নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকার বস্তি, ঢাকার এক জ্বলন্ত বাস্তব।
তাদের জীবন যাপন, কষ্ট! নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত অমানুষের মতো বেঁচে থাকার লড়াই আমাদের গা-সওয়া হয়ে গেছে! আমরা বিকারহীন পাশ কাটিয়ে যাই দেখতে দেখতে!
কখনো ব্যক্তিক অক্ষমতায়! অসহায়তায়! অথবা অভিজাত্যের ঘৃনায়!
রাষ্ট্রের আছে বহু বহু সংস্থা! সবার সাফল্য কাগজে কলমে, বক্তৃতায় অনেক! বাস্তবতা- সেসন্সর বিহীন প্রাত্যাহিক দর্শনে।
আমাদের কর্পোরেট হাউজগুলোও নাম ফুটাতে পোষ্টার ব্যানার আর মিডিয়া ব্যায় যা করে তা দিয়ে হয়তো অনেক শিশুর বছরের আহার সংস্থান হতো! কিন্তু তা হলেতো তা সবাই জানবে না। কোম্পানীর নাম ফুটবেনা। সো.. ৫০০ টাকা দানের মিডিয়া কাভারেজ ব্যায় ৫০০০ টাকা! বা তারচে বেশি!!!
এভাবে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি ।
কিন্তু মারিয়া। স্পেনিশ নাগরিক মারিয়া কনসেকাও । এমিরেটসের কেবিন ক্রু। যাত্রা পথে মাত্র ২৪ ঘন্টার ট্রান্জিট টাইমের ভিজিটেই কেঁদে ওঠে তার হৃদয় । কিছূ একটা করার তাগিদ কুড়ে কুড়ে খায়।
পরের টুকু এক অবিস্মরনীয় ইতিহাস..
বাকী টুকু জানুন সংবাদ থেকে :
দুবাইয়ে বসবাসকারী স্পেনিশ নাগরিক মারিয়া কনসেকাও। দুঃসাহসী ভ্রমণপ্রিয় অথচ দৌড় যার চক্ষুশূল এই নারী-ই ম্যারাথন দৌড়ে গিনেস ওর্য়াল্ড রেকর্ডস গড়লনে! তাও একটি নয়, তিনি তিনটি বিশ্ব রেকর্ড।
গিনেস ওয়ার্ল্ড সম্প্রতি তার এ কীর্তির স্বাীকৃতিও দিয়েছে। অবশ্য এ রেকর্ড গড়ার পেছনে মানবিক একটি উদ্যোগ মারিয়াকে অনুপ্রাণিত করেছে। তা হলো ঢাকার বস্তির শিশুদের জন্য কিছু করার তাড়া থেকে তার প্রতিষ্ঠিত 'মারিয়া ক্রিস্টিনা ফাউন্ডেশন'র জন্য তহবিল সংগ্রহ। এ লক্ষ্যে অারো দুই সহকর্মীসহ '৭৭৭ চ্যালেঞ্জ' নামে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন তিনি।
মারিয়ার চ্যালেঞ্জটি ছিল মাত্র ৭ দিনের মধ্যে ৭টি মহাদেশে ৭টি ম্যারাথন দৌড় সম্পন্ন করা। সাতটি ম্যারাথন সম্পন্ন করতে গিয়েই তারা তিন তিনটি গিনেস রেকর্ড গড়েন। মারিয়ার চ্যালেঞ্জ শুরু হয় গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকে। এরপর ম্যারাথন দৌড় সম্পন্ন করেন আবু ধাবি, প্যারিস, তিউনিশ, নিউইয়র্ক, চিলির পুনতা এরিনাসে। সর্বশেষ অ্যান্টার্কটিকার কিং জর্জ আইল্যান্ডে ম্যারাথনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় মারিয়ার '৭৭৭ চ্যালেঞ্জ'। যদিও অবশ্য ৭ দিনের মধ্যে ৭টি ম্যারাথন সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। কারণ খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাদের এ চ্যালেঞ্জ চারদিন বিলম্ব হয়। তা সত্ত্বেও ৭টি অফিসিয়াল ম্যারাথন সম্পন্ন করতে মারিয়ার মোট সময় লাগে ১০ দিন ২৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। এর আগে এই রেকর্ড গড়তে সময় লেগেছিল ৪৮ দিন।
