নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রায় সোয়া দুই কোটির বেশী মানুষের বাস রাজধানী ঢাকায়।
শত শত বছরের পুরোনো এই শহরে সময়ের সাথে সাথে মানুষের জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে সব বিষয়েই ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। ঢাকাবাসীর জীবনযাত্রার পরিবর্তন, তৈরি হওয়া বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা - শব্দ দূষন।
যে শব্দে মানুষ ও প্রাণী ক্ষতির শিকার হয় তা-ই হলো শব্দ দূষণ। শব্দ দূষণ হলো পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। অপ্রয়োজনীয় উচ্চ শব্দের কারণে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও বিশ্বব্যাংক পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে বিশেষ করে ঢাকায় ৩০টি কঠিন রোগের উৎস ১২ ধরনের পরিবেশ দূষণ। আর এর মধ্যে অন্যতম হলো শব্দ দূষণ। মানুষের জন্য শব্দের সহনীয় মাত্রা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারণ করেছে ৪৫ ডেসিবেল।
উল্লেখ্য, ডেসিবেল হচ্ছে কোনো শব্দ তরঙ্গের চাপ যদি এক সেকেন্ডে এক গ্রাম ওজনবিশিষ্ট কোনো বস্তুকে এক সেন্টিমিটার দূরত্বে সরিয়ে দিতে পারে তাহলে সেই পরিমাণ শব্দ চাপকে এক ডেসিবেল বলা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, নিয়মিত শ্রবণে সাধারণত ৬০ ডেসিবেল শব্দের তীব্রতায় মানুষ সাময়িক বধির এবং ১০০ ডেসিবেল স্থায়ী বধির হয়ে যেতে পারে। এছাড়া শব্দ দূষণের কারণে টিনিটাস বা শ্রবণশক্তি হ্রাস, উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়মিত হƒদস্পন্দন, মাথা ধরা, বদহজম, অজীর্ণ, পেপটিক আলসার, ফুসফুসের রোগ, দুশ্চিন্তা, উগ্রতা, অনিদ্রা, ভুলোমন, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, অবসাদগ্রস্ততা ইত্যাদি নানা মানসিক রোগে ঢাকার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদফতরের পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬-এর গেজেটের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এই আইনে হাসপাতাল, ক্লিনিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পার্শ্ববর্তী ১০০ মিটার এলাকাকে নীরব এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। নগরীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে মিশ্র এলাকা, আবাসিক ও বাণিজ্যিক এবং অন্যান্য এলাকার জন্যও আইনে শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নীরব এলাকায় শব্দের মাত্রা দিনে ৪৫ ও রাতে ৩৫ ডেসিবেল, আবাসিক এলাকায় দিনে ৫০ ও রাতে ৪০ ডেসিবেল, মিশ্র এলাকায় দিনে ৬০ ও রাতে ৫০ ডেসিবেল, বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ৭০ ও রাতে ৬০ ডেসিবেল এবং শিল্প এলাকায় দিনে ৭৫ ও রাতে ৭০ ডেসিবেল।
আইনে নীরব এলাকার ১০০ মিটারের মধ্যে হর্ন বাজানো, আবাসিক এলাকার ৫০০ মিটারের মধ্যে ইট বা পাথর ভাঙার যন্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ। কোনো উৎসব, সামাজিক বা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে মাইক, এমপ্লিফায়ার ব্যবহার করতে হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন। আইন ভঙ্গকারীর জন্য কারা ও অর্থ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য জনবহুল শহরে শব্দ দূষণের প্রধান কারণ, যানবাহনের জোরালো হর্ন, ইঞ্জিনের ও নির্মাণ কাজের শব্দ এবং ভবন ভাঙার শব্দ। আরো শব্দ দূষণ ঘটছে মূলত যানবাহনে ব্যবহূত হাইড্রোলিক ভেঁপু অথবা মাইক্রোফোন অথবা শ্রুতি বাদন যন্ত্র (ক্যাসেট পেয়ার) দ্বারা। বাস, ট্রাক এবং স্কুটারে ব্যবহূত হাইড্রোলিক ভেঁপু শহরের জনপূর্ণ সড়কে চলমান নারী-পুরুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়।
ঢাকা শহরের শব্দ দূষণ এভাবেই প্রতি মুহূর্তে হাজার হাজার শিশুর শ্রবণ ক্ষমতাকে ধ্বংস করছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি তিন বছরের কম বয়স্ক শিশু কাছাকাছি দূরত্ব থেকে ১০০ ডিবি মাত্রার শব্দ শোনে, তাহলে সে তার শ্রবণ ক্ষমতা হারাতে পারে। শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অন্যান্য উপাদানগুলো হলো বেতার, টেলিভিশন, ক্যাসেট পেয়ার ও মাইক্রোফোনের উচ্চ শব্দ; কলকারখানার শব্দ এবং উচ্চ মাত্রার চিৎকার, হৈচৈ, গোলমাল। শব্দ স্পন্দনের একক হল হার্টজ। মানুষ সাধারণত ১৫ থেকে ২০ কিলোহার্টজ (কেএইচজেড) স্পন্দনের শব্দ শোনে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতানুসারে, সাধারণত ৬০ ডিবি শব্দ একজন মানুষকে সাময়িকভাবে বধির করে ফেলতে পারে এবং ১০০ ডিবি শব্দ সম্পূর্ণ বধিরতা সৃষ্টি করতে পারে। সেক্ষেত্রে হিসাব করে দেখা গেছে যে, ঢাকা শহরের যেকোন ব্যস্ত সড়কে সৃষ্ট শব্দের মাত্রা ৬০ থেকে ৮০ ডিবি, যানবাহনের শব্দ মিলে তা ৯৫ ডিবিতে দাঁড়ায়; লাউড স্পিকারের সৃষ্ট শব্দ ৯০ থেকে ১০০ ডিবি, কল কারখানায় ৮০ থেকে ৯০ ডিবি, রেস্তোরাঁ এবং সিনেমা হলে ৭৫ থেকে ৯০ ডিবি, মেলা-উৎসবে ৮৫ থেকে ৯০ ডিবি, স্কুটার বা মটরসাইকেলের ৮৭ থেকে ৯২ ডিবি এবং ট্রাক-বাসের সৃষ্ট শব্দ ৯২ থেকে ৯৪ ডিবি। কিন্তু শব্দের বাঞ্ছনীয় মাত্রা হলো: শয়নকক্ষে ২৫ ডিবি, বসবার ও খাবার ঘরে ৪০ ডিবি, কার্যালয়ে ৩৫-৪০ ডিবি, শ্রেণীকক্ষে ৩০-৪০ ডিবি, গ্রন্থাগারে ৩৫-৪০ ডিবি, হাসপাতালে ২০-৩৫ ডিবি, রেস্তোরাঁয় ৪০-৬০ ডিবি এবং রাত্রিকালে শহর এলাকায় ৪৫ ডিবি।
