নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষক। শিক্ষাগুরু।
পিতা জন্ম দেন শারিরীক ভাবে। আর শিক্ষাগুরু জন্মদেন সার্বিক ভাবে।
যে জন্য যুগে যুগে কালে কালে শিক্ষকের মর্যাদা অতি উচ্চ। যারা জাতি হিসাবে বড় হয়েছে তারাই সেই আসনেই রেখেছে শিক্ষকদের।
যারা রাখেনি তারা পিছিয়ে পড়েছে। বাহ্যিক উন্নয়নে আত্মিক উন্নয়নে সকল ক্ষেত্রেই।
আমাদের চলমান শিক্ষক আন্দোলন নিয়ে অনেক রকম কথা হচ্ছে। প্রস্তাবিত অষ্টম বেতন কাঠামোতে কীভাবে শিক্ষকগণ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, কীভাবে তাদের পদায়ন করে নিচে নামানো হচ্ছে তা নিয়ে সরকারের দুয়েকজন দায়িত্বশীল সচিব বেশ কয়েকবার সংবাদপত্রে বলেছেন যে, ‘শিক্ষকরা বিষয়টি বুঝতে পারছেন না। না-বুঝে আন্দোলন করছেন।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ ‘প্রস্তাবিত বেতন কাঠামো’ বুঝেন না বিষয়টি হাস্যকর বটে। শিক্ষকদের ছাত্ররা সেই রকমই বলছে। সব কি গুরু মারা শিষ্য নাকি?
এই বিষয়ক সাম্প্রতিক সংবাদ:
অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ ও অন্যান্য অসঙ্গতি দূর করার দাবিতে দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
শিক্ষকদের এই নজিরবিহীন কর্মবিরতিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায়। দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ হয়ে পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল পরীক্ষার মাঝপথে এই কর্মবিরতি অনিশ্চয়তায় পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) সকাল থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালনের ডাক দেয় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি। দেশের সবকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা,রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগরসহ সারা দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
ঘোষণা অনুযায়ী, কর্মবিরতি চলাকালে সান্ধ্যকালীন কোর্সসহ সব ধরনের নিয়মিত ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে সেমিস্টার ফাইনাল বা কোর্স ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
সংবাদ সূত্র
আমাদের শিক্ষকরা যখন কঠোর আন্দোলন করেন, পিপার স্প্রে খেয়ে আহত হন নিহত হন আন্দোলনে, সড়কে দিনের পর দিন অবস্থান করেন দাবী আদায়ের জন্য .. তখন উন্নত বিশ্বে দেখুন শিক্ষকদের সম্মাননা কেমন।
এক নজরে চলুন দেখি বিশ্বে টপ টেন শিক্ষকের মর্যাদা দানকারী দেশ এবং তাদের অর্থনৈতিক মর্যাদা এবং নিশ্চয়তার পরিমান
১০. স্পেন
$২৯,৪৭৫ = ২৩৫৮০০০/- বাংলা টাকা (১ ডলার = ৭৯.৩৬ ধরে)
০৯. ইসরাইল
$৩২৪৪৭= ২৫৭৪৯৩৩/-
০৮. ইউকে
$ ৩৩৩৭৭ = ২৬৪৮৭৯৮/-
০৭. নেদারল্যান্ডস
$৩৭২১৮ = ২৯৫৩৬২০/-
০৬. সুইজারল্যান্ড
$ ৩৯৩২৬ = ৩১২০৯১১/-
০৫. জার্মানী
$ ৪২২৫৪ = ৩৩৫৩২৭৭/-
০৪. জাপান
$৪৩৭৭৫ = ৩৪৭৩৯৮৪/-
০৩. দক্ষিন কোরিয়া
$ ৪৩৮৭৪= ৩১৮১৮৪০/-
০২. ইউএসএ
$ ৪৪৯১৭ = ৩৫৬৪৬১৩/-
০১. সিঙ্গাপুর
$ ৪৫৭৫৫ = ৩৬৩১১১৬/-
আমাদের শিক্ষকদের মান ভাবতেও কষ্ট হয়। কি প্রাইমারিতে, কি হাইস্কুলে, কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়। অধুনা বেতন কিঞ্চিত বাড়লেও সার্বিক জীবন যাপন ব্যায় বিবেচনায় তা অকিঞ্চিতকরই বটে!
তার উপর আজেকর ভাষনে কথাটাতো তেতোই মনে হয়- আপনাদের কি মনে হয় দেখূনতো ..
