিতা-মাতা, কখনো পরকীয়া, কখনো সম্পত্তি, কখনো অভাব, কখনো বিরোধের জের, কখনো স্রেফ বিরক্তি!!!!!!!!!!!!!!!
কেবলই তথ্য সূত্র হিসাবে কিছু যোগ করছি..
স্ত্রীর ওপর রাগ করে সন্তান হত্যা!
প্রেমিকাকে পেতে সন্তান হত্যা!
পাঁচ সন্তান হত্যা: পুলিশের সন্দেহের তীর বাবার দিকে -
মা নামের ডাইনি!
শ্বাসরোধে শিশু সন্তান হত্যা ॥ মা আটক স্বামীর পরকিয়ার দায়ে মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করলো মা!
পটিয়ায় অভাবের তাড়নায় ৪ বছরের পুত্র সন্তান হত্যাপটিয়ায় অভাবের তাড়নায় ৪ বছরের পুত্র সন্তান হত্যা
পরকীয়ার জেরেই নিজ হাতে দুই শিশু সন্তানকে হত্যা করলো মা
৫ বছরের সন্তানকে হত্যা করলেন মা! গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অতিরিক্ত কান্নাকাটি করায় পাঁচ মাসের শিশুকে গলা কেটে হত্যা করেছে পাষণ্ড মা।
গোপালগঞ্জের পরকীয়ার কারনে নিজের ২ সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা গোপালগঞ্জের ভোজেরগাতী গ্রামে রাতের আঁধারে দুই ভাই রায়হান সরদার (১০) ও রইজ সরদারকে (৪) শ্বাসরোধে হত্যার পেছনে মায়ের পরকীয়া প্রেম দায়ী বলে জানা গেছে।
অনেক শিশুর ছবি আছে। সংগত কারণেই দিলাম না। নিজেই কেমন বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়ে গেছি। কি নিষ্পাপ মু্খগুলো। নিরবে যেন বলছে- আমাদের কি অপরাধ? কেন আমরা লাশ???
সবশেষে আলোচিত ঘটনা যা অনেকেই জানেন-
রামপুরা বনশ্রী এলাকায় চাঞ্চল্যকর দুই শিশু ভাই-বোন হত্যা ঘটনায় হত্যাকারী মা মাহফুজা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে সন্তানদের হত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাবের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
নুসরাত আমান অরনী ভিকারুন্নেসানুন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীতে এবং ছোট ভাই আলভি আমান হলি ক্রিসেন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের নার্সারীতে পড়তো।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় মা বেগম মাহফুজা গত ২৯ ফেব্রুয়ারি মেয়ে অরনীর গৃহ শিক্ষিকা চলে যাবার পর অরনী তার বাবা-মায়ের বেড রুমে বিকাল পাঁচটার সময় ঘুমাতে যায়। তখন বাসায় বৃদ্ধা দাদী, দুই ভাই-বোন ও মা মাহফুজা উপস্থিত ছিলেন। একই সময়ে আলভি আমান বেড রুমের বিছানাতেই ঘুমাচ্ছিল। মা মাহফুজাও ছেলের সাথে একই বিছানায় শুয়ে ছিল। অরনী মায়ের সাথে ঘুমানোর জন্য বিছানায় শোয়ার কিছু সময় পর মা মাহফুজা তার মেয়ে অরনীকে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে ধরে একপর্যায়ে ধস্তাধস্তিতে উভয়েই বিছানা থেকে মেঝেতে পড়ে যায়। কিছু সময় পর মেয়ের শরীর নিস্তেজ হয়ে গেলে তিনি তার ছোট ছেলে আলভিকে খাটের উপর ঘুমন্ত অবস্থায় একইভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন।" ।।
নি:শ্বাস আটকে আসতে চায়! কেন এই হত্যা কান্ড? কেন এত পৈশাচিকতা? কেন এত নির্দয়তা?
যে সন্তান পরম নির্ভয়ে মায়ের পাশে শুয়ে ঘুমায়- তাকেই কেন মায়ের হাতেই নিহত হতে হয়?
মা ডাককে কলংকিত করছে এই রমনী/নারী এরা কেন এমন করছে?
মনোবিজ্ঞানীরা ভাল ব্যাখ্যা করতে পারবেন। সমাজবিজ্ঞানীরা হয়তো অনেক তত্ত্ব উপস্থাপন করতে পারবেন। আলোচনা হবে টকশো হবে। কিন্তু এর মূল কি চিহ্ণিত হবে?
এই সবুজ শ্যামল বাংলায় নারীতো মমতাময়ী রুপেই চিত্রিত। মা ডাকের উপরেতো মমতার আর কোন ডাক নেই। সেই মা জাতের আজ কেন এই রুপান্তর?
-স্রেফ উদগ্র যৌন কামনায়?
-অর্থ লোভে?
- স্বার্থপরতায়?
আমাদের মৌলিক স্নেহ প্রবণ চেতনাটা বিলুপ্ত হল কিভাবে?
>> সবকিছূতে প্রতিযোগীতা প্রমোট করছে কারা?
>> জিপিএ ৫ চাই! ফ্লাট চাই! গাড়ী চাই! ষ্ট্যাটাস চাই! ব্যাংক ব্যালেন্স চাই! এক অন্তহীন চাওয়ার সমুদ্র...
>> সেই প্রতিযোগীতায় পিছিয়ে পড়া, ছিটকে পড়াদের হীনমন্যতার পরিণতিই কি এইসব?
>> জীবন যাপনের সাধারন, স্বাভাবিক সন্তুষ্টির স্থান থেকে আরও চাই আরও চাই চেতনার বিকাশ কি কিছুটা হলেও দায়ী নয়?
আমাদের সমাজ বিজ্ঞানীরা কি ভাবছেন? সমাজকল্যান মন্ত্রনালয় কি চোখ মেলে দেখে বুঝতে পারছে- এই অধোগতি কত গভীর ক্ষত হয়ে উঠেছে সমাজের জন্য? তথ্য, সংস্কৃতি, অন্যান্য প্রযোজ্য মন্ত্রনালয় সমূহ!! সুশীল সমাজ!! নীতি নির্ধারণী ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান সমূহ!!!
আমাদের প্রিন্ট আর অনলাইন মিডিয়ার দায়িত্ব কি কেবলই খবর প্রচার করেই শেষ?
টিভি মিডিয়া গুলো কি অনুভব করছে দেশের এই অভ্যন্তরীন ক্ষয়ের রক্তক্ষরন! নাকি পুলিশ কর্মকর্তার মতো তাদের নিজেদের ঘরে হানা দেবার আগে হুশ হবে না। শুধু টিআরপি আর বানিজ্য নিয়েই ভাবনায় বুদ হয়ে থাকেব????
আমাদের সামাজিক জীবনের এথিকসটা আমাদেরই ঠিক করতে হবে। আমাদের স্বপ্ন, আমাদের সন্তুষ্টির আমাদের দায় সবকিছূর একটা সীমার সামাজিকীকরণ করতে হবে। উদগ্র কামনা, লোভ, প্রতিযোগিতায় না ঠেলে সুস্ঠু সামাজিক বিকাশের রুপরেখা কাগজে পত্রে নয়- জীবেনর বোধে গেথে দিতে হবে। নাটক, সিনেমা, সিরিয়াল যা জীবনকে প্রভাবিত করে তার মাধ্যমেই সুস্থ সুন্দর সমাজের মেসেজটুকু পৌছে দিতে হবে জনে জনে।
তবেই বোধকরি আর এইরকম খবর খুঁজতে যাদুঘরে যাওয়া লাগবে। এখনকার গা সয়ে যাওয়া স্রেফ একটা খবর হয়ে থাকবে না। আতকে উঠবে অস্তিত্ব। মুছে যাবে মা নামের উপর লেপ্টে যাওয়া কলংকের দাগ। মা চিরকালের শুভ্র, মমতাময়ী, জীবন দায়িনী চিরকালীন মা রুপেই বিরাজ করবে।
মায়ের কাছে সন্তান নিশ্চিন্তে ঘূমাতে যাবে। আঁচলের ঘ্রানে ঘুমিয়ে পড়বে নির্ভরতায়।
@ এক নিরুদ্দেশ পথিক ভাইর মন্তব্য থেকে
----দেখুন, সমাজ খুব কঠিন একটা ক্রান্তিকাল পার করছে। এ ব্যাপারে কিছু গুছিয়ে লিখাও খুব দুঃসাধ্য!