যখন শব্দ এই সীমা অতিক্রম করে তখনই শব্দ দূষণ ঘটে। সীমার বাইরের শব্দ দূষণ শ্রবণ ক্ষমতা ধ্বংস করে, যা কারো মানসিক ভারসাম্যকেও বিনষ্ট করতে পারে। শব্দ দূষণ খিটখিটে মেজাজ সৃষ্টিরও কারণ, এছাড়া এর দ্বারা ফুসফুস আক্রান্ত হয়, শিশুদের বুদ্ধিমত্তা বাধাগ্রস্ত হয় এবং তাদের লেখাপড়ায় উদাসীন করে তোলে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের জরিপ অনুসারে বাংলাদেশের জন্য যথার্থ শব্দমাত্রা শান্ত এলাকায় দিবাভাগে ৪৫ ডিবি ও রাত্রিকালে ৩৫ ডিবি, আবাসিক এলাকায় দিবাভাগে ৫০ ডিবি ও রাত্রিকালে ৪০ ডিবি, মিশ্র এলাকায় (আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকা) দিবাভাগে ৬০ ডিবি ও রাত্রিকালে ৫০ ডিবি, বাণিজ্যিক এলাকায় দিবাভাগে ৭০ ডিবি ও রাত্রিকালে ৬০ ডিবি এবং শিল্প এলাকায় দিবাভাগে ৭৫ ডিবি ও রাত্রিকালে ৭০ ডিবি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের অপর একটি জরিপে দেখা যায় ঢাকা শহরের বিভিন্ন অংশে শব্দ দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। জরিপে চিহ্নিত করা হয়েছে দিবাভাগে শাহীন স্কুল এলাকায় এ মাত্রা ৮৩ ডিবি ও রাত্রিকালে ৭৪ ডিবি, মতিঝিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে দিবাভাগে ৮৩ ডিবি ও রাত্রিকালে ৭৯ ডিবি, ধানমন্ডি সরকারি বালক বিদ্যালয়ে দিবাভাগে ৮০ ডিবি ও রাত্রিকালে ৭৫ ডিবি, আজিমপুর মহিলা কলেজে দিবাভাগে ৮০ ডিবি ও রাত্রিকালে ৭৪ ডিবি, তেজগাঁও মহিলা কলেজে দিবাভাগে ৭৫ ডিবি ও রাত্রিকালে ৬৭ ডিবি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবাভাগে ৮২ ডিবি ও রাত্রিকালে ৭৪ ডিবি, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দিবাভাগে ৮০ ডিবি ও রাত্রিকালে ৬৯ ডিবি, মিটফোর্ড হাসপাতালে দিবাভাগে ৭৫ ডিবি ও রাত্রিকালে ৭৩ ডিবি এবং শিশু হাসপাতালে দিবাভাগে ৭২ ডিবি ও রাত্রিকালে ৬৯ ডিবি।
শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ এ হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বা একই জাতীয় অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এবং এর চারপাশের ১০০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নীরব এলাকায় চলাচলকালে যানবাহনে কোনো প্রকার হর্ন বাজানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ আইন লংঘন করে এসব প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে চলছে ফিটনেসবীহিন সব গাড়ি আর সেই সাথে বাড়ছে শব্দ দূষনের মাত্রা।
@ শব্দ দূষনের জন্য চাই আরও ব্যাপক মিডিয়া কাউন্সিলিং।
@ চাই গাড়ীর মালিকদের সচেতনতা।
@ চাই ড্রাইভারদের জন্য কর্মশালা!
@ অডিও ভিডিও, প্রেজেন্টেশন।
@ ব্যাপক প্রচারণা।
@ নিয়মিত গাড়ীর হর্ণ চেকআপ,
@ ফিটনেস পরিক্ষাকে দূর্নীতি মুক্ত করা।
@ গাড়ীর পার্টস বিক্রির দোকান গুলোতে তল্লাশি, আমদানীর সময় মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া.. তার অতিরিক্ত মাত্রার হর্ণ জব্দ করা। হাইওয়ে কারের জন্য অনুমোদন সাপেক্ষে তা ব্যবহার। আবার শহরাঞ্চলে তার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ। যানজটেই হোক বা সাধারন চলমান সময়ে কম হর্ণ ব্যবহারের উৎসাহ, প্রণোদনা, রাজনৈতিক সভা সমাবেশে মাইক ব্যবহারের লাগাম। সর্বোপরি ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যপক সচেতনতা তৈরি।
এতো গেল তত্ত্ব এবং তথ্যগত দিক। এই বাইরে যেটা আমরা অনুভব করি আমাদের মানসিক গ্রহণ বর্জনের ইচ্ছাও প্রভাবক হিসাবে কম গুরুত্বপূর্ন নয়। যেমন আমি যখন কনসার্টে যাই মনকে তৈরী করেই নিয়ে যাই বিশাল শব্দ তরঙ্গে ভাসব বলে- তখন শব্দটা আর আমার জন্য পীড়াদায়ক হয়না। অথচ একই সময় তা অন্যের জন্য তেমনি হতে পারে। অনুষ্ঠানে, আতশ উৎসবে আমরা বিরক্তির বদলে আনন্দ অনুভব করি। আমাদের গ্রহণ বর্জনের মাত্রাটা তখনকার জন্য বদলে যায়। যার জন্য তা আমাদের পীড়া না দিয়ে আনন্দ দেয়।
একই বিষয় আমাদের মান্যবর ইত্তেফাক সম্পাদক সাহেবার বিবৃতি সম্পর্কে প্রযোজ্য। এই দেশের ৮০-৯০ ভাগ মানুষের ধর্ম বিশ্বাসের কারণেই আজান সমধুর হিসাবেই গৃহিত। তাই তা প্রচলিত দূষন সংগায় পড়েনি.. পড়েনা। কারণ আমাদের মানসিক মাত্রায় তার জন্য গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
এখন সেই গ্রহণ যোগ্যতা একজন অবিশ্বাসীর মাঝে থাকবেনা এটাই স্বাভাবিক। (আমাদের আলোচিত সম্পাদিকা কি ভিন্ন বিশ্বােসর!!! ?? ) কিন্তু তাই বলে সামাজিক সহনশীলতা, সাম্যতা স্থিতাবস্থাকে ভূলে গেলে অসম্মান করলে চলবে কেন? যেমন আমরা পূজোর দিনের ব্যাপক বাজনায় দেশবাসী বিরক্ত হইনা, যেমন মন্দিরের ঘন্টা ধ্বনি দূষনের আওতায় পড়ে না। যেমন গীর্জার ঘন্টা! তেমনি আজানও।
তাই অযথা বির্তকিত হতে চাওয়ার মানসিকতা না থাকলে এই ধরনের বিবৃতি সামাজিক অশান্তি আর বিরক্তিই সৃষ্টি করে কেবল। বৈতো নয়!