শিক্ষকদের বেতন ১২৩ ভাগ বাড়ানোর পরও কেন তাদের এই আন্দোলন সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করবেন না। এটি কেউ মেনে নেবে না।
অষ্টম পে-স্কেলকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য বৈষম্য উল্লেখ এবং তাদের জন্য স্বতন্ত্র স্কেলে পাঁচ দফা দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি পালনের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, শিক্ষকের মর্যাদা অনেক ওপরে। একজন শিক্ষক যদি সচিবের মর্যাদা চান, তাহলে তো হলো না।
--
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ১২৩ ভাগ বৃদ্ধি করেছি। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো দেশ কখনো ১২৩ ভাগ বেতন বাড়াতে পারে নাই। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ১২৩ ভাগ বেতন বৃদ্ধি করেছে। প্রত্যেকে দ্বিগুণের কাছাকাছি বেতন পেয়েছে। এমন দৃষ্টান্ত আর নেই। তারপরও দেখি কেউ কেউ অসন্তোষ। তাদের অসন্তোষ যায় না। কেন অসন্তোষ এটা আমার কাছে বোধগম্য না। পেটে যখন খাবারের টান থাকে, তখন পেটের খাবারের কথা চিন্তা থাকে। সেই পেটের খাবারের চিন্তা আমরা দূর করে দিয়েছি বলে, এখন প্রেস্টিজ নিয়ে টানাটানি- এটাই বাঙালির স্বভাব।’ "
নো কমেন্টস। ভাবুকেরা ভাবুক। চিন্তকেরা চিন্তা করুক।
সবশেষে মহান শিক্ষদের প্রতি অনুরোধ আপনারা দয়া করে লাল নীল রং ধারন করবেন না। এই একটা জায়গা যদি শুধু শিক্ষকের রঙ্গে রঙিন থাকেন জাতি অচিরেই একটা দারুন প্রজন্ম পাবে যারা দেশটাকে দলান্ধতার অন্ধকার থেকে বের করে আনতে পারবে।
একজন মহান শিক্ষকই একটা দারুন উন্নত সুশিক্ষিত জাতির জন্ম দিতে সক্ষম।
লেখার তথ্য সূত্র :
শিক্ষক সম্মাননার তালিকা সূত্র
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ পথিক ভাই
আমাদের শিক্ষকদের সুন্দর ভবিষ্যত- দেশের সুন্দর ভবিষ্যত।
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৫
ধমনী বলেছেন: পাদটীকা গল্প বহুদিন আগের। কিন্তু শিক্ষকদের অবস্থা এখনো সে সময়ের মতই।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।
কিন্তু এ অবস্থার অবসান দরকার। নইলে আমাদের পিছনে চলা বুঝি থামবেনা।
ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৩
তট রেখা বলেছেন: লাল নীল রং ধারণ করার পরিণতি, কালো রং বরণ করা। মাছের যখন পঁচন ধরে, তখন মাথাতেই আগে ধরে। জাতির মাথা হলো শিক্ষকেরা, মাথায় পচন বহু আগেই ধরেছে, তা সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে এখন লেজে এসে পৌঁছেছে আর তাই এখন লেজের আঘাতে মাথা নড়ে। আমি শিক্ষকদের বেতন সর্বোচ্চ হওয়ার পক্ষে, তবে শিক্ষকদের বর্ণহীন হওয়া উচিৎ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল বলছেন।
শিক্ষকদের বর্ণহীন হওয়া উচিৎ। ++++++++
৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১২
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা মাথায় রেখে যতটা সম্ভব সম্মাননা দেওয়া উচিত শিক্ষকদের।
আপনার সাথে একমত। সুন্দরের প্রত্যাশা রইল।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ এবং দু:খিত দেরীতে উত্তর দেয়ায়..ঢাকায় ছিলুম না .
সুন্দরের প্রত্যাশা পূর্ন হোক।
৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০২
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: হায় দেশ!
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিশ্চয়ই আমরা বেরিয়ে আসতে পারব এ দশা থেকে..
৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩১
রমিত বলেছেন: ভৃগু ভাই, সময়োপযোগী লেখা।
কি বলবো বলুন? এই ব্লগেই কয়েক বছর আগে আমি শিক্ষকদের পৃথক বেতন কাঠামোর উপর একটা লেখা দিয়েছিলাম। Click This Link
এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর এরকম একটা আশ্বাস দিয়েছিলো, পরে কি হলো?