'৭৭৭ চ্যালেঞ্জ' সফলভাবে সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে মারিয়া যে তিনটি রেকর্ড গড়েছেন সেগুলো হলো ১. প্রতিটি মহাদেশে অফিসিয়াল ম্যারাথন সম্পন্নকারী সবচেয়ে দ্রুততম নারী, ২. প্রতিটি মহাদেশে একটি ম্যারাথন ও আল্ট্রাম্যারাথন সম্পন্নকারী দ্রুততম নারী এবং ৩. সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে তিনটি মহাদেশে ম্যারাথন ও আল্ট্রাম্যারাথন সম্পন্নকারী নারী।
এদিকে, 'মারিয়া ক্রিস্টিনা ফাউন্ডেশন' প্রতিষ্ঠার পেছনে একটি ছোট্ট গল্প আছে। মারিয়া একদা এমিরেটস এয়ারলাইন্সে বিমানসেবিকা হিসেবে কাজ করতেন। যাহোক, একবার একই এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে যাওয়ার সময় ঢাকায় ২৪ ঘন্টার জন্য যাত্রাবিরতি করতে হয় তাকে। এ সুযোগে তিনি রাজধানী ঢাকা ঘুরে বেড়ান। তখনই কঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি হন তিনি। ঢাকার বস্তির শিশুদের দারিদ্রপীড়িত জীবন ব্যথাভরা হৃদয়ে প্রত্যক্ষ করেন। এ অভিজ্ঞতা থেকেই তাদের জন্য কিছু করার মানবিক তাড়না থেকে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ফাউন্ডেশনটি।
মারিয়ার ফাউন্ডেশনের আওতায় ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত একটি স্কুলে বর্তমানে কিন্ডারগার্টেন থেকে ১২ গ্রেড পর্যন্ত প্রায় দু'শর মতো বস্তির শিশুর পড়াশোনা করছে। স্কুলটির বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সফলভাবে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে দুবাইয়ে এমিরেটসে চাকরিও করছে। সূত্র : খালিজ টাইমস
বাংলা সূত্র
আশা করি মারিয়ার ব্যতিক্রমি অনন্য উদাহরণ আমাদের প্রেরণা হয়ে উঠবে। কোন কিছু আন্তরিক ভাবে করতে চাইলে যে অসম্ভব বলে কিছূ নেই তারই জ্বলন্ত স্বাক্ষী হয়ে রইলে ইতিহাস গড়া মারিয়া।
আমাদারে উদাসীনতা কি আমরা কাটাব?
গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাড়াব কি নিজেদের যত অসঙ্গতি আর দুর্বলতা দূর করতে।
ভিনদেশীর ঢাকার বস্তিবাসীর প্রতি প্রতি মায়া আমাদের কর্পোরেট মোগলদের কি একটুও লজ্জ্বিত করবে?
এই দেশ-মাটির রক্তচোষা টাকায় ইউরোপ আমেরিকায় যাদের ফুটানি, বিশাল ব্যাংক ব্যালেন্স তারা কি শরম অনুভব করবে?
আর বাকী রইল আমজনতা! তাদের জন্যও হতাশার বদলে আশার প্রদীপ হয়েই মারিয়া জ্বলবে- যদি কেউ আলোর পথ খোঁজে!
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ লেখোয়াড়।
তা যেন বলেছেন। লজ্জ্বা নারীর ভূষন বলে কি অবলীলায় নির্লজ্জ্তায় আমরা মারমূখী কে কার চে বড় !!!!! হায়!
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুধু কর্পোরেট মোগল কেন, আমজনতা, সরকার বাহাদুর সবারই লজ্জিত হয়ে গা ঝাড়া দিয়ে উঠার দরকার।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা
সবারই লজ্জিত হয়ে গা ঝাড়া দিয়ে উঠার দরকার। সহমত।
আর কত অন্যের চোখে নিজের লজ্জ্বা দেখতে হবে???? আর কত????