পোষ্টে তথ্য সহায়তা কৃতজ্ঞতা:
গুগল
বাংলাপিডিয়া
বিডিএনভায়রনমেন্ট.কম
বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও ।
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি যখন কনসার্টে যাই মনকে তৈরী করেই নিয়ে যাই বিশাল শব্দ তরঙ্গে ভাসব বলে- তখন শব্দটা আর আমার জন্য পীড়াদায়ক হয়না। অথচ একই সময় তা অন্যের জন্য তেমনি হতে পারে। অনুষ্ঠানে, আতশ উৎসবে আমরা বিরক্তির বদলে আনন্দ অনুভব করি। আমাদের গ্রহণ বর্জনের মাত্রাটা তখনকার জন্য বদলে যায়। যার জন্য তা আমাদের পীড়া না দিয়ে আনন্দ দেয়।
সুন্দর লাগলো কথাগুলো ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ সাজ্জাদ হোসেন। ভাল থাকুন।
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১২
গ্রিন জোন বলেছেন: আযান সুমধুর অবশ্যই। ঢাকা শহরে মসজিদের সংখ্যা বেশি। এজন্য যারা নামাজ-কালাম করে না এদের বিরক্তির কারণ আযান। কারণ তাদের মনে আযানের প্রতি ভালবাসা নেই।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পজিটিভলি দেখলে সকল মন্দের মাঝেও ভাল পাওয়া যায়
আর নেগেটিভলি দেখলে সকল ভাল মাঝেও খুত কিছুনা কিছু বের করা যাবেই !
বিষয়টা দৃষ্টি ভঙ্গির। আমি কোন পয়েন্ট াব ভিউতে দেখছি-তার উপরে নির্ভর করে আমার প্রতিক্রিয়া।
ব্যক্তিক পছন্দের বাইরেও সামাজিকতার একটা শিক্ষা আমরা শিখেছি। তার প্রতি নূন্যতম সম্মানবোধই আমাকে মানুষ বলে শ্রেষ্ঠ ঘোষনা করে। অন্যথা হলে তা থাকে কি?
৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৯
প্রামানিক বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল পোষ্ট। খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তথ্য ষংগ্রহ করে সাজিয়েছি মাত্র
ধন্যবাদ নান্দনিক ছড়াকার প্রমানিক ভাই। আপনাদের ভালোলাগাই আমাদের প্রেরণা
৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
উচ্চশব্দ যে একটি দূষণ এটিই তো বাঙালি জানে না!
আপনি হাঁটবেন... আপনার পেছনে শূন্য গাড়িতে বসা ডেরাইভার তারস্বরে হর্ন বাজাবে।
ওদের দৃষ্টিতে মানুষ পড়ে না... শুধু গাড়ি দেখতে পায়।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এক কঠিন বাস্তবতার কথা বলেছেন।
আর হবে নাইবা কেন- যেই দেশে মন্ত্রী মহোদয় বলেন মানুষ চিনার দরকার নাই- গরু ছাগল দেখলেই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেবার সুপারিশ, সেখানে চালকদের উন্তির আশাই বাতুলতা নয়!
এবং ইদানিংকার হর্ণগুলো তো হর্ণ নয়- আতকে ওঠতে হয় একটু আনমনা থাকলেই!
প্রাইভেট গুলো পর্যণ্ত হাড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার শুরু করেছে! দেখার কেউ নেই!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৮
কল্লোল পথিক বলেছেন: ঐ অভদ্র মহিলা যদি মনে করেন শুধু মাত্র আযানের কারনে শব্দ দূষন হয়।তাহলে ওনার এই ৯০ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে থাকার কোন অধিকার নেই।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মানুষের জ্ঞানের বিকার ঘটলে তা হয় ভয়াবহ। !!!
নিজের দেশ, নিজের মা, মাটি মানুষ সংস্কৃতিকে ভাল না বাসলে হয় কাকের ময়ূরপূচ্ছ দশা!
আমাদের কিছূ কিছু সুশীলগংয়ের মাঝে এই রোগের লক্ষন দেখা যায়। অথচ আত্মাভিমান, জাত্যাভিমান সঠিক প্রয়োগে দেখূন আজকে ইরানের প্রেসিডেন্ট যখন ইতালি সফরে যায়- তারা যাদুঘরের নগ্ন মূর্তিও ঢেকে রাখে সম্মানার্থে! ডিনারে এলকোহল বাদ রাখে ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি সম্মান করতে!
সূত্র -http://bd-pratidin.com/international-news/2016/01/27/123447
আমাদের বাংলাদেশের স্বাকীয়তাকে, স্বাতন্ত্রকে আমরা যদি দৃঢ় ভাবে ধারন করি নিশ্চয় বাকী বিশ্বও আমাদের সম্মান দেবে।
৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৬
শেষ বেলা বলেছেন: সাজ্জাদ লিখেছেন, আমি যখন কনসার্টে যাই মনকে তৈরী করেই নিয়ে যাই, বিশাল শব্দ তরঙ্গে ভাসব বলে- তখন শব্দটা আর আমার জন্য পীড়াদায়ক হয়না। অথচ একই সময় তা অন্যের জন্য তেমনি হতে পারে। অনুষ্ঠানে, আতশ উৎসবে আমরা বিরক্তির বদলে আনন্দ অনুভব করি। আমাদের গ্রহণ বর্জনের মাত্রাটা তখনকার জন্য বদলে যায়। যার জন্য তা আমাদের পীড়া না দিয়ে আনন্দ দেয়। যুক্তিটা দারুন। স্বাধীনতা মানে যা ইচ্ছা তা নয়, অন্যের অনুভূতিকে আঘাত হানা বা একটি বিশাল জনগোষ্ঠির ধর্মী অনুভুতিতে আঘাত হানা সম্পাদিকার কতটুকু যৌক্তিক তা আমার মাথায় আসে না। আসলে এরা বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে ইসলামী আচার-আচারণের বিরোধী। এরা সময় পেলে নাইট ক্লাবে যায়, কনসার্টে যায় তখন এদের কাছে শব্দ দূষনটা সুমধুর লাগে। আর আজানের শব্দ পরিবেশ দূষন করে। তথ্যবহুল লেখার জন্য ধন্যবাদ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
বাধীনতা মানে যা ইচ্ছা তা নয়, অন্যের অনুভূতিকে আঘাত হানা বা একটি বিশাল জনগোষ্ঠির ধর্মী অনুভুতিতে আঘাত হানা সম্পাদিকার কতটুকু যৌক্তিক তা আমার মাথায় আসে না। আসলে এরা বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে ইসলামী আচার-আচারণের বিরোধী।
এটা তথাকথিত সুমীল সাজার একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে যেন!
