নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অমর একুশের আবহে রেঙেছে বাংলা।
একদিকে শোক অন্যদিকে মাতৃভাষার অধিকার বিজয়ের আনন্দ। আন্তর্জাতিকতায়ও পূর্ন।
একুশের বইমেলা, একুশের চেতনা নিয়ে আবেগি, রাশভারী, উদ্দীপনাময় বক্তৃতা, কত শত কাব্যমালা।
অধিকার আদায়ের এই মাসে লাখো খবরের ভীরে একটা ছোট্ট খবর।
হয়তো অনেক অনেক অফলাইন আর অনলাইনের ভীরে অনেকেরই চোখে পড়েনি!
৪০ বছরে বাংলাদেশকে সবচেয়ে কম পানি দিচ্ছে ভারত
মৌসুমে ফারাক্কা ব্যারাজ দিয়ে গত ৪০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে সবচেয়ে কম পানি দিচ্ছে ভারত।
যৌথ নদী কমিশনের হিসাব মতে, ভারত এ বছর বাংলাদেশকে গড় প্রবাহের চেয়ে ৩৫ হাজার ১৪১ কিউসেক পানি কম দিচ্ছে।
সম্প্রতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একটি চিঠিতে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবর জরুরি ভিত্তিতে মৌখিক প্রতিবাদ (নোট ভারবাল) পাঠানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ জানিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হাওলাদার জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত ‘২০১৬ সালের শুকনো মৌসুমে ফারাক্কায় গঙ্গার পানির লভ্যতা হ্রাস’ শিরোনামে গত ১৮ জানুয়ারি পাঠানো এ চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘চলতি ২০১৬ সালের শুকনো মৌসুমের জানুয়ারি মাসের প্রথম ১০ দিনে ফারাক্কায় পরিমাপ করা মোট প্রবাহ ছিল ৭২ হাজার ৩৩৫ কিউসেক, যা ৪০ বছরের গড় প্রবাহের চেয়ে ৩৫ হাজার ১৪১ কিউসেক কম।
-----
ভারতকে জরুরি ভিত্তিতে নোট ভারবাল পাঠানোর অনুরোধ করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘চলতি ২০১৬ সালের শুকনো মৌসুমে ফারাক্কায় মোট পানির প্রবাহ ৫০ হাজার কিউসেকের নিচে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখপূর্বক চুক্তির অনুচ্ছেদ ২ অনুযায়ী ৪০ বছরের গড় লভ্যতা মতো ১০ দিনওয়ারি ফারাক্কায় পানির প্রবাহ সংরক্ষণ করতে উজানের দেশ ভারতকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নোট ভারবাল পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
খবরটা পড়ে অব্দি নিরবে বসে ছিলাম।
আমাদের অসহায়তা, দৈনতা, রাজনৈতিক, সামাজিক সচেতনতার অভাব, আমাদের উদাসীনতা, হঠাৎ বিভিন্ন চেতনার জোয়ারে ভাসা, সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছিল। আমরা যেমন আবেগি তেমনি উদাসীন!
নইলে এভাবে পদ্মার এই পরিণতি হয়- !!!!
আর আমরাও যেন নিরবে সেই পরিণতিরই শেষ দেখার অপেক্ষায় অপেক্ষমান!!
শব্দের চেয়ে ছবি কথা বলে বেশি
তাই সেই কষ্টকে চলুন ছবিতেই অনুভব করি..
পানিতে মারার নীল নকশা....ব্যারেজের পানি প্রত্যাহার
মাওলানা ভাসানির ঐতিহাসিক ফারাক্কা অভিমুখি লং মার্চ
ওপারেতে থৈ থৈ জল.. টই টুম্বুর
প্রাণের প্রাচুর্যে ভরা ওপার.... ঝলমলে জীবন
পানির প্রবাহে অধোগতি...
এপারেতে হাহাকার....
দীর্ঘশ্বাসের ছড়াছড়ি পরতে পরতে
আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কি আমাদের ক্ষমা করবে?
আমাদের প্রাণ নদীমাতৃক বাংলার প্রধান প্রাণের মৃত্যুতে আমরা কেবলই দর্শক হয়েই থাকব!!
পদ্মাকে বাঁচাতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরনে সরকার, কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন পেতে কি এ বিষয়ে অনলাইন আবেদন/স্বাক্ষর অভিযান চালানো যায় না? যারা এই বিষয়ে অভিজ্ঞ ভেবে দেখতে পারেন।
ফেসবুকের পোকা যারা তারা কি একটু দেশ, নদীকে ভালবেসে এই বিষয়ে নিয়মিত ষ্ট্যাটাস, একটা বিশেষ পেইজ বা স্পেশাল কোন ক্যাম্পেইন চালাতে পারেন?
মাঝে মাঝে হ্যাকার হতে ইচ্ছে করে- এই সব ভাবনা মাথায় এলে। দেশ, জীবনের মৌলিক বিষয়ে এহেন উদাসীনতা দেখলে মনে হয় হ্যাকার হলে অন্তত ওদের প্রযোজ্য সাইট হ্যাক করে মিনিমাম ধাক্কা টুকু দেয়া যেতো- তোমরা অন্যায় করছো।
আমাদের জলের অধিকার কেড়ে নিয়েছো
আমাদের প্রাণের অধিকার
প্রকৃতির স্বাভাবিকতা নষ্ট করেছো
গঙ্গার গলাটিপে মেরেছো
প্রাণীদের বাস্তুহারা করেছো
জলজ জীবন জীবিকা হরণ করেছো
আমাদের দেশটাকে মরুভূমি বানিয়ে দিচ্ছো.....
আমরা তোমাদের এই নীতিকে ঘৃণা করি!!!
এখন নাকি সামাজিক যোগাযোগের বিপ্লবের সুসময়। তবে তাই হোক। সামাজিক সাইটেই হোক ন্যায়ের লড়াই। যে যার অবস্থান থেকে!
দেশ, মাটি, নদী মানুষ, প্রাণকে ভালবেসে! একুশের চেতনায়। অধীকার আদায়ের চেতনায়। মাতৃভাষার মতো মাতৃভুমির প্রাণ নদী অধীকারের চেতনায়। চেতনার বালিয়াড়িতে মৃত স্বপ্নেরা জেগে উঠুক ফিনিক্স পাখির মতো। অমর অব্যয় অজেয় ২১শেতে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ দিয়ে আর লজ্জ্বা দেবেন না।
আমাদের মৌসুমি চেতনায় কর্পোরেট নাড়া না খেলে বুঝি আমরা আর জাগি না।
৫২, ২১. ৬৯, ৭১ ৯০ কেবলই স্মৃতির জাবর কাটা!!!!!!!!!!!
আপনার লিংক পোষ্টে আরো সমৃদ্ধ করলো। কৃতজ্ঞতা অনেক অনেক।
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০০
এহসান সাবির বলেছেন: দেশ, মাটি, নদী মানুষ, প্রাণকে ভালবেসে! একুশের চেতনায়। অধীকার আদায়ের চেতনায়। মাতৃভাষার মতো মাতৃভুমির প্রাণ নদী অধীকারের চেতনায়। চেতনার বালিয়াড়িতে মৃত স্বপ্নেরা জেগে উঠুক ফিনিক্স পাখির মতো। অমর অব্যয় অজেয় ২১শেতে।
দারুন পোস্ট ভৃগু'দা।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
আমাদের চেতনা জেগে উঠুক সত্যিকারে চেতনায় ~~
পদ্মার বুক আবার ভরে উঠুক জলে
মায়ের ভাষায় কথাবলার মতো ঝলমল আনন্দে !!!
++++++++++++++++
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৭
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: বেশ কয়েকবছর আগে, রাজশাহীর সোনা মসজিদ বর্ডার পেরিয়ে ইন্ডিয়া গিয়েছিলাম!!!
ভাড়া করা গাড়ীতে যাচ্ছিলাম ফারাক্কার উপর দিয়ে!!
একপাশে প্রমত্তা নদী, বড় বড় সাদা জাহাজ দাঁড়িয়ে আছে!
অপর পাশে বৃষ্টির পানির মত তিরতিরে জলরেখা বয়ে চলেছে বাংলাদেশের দিকে!!!
পানি চুক্তির ফলস্বরূপ !!!
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
একপাশৈ তার প্রাণ ঝলমল
অন্যপাশে শশ্মান
এমন তিলে তিলে মৃত্যুর মূখে আজ আর নেই ভাসানী! হক কতা বলার মতো রাজনৈতিক নেতা, নেই বুদ্ধিজীব, নেই সুশীল সমাজ, নেই দেশপ্রেমিক মিডিয়া যারা এইটাকে ইস্যু বানিয়ে দেশটাকে জাগিয়ে তুলতে পারে!!
সবার আচরণে মনে হয়- চাচা আপনা প্রাণ বাঁচা!
হায়!
এদেরই পূর্বপুরুষ মায়ের ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে?
৭১ এর বিজয় গাথা রক্ত, জীবন ইজ্জতের বিনিময়ে লিখে গেছে?
নদীর মায়ের ভাষা তার জলের কলকল ধ্বনি! কোথায় যে সালাম জব্বার বরকত, রফিক সফিকের উত্তর সূরিরা! নদী মায়ের মূখের ভাষা কেড়ে নিয়ে জীবন যায় যায়!!!
এখনো জাগবে না!!!!!!!!!!!??????????????????????
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২২
আনু মোল্লাহ বলেছেন: প্রিয় বিদ্রোহী, আপনার লিখার আমি ভক্ত।
অন্যান্য বিষয়ের মত ফারাক্কা নিয়ে আপনি সচেতনতা সৃষ্টির জন্য যে পোস্ট দিয়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ প্রাপ্য।
দুঃখের বিষয় আমরা বাংলাদেশীরা দেশপ্রেমিক নই। আমরা অনেক রকম হাবিঝাবি নিয়ে মাতামাতি করে দিনাতিপাত করে যাব, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেশমাতৃকার দরকারে প্রকৃত সাড়াটুকে দেব না।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার ভালবাসার জবাব দেবার ভাষা আমার নেই! কেবলই অন্তহীন কৃতজ্ঞতা।
নিহত পদ্মার বুকের মতো শুধু অনুভবের বালিযাড়িতে কি জলের কথা ফোটে?
নির্বাক কষ্টেরা চিক চিক করে অক্ষম আক্রোশে!
নদী অধিকার কোন দয়া নয়, করুনা নয়! এটা প্রকৃতির প্রাকৃতিক অধিকার! অবারিত দুয়ার খুলে যে প্রকৃতি আমাদের নদী মাতৃক বানিয়েছে- আমরা সেই দানকে ধরে রাখতে পারছিনে। তাইতো প্রকৃতি এখন ভিন্ন ভাষায় কথা বলে!
প্রকৃতপক্ষে দেশমাতৃকার দরকারে প্রকৃত সাড়াটুকু না দিলে প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করবে না। কাউকে না।
কথিত বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ, হোক, মধ্যবিত্ত, আমলা, কামলা, আমজনতা.. হোক
সে পদ্মা পারের বাসিন্দা বা আলিশান গুলশানের ঘরবন্দী, বিবেক বন্ধী রাজনীতিবিদ হোক
দরিদ্র কিংবা ধনকুবের হোক!
দরবেশ অথবা ফুটপাতের আইজদ্দিন!
জলতো সবারই চাই নাকি? বিশুদ্ধ টলটলে গতিশীল!!! প্রাণের প্রাচুর্যে ভরপুর!!!
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: পদ্মা দেখতে গিয়ে লজ্জা পেয়েছিলাম।
বাবা বলেছিল, পদ্মার এপার থেকে ওপার দেখা যায় না। ও নাকি যখন রাবির ছাত্র ছিল, তখনও পানি ছিল দেখার মতো।
অথচ আমি পানি দেখিনি, দেখেছি শুধু বালু।
নদী আন্তর্জাতিক একটা সম্পদ। এর গতিকে বাঁধা দেয়াটা দণ্ডনীয়।
আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করলে, বাংলাদেশ ঠিকই পানি পেয়ে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশ ভারতকে চটাতে চাইবে না। আর পদ্মাও চোখের সামনে ধুঁকে ধুঁকে মরবে।
কোন মানুষ চোখের সামনে মারা গেলে খারাপ লাগে, খুব বেশি হলে চোখের জল ফেলি।
নদী তো আর মানুষ নয় যে কান্না করবো। লোকে হাসবে তো!
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যে হাসে হাসুক
আমিতো কাঁদব চিৎকার করে
প্রাণের চেয়ে প্রিয় দেশ, তার প্রাণ যে নদী!
চোখ মেলে দেখূন সেই আদি থেকে সভ্যতার বিকাশ
নীলনদ থেকে গঙ্গা, ভলগা থেকে টেমস
ভাগীরথি থেকে ইয়েলো, ইয়াংজি....
শত সহস্র নাম, প্রাণের বিকাশ কেন্দ্র..
আমাদের এই প্রাণ চোখের সামনে ধুঁকে ধুঁকে মরবে..
ধিক্কার দেবে না শহীদের আত্মারা?
৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৪
ধৈঞ্চা বলেছেন:
আমরা আসলে কি করব বুঝতে পারছি না। চোখের সামনে একটা সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কিছুই করতে পারছি না। আপনার লেখা পড়ে হাহাকার আরো বেড়ে গেল। আমাদের দেশ প্রেম শুধুমাত্র দিবসকেন্দ্রীক। আমাদের দরকার সঠিক নেতৃত্ব যে ক্ষমতা যাওয়ার থেকে দেশের স্বার্থে বেশী কাজ করবে।
এই সরকারের সাথে ইণ্ডিয়ার সম্পর্ক যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে অনেক ভাল। এই সময় যদি এই অবস্থা হয় তবে এই চমৎকার সম্পর্কের কি দরকার?
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের দেশ প্রেম শুধুমাত্র দিবসকেন্দ্রীক।
আমাদের দরকার সঠিক নেতৃত্ব যে ক্ষমতা যাওয়ার থেকে দেশের স্বার্থে বেশী কাজ করবে।
এই সরকারের সাথে ইণ্ডিয়ার সম্পর্ক যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে অনেক ভাল।
এই সময় যদি এই অবস্থা হয় তবে এই চমৎকার সম্পর্কের কি দরকার?
<< ভাল বলেছেন। কিন্তু প্রশ্নের উত্তর দেবারতো কেউ নেই!!!! সবই দায়হীন!
৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন এবং প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ।
৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পোস্টটা পড়ে সত্যি খুব খারাপ লাগছে। এক বুক শূন্যতা বিরাজ করছে। আমরা কি আসলেই কিছু করতে পারি না?? একটা নদীকে এইভাবে মেরে ফেলা হলো, আমরা কিচ্ছু করতে পারলাম না। এই দেশ সত্যি আমাদের ভুমিকায় লজ্জিত।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নদীর শুকনো মাটির চেয়ে ফাটা মনে হয় আমাদের চেতনা!!!
আজো কি ভীষণ নির্লিপ্ততায় ঘূমিয়ে.. আনন্দে ভাসছি হাসছি... সাক্ষাত নদী দেশ জাতির মৃত্যুকে স্বচক্ষে দেখেও...
আমাদের ভিস্যুয়াল মিডিয়া যদি এতটুকু দেশপ্রেমিক হতো! আমাদের পত্রিকা গুলো যদি জাতীয় ইসূগুলোকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়মিত দায়সারা নয় মিশ হিসাবে কলম, কলাম চালিয়ে যেত!! হয়তো আমাদের এপারেও হাসত জীবন .. খেলত নদীতে জল কলকল শব্দে!
মৃত্যুর বিভীষিকার বদলে প্রাণ প্রাচুর্য্যের জোয়ার থাকত কাঠফাটা নদীর বুক জুড়ে!
৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সব কিছুর মধ্যে রাজনীতি, ক্ষমতা দলবাজি এনেআমাদের প্রয়োজনের দাবিকে আমরা স্বস্তা করছি। তারা করে নাই, আমরা করব, আমরাই করছি, তারা কিছু করে নাই। এই সব বক্তব্যে ঘৃনা ধরে গেছে।
ব্লগাররা সমাজের সচেতন অংশ। ব্লগারদের হাতে আছে একটি শক্তিশালী অস্ত্র- লেখার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার ক্ষমতা এবং প্রয়োজনে রাজপথে নেমে আসার দৃষ্টান্ত।
এই ব্লগে অনেক ভারতীয় ব্লগাররা ব্লগিং করেন। তারাও এই সম্পর্কে জানুক, দেখুক। হাজারে যদি ২০ মানুষও এই অন্যায় ও অনায্যের প্রতিবাদ করে, সেটাও আমাদের বড় প্রাপ্তি। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবশ্যই সকলকে সোচ্চার হতে হবে।
আশা করি এই ধরনের প্রয়োজনীয় ইস্যুতে কেউ দলবাজি করবে না। আমি অন্তত মনে করি, এই ইস্যুতে যারা দলবাজি করবেন, তারা জাতির বোঝা, অপ্রয়োজনীয় অংশ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন বক্তব্যে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
দেশ জাতি যে দল আর ব্যক্তি স্বার্থ মতের চয়ে বড় আমরা বিবৃতিতেও বললেও বাস্তবে চর্চাটা শূণ্যের কোঠায়!
মাঝে মাঝে আতকে উঠি- যদি এই চলমান বর্তমানে ৭১এর মতো কঠিন সময় আসতো- কতজন দেশপ্রেমিক খুঁজে পেতাম! ???
সবাই যেভাবে সার্ভাইবাল কোয়েশ্চেনের ধূয়া তুলে নীতি, নৈতিকতা, দেশপ্রেম বিসর্জন দিয়ে চলেছে!!! ভাবতেও অবাক লাগে!
<< আশা করি এই ধরনের প্রয়োজনীয় ইস্যুতে কেউ দলবাজি করবে না। আমি অন্তত মনে করি, এই ইস্যুতে যারা দলবাজি করবেন, তারা জাতির বোঝা, অপ্রয়োজনীয় অংশ। মতভাগ সহমত।
১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: সৈয়দ ওয়ালিউল্লার অমর উপন্যাস "লালসালু" । ঝড়ের কারণে যখন কৃষকদের শস্য ক্ষতিগ্রস্ত হলো, কৃষক মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ল সেই সাথে চিন্তা করতে লাগল আগামী দিন গুলো চলবে কিভাবে। তা দেখে ভণ্ড পীর মজিদের একটা উক্তি করেছিল ঐ কৃষদের উদ্দেশ্যে "ধান দিয়া কি হইবো মিঞা? জান যদি না থাকে"
"লালসালু" উপন্যাসের কৃষক চরিত্র এখনও অপরিবর্তিত আছে; শুধু মজিদের চরিত্রে বসিয়ে নিতে হবে সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের। সেই সাথে উক্তির সামান্য পরিবর্তন:
"পানি দিয়া কি হইবো মিঞা? ভারতের সাথে বন্ধুত্ব যদি না থাকে"
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন মন্তব্য।
<<----মজিদের চরিত্রে বসিয়ে নিতে হবে সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের। সেই সাথে উক্তির সামান্য পরিবর্তন:
"পানি দিয়া কি হইবো মিঞা? ভারতের সাথে বন্ধুত্ব যদি না থাকে"
ভাগ্যিস! ৭১এর শহীদগন / মুক্তিযোদ্ধাগণ এভাবে ভাবেন নাই! নইলে স্বাধীনতার মূখ আজো দেখতে হতো না!