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯
হাসান নাঈম বলেছেন: আর বাকী রইল আমজনতা! তাদের জন্যও হতাশার বদলে আশার প্রদীপ হয়েই মারিয়া জ্বলবে- যদি কেউ আলোর পথ খোঁজে!
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আশাতো আমরা করতেই পারি!
নিজেদের মানুষ বলে পরিচয় দিতে! নয় কি? আসুক দেশপ্রেমে, বিবেকের দায়ে জ্বলজ্ভলে উজ্জ্বল আলোর পথের পথিক! নতুন পথের আহবান লয়ে....
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ভালবাসা, দরদ, মমত এসব মন থেকে আসতে হয়। সিস্টেম বসিয়ে দিলে মন ও মস্তিস্কের মধ্যে ফলাফল বড় অমানবিক। আশাকরি এমন সব দৃষ্টান্ত সিস্টেম ভেঙে আমাদের মানবিক করে তুলবে।
এই লিখাটিও গতকাল ব্লগে দেখলুম। আপনিও পড়ুন-
view this link
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।
আপনার আশার সাথে সহমত।
দেখলাম। অসাধারন অনন্য উদ্যোগ। স্যালুট টু রেজওয়ান। লিংকের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বস্তি উঠে গেলে ভোট ব্যাংক এর কি হবে
আর কর্পোরেট বানিজ্যের উপাদান ও কমে যাবে
একটা গিনিজবুক অব রেকর্ড এর চাইতে মানবিকতা বড় প্রমান করল মারিয়া আর রেকর্ড নিজে এসে তাকে ধরা দিল ঠিকই।
বিলাস ব্যাসন তাদেরই সাজে যাদের মৌলিক চাহিদা পূরন হয়ে সঞ্চয় থাকে, আমাদের দেশের জনসাধারনের মৌলিক চাহিদা ই পূরন হয় না আমারা আগেই নেমে গেছি গিনিজ বুকে নাম উঠাতে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নোংরা রাজনীতিই গিলে খেল সম্ভাবনার সোনার স্ব-দেশ!
ভোট নিয়ে হোক, সনদ আর রেকর্ডের ইয়াবা নেশা হোক! সবকিছূতেই রাজনীতি! দারুন বলেছেন- আমাদের দেশের জনসাধারনের মৌলিক চাহিদা ই পূরন হয় না আমারা আগেই নেমে গেছি গিনিজ বুকে নাম উঠাতে।
অনেক ধন্যবাদ ।
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১
সুমন কর বলেছেন: আমাদের কর্পোরেট হাউজগুলোও নাম ফুটাতে পোষ্টার ব্যানার আর মিডিয়া ব্যায় যা করে তা দিয়ে হয়তো অনেক শিশুর বছরের আহার সংস্থান হতো! কিন্তু তা হলেতো তা সবাই জানবে না। কোম্পানীর নাম ফুটবেনা। সো.. ৫০০ টাকা দানের মিডিয়া কাভারেজ ব্যায় ৫০০০ টাকা! বা তারচে বেশি!!! ---এটাই সত্য !!
'মারিয়া ক্রিস্টিনা ফাউন্ডেশন' এর জন্য রইলো অনেক অনেক শুভকামনা এবং শুভেচ্ছা।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। +।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা।
আশা করি আমাদের উদ্যোক্তরা প্রেরণা খূঁজে পাবে- যারা কিছু করতে চায়। যারা স্বপ্ন দেখে বদলের। যারা স্বপ্ন দেখে শুভ এবং কল্যানের!
৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯
আবু শাকিল বলেছেন: মারিয়া কে নিয়ে আমার লেখার খুব ইচ্ছা ছিল।সেই কাজটা আপনি করে দিলেন।খুব কৃতজ্ঞতা রইল ভাই।
মারিয়া সম্পর্কে আমি জানতাম ২০১১ থেকে। এমিরেটস ফ্লাইট এর কেবিন ক্রু ছিলেন মারিয়া।ঢাকার বস্তিবাসীদের জন্য কিছু করতে চান সেই ইচ্ছা প্রকাশ করলেন বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট কর্মরত এক ব্যাক্তি র কাছে।সেই ব্যাক্তি উত্তরার দক্ষিনখান এলাকায় থাকা কিছু শিক্ষিত বেকার যুবকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন।
সেই যুবকদের সহযোগীতা নিয়ে মারিয়া ঢাকা এয়ারপোর্ট এর কাছের এলাকা গাওয়াইর এ একটা স্কুল চালু করলেন।মারিয়া এবং সেই যুবকদের সাথে বস্তিতে গিয়ে রিক্সা-চালক এবং দিন মজুরের বাচ্ছাদের কে স্কুলে পাঠদান এবং দুইবেলা খাবারের ব্যবস্থা করেন।স্কুলের বাচ্ছাদের জন্য ফ্রী মেডিকেল এবং ঔষধ প্রদান করতেন।
আমি কিছুদিন গাওয়াইর এলাকায় থাকায় মারিয়ার আন্তরিকতা এবং মহানুভবতা খুব কাছ থেকে দেখেছি।
মারিয়ার বস্তিতে গিয়ে দরিদ্র পরিবার গুলোকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছেন।
মারিয়া,ক্রিস্টিনা সহ তাদের সাথে থাকা আরো সহকর্মীরা স্কুল টা চালিয়েছেন।
বাংগালী র চিরায়ত কিছু স্বভাব ছিল যা মারিয়া টের পেয়েছিল। সে কারনে তার সাহায্য সংস্থা চালাতে কিছু সমস্যায় পড়েছিলেন।
সব গুলাই আমার কাছ থেকে দেখা এবং শুনা
বাকিটা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার পোষ্টের অপেক্ষায়। আপনার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞা নিশ্চয়ই আমাদের ঋদ্ধ করবে।
আপনার খূব কাছ থেকে দেখা মারিয়ার আন্তরিকতা এবং মহানুভবতার মহৎ কাহিনী অবশ্যই আমি এবং আমরা সবাই জানতে আগ্রহী। প্লিজ লিখে ফেলুন সেই সত্য যা আমাদের অনুপ্রাণীত করবে, আমাদের সাহস দেবে, আমাদের মানুষ হতে উদ্বুদ্ধ করবে।
আপনার কাছ থেকে মারিয়ার আরও বাস্তব তথ্য জেনে আনন্দিত হয়েছি। আশা করি আমাদের নিরাশ করবেন না।
৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩
গেম চেঞ্জার বলেছেন: শাকিল ভাই, কি রকমের বাঁধা আসছিল মারিয়ার পথে....... জানার কৌতুহল জাগছে.....।
বিদ্রোহী ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ এই রকমের প্রেরণাদায়ক পোস্টের জন্য। আসলে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় ব্যাপারটা মিথ্যে না। আমি নিজেও এর সুফল পেয়েছি।
ইচ্ছেটা অবশ্যই কার্যকরী ইচ্ছে হতে হবে.... তা তো অবশ্যই.......।
বাঙালির বোধোদয় হোক এ প্রত্যাশায়........
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা আশা করছি শাকিল ভাই আমাদের নিরাশ করবেন না। উনার কাছ থেকে দেখা এই মহতী কাজের বিশদ জানিয়ে আমাদের অন্রপুানীত করবেন।
সহমত।
অনেক অনেক বেশী আশায়.. বোধোদয়ের !
৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
কিরমানী লিটন বলেছেন: মারিয়ার মহতী উদ্যোগকে স্যালুট !!
বাংলাদেশের নির্মম বাস্তবতা- বস্তির মানুষদের আলোকপাতের অসাধারণ পোস্টটির জন্য অসংখ্য সাধুবাদ আর অভিবাদন প্রিয় বিদ্রোহী ভাইকে, অনেক শুভকামনা রইলো ...।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মারিয়ার প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন অন্তরের গভীর থেকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ -অভিবাদন, সাধূবাদ আর শুভকামনায়।
এতো আপনার শুভ মনেরই প্রকাশ
১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
ধমনী বলেছেন: মারিয়ার জন্য শ্রদ্ধা।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং অভিনন্দনতো মারিয়ার জন্যই।
১১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৫
আজাদ মোল্লা বলেছেন: কিরমানী লিটন ভাই এর সাথে সহমত ।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমাদের আন্তিরক এগিয়ে আসা যে আমাদের অনেক সমস্যাকে লাঘব করতে পারে.. মারিয়া এক উদাহরণ। প্রেরণা! বাতিঘর!