ধর্মীয বিষয়ে যোখ্তি আলোচনা এক জিনিষ আর কটাক্ষ করা ভিন্ন জিনিষ।
৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সকালে আপনার পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমি মনে করি, তিনি কথাটা সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন নি। অনেক সময় শিক্ষিত ব্যক্তিরা সমাজের সবাইকে তাঁদের মত শিক্ষিত বা চিন্তাধারার মনে করেন। সমাজে যে ভিন্ন চিন্তার মানুষও থাকতে পারে, এটা তাঁদের বিবেচনার বাইরে। ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটু কৌশলি না হয়ে যদি কেউ কোন মত প্রকাশ করতে চান, সেটা পরিনামটা ভয়াবহ হতে পারে।
বাংলাদেশে কিছু নব্য কিছু মানুষ গজিয়েছে, যাদের তেমন কোন কাজ নেই, যে যাই বলুক হোক সেটা রাজনৈতিক হোক সেটা ধর্মীয়, চুড়ান্ত বাড়াবাড়ি এবং অস্থির না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের শান্তি নেই।
আপনিও জানেন সব কিছু বলার একটি নির্দিষ্ট তরিকা আছে, একটি নিয়ম আছে। শব্দ দুষন অনেক কিছুতেই হয়, শুধুমাত্র একটি অংশকে উল্লেখ্য করা বোকামি এবং অবিবেচক।
অফ টপিক একটা প্রশ্ন করে যাই। শুনেছি ঘন ঘন মসজিদ হওয়া নাকি কেয়ামতের লক্ষন। অন্তত বিভিন্ন বই কিতাবে তো তাই পড়েছি। তাহলে ঢাকাকে কি মসজিদের শহর বলব না কেয়ামতের আলামতের শহর বলব বুঝি না।
মসজিদ কনসেপ্টটা এসেছে সমাজের সকল মানুষের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করার জন্য, ধনী গরীব বৈষম্য মেটানোর জন্য। আজকে তো পাড়ায় পাড়ায় মসজিদ, এমনকি ফ্লাটবাড়িতেও আলাদা মসজিদ থাকে। তাহলে এই সকল মসজিদ স্থাপনের কি উদ্দেশ্য? এতে কি আমাদের ধর্মের অবমাননা হচ্ছে না? এই ব্যাপারে আপনি কি ভাবছেন বিদ্রোহী ভাই?
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ বিস্তারিত প্লাটফর্মে ভেবেছেন বলে।
প্রথম কথা আপনি যদি উনাকে ডিফেন্ড করতে চান-যুক্তিগুলো সেভাবেই সাজবে। আর যদি আলোচনা করেন তবে অবশ্যই মাত্রভিন্নতা থাকবে।
কারো মনোজগতে কি ভাবনা তা কেউ খুঝতে যাইনা কেউ। বহু মত বহু পথের মানুষেই বৈচিত্র। কিন্তু যখন তা বিবৃতি হয়ে আসে তখন আর তা মনোজগতের একক অবস্থানে থাকে না। সার্বজনীন আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়।
আর শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে সাধারণ বোধে কিন্তু খুব একটা তারতম্য হয়না। হয় বিশেষায়িত ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষনে।
উনি মোটা দাগে যা বলছেন তা মোটা দাগেই মানুষ বুঝেছে। তাতে কোন কিন্তু নেই।
আর আপনি যে প্রসংগ আনতে চাইছেন- ইসলামের মৌলিক বিষয় সেটা কিন্তু ভিন্ন বিষয়। মসজিদের শহর হওয়া গর্বের না কেয়ামতের লক্ষন!
মসজিদের মৌলিক ভূমিকায় মসজিদ আছৈ কি নেই। সেটা ইয়াজিদের সময় থেকে কিভাবে সামাজিক কেন্দ্রের বদলে উপসনার স্থানে পরিণত হল সেটা বিস্তর আলোচনা এবং গবেষনার বিষয়।
সেটার জন্য কিন্তু আজানকে মোটা দাগে শব্দ দূষন বলে সমাধান করার আশা করা যায় না।
তারজন্য ইসলামিক স্কলারদের সাথৈ নিয়ে বসতে হবে। ধর্মের মৌলিক বিসয়ে গবেষনায় বিনিয়োগ করতে হবে। তারচে বড় কথা সেই শূভ পরিবর্তস=নটা কাম্য কতজনার কাছে। আসলেই চাই কিনা!!!
কারণ সেখানে আবার ইজমিক গোড়িমী কাজ করে। সারা বিশ্বের ইসলাম বিরোধীদের মতো এই দেশেও ভোগবাদী এবং পূজিবাদী গোষ্টী ইসলামের শৌলিক বিকাশে ভীত! তারা চায় উপসনা ধর্মী খোড়া র্যাংড়া ধর্মীয় আবহ। যা বাহ্যিকতায় ধর্মের সুড়সুড়ি দেবে বটে, নীতি নির্ধারনীতে প্রভাব হিসাবে কাজ করবে না। কারণ তাতে দূর্নীতি বাজে দূর্নতি বন্ধ হয়ে যাবে। মিত্যুকের মিত্যা বলা বন্ধ হয়ে যাবে। শুভ সুন্দর অর্থনৈতিক সুষম একটা সমাজ প্রতিষ্ঠা হলে ভোগ আর পূজির বিশাল সমস্যা।
তাই নানা ছদ্দাবরণে চলে ইসলামকে খুঁচানোর কাজ।
অধিক মসজিদ মুসল্লি শূন্য থাকার চেয়ে অল্প মসজিদে বেশি মুসল্লি অবশ্যই কাংখিত। কিন্তু সে জন্য সমাধান কি এইরকম হতে পারে বলে আপনি মনে করেন যে রোগের ট্রটিমেন্ট না করে রোগীর ডাকাডাকিকে বিরক্তিকর মনে করা!
৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৩
হারুনুর রশিদ২৪৬৮ বলেছেন: অত্যান্ত সুন্দর এবং কাঙ্খিত পোস্টের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ হারুনুর রশিদ। ভাল থাকবেন।
১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৪
সুমন কর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আবাসিক এলাকার ৫০০ মিটারের মধ্যে ইট বা পাথর ভাঙার যন্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ। কোনো উৎসব, সামাজিক বা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে মাইক, এমপ্লিফায়ার ব্যবহার করতে হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন। -- এরজন্য কত দিন, দিনে বিশ্রাম আর রাতে ঘুমাতে পারিনি--তার হিসেব নেই !!!
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের সহ্য ক্ষমতা বেড়ে যাচ্ছে, অথবা আমরা অগোচরেই ঐ সকল রোগে আক্রান্ত হয়ে বসে আছি যা ভাবছিওনা কেউ।
যেমন নষ্ট রাজনীতির কাছে আমাদোর মৌলিক অধিকারও হারিয়ে বসে আছি-নিরবে! আমাদের ন্যায্যতাটুকু পেতে উৎকোচ দিতে হয়, যা আমাদের স্বাভাবিক অধিকার তার জন্য আন্দোলন করতে হয়... সবখানেই আমরা কেবলই ভুক্তভোগী -নষ্ট রাজনীতি, পেশী শক্তি, দূর্নীতি, আমাদের অজ্ঞতা, আমাদের নিষ্পৃহতা, আমাদের মাথা গুজে মেনে নেবার মানসিকতার কারণে !!!
