নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ব মানবাধীকার দিবস।
১৯৪৮ সাল থেকে জাতিসংঘের নির্দেশনায় বিশ্বের সকল দেশে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস হিসাবে পালিত হয়।
৪ ডিসেম্বর, ১৯৫০ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৩১৭তম পূর্ণ অধিবেশনে ৪২৩(৫) অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সদস্যভূক্ত দেশসহ আগ্রহী সংস্থাগুলোকে দিনটি তাদের মতো করে উদযাপনের আহ্বান জানানো হয়।
মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে সভা-সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন ধরণের তথ্যচিত্র কিংবা চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যেম বিভীন্ন দেশ এই দিবসটির পালন করে থাকে।
শুধু পালনে আনুষ্ঠানিকতা থাকলেও তার মৌলিক ম্যাসেজ কি আমজনতার কাছে পৌছে?
যে মানবের জন্য এই দিবস সেই মানবের কতজন এর সুফল ভোগ করে
কি বলা আছে সেই মানবাধিকারেরর সনদে?
উইকি থেকে
যেহেতু মানব পরিবারের সকল সদস্যের সহজাত মর্যাদা ও সম অবিচ্ছেদ্য অধিকারসমূহের স্বীকৃতি বিশ্বে স্বাধীনতা, ন্যায়-বিচার ও শান্তির ভিত্তি; যেহেতু মানবিক অধিকারসমূহের প্রতি অবজ্ঞা ও ঘৃণা মানবজাতির বিবেকের পক্ষে অপমানজনক বর্বরোচিত কাযর্কলাপে পরিণতি লাভ করেছে এবং সাধারণ মানুষের সর্বোচ্চ আশা-আকাঙ্খার প্রতীক হিসেবে এমন একটি পৃথিবীর সূচনা ঘোষিত হয়েছে যেখানে মানুষ বাক ও বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং ভয় ও অভাব থেকে নিষ্কৃতি ভোগ করবে;
যেহেতু চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে মানুষকে অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হতে বাধ্য করা না হলে মানবিক অধিকারসমূহ অবশ্যই আইনের শাসনের দ্বারা সংরক্ষিত করা উচিত;
যেহেতু জাতিসমূহের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নয়নে সহায়তা করা অবশ্যক; যেহেতু জাতিসংঘভুক্ত জনগণ সনদের মাধ্যমে মৌল মানবিক অধিকারসমূহ অধিকারসমূহ, মানুষের মর্যাদা ও মূল্য এবং নারী ও পুরুষের সম-অধিকারের প্রতি আস্থা পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং সামাজিক অগ্রগতি ও ব্যাপকতর স্বাধীনতা উন্নততর জীবনমান প্রতিষ্ঠাকল্পে দৃঢপ্রতিজ্ঞ;
যেহেতু সদস্যরাষ্ট্রসমূহ জাতিসংঘের সহযোগিতায় মানবিক অধিকার ও মৌল স্বাধিকারসমূহের প্রতি সার্বজনীন শ্রদ্ধা ও মান্যতা বৃদ্ধি অর্জনে অঙ্গীকারাবদ্ধ; যেহেতু সকল অধিকার ও স্বাধিকারের ব্যাপারে একটি সাধারণ সমঝোতা উক্ত অঙ্গীকার সম্পূর্ণরূপে আদায় করার জন্য সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ;
তাই সাধারণ পরিষদ সকল জাতি ও জনগোষ্ঠীর অগ্রগতির একটি সাধারণ মানদণ্ড হিসেবে জারি করছে এই মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র;
ঐ লক্ষ্যে প্রত্যেক ব্যক্তি ও সমাজের প্রত্যেক অঙ্গ মানবিক অধিকারসমূহের এই সর্বজনীন ঘোষণাপত্রটিকে সর্বদা স্মরণ রেখে শিক্ষাদান ও জ্ঞান প্রসারের মাধ্যমে এ সকল অধিকার ও স্বাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধে জাগ্রত করতে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রগতিশীল ব্যবস্থাদির দ্বারা সদস্য-রাষ্ট্রসমুহের জনগণ ও তাদের অধীনস্থ অঞ্চলসমূহের অধিবাসীবৃন্দ উভয়ের মধ্যে ঐগুলোর সর্বজনীন ও কার্যকর স্বীকৃতি ও মান্যতা অর্জনের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাবে৷
১ থেকে ৩০ অনুেচ্ছেদে বিস্তারিত মানবাধীকারের বর্ণনা উল্লেখকৃত এই সনদটি ১০ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে "মানবাধিকারের উপর সার্বজনীন ঘোষণার খসড়া" সিদ্ধান্তটি অনুমোদিত হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ৪৮ ভোট পড়ে এবং বিপক্ষে কোন ভোট পড়েনি। কিন্তু ৮টি দেশ ভোট প্রদানে বিরত থাকে। দেশগুলো হলো - সোভিয়েত ইউনিয়ন, ইউক্রেন, বেলারুশ, যুগোস্লাভিয়া, পোল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, চেকোস্লোভাকিয়া এবং সৌদী আরব।
সেই থেকে আজ অব্দি বেশ আড়ম্বরেই পালিত হয়ে আসছে এই দিবস!