১২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৬
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমরা নিজেরা কিছুই করিনা আবার কেউ দেশের জন্য সমাজের জন্য কিছু করতে চাইলে তার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরির কাজটা ঠিকই করতে পারি।
মারিয়াকে স্যালুট
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।
আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি বির্নিমানের ব্যর্থতারই ফলে সেটা। আমাদের যেটা মূল পরিচয়- পরোপকারী, সেবা পরায়ন, অতিথীবৎসল এই গুনগুলোর প্রতিফলুন পূজিবাদী মিডিয়া হাইলাইটস করেনা। ফলে এর চর্চা বাড়েতো নসাই.. উল্টো ডুমুরের ফুল হয়ে যাচ্ছে! সস্তা কথিত প্রেম, সুরসুরি, পরকীয়া, শেকড়হীন একং অদ্ভুব কালচার চাপে বসছে- যার সাথে মাটি মানুষের সম্পর্ক নেই।
আজও গায়ে যান.. সামান্য বিপদে দেখুন আন্তরিক সেবাদাতার অভাব পরবে না।
মারিয়াকে স্যালুট।
১৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৩
অন্তু নীল বলেছেন: আমাদের বাঙ্গালিদের মুখ চলে বেশি, কিন্তু কাজের বেলায় পাঁঝি। মুখে মুখে দেশ প্রেমের বুলির ফুলঝুরি ফুটাই, আর ভিতরে ভিতরে আখের গুটাতে ব্যাস্ত। এই হলাম আমরা।
স্যালুট মারিয়াকে। যদি তার মাধ্যমে আমাদের এতটুকুও বোধোদয় ঘটে!
অসংখ্য ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভাই। এরকম একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরার জন্য।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্যালুট মারিয়াকে। যদি তার মাধ্যমে আমাদের এতটুকুও বোধোদয় ঘটে!
অসংখ্য ধন্যবাদ অন্তু নীল।
১৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৮
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: স্যালুট মারিয়াকে। সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্যালুটতো তাকে দিতেই হয় যিনি বলেন..
"I run to secure the future of my children in Dhaka."
অন্তর থেকে ভালবাসা তাঁর জন্য।
১৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৯
গোধুলী রঙ বলেছেন: ভাইরে আমাগো দ্যাশে এইরাম টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া তক দৌড় লাগাইলেও কেউ ১০ টা টাকা পর্যন্ত দিবে না। আর জানেন তো গেয়ো যোগী ভিখ পায়না, এটাতো আমাগো দ্যাশেরই প্রবাদ, এই প্রবাদ আংরেজিতে আছে কিনা জানা নাই, কারন অগো দ্যাশে, গেয়ো যোগীই বেশি ভিখ পায়।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপাত হয়তো মনে হয় দেবে না। কিন্তু বিশ্বাস করেন - সঠিক উদ্যোগ আর আন্তরিক চাওয়া থাকলে খালিও ফিরবেন না।
আমাদেরই কিন্তু অনেক গর্ব করার মতো সামাজিক উদ্যোক্তা আচে ব্যাক্তি পর্যায়ে। যারা মারিযার মতো আন্তর্জাতিক সাফল্য হয়তো পায় নি- কিন্তু চেস্টা ব্যর্থও হয় নি।
আমরা আরো বেশি বেশি জেগে উঠি। সামগ্রিকতায়।
১৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২১
আবু শাকিল বলেছেন: গেচা ভ্রাতা @
সালটা সম্ভবত ২০০৮/৯ ভূলে ২০১১ লেখেছি ।
এমিরেটস এয়ারলাইন্সে কেবিন ক্রু পদে চাকরি করা মারিয়া এবং তার সহকর্মীরা মিলে ঢাকায় বস্তিতে থাকা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কিছু করার তাগিদ অনুভব করে স্থানীয় শিক্ষিত বেকার যুবকদের সহযোগিতা নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন "দ্যা ঢাকা প্রজেক্ট " ।মারিয়া অনুদান সংগ্রহ নিয়ে ব্যাস্ত থাকার কারনে সব সময় খোঁজখবর নেয়া সম্ভব হচ্ছিল না। প্রজেক্ট টি সুন্দর এবং সঠিক ভাবে চালানোর জন্য শিক্ষক ,ডাক্তার ,হিসাব রক্ষক হিসেবে বেশ কিছু লোক কে দায়িত্ব দেয়া হয় ।তারা অনেকেই নিজের দায়িত্ব অবহেলার কারনে অনেকে কেই চাকরিচ্যুত করা হয় ।