এখানে বলতে গেলে তো কত কিছুই বলা যায়।
কোন কোন রাজনৈতিক রথী-মহারথীর বক্তব্য শুনলে তো স্পষ্টই বোঝা যায় যে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের কাজ ও দায়িত্ব সম্পর্কে আদৌ জ্ঞান রাখেন না। রাখবেনই বা কি করে? বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠওতো মারাতে পারেনি! কেউ কেউ সেই চৌকাঠে পা দিলেও শেষ করার মুরোদ হয়নি। তাই তারা অধ্যাপক বলতে প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক মনে করে।
শিক্ষক কথাটিকে বেশীরভাগ সময় জেনারালাইজ করে ফেলা হয়। শিক্ষক নানান ক্যাটাগরির হয় - কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষক, প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক, সেকেন্ডারী স্কুলের শিক্ষক, কলেজের শিক্ষক, মাদ্রাসার শিক্ষক, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষক, ক্যাডেট কলেজের শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আরো অনেক রকম। এদের মধ্যে কিছু কমোন বিষয় অবশ্যই আছে তবে কাজের ধরন, দায়-দায়িত্ব ইত্যাদি বিচারে পার্থক্যও ব্যাপক। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করি, আমি নিশ্চিত জানি যে কিন্ডার-গার্টেন স্কুলে আমি পড়াতে পারবো না। অতটুকু টুকু ছোট শিশুদের পড়ানোর জন্য যত ধৈর্য্য ও যেসব গুনাগুন থাকা প্রয়োজন আমার সেটা নাই। আবার একজন ক্যাডেট কলেজের শিক্ষককে শুধু ক্লাস নিলেই হয়না, ছাত্রদের সকালে ঘুম থেকে উঠানো থেকে শুরু ঘুম পাড়ানো পর্যন্ত অনেক দায়িত্বই পালন করতে হয়।
আমি এই সমাজে বিভিন্ন সময়ে শোনা শিক্ষকদের সম্বন্ধে কয়েকটি মন্তব্যে তুলে ধরছি - 'শিক্ষকরা আবার কঠিন কি কাজ করে? একই পড়া বারবার পড়ায়, তার জন্য তাকে আবার কত টাকা দিতে হবে?" - একজন মাস্টার ডিগ্রী হোল্ডার গৃহিনী।
'শিক্ষকদের এত টাকা-পয়সার দরকার কি? উনাদের লোভ-লালসাই তো সমাজটাকে শেষ করে দিলো' - একজন পদস্থ আমলা।
'শিক্ষকরা ব্যাচে ব্যাচে পড়িয়ে কোটি-কোটি টাকা কামাই করে ফেলে!' - একজন উচ্চশিক্ষিত চাকুরীজীবি।
'প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তো পকেট ভরা টাকা। যে পরিমান টিউশন ফী নেয়!' - একজন আমলা (তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, 'আপনি কি জানেন ঐ টিউশন ফী-র কত পারসেন্ট টিচাররা পায়?' 'উত্তরে তিনি বলেছিলেন, 'না জানিনা' না জেনে মন্তব্য করাটাও আমাদের স্বভাবজাত।
'ইউনিভার্সিটির টিচারদের কি ক্লাস নেয়া ছাড়া আর কোন কাজ আছে? সেটাও তো ঠিকমতো করেনা' - এস. এস. সি. পাশও নন এমন একজন গৃহিনী। (তাকে বলা হয়েছিলো যে, 'ইউনিভার্সিটির টিচারদের একটা মেজর কাজ রিসার্চ', উত্তরে গৃহিনী বলেছিলো 'সেটা আবার কি? দরকার আছে কোন?' )
'কোন ভালো চাকরী না পেয়ে এই স্কুল মাস্টারীর চাকরীটা নিয়েছিলাম। আমি নিজেই বা কি জানি? আর তোদেরই বা কি পড়াবো?' - একজন স্কুল মাস্টার।
'না না প্রফেসর বিয়ে করবো না, প্রফেসরের কি টাকা আছে? তার চাইতে আমলা বিয়ে করা ভালো, তাদের অনেক উপরি আয় আছে, ঐটাইতো আমার দরকার।' - একজন বিবাহযোগ্যা তরুণী।
'বাবা তুমি বিজনেসম্যান না হয়ে টিচার হলে কেন? এই জন্যই তো আমরা এতো গরীব' - একজন শিশু
আমি ক্লাসরুমে কয়েকবার জরীপ করে দেখেছিলাম, একজন অধ্যাপকের কাছ থেকে বত্রিশটা গুনাগুন ছাত্ররা আশা করে থাকে। যেমন - জ্ঞান, মেধা, সততা, কর্তব্যপরায়নতা, ন্যায়নিষ্ঠতা, সময়ানুবর্তিতা, বিনয়, বোঝানোর অদ্ভুত গুন, সুবক্তা, সুবেশ, স্মার্ট, স্নেহশীলতা, বাংলা-ইংরেজী দুটি ভাষায় সমান দক্ষতা পারলে আরো ভাষা জানা, সব বিষয়ে ব্যাপক জ্ঞান রাখা, ভালো রিসার্চার হওয়া, লেখালেখিতে দক্ষ হওয়া, এমন আরো অনেক কিছু। প্রশ্ন করেছিলাম, "আর কোন পেশায় কি এতো গুনাগুন আশা করা হয়?" উত্তরে তারা সমস্বরে বলেছিলো, "না না, কি দরকার?"