১। সর্বস্তরে রাজনৈতিক বিভক্তি মানুষের চিন্তা এবং কর্ম নিয়ন্ত্রণ করছে।
২। সামাজিক বন্ধন শিথিল, খুব বেশি অপরাধ প্রবণ সমাজে নাগরিক নিরাপত্তা আতংকের হয়ে উঠেছে। একে অন্যকে কথায়, কাজে, শক্তিতে, যুক্তিতে, বুদ্ধিতে, সম্পদে টেক্কা দেয়ার এবং ঘায়েল করার এক দুর্দমনীয় প্রতিযোগিতা দৃশ্যমান।
৩। পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে, বর্ধিত পারিবারিক ঐতিয্য লোপ পাচ্ছে। পারিবারিক মূল্যবোধ গড়ছে না।
৪। পশ্চাত্যের ইন্সটিতুশনাল সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার যা কিছু ভালো তা নিয়ে না ভেবে একচেটিয়া শুধু মিডিয়া, ফ্যাশন আর ট্রেন্ডি বিষয় গুলোকে সমাজ নির্বিচারে মেনে নিচ্ছে।পাশাপাশি ২টি জেনারেশনের চিন্তার ব্যবধানের ব্যাপকতা সমাজকে অস্থির করে তুলছে।
৫। রিলিজয়াস রিচূয়াল নির্ভর কিন্তু রিলিজিয়াস এথিকস এবং ভ্যালূ এর কথা বলা হচ্ছেই কম, পালন তো নেই ই।
৬। জীবনের লক্ষ্য কি সেটা মানুষ জানে না, কিন্তু উপলক্ষ গুলো লৌকিকতায় এবং শো-বিজনেস হিসেবে আবির্ভুত হচ্ছে। অর্থাৎ জীবন পথের পথিক তার গন্তব্য হারিয়ে শুধু গন্তব্যে যাবার চাকচিক্যময় লোকদেখানো ট্রান্সপোর্ট নিয়ে ভাবছে।
৭। নাগরিক জীবনের প্রতিপদে কষ্ট, সংগ্রাম, ভয়। লক্ষ্যে (নৈতিক কিংবা অনৈতিক) যা যেতে পারার মনোকষ্ট! কিংবা অন্যের সাথে তাল মিলাতে না পারার হতাশা।
৮। ব্যক্তির নিজের সকল অপ্রাপ্তির দায় সন্তানের উপর আছড়ে পড়া।
৯। চরম প্রতিযোগিতা পুর্ন চাকরি, ব্যবসা এবং শিক্ষার পরিবেশ ব্যক্তি নাগরিককে শুধুই হতাশ করছে প্রতিদিন।
১০। ব্যবসা প্রফিট ম্যাক্সিমাইজেশন নির্ভর বলে, ব্যবসায় সততার নিশানাও উঠে যাওয়া।
সব মিলিয়ে এক চরম ক্রান্তিকালে সমাজ ব্যবস্থা বিবর্তিত হচ্ছে, এতে করে কিছু মানুষের ব্যক্তি মানস এক ভয়ংকর রূপান্তর প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে। এরই ফল স্বরূপ এই রকম কিছু হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটছে।
প্রতিকার কিসে? আমার মনে হয় মুক্তিতে-
ক। আধ্যাত্মিক মুক্তি ( মানুষ ভুলে গেছে, তাঁর স্রষ্টার সন্তুষ্টিই তাঁর পরম সাফল্য!)
খ। রাষ্ট্র কর্তিক নাগরিকের জন্য অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তার মুক্তি পথ দেখানো, যাতে মানুষ নিরাপদ জীবনের আশা পায়।
আমার মনে হয়, এই সময়ে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ব্যক্তি নাগরিকের খুব কাছাকাছি আসা দরকার। আক্রান্ত মানুষের খোঁজ নিয়ে তাঁদের কাউন্সিলিং করা দরকার, পরম মমতার সাথে। ব্যক্তির জীবনে সুখ না থাকলে সমাজ এবং রাষ্ট্রের খোলস তো শুধুই মেকি!সমাজের ক্রান্তিকাল
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই অসাধারনটা যদি লিখতে না হতো.. অসাধারন এক সমাজ পেতাম হয়তো..
ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৬
তার আর পর নেই… বলেছেন: এরকম যারা করতে পারে তারা নিশ্চয়ই মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এতেতো কোন সন্দেহ নেই।
বোন সুস্থ মা কোনদিন সন্তানের গায় আঁচড়টি পর্যন্ত লাগতে দেন না!!!
এই মানসিক বৈকল্যের কারণ খুঁজে বের করতে হবে। দূর করতে হবে শেকড় থেকে!
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৪
দ্যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: স্কুলে পড়ার সময় সেন্টেন্স পরিবর্তন/নেটেটিভ থেকে পজেটিভ বা পজেটিভ থেকে নেগেটিভ করা পড়তাম- 'Every mother loves her child'
পোস্টের বিষয়ে শুধু এইটুকুই বলবো, উক্ত কথাটার এখন আর কোন গুরুত্ব নেই!
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেই চিরন্তনী কথাটাই সত্য হয়ে থাকুক। 'Every mother loves her child'
ফিরিয়ে দাও সেই মাতৃত্ব- সেই মমতাময়ী রুপ! কোলের শিশু যেন আতকে না ওঠে বা কিছূ বোঝার আগেই যেন ঘুমিয়ে না পড়ে চিরঘুমে!!
৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১০
কল্লোল পথিক বলেছেন:
খুব সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরেছেন।
নান্দনিক উপস্থাপন।
অনেক ধন্যবাদ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিষয়টা লক্ষ্য করুন... আক্ষরিকই বলছি.. শুধু লিংকেই প্রায় ৭-৮ পাতা হয়ে গেছে যখন এই বিষয়ক নিউজ সার্চ দিলাম!
কি ভয়ানক ভাবুন একবার!
ধন্যবাদ সাথে থাকায়...
৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৩
উল্টা দূরবীন বলেছেন: এরকম ঘটনা এখন বেশ অহরহই ঘটে যাচ্ছে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এবং আতংকজনক ভাবে বেড়ে চলছে।
কি ভয়ংকর ! দৃশ্যটা ভাবলেওতো শিউরে উঠতে হয়।
৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৪
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: মায়ের কাছে সন্তান নিশ্চিন্তে ঘূমাতে যাবে। আঁচলের ঘ্রানে ঘুমিয়ে পড়বে নির্ভরতায়।
এক জন মহৎ হৃদয়ের মানুষের অসামান্য লেখা পড়লাম এই মুহূর্তে ।
সামাজিক অবক্ষয় রোধে ও মানবিকতা বিকাশে , ধর্মীয় জীবন ব্যবস্থা এই সমস্যা থেকে বাচিয়ে রাখতে পারে এটা আমার নিজস্ব অভিমত ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বুবু এ আপনার বাড়িয়ে বলা। খূবই সাধারণ একজন মানুষ যে মানুষ হবার চেষ্টায় আছি।
ঘটনাটা খূব পীড়া দিচ্ছিল..
এইরকম খবর প্রতিদিনের গা সহা হয়ে যাচ্ছে যেন! আমরা কি নির্লিপ্ত হয়ে যাচ্ছি! পাশের ফ্লাটে মরে পঁচে গন্ধ না বের হওয়া পয়ন্ত জানতেই পারছিনা।
ব্যক্তিকেন্দ্রীকতা যেন সামষ্টিক বোধকে গিলে খেয়েছে ভূপেনের গানের মতো-
আপনার মতামতটাও একটা ভাইটাল পয়েন্ট। সামগ্রিক সকল উদ্যোগই আমাদের বাঁচাতে পারে এই ভয়ানক ব্যধি থেকে।
৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৩
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। খুবই সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খুবই কষ্টকর এক বাস্তবতা!
আপনি যদি নিউজ গুরৌ একসাথৈ করে পড়েন.. ছবি গুলো দেখেন- মনে হয় কোন সুস্থ মানুষ সুস্থ থাকতে পারবে না।
এই ভয়ানক পতন থেকে উদ্ধারের পথটা বের করা এ সময়ে বেশি জরুরী।
ধন্যবাদ মিজানুর রহমান ভাই..
৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৬
জোবায়ের হোসাইন জামীল বলেছেন: হায় পৃথিবীটা কি হয়ে গেল!
মায়ের কাছে থাকে সন্তানের সকল চাওয়া পাওয়া মায়ের আচলে পায় অসাধারণ তৃপ্তি সেই মাই আজ হয়ে যাচ্ছে তার সব চেয়ে বড় শত্রু |ইয়া আল্লাহ তুমি আমাদেরকে মাফ কর
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যটাই বলেছেন।...
এক ভয়ানক দু:সময়ে আমরা।
বস্তুবাদ, ভোগবাদ, পূজিবাদ.. মুক্তবাজার অর্থনীতির দমকা হাওয়া.. হঠাৎ বুর্জোয়া শ্রেণীর আবির্ভাব.. ধনকুবের হয়ে যাওয়া মুষ্ঠিম মন্দলোক.. ব্যাপক সামাজিক অর্থনৈতিক অসাম্য..যেন চক্রবুহ্যের মতো গ্রাস করে ফেলেছে...
৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৯
মুদ্দাকির বলেছেন: অসহ্য রকমের অসামাজিক এক অসুখ সামাজিক সুখের টানে। কঞ্জিউমারিজম বাদ দাও অন্যের কথা ভাব আর নিজে সুখি থাক। মাটির দিকে তাকাও কারন আকাশের সীমা তুমি জাননা।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসহ্য রকমের অসামাজিক এক অসুখ সামাজিক সুখের টানে।
এটাই গিলে খাচ্ছে আজন্ম লালিত মাতৃত্বের গুনকেও... কি ভয়ানক!!!!!!!!!!!
১০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৬
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: যত কিছুই হোক, যত সমস্যাই থাকুক, একজন সুস্থ্য মনের মা বাবা কখনোই সন্তান খুন করতে পারেনা।
যারা এসব করে তারা মানসিক ভাবে অসুস্থ্য।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবশ্যই এবং ভ্যাপক ভাবে। তারচে বড় কথা তারা সেটা জানেও না। মানেও না।
ঝড়টা যাচ্ছে অবোধ শিশুদের উপর দিয়ে....