অভিভাদন পলাশ ভাই।
১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,
আপনার এই পোষ্টটিও নিহত পদ্মার মতো পড়ে আছে । পাঠক সংখ্যা - ৬১ আর মন্তব্য ৮ টি । (আমার পোষ্টটির ভাগ্যেও তাই )
এরকমটাই হবে , এরকমটাই হয় ।
এ আমাদের দৈন্যতার , আমাদের অক্ষমতার ইতিহাস ।
থেমে থাকলে চলবেনা । চেতনার বালিয়াড়িতে ঘা মেরে মেরে যদি দু'ফোঁটা জলও তোলা যায় এই স্বপ্ন নিয়ে জেগে থাকুন ............
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যথার্থই বলেছেন...
এ আমাদের দৈন্যতার , আমাদের অক্ষমতার ইতিহাস ।
থেমে থাকলে চলবেনা । চেতনার বালিয়াড়িতে ঘা মেরে মেরে যদি দু'ফোঁটা জলও তোলা যায় এই স্বপ্ন নিয়ে জেগে থাকুন ............
সেই স্বপ্নে আপনারা পাশে আছৈন বলৈই ক্লান্ত হইনা।
স্বপ্ন দেখি আবারো কলকল জলে ভরে গেছে পদ্মার বুক! আবার পান্সী নিয়ে গাইয়ে মাঝি
পদ্মার ঢেউরে
মোর শূন্য পদ্ম নিয়ে যা যারে...
কিংবা নদীর কূল নাই.. কিনার নাইরে....................
১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪
জানা বলেছেন: একেবারে দায়িত্বশীলতা নয়, অন্তত দেশের জন্যে প্রাণের টান বা ভালবাসার কারণেও এমন একটি পোস্টে ব্লগার বন্ধুদের উপস্থিতি, আলোচনা এবং করনীয় নিয়ে নানান মতামত ও প্রস্তাব আশা করা নিশ্চয় ভুল নয়।
ভুলে গেলে চলবে না যে ব্লগাররা সামাজিক তথা রাষ্ট্রীয় নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করে, যৌক্তিক দাবী তুলে সংশ্লিষ্ট প্রসাশনে শক্তিশালী প্রভাব রাখতে সক্ষম। এর অনেক উজ্জল উদাহরণ রয়েছে। ব্লগ এবং ব্লগার গণসচেতনতা তৈরি এবং গণতন্ত্র চর্চার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
পোস্টটির জন্যে অশেষ ধন্যবাদ @ বিদ্রোহী ভৃগু।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভুলে গেলে চলবে না যে ব্লগাররা সামাজিক তথা রাষ্ট্রীয় নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করে, যৌক্তিক দাবী তুলে সংশ্লিষ্ট প্রসাশনে শক্তিশালী প্রভাব রাখতে সক্ষম। এর অনেক উজ্জল উদাহরণ রয়েছে। ব্লগ এবং ব্লগার গণসচেতনতা তৈরি এবং গণতন্ত্র চর্চার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ..
দারুন বলেছেন জানাপু! অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সাথে থাকায়।
অনেক দিন পর ব্লগধূলি পেলাম
আশাকরি সকল প্রকৃত দেশপ্রমিক আপনার সাথে সহমত হবেন।
১৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১
রমিত বলেছেন:
দুজনার কাঁধে ভর দিয়ে ফারাক্কা লং মার্চে বেরিয়েছেন বয়সের ভারে নুয়ে পড়া ভাষাণী হুজুর। এটাই সত্যিকারের দেশপ্রেম।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন ছবি শেয়ার করায় ধন্যবাদ।
সত্যিকারের দেশ প্রেমিকেরা নির্ভয় সাহসী অমুখাপেক্ষি মাথা নত না করার শিক্ষার আলোয় আলেকিত!
জীবনের শেষ মূহর্ত পর্যন্ত তারা তেমনই থাকেন।
আমাদের রাজনীতি, ইতিহাস, জীবন চর্চায় সেই দেশপ্রেমিকেরা কত অবহেলিত!!!
১৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: নারীর বুকের মতো জেগে ওঠ চর
তাহারা যুবতী হয়
আমাদের জ্বরা আসে মৃত্যু-প্রহর।
আমি ভারতকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করি তার বাংলাদেশবিরোধী সকল দুরভিসন্ধির জন্য।
অনবদ্য পোস্ট ভাই।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
এইরকম জ্বলন্ত মৃত্যুর পরও যারা উচ্চস্বরে দাবী করেনা- তাদের মূখে চেতনার কথা মানায় না।
যারা সমুদ্রজয়ের আনন্দে মাতোয়ারা পদ্মায় তাদের নিরবতা- মানায় না।
নিজের মায়ের মৃত্যু যন্ত্রনাকাতর সময়ে কি কোন সন্তান উল্লাস করতে পারে?
দেশ আমার মা, দেশের প্রাণ নদী! নদীর প্রধান পদ্মা! সেই পদ্মা মরে গেলে প্রাণ থাকবে না, প্রাণ না থাকলে মায়ের কি হবে???
শূধু ঘৃণা নয়- দৃঢ়তায় আমি উচ্চারন করতে চাই-
<< পানি দে হারাম জাদা! নইলে ফারক্কা খাবো!
১৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩০
অগ্নি কল্লোল বলেছেন: সালাম তোমায়।তোমার ললিপপ পদ্মার জল।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ওয়া সালাম!
ললিপপ : ক্ষমতার মসনদ
বিবেক নীতি নৈতিকতা নির্বাসনে
একমূখিতায় নত হতে হতে আভূমি প্রণত দাসখতে!
ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে স্বপ্নের সূখে উন্মাতাল
বাস্তবতা খটখটে মৃত পদ্মার বুকের মতোই সত্য
সকল ভার্চুয়ালিটি বিলিন পলকে
নামো মাটির পৃথিবীতে
চাতক জনতার জলের তেষ্টা মেটাতে -লং মার্চে
গলজাগরণের মূখে কত কত ললিপপ প্রাসাদ ফুয়ে উড়ে গেল!!!
১৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪১
সাহসী সন্তান বলেছেন: সালটা মনে নেই, তবে একসময় ভারত সরকার কর্তৃক ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ায় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট সহ বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলা ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কারণ তখন এপার ওপার দুইপারেই প্রচন্ড বন্যা চলছিল। যে কারণে ক্ষতির মাত্রাটা অনেকগুণ বেশি ছিল।
দেখেন ভারত এমন একটা দেশ যারা সব সময় নিজেদের স্বার্থ নিয়েই বেশি চলে! খরা মৌসুমে তারা বাঁধের মাধ্যমে পানি বন্ধ করে রাখলেও বন্যার সময় সেই বাঁধ উন্মুক্ত করে দেয়! যার ফলে বন্যার পানি প্রচন্ড বেগে ধেয়ে আসে বাংলাদেশ ভূখন্ডের দিকে। আর তাতে দেশ তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ই তার উপর অনেক গরিব পরিবার বাস্তচ্যুত হয়!
অথচ এই ব্যাপারটা নিয়ে বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত আলোচনা সমালোচনা চলতেই আছে। কিন্তু সুরহা হওয়ার কোন নাম নেই! আদৌ হবে কিনা তা জানিও না!
চমৎকার সচেতনতা মূলক পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ সা-স
সেই সুরাহা যাতে হয়, তার জন্য আমাদের প্রচেষ্টাও য়ে শূন্যের কোঠায়!
আমরা লং মার্চ না পারি,, মানব বন্ধন না পারি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মেই হোক জাগরণ! ব্লগ, ফেসবুক, টুইটার সবখানে আমরা আমজনতা কি চাই ফুটে উঠুক দিবালোকের মতো ষ্পষ্ট হয়ে! সারা বিশ্বের নজরে পড়ুক এক নিষ্ঠুর নিমর্ম নিরব হত্যাযজ্ঞের বাস্তবতা!
প্রাণীবাদি সংগঠন, নদীবাদী, পরিবেশবাদী সংগঠন, প্রাকৃতিক অধিকার সুরক্ষায় যারা কাজ করছেন সকল সাইটে ফটো, ভিডিও, লেখনি, ষ্ট্যাটাস, পিটিশন, ক্যাম্পেইন সকল মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপন শুরু হোক ব্যাপক ভাবে। যা সকলকে ভাবতে বাধ্য করে। লেটস ডু সামথিং
ভারতে মিডিয়া ষ্ট্রং! তারা ভারতকে ব্রান্ডিং করে তাদের মতো করে!
আমাদেরকে নিরেট সত্যটা্ও আজ কারো নজরে নেই প্রচারের অভাবে। আমাদের প্রচার করতে হবে। বারবার। আবেগি, বাস্তব সত্যকে টাচি ফরমেটে।
শুভ কামনা আপনার জন্য্ও।
তবে শুরু হয়ে যাক কাজ। যে যার অবস্থান থেকে - পদ্মার জন্য, দেশের জন্য, মায়ের জন্য।
১৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০০
ভুলুয়া বলেছেন: সীমান্ত হত্যা আগেও হয়েছে, ভবিষ্যৎে ও হবে। সুন্দর বনের বাঘ ঐ পাড়ে বেড়াতে গিয়েছে। ভারতের থেকে ট্রানজিট ফি চাওয়া লজ্জার বিষয়। এখন দুই দেশ এক করে দেওয়ার সময়। উপরের উক্তি গুলো সরকারি দলের মন্ত্রীদের। আপনার মনে হয় ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস এই সরকারের আছে? যদি না থাকে উলো বনে মুক্ত ছড়িয়ে কি লাভ?শেখ মুজিব নিজদেশের সার্বভৌমত্ব ঠিক রাখার জন্য ভারতীয় সৈনিক বের করে দিয়েছিলেন। ভারতের নিষেধ থাকার পরও ওআইসিতে চলে গিয়েছিলেন ৯০% মুসলমান জনগণের জন্য। নিজের চলচিত্র টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতীয় ছবি নিষিদ্ধ করেছিলেন। ফারাক্কার পানির সঠিক ভাগ বুঝে নিয়েছেন। আমরা প্রকৃত নেতা অনেক আগেই হারিয়েছি।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হারিয়েছি বলে যে আর আসবেনা তাতো নয়?
কে জানে আপনিও হতে পারেন অনাগত দিনের নেতা।!!
সরকাররে ব্যাপকার্থে আপনিই কিন্তু সরকার। আমজনতাই কিন্তু সরকার। যদিও ক্ষুদ্রার্থে দেখতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত!
কিন্তু দেশের ক্রান্তিকালে সেই ব্যপকার্থের সত্যই দেখুন বারবার সত্য বলে প্রমাণ হয়েছে।
সো এই বনই যথোপযুক্ত। ঠিকমতো জাগুন, জাগান-- দেখবেন সকলেই নড়েচড়ে বসবে।
কত কত মুভি হয়, ক্রিটিকি ফিল্ম হয়, শর্ট লং কত ফরমেটে কত ছবি! কত ডকুমেন্টারী!! এই বিষয়ে ..।!!!!!
পদ্মার বাস্তবতা! ইতিহাস, ফারাক্কার প্রভাব, নদী, জীববৈচিত্র, প্রাণ বৈচিত্রের ধ্বংস, জীবন জীবিকার ধ্বংস তথা সার্বিক একটা কমপ্লিট তথ্যচিত্র খুব দরকার। কারো জানা থাকলে লিংক শেয়ার করলে বাধিত হবো।
আর যারা বানাতে সক্ষম অনুগ্রহ করে শুরু করে দিন।
১৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫
নিরব ঘাতক ফাহিম বলেছেন: সত্য
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ
১৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬
নিরব ঘাতক ফাহিম বলেছেন: সত্য
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ আবােরা
২০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: জাতীয় ইস্যুগুলোতেও আমরা ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ থেকে বের হয়ে আসতে পারি নি বলেই আজ এই অবস্থা। ফারাক্কা বাধের সমাধান, অভিন্ন নদির পানি প্রাপ্তির নিশ্চয়তা আমাদের জাতীয় স্বার্থ। কোন দল সরকার পরিচালনায় আছে এটা না দেখে যদি সকল দল একত্রিত হয়ে একটা ঐক্যমত্য তৈরি করা যেত, তাহলে এর সমাধান করা যেত। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক শক্তিগুলো ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে উপরে উঠতে পারে নি কখনো।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের রাজনৈতিক শক্তিগুলো ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে উপরে উঠতে পারে নি কখনো।
সেজন্যেই এই দায়ত্বটা আমজনতাই পালন করেত পারে। তারা যদি ভ্যাপক আত্মজাগরণে সমৃদ্ধ হয় তারা যদি আলটিমেটাম দেয় যে পদ্মার ন্যায্য পানি আনতে পারবে সেই যোগ্য বলে বিবেচিত হবে, যদি আল্টিমেটাম দেয় ফারাক্কা ইস্যুর স্থায়ী চুক্তিতে যার ভুমিকা থাকেবনা তাকে আমরা প্রত্যাখান করবো!
হয়তো কিছূটা হলেও টনক নড়বে। আর সেই স্তরে যেতে চাই ব্যাপক ভিত্তিক বাস্তব সত্যটাকে বারংবার তুলে ধরা।
আমাদের গোল্ডফিশ মেমোরি খুব দ্রুতই যেহেতু সব ভুলে যায়!
আশা করি তাদের বোধোদয় হবে।
জাতীয় স্বার্থে তারা দল, মত নির্বিশেষ আমজনতার সাথে মিলে সকল দল একত্রিত হয়ে একটা ঐক্যমত্য তৈরি করুক ..
তাহলে এর পাশাপাশি আরো বহু বহু সমস্যাও পলকে সমাধান হয়ে যাবে..
ধন্যবাদ প্র.পা ভাই।
২১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪
বটপাকুড় বলেছেন: ভাইরে দেশপ্রেমের কথা বললেই আমি হয়ে গেলাম চেতনা বিরোধী। জামায়ত শিবির এর ট্যাগ। ওই দিকে দেখেন ভারত আমার দেশ টাকে কিভাবে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। আর আমরা ভারতের শিল্পী এনে আমাদের দেশে আবর্জনা পরিষ্কার করার কর্মসূচি শুরু করি, কোথায় যাবো রে ভাই। আমার দেশের মানুষ এতো বেকুব হয় কেমনে, মাঝে মাঝে অবাক হয়। বিদেশে এসে দেখি কিছু বাঙ্গালি এর ভারতের দাদা প্রীতি আর যায় না।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের জাতীয় নিতিতে দেশপ্রেমের উপর সাংস্কৃতিক রুপরেখা নেইতো। তাই যেমন খুশি তেমন সাজোর মতো চলছে সব।
সক দেশেই দেখুন তাদের দেশপ্রেম, ইতিহাস, জাতীয় নীতি প্রতিফলিত হয় এমন মুভির অভাব নেই।
আমাদের বেলা খেরোখাতা শূণ্য!
একটা জাতিকে যদি একটা ছবি প্রতিনিধিত্ব করে - তেমন সমৃদ্ধ একটা ছবিওকি হচ্ছে এখণ! নাটক, সিরিয়াল, সাহিত্য সব ক্ষেত্রেই শুন্যতা। ফলে যুব সমাজের উপর সেই ছায়াই খেলা করছে- শূন্যতার ছায়া!!!!
২২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯
কল্লোল পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ জানাই এরকম একটি পোষ্টের জন্যে ।
শুভ কামনা জানবেন।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ পথিক ভাই।
শুভ কামনা আপনার জন্যও।
২৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ফেসবুকে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে বেশ সোচ্চার একটা গ্রুপে ছিলাম বছর দুয়েক আগে সেখানে আমাদের কে এমন সব প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে সরকারের অবস্থান নিয়ে যা ছিল রীতিমত লজ্জার ।
এক ভারতীয় সমাজ কর্মী আমাকে সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন "যেখানে টিপাইমুখ বাঁধ হলে আমাদের চাইতে তোমাদের ক্ষতি বহুলাংশে বেশী আমাদের স্থানীয় জনগন প্রতিবাদে নেমেছে সেখানে তোমাদের সরকারের সহযোগিতা করে যাচ্ছে নুন্যতম প্রশ্ন না করে ই । এভাবেই পদ্মা নদী হয়ে যাবে একসময় স্মৃতি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে অনেক কিছুর মত ই।
সর্বনাশা পদ্মানদী র কাছে সুধানোর মত কেউ থাকবে যে তার কুল কিনারা আছে কিনা
দায়িত্ব শীল ব্লগিং এর এক উজ্জ্বল অনন্য উদহারন আপনি ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: "এক ভারতীয় সমাজ কর্মী আমাকে সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন "যেখানে টিপাইমুখ বাঁধ হলে আমাদের চাইতে তোমাদের ক্ষতি বহুলাংশে বেশী আমাদের স্থানীয় জনগন প্রতিবাদে নেমেছে সেখানে তোমাদের সরকারের সহযোগিতা করে যাচ্ছে নুন্যতম প্রশ্ন না করে ই । ""
কি লজ্বা! কি লজ্বা!!
অথচ যাদের বোঝার তারাতো বুঝছেই না। যারা মধ্যমার কাজে আচে মিডিয়ার ভূমিকাও দেখুন ইতিহাসে সবচে ন্যাক্কারজনক সময় পার করছেনাকি তারা????
জাতীয় ইস্যুগুলোতেও তাদের কবরের নিরবতা তাদেরকেই কলংকিত করেছে ইতিহাসের মহাকালের বিচারে। যা কাম্য নয়। সকল ভয়, লোভকে তুচ্ছ করে যে সাংবাদিকতা, যে মিডিয়ার ভূমিকা পালনের কথা -তা যেন ডিপফ্রিজে চলে গেছে!
হতাশার মাঝেও আশাই জীবন। তাই আশা করতেই পারি- হয়তো আমরা না থাকলেও সেদিন একদিন আসবে- আগের পদ্শা না হলেও মৃত রবেনা সেটা। জলের কলকল ধ্বনিতে শূখর থাকবে জীবনের চিহ্ন হয়ে।
আপনার বিশাল সম্মাননায় সলজ্জ্ব কৃতজ্ঞতা বোধ করছি
২৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বাংলাদেশ তার জন্ম লগ্ন থেকেই ভারতের সাথে বিভিন্ন সময় পানি সমস্যা নিয়ে বিরোধে জড়িত। বিষয়টি বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী মহল থেকে শুরু করে সাধারণ জনগন পর্যন্ত সকলেই অবগত। ১৯৭৬ সালে ঐতিহাসিক লং মার্চ, বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সরাসরি আলোচনা ও কূটনৈতিকভাবে সমাধানের প্রচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোন প্রচেষ্টাই কাজে আসেনি।
আন্তর্জাতিক নদী সংক্রান্ত আইনের দাবি বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও ভারত তাতে কোন গুরুত্ব দেয়নি। অসমভাবে ৩০ বছরের জন্য নদীর পানি বন্টন চুক্তি হলেও ভারত অত্যান্ত নিরলজ্যভাবে বাংলাদেশের প্রাপ্য অংশ কখনোই দেয়নি ।
অপরদিকে শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রবাহ যখন সবচেয়ে কম থাকে তখন ভারত প্রায় সম্পূর্ন পানি প্রত্যাহার করে নেয়। এই নীতি শুধু ফারাক্কা নয় বরং ভারত যে ৫২ টি নদীতে বাঁধ দিয়েছে তার সবগুলোর ক্ষেত্রেই করে থাকে।
আমার পাশের মুহুরি নদীর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশে , অথচ ভারত আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে , এর উৎপত্তি ভারতে বলে ।
নোম্যান্স ল্যান্ড অংশে শখানেক উচ্ছ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প বসিয়ে মুহুরি নদির পানি শুষে নিয়ে তাদের নদিতে ফেলা হচ্ছে । সরকার নির্বিকার ।
এমতাবস্থায় ব্যাপক গণসচেতনতা , সরকার ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই পোস্ট গুরুত্তপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে । বইমেলার পোস্টটির সাথে এই পোস্টকেও সহস্টিকি করলে অধিকতর পাঠকের দৃষ্টি আকৃষ্ট হত ।
সময়োপযোগী দ্রোহের আগুন জ্বালানো পোস্টের জন্য ভৃগু ভাইকে ধন্যবাদ ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই নির্লিপ্ততা কি আত্মঘাতি নয়!