ভৃগু ভাই, আমি এই বিষয়ে আমাদের সমাজের একটা চিত্র আপনাকে দিতে চাইলাম। জানিনা কতটুকু পারলাম।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বলেছেন। বিষয়টা এইরকমই গুলীযে ফেলে সবাই।
একজন সবচে শিক্ষিত স্মার্ট ছেলেটা জীবনের লক্ষ্য কি জানতে চাইলে শতকার ৯৮ জনই বলবে ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার , কিম্পউটার প্রোগ্রামার সিএ....ইত্যাদি
এই তালিকায় কেন শিক্ষক নেই???
সাধারন সামাজিক চলতি মোটা দাগের প্রথম বিচারের মানদন্ড অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা। শিক্ষক পেশায় তা অনিশ্চিত বলেই কারোই পছন্দের প্রথম তালিকায় শিক্ষক থাকে না।
অথচ বদনাম যা সব তাহারই
দারুন চিত্র ফুটিয়েছেন।
আর এইটাকে পৃথক পোষ্ট হিসেবে দিয়েছেন বলে আরও ভাল লাগছে।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪২
রমিত বলেছেন: শিক্ষকদের রাজনীতি করা নিয়ে অনেকে অনেক মন্তব্য করে বেশীরভাগই এটার বিপক্ষে। কেন? রাজনীতি কি খারাপ কিছু? তাহলে রাজনীতিবিদরা তো সবাই খারাপ কাজ করছে। শিক্ষকরা রাজনীতি করেছিলেন বলেই বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন হয়েছিলো, ভাষা আন্দোলন হয়েছিলো, মহান মুক্তিযুদ্ধেও শিক্ষক রাজনীতির ভূমিকা রয়েছে। অনেকে বলেন স্বাধীন দেশে আর শিক্ষক রাজনীতির প্রয়োজন নাই। তাই কি? স্বাধীন বাংলাদেশেও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষকদের ভূমিকার কথা উল্লেখযোগ্য। রাজনীতি না করলে দেশ এগুবে কি করে? তবে দাবী হয়তো, সুস্থ রাজনীতির। সে দাবী তো সমাজের সবার কাছেই।
অনেকে বলে, 'জাতির মাথা শিক্ষকরা' - তাই তো হওয়া উচিৎ, কিন্তু আমাদের দেশে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এটা কতটুকু সত্যা। আমাদের সমাজে কি থিংক ট্যাংক আছে। দেশে পলিসি মেকার কারা? শিক্ষকরা না আমলারা? না কি রাজনীতিবিদরা?
অনেক কথা বললাম ভৃগু ভাই। আপনার লেখাটি ভালো হয়েছে, তাই তার পিঠে এত কথা বললাম। ভালো থাকবেন।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আবারও অনেক ধন্যবাদ ..
অনেক ভাল লাগল মনখুলে প্রকাশ করেছেন। এবং এই টপিকটায় পোষ্ট হিসাবে আমরা নতুন সমৃদ্ধ একটা পোষ্ট পেয়েছি
না রাজনীতিতে কারো আপত্তি নেই।
কিন্তু চলমান রাজনীতির নামে নীতিহীনতার যে ছড়াছড়ি শিক্ষকদেরও তাতে গা ভাসানোতেই সবার আপত্তি!
স্বার্থ লোভ, পদ আর প্রমোশন অর্থনৈতিক বিশেষ সুবিধা এই সবের লোভে যারা বিবেক এবং ন্যায়, সত্যকে পাশ কাটিয়ে যারা অন্ধ রংয়ে রঙিন হয়ে, বা হতে মূখিয়ে আছৈ তাদের জন্যই এতকথা।
যাদের কাজ সকলেই ভুল পথে গেলে তাকে সঠিক পথের দিশঅ দেখানো তিনি যদি চলতি রাজণীতির চোরাবালীতে হারিয়ে যান- তখন জাতির সাধার জনতা আতকে উঠেন। ভরসার শেষ জায়গাটো শেষ হতে দেখে।
থিংক ট্যাংকের ভূমিকাইতো শিক্ষকরা রাখবেন। নির্মোহ, নির্ভয়, পক্ষপাতহীন!