আমার জানামতে মারিয়া র সাহায্য সংস্থার নাম ছিল - "দ্যা ঢাকা প্রজেক্ট " ।এখন এটা চালু আছে কিনা আমার জানা নাই ।আজ অনেক দিন পর গুগুল করে কিছু খোঁজে পেলাম -কয়েকটা লিঙ্ক দিলাম ।দয়া করে বিস্তারিত জেনে নিবেন -
view this link
view this link
যে স্থানীয় শিক্ষিত বেকার যুবকদের নিয়ে প্রজেক্ট চালু হয়েছিল তাদের কয়েকজন কে এখানে পাবেন।আমি এদেরকে ব্যাক্তিগত ভাবে চিনি
view this link
ধন্যবাদ ।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ লিংক ও আরো বেশি তথ্য দিয়ে পোষ্টকে সমৃদ্ধ করায়।
"I run to secure the future of my children in Dhaka."
কি দারুন! উচ্চারন!
স্যালুট!
১৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৮
কল্লোল পথিক বলেছেন: স্যালুট সিস্টার মারিয়া এই হা-ভাতে পথ শিশুদের পাশে দাড়ানোর জন্য। আমরা কি শুধু মারিয়াদের মুখ পনে চেয়ে থাকবো?
নিজেরা নিজের দেশটার জন্য কিছু করতে পারিনা।প্রশ্নটা আপনাকে নয় ভাই,১৬ কোটি বাঙ্গালীর কাছে।
ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভাই।
অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের আত্ম জাগরণের আশা নিয়েই পোষ্ট শেষ করেছি।
শুধু মারিয়াদের অপেক্ষায় না থেকে আমাদের থেকে জেগে উঠতে হবে সবাইকে। ব্যাপক ভাবে।
যাদের এ বিষয়ে সামান্য উদ্যোগও দেশের চেহারা বদলে দিতে পারে- তারাই স্বার্থ আর পূজির শীতনিদ্রায়!!!!
তারপরএ হ্যামারিং চালাতেই হবে। জাগরণের আশায়।
গল্প কবিতা, ব্লগ আলোচনা, হৃদয়ের গভীরে লালিত স্বপ্নে.....
১৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৫
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মারিয়া’রা বেঁচে থাকবে শত মানুষের ভালোবাসায়।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
নি:স্বার্ত ভালবাসা অমূখাপেক্ষি বেঁচে থাকে অনন্তকাল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪
প্রামানিক বলেছেন: আমরা যখন আমার দেশ থেকে টাকা নিয়ে অন্য দেশে বসে মৌজ করি তখন অন্য দেশের মারিয়ারা এসে এদেশে পথ শিশুদের কথা চিন্তা করে কিছু করার চেষ্টা করে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি দু?:খজনক!
আমরা নিশ্চয়ই সচেতন হবো। আমরা যেয়ে যেন ভিন দেশে অসহায় দরিদ্রদের সেবা করতে পারি- নিজেদের তেমনি করে প্রস্তুত করবো। নিজের দেশকে সেবার মাধ্যমে।
ধন্যবাদ প্রমানিক ভাই।
২০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মারিয়ার এই উদ্যোগ সম্পর্কে আরও জানার ইচ্ছে জাগছে। খুব ভাল লাগল পড়ে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬ নং কমেন্টে আবু শাকিল ভাইয়ের দেয়া কিছু লিংক আছে। মোটামোটি ধারনা পাবেন।
মারিয়ার দৃঢ় উচ্চারন দেখুন -"I run to secure the future of my children in Dhaka."
২১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: চমৎকার তথ্য। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। আর মারিয়া-কে দেখে আমাদের দেশের শিল্পপতিদের একটু লজ্জা পাওয়া উচিত। এদের টাকা কি শুধুই ভোগে লাগবে?