১১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৭
মহা সমন্বয় বলেছেন: যদিও এর মূলে রয়েছে মানসিক সমস্যা আর এই সমস্যার উৎপত্তি হয় বিভিন্ন কারণে।
তারপরেও আমি বলব আমরা মানব জাতিই আসলে খারাপ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মন্দ বলন নি.. তবে সবাই নয়; কেউ কেউ....
১২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৮
মোঃ তালেব বলেছেন: অসাধারন লেখা
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যদি সচেতনতা আসে। যদি বন্ধ হয় সন্তান হত্যা। মায়ের মমতাময়ী রুপটি ফিরে আসে..
তখনি হবে তা অসাধারন..
ধন্য বাদ অনেক অনেক..........
১৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫১
নতুন বলেছেন: দুনিয়াতে নিজের সন্তানের জন্য মা জীবন দিয়েছে এমন নজিরই বেশি.... সেটাই এতো দিন জানতাম...
কিন্তু এখন যেইভাবে সন্তানহত্যা শুরু হয়েছে তাতে সেই পরিসংখান পাল্টে যাবে....
আমার মেয়ের বয়স ১০ মাস.... আমি এবং আমার স্ত্রী মেয়ের জন্য সব কিছুই করতে পারি...মেয়ের বিপদে তাকে রক্ষার জন্য যা সম্ভব সেটাই করবো নিজের জীবনের চিন্তা তখন আগে মাথায় আসবেনা....
এই ঘটনা পড়ে কোন কিছু ভেবে পাইনা.... কিভাবে মা সুস্হ মাথায় নিজের দুই সন্তানকে হত্যা করতে পারে... এটা অসম্ভব..
এই ঘটনায় অন্যকিছু থাকতে পারে...শুধুই প্রতিযোগিতা বা এই রকমের কিছু ছাড়াও পরকিয়া বা অন্যকিছু এর কারন হতে পারে...
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
নতুন ভাই সেটা শুরুতেই আছে- !! কেবলই উদগ্র যৌকামনাই????
নিজের এত প্রিয় অস্তিত্বকে নিজ হাতে মারা কি চাট্টিখানি কথা! মূখের দিকে তাকালেইতো পাষন্ডতম মারও গলে যাবার কথা! অথচ কি ঠান্ডা মাথায় এক নয় একাধীক সন্তানকে হত্যা করছে। আবার হত্যাই নয় হত্যা পরবর্তী মিথ্যা গল্প গুছীয়ে বলছে!!!
ভাবাই যায় না!!
কারণ উদঘাটিত হোক। এর সমাধান কোন পথে তা অনুসন্ধান করা হোক। বিষয়টি উদ্বগজনত পর্যায়ে চলে এসেছে! নয় কি?
১৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৪
অভিমান ইগো এবং ভালোবাসা বলেছেন: ঘটনাটি কষ্টদায়ক। কিন্তু এমন ঘটনা আজই প্রথম নয়।
মা পৃথিবীর সবচাইতে নিরাপদ ভালোবাসার স্থান বটে তবুও মা মানুষটি তার মানবীয় কিছু দোষগুনের উর্ধে নয়। মা সকল জনমত নির্বিশেষে সে একটি পশু মা হতে শুরু করে মানব সন্তানের মা যেই হোন না কেনো সন্তান তার কাছে সব কিছুর উর্ধে।
তবে এই মাও একজন মানুষ। মানষিক অসুস্থ্যতা বা সামাজিক পারিবারিক নানা প্রকার বৈকল্য তারও আসতে পারে। আমি নিশ্চিৎ এই মা মানষিকভাবে অসুস্থ্যতায় ভুগছেন।
আমাদের পরিবারের মানুষগুলোর নিরাপত্তায় আমাদের সকলকেই সচেতন হতে হবে। একে অনয়ের মানষিক সাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মাও মানুষ মানি।
কিন্তু মাতৃত্বটাই এমন- যা মানুষকে মহামানুষ বানিয়ে দেয়.. তা যত দরিদ্র বা বড়লোকের ঘরেই হোক।
নিজে না খেয়ে সন্তানের মূখৈ খাবার তুলে দেয় কিন্তু এই মা-ই!
সন্তনরা মায়ের সাথে পাতির সাথে স্বার্তপরের ব্যভহার করে এক বিষয়.. আর নিজের জন্ম দিয়ে সেই সন্তানকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা কি ভয়ানক!
মানসিক স্বাস্থ্যের সাথৈ সাথে সামাজিক যে অস্থিরতা ব্যাপক সামাজিক অবকাঠামোকে বেঙ্গে দিচ্ছি সেদিকেও দ্রুত নচর দেয়া জরুরুী!
যৌথ পরিবার ব্যভস্থা ভেঙ্গে একক ক্ষুদ্র পারিবারিক কাঠামো অনেক ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। অনেক হাজার বছরের লালিত সোকোমার বৃত্তিগুলো বিলীন হয়ে যাচ্ছে। শৈয়ারিং কেয়ারিংের সহজাত চর্চা বদলে গিয়ে স্বার্থপরতা, প্রতিযোগীতার নামে উন্মাদনায় বদলে যাচ্ছে!
এগুলো যেমন একদিনে ঘটছে না- তেমনি একদিনে ফিরবেও না। চাই নিয়মিত ধারাবাহিক আমাদের সুস্থ সুন্দর স্থিতিশীল সামাজিক অবকাঠামো নির্মানের দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা। যৌথ পরিবার ব্যবস্থা, শহর মূখিতা বন্ধ করা, প্রান্তিক পর্যায়ে সুযোগ সুবিধা যদি রাষ্ট্র ব্যবস্থা করতে পারে- কে আসে শহরে? অসুস্থ প্রতিযোগীতা থেকে দূরে রাখা, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রোধ করা! জাতীয় সাংস্কৃতিক সামাজিক নীতিমালা, বাজার অর্থনীতির একটা নিয়ন্ত্রন ধরে রাখা ..
আর কি কি সম্ভাব্য কারণ ও প্রতিকার হতে পারে আপনারাও তুলে ধরুন....
১৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৬
মুহিব মোরসালিন বলেছেন: শঙ্কা, শেষমেশ কি মায়ের ভালবাসাটাও জাদুঘরে কিংবা আর্ট গ্যালারীতে গিয়ে দেখতে হবে!!!
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবস্থাদৃষ্টেতো সেই আশংকাই দৃশ্যমান....
১৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১০
মোঃ আলামিন বলেছেন: সামাজিক ও ধর্মিয় মূল্যবোধের অভাব যখন সবার মাঝে দেখা দিয়েছে তখন এর চেয়ে আর কি আশা করা যায় ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল বলেছেন।
ধার্মীকের ভুলে ধর্মকেই বিসর্জন দিয়ে সমাজে অনেক অসঙ্গতি ব্যাপকতা লাভ করছে।
প্রকৃত ধর্ম বিশারদদের নিরবতাও উদ্বেগজনক।
প্রকৃত জ্ঞানীদের নির্লপ্ততা, উপেক্ষা বা এড়িয়ে যাবার মানসিকতা অবস্থাকে আরও ভয়াবহতার দিকেই ঠেলে দিচ্ছে।
১৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৩
শায়মা বলেছেন: এই মায়ের মত কোনো মা যেন মানষিক অসুস্থ্য না হয়ে পরে সেদিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপু, শুধু এই মা না.. সন্তান হত্যা লিখে গুগল করুন.. মাথা খারাপ হয়ে যাবে!
অল্প কিছু লিংক দিয়েছে। খবর গুলো এড়িয়েই ..পড়তে গেলে কেমন মাথা গুলিয়ে আসে....
এটা এখন সামাজিক ভ্যাধিতে পরিণত হয়েছে।
এ
১৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২১
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: আগে মায়ের উপর থেকে সন্তানের ভালোবাসা উঠে গিয়েছে আর এখন সন্তানের উপর থেকে মায়ের ভালোবাসা উঠে যাচ্ছে। এর জন্য কাকে দায়ী করা যায় প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থাকে নাকি আধুনিকতার নামে নোংরামিকে ?
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এটা কোন একক দোষের ফল নয়। সামগ্রিক অবক্ষয়ের চিত্র।
ভোগ আর তথাকথিত ষ্ট্যটাসের লাগামহীন প্রতিযোগীতা, উন্মুক্ত সংস্কৃতির বিষ ছোবল, ধর্মের অবস্থান ব্যকবেঞ্চে টেলে দেয়া, বিবেক, মূল্যবোধের সুকুমার চর্চাকে নিত্য অবহেলা সব মিলিয়েই এই ভয়াবহ অবস্থা...
আরও বেশি ক্ষতি হবার আগেই একটা সার্বিক গ্রহণযোগ্য সমাধান খোঁজা জরুরী।
১৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৭
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: আমার মোটেও বিশ্বাস হয় না একজন মা এমন করতে পারে।সব সময় যা দেখা আর প্রমান হয় তাও যে সত্য তাও মানিনা। ধামাচাপা আর ক্ষমতা দিয়ে মৃত্যুদায় চাপিয়ে দেয়া কঠিন কিছু না।
আমি বিশ্বাস করি না একজন মা ঠান্ডা মাথায় তার সন্তান খুন করতে পারে। কখনো দেখা যায় অভাবে বা পাগল শ্রেনীর কেউ এই কাজ করেছে।
অসম্ভব এটা।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যত কষ্টই হোক সত্যকে অস্বীকার করলেতো আর সত্য মিথ্যা হয় না।
এর আগে মোহাম্মদপুরে, তারপর খিলগাঁয় একই ঘটনা দেখেছি। পরকীয়ার বুদ নেশায় কিভাবে সন্তাকে হত্যা করে ফ্রিজে রেখে পরে বস্তাবন্দী করে ফেলে দিতে গিয়ে ধরা পড়েছে.. কিংবা জানালা দিয়ে কার্নিশে ফেলে রেখেছে।
তারা সকলেই নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এবং জেল খাটছে!