আপনি কি দয়া করে এমন ক'জনের নাম দিতে পারবেন।
যদি বা থাকে তারা সমাজের প্রভাবক হিসাবে নিজেদের প্রতষ্ঠিত করতে পারেন নি।
যে জন্য সীল সাদার জয়জয়কার! আর জাতির জন্য আতংকের! নয় কি?
৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৭
রমিত বলেছেন: আমার আর একটি লেখার লিংক দিলাম
http://www.somewhereinblog.net/blog/ramit/29505388
অভিমান করে চলে গেলেন দেলোয়ার হোসেন স্যার
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লিংকটা শেয়ার করায়। ঘুরে এসেছি।
কি মর্মান্তি, বেদনা দায়ক!
অর্বাচিন কেরানীদের ডায়ালগ শুনে মনে হয়- শিক্ষদের কি এই পাওনা ছিল!
৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: রমিতের কমেন্টে জাঝা। আসলে না জেনে ঢিল মেরে কথা বলা আমাদের স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঝখানে সোজা বাংলায় বাঁশ খাচ্ছেন শিক্ষকশ্রেণি।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জ্বি। দারুন বলেছেন রমিত স্যার।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনামুলক চিত্রটাও সেই জণ্যেই দেয়া! আমাদের তথাকথিত আমলা আর সচিব বা মন্ত্রীদের দায়বোধহীন উক্তি পড়েই এ লেখা!
আজ কেন একজন মেধাবী তার প্রথম পছন্দ বা জিবনের লক্ষ্য এইম ইন লাইফে শিক্ষক পদটাকে সবার আগে ভাবে না! এটা ঘটাতে পারলেই দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি আর বিশ্বে মাথা উচু করে দাড়াবার জায়গাটা অনেক অনেক প্রশস্ত হবে।
ধন্যবাদ আপনাকেও
১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: শিক্ষকদের যথার্থ মূল্যায়ন করা উচিত ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দ্রুত এবং যথাযথ। যত দেরি করবে জাতি হিসাবে ততই পিছনের সারিতে যেতে থাকব!
অর্বাচিনের উৎসবে দেয়োলার স্যারের মতো ফাসির রজ্জুতে ঝুলতে হবে জাতিকে!
১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২
রাবার বলেছেন: +++++++্
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ রাবার!
দিননা রাবার দিয়ে মুছে সমাজের যত অসংগতি! যত অনাচার! যত কলংক!
একটু সূখের স্বপ্ন দেখি!
শিক্ষা আর শিক্ষকদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে! ভাবলেও শিউরে উঠতে হয়।
১২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২
রমিত বলেছেন: আপনার অকপট প্রতি-মন্তব্যগুলো খুব ভালো লাগলো ভৃগু ভাই। আমি এর উত্তর দেব। আপনি অনুগ্রহপূর্বক আমার পোস্টে গিয়ে মন্তব্যগুলো করুন।
থিংক ট্যাংকের বিষয়টা বলি - আমি চেষ্টা করেছিলাম ঐ কাজ করতে, কিন্তু বাধার সম্মুখীন হয়েছি। রাজনীতিবিদরা নিরপেক্ষ জ্ঞাংর্ভ কথা শুনতে আগ্রহী নয়। তারা চায় তাদের সমর্থনে কথা। তাই অল্প সময়ের মধ্যেই তারা আমাকে ঠেলে দেয়। একজন বললো, "পাওয়ার পলিটিক্স করি, ওখানে আপনার চিন্তাভাবনা অচল।" উপদেষ্টাদের মধ্যে আমলাদের পরিমান প্রভাবই বেশী দেখি। 'সিএসপি অফিসার মানে তো অনেক কিছু!' - এই চিন্তা থেকে এখনও খুব বেশী দূরে আসতে পারেনি দেশের বেশীরভাগ মানুষ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার ভাললাগায়
জ্বি গিয়েছি ঐ পোষ্টে! মন্তব্যও করে এসেছি। ধন্যবাদ আবারো অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা সহ!
১৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কমেন্ট শুদ্ধ পোস্টটি পড়লাম ,
পোস্ট ও মন্তব্যগুলি ভাল লাগলো ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কেমন আছেন লিটন ভাই?
ধন্যবাদ, ভাললেগেছে বলে, প্রীত বোধ করছি।
ভাল থাকুন।
১৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬
মেহবুবা বলেছেন: এ লজ্জা কার? শিক্ষকদের কেন আন্দোলন করতে হবে?