১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার সাথে আমার ক্ষেত্র বিশেষে দ্বিমত নেই। আমার বলার অর্থ হচ্ছে, যারা শিক্ষিত মানুষ তারা আরো সচেতন হবেন তাদের মত প্রকাশে। কিছু বিষয় একটু বিস্তারিত বলাই ভালো। তিনি যদি বলতেন, আমাদের দেশে শব্দ দুষনের অনেক নজির আছে, গাড়ির হর্ণ, কলকারখানার শব্দ, মাইকের শব্দ ইত্যাদি শব্দ দুষনের প্রধান কারন, এই গুলো নিয়ন্ত্রন করা উচিত। এই বলে তিনি আলোচনা শুরু করতে পারতেন। তারপর হয়ত তিনি বলতে পারেন, আযান একটি সুন্দর বিষয়, আযানের মধুর সুর মানুষকে আকৃষ্ট করে। কিন্তু আমাদের দেশে যেভাবে মাইক দিয়ে চিৎকার করে আযান দেয়া হয়, তাতে না থাকে সুর না থাকে কোন আবেগ। আমরা একটা পবিত্র সুরকে শুধুমাত্র দায়িত্বের প্রেক্ষাপট থেকে বিবেচনা করতে পারি না। এটা পালন করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থাও নেয়া দরকার। নইলে আযানও শব্দ দূষনের কারন হতে পারে।
আমার মতে উনি যদি এইভাবে বলতে পারতেন তাহলে আজকের এই সব আলোচনা সমালোচনা থেকে তিনি মুক্তি পেতেন। আমাদের এমন কোন কথা বলা উচিত নয় যা মৌলবাদিদের আলোচনার রসদ যোগাবে।
ভৃগু ভাই আমার এক সহকর্মী ছিলো স্কটল্যান্ডের। একবার আমরা ঢাকার বাইরে বেড়াতে গিয়েছিলাম। রোজার সময় হওয়াতে আমরা রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে ইফতারের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। একটু দুরেই মসজিদ ছিলো। মুয়াজ্জিন এত সুন্দর করে আজান দিয়েছিলেন যে, আমি বেশ আপ্লুত হয়েছিলাম যে তখনই নামাজটা পড়তে মন কেমন করছিলো। মজার ব্যাপার হলো, আমার সেই স্কটিস সহকর্মী পর্যন্ত বললেন, তোমাদের গ্রামের আজানগুলো খুব সুন্দর। ঢাকায় আজান শুনতে কেমন যেন লাগে। আমারও খুব ইচ্ছে করছে তোমার সাথে 'প্রেয়ারে' যাই। আমার কাছে আযানের স্বার্থকতা এটাই। নামাজের জন্য এসো, কল্যানের জন্য এসো।
ঢাকার আজানে সেই ফিলিং আসে না। আমার পরিচিত এক আত্মীয়ের বাসার জানালা বরাবর মাইক। যিনি সেখানে আজান দেন, আমি জানি না তিনি আজানের আদৌ মানে বুঝেন কি না। এত কর্কশ কন্ঠে ফুল ভলিউমে আজান দেয়াটা কতখানি সুন্দর হচ্ছে সেটাই দেখার বিষয়। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে সারারাত ব্যাপি ওয়াজ চলে, আপনার সাথে আমি শতভাগ বাজি ধরে বলতে পারি, ঐ বাসার যিনি পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়েন, তিনিও বিরক্ত হন, কিন্তু ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় বলে কিছু বলতে পারেন না।
এটাই বাস্তবতা। সুতরাং, আমাদের একটি যৌক্তিক আলোচনায় যেতে হবে। পাশাপাশি, বিভিন্ন উৎসবে, দিবসে সারারাত ব্যাপি গান, ভাষন, রাজনৈতিক বক্তব্য ইত্যাদি প্রচারের ক্ষেত্রেও একটি বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত। এইগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ন।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন।
দ্বিমতের অবকাশ খুবই নেই।
আজানের মধ্যে যে প্রম আবেগ তা শহরে খুব কমই হয়- গায়ের চেয়ে! আর আবেগের সুরে যে মাধূর্যতা তা প্রফশনার ডিউটির মাঝৈ কোথায়?
সারারাত মাইকে যেভাবে ধমকায়া ধমকায় ওয়াজ হয়- সেটা খুবই কষ্টকর। আর তাদের যে যুক্তির বহর তাতে সাধারণ মানুষ ভাবলেও একটা জানা মানুষই তাদের বোধের সীমাবদ্ধতায় চমকে যায়! মনস্তাত্বিক বিষয়গুলো, প্রাযুক্তিক বিষয়গুলো নিয়ে তাদের ধারনা খূবই কম! বিজ্ঞান মনস্কতায় তারা অনেকেই কুফুরি খুঁজে পায়! তাবরিগের বেশ ডাকসাইটে আমির এবং ঢাকার বিশিষ্ট এক মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের সাথে রমজানে শেষ বিজোড় রাতে একরাত ছিরাম.. তাদের রাত কাটানোর তরিকায় দেখে স্তব্ধ!!! সামান্য সময় যেত না যেতেই অমুক হাজি সাব, তমুক সাবের কাজকাম নিয়ে গীবত, চোগলখুরিতে লিপ্ত!!! সকাল না হতেই ছেড়ে দেমা কেঁদে বাঁচি!
ধর্মীয় কাজে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে দীর্ঘ বাহাসের পর উনি শেষ যে কু-যুক্তি দিয়েছেন- তারপর থেকে উনাকেও সালাম.. তাবলিগকেও সালাম!
ধর্মকে দূরে না রেখে জীবনের প্রাত্যাহিকতায় ভালবেসে গ্রহণ করলেই এই বিরোধগুলো বেশি দ্রুত মিমাংসিত হবে। কিন্তু আমারা যে আগেই তাকে সুবিধাবাদী আসনে বসিয়ে রেখেছি। ব্যক্তি জীবনে সপ্তাহে, মাসে বা বিশেষ দিনে আল্লাহকে উপঢৌকন দিয়ে খূশি করে শর্টকাট পাপ-মোচনের মানসিকতা লালন করে, মৃত্যুর পর দু-চারদিন শোকাবেশে, অথবা নিতান্তই রাজনৈতিক স্বার্থে!!!!
প্রকৃত জীবনাচারে যখন ধর্ম ভালবাসায় আদৃত হবে- তখন আপনাতেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
অনেক ধন্যবাদ বিস্তারিত আলোচনায়.....ভাল থাকুন।
১২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮
সাহসী সন্তান বলেছেন: নিঃস্বন্দেহে চমৎকার তথ্যবহুল একটি পোস্ট! তবে আজানের বিষয়টি সম্পর্কে সম্পাদিকার কথার সাথে একমত পোষণ না করলেও, আমাদের বর্তমান যুগের মুয়াজ্জিনরা আজানের নামে যেভাবে কর্কশ কন্ঠে চিৎকার করেন অনেক সময় সেটা আসলেই বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়!
পৃথিবীতে এমন অনেক দৃষ্টান্ত আছে যে, মুয়াজ্জিনের কন্ঠে সুমধুর আজানের ধ্বনি শুনে অনেক অমুসলিমও ইসলাম কবুল করেছেন। অথচ সেই আজানের ধ্বনিটাই এখন মুসলমানদেরই বিরক্তির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সত্যিটা হলো আজানের মধ্যে যে আরবি শব্দগুলো আছে সেটা এতটাই হৃদয়স্পর্শী যে তার প্রভাবে মুসলমানরা মসজিদ পানে গমন করে।
এখন বিষয়টা হলো আমি যদি কাওকে ডাকি, আর সেটা যদি ডাকার মত না হয় তাহলে কেউ কি আমার ডাকে সাড়া দেবে? অবশ্যই দেবে না, বরং উল্টো বিরক্ত হবে। তো বর্তমান সময়ের আজানটাও হয়েগেছে তেমন একটা বিষয়!