কিন্তু বিশ্বে কি সেই মানবাধীকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে?
ফিলিস্তিনে! কাশ্মীরে, সিরিয়ায়, আফগানে, লিবিয়ায়, ইরাকে!! আক্রান্ত দেশ সশূহ ছাড়াও আরও বহু বহু দেশ রয়েছে যেখানে প্রকাশ্যে যুদ্ধাবস্থা না থাকলেও মানবাধিকারের চরম লংঘন চলছে। সউদি, মিশর উল্লেখযোগ্য!
চলুন আজকের এই দিনে সারা বিশ্ব ছেড়ে নিজের দেশের দিকে একটু নজর দেই। কেমন আছি আমরা?
কেমন আছে আমাদের মানবাধীকার?
প্রথমেই কিছু উল্লেখযোগ্য মিডিয়া প্রতিবেদন-
বাংলাদেশে মানবাধিকার মুখ থুবড়ে পড়েছে-বিবিসি বাংলা, ঢাকা
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পেছন দিকে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি -ডিডাব্লিউ
ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেন মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্রের পরিচালক নূর খান৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হতাকাণ্ডে কমেনি৷ ববং বেড়েছে গুম, নিখোঁজের মতো ঘটনা৷ আর তার সঙ্গে বেড়েছে রাজনৈতিক সংঘাত৷
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে উদ্বেগ মার্কিন কংগ্রেসের -Daily Manab Zamin
কমিশনের কো-চেয়ার কংগ্রেসম্যান জেমস পি ম্যাকগভার্ন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। সেখানে মুক্ত লেখিলেখির সঙ্গে যুক্ত ব্লগার এবং তাদের বইয়ের প্রকাশকরা যেমন খুনের শিকার হচ্ছেন তেমনি রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীরাও আছেন প্রচ- চাপের মুখে। নাগরিক সমাজের ভূমিকা রাখার সুযোগ ব্যাপকভাবে সংকুচিত হয়ে গেছে। গণমাধ্যম তথা মত প্রকাশের স্বাধীনতাও মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত।
বাংলাদেশে মানবাধিকার শূন্যের নিচে অবস্থান করছে: খালেদা জিয়া -কালের কন্ঠ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার শূন্যের নিচে অবস্থান করছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। দলের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের দমন-পীড়নের অভিযোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন ভয়াবহ দুঃসময় বয়ে চলেছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পূর্বাপর এদেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা সীমাহীন রক্তপাত ও বেপরোয়া নিপীড়ন নির্যাতনের মধ্য দিয়ে জনগণের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে নিয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে মনে হয়, ৩৬৫ দিনই এদেশের কোথাও না কোথাও মানুষের মানবাধিকার হরণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে মানবাধিকার শূন্যের নিচে অবস্থান করছে।”
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন বাংলাদেশে ১১৫ জনের কোনো খোঁজ নেই, পাওয়া গেছে ৩২ লাশ
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন বাংলাদেশে ১১৫ জনের কোনো খোঁজ নেই, পাওয়া গেছে ৩২ লাশ
বাংলাদেশে গত তিন বছরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ১৮৮ জন অপহৃত বা নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’। আপহৃতদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ থেকেই তারা এ তালিকা তৈরি করে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র বা আসকের পরিচালক নূর খান বলেন, আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ সব অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। এমনকি টাকার বিনিময়ে হত্যা বা ক্রসফায়ারের অভিযোগও আছে।
যে কারণে পুলিশের সমালোচনা ও ‘শাস্তিযোগ্য’ আচরণ
সর্বশেষ ঘটনা: সন্তানের সামনে মা-কে নির্যাতন
১৮ই সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন৷ ঐ এলাকায় ছেলের সামনে মাকে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ নির্যাতকারীদের পক্ষ নেয়৷ স্বাভাবিকভাবেই এতে জনতা প্রতিবাদী হলে তাদের দমন করতে গুলি চালায় পুলিশ৷