এখন মনে হচ্ছে শিক্ষার মান নিয়ে না ভেবে গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে বেশী মাথা ঘামানো বুদ্ধিমানের কাজ;
আমরা বড়লোক হতে চাই বড় মানুষ নয়।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বলেছেন।
আমরা বড়লোক হতে চাই বড় মানুষ নয়।
তাইতো আজ শিক্ষকরা ফুটপাথে পড়ে থাকে মাস ব্যাপি ভ্রুক্ষেপহীন!
লজ্জ্বা যারা অনুভব করবে তারা যে বোধহীন!
তাইতো জাতির বিড়ালের মতো পিছনে হাটা কেবলই..
শীঘ্র মুক্তি মিলুক। আমরা সঠিক পথের দিশা নিয়ে এগিয়ে যাবার স্বপ্নটুকু বাঁচিয়ে রাখি।
১৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বিদ্রোহী ভৃগু,
অতো কথা না বলে ছোট একটি প্রশ্ন করি
সেরা এই ১০ দেশগুলো কি ‘শিক্ষক সম্মাননা’ করিই সেরা হয়েছে ?
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জটিল প্রশ্ন করলেন
সেরা বিষয়টা কোন একক বিষয়ের উপর নির্ভরশীল নয়। এটা সামগ্রিক। তবে এর মাঝে গুরুত্ব বিবেচনায় শিক্ষাকে কি আপনি সবার উপরে রাখবেন না?
শিক্ষা যদি ফাউন্ডেশন হয়- তবে অবশ্যই। সুস্থ রাজনীতি, নৈতিক বোধের বিকাশ বা এমনকি সাম্রাজ্যবাদী চেতনার জন্য বেশি মাত্রায় শিক্ষা কি জরুরী নয়?
এবং অবশ্যই শিক্ষানীতিই তাদের উন্নতির প্রধান সোপান।
আপনার মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায়
১৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৭
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বিদ্রোহী ভৃগু,
‘শিক্ষক সম্মাননা’র কথা বলছিলুম, আপনি আবার শিক্ষা, শিক্ষানীতিতে চলে গেলেন। যাইহোক, আপনি যেমনটা বললেন, এটা সামগ্রিক। জাতি/রাষ্ট্র শিক্ষকদের সম্মান আর্থিক বা আচরণ দ্বারা করতে চাইলে, তাকে কেবল শিক্ষক বিচারে ক’রে থাকে না। আপনার পোস্টে উল্লেখিত দেশগুলোর নিয়ন্ত্রন-কাঠামোতে খেয়াল করে দেখুন। য়ু ক্যান ফাইন্ড ইট।
আপনি আপনার লেখার শেষে শিক্ষদের প্রতি অনুরোধ করছিলেন। কেনো ? আপনি কি শিক্ষকদের চাইতেও বেশি বুঝেন ! হাহ হাহ। নাহ। আপনি তেতো সত্যটা জানেন বলেই এমনটি আপনাকে করতে হলো।
আমি সেদিকেই ইঙ্গিত করছি, আগে শিক্ষকদের সম্মান তাদের নিজেদের অনুধাবন ও সে অনুযায়ী এ্যাক্ট করতে হবে। এর পর আসে অন্যান্য সেরার কথা।
শিক্ষকদেরেএসব শিখাবে কে ?
আর এবার আসতে পারেন আপনার শিক্ষানীতির প্রশ্নে। এটাকে কি ওই পেটে যখন খাবারের টান থাকে অমন করে টানতে চাইবেন। নাকি শিক্ষকের রঙ্গে রঙিন থেকে। এ প্রশ্ন আপনাকে করছি, নিজেকেই করছি। বেড়ালের ঘলায় ঘন্টা কোন পক্ষ আগে বাঁধবেন তাই ভাবছি ...
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শীক্ষক সম্মাননার কথাই ধরুন।
তা যেমন শিক্ষককে নিজের আত্মমর্যাদা দিয়ে নিজেকেই আদায় করে নিতে হবে, তেমনি নষ্ট রাজনীতিকেও উপরে ফেলে সুজন, স্বজন, সৎজন বান্ধব নীতিতে ফিরতে হবে।
নইলে সজ্জ্ন শিক্ষকরা একদিন দুদিন সোনার ছেলেদের ধোলাই খেয়ে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে হেরেই যাবে।
এটা কোন একমূখি বিষয় নয়। সামগ্রীক। আপনি যে নিয়ন্ত্রন কাঠামোর কথা বল্লেন- আমিও তাতে একমত। আর সেটার জন্য সুস্থ সৎ সুন্দর রাজনীতি চাই যা আমাদের দেশে অনুপস্থিত।
তারপর সবার উপরে আছে অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ!