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আজানে সুরে গুরুত্ব অপরিসীম!
সমধুর সুর আর কন্ঠের জন্যই হয়রত বেলাল রা: ই অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে আজানের সুমহান দায়িত্ব লাভ করেন।
যুগে যুগে কালে কালে সুমধুরতা ভিত্তিতেই মুয়াজ্জিন নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এখনকার কর্পোরটে কমিটিগুলা কি খোঁজে কে জানে! না তাদের মাঝে আছে আল্রাহ ভীতি না আছে স্বাভাবিক সুস্থা জ্ঞান মানবতাবোধের চর্চা! যার ফলে বোধকরি এই অবস্থা! তারপর আচৈ টাইমিংএ আগে পিছে- এক মসজিদে আজান শেষ আরেকটায় শুরু বা মাঝামাজী থেকে ঘটে একই ঘটনা! এগুলো অব্যবস্থাপনা। এগুলো ঠিক করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি প্রত্যেক মহল্লার সচেতন গোষ্ঠির এগিয়ে আসতে হবে। মসজিদ মূখি হতে হবে। কারন আপনি ঐ গ্রতোভুক্ত না হরে হুট করেতো আর কোন কিছূ দাবী করে প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না.. তাইনা?
এইগুলা পজিটিভ সংশোধনী ভাবনা!
কিন্তু তাই বলে হুমায়ুন আজাদের মতো আজানকে বেশ্যার ডাকের সাথৈ তুলনা বা সম্পাদিকার মতো হুট হাট যা খুশি তা বলা কাম্য নয়। তা কেবলই তাৎক্ষনিক অবিশ্বাস শ্রেণীর বাহবা কুড়ানো মাত্র আর কোটি কোটি মানুষকে তাদের খুব সাধারন বিশ্বাসে আঘাত করে আহত করা মাত্র।
আর তারচে বড় বিষয় হলো যেমনই হোক বিষয়টাকে ভালবাসা! আপনার ছোট শিশুটি যখন ভুলবালেই কিছু আবৃত্তি করে আপনি তাতে খুশি হন- তাকে উৎসাহ দিতেই হাততালি দেন.. পাশাপাশি ধীরে তাকে শুদ্ধটাও শিখিয়ে দেন। নয় কি?
তো আজানকেও সেভাবেই দেখুন না। ভালবাসার মানুষের হেড়ে গলাও নাকি মধুর! লাগে
১৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: এই দূষনের জন্যই ঢাকা শহরটা ছেড়েছি। তথ্যবহুল পোস্টে ভাললাগা ভাই।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি না হয় পালীয়ে বাঁচলেন- আমাদের কি হবে গো দাদা !!!
আসুননা সব অসুন্দরকে অসংগতিকে সুন্দ করতে সংগতিময় করে তুলতে ছোট ছোট উদ্যোগ নেই। যার যার স্থান থেকে। হয়তো সেদিন দূরে নয়- সুললিত সমধুর আজােনর শব্দে ঘুম ভাংবে আপনার।
আজান শুনেই শুরু হবে দিন এলার্ম ঘড়ির কথা ভুলেই যাবেন। হৃদয়ের বদলটাই আসল।
আমার আমিত্বকে আমিই যদি অবহেলা করি, অসম্মান করি পরেতো আরো বেশী করবে। সার্বিক শব্দ দূষনে আমাদের ভবিস্যত প্রজন্ম যে হুমকির মূখে তার জন্য সচেতন হই। গড়ে তুলি শান্ত, শব্দ দুষন মুক্ত ঢাকা।
১৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আজান ধর্ম সংক্রান্ত এক স্পর্শকাতর বিষয়। মাঝে মাঝে ভোরে আজানের শব্দে ঘুম ভাঙে। ভোরের আজানটাই অন্যরকম লাগে, স্পেশাল। কিন্তু সন্ধ্যার সময় তারস্বরে যেভাবে প্রতিযোগিতা দিয়ে আজান হয় সত্যিই কানে লাগে খুব। সূরা পড়তেও ভুল হয়ে যায়। আর ইদানিং একই মহল্লায় এত এত মসজিদ বানাবার কি হেতু জানি না। আরও অনেক কিছু বলার ছিল কিন্তু স্পর্শকাতর ব্যাপার গুলু নিয়ে কিছু বললেই সমস্যা তৈরি হয়।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সব কিছু চলে গেছে নষ্টদের দখলে।
কাজী নজরুল শতবছর আগে আক্ষেপ করেছিলেন- তোমার মিনারে চড়িয়া ভন্ড গাহে স্বার্থের জয়!!!
অবস্থা খুব একটা বদলেনিতো বটেই- উল্টো আরো খারাপ হয়েছে বলা যেতে পারে!
না ! স্পর্শকাতর হলেই বলা যাবেনা তাতো নয়! তবে শুধু খুচানোর মানসিকতায় বলা আর ভাল চেয়ে বলার পার্থক্য কিন্তু মানুষ বুঝতে পারে। আপনি নির্ধিধায় সংশোধনী কল্যান এবং সমাধানের কথা বলতে পারেন। তা অবশ্যি প্রশংসার্হই হবে।
১৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৭
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বিদ্রোহী ভৃগু,
মান্যবর ইত্তেফাক সম্পাদক সাহেবা কবে কোন্ বিবৃতি দিলেন ? এসব আমার কান পর্যন্ত আসে না ক্যান আমি কি অসচেতন হয়ে গেলাম নাকি!! যা হোক, আমিও সকল শব্দ দূষণ থেকে নিরাপদ থাকতে চাই।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: না অসচেতন হতে যাবেন কেন??
হয়তো খেয়াল করেন নি
সকল প্রকারে দূষনে (মায় চিন্তা- চেতনা সহ ) জীবনে ত্রাহি মধূসুদন অবস্থা!!! কিন্তু কত্তা ব্যক্তিদের কুম্ভর্কণের ঘুম ভাঙছে কই????
১৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অথচ বেঁচে আছি!
সচেতনাতা শুধু এই দূষণকে রোধ করতে পারবে বলে মনে হয় না। আইন করে তাদের শাস্তি দেয়া উচিৎ যারা শব্দ দূষণ করছে।
আমি যখন এই পোস্ট পড়ছি, এখন এই কমেন্ট লিখছি, মাইকের হিন্দি গান আমার কান ঝালাপালা করে দিচ্ছে, পারছি না কন্সেন্ট্রেট করতে লেখাটায়, না পারছি সুন্দর একটা কমেন্ট করতে।
"মানমা ইমোশান জাগে শুনছি" এখন মাইকে।
কাল পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার হল থেকে আমি পিটবুলের 'রেইন অভার মি' শুনেছি! ভাবুন একবার!
প্রশাসনের খুব কঠোর হওয়া উচিৎ এব্যাপারে! ওদের উপরই বা ভরসা করি কীভাবে?
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আইনতো যথেষ্টই আছে। প্রয়োগ নেই!
আবার আমাদের অসচেতনতাও বিশাল ব্যাপক। স্কুল হাসপাতাল সাইনবোর্ড দেখেও ড্রাইভার হর্ণ দিচ্ছে পিছনে মালিক নির্বিকার!!!!