আজকের ক্ষমতাই তো চিরকালের নয়! দেশ, জাতি, জনগণের প্রতি দায় কি কেবলই পুথিগত আর বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ??????
"" আমার পাশের মুহুরি নদীর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশে , অথচ ভারত আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে , এর উৎপত্তি ভারতে বলে ।
নোম্যান্স ল্যান্ড অংশে শখানেক উচ্ছ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প বসিয়ে মুহুরি নদির পানি শুষে নিয়ে তাদের নদিতে ফেলা হচ্ছে । সরকার নির্বিকার । ""
কি ভয়ংকর তথ্য দিলেন?????
এই জুলুম, এই শোষন, এই সাম্রাজ্যবাদীতার কুফলে তারা নিজেরাই ভূগবে একদিন।
আর মনিরা আপার মন্তব্যে দেখেছেন নিশ্চয়ই কি লজ্বা পেতে হয় জাতিকে তাদের সামনেই! এমন নতজানুতা কি জাতি দেখেছে বিগত ৪০ বছরে????? বঙ্গবন্ধুর আত্মা কি খুশি হচ্ছেন????? সকল শহীদানের আত্মা! লাখো মা-বোনের আত্মা!!!!!!!!!
আপনার ভাললাগা, ভালবাসায় আপ্লুত।
২৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬
তার আর পর নেই… বলেছেন: উন্মত্ত পদ্মা শব্দটাই হয়তো বইতে দেখা যাবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছুদিন হয়তো এসব পোস্ট দেখা যায়। কিন্তু আমরা খুব সহজেই সব ভুলে যাই, নতুন ইস্যু পুরানো ইস্যুকে ভুলিয়ে দেয়। আমরা কিইবা করতে পারি! ফেসবুকে যে খুব বেশি কিছু করা যায় তা মনে করিনা।
কিছুদিন আগে আনিসুল হক একটা গ্রামের বিদ্যুৎ পৌঁছানো নিয়ে লিখেছিলেন। খুব তাড়াতাড়ি সেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছে যায়।
বাস্তবিকপক্ষে আমরা সরকার থেকে অনেক দুরে অবস্থান করি। আমরা মানে সাধারণ জনগণ …
পোস্টে ভাল লাগা রইলো।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রমত্তা পদ্মার ছবি- খুবই দু:খজনক আপাত: বাস্তব!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার করে আমরাই কিন্তু এটাকে একটা দারুন পর্যায়ে নিতে পারি। কিন্তু আমরা সাধারন ষ্ট্যাটাসে যেভাবে লাইক কমেন্টে হুমড়ি খেয়ে পড়ি বা ঐসবের পিছনে দৌড়াই- সেই এনার্জিটুকু যে কোন দেশ বা জাতিগত ইস্যুতে নিয়মিত করলে অবশ্যই তা একটা না একটা ফল বয়ে আনবেই।
আসুন আমরা সকল নেগেটিভকে দূরে রেখে পজিটিভ যা যা করা সম্ভব তা যত ছোটই হোকনা কেন শুরু করি। ছোট বালুকনা বিন্দুজলে যেমন মরু সাগর হয়.. তেমনি ছোট ছোট পোষ্ট ষ্ট্যাটাসে সচেতনতার মহাকাব্য হয়ে যাবে আশা করি।
ধন্যবাদ ভাললাগায়।
২৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব জরুরী একটা পোস্ট। একটা বড়সড় মুভমেন্ট হওয়া দরকার।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হামা ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুরু করে দিননা। একটা অনলাইন স্বাক্ষরতা বা অনলাইন পিটিশন...অনলাইন ক্যম্পেইন...
আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?????
২৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪০
মেহরাব ইসলাম বলেছেন: বাস্তবতা খটখটে মৃত পদ্মার বুকের মতোই সত্য, শুরু হয়ে যাক কাজ। যে যার অবস্থান থেকে - পদ্মার জন্য, দেশের জন্য, মায়ের জন্য।
আমরাই হত্যা করেছি পদ্মা কে। আর জাগিবেনা সে।
সেই পদ্মা মরে গেলে প্রাণ থাকবে না, প্রাণ না থাকলে মায়ের কি হবে???
মা মরে যাবে। সকলের চোখের সামনে। ক্ষমতা ধর যারা তারা মেরে ফেলবে। আর পদ্ম জল শুকিয়ে শ্মশানে পরিনত হবে।
এমন লেখা উপহারের জন্য লেখক কে ধন্যবাদ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরাই হত্যা করেছি পদ্মা কে। আর জাগিবেনা সে।
সেই পদ্মা মরে গেলে প্রাণ থাকবে না, প্রাণ না থাকলে মায়ের কি হবে???
মা মরে যাবে। সকলের চোখের সামনে। ক্ষমতা ধর যারা তারা মেরে ফেলবে। আর পদ্ম জল শুকিয়ে শ্মশানে পরিনত হবে।
দারুন বলেছেন।
আমাদের উদাসীনতা!
আমাদের নির্লিপ্ততা!
আমাদের রাজনৈতিক লেজুর বৃত্তি মানসিকতা!
আমাদের ক্ষমতার অন্ধ মোহ!
আমাদের দেশজনতার প্রতি বিশ্বাস দায় দূরে রেখে বাইরের প্রভুদের প্রতি দায়বদ্ধতা!
আমাদের অন্ধদলপ্রীতি, ব্যক্তিপ্রীতি যখন দেশ,জাতি জনতাকে ছাড়িয়ে গেছে
তখনইআমার হেরে গেছি! পদ্মা মরে গেছে! আমাদের অন্র কারো মূখাপেক্ষি হয়ে থাকতে হয়!
আবার ফিরে আসাটুকুও কিন্তু আমাদের হাতে। আমরা ফিরতে চাই কিনা? এই উত্তরটাই যথেষ্ট। পথ আপনাতেই মিলবে...
পথ পথিকের সৃস্ট করেনা পথিকই পথের সৃস্টি করে......
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
২৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৬
এস কাজী বলেছেন: অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটা পোস্ট।
অবশ্য এই সরকারের আমলে এটা হওয়া অত্যন্ত লজ্জাজনক।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কথাতো সেটাই!!!
বন্ধূ যা চাইলো তাই দিলা- ফ্রি ট্রানজিট, ব্যবসা, ব্যান্ডউথ, বিদ্যুত কেন্দ্র, কোনটা বাদ আছে........সবই খালি দিয়াই গেলা........
..বিনিময়ে এক ঘটি জলও সে দিলোনা!!! এ কেমন বন্ধুতা?????
বন্ধুত্ব হয সমানে সমান। দেয়া নেয়া। আন্ত:রাস্ট্রীয় বন্ধুত্বতো আরও অর্থবহ!!
ধন্যবাদ ।
২৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৯
মিলন মাযহার বলেছেন: হুমম্! ওই পাড়েতে থই থই, এই পাড়েতে জল কই!
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
ওপারে প্রাণের মেলা
এপাড়েতে স্মশান;
ওপাড়েতে জলে থৈ থৈ
এপার, তেষ্টাতে যায় প্রাণ।
এই পদ্মায় ভয় পেয়ে
ফিরে গেল আলেকজান্ডার
সেই প্রমত্তা পদ্মা আজ
শুধুই ধূধু বালুর চর!
বুঘলকপুর বাংলা আজ
কেন এমন দাস রুপে
রয়েলবেঙ্গল হুংকারে ফের
উঠবেনা কি জেগে??
৩০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
যথার্থ বলেছেন বিদ্রোহী ভৃগু!
ভারতের সাথে একটি অসম সম্পর্ক চলছে আমাদের।
রাজনৈতিক সদিচ্ছা অথবা সৎ উদ্দেশ্য কিছুই নেই। আছে খালি কুমতলব।
এথেকে কি কেউ আমাদের বের করতে পারবে?
কোন দলই পারে নি। খালি চিল্লাবিল্লা। হতাশ
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবশেষে চোখে পড়ল
ধন্যবাদ মইনুল ভাই।
শুধু অসম? সীমাহীন একপাক্ষিক সম্পর্ক.. শুধু দিয়ে যাও দিয়ে যাও দিয়ে যাও...
মনিরা আপার কমেন্টে দেখুন আমাদের সরকারের নতজানুতায় ভারথীয়দের কাছ তেকেই কি পরিমাণ লজ্জ্বা পেতে হয়েছে উনার.. মানে..আমাদের সবার, আমজনতার!!!
আমরাই পারি! দলতো আর জনতা থেকে বিচ্ছিন্ন কিছূ নয়। তাদেরচারপাশে হয়তো অজ্ঞান আর সুবিধঅবাদীদের ভীর.. কিন্তু আমজনতার সম্মিলিত চাওয়া নিশ্চয়ই যে কোন দলের জণ্য ভাবনার বিষয়। ...নয়?
৩১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৮
প্রামানিক বলেছেন: ওই পাড়ে থইথই, এই পাড়ে পানি কই? আহারে পদ্মা নদী মরে পদ্মার ইলিশের স্বাদ ভুলে যেতে বসেছি। সুন্দর পোষ্ট। ধন্যবাদ
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পদ্মার ইলিশ তো দাদাদের জন্য.।! আপনি মন্ওে করবেন না!!!!
এমনই আত্মঘাতি পথে চলছি আমরা !!!!!
৩২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪০
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: মাতৃভাষার মতো মাতৃভুমির প্রাণ নদী অধীকারের চেতনায়। চেতনার বালিয়াড়িতে মৃত স্বপ্নেরা জেগে উঠুক ফিনিক্স পাখির মতো। অমর অব্যয় অজেয় ২১শেতে।
অসাধারণ লেখা। প্রিয়তে নিয়ে ধন্য হয়েছি।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মাতৃভাষার মতো মাতৃভুমির প্রাণ নদী অধীকারের চেতনায়। চেতনার বালিয়াড়িতে মৃত স্বপ্নেরা জেগে উঠুক ফিনিক্স পাখির মতো। অমর অব্যয় অজেয় ২১শেতে।
ভাই এভাবে বলতে নেই!!! এ আপনার উদারতা.।
প্রিয়তে রেখেছেন বলে অনেক সম্মানীত বোধ করছি।
৩৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৩
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: গত বছর এপ্রিল মাসের ঘটনা।
পদ্মশ্রী খেতাব প্রাপ্ত ভারতের শীর্ষস্থানীয় পরিবেশ বিদ, Center for Science and Environment, New Delhi, India এর পরিচালক Dr. Sunita Narain আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে (কানাডার University of Waterloo) একটা বাৎসরিক পাবলিক লেকচার দিতে এসেছে যার বিষয় ছিল "Challenges for Water Security in the Poor's World: The agenda for research and policy to manage water scarcity, plenty, pollution and waste in an age of climate risk"
লেকচার হলে উপস্হিত University of Waterloo ও Wilfrid Laurier University এর প্রায় ২০০ জন অধ্যাপক, ও ছাত্র-ছাত্রী।
লেকচার শেষে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে প্রথমে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক তাকে প্রশ্ন করলো পানির জন্য যে Ecological Damage হচ্ছে সেটা নিয়ে তো তুমি কিছু বললে না; এর পর সে ফিরস্তি দিল সে ও তার সরকার এই করতেছে ঐ করতেছে।
এর পরে ২ য় ব্যক্তি হিসাবে হাত উঠালাম আমি:
আমি প্রথমে তাকে তেল দেবার জন্য কইলাম "আমি অনেক ভাগ্যবান যে ভারতের শীর্ষস্হানীর পরিবেশ-বিদকে এখানে পেয়েছি"। আমি অনেক খুশি যে তুমি লেকচারের স্লাইডে চাষের পানির জন্য কৃষকদের কান্নার ছবি দিয়েছো, আত্মহত্যার পরিসংখ্যান দিয়েছো, পানির জন্য সহিংসতার কথা বলেছো। তুমি অনেক গুনি মহিলা; কৃষকদের জন্য প্রাণ কাঁদে
এর পরে কইলাম আমি এসেছি তোমার পাশের দেশ বাংলাদেশ থেকে। এর পরে অডিয়েন্সের সবাইকে বললাম যে আমাদের দেশের যত নদী আছে তার ৯০% এর উৎপত্তি ভারতে অথবা ভারতের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
এর পরে তাকে উদ্দেশ্য করে সকলকে বললাম ভাতের ফারাক্কা বাধের কারণে দেশের মোট ভূমির ২০ % ভূমি মরুভূমি প্রায়।
এর পরে তাকে উদ্দেশ্য করে সকলকে জানালাম ভারত প্রজেক্ট নিয়েছে পূর্বদিকের বক্ষ-পুত্র নদের পানি পশ্চিমদিকের গঙ্গা নদীতে নিয়ে যাবে।
এর পরে তাকে বললাম তোমার দেশের কৃষকের জন্য যেমন তোমার প্রাণ কাঁদে আমার দেশের কৃষকের জন্য তেমনি আমার প্রাণ কাঁদে। তাই তোমাকে ২ টা প্রশ্ন করতে চাই:
তোমাদের দেশের একতরফা পানি প্রত্যাহার করার জন্য আমাদের দেশের কৃষকরা কাঁদিতেছে ভারত সরকারের শীর্ষস্থানীয় পরিবেষ-বিদ ও নীতিনির্ধারণী ব্যক্তি হিসাবে তোমার দেশের সরকারকে জানিয়েছো কি না?
How Bangladesh can ensure fare share of Water from those trans-boundary river for its crying framer?
সে উত্তর না দিয়ে উল্টা আমাকে বলে তোমরা শুধু ফারাক্কা বাঁধের কথা বলো কেন?
সে আরও বলে তুমি কি সাম্প্রতিক কালে ঢাকায় গিয়েছো?
তোমরা ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যাপক ভাবে উত্তলন করতেছো কিন্তু সারফেস ওয়াটার (মূলত নদীর পানি) কেন ব্যবহার করতেছো না?
এর পর আমি তাকে জানালাম দুর্ভাগ্যক্রমে আমার বাড়ি তিস্তা-বাঁধ এলাকায়। ঐ এলাকার ৩ টা জেলার মানুষ শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা-বাঁধের পানি দিয়ে চাষ করতো। কিন্তু ভারত তিস্তা-বাঁধের মাত্র ২০ কিলোমিটার উজানে বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করার কারণে আমার এলাকার কৃষকরা এখন ভূ-গর্ভস্থ পানি দিয়ে চাষাবাদ করতেছে। যদি আমার দেশের কৃষক খেতে না পরে তবে তোমার দেশে কিভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে?
এই প্রশ্ন করার সাথে সাথে মহিলা রেগে পুরাই অগ্নি-শর্মা। আমার দিকে তেড়ে এসে বলে আমি আর তোমার প্রশ্নের উত্তর দিবো না। এটা তোমার দেশের সরকার ও আমাদের দেশের সরকারের ব্যাপার। মহিলার উত্তর দেওয়ার এপ্রোচ দেখে মডারেটর তারাতারি নিজের মাইকে অন্য জনকে প্রশ্ন করার জন্য আমন্তরন জানাতে বাধ্য হলো।
আমাদের মধ্যে যখন প্রশ্ন-উত্তর চলিতেছিল তখন আমার চার-পাশের সকলে মুচকি-মুচকি হাঁসতেছিল। লেকচারের পরে রিসিপশনে খানা-পিনার জন্য লাইনে দাঁড়াইছি তখন বয়স্ক এক কানাডিয়ান আমাকে বলে খুব ভাল প্রশ্ন করেছো ঐ মহিলাকে। মহিলা অনেক উপদেশ মূলক কথা কইতেছিল এতক্ষণ।
আমি নিশ্চিত লেকচারটা কানাডায় না হয়ে ভারতের হলে নিজের হার-হাড্ডি নিয়া লেকচার হল থেকে অক্ষত বের হয়ে আসতে পারতাম না।
আমার যদি ক্ষমতা থাকত তবে প্রতিবছর বাংলাদেশের ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বিশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পাঠাতাম বাংলাদেশের পানি নিরাপত্তা নিয়ে গবেষণার জন্য যাতে করে বিশ্বের সকল আলোচনা ফোরামে ভারতীয় পরিবেশ-বিদ ও নীতিনির্ধারকদের ভণ্ডামির মুখোশ খুলে দিতো সব সময়।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ঐ লেকচারের ভিডিও করে ওয়েবসাইটে দিয়েছে। নিচের লিংকে গিয়ে দেখে নিতে পারেন তার ও আমার মধ্যকার প্রশ্ন-উত্তর পর্ব:
Challenges for Water Security in the Poor's World: The agenda for research and policy to manage water scarcity, plenty, pollution and waste in an age of climate risk
বিদ্রোহী ভাই দুঃখিত পোষ্টের চেয়ে আকারে বড় মন্তব্য দিতে হলো বলে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্যলুট বস!
আপনিতো অলরেডি যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছেন। এ প্রজন্মের প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধ !
<< প্রশ্ন করার সাথে সাথে মহিলা রেগে পুরাই অগ্নি-শর্মা। আমার দিকে তেড়ে এসে বলে আমি আর তোমার প্রশ্নের উত্তর দিবো না। এটা তোমার দেশের সরকার ও আমাদের দেশের সরকারের ব্যাপার।
সত্য কথা আঁতে ঘা ভিডিওটা আসলনা!!!!! ইউটিউবে আপ করা আছে ক??? িমহিলাটার রাগ চেহারাটা নিশ্চয়ই দেখার মতো হয়েছিল????
<< আমার যদি ক্ষমতা থাকত তবে প্রতিবছর বাংলাদেশের ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বিশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পাঠাতাম বাংলাদেশের পানি নিরাপত্তা নিয়ে গবেষণার জন্য যাতে করে বিশ্বের সকল আলোচনা ফোরামে ভারতীয় পরিবেশ-বিদ ও নীতিনির্ধারকদের ভণ্ডামির মুখোশ খুলে দিতো সব সময়। “ সহমত।
হেটস অফ এগেইন।
দু:খিত মানে? এই মন্তব্যতো পোষ্টকে সমৃদ্ধ করেছে। আরও এমন বড় বড় কমেন্ট দিয়ে কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করবেন আশা করি।
৩৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৩
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
বিষয়টার গুরুত্ব বিবেচনা করে পোষ্ট টা স্টিকি করা যায় না কি না ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করতেছি ব্লগ কতৃপক্ষকে?
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ। কর্তৃপক্ষতো সাথেই আছেন !
৩৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৬
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আর একবার ট্রাই করে দেখন বিদ্রোহী দা। আমি চেক করে দেখলাম লিংক কাজ করতেছে আমার এখানে।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমম..
এতক্ষন মন দিয়ে দেখছিলম আপনার অংশ টুকু!!
অসাধারন কাজ করেছেন। মহিলার চেহারাট হয়েছিল দেখার মতো! সুমীলতা আর ধরে রাখতে পারে নাই
এভাবেই উচ্চকন্ঠ হতে হবে। আলোচনা, লেখনিতে, তথ্য, দেশে বিদেশে সর্বত্র।
ওদের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে একটা শ্রেনী আমাদের এখানেও একই সুরে কথা বলে। সারফেস ওয়াটার ব্যবহার করছোনা কেন?
গ্রাউন্ড ওয়াটার লেভেল নীচে নেমে যাচ্ছে। নানা পরিসংখ্যানের কচকচানি দিয়ে কনফিউজড করে ফেলে।
তাদের একজন কে একদিন বল্লাম- আচ্ছা বলেন- গ্রাউন্ড ওয়াটার লেভেল নীচে নামছে কেন?