একটা দুটো কইসে আপনার সন্দেহ মূলক। কিন্তু আমি উল্লেখেও সংক্ষেপ করেছি বিভৎসতায়ই। নিজেই লিংক আর নিউজ গুলো দেখতে দেখতে অসুস্থ বোধ করছিলাম...
আমিও বিশ্বাস করতে চাইনা কোন মা এটা করতে পারে- গোপালগঞ্জের লিংকটা দেখূন-- বাচ্চাটা স্রেফ কাঁদছিল তাই ব।লেড দিয়ে গলা কেটে দেয়!!!!!!!!!!!!!!!
ভাবনা বোধের অনেক বাইরে এইসব ভয়াবহতা।
২০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩
শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই । এটাই বলছিলাম মানষিক ও সামাজিক সমস্যা কাটাতে পরিবারের সবাইকেই সচেতন হতে হবে। সমাজকেও কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। যৌথ পরিবার তথা তোমার বলা নীচের এই কথাগুলিও ভেবে দেখবার মত। জানিনা কারা ভাববে এসব নিয়ে।
যৌথ পরিবার ব্যবস্থা, শহর মূখিতা বন্ধ করা, প্রান্তিক পর্যায়ে সুযোগ সুবিধা যদি রাষ্ট্র ব্যবস্থা করতে পারে- কে আসে শহরে? অসুস্থ প্রতিযোগীতা থেকে দূরে রাখা, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রোধ করা! জাতীয় সাংস্কৃতিক সামাজিক নীতিমালা, বাজার অর্থনীতির একটা নিয়ন্ত্রন ধরে রাখা ..
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
আসলেই কেযে ভাববে সেই লোকটাকেই খুঁজে পাওয়া মুশকিল।দায় এড়াতেই সবাই বড্ড বেশি সিদ্ধহস্ত। অন্যের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে পালীয়ে বেড়ায় সবাই।
যতদিননা পুলিশ অফিসারের মেয়ে ঐশির মতো নিজের ঘাড়ে এসে না পড়ে!
এই ক্ষেত্র আমরা আম জনতা একটা জনমতের জোয়ার দিয়ে চেষ্টা করতে পারি। সচেতনতার নূন্যতম একটা চেষ্টা- জাগানোর.. উদ্যোগ গ্রহনের...
২১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২০
সাহসী সন্তান বলেছেন: আমি সত্যিই এই ধরনের মন মানসিকতার মেয়েদেরকে দেখলে অবাকই হই! নিজ সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে এরা কিভাবে সেই সন্তানকে হত্যা করতে পারে? আর যদি হত্যা করাই তার উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে কষ্ট করে গর্ভধারণ করার দরকারই বা কি?
শত ধিক সেই সমস্থ মায়েদের কে, যারা এমন জঘন্য কার্যকলাপ করে। সেই সাথে সাথে আমাদেরকেও সচেতন থাকতে হবে, যাতে আমাদের আশেপাশে এমন ঘটনা না ঘটতে পারে।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ভাই! শুভ কামনা জানবেন!
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শত ধিক সেই সমস্থ মায়েদের কে, যারা এমন জঘন্য কার্যকলাপ করে। সেই সাথে সাথে আমাদেরকেও সচেতন থাকতে হবে, যাতে আমাদের আশেপাশে এমন ঘটনা না ঘটতে পারে।
ধন্যবাদ সাস ভাই।
২২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩২
ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: এই বিষয়ে একটু আগে একজন আমাকে প্রশ্ন করেছিলো আমি কি ভাবি, কি হতে পারে এই ঘটনার পিছনে,
আমার মাথায় ধরেনা ব্যপারটা, কোনো যুক্তি কারণ এখানে দাড় করাতে পারিনা, যতবার ছেলে মেয়ে দুটোর দিকে তাকাই চোখ বিবেক বুদ্ধি লোপ পায় আমার।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এবং এটা বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়..
বিগত বছরগুলো থেকে ধরে টেনে আসুন.. কেমন স্বাভাবিক খবর হিসাবেই আমরা যেন পড়েই আহা উহু করে ভুলে যাচ্ছি!!!
এবং ঘটনার পর দু-একটা ছাড়া বেশিরভাগই কি নির্লিপ্ত স্বাবাভিক থেকেছে- এটা সবচে বিস্ময়কর!
সাধারন াপরাধীও বিচলিত থাকে.. তারা কি সুন্দর একের পর এক মিথ্যা গল্প দিয়ে বিভ্রন্ত করেছে- যতক্ষনা প্রমাণ সহ আটকা পড়েছে!
কুল মার্ডারারের সব বৈশিষ্টই যেন তাদের মাঝে রয়েছে।
দেরী হবার আগেই সামাজিক রাস্ট্রীয় উদ্যোগ নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে।
২৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪০
সুদীপ্তা মাহজাবীন বলেছেন: ভাবতে পারছিনা কেন এমন হতে পারে ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাবনাকে থমকে দেবার মতোই ঘটনা।
যৌনতা কি এতই উদগ্র করে তুলতে পারে- যে নিজ সন্তানতে হত্যা করা যায়?
অর্থ লোভ?
হিংসা?
প্রতিশোধ স্পৃহা?
আমাদের সামাজিক সংস্কৃতির শূন্যতাও বিশাল দায়ী। ব্যক্তি কেন্দ্রীকতার বিষ ধীরে ধীরে ছেয়ে যাচ্ছে। যৌথ পরিবারে যে শৈয়ারিং কেয়ারিং, শাসন, আদার একটা কম্পপ্লিট সুস্থ মানসিকতা গড়ে তোলে..একক পরিবারে দেখার ধরারও কেউ থাকে না।ফলে গটনা নিভৃতে ঘটে চলেছে। আমাদের টনক নড়ছে অণেক পড়ে!!!
২৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
আমি এদের কথা ভাবি না। কেন ভাববো? আমার চোখের সামনেই তো আছে।
প্রচণ্ড রোদ্দুরে পিঠ পুড়ে তামাটে হয়ে গেলেও যে মা আমাদের বুকের উষ্ণতায় ভালোবাসে তার সাথে এর মিল নেই।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রচণ্ড রোদ্দুরে পিঠ পুড়ে তামাটে হয়ে গেলেও যে মা আমাদের বুকের উষ্ণতায় ভালোবাসে ..
এই মায়েরাই মা। তাদের উপমা বারবরা তুলে ধরতে হবে।
ন্যাকা ণ্যাকা পার্কে বেঞ্চিতে আর লিটনের ফ্রাটের ষংস্কৃতিকে তুলে না ধরে - সমাজ, পরিবার, মা সন্তার, দেশ - দায় কর্তব্য ফুটিয়ে তুলতে হবে সেলুলয়েডে! কনডমের প্যাকেটে লাথি দেয়ার শটে বাহবা পাওয়া গেলেও অন্তরালে ক্ষিয়ে যাওয়া বাস্তবতায় কেঁপে ওঠে সমাজ এউরকম ঘটনা সামনে এলে!
নাট্যকার, নির্মাতা, শর্টিফিল্ম, মুভি সকলের কি একটু সময় হবে দেশ, পরিবার, মা সন্তান, স্নেহ ভালবাসাকে পয়েন্ট করে কাজ করার।! এসবের সামাজিক ব্যক্তিক পারিবারিক প্রভবাের কথাতো আর নতুন করে বলার নয়...
হয়তো একজন মাহফুজা হত্যাকারী হতো না। নিজের সন্তানের মূখ চেঁয়ে কেঁদে উঠতো অন্তর!
২৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২
বিজন রয় বলেছেন: কি আর বলবো বলুন ভাই। আমরা, আমাদের সমাজ যে কোথায় যাচ্ছে তা ভেবে শিউরে উঠছি প্রতিনিয়ত!!
আমরা মানুষরা আসলে ভাল না।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা মানুষ কই?
দু পেয়ে জীব থেকে বহু অনুশীলনের পরই, মানবতাকে ধারন করতে পারলেই না মানুষ বলে দাবী করতে পারবেন/পারব!
এখন কোন শিশু এইসব খবর পড়ে যদি মার কোলে মূখ লুকিয়ে প্রশ্ন করে- মা আমাকে মেরে ফেলবেনাতো!!!
কি উত্তর দেবে সেই মা?????
২৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৪
বিজন রয় বলেছেন: এখন কোন শিশু এইসব খবর পড়ে যদি মার কোলে মূখ লুকিয়ে প্রশ্ন করে- মা আমাকে মেরে ফেলবেনাতো!!!
হা ইশ্বর! এমন কথা শুনতে চাই না।
খুব খারাপ লাগল। চোখে জল এলো!
আমরা কি কিছু করতে পারি না????/
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমি লিখতে গিয়েও একই অবস্থা!