মাইকতো আছেই- সাধারন হিসাবের যে দূষন চিত্র তাইতো ভয়াবহ! তার উপর বিশেষ আয়োজন, উপলক্ষ্য বা দিবস হলেতো কথাই নাই!!!
এক্কেবারে যাচ্ছে তাই!
১৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৮
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কষে একটা লাথি না দেওয়া পর্যন্ত, ঘুমের ভাণ ধরাদের ঘুম কবেই ভাঙছে! আর খেয়ালের বিষয়টাতে বলি, পথে চলতে ফিরতে তো কতই রঙ-তামাশা দেখি, সবেই যদি খেয়াল করি তবে আমার কাজ-কম্ম ফেলে ওই তামাশাতেই সময় নষ্ট হবে।
আমাদের এই এক দোষ, যাহাতে গুরুত্ব দেবার দরকার তাহাতে উদাসীন আর যাহাতে মুখ ফিরিয়ে থাকার কথা সেথা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে বরং আরও ভিড় করে দিই। হাহ হাহ হাহ।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লাথিটা মারবে কে?
যেই নৈকট্যে যায় তোষামোদকারী হয়ে পড়ে!
চোখে চোখ রেখে ভুলকে ভূল বলার মানুষ কমে যাচ্ছে!
সেই শূন্যতায় বেড়ে যাচ্ছে এরশাদ, খালেদা, হাসিনা! আর বাড়ছে বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত খনির চোর আর চাটুকার!
সামাজিক প্রচলনের বিরুদ্ধ স্রোতে দাড়াতে চাই বিপ্লবী মন! সেকি আর পথে ঘাট বাজারে দোকানে মেলে? তাই চলছে বাইস্কোপ কালচার
১৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শব্দ দূষণের অনেক কারণের ভিতর উনি একটা কারন নিয়ে দাবি তোলায় উনার কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা আমি জানিনা ।
তবে ১০০ গজ পর পর মসজিদ । প্রতি মসজিদে ৫/৭ টা মাইক বেঁধে একযোগে আযানযে শব্দ দূষণের একটি কারন এতে সন্দেহ নাই ।
বিধর্মী বা মুসলিম যেই হোন, মসজিদের পাশে যাদের বাস তারা বিষয়টা ভালই উপলব্ধি করতে পারেন ।
আমি অনিয়মিত নামাজ পড়ি , ফজরটা তেমন পড়া হয়না ( আল্লাহ ক্ষমা করুন) । প্রতিদিন ফজরের আজানের সময় ঘুম ভেঙ্গে যায় । একদিন অজু করে মসজিদে গিয়ে দেখি মুয়াজ্জিন ছাড়া কেউ নাই !
অথচ ঐ মসজিদটার এক কালিন নির্মাণ ব্যায় হিসাব করলে ১০০ কোটি টাকার কম হবে না ।
প্রতিদিন হাজার লোকের ঘুম নষ্ট করার পরে একটা লোকও মসজিদে হাজীর না হওয়ার ব্যর্থতা কার ?
মুসল্লি সৃষ্টি না করে আলিশান মসজিদ নির্মাণ , ৫/৭ টা মাইক লাগিয়ে বিকট শব্দে আজান দিয়ে যারা একজন মুসল্লিও মসজিদে হাজির করতে পারেনা , ওই সকল মসজিদের আযানকে আমি নিজেও ১০০% শব্দ দূষণ বলবো ।
আপনার পোস্ট পড়লাম ভৃগু ভাই , অনেক পরিশ্রম আর তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন , অনেক কিছু জানা হল ।
ধন্যবাদ জানবেন ।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অধিক মসজিদ, মুয়াজ্জিনের কন্ঠ, আজানের সমধুরতা, মুসল্লি না আসা, বখ্য্তি জীবনের ধর্ম চর্চার গুরুত্ব সবার শেষে দিকে রাখা এগুলো অবশ্যই গুরত্বপূর্ন আলোচনার বিষয়।
কিন্তু সে সব তো গুরুত্ববহ হয়ে ওঠেনা তাদের কন্ঠে। তারা কেবলই বাহান খোঁজে ইসলাম, সম্পর্কীত বিষয়কে খাঁটো করতে। যার কুফলেই আজ ধর্ম তালীকায় নীচের দিকে চলে গেছে। এটাকে কিনউত ছোট করে দেখতে ভাবতে পারবেন না।
যারা ডমিনেট করে- তারা যদি ধর্ম নিয়ে উন্নাসিকতা দেখায়- সাধারণে তার প্রভাব থেকেই যায়।
মিডিয়াতো ধর্মকে অচ্ছুৎ জ্ঞান করে বোধহয়- সাধারন হিন্দি ছবিতে, নাটকে যতটুকু আজান, নামাজ, টুপি দাড়ির পিজিটিভ উপস্থপানা আছে- আমাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক মন্ডলে সূই খোঁজার মতো খুঁজতে হয়.. আগের মুভিতে যাও কিছূ আজান, ছির এখনতো পুরাই নিষিদ্ধ যেন!
গিয়াস ভাই- শতকোটির টাকার মসজদি নির্শান কোনমতেই ধর্মের কাজ নয়- মানুষকে মানবতাকে উপেক্ষা করে ইট-কাঠ পাথরে খোদার সন্তুষ্ঠি মিলতে পারে না। কিন্তু তাকে সংশোধন করতে চাইলে ভিন্ন মাত্রা আছে- উপায় আছে- আজানকে গালি দিলে বা দূষন বললে কি তা হবে???? হবে না।
মুসল্লি সৃস।টি করা বা হোয়া যেমন ভ্যক্তি নিজস্ব ধর্মবোধের বিকাশ থেকেই হয়, হবে, আর ধর্ম বোধের বিকাশ ঘটবে জ্ঞানের পূর্নতায়! শেকলাবদ্ধ চক্র। যেকোন কল্যান শুরু কল্যান দিয়ে ভাল দিয়েই শুরু করা যেতে পারে! মন্দ দিয়ে নয়।
আপনার বিস্তারিত মন্তব্যেও ধন্যবাদ।
১৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৪
আমিই মিসির আলী বলেছেন: আপনার তথ্য বহুল পোষ্ট অনেক ভালো লাগছে।
আমার বাসার পাশে একটা মসজিদ আছে। মোয়াজ্জিনের কন্ঠ কর্কস! একবার ভেবেছিলাম ইমাম সাহেবকে বিষয়টা জানাই! যে আযান দেয়ার জন্য ভালো মিস্ট কন্ঠের কাউকে ঠিক করার জন্য।
তবে পরে মোয়াজ্জিন সাহেবেকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করে আর বলতে পারি নি! এটা তার জীবিকা! কিছু বলি কি করে!
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এটা পুরাই মসজিদ কমিটির ব্যর্থতা।
তারা নিয়োগের সময়ই বিষয়টা খতিয়ে দেখলে পারে । সমস্য হলো জ্ঞান মন, মানসিকতার। এখানেও পূজিই সমস্যা। ভাল মুয়াজ্জিনকে ভাল বেতনই দিতে হয়!