ইনিয়ে বিনিয়ে অনেক কথা বলার পর বল্লাম-
আমিতো আপনার মতো পানি বিশেষজ্ঞ নই ভূমি বিশেষজ্ঞও নই।
মোটা বুজৈ একটা কথা বলি?
বলুন।
আচ্ছা সাধঅরন জ্ঞানে বলুন- পদ্মা সহ ৫৪ টি নদীতে যখণ স্বাভাবিক ফ্লো ছিল, সেই পানি কি মাটির নীচের স্তরের পানিকে প্রভাবিত করেনি? করেছে। সেই লেভেলও ব্যালেন্স থেকেছে সব সময়। কারণ তার স্বাভাবিক প্রবাহ অক্ষুন্ন ছিল।
আজ যখন ফারাক্কা সহ সকল বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করে লেভেল শূন্যে নামিয়ে আনছে- তখন কি করে আশঅ করেন মাটির নীচের পানির লেভেল আগের অবস্থায় থাকবে। তাতো ব্যবহার জনিত কারণে কমছে না। বরং স্বাভাবিক জল প্রবাহ নেই বলেই সে স্তর হারাচ্ছে! নয় কি?
কিছূক্ষন চুপ থেকে- কিূছটা তো বটেই্ আচ্ছা পরে আমরা কথা বলব বলে পাশ কাটিয়ে চলে গেল।
সত্যকে এভাবেই এড়িয়ে যেতে চায় সবাই।
৩৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আবারও এই পোস্টে ফিরে আসলাম। জনগুরুত্বপূর্ন এই পোস্টে আমরা চাই সকলে আলোচনায় অংশ নিক, সচেতনতা তৈরীতে ভুমিকা রাখুক। যেহেতু এখানে বিভিন্ন মহলের সচেতন পাঠক রয়েছেন, সেহেতু আমরা আশা করি যৌক্তিক আলোচনা হলে সচেতনতা তৈরী হবে। উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে। যারা আলোচনায় অংশ নিবেন, তারা সকলেই যেন বুঝেন -এটা জাতীয় ইস্যু।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ আনলিমিটেড আবার ফিরে আসায়।
জাতীয় ইস্যু হিসাবে দল, সকলে আলোচনায় অংশ নিক, সচেতনতা তৈরীতে ভুমিকা রাখুক। যেহেতু এখানে বিভিন্ন মহলের সচেতন পাঠক রয়েছেন, সেহেতু আমরা আশা করি যৌক্তিক আলোচনা হলে মত নির্বিশেষে সকলের সচেতনতা তৈরী হলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে।
দারুন বলেছেন। সহমত। আমরা জাতীয় ইস্যু গুলোতে যেন ব্যক্তি দল এবং সকল ক্ষুদ্রতা পরিহার করে এক হতে পারি! তবেই সাফল্যের সাথে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয় সুনিশ্চিত!
৩৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৪
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: দারুন একটা বিষয় উল্লেখ করেছেন কাভা ভাই,
এটি একটি জাতীয় সমস্যা। এমনটা না যে ঐ এলাকায় নির্দিষ্ট কোন দলের সমর্থক কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এই সমস্যটা নিয়ে যত বেশি আলোচনা হবে তত বেশি মানুষ জানবে। একই সাথে সরকারের উপর চাপ পড়বে। সেই সাথে বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের সাথে অনেক বেশি দাবি নিয়ে আলোচনা করার শক্তি পাবে। এই আলোচনা সরকারের বিরুদ্ধে না। বরং সরকারের পিছনে সারা দেশের মানুষ আছে সেটা প্রমান করা।
তাই ব্লগারদের প্রতি অনুরোধ গঠন মূলক আলোচনা করুন দলীয় দৃষ্টি ভঙ্গি দূরে ঠেকে রেখে। একই সাথে পোষ্ট লেখকের প্রতি অনুরোধ রাজনৈতিক দৃষ্টি কোন থেকে কোন মন্তব্যের জবাব না দেওয়ার জন্য।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: === " এই সমস্যটা নিয়ে যত বেশি আলোচনা হবে তত বেশি মানুষ জানবে। একই সাথে সরকারের উপর চাপ পড়বে। সেই সাথে বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের সাথে অনেক বেশি দাবি নিয়ে আলোচনা করার শক্তি পাবে। এই আলোচনা সরকারের বিরুদ্ধে না। বরং সরকারের পিছনে সারা দেশের মানুষ আছে সেটা প্রমান করা। "
দারুন ভাবে সহমত। এবং আপনার অনুরোধ সানন্দে পালিত হবে। সতর্কতার জন্য ধন্যবাদ আরো একবার।
৩৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৪
মারুফ তারেক বলেছেন: আমরা আসহায় নই, আমারা উঠে দাঁড়াতে জানি।
সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্য আমরা আন্তজার্তিক আদালতে যেতে পারি।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা আসহায় নই, আমারা উঠে দাঁড়াতে জানি।
সম্ভাব্য সকল উপায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিই পারে এটাকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত করতে। যাতে সারা বিশ্ব এটার নৈতিক সমাধানে চাপ প্রয়োগ করতে পারে। আমাদের ন্যায্য অংশ আমরা পেতে পারি।
ধন্যবাদ সাথে থাকায়।
৩৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @পলাশ ভাইঃ ধন্যবাদ। আমি উল্লেখ্য করতে ভুলে গিয়েছি যে আপনার মন্তব্যগুলোও এই পোস্টকে সমৃদ্ধ করছে।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নি:সন্দেহে।
আবারও আরেকবার আপনার পক্ষ থেকেও তাঁর জন্য হ্যাটস অফ এগেইন।
৪০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
পদ্মার পানি সরিয়ে নিয়ে ভারত অপরাধ করছে, সন্দেহ নেই।
কিন্তু আপনি তো নিরপেক্ষ মানুষ নন, আপনার লেখায় কোথায় কি ভাঁজ দিচ্ছেন, সেটা বুঝা কিছুটা মুশকিল; আপনি এগুলোর সমাধান জানেন না, এবং সমাধান হোক সেই আশায়ও লিখছেন না; লিখছেন সরকারের দোষ ধরার জন্য। সরকারের দোষ আছে, সরকারে দক্ষ লোক নেই, যারা ভারত থেকে পানি বুঝে নিতে পারতো, হুগলীতে পানি সরায়ে নেয়া বন্ধ করতে পারতো।
ভবিষ্যতে অবস্হা ভালো হবে, এখন সেক্রেটারিয়েটে সবাই টাকা পয়সা নিয়ে ব্যস্ত; টাকার চাপে কিছু মারা গেলে, তখন কাজে মন দেবে।
নদী ও জাতির জন্য কস্ট আছে মনে; তবে, আপনার লেখা পরে কান্না এখনো আসছে না; কারণ, আপনার অনেক রূপ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনার অভিযোগ সত্য নয়।
আমি কারো দোষ ধরার জন্য নয় বরং চলমান কষ্টকর বাস্তবটাই তুলে ধরেছি কেবল। যা স্বাধীনতার পর থেকে ক্রমশ: আরও কষ্টের দিকে যাচ্ছে। যার একটা বাস্তব ভিত্তিক সমাধান দরকার। অমর একুশ আমাদের অধিকার আদায়ের যে মন্ত্র শেখায়, সেই মাসে নিজের এই মৌলিক অধীকার টুকু ফিরে পাবার জন্য একটা আকুতি, আহবান, দৃষ্টি আকর্ষন।
সামাধার আমি জানিনা ওয়েল ..আপনিতো জানেন! দিননা একটা ভাল সমাধান। ???
আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কেবলই আপনার। আমরা সার্বজনীনতার কথা বলছি। আমার ব্যক্তির কোন সমস্যা এটা নয়- এটা জাতীয় সমস্যা। প্রত্যেকের মত প্রকাশের জন্য উন্মুক্ত! এখানে কোন কপিরাইট নেই।
ভাল থাকুন।
৪১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আসলে কথা গুলি পলাশ ভাই এর ব্লগে ই বলা উচিত কিন্তু যেহেতু এখানে মন্তব্য আকারে উনার নিজস্ব ক্ষমতায় যুদ্ধ করার কাহিনী লিখেছেন এখানেই উনাকে স্যালুট জানাচ্ছি ।
অনেকের মত মোস্তফা কামাল পলাশ ভাইয়ের নাম টা ও দায়িত্ব শীল ব্লগারের উদহারন হিসেবে দেয়া যায় ।
ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা আপনাদের ।
আর লিটন ভাইয়ের " আমার পাশের মুহুরি নদীর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশে , অথচ ভারত আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে , এর উৎপত্তি ভারতে বলে ।
নোম্যান্স ল্যান্ড অংশে শখানেক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প বসিয়ে মুহুরি নদির পানি শুষে নিয়ে তাদের নদিতে ফেলা হচ্ছে । সরকার নির্বিকার । ""
এই মন্তব্যের পরিপেক্ষিতে বলছি এমন অনেক কিছুই আছে যা আমাদের কিন্তু আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট এরা আগেই আদায়ের চেস্টা করে যাচ্ছে
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উনার ( মোস্তফা কামাল পলাশ ভাইয়ের) নিজস্ব ক্ষমতায় যুদ্ধ করার কাহিনী লিখেছেন এখানেই উনাকে স্যালুট জানাচ্ছি ।
অনেকের মত মোস্তফা কামাল পলাশ ভাইয়ের নাম টা ও দায়িত্ব শীল ব্লগারের উদহারন হিসেবে দেয়া যায়
নি:সন্দেহে।
উনার ভিডিওটা দেখে অন্রপাণিত, উদ্বুদ্ধ, শিহরিত।
এবাবেই প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা যদি সাহসের সাথে আমাদের অধিকারের কথাটা উপস্থাপন করতে পারি নিশ্চয়ই পরিস্থিতি অনুকূলেই বদলাবে।
আমাদের একেবারে নিজস্ব দেশজ বহু জিনিষ তারা কপিরাইট আবেদন করে বসে আছৈ। আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হয়তো খবর পড়ে তা জেনে অবাক হচ্ছে!!!!!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
৪২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৪২
বটপাকুড় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ #মোস্তফা কামাল পলাশ ভাই , এইভাবে এই রকম ইন্ডিয়ান গুলিদের আটকানো উচিত, ওরা মনে করে, আমাদের সব সময় ব্লাফ দিয়ে বোঝানো যায়। সবচেয়ে বাজে বিষয়টা হল আমার নিজের দেশের যারা নীতি নির্ধারন করেন, তারা দেশকে বেচে দিতে পারলে খুশি হন। আমি নিজেও পানি প্রকৌশলে কাজ করছি, তবে আমার গবেষণা পানি বিশুদ্ধ করন সম্পর্কে।
জানেন, আমার সেক্টরে ইন্ডিয়ান গুলোর ধারনা আমরা কিছু পারি না, জানি না। সব জায়গায় মাতবারি করে । আমি সাধারণত কোন কনফারেন্স এ গেলে, একদম প্রতিটা পয়েন্ট ধরি। অনেক সিনিয়র ইন্দিয়ান প্রফেসর দেখি আবার গোসসা করে , তাদের চেয়ে বেশি জানতে পারে, তাদের পাত্তা না দিলে, কে কেয়ার করে,
অনেক বাঙ্গালি ছেলেকে বিদেশে পড়ার ব্যাপারে এত ইনফো দেয় কিন্তু, বেশির ভাগ অলস, এই দুখ কোথায় রাখি বলেন ?
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জানেন, আমার সেক্টরে ইন্ডিয়ান গুলোর ধারনা আমরা কিছু পারি না, জানি না। সব জায়গায় মাতবারি করে । আমি সাধারণত কোন কনফারেন্স এ গেলে, একদম প্রতিটা পয়েন্ট ধরি। অনেক সিনিয়র ইন্দিয়ান প্রফেসর দেখি আবার গোসসা করে ,
হাহাহা..
তাদের ডমিনেটিং মেন্টালিটিই এর প্রধান কারণ।
অল্প কদিন এক ইন্ডয়ান কোম্পানীতে আইটিতে ছিলাম। প্রথম দিকে কি ভাব!!। তাদের নিজস্ব সফটওয়্যার। আমি চালাতে পারব কিনা.. ব্লা ব্লা ব্লা..
৩ দিন পরে যখন ডিপার্টমেন্টের বসকে বল্লাম- তোমাদের সফটওয়ার কাজের এই পর্যায়ে এসে স্লো পারফর্ম করে.. থ মেরে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বল্ল - ইউ আর রাইট! আসলে আমরা এইটা ওকে করার জন্য কাজ করছি.. থ্যাংকস.. তুমি খুব দ্রুতই বিষয়টা বুঝে ফেললে.. তাগোর ফাপড় নাই হয়ে যাওয়ায় প্যাচাল আরকি
যে ক'দিন ছিলাম.. তারা নিজেদের ব্রিটিশ (গোলামীর দোষ ) আর বাঙালীরে নেটিভ এইরকম ভাব লওয়ার ব্যার্থ চেষ্টা করে
অালস্য পরিত্যাজ্য
৪৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:১৫
ধমনী বলেছেন: কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এ বিষয়ে দৃষ্টি দেয়ার জন্য।
পদ্মার ধূ ধু বালুচর এখন কিছু মানুষের বাসস্থান দিয়েছে। আর কেড়ে নিয়েছে জলজ জীবন।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও ।
চলুন পদ্মার প্রাণের লড়াইয়ে সামিল হই।
পদ্মার নূনত্যম মৌলিক জলাধিকার আদায়ের মাধ্যমে, নিজেদের কল্যানের জন্যই কাজ করি। যে যেখান থেকে পারি।
৪৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪০
জুন বলেছেন: শেষবার যখন কলকাতা গিয়েছিলাম সেবার ভিক্ট্ররিয়া থেকে হাটতে হাটতে ভাগিরথী নদীর পারে গেলাম। কি সুন্দর বাধানো পার। বসার জন্য বেঞ্চ, কিনারে সারি করে ঝাল মুড়ি চানাচুর বিক্রেতা। ভরা ঢেঊ ঢেঊ ছল ছল বিশাল নদী থেকে মিষ্টি বাতাস ভেসে আসছে। একটু দূরে বিদ্যাসাগর ব্রিজ তার সকল সৌন্দর্য নিয়ে পানি ভর্তি চওড়া নদীটির দুপার কে বেধে রেখেছে। আমি কিছু না ভেবেই একটা বেঞ্চে বসে সহ পর্যটককে বসার আহবান জানালাম। সে গভীর দৃষ্টি নিয়ে নদীর দিকে তাকিয়ে ছিল। আমার ডাক শুনে ভুরু কুচকে মুখটা কালো করে আমাকে বল্লো 'ওঠো,। জিজ্ঞেশ করলাম কেন! বসবে না? কি সুন্দর জায়গা'। সে তীব্র ক্ষোভের সাথে বলে উঠলো না কিসের সুন্দর! আমাদের পদ্মাকে মেরে তারা কি পরিমান পানি নিয়ে বসে আছে যে জাহাজ চলছে, এটা দেখার আমার কোন শখ নেই'। বলে হন হন করে বেড়িয়ে পড়লো।
যে সব দেশের পাশে ভারত আছে তাদের আর আজরাইলের ও দরকার নেই। সত্যি আমাদের বড়ই দুর্ভাগ্য। আমরা সচেতন হই।
পোষ্টে প্লাস।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: " সে তীব্র ক্ষোভের সাথে বলে উঠলো না কিসের সুন্দর! আমাদের পদ্মাকে মেরে তারা কি পরিমান পানি নিয়ে বসে আছে যে জাহাজ চলছে, এটা দেখার আমার কোন শখ নেই'। বলে হন হন করে বেড়িয়ে পড়লো।"
দারুন নির্মম সত্যকে উপলদ্ধি করেছেন সেই পর্যটক। তাকে সালাম।
যে সব দেশের পাশে ভারত আছে তাদের আর আজরাইলের ও দরকার নেই। সত্যি আমাদের বড়ই দুর্ভাগ্য।
আমরা সচেতন হই।
এটাই এখন সময়ের প্রয়োজন। ধন্যবাদ আপনাকে।
৪৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১০
আমিনুর রহমান বলেছেন:
চেষ্টা করতে থাকুন একদিন না একদিন আমরা এভাবেই হয়ত আমাদের ন্যায্যা পানি দাবী আদায় করতে পারবো ভারতের কাছ থেকে। ব্লগে অনেকদিন ধরেই এই যুদ্ধ চলে আসছে কিন্তু আমাদের কোন সরকারেরাই এর সুরাহা করার জন্য জোর কোন উদ্যোগ কখনোই নেয়নি। জিএস ভাইয়ের পোষ্টে একদিন ২/১ টা কমেন্ট পড়তো আজকে আপনার পোষ্টে সেটা বেড়েছে মানে আমরা সচেতন হচ্ছি।
@পলাশ, দেখলাম পুরো ভিডিওটা আর আমাদের ভবিষ্যৎ কান্ডারি তোমাকেও
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অধিকার আদায়ের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির দৃশ্য যেন।
পুলকিত, আশান্বিত হবার মতো।
@পলাশ, দেখলাম পুরো ভিডিওটা আর আমাদের ভবিষ্যৎ কান্ডারি তোমাকেও দারুন সত্যটাই উচ্চারন করেছেন। ধন্যবাদ।
জিএস ভাইয়ের পোষ্টে একদিন ২/১ টা কমেন্ট পড়তো আজকে আপনার পোষ্টে সেটা বেড়েছে মানে আমরা সচেতন হচ্ছি।
এই সচেতনতার ধারা অব্যহত থাকুক নিয়িমত চর্চায়।
অনেক দিন পর আপনাকে পেয়ে ভাল লাগছে।
৪৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্টীকি করায় কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং সকল শুভ্যানুধ্যায়ীর প্রতি শূভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভ্লাদিমির পুতিন
আপনার আইডিটা ঘুরে এলুম...
পোস্ট করেছি: ০টি
মন্তব্য করেছি: ৪টি
মন্তব্য পেয়েছি: ০টি
ব্লগ লিখেছি: ৩ ঘন্টা ৫৯ মিনিট
অনুসরণ করছি: ০ জন
অনুসরণ করছে: ০ জন
স্বাগমত ব্লগে
৪৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আমিনুর ভাই আপনি ছবি দিয়া ইজ্জতের ফালুদা বানাইয়া দিছেন
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইডা কি কলেন ভাই!