আগের সময়ে যে নীতিবান শিক্ষকদের নিভু নিভু জ্বলতে দেখেছেন- আমার পিতাও তাদের দলেই ছিলেন। মাত্র ৬০ টাকাই মাইনে দিয়ে সংসার তবু টেনেটুনে চালাতে পারতেন। সবগুলো ভাইকে মিনিমাম গ্রাজুয়েশন করিয়ে ছেড়েছেন।
এই বাজারে ২০-৩০ হাজার টাকায় বলুন নুন আন্তে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। তো শুধু খালি হাতে তো আর আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না! নাকি যাবে ভাবছেন?
সেই ক্ষেত্রেই আসে শিক্ষকদের সম্মানীর কথা। বাদ দিন পেটে প্রসংগ।
চলুন ভাল একটা স্কুলে বা কলেজে বিশ্ব্বিদ্যালয়ে আপনি একজন নীতিবান শিক্ষক। আপনার নিয়োগ এবং কাজ প্রসংগে। আপনি কি পাবেন বলে মনে করেন সেই জব?
যে কারণে পাবেন না- সেটাও একটা বড় বাঁধা যার বিহাইন্ড দা ফ্যাক্ট কিন্তু আলটিমেটলি অর্থ!
ঐ যে শুরুতে বলেছি- ক'জনের এইম ইন লাইফে শিক্ষকতা আছে?
নেই কারোই। কেন নেই?
সেখানেই আপনার উত্তর।
ব্যক্তি যেমন উদ্যোগী হবে রাষ্ট্রকেও সেই উদ্যোগের ব্যাকআপ দিতে হবে। তবেই আশা করা যায় ভাল শিক্ষক। ভাল শিক্ষা ভাল রাজনীতি উন্নত রাষ্ট্র।
১৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৮
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আমার পিতাও তাদের দলেই ছিলেন। মাত্র ৬০ টাকাই মাইনে দিয়ে সংসার তবু টেনেটুনে চালাতে পারতেন। সবগুলো ভাইকে মিনিমাম গ্রাজুয়েশন করিয়ে ছেড়েছেন।
শ্রদ্ধা আপনার বাবার প্রতি। লাখো সালাম এমোন শিক্ষকদের প্রতি।
একজন নীতিবান শিক্ষক। একজন দিয়ে হবে না, যতক্ষণ না নেতৃত্ব ও একতার প্রশ্নে অনেকগুলো একজন একজনের মতো কাজ করতে পারছেন।
শুধু খালি হাতে তো আর আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না! নাকি যাবে ভাবছেন?
বিদ্রোহী ভৃগু,
কাটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে,
দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে?
অনেকগুলো একজনের তেমন একজনকে তো আসতেই হ’বে খালি হাতে। এত সহজ কি একটি সমাজ-রাষ্ট্র-ব্যবস্থা বিনির্মাণ করা! আর খালি হাত হবে কেনো, অভিভাবকদের মাথায় কি তার সন্তানের সুন্দর ভবিষৎ নেই! তাঁরা কী বাতাসে বড় হয়েছেন।শিক্ষকরা সোনার ছেলেদের ধোলাই খেয়ে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে হেরে যাবে। আর আমরা অভিভাবকরা পেপার-পত্রিকায় পড়েই ল্যাঠা চুকাবো! এমন অভিভাবকদের আবার স্বপ্ন!! হাহ হাহ হাহ।
আচ্ছা আমাদের কথা ক’জন শুনছেন। ব্লগে কিন্তু কর্তাব্যক্তিরা আসেন না বললেই চলে। যাক, আপনি আমি আমাদের অবস্থান থেকে যতটুকো পারা যায়, করে যাই ...
নেতা সবচেয়ে বড় বিশেষজ্ঞ। আমরা বাইরে থেবে যতই ডিগ্রি-ফিগ্রি নিয়ে আসি না কেন, থাকি তো তার পায়ের তলায়
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
ধন্যবাদ আমার পিতার প্রতি আপনার আন্তরিক শ্রদ্ধায়। কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি।
এই যে বলেছেন-
কাটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে,
দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে?
আজকালকার সিলেবাসে মনে হয় এই উদ্ধৃতিটুকুও নাই হয়ে যাচ্ছে। যেমন গেছে - আদর্শলিপির নীতি কথাগুলো!