আপনার মানবিক বোধ সম্মানযোগ্য।
২০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯
রমিত বলেছেন: সময়োপযোগী লেখা। অসাধারণ তথ্যবহুল পোষ্ট!
আজানের ধ্বনী সুমধুর। যারা অধার্মিক, আজান শুনলে তাদের আত্মাটা কেঁপে ওঠে!
লেখার জন্য ধন্যবাদ ভৃগু ভাই।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন বলেছেন- আজানের ধ্বনী সুমধুর। যারা অধার্মিক, আজান শুনলে তাদের আত্মাটা কেঁপে ওঠে!
আপনার দারুন বোধ আর দারুন মন্তব্যের জণ্য দারুন একটা ধন্যবাদ।
২১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৬
ধমনী বলেছেন: এ বিষয়টা নিয়ে লিখবো ভাবছিলাম। আপনি লিখে ফেললেন।
কর্কশ আওয়াজের অযৌক্তিক গালমন্দ ভরা ওয়াজ এবং ডিসকো কনসার্টের শব্দ দূষণ দুটোই ভয়ানক বিরক্তি ঘটায়। শব্দ দূষণের কারণে কী কী সমস্যা ঘটছে সেটা লিখলে আরো সমৃদ্ধ হতো পোস্টটি।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উপস....
ভাবনায় ক্রশ হয়ে গেল
ওয়ায়েজিনরা কবে বুঝতে শিখবে তারা শতবছর পেছনের অভিনয় করছে-বর্তমানে বসে!!!!!!
অযৌক্তিক গালমন্দ ভরা ওয়াজ এবং ডিসকো কনসার্টের শব্দ দূষণ দুটোই ভয়ানক বিরক্তি ঘটায়-সহমত।
শব্দদূষনের ক্ষতির বিষয়টা সংক্ষেপে বলা আছে..
"....শব্দ দূষণ শ্রবণ ক্ষমতা ধ্বংস করে, যা কারো মানসিক ভারসাম্যকেও বিনষ্ট করতে পারে। শব্দ দূষণ খিটখিটে মেজাজ সৃষ্টিরও কারণ, এছাড়া এর দ্বারা ফুসফুস আক্রান্ত হয়, শিশুদের বুদ্ধিমত্তা বাধাগ্রস্ত হয় এবং তাদের লেখাপড়ায় উদাসীন করে তোলে। "
আরেকটু বিস্তারিত হলে ভালই হতো।
আপনার মতামতের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
২২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬
বিজন রয় বলেছেন: ভাল পোস্ট।
++
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক।
২৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮
আবু শাকিল বলেছেন: কাভা ভাই এবং আপনার মন্তব্য পড়লাম।
আলোচনায় অনেক কিছু শেখা যায়, জানা যায়।
আমি নামে মুসলিম,ঈমানে নাই।
পাচ ওয়াক্ত নামায পড়ুয়া,নফল রোযা রাখে এমনন এক ব্যাক্তিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম-
আযানের শব্দে দূষন হয় এটার ইসলামিক ব্যাখ্যা দেন।কিন্তু সে দিতে পারে নাই।
আমাদের ঈমান খুব দূর্বল।ইসলামের অনেক কিছুর ব্যাখ্যা জানি না।
সেই সুযোগ নিয়ে কিছু লোক ইসলামে দ্বন্দ সৃষ্টি করে।
আপনার লেখা এবং মন্তব্য সব ভাল লাগল।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার আন্তরিক মন্তব্যে।
ইসলামের প্রথম শব্দ ইকরা!
আবার শেষ বেলঅতেও জ্ঞানের তাগিদ- দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান আহরন কর!!
আর দূর্ভাগ্য সেই জাতি সবচে অজ্ঞতার অন্ধকারে!!!
নিশ্চয়ই আল্লাহ সেই জাতি উদ্ধার করেননা যারা নিজেরা চেষ্টা না করে! আমাদের উদ্যোক্তা চাই। জ্ঞান প্রজ্ঞা আর সরল মনের সত্য সন্ধানী উদ্যোক্তা। নি:স্বার্থে সহজ কথাটা সহজ করে বলবে।
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫১
পথে-ঘাটে বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট, একরাশ ভাললাগা জানবেন।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
২৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯
আনু মোল্লাহ বলেছেন: শব্দ দূষণ নিয়ে চমৎকার এই পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই।
তেমনি বিতর্কিত হবার সাধনায় রত বিকৃত মনকে জানাই ধিক্কার ও ঘৃণা।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ আনু মোল্লাহ!
অবশ্যই ধিক্কার আর ঘৃণা যারা অযথাই ঘৃনাকে উস্কে দেয়, আর যারা অন্যায়কে লালন করে। যারা মূখোশের আড়ালে সত্যকে লুকিয়ে রাখে। সে ধর্মের ধ্বজ্বাধারীই হোক বা দেশ প্রেমের কিংবা চেতনার হোক- সকল ভন্ডামীকেই ধিক্কার ও ঘৃণা।
২৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩
পারভেজ উদ্দিন হৃদয় বলেছেন: এইরকম একটা লিখাই আমি চাচ্ছিলাম, সংগ্রহ করে রাখার মত পোষ্ট, একদম সময়ুপযোগি লেখা, অসাধারণ তথ্যবহুল পোষ্ট!
ধন্যবাদ!!!
আমি গ্রামে থাকি, আমাদের গ্রামে ফ্রাই ১৫০ হাত পরপর মসজিদ আছে, কিন্তু আমাদের তো বিরক্ত লাগে না, ওসব জ্ঞানপাপী দের এত পুরে কেন,
আসলে এগুলু বিতর্কিত হয়ে অবিশ্বাসীদের বাহবা পাওয়ার প্রয়াস মাত্র,
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
তবে একটা কথা কিন্তু সত্য-
গ্রামের আজানে একটা মধূরতা পাওয়া যায়.. আন্তরিকতার ছোঁয়া.. শহরে সব কিছূ বানিজ্যিক হয়ে গেছেতো .. এটাও মনে হয় বাইরে নেই....
আর বেশি বেশি মসজিদের চেয়ে বেশি বেশী মুসল্লি দরকার - এতে কি আপনি একমত?
আমার মামার দেশে দেখেছি সামান্য আমিন জোরে আর আস্তে বলা নিয়ে ১০০ গজের মদ্যে দুইটা মসজিদ..
সবচে কষ্ট হল দুইটাতেই মুসল্লি সাকুল্যো ৫-৭জন!!!!!!!!!!!!!!!!!!
তাই এই সব বিষয়েও সচেতন হতে হবে। মসজিদকে সামাজিক কর্মের প্রাণ বানাতে হবে। দানে, জ্ঞানে, পরামর্শে, সেবায়....
তবে তাদের কথা ভিন্ন- শুধু শুধু নজর কাড়া অথবা কি জানি কোন স্বার্থে এমন অর্বাচিন কথা বলে????
২৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪
অগ্নি কল্লোল বলেছেন: চমৎকার।।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ কল্লোল ভাই
২৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫
অগ্নি কল্লোল বলেছেন: চমৎকার।।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ ।।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৬
মোঃ মাকছুদুর রহমান বলেছেন: অসাধারণ তথ্যবহুল পোষ্ট! ধন্যবাদ!!!