আমরা আমরার বীরকে না দেখলে চিনব কি করে
থ্যাংকু আমিনুর বসকে। ভিডিওরে ষ্টীল করায়
৪৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ব্লগে এসেই পোস্টটি স্টিকি আকারে দেখে খুব ভাল লাগছে ।
সব মন্তব্য পড়লাম , অনেক কিছু আলোচনায় উঠে এসেছে ।
পানি সমস্যার মত একটি জাতিয় ইস্যুকে স্টিকি করায় কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ ।
লেখককে অভিনন্দন ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াস ভাই আপনাকেও।
জাতীয় ইস্যুতে এভাবেই আমরা সবাই ঐক্যমতে পৌছাতে পারলে অবশ্যই কিছূনা কিছূ সমাধান আসবে।
কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ অনেক অনেক।
৪৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪২
শাহ আজিজ বলেছেন: একটি শক্ত সামর্থ্য সরকার যার প্রজ্ঞা পারমিতা পারে দিতে শক্তিশালী প্রতিবেশির সাথে কৌশলগত প্রক্রিয়ায় নিজ স্বার্থ আদায় এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে লেনা দেনা সম্পন্ন করা। দুঃখজনক হচ্ছে আমাদের কোন সরকারই তা পারেনি কেননা যারা এসব ডিলিংস করেছে তাদের ন্যূনতম অভিজ্ঞতা নেই সেসব বিষয়ে। যে কৌশল এবং স্বার্থ উদ্ধারের সম্পর্ক স্থাপন জরুরী ছিল তা না করে ' হে ভারত তুমি আমার গদি রক্ষায় সহযোগিতা করো' রকমের দুর্বলতা প্রকাশ গত ৪৫ বছরে আমাদের শুকনো পদ্মার চরে ঠেলে দিয়েছে। বাপের বেটা যদি হতেই হয় তো ইসরায়েলের মত শুরুতেই নিউক বানাও , দেখবে সব শালাই শ্রদ্ধা করছে। খুব সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির মেরুকরন এবং দ্রুত পট পরিবর্তন খেয়াল করুন , আপনার কূট চালের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে। মানব বন্ধন , লংমারচ গত শতাব্দীর প্রহসন । একালে তা অচল।
শুরুতেই আমার উপর ক্ষেপে যাবেন না, ঠাণ্ডা মাথায় ভাবুন ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: না ভাই যান ক্ষেপে যাবার প্রশ্নই ওঠে না।
আমাদের দরকার একটা সমাধান। যে কোন প্রযোজ্য উপায়ে।
আমাদের নীতি নীর্ধারনিতে রাজনৈতিক পছন্দ অপছন্দের গিলৌটিনে পড়ে যোগ্য ব্যক্তিরা শীর্ষ , নীতি নির্ধারণী পদ সমূহে পৌছাতে পারছেনা। আর মোটা দাগে যে পরনির্ভরতার কথা বললেন তাতো একেবারে গোড়ার গলদ!
নিজের দেশ জনতা আর সম্পদের প্রতি আস্থা বিশ্বাস আর কমিটমেন্ট রেখে যে এগিয়ে যেতে পারবে কেবল তার পক্ষেই সম্ভব যে কোন অবস্থাকে চ্যালৈঞ্জ করে ওভারকাম করে আসা। পরনির্ভরশীল নেতৃত্ব দিয়ে তা কখনোই হবে না।
আর চরমান বাস্তবতায় এখানে থেকেই মুক্তির সম্ভাব্য পথ পদ্ধতি তে চেষ্টা চালাতে হবে সর্বোচ্চ।
আর আমার আপনার সকলের নিয়মিত তথ্য, মত বিনিময়, নিয়মিত ইসুকে জাগিয়ে রাখা সকলের জাগৃতির জন্য। অবহ্যত চেস্টায় যেন ভাটা না পড়ে সে জন্যে চেতনা জাগিয়ে রাখার জণ্য সকল পথেই চেষ্টা নিয়মিত রাখতে হবে।
ধন্যবাদ অংশগ্রহন করায়।
৫০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৩
রানার ব্লগ বলেছেন: আসুন নেপাল কে উৎসাহ দেই তাদের অংশে বাধ দিতে। দেখি ভারোত করে কি, আলরেডি নেপাল ভারত থেকে তেল না নিয়ে চিন থেকে তেল নেয়া শুরু করছে আর এতেই ভারত চটে লাল। এখন যদি কূটনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে ওদের দিয়ে শুধু মাত্র গঙ্গা মুখে বাধ নির্মাণে অনুপ্রেরনা দেয়া যায়, দেখার মত অবস্থা হবে। আমরাতো জনম দুঃখী, আমরাও ক্ষতিগ্রস্থ হবো।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নেপালের দেশপ্রেম সম্মানযোগ্য।
আমাদের কূটনৈতিক চেষ্টা আরো বেগবান করতে হবে- বাংলাদেশৈর প্রেক্ষাপটে ভাবুক কূটনৈতিকদের দিয়ে।
পাশাপাশি ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে জনদাবীতে পরিণত করতে হবে। এটার ফলে আমাদের যে ক্ষতি, প্রাকৃতিক যে বিশাল ধ্বংসযজ্ঞ, জলবায়ুর যে রুপান্তর, সরুকরণের বাস্তবতা সকল মিডিয়াতে ব্যাপক হাইলাইটস করতে হবে।
আমরা আমজনতা সম্মিলিত ভাবে জাগলেই একটা পজিটিভ সমাধানের আশা নিকটতর হবে।
রাজনৈতিকদের গাঁছাড়া ভাবের পেছনে আমাদের গাঁছাড়া ভাব কি নিয়ামক নয়????
৫১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২
মানবী বলেছেন: অত্যন্ত জরুরী বিষয়ে সুন্দর পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু!
ভারতের কাছে আমাদের নতজানু মনোভাবের কারনে বিভিন্ন চুক্তি উপেক্ষা করে দিনে দিনে তারা তাদের হাত গুটিয়ে নিচ্ছে নির্বিকার চিত্তে। আমরা আমাদের বহমান নদী হত্যা করে, নদীউপকূলের জনপদ হত্যা করে শুধু ভারতের অভ্যন্তরীণ স্বার্থে সড়ক নির্মান করে দেই, এতোটা মেরুদন্ডহীনদের পানির পরিমান দিনে দিনে শুন্যের কোঠায় পৌঁছলে তা অবাক হবার নয়।
দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশের কিছু রাজনৈতিক কৃতদাসদের কাছে, নিজের দেশের স্বার্থের চেয়ে রাজনৈতিক প্রভুদের পিঠ বাঁচানো বেশি জরুরী। নিজের দেশের কৃষক জনতা মরছে মরুক, সাধারন মানুষ যেনো তাদের অমানুষ রাজনৈতিক প্রভুদের প্রতি অঙ্গুঈ নির্দেশ না করে, এটাই এসব ছারপোকাদের একমাত্র চাওয়া।
ব্লগার মোস্তফা কামাল পলাশের মন্তব্য ও আলোচনার ভিডিও ভালো লাগলো। দেশের স্বার্থে নিজের সাধ্যমতো প্রতিপক্ষের সামনে রুখে দাঁড়ানোর জন্য তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। নদীর পানি বন্টনে বাংলাদেশের সাথে ভারতের বৈষম্যমূলক আচরনের প্রসঙ্গে ক্ষিপ্ত ও বিব্রত হলেও তাঁর দেয়া সমাধান টা আমাদের সরকার ও কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা জরুরী। আমার বিশহবাস বাংলাদেশের পরিবেশবিদরা আরো অণেক আগেই এই বিকল্পের কথা জানিয়েছেন, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এধরনের জনহিতকর প্রকল্প, দেশের উন্নয়ের প্রতি আমাদের নেতা নেত্রী, বিশেষ করে সরকারের বড় বেশি অনীহা।
সরকার ও ক্ষমতাবানদের মাঝে অন্তঃত একজন দেশ প্রেমিক রুখে দাঁড়াবে, পানি সমস্যা সমাধানে সরকারকে বাধ্য করবে এমনটা আমরা আশা করি।
পোস্টটি স্টিকি দেখে ভালো লাগলো।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভারতের কাছে আমাদের নতজানু মনোভাবের কারনে বিভিন্ন চুক্তি উপেক্ষা করে দিনে দিনে তারা তাদের হাত গুটিয়ে নিচ্ছে নির্বিকার চিত্তে। আমরা আমাদের বহমান নদী হত্যা করে, নদীউপকূলের জনপদ হত্যা করে শুধু ভারতের অভ্যন্তরীণ স্বার্থে সড়ক নির্মান করে দেই, এতোটা মেরুদন্ডহীনদের পানির পরিমান দিনে দিনে শুন্যের কোঠায় পৌঁছলে তা অবাক হবার নয়।
দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশের কিছু রাজনৈতিক কৃতদাসদের কাছে, নিজের দেশের স্বার্থের চেয়ে রাজনৈতিক প্রভুদের পিঠ বাঁচানো বেশি জরুরী। নিজের দেশের কৃষক জনতা মরছে মরুক, সাধারন মানুষ যেনো তাদের অমানুষ রাজনৈতিক প্রভুদের প্রতি অঙ্গুঈ নির্দেশ না করে ...
মোস্তফা কামাল ভাই অনুসরনীয়, অনুকরণীয় কাজের উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন-সকল দেশপ্রেমিকদের জণ্য।
সেই একজন দেশপ্রেমিকের অপেক্ষায় পুরো দেশ... সাথে চাই গণজাগরনের জোয়ার। জাতীয় স্বার্থে দল,মত নির্বিশেষে.. মা মাটি মানুষের স্বার্থে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। সকলের ভাবনার ঐক্য- বালীয়াড়ীতে স্বপ্নের প্রাণেরই ইশারা
অসাধারন বলেছেন। যদিও সত্য সবসময়ই তিতা হয়!
৫২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭
নেক্সাস বলেছেন: দেশ ও মাটির মুক্তির কথা বলেনা তথাকথিত দেশপ্রেমিকেরা। দেশপ্রেমিকেরা থাকেন ঐ পুলিশ প্রহরায় এখানে তাদের পাওয়া যায়না। ছোট্ট দেশ নেপাল নিজেদের স্বার্থের প্রয়োজনে যা পেরেছে আমরা তা পারিনা। কারণ এই দেশটা দালালে ভরে গেছে। এক সাময় ছিল পাকিস্তানি দালাল আর এখন ভারতীয় দালাল। এদেশের বুদ্ধি বেশ্যারা, এদেশের সাংঘাতিক সাংবাদিকেরা ভারতের মাশোয়ারা নিয়ে চলে, ওদের নাড়ি পোতা আছে সোনগাছির মাটিতে কাজেই পদ্মা শুকিয়ে গেল তাদের কিছু যায় আসেনা।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা ক্রোধকে ভালবাসায় বদলে দিই।
পথভ্রস্টকে পথের সন্ধান দিই
অচেতনকে চেতনের চেষ্টা করি
কারণে সকলেই কোন না কোন বন্ধ্যাত্বেই ভুল পথে হাটে। তাকে সেই অন্ধুত্ব থেকে আলো দিশা দিলেই বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ফিরে আসার সাফল্যের ইতিহাসই ইতিহাসে দিপ্যমান।
তাই স্বা-জাত্য বোধ, দেশপ্রেম আর মা মাটি মানুষকে ভালবাসার কাজ ব্যক্তি থেকে বন্ধু বন্ধু থেকে চারপাশ , পারপাশ থেকে সারাদেশ ছড়িয়ে পড়ুক প্রেমের আহবানে।
পদ্মা বাঁচাও, নিজেকে বাঁচাও!
৫৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩
বন্দি কন্ঠস্বর বলেছেন: আপনার এই লেখা আমাদের মত সাধারন মানুষের ভিতর অক্ষমতার জন্য ক্ষত বাড়বে। কিন্তু কিছুই হবে না। আগে আমরা তেমন কিছু নিতে না পারলেও অন্ততঃ উজার করে দিতাম না।এখন আমরা শুধু দিতেই জানি।নেয়ার কোনো চিন্তাও করি না।
তার থেকে চলুন আমরা দেখি নতুন কি দিচ্ছি আর গ্যালারীতে বসে হাততালি দেই।
‘শিগগিরই’ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতি পাচ্ছে ভারত
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক বিজনেস লাইনকে বলেছেন, ‘আমরা আশাবাদী যে শিগগিরই চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতের সরাসরি প্রবেশাধিকারের বিষয়টি বাস্তবে রূপ নেবে। আমরা এই প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর’-সহ অন্যান্য দিকগুলো নিয়ে কাজ করছি।
এই প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হলে, ভারতের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরকে একটি ট্রানজিট হাব হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সরাসরি পণ্য পরিবহনের সুযোগ তৈররি হবে। এতে ভারতের তাদের লাখ লাখ ডলার সাশ্রয় হবে।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার এই ক্ষেদ এই আক্ষেপ এই চলমান বাস্তবতা সকলেই অবহিত। শিরোনামেই সেই সত্যকে ছূঁয়ে গিয়েও আশার আহবান জানিয়েছি।
একক অক্ষমতা সামষ্টিক হয়ে গেলে কিন্তু সক্ষমতায় বদলে যায়।
আত্মঘাতি রাজনীতি দেশ জাতি আমজনতা সকলের অকল্যানই বয়ে আনে। আমরা সচেতন হলেই সেই অকল্যান কর্যানে বদলে যেতে পারে।
৫৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০০
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: @মানবী,
উনি যে সমাধানের কথা বলেছেন সেটা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না। উনি বলেছেন বর্ষার পানি ধরে রাখা কথা। উনার লেকচারে উনি সেটাই দেখিয়েছেন। বর্ষা কালে যেখানে এমনিতেই গোটা বাংলাদেশ প্লাবিত হয়, নদী, নালা, পুকুর, ডোবা সকল কিছু পানিতে থৈ থৈ করে; দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকা প্লাবিত হয় সেখানে আপনি পানি কৈ ধরে রাখবেন?
ভারতীয় পরিবেশদিব লেকচারে যে কথা গুলো বলেছে সেগুলো প্রয়োগ করা সম্ভব যে এলাকায় পাহাড়ী নদী আছে; অথবা প্রচন্ড শুষ্ক এলাকা; যেখানে হাতে গুনা কয়েক দিন মাত্র বৃষ্টি হয়। তাই উনি বলেছেন যখনই বৃষ্টি হবে তা ধরে রাখতে হবে।
বুড়ি গঙ্গা নদীতে বাধ দিয়ে পানি ধরে রাখতে পারবেন? কয় মিটার উচু পানির লেভেল বানাতে পারবেন বর্তমান লেভেল থেকে। পার্বত্য চট্রগ্রামের জেলা গুলো বাদ দিলে সমুদ্র সমতল থেকে সব চেয়ে উচু জেলার দিনাজপুর ৩০ মিটার উচুতে অবস্হিত। আপনি তাহলে কোন নদীতে কয় মিটার উচু বাঁধ দিয়ে পানি আটকিয়ে রাখবেন?
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।
রিজার্ভার, বৃষ্টির পানি ব্যবহারের উপদেশ হল গরু মেরে জুতা দানের মতো!
আমাদরে ন্যায্য প্রাকৃতকি অধিকারকে কেড়ে নিয়ে সারফেস ওয়াটার ব্যবহারের পরামর্শ দেয়!!!!!!!!
আমরাও তাই বলি - আমরা সারফেস ওয়াটার ব্যবহার করতে চাই। তোমরা ওটাকে আটকে রেখোনা। স্বাভাবিক চুক্তিমতো প্রবাহকে বইতে দা্ও।
৫৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০২
ভুমিসংকর বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ইসু সামনে এনেছেন । কিন্তু আমাদের কথা সরকারের কান পর্যন্ত পৌছবে না একেবারেই । যদি ছোটখাটো একটা মোভমেন্ট করা যেত, স্বল্প পরিসরে, দশ বারোজন ব্লগার মিলেও, তাহলে ভালো হতো ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুভমেন্টইতো হচ্ছে। চেতনায় আগে মার্চ করাতে হবে।
নচেতনতার বড় অংশ এখন বিকল্প সোশাল সাইটে বরিাজ করে। তাদের সকলের মাঝে চেতনার ঐক্য গড় তুলুন্
আমাদের প্রয়োজন, আমাদের অধিকার, আমাদের ন্যায্যতা, পদ্মার প্রাণের অধিকার, আদায়ে আমাদের উদাসীনতা, আমাদের সরব হবার প্রয়োজনীয়তা, সকলের সম্মিলিত আবেদন, শর্ট মুভি, ফিচার- বিভিন্ন ভাষায়, ডকুমন্টোরী, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এইসব সফট ওয়ার্কের মাধ্যমেই আমাদের হার্ড ভয়েজ রেইজ করতে হবে।
তো শুরু হয়ে যাক। যে যার স্থান থেকে।
৫৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৪
মানবী বলেছেন: মোস্তফা কামাল পলাশ, ধন্যবাদ বিশ্লেষনের জন্য।
আমি এই বিষয়ে নিতান্তই লে ম্যান, কয়েকটি আর্টকেল পড়ে, পরিবেশ বিদদের বক্তব্য জেনে মনে হয়েছে যথেষ্ট না হলেও হয়তো এমন বিকল্প সম্ভব। অবশ্যই আমাদের নদী নালা খাল বিল বর্ষায় প্লাবিত হয়, প্রাকৃতিক রিজার্ভার ব্যবহারের সুযোগ আমাদের নেই। জানা নেই কৃত্রিম রিজার্ভার নির্মান এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ভাবনাটা বাস্তব সন্মত কিনা! আমি কৃত্রিম রিজার্ভারের ব্যাপারটা ভাবতে চাইছি।
আমদের নদী হত্যায় আমাদের নিজদের সরকারের উৎসাহের সীমা নেই, কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের চুপ করাতে এা সময় নেয়না। ছোট্ট দেশ নেপালের যে আত্মমর্যাদাবোধ, দেশপ্রেম আর মেরুদন্ড সোজা করে রুখে দাঁড়াবার ক্ষমতা আছে, দুঃখজনক হলেও সত্য ভৌগলিক অবস্থানের দিক দিয়ে আমরা নেপালের মতো অসহায় অবস্থায় না হওয়া সত্ত্বেও আমাদের ক্ষমতাধরদের পদলেহিতার সুযোগে এরা ভারত নির্দ্বিধায় আমাদের প্রাপ্য অংশ থেকে আমাদের বন্চিত করে চলছে।
এরা জানে, ফারাক্কার পানি অসম বন্টনেও বাংলাদেশ তাদের পায়ের কাছে পিঠ পেতেই রাখবে, তারা জানে সীমান্তে আমাদের যতো হত্যাযজ্ঞ চালাক. বাংলাদেশিরা ভারতীয় পণ্য ছাড়া বাঁচবেনা। তারা জানে আমাদের পানি চুরি করে ওরা নিজেদের বাগান, পার্ককে সমৃদ্ধ করলেও আমরা নির্বিকার চিত্তে পকেটের পয়সা খরচ করে সেসব দেখতে যাবো আর ওদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করবো: আর সেকারনেই আমাদের সাধারন জনতার শত প্রতিবাদের মুখেও ওরা এতোটুকু বিচলিত নয়।
ভালো থাকুন।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একসময় রিজার্ভারের লোকাল বাংলা ভার্সন ছিল খাল খনন কর্মসূচি! কিন্তু তা্ও এখন খুব একটা কার্যকর হবেনা। কারণ মূল ফ্লোটাইতো প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে স্বাভাবকি পানির চাপ, স্তর, সবই নিম্নমূখি। ভুমি ড্রাই হয়ে যাচ্ছে। মরুকরণের দিকে ধাবমান সংশ্লিষ্ট এলাকা।
এ বিষয়ে পলাশ ভাইয়ের মূল্যবান মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
”ছোট্ট দেশ নেপালের যে আত্মমর্যাদাবোধ, দেশপ্রেম আর মেরুদন্ড সোজা করে রুখে দাঁড়াবার ক্ষমতা আছে, দুঃখজনক হলেও সত্য ভৌগলিক অবস্থানের দিক দিয়ে আমরা নেপালের মতো অসহায় অবস্থায় না হওয়া সত্ত্বেও আমাদের ক্ষমতাধরদের পদলেহিতার সুযোগে এরা ভারত নির্দ্বিধায় আমাদের প্রাপ্য অংশ থেকে আমাদের বন্চিত করে চলছে।”
অত্যন্ত্ দু:খজনক। এ অবস্থান থেকে আত্মমর্যাদা, জাতিগত মর্যাদা এবং বিশ্বে বাঙালীর স্বাধীন সার্বভৌমত্বের পরিচয় অক্ষুন্ন রাখতেই যতদ্রুত সম্ভব বেরিয়ে আসতে হবে।
আপনার সক্রিয় অংশগ্রহনে প্রীতবোধ করছি। সাথে থাকুন পদ্মার, বাংলা মায়ের, আত্ম মর্যাদার, স্বাধিকারের দাবীতে।সবসময়।
৫৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩২
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: @মানবী,
যখন ভারত বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে ফারাক্কা বাধ চালুর অনুমতি নেয় তখন কথা ছিলো পদ্মা নদীতে যে পানি প্রবাহিত হয় তার ১৫% প্রত্যাহার করা হবে শুধু মাত্র হুগলী নদীতে পানি নিয়ে কোলকাতা বন্দরের নাব্যতা ধরে রাখা হবে। এখন তারা পানি প্রত্যাহার করে সেচ কাজ শুরু করেছে। পদ্মার পানি প্রত্যাহার করে বাংলাদেশের কৃষি ধ্বংস করে সেই পানি দিয়ে নিজ দেশে রসুন পিয়াজ উৎপাদন করে সেই পিয়াজ বিক্রি করতেছে বাংলাদেশের মানুষের কাছে।
আমেরিকার মহাকাশ গবেষনা সংস্হা নাসা এর Landsat নামক কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট), যা পৃথিবীর ভূমির পরিবর্তন মনিটর করে ও প্রতি ১৫ দিন পর পর পৃথিবীর কোন স্থানের ছবি তুলে সেই ছবি গুলো দেখলে আপনার পিলে চমকে যাবে পদ্মা নদীর উজানে গত ৪০ বছরে ধরে কৃষি জমির শস্যে সবুজ হয়ে উঠছে পশ্চিম বঙ্গ একই সাথে বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চল মরুভূমি।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের রাজনৈতিক দেউিলয়াপনা, ক্ষমতার নোংরা কাড়াকাড়ি আর জনস্বার্থের ক্রম উপেক্ষার ফসল আজেকর এই অবস্থা।
সেই পিলে চমকানো ২টো ছবি কি কষ্ট কের দেবেন। আউএসজিএস-এ গেলাম কিন্তু ১৯৭০ আর ২০১০ এর দুটো তুলনামুলক ছবি পেলাম না। সার্চিং অব্যহত আছে।...