ভয়ে আছি ছেলে মেয়েরা টিভিতে সব খবর দেখছে ..
তার মাকে যদি কিংবা আমাকে বলে বসে- মাথা ঝিমঝিম করে ভাবতেই।
সারা দেশের সব শিশুর সাইকোলজিক্যাল অবস্থাটা কেমন তবে ভাবুন। সবাই হয়তো প্রকাশ করতে পারেনা। কিন্তু আতংকটা যদি ভেতরেও সুপ্ত থেকে যায় তাও কি ভয়াবহ!!!!
সে জন্যেই এ আয়োজন। চলুন ভাবি।
প্রকাশ করুন আপনার মত!
সকলের মত!
একটা পথে বেরিয়ে আসতে পারে। বের করতে হবে।
২৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫২
কাবিল বলেছেন: আমাদের সামাজিক জীবনের এথিকসটা আমাদেরই ঠিক করতে হবে। আমাদের স্বপ্ন, আমাদের সন্তুষ্টির আমাদের দায় সবকিছূর একটা সীমার সামাজিকীকরণ করতে হবে। উদগ্র কামনা, লোভ, প্রতিযোগিতায় না ঠেলে সুস্ঠু সামাজিক বিকাশের রুপরেখা কাগজে পত্রে নয়- জীবেনর বোধে গেথে দিতে হবে। নাটক, সিনেমা, সিরিয়াল যা জীবনকে প্রভাবিত করে তার মাধ্যমেই সুস্থ সুন্দর সমাজের মেসেজটুকু পৌছে দিতে হবে জনে জনে।
একমত
আশা করি এমন লেখা আর কাউকে লিখতে না হয়।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেটাই হোক কাম্য।
অমর অব্যয় অক্ষয় শ্রদ্ধাসনে মা ছিলেন আছেন থাকুন!
এরা যেন হুশ ফিরে পায়- মা মাতৃত্বের সম্মান রাখতে পারেসেই দোয়াই করি।
২৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩
অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: মায়ের তুলনা শুধু মা। মায়ের মত ভালো পৃথিবীতে কেউ বাসতে পারে না!!
এই মহিলা মা না, ডাইনী!! মানসিক ভারসাম্যহীন!
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মা কোনদিন হন্তারক হতে পারে না! এটাই সত্য..
কিসের নেশায় তারা বোধ বুদ্ধি সাধারন বিবেক হারিয়ে ফেলল ভেবে পাই না।
কাল বাসার বেড়ালটা বাইরে গিয়ে পায়ে ব্যাথা পেয়ে এসেছিল। দেখি মা ছেলে মেয়ে সবার মন খারাপ। ছেলটা রাতে জানাল কিভাবে পায়ে ম্যাসেজ থেরাপি দিয়ে তাকে ঠিক করেছে।
আর এরা নিজের সন্তানকে নি নিষ্ঠুরতায় প্রাণ হরণ করে???
সেই মৃত্যু যন্ত্রনা কাতর চেহারাও তাদের বোধকে জাগায় না!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
২৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২১
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ভুলের মাশুল দিচ্ছে জনগন!!
আহারে অবলা শিশু, কি অপরাধ ওর!
ধিক্কার জানাই এই হলুদ অর্থনীতির, এই অসুস্থ বিকারতার!
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
অবোধ শিশুদের জীবন দিয়ে মাশুল দিচ্ছে ভুল রাজনীতির, ভুল অর্থনীতির, ভূল সংস্কৃতির, ভূল জীবন র্দশনের, অসুস্থ বিকারতা।
সমাধানের কোন সাজেশন দিতে পারেন। উত্তরণের পথ..
৩০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সমাধানের পথ সবাই জানি, কিন্তু কেউ মানি না!
উজানতলীর গাঁ যেদিন বাচবে সেদিন এসব হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। গ্রাম বাচলে দেশ বাচবে।
সব সমস্যার সূত্রপাত ওখানেই!
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কর্পোরেট মোহে নগর সভ্যতার! চাকচিক্যই বিভ্রান্ত করে ...
ভেতরের মূল স্রোতকে দেখেও দেখিনা সবাই।
উপেক্ষিত গ্রাম.. গায়ের মানুষ....
মূলজীবন যারা- তাদের নাম হয়ে যায়- গেয়ো!!!!!!!!!!!!
৩১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯
তাসলিমা আক্তার বলেছেন: অন্যায় যা তা সবার জন্যই অন্যায়। এরকম ঘটনা কাম্য নয় আর না ঘটুক।
আলোচ্য বিষয়টার কারন নিয়ে বিভীন্ন রকম বক্তব্য দেখা যাচ্ছে বিভীন্ন পত্র পত্রিকায়। যা হোক, ঘটনার নেপথ্য কারনগুলোকেও আমাদের চিহ্নিত করতে হবে যাতে এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। ঘটনাটার পিছেও ঘটনা আছে-সেখানে দৃস্টি দেয়া জরুরী।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সকল বিভিন্নতার পর সকল ঘটনায় একটা সত্যি মায়ের পরিচয় ধারীর হাতেই নিহত হচ্ছে আদরের ধন। স্পেসিফিক এটকা ঘটনার ভিন্নতা সমস্যাটাকে লঘু করে না।
হয়তো ফাঁসিয়ে দেবার ঘটনাও যে থাকেনা তা নয়।
ঘটনার পিছনের ঘটনা বেশী জরুরী। কেন এমন হচ্ছে? কেন নির্ভরতার সবচে নিরাপদ বিশ্বস্ত স্থানটা নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে???
ধন্যবাদ
৩২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭
প্রামানিক বলেছেন: সুস্থ্য মস্তিষ্কের মা কোন দিন এরকম ঘটনা ঘটাতে পারে না, বিকৃত মনা মায়ের দ্বারা সম্ভব।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শতভাগ সত্য!
মমতাময়ী মা কোনদিন পারেনা ! কিন্তু সেই সত্য যে শত শত ঘটনায় মিথ্যা হয়ে যাচ্ছে! হন্তারক কারো মা নয়। সে কেবলই খুনি। মায়ের পবিত্র নামটা তার জন্যে কোনদিনই নয়। সে কেবলই জন্ম দিয়েছে মা হতে পারে নি।
৩৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯
দীপংকর চন্দ বলেছেন: এই অসাধারনটা যদি লিখতে না হতো.. অসাধারন এক সমাজ পেতাম হয়তো..
শ্রদ্ধা অনেক বক্তব্যে।
মা মা-ই আছে। মা মা-ই থাকবে।
আমাদের অসুস্থ মানসিকতাই মূলত দায়ী এধরনের ঘটনাবলীর জন্য।
আমরা কেন যেন ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তি অথবা ব্যক্তিবর্গের উপরিতলিক বিচারেই সন্তুষ্ট থাকি কেবল। ঘটনাগুলোর অন্তরালে ক্রিয়াশীল মনস্তাত্ত্বিক, আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক অসংগতিগুলো বিবেচনায় আনি না মোটেই। সমস্যার মূলোৎপাটন না করতে পারলে বিষবৃক্ষ বৃদ্ধি সম্ভবত রোধ করা যাবে না কখনওই।
পরিস্থিতি যা-ই হোক, কামনা করি, মঙ্গল হোক মানুষের। ভালো থাকুক সবাই।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাাদ দীপংকর দা'।
ভাল বলেছেন
আমরা কেন যেন ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তি অথবা ব্যক্তিবর্গের উপরিতলিক বিচারেই সন্তুষ্ট থাকি কেবল। ঘটনাগুলোর অন্তরালে ক্রিয়াশীল মনস্তাত্ত্বিক, আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক অসংগতিগুলো বিবেচনায় আনি না মোটেই। সমস্যার মূলোৎপাটন না করতে পারলে বিষবৃক্ষ বৃদ্ধি সম্ভবত রোধ করা যাবে না কখনওই।
সেই আহবানই জানিয়েছি এই কষ্ট লিখনিতে।
৩৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আমাদের সমাজ বিজ্ঞানীরা কি ভাবছেন? সমাজকল্যান মন্ত্রনালয় কি চোখ মেলে দেখে বুঝতে পারছে- এই অধোগতি কত গভীর ক্ষত হয়ে উঠেছে সমাজের জন্য? তথ্য, সংস্কৃতি, অন্যান্য প্রযোজ্য মন্ত্রনালয় সমূহ!! সুশীল সমাজ!! নীতি নির্ধারণী ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান সমূহ!!!
আমাদের প্রিন্ট আর অনলাইন মিডিয়ার দায়িত্ব কি কেবলই খবর প্রচার করেই শেষ?
মা নামে কলন্ক
নারী না সে ডাইনী;
গালি দিয়ে সব শেষ
মূলে কভু যাইনি।
কারো কোনো দায় নেই
ভারী মজা....ব্রেকিং নিউজ;
সমাজ গেলো,কি বা তাতে
টিআরপি মেলে হিউজ!!!
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
আহা কিয়ে কষ্ট
ভেবে ফাটে কলিজা
কেমনে কাতরে
চেয়েছিল আত্মজা!
তবুও হয়নি দয়া
থামেনি পাষান হাত
নিজ হাতে কেমনে
করেছে প্রাণপাত??
নিজে পাতকিনী হায়
নিজেতো ডুবলি
মা' জাতিরেটারে কেন
সাথে জড়ালি!