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ শুভেচ্ছা সব মারিয়ার জন্যই থাকুক
আহা আমাদের শিল্পপতিদের যদি ঐ লজ্জ্বা জিনিষটা থাকত! যক্ষর ধন বক্ষিলায় খায় বলে একটা প্রাচীন প্রবচর আছে। তাদের ধন তেমনি পরিণতির অপেক্ষায়!
২২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯
জনম দাসী বলেছেন: মারিয়াম, হায় মারিয়াম, কোথায় জানি দেখা হয়েছিল তোমার সনে, থাকনা সে কথা এ ক্ষণে।
সম্পূর্ণ লেখার সাথে আমি জনম দাসী একান্ত ভাবে এক মত প্রকাশ করছি হাজার বার।
মানুষ ধর্মের উপরে কোন ধর্ম নাইরে ভাই।
এই দিকে মানুষের পেটে ভাত নাই, আর ওই দিকে বানায়, দামী মসজিদ, মন্দির ,গির্জা। মসজিদ মন্দির বা গির্জায় গিয়া আল্লারে ডাকলেই সেই ক্ষেত্রে তিনি রাব্বুল আল-আমিন সাড়া দিবেন, নয় না। এই প্রমান যদি কেউ দেখাতে পারে আমি মাথা নত করে দিব ।
''আমাকে ডাকো একাগ্রচিত্তে'' এই একটি কথাই বলে দেয় সব কিছু, তবু মানুষ মানুষের পিছনে না ছুটে, ছুটে অই গুলান আর ক্যামেরা বন্দী দানের পিছে, ফায়দা আর ফায়দা, চারদিকে এই ফায়দা লোটা কারি গুলারে, থাউক আর বলতে গেলে মাথায় রক্ত উঠে যাবে,
এমন লেখাই চাই সব সময় ভাই বিদ্রোহী ... ভাল থেকো এবং অনেক দিন বেঁচে থাকো অন্তত এই ক্ষুধা সংগ্রামের জন্য।
সরি ভাই, কখন তুমি করে বলে ফেলেছি, ক্ষমাপ্রার্থী ভাই।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন বলেছেন। শতভাগ সহমত
হায় দিদি, একটু ভুলেই না হয় আপন করে ডেকেছো তায় আবার সরি বলে অপরাধী করো কেনু ইউ আর অলওয়েজ ওয়েলকাম টু সে "তুমি"
বক ধার্মিকের ধর্মের স্বার্থবাদী, ভুল আর অন্ধ ব্যবহার করা বন্ধ হোক। ধর্ম জেগে উঠুক আপনা জ্ঞান প্রজ্ঞা আর আপনা মহিমায়!
মানবতার যে মূল বাণী, জ্ঞান আর মুক্তির যে আলোক জ্বালাতে চায় ধর্ম - সে আলোকে আলোকিত হোক বিশ্ব।
২৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭
অগ্নি সারথি বলেছেন: স্যালুট টু মারিয়া।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিশ্চয়ই ধন্যবাদ এবং অনেক কৃতজ্ঞতা পাবার উপযুক্ত তিনি।
ধন্যবাদ সম্মাননা জানানোয় এবং বেড়াতে আসায়
২৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: এই রকমের চমৎকার একটি প্রেরণাদায়ক পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমাদের কাজগুলো বিদেশিরা এসে করে দিয়ে যায় তাদের মনের সংবেদনশীলতার কারণে।
এ বিষয়ে দুটি তথ্যবহুল মন্তব্যের মাধ্যমে আলোকপাত করার জন্য আবু শাকিলকেও অশেষ ধন্যবাদ।
'মারিয়া ক্রিস্টিনা ফাউন্ডেশন' এর জন্য রইলো অনেক অনেক শুভকামনা এবং শুভেচ্ছা। এবং মারিয়া ক্রিস্টিনা'র জন্যেও।
পোস্টে ২০তম প্লাস। + +
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪
লেখোয়াড়. বলেছেন:
কর্পোরেট মোগলদের আবার লজ্জা!!
লেখায় ++++, বিদ্রোহী সিনিয়র।