অন্তহীন আন্তরিক ধন্যবাদ
৫৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অসম্ভব কষ্ট লাগলো মৃতপ্রায় নদী দেখে। এরপরেও যারা ভারতে বন্ধুরাষ্ট্র বলে..তাদেরকে কি নামে অভিহিত করা যায়?
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নীচে নেক্সাস ভাই এককথায় বলেছেন...
"সেসব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।
আর তারা সব কিছু উজাড় করে দিয়ে হাতে রাখি বেঁধে হয়েছে দেশপ্রেমিক।
পাগলেও নাকি নিজের স্বার্থ বোঝে বলে একটা বাংলা প্রবাদ আছে। তবে কি তাহারা এর চেয়ে বেশি কিছু
৫৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪
নেক্সাস বলেছেন: পথভ্রস্টকে পথের সন্ধান দিই-----
কিভাবে?
আদৌ কি পেরেছেন?
আমরাতো পাকিস্তানের তাবেদারি করিনি।
আমরা চেয়েছি ভারতের কাছ থেকে আমাদের ন্যায্য হিস্যা আর সৎ প্রতিবেশী সূলভ আচরণ।
কিন্তু
নিজেদের ন্যায্য হিস্যার কথা বলতে গিয়ে আপনি আমি হয়েছি রাজাকার, ভারতবিরোধী।
রেজোয়ানা আলি তনিমা
"এরপরেও যারা ভারতে বন্ধুরাষ্ট্র বলে..তাদেরকে কি নামে অভিহিত করা যায়? "
সেসব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।
আর তারা সব কিছু উজাড় করে দিয়ে হাতে রাখি বেঁধে হয়েছে দেশপ্রেমিক।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একবার না পারিলে দেখ শতবার প্রবাদটা কি ভুলে গেছেন ভাইজান?
যারা তাবেদারীর রাজনিতি করে তারা বুঝে শুনেই করে। তাদের কিন্তু সাধারন আলোচনায়, যুক্তিতে, বুদ্ধিতে পরাস্ত করতে পারবেন না। তারা শার্প এনাফ থাকে অলোয়েজ!
তাদের শেকড়ে জল দিতে হবে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায়!
তাদের ফানুস মূখোশ খুলে দিন। দেশপ্রেমের নামে ভন্ডামীকে তুলে ধরুন। সুশীলপনার আড়ালের সত্যটুকু তুলে আনুন...
ভিডিও গেইমে, রুপকথায় দেখেন না.. মাষ্টার ভিলেনকে মারতে তার আশপাশ .. সাব প্রাণ.. তার চারপাশকে কেটেছেট দিতে হয়.. তারপর মূল এভিলটাকে মারতে হয়...
গেইম রুপকথাগুলো কিন্তু জীবন থেকেই উঠে আসা.. প্রতীকি
৬০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬
নেক্সাস বলেছেন: পথভ্রস্টকে পথের সন্ধান দিই-----
কিভাবে?
আদৌ কি পেরেছেন?
আমরাতো পাকিস্তানের তাবেদারি করিনি।
আমরা চেয়েছি ভারতের কাছ থেকে আমাদের ন্যায্য হিস্যা আর সৎ প্রতিবেশী সূলভ আচরণ।
কিন্তু
নিজেদের ন্যায্য হিস্যার কথা বলতে গিয়ে আপনি আমি হয়েছি রাজাকার, ভারতবিরোধী।
আমরাতো কোন বিভক্তি চাইনা
চাই জাতি হিসেবে একতা।
চাই জাতি হিসেবে যে কোন বহিঃশত্রুর ব্যাপারে ঐক্যমত। হোক পাক হোক ভারত।
কিন্তু দেশের ন্যায্য দাবির কথা বলতে গিয়ে কি ট্রিট পেয়েছেন ভুলে গেলেন কমরেড?
রেজোয়ানা আলি তনিমা
"এরপরেও যারা ভারতে বন্ধুরাষ্ট্র বলে..তাদেরকে কি নামে অভিহিত করা যায়? "
সেসব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি ট্যাগিংয়ের কথা ছাড়ুন। ওটা সাময়িক। আপনার অবস্থানকে দৃঢ় ভাবে ধারন করুন।
দেশ, জাতির প্রশ্নে আপনার ডেডিকেশন যে তাৎক্ষনিকই মূল্যায়িত হতে হবে তাতো কোন শর্ত নেই।
নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে দেখূন -- ব্রিটশ চালে শত বছর চরিত্রহীন লম্পট নানা ট্যাগিংয়ে জর্জরিত করে রেখেছিল।
অথচ ইতিহাসে প্রমাণীত হয়েছে সবই মিথাোরোপ। আজ সিরাও নেই ! ব্রিটিশও নেই।
সত্য কিন্তু সত্যই আছে।
নবাব বাংলার দেশপ্রেমিক শেষ স্বাদীন নবাব হিসাবে সকলের অন্তরে শ্রদ্ধা আর সম্মানে
আর বিতাড়িত ব্রিটিশরা সেই সকল ছল-চাতুরি, মিথ্যাচার, জুলুেমর কলংকিত বোঝা মাথায় নিয়েই গালি হিসাবে- শা.. তুইতো একটা ব্রিটিশরে!!!
আমরা কি এখনো জাতি হতে পেরেছি ভায়া? দুই দলে বা চার, পাঁচ দলে বিভক্ত গোত্রের মতো বিভক্ত হয়েই আছি সবাই। সেখান থেকে ফিরে সবাইকে জাতীয় স্বার্থে এক হতে হবে। দণ, মত নির্বিশেষে। তবেই আমাদের জাতীয় অর্জন হবে সুদৃঢ়!
৬১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩
বৃতি বলেছেন: নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীগুলোর বর্তমান চেহারা দেখলে হতাশ লাগে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা হওয়া জরুরী। সময়োপযোগী পোস্ট। +++
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অল্প কথায় সারাংশটুকু বলে দিলেন।
ধন্যবাদ
৬২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: ছোট বেলাই আমাদের পড়ানো হয়েছিল রবি ঠাকুরের " আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটুজল থাকে"।
দুস্টু লোকেরা বলে রবিন্দ্রনাথ আগে থেকেই জানতো পদ্মার এই দশা হবে।
পোস্ট টির জন্য আনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু, খুব ভাল লাগলো।
মোস্তফা কামাল পলাশ ভাইকে সশ্রদ্ধ সালাম।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দুস্টু লোকেরা বলে রবিন্দ্রনাথ আগে থেকেই জানতো পদ্মার এই দশা হবে। আসলেই দুষ্ট লোক তো
ধন্যবাদ আপনাকেও।
পলাশ ভাই আমাদের প্রেরণা হয়ে রইলেন। সাহসী, সময়োপযোগী নদী অধিকারের পক্ষে ঐতিহাসিক এক দায়িত্ব পালন করে।
৬৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১
নেক্সাস বলেছেন: আমার অবস্থান আমি ধরে রেখেছি ভাই। যশ খ্যাতি গ্রুপ, স্বার্থ কোন কিছুকেই পরোয়া করিনা আমার আদর্শের সামনে।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবশ্যই। নীতি বিসর্জিত হলেতো আর বেঁচে থাকারই কিছূ থাকে না।
আত্ম সম্মান বিসর্জন দিলে যেমন আত্মার পরিচয় বিলীন হয়ে যায়!
৬৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৯
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: নিজেদের সস্তা স্বার্থের কাছে দেশের প্রয়োজনকে বিকিয়ে দিচ্ছে ক্ষমতাশীলরা। দ্বৈতশোষনের অনুভব পাচ্ছি। ওদের দাবি ইচ্ছেই আমাদের অবশ্য পালনীয় কর্তব্যের পর্যায়ে পড়ে যাচ্ছে আরকি। কাউরে কাউরে যদি পানি না খাওয়াইয়ে রাখা যেত তবে পদ্মার অবস্থা টের পেত।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যিই বলেছেন।
কাউরে কাউরে যদি পানি না খাওয়াইয়ে রাখা যেত তবে পদ্মার অবস্থা টের পেত। !!!!
জাগো বাঙালী ২১র অধিকার আদায়ের চেতনায়
জেগে উঠো ফিনিক্সের মতো
ছাইভস্ম থেকে হোক পূর্নজন্ম-
স্বাধীনতা, স্বাধীকার রক্ষার অঙ্গীকারে।
৬৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২১
সুমন কর বলেছেন: পলাশ ভাইয়ের মন্তব্যগুলো এবং আপনার পোস্ট মিলে এক অসাধারণ পোস্ট হয়ে গেল।
তবুও কি এ থেকে সমাধান পাওয়া যাবে !! দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতারা কি এগিয়ে আসবেন !! জানি না, তবুও আশা করতে হয়....
ভালো থাকুন।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সমাধানের জন্য জাগরণ চাই। সবার মাথার ব্যাপক ভাবে এই চিন্তার বীজ ফুলে ফলে পল্লবিত হতে হবে। সকলের ভাবনা যখন সম্মিলিত ভাবে একই ভাবনায় সজাগ হবে -তার পজিটিভ প্রভাবে আমাদের ন্যায্যতার লড়াইটুকুতে ভাল ফলই হবার কথা।
আশাই জীবন- সাথে চাই চেষ্টার নিরন্তর চেষ্টা
৬৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৭
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: আমরা তো পারি, রক্তাক্ত ইতিহাস তো তাই বলে । এখনকার পরিস্থিতি তো অনেক বেশি সহজ এবং স্বভাবিক । কিন্তু এখন কেন পিঁছিয়ে আছি, এখন কীসের এতো ভয় ? বলতে খারাপ লাগছে, আমরা নিজের দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকেই অনিরাপদ ভেবেই সবচেয়ে বেশি ভয় পাই । যাকগে সে কথা ।
অন্যান্য দেশ, গুষ্টি যেখানে নিজেদের অধিকার আদায়ে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে চায় না, সেখানে আমরা বিলিয়ে দিচ্ছি । অন্য দেশের সীমারেখায় অন্যায়ভাবে দখল হয়ে থাকা নিজের দেশের সম্পদ ফিরিয়ে আনতে কোন প্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকা অর্থই পরাজয় । বৃহৎ স্বার্থে সকলের মতৈক্য খুব বেশি জরুরী, সর্বপুরি সমগ্র দেশ এই অর্জনের ভোগকারী হবে। আমরা নিজেদের ভেতরের প্রতিহিংসার কারণে দিন দিন আগানোর বদলে পিঁছিয়ে যাচ্ছি, আগামীর প্রজন্মকে আমাদের জবাব দেয়ার মত কিছু থাকবে না ।
আপনার প্রতিবাদী পোস্ট আশা জাগানীয় । সকলের পক্ষ থেকে সবাই এ আদায়ের জন্য সোচ্চার হবে আশাকরি ।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: <<" অন্যান্য দেশ, গুষ্টি যেখানে নিজেদের অধিকার আদায়ে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে চায় না, সেখানে আমরা বিলিয়ে দিচ্ছি । অন্য দেশের সীমারেখায় অন্যায়ভাবে দখল হয়ে থাকা নিজের দেশের সম্পদ ফিরিয়ে আনতে কোন প্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকা অর্থই পরাজয় । বৃহৎ স্বার্থে সকলের মতৈক্য খুব বেশি জরুরী,"
দারুন বলেছেন। শতভাগ সহমত।
<<কিন্তু এখন কেন পিঁছিয়ে আছি, এখন কীসের এতো ভয় ? বলতে খারাপ লাগছে, আমরা নিজের দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকেই অনিরাপদ ভেবেই সবচেয়ে বেশি ভয় পাই । -এ যেন নিমর্ম প্রহসন!!!
যাদের জাতির বিবেক বলা হয়- সেই মিডিয়ার নিরবতা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটেই করছে কেবল।.. আলোর রেখা দূরা মিলিয়ে যাচ্ছে......যেটুকু অনলাইনে, ব্লগে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তাতেও খড়গ দেবার চেষ্ট নিরন্তর চলছে কখনো এফবি বন্ধ করে কখনো ৫৭ ধারায় কখনো ভিন্ন অন্য কোন মাধ্যমে!!!!!
সকলের পক্ষ থেকে সবাই এ আদায়ের জন্য সোচ্চার হবে আশাকরি ।
আপনাদের সকলের অংশগ্রহন কিন্তু পজিটিভ ইশারই দেখায়- এখনো বিজয়ের আশা নিভে যায় নি !
৬৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৭
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ও যেন কনিষ্ঠা মেয়ে দুলালী আমার!-
সহসা চমকি’ উঠি! হায় মোর শিশু
জাগিয়া কাঁদিছ ঘরে, খাওনি ক’ কিছু
কালি হ’তে সারাদিন তাপস নিষ্ঠুর,
কাঁদ’ মোর ঘরে নিত্য তুমি ক্ষুধাতুর!
পারি নাই বাছা মোর, হে প্রিয় আমার,
দুই বিন্দু দুগ্ধ দিতে!-মোর অধিকার
আনন্দের নাহি নাহি! দারিদ্র্য অসহ
পুত্র হ’য়ে জায়া হয়ে কাঁদে অহরহ
আমার দুয়ার ধরি! কে বাজাবে বাঁশি?
কোথা পাব আনন্দিত সুন্দরের হাসি?
কোথা পাব পুষ্পাসব?-ধুতুরা-গেলাস
ভরিয়া করেছি পান নয়ন-নির্যাস!….
আজো শুনি আগমনী গাহিছে সানাই,
ও যেন কাঁদিছে শুধু-নাই কিছু নাই
দারিদ্র্য, নজরুল
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন অসাধারন এক কাব্যোল্লেখ করেছেন।
সেই অসহায় জায়ার মতোই আমরা আমজনতা কেবলই কেঁদে ফিরি .....
৬৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৪
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: মরণ ফাঁদ ফারাক্কা,
ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও।
হায়! আজকের প্রজন্ম জানেই না এই শ্লোগান কি, কেন?, জানেই না অস্তিত্বের প্রতিবন্ধকতা কোথায়।
আজ ঢাকায় ক্রমাগত বস্তির বিকাশ হচ্ছে, অনেক এনজিও কাজ করছে, কিন্তু মানুষ গুলো কোথা হতে আসছেন, কেন আসছেন তার মূল আলোচনা নেই। নদি কেন্দ্রিক জীবনাচারে সহস্ত্র বছর পার করা পানিজীবি মানুষের ঠিকানার খোঁজ নেই আজ। নেই জলবায়ু পরিবর্তিনের কারনে কৃষি হারানো মানুশের মিছিলের উৎস খোঁজার তাগিদ।
দিনে দিনে দেনা বাড়িয়াছে বহু, শোধিতে হইবে ঋন!
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: <<" ------ মানুষ গুলো কোথা হতে আসছেন, কেন আসছেন তার মূল আলোচনা নেই।
নদি কেন্দ্রিক জীবনাচারে সহস্ত্র বছর পার করা পানিজীবি মানুষের ঠিকানার খোঁজ নেই আজ।
নেই জলবায়ু পরিবর্তিনের কারনে কৃষি হারানো মানুশের মিছিলের উৎস খোঁজার তাগিদ।
মরণ ফাঁদ ফারাক্কা, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও।
সেই মেরুদন্ডটাই যে ভেঙ্গে দিচ্ছে! কর্পোরেট গোলামরা তো স্বাধীনতার মন্ত্র জানেনা- সনাতন ব্রিটিশ কেরানীর মতো;
শুধু বস্তুগত, পোষাকে পরিবর্তনেই বদল আছে- মানসিকতা যেই কে সেই!!
জ্বি হুজুর থেকে ইয়েস স্যার এইতো বদল!!!??
৬৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:০২
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: গজলডোবা ব্যারেজঃ আন্তর্জাতিক নদীর পানি প্রতাহারের কি ভয়ংকর ও কদর্য রূপ!
অনেকদিন আগে তিস্তা এবং গজলডোবা নিয়ে লিখতে শুরু করেছিলাম, শেষ করতে পানি নাই, ড্রাফটে ছিল, আপনার লিখা দেখে মনে পড়লো। লিখাটায় পুর্নতা আনতে হবে।
সচেতনতা ছড়িয়ে দিন।
"সরকার জনগণের বন্ধু নয়"। না, সাবেক বর্তমান কেউ নয়।
কলম চলুক দেশি বিদেশী শত্রুর বিরুদ্ধে!
বিদ্রোহী তুমি হও আগুয়ান।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার লিংকে ঘুরে আসলাম। আমাদের তথাকথিত চেতনার মতোই দারিদ্রতার ছাপ পষ্ট
প্রায় একবছরে পাঠক শূণ্য!!! মাঝে মাঝে কাঁদতে ইচ্ছে করে। !! একটা ফান পোষ্টে কত সহজেই কমেন্টের বণ্যায় ভেসে যায়!
এইরকম জাতীয় গুরুত্বপূর্ন পোষ্টগুলো খালি পড়ে রয়!!!
আপনার লিংকে আমার পোষ্ট আরও সমৃদ্ধ হলো। ধন্রবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আমজনতার সচেতনতাই সরকারকে পরিচালীত করে। আমরাই যদি উদাসীন হই তারাতো পিছলে যাবেই!