<< " অভিভাবকদের মাথায় কি তার সন্তানের সুন্দর ভবিষৎ নেই! তাঁরা কী বাতাসে বড় হয়েছেন।শিক্ষকরা সোনার ছেলেদের ধোলাই খেয়ে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে হেরে যাবে। আর আমরা অভিভাবকরা পেপার-পত্রিকায় পড়েই ল্যাঠা চুকাবো! ..
=আছে না। স্বপ্নতো বিশাল শুধু বাস্তবায়নের পথটা ভিন্ন। পিইসি থেকে শুরু প্রশ্ন জোগার কর ! জিপিএ ফাইভ হলেই হল। সনদেতো আর লেখা নেই ফাসকৃত প্রশ্নে পাস!
ব্যাস বাকী পথটা আর উত্তম আশা করেন কি করে-যে বীজের গোড়াতেই গলদ! ভাল স্কুলে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করেছে! নো প্রবলেম! ঐ ফোন লাগাতো অমুক ভাইরে! সাথে কিছু ডোনেশেন!
ব্যাস মেধাবী আউট - ফেল্টু ইন!
এ সর্বনেশে চক্র ভাংবেন কি করে?
ধরুন আপনি ঐ স্কুলে সৎ শিক্ষক। একজন নন কয়েকজনই। আপনারা আপত্তি দিলেন আনুষ্ঠানিক। পরিণতি?
সরকারী হলে গায়ের স্কুলে ট্রান্ফার। বেসরকারী হলে সতকর্তা কিংবা পত্রপাঠ বিদায়!
এই বাস্তবাতয় একজন শিক্ষকের দায় বেশি ? নাকি অভিভাকের! নাকি রাষ্ট্রের????
হুম আমাদের কথা হয়তো কেউ শুনছে না্ আমি আর আপনিতো শুনছি। হয়তো কোন স্বপ্নে বীজ বপিতও হতে পারে
১৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: সহমত ...! শিক্ষকদের মূল্যায়ন করতে হবে এবং শিক্ষকদের ও অনেক কিছু ভাবার আছে.........।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ ইপ্সি!
শিক্ষক আর শিক্ষা খাত যতদিন অবহেলা আর রাজনীতি মুক্ত না হবে- শিক্ষার মান বাড়বেনা। জাতিও উন্নত হবেনা।
ধন্যবাদ আবারো
১৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১
জেন রসি বলেছেন: সবশেষে মহান শিক্ষদের প্রতি অনুরোধ আপনারা দয়া করে লাল নীল রং ধারন করবেন না। এই একটা জায়গা যদি শুধু শিক্ষকের রঙ্গে রঙিন থাকেন জাতি অচিরেই একটা দারুন প্রজন্ম পাবে যারা দেশটাকে দলান্ধতার অন্ধকার থেকে বের করে আনতে পারবে।
একজন মহান শিক্ষকই একটা দারুন উন্নত সুশিক্ষিত জাতির জন্ম দিতে সক্ষম।
সহমত।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
আশাকরি শিক্ষক মহোদয় গণ বিষয়টি উপলদ্ধি করবেন।
২০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুব চমৎকার একটা পোস্ট। শিক্ষকের মর্যাদা, অার্থিক অবস্থান উন্নত করা থেকে শুরু করে শিক্ষানীতি , শিক্ষক ও শিক্ষার মান উন্নয়ন সবকিছুতেই নতুন পরিকল্পনার দরকার।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা।
এর বাইরে বাকী স্বপ্ন অর্থহীন বলেই মনে হয়। আমরা আশা ও অপেক্ষায়...
২১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: শিক্ষকদের কল্যাণের প্রতি রাষ্ট্রের আরু সুনজর দেয়া সমীচীন। কেননা, 'শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড'।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বরাবরের মতোই আপনার খুঁজে খুঁজে পুরোনো পোষ্ট পাঠ এবং মন্তব্য করার দারুন কষ্টকর কাজের জন্য কৃতজ্ঞতা।
হুম।
কিন্তু মিশন আর ভিশন যখন ভিন্ন তখন শিক্ষা কেবলই পণ্য!!!
সার্বিক জাতিগত আত্মপরিচয়, ভবিষ্যতের স্বপ্ন আর বৈশ্বিক বাস্তবতায় জাতিকে মান সম্পন্ন উচ্চতায় এগিয়ে নেয়ার
দূরদর্শী পরিকল্পনা, নেতা, ভিশনারী কই???
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সিনিয়র।
সামুতে দীর্ঘ বিরতিতর কারণে উত্তরের বিলম্ব মার্জনীয়
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৭
কল্লোল পথিক বলেছেন: শতভাগ সহমত।
ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভাই।
নিরন্তর শুভ কামনা জানবেন।