তোরা কভু মা নস
কেবলই জন্ম সারা
মা কভু পারেনাকো
করতে প্রাণহারা।।
ধন্যবাদ ভ্রাতা। কিূছ একটা ভাবুন। এভাবে বসে বসে অন্তহীন শিশু সন্তানদের হত্যা হতে চেয়ে চেয় দেখলে নিজের কাছেই কেমন লাগে না...মিনিমাম কিছুতো একটা.. নিষ্পাপ মূখগুলোর জন্য...
৩৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: তোরা কভু মা নস
কেবলই জন্ম সারা
মা কভু পারেনাকো
করতে প্রাণহারা।।
মা-তো হয়নি বেটি
পেটে ধরে করে সেক্স;
সমাধান কি দেব বাপু
বসাও সেক্সে ট্যাক্স।
আরো করো বেশি বেশি
বিউটির কনটেস্ট;
সংস্কৃতি নামে আজ
চলছে নগ্ন ফেস্ট।
রসুলেরে দ্যাও গালি
হবে যে মুক্তমনা;
মেলে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
ট্রফি ক্রেষ্ট আলোচনা।
ধর্মের কথা কও
খাবে গালি রাজাকার;
ঘুন ধরে যায় পঁচে
কি বা এসে গেলো কার।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধর্মকে করলো বদনাম
বক ধার্মিকে
সেই সুযোগে ছুরি চালায়
ছুপা নাস্তিকে!
ধার্মিকের দোষে হয়
ধর্মের বদনাম
ধর্মকেই বাদ দিয়ে
সাজে ওরা মর্ডার্ন!
নীতি কথা তোতা মতো
কতইনা বলে যায়
কাজের সময় দেখো
উল্টা পথে সবে ধায়;
ভোগ আর বিলাসের
অপ সংস্কৃতি
গিলে খায় বাংলার
যত সু-কৃতি;
ফিরে আসো সঠিক পথে
যত মা বোন বাংলার
লেজকাটা শেয়ালে ফাদে
লেজ কেটোনা তোমার।।
৩৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৯
আশাহত ছেলে বলেছেন: কি বলব ,শুধু এই টুকু বলি -আমি কখনও বিশ্বাস করতে পারব না ,কোন মা তার সন্তানকে হত্যা করতে পারে............................
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এটা সত্যি । কিন্তু ঘটনা যা ঘটছে সেটাও সত্যি।
ভয়ানক যে ঘটনা একের পর এক ঘটে চলছে তাই ভাববার বিষয়। সামাজিক সুস্থতা বড় বেশী প্রয়োজন।
৩৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৫
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আমরা চোখে যা দেখি তাই বিশ্বাস করি । আমাদের চোখের আড়ালে অনেক সময়ই গভীর সত্যটি লুকিয়ে থাকে , যেটা আমরা দেখিনা অথবা কোন কোন সময় দেখার প্রয়োজন বোধ করি না । আমরা সহজ সমাধান খুঁজি । আপনি মায়ের যে বর্ণনা দিয়েছেন , মায়ের রূপ তো ওটাই , পরম নিরাপদ একটি জায়গা সন্তানের জন্য । তবে মা কেন সন্তানকে নৃশংস ভাবে হত্যা করবে , এর নেপথ্যে কি কারন রয়েছে ? আমরা কি আসলে জানতে চাই ? এটা কি শুধুই নাটক , সিনেমা অথবা পরকিয়া প্রেমের কারনে হয় ? পরকিয়া প্রেমটাই বা কেন হয় ? আমরা কি জানতে চাই এসব ? নাকি সহজ সমাধান খুঁজে একটা কিছুর উপর দোষারোপ করে ক্ষান্ত হয়ে পরি ?
অনবরত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে করতে মানুষ মানসিক চাপের সমুদ্রে ডুবে যায় , তখন মানুষ আর মানুষ থাকে না । এ বড় জটিল সমস্যা এবং বিষদ আলোচনার বিষয় । ঐ বিধ্বস্ত মা অথবা খুনি মানবীটির মানসিক অবস্থার কোন সুস্পষ্ট ধারনা এখনও পাওয়া যায়নি । আমি খুনি মা বলিনি কারণ মা কক্ষনো খুনি হয় না । মায়ের শরীর থেকে যখন মা নামন সত্তাটি ছিটকে পড়ে , তখনি সে এই কাজ করতে পারে । এখন এই মা সত্তাটি কিভাবে ছিটকে পড়লো , তার কারণ আর সমাধান খোঁজাটাই মনে হয় উত্তম ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ গুলশান কিবরিয়া।
খুব বিস্তারিত মন্তব্যে বিশদ বিষয়গুলো তুলে এনেছেন। মূলত এ কারণেই বিষয়টির অবতারণা। ভিন্ন ভিন্ন ভাবনা দৃষ্টিকোন থেকে বিভিন্ন মত উঠে আসবে। এর মধ্য থেকে উঠে আসবে প্রকৃত সত্য।
এবং এটা শুধু একটা কেস নয়- এভারেজ এইরকম যা ঘটছে সকল ঘটনাগুলেকেই মূল্যায়ন করে প্রকৃত সত্য নির্ধারণের ক্ষুদ্র চেষ্টা।
সাথে থাকায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
৩৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৫
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ধর্মকে করলো বদনাম
বক ধার্মিকে
সেই সুযোগে ছুরি চালায়
ছুপা নাস্তিকে!
আজ তারা ছুপা নয়
চলে বুক ফুলিয়ে;
শত্রু কে মিত্র কে
ফেলি মোরা গুলিয়ে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাদের ফেলে ভায়া
বলো কিসে সমাধান
এভাবে আর কত
খুন হবে সন্তান?
কোন পথে গেলে পরে
পাব সবে মুক্তি
সমাজের সকলের
হবে দায় মুক্তি।
৩৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৫
লীলা চক্রব্ত্তী বলেছেন: লেখকের একটি উক্তি, "এই অসাধারণটা যদি লিখতে না হোত, তাহলে না জানি আরো কত অসাধারন লিখতে পারতাম" অতিব সত্য কিন্তু আমদের দূর্ভাগ্য যে, এখনো আমাদের এসব দেখতে হয়, শুনতে হয়। শুভেচ্ছা রইল।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ লিলা দিদি
সমাজ মুক্তি পাক সকল অনাচার থেকে।
৪০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১০
মুসাফির নামা বলেছেন: আমাদের সামাজিক জীবনের এথিকসটা আমাদেরই ঠিক করতে হবে। আমাদের স্বপ্ন, আমাদের সন্তুষ্টির আমাদের দায় সবকিছূর একটা সীমার সামাজিকীকরণ করতে হবে। উদগ্র কামনা, লোভ, প্রতিযোগিতায় না ঠেলে সুস্ঠু সামাজিক বিকাশের রুপরেখা কাগজে পত্রে নয়- জীবেনর বোধে গেথে দিতে হবে। নাটক, সিনেমা, সিরিয়াল যা জীবনকে প্রভাবিত করে তার মাধ্যমেই সুস্থ সুন্দর সমাজের মেসেজটুকু পৌছে দিতে হবে জনে জনে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৭
সায়েম মুন বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
আমাদের বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতি বেশ অস্থিতিশীল। ভঙ্গুর এক সামাজিক কাঠামো বিরাজমান চারিদিকে। সবক্ষেত্রে প্রতিযোগীতা, অবৈধ যৌনাচার, দাঙ্গাহাঙ্গামা, মৌলবোধের অবাধ।
এমন যেন আর কোন মায়ের সন্তানের কপালে না ঘটে---সেই প্রার্থনাই করি। সেই রকম সমাজ গড়ি।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এমন যেন আর কোন মায়ের সন্তানের কপালে না ঘটে---সেই প্রার্থনাই করি। সেই রকম সমাজ গড়ি।
সঠিক বলেছেন সায়েম মুন। ধন্যবাদ।
৪২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৮
সায়েম মুন বলেছেন: *মূল্যবোধের অভাব
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জ্বি - টাইপো বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ আবারো
৪৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫০
আরজু পনি বলেছেন:
আমি শুধু ভাবছি পেছনের কারণ কী হতে পারে...
কেন একজন মা তার পরম মমতার ধনকে এমন নির্দয়ভাবে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিবেন ...
এর পেছনের কথা জানতে মন চাইছে!
কিন্তু আফসোস...তা হয়তো অজানাই থেকে যাবে ।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই জানাটা হয়তো ব্যক্তি বিশেষে বিভিন্ন হতে পারে।
কিন্তু মূল ভয়টা- মাতৃত্বের স্থানের পতন! কোন কারণেই যা ঘটা উচিত নয়। যত পেরেশানি, যত টানাপোড়েন, যতই অজুহাত থাকুকনা কেন.. কোন অজুহাতই মাতৃত্বের স্থানকে খুনির স্থান দিয়ে বদলাবার জন্য যথেষ্ট নয়। হওয়া উচিত নয়।
এ পর্যন্ত যে কটা আলোচিত শিশু হত্যার কেস আলোচনায় শেষে- কোর্টে উঠেছে বা আদালত শাস্তি দিয়েছে বেশির ভাগে একটা ইস্যু সবার সামনে এসেছে- পরকীয়া!