নদীতো সরকাররে নয়- নদী জনতার! জনতাকেই জেগে উঠতে হবে -
আপনাদের উৎসাহ, সাহস, ঐক্য নিশ্চয়ই কার্যকর ফল বয়ে আনতে ছোট্ট হলেও ভুমিকা রাখবে।
৭০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪২
মানবী বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু, জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচি সফল হলে আজ ভারতের কাছে এমন নতজানু অবস্থা হতোনা আমাদের। শুধু কি রিজার্ভার! খালখননের মাধ্যমে যেমন বৃষ্টির পানি ধরে রেখে শুষ্ক মৌসুমে কৃষিকাজে পানির অভাব মিটানো সম্ভব হতো তেমনি বছর বছর বন্যার প্রকোপ কম হতো.... খুব সম্ভবত এ দু উদ্দেশ্যেই এমন কর্মসুচী গ্রহন করা হয়েছিলো।
নিজের দেশকে স্বয়ং সম্পূর্ণ, আত্মনির্ভরশীলকরার স্বপ্ন ও উদ্যোগ যে দেশ প্রেমিক নেতা গ্রহন করে তিনি প্রতিবেশী মোড়লের চক্ষুশূল হয়ে উঠবে এমনটাই স্বাভাবিক। দমন নীতি প্রয়োগে প্রয়োজন পরনির্ভরশীল আত্ম মর্যাদাহীন চাটুকারদের।
নিজের পায়ে কুড়াল মারা অভাগা জাতি আমরা, আমাদের দেশ প্রেমিক নেতাদের হত্যা করে আবর্জনা ক্ষমতায় বসিয়ে আত্ম প্রসাদ লাভ করি আর ভীন দেশের পদলেহিতায় আমাদের যতো আনন্দ!
মোস্তফা কামাল পলাশ, এমন বিশ্বাস ঘাতক যে ভারত, কতোটা নির্লজ্জ আর দেশ প্রেম বর্জিত হলে আমরা তারপরও নিজেদের পিঠ এগিয়ে দেই আরি নিপীড়িত হতে! কতোটা দেশ প্রেম বর্জিত হলে আমরা আমাদের আরেকটি নদী হত্যা করে এই বিশ্বাস ঘাতকদের সুবিধার্থে পথ করে দেই!
দেশপ্রেম বর্জিত সরকার তাদের অ্রকর্ম চালিয়ে গেলেই সাধারন মানুষ স্ব স্ব অবস্থান থেকে এর প্রতিবাদ জানাতে পারে।
বাংলাদেশের সকল মানুষ যদি এই অনাচারের বিরুদ্ধে ভারতীয় সকল পণ্য বর্জন করে, ভারত সরকারের টনক নড়তে বাধ্য! ভারতীয় পণ্যের প্রতি আমাদের নির্ভরশীলতা নেপালের চেয়েমবহুগুনে কম, সেখানে নেপাল বুকে দেশপ্রেম ধারন করে ভারতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারলে আমরা কেনো পারছিনা!
ভারতীয় পিঁয়াজ আর পণ্য ছাড়া হয়তো জীবন কিছুটা কষ্টকর হবে তবে খুব সহজেই সম্পূর্ণ ভাবে বর্জন করা যায় ভারত ভ্রমন। শুধু নিজেদের কষ্টার্জিত টাকা এই শোষকদের পায়ে ফেলে আমাদের বন্চিত করে গড়ে তোলা ওদের সৌন্দর্য্য দর্শনের কারন নেই।
বাংলাদেশিরা ভারতীয় পণ্য আর ভারত ভ্রমন সম্পূর্ণভাবে বর্জন করলে সেদিন দূরে নয় যখন LANDSAT পদ্মার এপারের সুন্দর সবুজ সুফলা ভূমির সৌন্দর্য্য ভরা ছবিতে সমৃদ্ধ হবে।
সকলের প্রতি অনুরোধ ভারতীয় পণ্য ভারত ভ্রমন বর্জন করুন...... পদ্মা বাঁচান........ বাংলাদেশ বাঁচান।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: << নিজের দেশকে স্বয়ং সম্পূর্ণ, আত্মনির্ভরশীলকরার স্বপ্ন ও উদ্যোগ যে দেশ প্রেমিক নেতা গ্রহন করে তিনি প্রতিবেশী মোড়লের চক্ষুশূল হয়ে উঠবে এমনটাই স্বাভাবিক। দমন নীতি প্রয়োগে প্রয়োজন পরনির্ভরশীল আত্ম মর্যাদাহীন চাটুকারদের।
নিজের পায়ে কুড়াল মারা অভাগা জাতি আমরা, আমাদের দেশ প্রেমিক নেতাদের হত্যা করে আবর্জনা ক্ষমতায় বসিয়ে আত্ম প্রসাদ লাভ করি আর ভীন দেশের পদলেহিতায় আমাদের যতো আনন্দ!
= এই অবস্থা থেকে উত্তরনে নেতার নয় রাজনীতির নয়- সবার আগে পরিবর্তন চাই আমজনতার। তাদের বিশ্বাসে, স্বপ্নে, চেতনায়, কর্মে দেশপ্রেমের সত্য সঠিক রুপের প্রকাশ ঘটাতে হবে। তাদের দৃঢ়তা দিতে হবে। ভ্যক্তিক পারিবারিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক সকল ক্ষেত্রে প্রচুল কাজ করতে হবে এই ট্রু ফাউন্ডেশন বিল্ডাপে।
তখন আর কেউ দালালী করার সাহস পাবেনা- জনরোষের ভয়ে
কেউ সাহস পাবেনা দেশের স্বার্থবিরোধী ভাবনাও ভাবতে- যে পাবলিক পিষে ফেলবে জানতে পারলে!
কেউ আর সহাস পাবেনা - ক্ষমতায় থেকেও অন্যায় করতে- যে কোনভাবে লিক হলে সকালেই আসন হারাবার ভয়ে।
পণ্য বর্জনের শুধু ডাকের চেয়ে দরকার দারুন এক উপস্থাপনা। এখনতো সেল্ফ প্রোযাকশ্নসের সুবর্ণ সময়। আমরা কত কত ভিডিও আপ হতে দেখছি ইউটিউবে। এই পয়েন্ট অব ভিউতে বহু টাচি ভিডিও আপ লোডানো দরকার। যেখানে এই কষ্ট, এই হাহাকার, কান্নাকে তুলে ধরতে হবে। যাদের জন্য এই যন্ত্রনা- তাদের গানই আমরা গাই..সিরিয়াল দেখি.. চোখের জল ফেলি... আমরা খাই.. আমরা জীবন দেই..
বিভিন্ন টপিকে নিয়মিত বানানো এবং আপলোড করা যায়! যাতে আমাদের মৃত চেতনায় যদি জীবন জাগে....
আমরা বন্ধ করে দেই সিরিয়াল দেখা- আমাদের পদ্মাপারের কিরণমালাদের কিভাবে মারছে তা ভেবে!
আমরা হিন্দি গান শোনা বন্ধ করে দেই শুধু একুশের মাসে নয়- সারাটা সময়- তাদের নিমর্ম প্রকৃতি হথ্যার বাস্তবতা অনুভব করে!
আমরা তাদের পণ্য বর্জন করি মিঠে মিঠে সব বিজ্ঞাপনে প্রলুদ্ধ না হয়ে- সত্যকে জেনে- তাদের এই মূখোশের আড়ালে আছে
আমাদের পদ্মাপারের লোখ কোটি মানুষের, প্রকৃতির, প্রাণ বৈচিত্রের হত্যাকারীর লুকানো নখর, হিংস্র রক্তাক্ত ড্রুকুলার দাত!!
৭১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: লাইনের শুরুর দিকের সবাই যদি নিশ্চুপ দাঁড়ায় থাকে তবে পেছনের দিকের প্রতিবাদও হয়ে ওঠে বিশৃঙ্খলার নামান্তর। ফিনিক্সের পূর্নজন্ম তাহলে কষ্টকর হবে।
হর্তাকর্তারা বন্ধুত্বগুণে মুগ্ধ। নিজের ঝোলা শূন্য হলেও ক্ষতি নেই। তাদের আলিসান ঘরে পদ্মা তো যায় না। আর বিদ্যেবুদ্ধি হাঁটুর ধারে। প্রত্যক্ষ ভুক্তভুগী তো না তারা তাই আমল দেয় না। তবে এতে তাদের বাড়াভাতেই যে ছাই পড়ছে তা মনে হয় বোঝে না।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সমস্যাটাতো ওখানেই।
যারা হবে রক্ষক তারাই হয়ে গেছে দাসানুদাস!
ভাড়াভাতে ছাই দেখবে কি করে? লোভ, ক্ষমতা, অর্থ আর দালালীতে যে চোখ বন্ধ! তাই দেশপ্রেমের আইড্রপ দিয়ে দৃষ্টি খুলে দিতে হবে। অবশ্যই মিডিয়ার ভূমিকা অনেক বেশি।
তবে এখন আশার কথা এটুকই অনলাইনের মুক্ত দুনিয়া তা আর ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক নেই। আর এই সুবিধাটুকুই আমজনতার শেষ ভরসা!
৭২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আচ্ছা এই কাজটা কি করা যায়, ফারাক্কার ভাটিতে বিকল্প এক বাঁধ তৈরি করা যাতে বর্ষায় ফারাক্কা ছেড়ে দিয়ে আমাদেরকে চুবিয়ে মারতে না পারে। আর এতে ভারতের উপর একটা চাপও তৈরি হবে। আপন সলীলে তখন তাকে সমাধি নিতে হবে।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যতটুকু জেনেছি এরশাদ কাকু একবার ট্রাই করেছিল!! ইটা বালুও নাকি পদ্মার পারে চলে গেছিল!
দুর্জনেরা বলে তার ফলেই নাকি- ৯০এর ঘটনা !!!!!
ব্যাপক গণজাগরণ ছাড়া একক বা দলীয় ভাবে এটার সমাধান সম্ভব হবেনা বলেই মনে হয়।
দেশে ব্যাপক জাগরণ একই সাথে বিদেশের প্রযোজ্য মিডিয়াগুলোতে, প্রতিষ্ঠানে, অফলাইন অনলাইন পত্রিকায় নিয়মিত বিয়টির উপর কাজ চারীয় যেতে হবে। পলাশ বাইয়ের উত্তর দিতে যেমন ঐ ভারতীয় বিশেষজ্ঞ অপারগ হয়েছিল- বারবার সকল ক্ষেত্রে তাদের জ্বলন্ত প্রশ্নের মূখোমুখি করতে হবে জ্ঞান, বুদ্ধি প্রজ্ঞা আর নিয়মতান্ত্রিক উপায়েই।
প্রকৃতির প্রতিশোধতো বড়ই নির্মম। নেপাল ভূমিকম্পে এক ঝাকিতে হিমালয়কে ২ ইঞ্চি উচু করে দিয়েছে!!! ...
৭৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৪
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ভালো একটি মুভমেন্ট , এর আগেও দেখেছি আপনি এ বিষয়ে বেশ ভালো কাজ করছেন । ভালো লাগলো , কয়েকটি মন্তব্যও খুব ভালো লেগেছে । ভালো লাগলো এই কারনে যে - সবাই মোটমুটি মৃত অবস্থা থেকে নড়েচড়ে উঠেছে । তবে কানে এখনো পানি যায়নি যে সম্পূর্ণ চেতনায় ফিরে আসবে । চালিয়ে যান আপনি , হয়তো একদিন সম্পূর্ণরূপে জ্ঞান ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হতেও পারেন ।
তবে কি জানেন আমরা( বাংলাদেশ) চলি পাতায় পাতায় আর ইন্ডিয়া চলে শিরায় শিরায় । আমাদের শিরায় শিরায় চলার বিদ্যাটি অর্জন করতে হবে । ইন্ডিয়া যেভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারে বিশ্বের দরবারে আমরা সেটা পারি না । আমরা শুধু দেশের মাটিতে চিৎকার করে রক্ত ভাসাই । চাবিওয়ালা পুতুলের মত নাচি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য - চাবি থাকে চাবিওয়ালার কাছে আর সময় মত ব্যবহার হই আমরা । হতে পারে চাবিওয়ালাও চাবিতেই চলে ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন বলেছেন। ধন্যবাদ।
আমাদের শিরায় শিরায় চলার বিদ্যাটি অর্জন করতে হবে ...
আমাদের পলাশ ভাই যে শুরুটা করেছেন- আশা করি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছটিয়ে থাকা বাকী বাংলাদেশীরাও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ঞয়ে তেমনি জ্ঞান, বিচক্ষনা, সাহস আর যুক্তির মাধ্যমে এভাবেই সত্যকে বিশ্ব দরবারে হাইলাইটস করতে সমর্থ হবেন। যা দেশের জণ্য আলটিমেট পজিটিভ রিজাল্ট বয়ে আনবে।
হুম। চাবিওয়ালাদের নিয়েই যতো গন্ডগোল। তারা মূখোশের আড়ালে একেকটা হিপোক্রেট। উপরে দেশপ্রেম অন্তরালে দেশবিরোধীর চুক্তির কমিশন খায়! সহযোগীতা করে.. ইন্ধন দেয়!
আমরা আমজনতা যদি সত্যই নিজের অবস্থান অধীকার আর শক্তি সামর্থ্য সম্পর্কে সচেতন, অবহিত এবং ব্যবহারের কৌশলটুকু শিখতে পারি- সকল চাবিওয়ালাই পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।
আমার সামান্য প্রচেষ্টা আপনার নজরে পড়েছে জেনে প্রীত বোধ করছি। আসলে ইস্যুটাই এমন- যখনই পদ্শার ছবিতে চোখ আটকে যায় রক্ত খলবল করে ওঠে। নিজেদের অক্ষমতার দীর্ঘশ্বাস আরো ভারী হয়
আর মনে হয়- মুক্তির কোন পথ কি নেই ? দেশের স্বার্তে জেগে ওঠার মতো আর একজন বঙ্গবন্ধূকি আসবে না! যার ভাষনে আবার উদ্দীপ্ত হবে জাতি!!
একজন মাহাথির, একজন লি কুয়ান.. একজন খোমেনি!
সাফল্যের দৃঢ়তায় বিম্বের বুকে বাংলাদেশ নামটাকে সমীহের সাথৈ উচ্চারিত করানোর স্বপ্ন পূরনে করার।
৭৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪১
আলি জুয়েল বলেছেন: ++++++
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ আলি জুয়েল...
পদ্মাকে তথা দেশকে ভালবেসে সাথে থাকায়
৭৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৫৫
নীল রাত বলেছেন: ধন্যবাদ,
সচেতন মূলক পোষ্ট,
এখন তো আমাদের নদী গুলো খালে পরিনত হচ্ছে,
কিছুটা অলরেডি হয়ে গেছে
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমরা অক্ষমতায় চেয়ে চয়ে শুধূ দেখছি খাল হতে হতে মরু মরুভূমি হয়ে যাওয়া!!!!
আমাদের রাজনীতি স্রেফ চেয়ারের!?!?
আমাদের বিদেশনীতি কেবলই তোষামোদের??????
আমাদের সার্বভৌমত্বের উচ্চকন্ঠ নীরব কেন?
আমাদের ২১এর অধীকার আদায়ের চেতনা আনুষ্ঠানিকাতার বালিয়াড়িতে আটকে গেছে?????
নদী হত্যা করে মরুবূমি বানিয়ে
নদী হত্যা করে বুক চিরে রাস্তা বানিয়ে
সকল নদীর সকল অধীকার ছেড়ে দিয়ে
জলজ, প্রানী বৈচিত্র ধ্ভংস করে
নিজেদের ভবিস্যতকে মরুময়তায় ঠেলে
কৃষি, কৃষক আর নদীমাতৃক সবুজ বাংলাকে হত্য করেই কি
ঋন চুকাতে হবে বন্ধুত্বের???????
আর বন্ধু শুধূ নিয়েই যাবে? দেবার বেলায় শূন্য ০০০০০০০০০
না এমন অসম, দেশ আমজনতার স্বার্থ বিরোধী বন্ধ বন্ধু নামের কলংক। আমাদের চাই উইন উইন ফ্রেন্ডশীপ। উভয়ের পারস্পারিক সাম্যাবস্থায় যা বিরাজ করবে ....
৭৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১০
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ ভৃগু ভাই দারুণ একটি বিষয় সবার সামনে তুলে ধরার জন্য। আশাকরি সকলে মিলে ভালো কোন পদক্ষেপ নিতে পারবে।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন ভাই।
ভালো কোন পদেক্ষেপের পরামর্শ দিন। একুশের মাসে হোক আমাদের অধিকার আদায়ের নতুন পথ যাত্রা.. অস্তিত্বের প্রয়োজনে।
৭৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০২
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: একটা বিষয় পরিষ্কার যে, আন্তর্জাতিক পানি চূক্তিতে যে আঞ্চলিক অসমতা আছে সেটি কেবল একটি ট্রিটি দিয়ে সমাধানের বিষয় নয়। মোদ্দা কথা হল ধারাবাহিক নিগোসিয়েশন এ কোন পক্ষ কোন কোন দিকে দিয়ে সামাল দিতে পারছে।কিসের বিনিময়ে কি দিচ্ছে। তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ হল একটা শক্ত মাজা নিয়ে দাড়াবার ক্ষমতা। সেটা সবসময়ই রাজনৈতিক।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: --" ধারাবাহিক নিগোসিয়েশন এ কোন পক্ষ কোন কোন দিকে দিয়ে সামাল দিতে পারছে।কিসের বিনিময়ে কি দিচ্ছে। তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ হল একটা শক্ত মাজা নিয়ে দাড়াবার ক্ষমতা। সেটা সবসময়ই রাজনৈতিক।"
<< সত্য বলেছেন। আর সেই রাজনীতিই যখন একদিকে হেলে পড়ে তখন তার 'মাজা' আবার সোজা করতে চাই ব্যপাক ভিত্তিক গণজাগরন।
দেশের স্বার্থের দিকে যখন রাজনীতি অবহেলা প্রদর্শন করে ব্যক্তি এবং দলীয় প্রাধাণ্য বিবেচনায় নেয়- তখন এই অসহায় আমজনতাই পারে নিজেরা সচেতন হয়ে জেগে উঠে তাদের সোজা পথে ফেরাতে। আর দরকষাকষির ফাউন্ডেশনটাও তখন দৃঢ় ভিত পায়।
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
৭৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৮
বিজন রয় বলেছেন: জাতীয় ইস্যু নিয়ে পোস্ট।
কিন্তু জাতীয় ইস্যু নিয়ে কাজ করার মতো লোক দেশে এখন নাই।
আমি প্রাণ উৎসর্গের কথা বলছি।
পোস্ট দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রাণ দেবার লোকের অভাব নাই। ৭১এ যেমন দেশ আর স্বাধীনতার অর্থটা বুঝতে পেরেছিল- বোঝানো হয়েছি.. লাখো লাখো মানুষ অকাতরে জীবন ইজ্জত কষ্টের সাগর পাড়ি দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।
এখন- বোঝানোর বাজারে উল্টো হাওয়া ! অধিকারে বদলে উপদেশের প্লাবন!
মীরজাফরের হাতে আম্রকাননের ঘটনা গঠলে যেমন সিরাজ অসহায়- দায়ত্বপ্রাপ্তদের শিথিলতায় আমজনতা এখন সিরাজের ভূমিকায়!!
মিডিয়ার দেশ প্রেম নিয়ে প্রশ্নবোধক চিহ্ণ কি খুব অপ্রাঙ্গিক হবে?
তাই এই পিছিয়ে পড়া থেকে স্বাভাবিকতায় আসতে চাই প্রত্যেকের সচেতন ব্যপাত অংশগ্রহনমূলক কাজ। যত ছোটই হোক বা বড়.. একটি পোষ্ট থেকে একটা ডকুমেন্টারী.. যারা বিদেশে আছৈন পলাশ ভাইয়ের মতো তাঁদের একটা ছোট্ট প্রতিবাদও একটা বড় ফাউন্ডেশনের ভিত হতে পারে....