অন্য গুলোতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণ সামনে এসেছে।
কোনটাই গ্রহনযোগ্য নয়। কোনভাবেই নয়। সে জন্যএি জানা চেষ্টা। জানলে সমাধানের সামাজিক পারিবারিক ব্যক্তিক প্রযোজ্য ক্ষেত্র প্রয়োজণীয় উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। যাতে ভবিষ্যতে আর কোন শিশু অনিশ্চয়তা বুকে নিয়ে মাকে স্মরণ না করে।
৪৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২২
বন্যলোচন বলেছেন: দেশের ছ'কোটি মায়ের মাঝে ছ'শ সাইকো থাকা পরিসংখ্যানগত বাস্তবতা। ঘেন্না করা চলে, ভিরমি খেয়ে আঁতকে ওঠা চলে না। এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিচ্ছিন্ন ঘটনা!!!!!!!!!!
ক্রমাগত ঘটে চলেছে। একের পর এক শিশু এক বা একাধিক বলি হয়ে চলেছে- আপনি বলছেন বিচ্ছিন্ন ঘটনা। !!!!
বিস্মিত!!
আমি শুরুতেই বলেছি মাত্র এক দুই বছরের যে নিউজ লিংক সংগ্রহ করেচি তা ৭-৮ পাতার উপর হয়ে গিয়েছিল। পোষ্টে স্থানের কথা ভেবে সকল লিংক যুক্ত করিনি। যে ক'টাই আছে আপনি কি চোখ বুলিয়েছেন?
আদাবরে মা পা চেপে ধরল পরকীয়া প্রমিক বারীম চাপা দিয়ে হথ্যা করল, এর কদিন পরেই খিলগায়ে একই ঘটনা -মেরে জানালার কার্নিশে লাশ রেখে তারা দিব্য চলছিল.. এখানেও বেশ কটিউ পরকীয়া জনিত কারণে সন্তান হত্যা!!!
এটা বিচ্ছিন্ন নয় ভ্রাতা। সামাজিক ধারাবাহিক অবক্ষয়ের এক ভয়ংকর সত্য ধীরে ধীরে সামনে আসছে। ডাষ্টবিনে শিশুর লাশতো যেন নিত্যদিনের খবর!
এর পরও বলেন আঁতকে ওঠার মতো নয়?
অবাক করলেন বটে!!!!!!!!!
৪৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
একটা সময় মানুষ মেয়ে হলে জীবিত কবর দিয়ে দিত। বর্তমানের এমন বর্বরতা আমাদের সেই আদিম যুগের কথাই মনে করিয়ে দেয়।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাইতো মনে হচ্ছে!
আবার আমরা আইয়্যামে জাহেলি বা বর্বর যুগেই যেন ফিরে যাচ্ছি!!
নীততো বনবাসে! দূর্নিতিতে চ্যাম্পিয়ানশিপও বারবার ..এখন এই অবক্ষয়ের বিভৎস রুপটা সামনে আসছে শিশুকে চারতলা থকেে ছুড়ে ফেলে দেয়ার মধ্য দিয়ে, ডাষ্টবিনে মানব শিশুকে নিয়ে কুকুরের কাড়াকাড়ির বাস্তবতায়.. কিংবা আপন ঘরে আপনা জন্মদাত্রীর হাতে জীবন দিয়ে...
খুবই আতংকজনক সামাজিক অবস্থায় জীবন যাপন করছি!!! এর সমাধান দরকার। আরও বেশি ক্ষতি হবার আগেই।
৪৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:২৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যত আর যাই কারন থাকুক না কেন শিশুহত্যার হার কিন্তু বেড়ে গেছে।। আমাদের সমাজের জিঘাংসার এইরূপটা কিন্তু ভয়াবহ।। নিঃষ্পাপ শিশুরাই প্রতিশোধের শিকার।। আজকের শিশু গামর নেতা, তাহলে কি আমরা নেতৃত্বশুন্য হবার পথেই এগুচ্ছি??
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আজকের শিশু আগাশীর নেতা... তাহলে কি আমরা নেতৃত্বশূন্যতার পথেই এগুচ্ছি....ভাল ভেবেছেন।
আর নিরাপদ শংকা মুক্ত নিশ্চিন্ত শেশব না পেলে একজন সু-নাগরিক হবে কিভাবে???
৪৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬
সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
ব্যাপারটার ভয়াবহতা নিয়ে যত আলোচনাই হোক, তা কখনই যথেষ্ট নয় এমনকি তা কোন সান্তনাও দিতে পারেনা। কিন্তু কি এর কারণ? চরম বস্তুতান্ত্রিক ভোগবাদ? 3G চাই, 5G চাই, 4K tv চাই, আরও বেশি ব্যান্ড উইডথ্ চাই, আরও পরিস্কার হাই ফিডেলিটি চাই,
চাই, চাই, চাই.....
চাই তে চাই তে, কখন যে মানবতাকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছি, তাই টের পাইনি......
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এদিকে বিষয়টা যেমন এই চূড়ান্ত স্তরে পৌছে গেছে অন্যদিকে একই সাথে পারিবারিক বন্ধন, ধর্মীয় চর্চা, বিশ্বাস, সামাজিক মৌলিক মূল্যবোধ সব পড়ে গেছে ব্যাক বেঞ্চে!
সাংস্কৃতিক মুক্ত আকাশ হাজার বছরের লালিত বোধকে তাসের ঘরের মতো উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
মিথ্যা বলা মহাপাপ থেকে মিথ্যা কালচারে পরিণত হয়েছে। এভাবেই অবক্ষয়ের বিশাল ধ্বস তিলে তিলে ভিতকে সরিয়ে দিচ্ছে..
ফিরতে হবে। আজ আমেরিকা শতবছরের ভোগের পর যেমন আপ্রাণ চেষ্টা করছে পারিবার প্রথাকে ফিরিয়ে আনতে- আমরা যেন সব হারিয়ে সেই পথেই না হাটি! সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
৪৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩২
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: র্যাবের সংবাদ সম্মেলন শুনে মনে হয়েছিলো ব্যাটারা শিওর কেস ফাইনাল করার জন্য গল্প বানাইছে। কিন্তু যখন ভাবলাম আমার জীবনে এরকম পরিস্থিতি হয়েছে তখন মনে হয় কোনো কিছুই আর অসম্ভব না। মানুষ যখন নীচে নামে তখন সে পশুর চেয়েও খারাপ কিছু হয়ে যায়। খুব সম্ভবত স্বয়ং ইবলিশও এতো দূর চিন্তা করে নি!
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক সয়ম সাজানো কিছূ থাকলে - আপনার বাক্যেই আবার থেমে যেতে হয়।
এটাই সত্য মানুষ যখন নীচে নামে তখন সে পশুর চেয়েও খারাপ কিছু হয়ে যায়। খুব সম্ভবত স্বয়ং ইবলিশও এতো দূর চিন্তা করে নি!
ধন্যবাদ ভ্রাতা
৪৯| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৮
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে দারুন লেখা।
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ ....
৫০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৬
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বিপরীত ঘটনাগুলো পৃথিবী ধ্বংসের জানান দেয় । মানুষ ক্রমশ শিক্ষিত হচ্ছে কিন্তু বিবেকচ্যুত হচ্ছে । আগে কেউ ভুল করলে বলতাম, সে গণ্ডমূর্খ । কিন্তু আজ তো এসব করছে বেশি শিক্ষিত সমাজ ! ভীটে মাটিহীন পরিবারগুলোও রাস্তার ধারে তাবু টানিয়ে পরম মমতায় সন্তান লালন পালন করছে, তাদের তো এমন আকাঙ্ক্ষা দেখা যায় না । সন্তান লালন পাআলনে তাঁদের সেই অনুপ্রেরণাদায়ক উক্তিটাই খুব বাস্তব, '' আল্লায় দিসে আল্লায় চালাইবো'।
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম!
পুরাই উল্টে গেছে সব। মায়া মমতা সব গলীবের কাছেই মেলে!
তথাকথিত শিক্ষা আর উন্নতি যেন রোবট বানিয়ে দিচ্ছে। কেবলই অর্থ আর ষ্ঠ্যাটাসের এক পাগলা লড়াইয়ে ধাবমান.. লয় হচ্ছে নত্য, বিবেক, নীতিবোধ.. সব সব..
৫১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৫
অগ্নি সারথি বলেছেন: মায়ের কাছে সন্তান নিশ্চিন্তে ঘূমাতে যাবে। আঁচলের ঘ্রানে ঘুমিয়ে পড়বে নির্ভরতায়। সহমত। অসাধারন লিখেছেন ভৃগু।
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেইতো হয়ে আসছে বাংলায় আবহমান কাল ধরে...
এখন কেন ঈষান কোণ কালছায়া
যেন ধ্বংসের কালমেঘ
আঁচলের আড়ালে গুপ্ত হন্তারক
নির্ভরতা বদলে যায় বিভীষিকায়!!!!
ধন্যবাদ সারথি ভাই্
৫২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৩
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: (আগের মন্তব্য ডিলিট করুন, প্লিজ। এখানে আরেকটু গুছিয়ে এনেছি)
দেখুন, সমাজ খুব কঠিন একটা ক্রান্তিকাল পার করছে। এ ব্যাপারে কিছু গুছিয়ে লিখাও খুব দুঃসাধ্য!