চলুক সর্বাত্বক প্রচেষ্টা-------------------
৭৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: জেগে ওঠো মানুষ, বেঁচে উঠুক তিতাস এই পোষ্টটা দেখতে পারেন। তিতাস নিয়ে আমাদের কাজের সময়।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধার মূর্যবান এক পোষ্টের লীংক দিয়ে পোষ্টের মূল দাবীকেই আরও দৃঢ় করায় অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ধারাবাহিক পডকাষ্টের মাধ্যমে, পোষ্টে, নাটিকায়, সেলফিতে, প্রযোজ্য সকল মাধ্যমে নিয়মিত এই দেশাত্ববোধী চেতনাকে পরিশিলিত করতে হবে। দৃঢ় করতে হবে। সবার দ্বিধাহীন ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যতক্ষন না বেঁচে ওঠে পদ্মা, তিস্তা, তিতাস সহ সকল নদীর প্রাণ প্রবাহ স্বাভাবিকতায়.....
৮০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫২
আহসানের ব্লগ বলেছেন: ভারত কে এর জন্য দায় নিতে হবে । ভারত একদিন কাঁদবেই । হাসবো আমরা । সময় সব কিছু ফিরিয়ে দেয় ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিশ্চয়ই! প্রকৃতির নিজস্ব হিসাবে এর অন্যথার উপায় নেই। কিন্তু সেতো দূরপরাহত!
এর আগে আমাদেরকে আইনত, ন্যয্যত, বিচারিক প্রযোজ্য সকল উপায়ে আমাদের অধিকারের জন্য অনবরত লড়াই চালীয়ে যেতে হবে - বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত।
আমাদের ক্রন্দনরত কৃষক, ফসলের মাঠ, জলজপ্রাণী বৈচিত্রের সকল প্রাণ, নদী, বৃক্ষ সকলের মূখ চেয়ে আমাদের নিজেদের ভবিষ্যতের দিকে চেয়ে, মরুকরণের ভয়ালতা থেকে দেশকে বাঁচাতে.. আমাদের থেমে যাবার কোন পথ নেই।
৮১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৩
মিশু মিলন বলেছেন: ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট, যথার্থ সত্য চিত্র তুলে ধরেছেন। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য এর সুরাহা সহজে হবে বলে মনে হয় না, আমাদের রাজনৈতিক অন্তর্কলহের কারণেও আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের কন্ঠস্বর আপোসকামী, ফলে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। পদ্মার দিকে তাকালে বুক চিড়ে দীর্ঘশ্বাস বের হয়।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা........
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
যেখানে হতাশঅ সেইনেই কিন্তু আশার আলো। যেহেতু আমরা আমাদের কারণটাও চিহ্ণিত করতে পেরেছি- সেখানেই সমাধানের বীজটাও লুকানো আছে।
আর সেজন্যেই চাই ব্যাপক গণজাগরন। এটা সমাবেশ মিছিল বা লংমার্চে নয়- চেতনায়। ন্যায় অধিকারের, নিজের প্রয়োজনের, ভবিষ্যতের বেঁচে থাকার বাস্তবতাটাকে তীব্র ভাবে হৃদয় থেকে হৃদয়ে ছড়িয়ে দিয়ে জেগে ওঠার।
আমি যখন বুঝতে পারব- তখন দলীয় সংকীর্নতা ভাঙার চাপটাও আমিও দেব, আপনিও দেবেন, রহিম, করিম, ..লাখো কোটি আমজনতা..সকলেই ......
তখনই বদলে যাবে চিত্র!
সারা বিশ্বে চলছে মিডিয়া ক্যাফ্লাজ! তথ্য বিকৃতি, তথ্য গোপন, ম্যানিপুলেশন...
আমরাও তার বাইরে নই।
মেইনস্ট্রীম মিডিয়ার দেশপ্রেম যখন কালার ব্লাইন্ড তখন আমজনতাকেই রংয়ের তুলি নিয়ে কাঁচাহাতেই ঝাপিয়ে পড়তে হবে!
তথ্যের সঠিক উপস্থাপনাই বিশ্বাসকে নাড়া দেয়, চেতনায় ঢেউ তোলে..
তাই সত্যকেটাবে নিরেট সত্যের মতো করেই বারবার তুলে ধরে বাস্তবটা সকলের সামনে তুলে ধরুন, দেশে বিদেশে, আলোচনায়, টকশোতে, সেমিনারে, পডকাষ্ট, সেল্ফ ভিডিও, শর্টফিল্ম, ফটোব্লগ, শিল্পির তুলিতে আঁকা ক্যানভাস, কবির কবিতায়, শিল্পীর গানে.... সমস্যার ব্যাপকতার মতো সমাধানেরও চাই সম ব্যকুলতা...
ইনশাল্রাহ ফল ফলবেই....
৮২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৯
জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন: বিশ্বায়নের যুগে এটা মহা বিস্ময় মনে হলেও পুরো পৃথিবী জুড়ে উন্নত দেশ গুলো তাদের আসে পাশের দেশ গুলোকে কোন না কোন ভাবে চুষে খাচ্ছে।ভারতও এর বাহীরে নই। ওদের সুবিধের জন্য ওরা করছে আর আমাদের গুটিকয়েক সুবিধাভোগীদের জন্য আমরা ধ্বংস হচ্ছি। কিভাবে সম্ভব কিছুই মাথায় আসছেনা। কিন্তু খুব কষ্ট হচ্ছে আপনার পোষ্টটি দেখার পর থেকে । উন্মাদ রাজনৈতিক ব্যাক্তি বর্গের সুমতি যদি কখন ফিরে তাহলে দেশকে ভালোবাসা আপনাদের মত মানুষের কোন চাওয়ায় অপূর্ণ থাকবে না।
বিষয়টি সকলের সামনে তুলে আনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি স্রষ্টা-সুদন; শোক-তাপ হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন।
আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদ-চিহ্ন!
আমি খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের গুটিকয়েক সুবিধাভোগীদের জন্য আমরা ধ্বংস হচ্ছি।
পাকি আমলে যেমন কথিত ২২ পরিবার ছির শৌষনের কত্তা! এখন স্বাীন বাংলাদেশেও একই চিত্র দেখি- অংকটা বদলে গিয়ে বেড়ে গেছে বহুগুন,.. পাকিদের আত্মাঅলা চেহারাগুলো দেশী ব্রান্ডিং মারা!!!! শোষন লুটের ধারা একই!
স্রেফ গতবছরের ব্যাংকের হিসাব ৭৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার! ভাবতেও অবাক লাগে নয়? অথচ আমাদের তথাকথিত দেশপ্রেমিক মিডিয়াগুলোর ভূমিকা দেখূন। যাদের এক কলমের খৌঁচার সারা দেশ জেগে ওঠে তারা অদ্ভুব কারণে কুম্ভর্কণের নিদ্রাচ্ছন্ন!!!!
জাতীয় স্বার্থ আর দলীয় স্বার্থের বিভাজন তারা বোঝেনা এটা কি বিশ্বাস করতে বলেন???
তাহলে বাকী রইল কি? তারা বিক্রি হয়ে গেছেন। হয় ভয়ে, নয় স্বার্থে, নয় লোভে.. কোন একটাতো হবেই!
আল্লাহ আমাদের আমাজনতাদের মুক্তি দিন নব্য দেশী লুটেরা, শোষক শাসকদের, দেশপ্রেমহীন চক্রের হাত থেকে - ৭১ এর মতো...
চেতনায় ..নজরুলের দ্রোহ বড় বেশী প্রয়োজন
++++++
৮৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৪০
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: মানবতার উন্মেষ একটা স্বতস্ফূর্ত বিষয় হওয়ার কথা ছিল। হায়।
আমার কিছু বলার নেই। চোখ একটু ভিজে উঠেছিল। সামলে নিয়েছি। প্রিয় ভাই কৃতজ্ঞতা, বিষয়টা তুলে ধরার জন্য। মহান প্রভু সবার কল্যাণ করুন।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার আন্তরিক আবেগটুকু ছুঁয়ে গেল।
এখন আবেগকে শক্তি বানানোর সময়। আপনার দারুন লেখনির হাত হয়ে উঠুক জনসচেতনতা বাড়ানোর যোগ্য অস্ত্র। অসির চেয়ে মসি শক্তিশালী এতো মিথ্যে নয়।
ভাবনার জোয়ারে ভেসে যাক চেতনার চরে আটকে থাকা যত স্বার্থান্ধতা, দলাদলি, সংকীর্নতা....
মহান প্রবূর কল্যানের আশায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যহত থাকুক নিরন্তর।
৮৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১২
আহসানের ব্লগ বলেছেন: পানির অভাবে গত বছর ই তো তিন হাজার লোক মারা যায় ।ওরা আরও চুরি করুক । উত্তর ওরা পাবেই ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সকল স্বেচ্ছাচারতিার পরিণতি মন্দিই হয়। তাদেরও হবে।
তাই ওদের আরো চুরি করতে দেবেন কেন? ওদের চুরি কন্টিনিউ হওয়া মানেতো আপনার মরুকরণ আরো দ্রুত হওয়া, পদ্মার সাথে সাথে আরো ক্ষীনপ্রান গুলোর্ও নিশ্চিত মৃত্যু!!!!
তাই আর অবহেলা নয়, সময়ের প্রয়োজনে, নিজেদের তাগিদে, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য, প্রকৃতরি সন্তান হিসেবে প্রকৃতির দায় শোধ করতে -সকলেই জেগে উঠুন অধিকার আদায়ের চেতনায়।
৮৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫
আহসানের ব্লগ বলেছেন: সহমত
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ আহসান ভাই ..
৮৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: ডাকাত সর্বত্র তবে তাকে ডাকাতি করতে না দেয়াটাই বুদ্ধিমানের লক্ষন। আমরা ভানু ব্যানার্জীর মত খালি যদি ভাব দেখাই 'দেখি না কি করে' তাহলে তো এটাই হবে! দুই বাংলাতে নদীর পারে গেলে বড় কস্ট হয়।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ডাকাতি ঠেকাতে চাই সচেনতনতা। ব্যাপক মাত্রায়।
ভানুতো শুধু দিকিনা দিকিতে ছিল!
এরাতো ভানুর বড় দাদা মনে হয়- উল্টো এগিয়ে দেয়- দাদা এটাতো নিলেননা.. ভাড়া চাইলে অভদ্রতা, জল চাইলে কি?
নদী পারে গেলে হাসির দিন আসুক দ্রুত।
৮৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৩
পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: অসাধারণ সংকলন। আমি পদ্মা পাড়ের মানুষ। আমাদের কষ্টটা আরো বেশি! চোখের সামনে পদ্মা পাড়ের মানুষগুলি জীবন-জীবিকার সম্বলটিকে মরে যেতে দেখছে। কেউ কিছু করছে না। অথচ এই গঙ্গা চুক্তি করেই একসময় নোবেল আশা করা হচ্ছিল! এখন আর চুক্তি নিয়ে কোন কথা শুনি না। ব্লগের চিহ্নিত দালালগুলিকে দেখলাম না কোন মন্তব্যে! এরা কি আত্মাও বন্ধক দিয়েছে নাকি!
মোস্তফা কামাল পলাশ ভাইকে অভিনন্দন সাহসী ভূমিকার জন্য। দালালরা জানে যতদিন বাংলা মায়ের এরকম দামালছেলে একজনও বেঁচে থাকবে, ততদিন এই বাংলাকে পদানত করা সম্ভব নয়, যতই দালালী করুক না কেন!!!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নদী হত্যার চুক্তিতে নোবেল?????
তাদের স্বপ্নও তাদের বাস্তবতার মতো ফাউন্ডেশনহীন! যে জন্য আজকে নির্বাচনে ভয়! জনতাকে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে ঠেকায়ে রাখা!! পদ্মা সহ ৫৪ নদীর অধিকারে এমন নির্লিপ্ত আত্মঘাতি হয়ে কেউ বিশ্বের অন্য কোন দেশে রাজনীতি করতে পারত কিনা সন্দেহ!
এরা কি আত্মাও বন্ধক দিয়েছে নাকি! সন্দেহ এখনো? কোন সন্দেহাতীত সত্য । নিজের দেশ, মা মাটির সাথে বেঈমনাী কারো পক্ষে সম্ভব!!!
কোন অজুহাত, কোন (কু) যুক্তি! কোন ভাবেই সম্ভব নয়। অথচ তারা তাও করে।
মোস্তফা কামাল পলাশ - আজকের প্রজন্মের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা।
যতদিন বাংলা মায়ের এরকম দামালছেলে একজনও বেঁচে থাকবে, ততদিন এই বাংলাকে পদানত করা সম্ভব নয়।
পদ্মা পারের মানুষের কাছে আমাদের দাবী আরও বেশি। কষ্টগুলোকে বেশি বেশি তুলে ধরুন। ছবিতে, তথ্যে, সংবাদে, যেভাবে সম্ভব সব ভাবে। তথ্য বিপ্লবের সময়ে তথ্য চাই সব সময়। আপডেটেড তথ্য।
৮৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১১
নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর পোষ্ট
নাগরিক জীবনে অনেক কিছু জানার
পোষ্টে ভাললাগা
++++++++++++++
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
এই নাগরকি জীবন অচল হয়ে যাবে যদি দেশের প্রাণ নদী ক্রমাগত মরতে থাকে। নদী বাচঁলে দেশ বাঁচবে, দেশ বাঁচলে নগর.।
নাগরিক দায়িত্বে হয়ে উঠুন সোচ্চার.. নদীর, দেশের নাগরিকের অধিকারকি চেতনায়
ভাললাগায় অনেক ধন্যবাদ।
৮৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৮
জেন রসি বলেছেন: এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনেকেরই চোখ এড়িয়ে যায়। আমি নিজেও সেই দোষে দোষী। কিন্তু এসব আসলেই ভুরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সাথে সম্পর্কিত। আমাদের দেশের শাসক গোষ্ঠী আসলে ঠিক কেমন আর্থ সামাজিক কাঠামো রাখতে চায় সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। এবং কেন তারা একটা নির্দিষ্ট কাঠামোতে আবদ্ধ হয়ে গেল সেসব নিয়েও ভাবতে হবে।
চমৎকার পোস্ট।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার ভাবনার পয়েন্টগুলো সবই গুরুত্ববহ।
আবার সকল ভাবনার উজ্জিবনী গণমানুষের চাহিদা! তাই আমজনতার সচেতনতা খুবই জরুরী।
শাসক গোষ্টির দৃষ্টি আকর্ষনের জন্যও দরকার গণ মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহন মূলক সচেতনতা। পদ্মা বাঁচাও ইসু যখন সকলের ভাবনায় থাকবে তখন আইন প্রণেতারাও তা নিয়ে ভাবতে বাধ্য হবে। নীতি নির্ধারনীতে তার প্রভাব পড়বে।
সমুদ্রের মতো প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালত থেকেই হোক ফায়সালা।
অনেক ধন্যবাদ।
৯০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৩
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: জরুরী একটা বিষয়ের খুব সুন্দর উপস্থাপন। পড়ার সময় মনে হল লাইভ ডকুমেন্টারি দেখলাম। এখানেই লেখকের সফলতা
আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কি আমাদের ক্ষমা করবে?
আমাদের প্রাণ নদীমাতৃক বাংলার প্রধান প্রাণের মৃত্যুতে আমরা কেবলই দর্শক হয়েই থাকব!!
ভাল লাগলো , অভিনন্দন।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
চলুন সবাই যার যার স্থান থেকে এই দায়টুকু ভাগ করে নেই- দেশ, মাটি নদীর টানে। যতক্ষন না সফল হই তার প্রাণ প্রবাহের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে।
ধন্যবাদ সতত।
৯১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৪
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ঠিক তাই, একাজের জন্য একজন কে প্রথম এগিয়ে আসতে হবে । তাঁর দেওয়া নির্দেশনাতে পরবর্তী পথ চলা ঠিক করতে হবে।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তো হয়ে যাক আপনার নিপুন ভাবনায় পদ্মার জন্য এক কষ্টের কাব্য গাথা!
পলাশ ভাইয়ের মতো আপনারা যারা বাইরে আছেন- ছোট ছোট চেষ্টাই হয়তো আমাদের দিতে পারে বিরাট সাফল্য। ছোট হাতুড়ির ছোট ঘায়ে যেমন বিশাল ভবন ভাঙ্গা যায়!
কবিতায় হোক প্রতিবাদ। জাগরণ। ঘুম ভাঙ্গানির আহবান।
৯২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৪
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: তবে তাই হোক । এভাবে কখনো চিন্তায় আসে নাই । আপনি আমাকে নতুন ভাবনা দিলেন , অনেক ধন্যবাদ । আমি লিখব ।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম।
আমরা সকলে।
৯৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: জেন রসি বলেছেন: এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনেকেরই চোখ এড়িয়ে যায়। আমি নিজেও সেই দোষে দোষী। কিন্তু এসব আসলেই ভুরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সাথে সম্পর্কিত। আমাদের দেশের শাসক গোষ্ঠী আসলে ঠিক কেমন আর্থ সামাজিক কাঠামো রাখতে চায় সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। এবং কেন তারা একটা নির্দিষ্ট কাঠামোতে আবদ্ধ হয়ে গেল সেসব নিয়েও ভাবতে হবে।
চমৎকার পোস্ট।
আমার চোখ এড়িয়ে না গেলেও পড়ব পড়ব করে আসলে পড়া হয়নি। আমাদের আম-কাঁঠাল জনতাকে এই পোস্টটি পড়ানো দরকার ছিল। খালি মুখ দিয়ে দেশ স্বাধীন, মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম করলে তো কিছুই হবে না। কত দিকে যে আমাদের হাত দিতে হবে, কত কাজ বাকি আছে, কত পদক্ষেপ নেয়া বাকি আছে। আমরা নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারি নি। যেভাবে দরকার ও প্রত্যাশা ছিল। আসলেই দুর্ভাগা জাতি আমরা।
পানির জন্য আগামিতে সংকট হবে সেটা নিশ্চিত। এখনো যে পানি সংক্রান্ত সংকট নেই যে তাও না। আমাদের অনেক বিশাল এলাকার উর্বরতা ও মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে গেছে। আরো হবে ও হচ্ছে।
দেশ-মাত্রিকার টানে এক হতেই হবে। তা নাহলে আমাদের বিপদ নিশ্চিত।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একেবারে না পরার চেয়ে -দেরীতে হলেও চোখে তো পড়েছে!
ধন্যবাদ।
দারুন বলেছেন-
খালি মুখ দিয়ে দেশ স্বাধীন, মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম করলে তো কিছুই হবে না। কত দিকে যে আমাদের হাত দিতে হবে, কত কাজ বাকি আছে, কত পদক্ষেপ নেয়া বাকি আছে। আমরা নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারি নি। যেভাবে দরকার ও প্রত্যাশা ছিল। আসলেই দুর্ভাগা জাতি আমরা।
পানির জন্য আগামিতে সংকট হবে সেটা নিশ্চিত। এখনো যে পানি সংক্রান্ত সংকট নেই যে তাও না। আমাদের অনেক বিশাল এলাকার উর্বরতা ও মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে গেছে। আরো হবে ও হচ্ছে।
দেশ-মাত্রিকার টানে এক হতেই হবে। তা নাহলে আমাদের বিপদ নিশ্চিত।
আমরা যত দ্রুত অনুভব করব এই সত্য- ততই দ্রুত হবে আমাদের মুক্তি উন্নতি অগ্রগতি। নিরাপদ হবে অর্থবহ হবে
আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,
ধন্যবাদ জানাই মানুষের সচেতনতা বাড়াতে এরকম একটি পোষ্টের জন্যে ।
আপনার এই লেখ্য বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যের কারনে আমার দুটি পোষ্টের লিংক দিলুম ----
“এখানে এক নদী ছিলো”
এখানে এক নদী ছিলো .........ছবি ব্লগ