সমাজের ক্রান্তিকাল
১। সর্বস্তরে রাজনৈতিক বিভক্তি মানুষের চিন্তা এবং কর্ম নিয়ন্ত্রণ করছে।
২। সামাজিক বন্ধন শিথিল, খুব বেশি অপরাধ প্রবণ সমাজে নাগরিক নিরাপত্তা আতংকের হয়ে উঠেছে। একে অন্যকে কথায়, কাজে, শক্তিতে, যুক্তিতে, বুদ্ধিতে, সম্পদে টেক্কা দেয়ার এবং ঘায়েল করার এক দুর্দমনীয় প্রতিযোগিতা দৃশ্যমান।
৩। পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে, বর্ধিত পারিবারিক ঐতিয্য লোপ পাচ্ছে। পারিবারিক মূল্যবোধ গড়ছে না।
৪। পশ্চাত্যের ইন্সটিতুশনাল সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার যা কিছু ভালো তা নিয়ে না ভেবে একচেটিয়া শুধু মিডিয়া, ফ্যাশন আর ট্রেন্ডি বিষয় গুলোকে সমাজ নির্বিচারে মেনে নিচ্ছে।পাশাপাশি ২টি জেনারেশনের চিন্তার ব্যবধানের ব্যাপকতা সমাজকে অস্থির করে তুলছে।
৫। রিলিজয়াস রিচূয়াল নির্ভর কিন্তু রিলিজিয়াস এথিকস এবং ভ্যালূ এর কথা বলা হচ্ছেই কম, পালন তো নেই ই।
৬। জীবনের লক্ষ্য কি সেটা মানুষ জানে না, কিন্তু উপলক্ষ গুলো লৌকিকতায় এবং শো-বিজনেস হিসেবে আবির্ভুত হচ্ছে। অর্থাৎ জীবন পথের পথিক তার গন্তব্য হারিয়ে শুধু গন্তব্যে যাবার চাকচিক্যময় লোকদেখানো ট্রান্সপোর্ট নিয়ে ভাবছে।
৭। নাগরিক জীবনের প্রতিপদে কষ্ট, সংগ্রাম, ভয়। লক্ষ্যে (নৈতিক কিংবা অনৈতিক) যা যেতে পারার মনোকষ্ট! কিংবা অন্যের সাথে তাল মিলাতে না পারার হতাশা।
৮। ব্যক্তির নিজের সকল অপ্রাপ্তির দায় সন্তানের উপর আছড়ে পড়া।
৯। চরম প্রতিযোগিতা পুর্ন চাকরি, ব্যবসা এবং শিক্ষার পরিবেশ ব্যক্তি নাগরিককে শুধুই হতাশ করছে প্রতিদিন।
১০। ব্যবসা প্রফিট ম্যাক্সিমাইজেশন নির্ভর বলে, ব্যবসায় সততার নিশানাও উঠে যাওয়া।
সব মিলিয়ে এক চরম ক্রান্তিকালে সমাজ ব্যবস্থা বিবর্তিত হচ্ছে, এতে করে কিছু মানুষের ব্যক্তি মানস এক ভয়ংকর রূপান্তর প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে। এরই ফল স্বরূপ এই রকম কিছু হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটছে।
প্রতিকার কিসে? আমার মনে হয় মুক্তিতে-
ক। আধ্যাত্মিক মুক্তি ( মানুষ ভুলে গেছে, তাঁর স্রষ্টার সন্তুষ্টিই তাঁর পরম সাফল্য!)
খ। রাষ্ট্র কর্তিক নাগরিকের জন্য অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তার মুক্তি পথ দেখানো, যাতে মানুষ নিরাপদ জীবনের আশা পায়।
আমার মনে হয়, এই সময়ে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ব্যক্তি নাগরিকের খুব কাছাকাছি আসা দরকার। আক্রান্ত মানুষের খোঁজ নিয়ে তাঁদের কাউন্সিলিং করা দরকার, পরম মমতার সাথে। ব্যক্তির জীবনে সুখ না থাকলে সমাজ এবং রাষ্ট্রের খোলস তো শুধুই মেকি!সমাজের ক্রান্তিকাল
১। সর্বস্তরে রাজনৈতিক বিভক্তি মানুষের চিন্তা এবং কর্ম নিয়ন্ত্রণ করছে।
২। সামাজিক বন্ধন শিথিল, খুব বেশি অপরাধ প্রবণ সমাজে নাগরিক নিরাপত্তা আতংকের হয়ে উঠেছে। একে অন্যকে কথায়, কাজে, শক্তিতে, যুক্তিতে, বুদ্ধিতে, সম্পদে টেক্কা দেয়ার এবং ঘায়েল করার এক দুর্দমনীয় প্রতিযোগিতা দৃশ্যমান।
৩। পারিবারিক বন্ধন শিথিল হচ্ছে, বর্ধিত পারিবারিক ঐতিয্য লোপ পাচ্ছে। পারিবারিক মূল্যবোধ গড়ছে না।
৪। পশ্চাত্যের ইন্সটিতুশনাল সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার যা কিছু ভালো তা নিয়ে না ভেবে একচেটিয়া শুধু মিডিয়া, ফ্যাশন আর ট্রেন্ডি বিষয় গুলোকে সমাজ নির্বিচারে মেনে নিচ্ছে।পাশাপাশি ২টি জেনারেশনের চিন্তার ব্যবধানের ব্যাপকতা সমাজকে অস্থির করে তুলছে।
৫। রিলিজয়াস রিচূয়াল নির্ভর কিন্তু রিলিজিয়াস এথিকস এবং ভ্যালূ এর কথা বলা হচ্ছেই কম, পালন তো নেই ই।
৬। জীবনের লক্ষ্য কি সেটা মানুষ জানে না, কিন্তু উপলক্ষ গুলো লৌকিকতায় এবং শো-বিজনেস হিসেবে আবির্ভুত হচ্ছে। অর্থাৎ জীবন পথের পথিক তার গন্তব্য হারিয়ে শুধু গন্তব্যে যাবার চাকচিক্যময় লোকদেখানো ট্রান্সপোর্ট নিয়ে ভাবছে।
৭। নাগরিক জীবনের প্রতিপদে কষ্ট, সংগ্রাম, ভয়। লক্ষ্যে (নৈতিক কিংবা অনৈতিক) যা যেতে পারার মনোকষ্ট! কিংবা অন্যের সাথে তাল মিলাতে না পারার হতাশা।
৮। ব্যক্তির নিজের সকল অপ্রাপ্তির দায় সন্তানের উপর আছড়ে পড়া।
৯। চরম প্রতিযোগিতা পুর্ন চাকরি, ব্যবসা এবং শিক্ষার পরিবেশ ব্যক্তি নাগরিককে শুধুই হতাশ করছে প্রতিদিন।
১০। ব্যবসা প্রফিট ম্যাক্সিমাইজেশন নির্ভর বলে, ব্যবসায় সততার নিশানাও উঠে যাওয়া।
সব মিলিয়ে এক চরম ক্রান্তিকালে সমাজ ব্যবস্থা বিবর্তিত হচ্ছে, এতে করে কিছু মানুষের ব্যক্তি মানস এক ভয়ংকর রূপান্তর প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে। এরই ফল স্বরূপ এই রকম কিছু হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটছে।
প্রতিকার কিসে? আমার মনে হয় মুক্তিতে-
ক। আধ্যাত্মিক মুক্তি ( মানুষ ভুলে গেছে, তাঁর স্রষ্টার সন্তুষ্টিই তাঁর পরম সাফল্য!)
খ। রাষ্ট্র কর্তিক নাগরিকের জন্য অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তার মুক্তি পথ দেখানো, যাতে মানুষ নিরাপদ জীবনের আশা পায়।
আমার মনে হয়, এই সময়ে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ব্যক্তি নাগরিকের খুব কাছাকাছি আসা দরকার। আক্রান্ত মানুষের খোঁজ নিয়ে তাঁদের কাউন্সিলিং করা দরকার, পরম মমতার সাথে। ব্যক্তির জীবনে সুখ না থাকলে সমাজ এবং রাষ্ট্রের খোলস তো শুধুই মেকি!
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার অসাধারন বিশ্লেষনাত্বক গভীর তাৎপর্যময় এবং সমস্যা সমাধান চিহ্নিত করা মন্তব্য পোষ্টের সমৃদ্ধি বাড়িয়ে দিল শতগুন। পোষ্টে যুক্ত করে পোষ্টকেই আরও পূর্ন করলাম।
দু:খজনক হল এই বিষয়গুলো নীতি নির্ধারক যাদের ভাবার কথা তারাই পুরাই উদাসীন।
সমাজের প্রতি দায় রয়েছে যাদের তারাই দায়হীনতার সংস্কৃতিতে বুদ! লোক দেখানো ষ্টান্টবাজি কর্মতৎপরতা যতটা দৃশ্যমান মূল সমস্যা ও সমাধানে তার ছিটেফোটাও নেই।
ব্যবসায়ী, পূজিপতা, মিযয়া বাদই দিলাম- খোদ ধর্মের প্রতিনির্ধত্বকারীরা যে রকম উদাসীনতা, দায়হীনতা, এবং সময়ের স্রোতে গা ভাসানো পথে চলছে- নজরুলের শত বছর আগের বলা বাস্তবতা যেন আরও দৃষ্টিকটু ভাবেই দৃশ্যমান।
সামাধানে - নেই কোন সাচ্চা রাহবার!
অনেক কৃতজ্ঞতা আবারও ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৬
আমিই মিসির আলী বলেছেন: অসাধারণ লেখা।