১১ মাসের শিশুকে আটক
১৬ই সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার একটি মামলায় রাজু আহম্মেদ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ তাঁর স্ত্রী লিপি আক্তার এবং মাত্র ১১ মাস বয়সি শিশুপুত্র রাসেলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়৷ থানা হাজতে আটকের ১৯ ঘণ্টা পর ৪২ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের মুক্তি দেয়া হয়৷
পঙ্গু মানুষের হাতে হাতকড়া
১৫ই সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে আবুল হোসেন নামে এক পঙ্গু আসামিকে হাতকড়া পড়িয়ে আদালতে নেয় পুলিশ৷ আবুল হোসেনের দুই পা-ই নেই৷
মাদক মামলায় শিশু গ্রেপ্তার
৭ই সেপ্টেম্বর সাগর শেখ (১২) ও রবিন আলী (১৪) নামের দুই শিশুকে মাদক মামলায় হাতকড়া পরিয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করে কাফরুল থানা পুলিশ৷
মানবাধিকার নিয়ে ৯৮ দেশের প্রশ্নের মুখে বাংলাদেশ
আমাদের দেশের মানবাধিকার রক্ষায় আছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে মানবাধিকার সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং নিশ্চিতকরণ রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য; এবং যেহেতু মানবাধিকার সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং মানবাধিকার যথাযথভাবে নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নামে একটি কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হল। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলা পিডিয়া লিংক
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ নামে একটি আইন্ও রয়েছে আমাদের। একজন চেয়ারম্যান অবশ্যই সরকারের প্রিয়ভাজন সেই কমিশনের দায়িত্ব দেখভাল করেন।
এছাড়া্ও রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি বেসরকারী মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন। অধিকার, জাগো সহ আরো অনেক। তারা্ও একই উদ্ধেশ্যে কাজ করছে। যদিও তার মাত্রা স্বভাবতই ভিন্নতর সকল ক্ষেত্রেই।
কেমন চলছ সেই কমিশন? বাংলাদেশের মানবাধিকার রক্ষায়ই বা কতটুকু ভূমিকা রাখছে। চলুন কিছু প্রতিবেদন দেখি-
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন দেশে মানবাধিকার রক্ষা করতে পারছে না -বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন দেশে মানবাধিকার রক্ষা করতে পারছে না -
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ১৯ মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিবেদন :বিচারব্যবস্থায় আস্থা হারাচ্ছে মানুষ : গুম ও সীমান্তহত্যা আশঙ্কাজনক : সীমান্তে হত্যা ২৭০ বিচারবহির্ভূত হত্যা ৪৬২ গুম ১৫৬
বাংলাদেশ বাক-স্বাধীনতাসহ অন্যসব মানবাধিকার নিশ্চিত করতে বলল জাতিসংঘ : বিদেশি হত্যার নিন্দা
অধিকারের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ : ২০১২ সালে ২৪ গুম বিচারবহির্ভূত হত্যা ৭০ : ‘মানবাধিকার রক্ষায় ব্যর্থ বিচার বিভাগ পুনর্গঠন প্রয়োজন’
মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে ৭০ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা ২৪ জন গুম, জেলহেফাজতে ৬৩ জনের মৃত্যু এবং বিএসএফ কর্তৃক ৩৮ জন বাংলাদেশীকে হত্যা, ৭৪ জন বাংলাদেশী অপহৃত এবং ১০০ জন বাংলাদেশী নির্যাতনের শিকার হন। সরকার ভারতকে ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ হিসেবে বারবার উল্লেখ করে ট্রানজিটসহ বিভিন্ন সুবিধা দিলেও বন্ধুত্বের কোনো নিদর্শন দেশের জনগণ দেখতে পায়নি। সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক নির্বিচারে নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ গত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। বিএসএফ ১২০২ সীমানা পিলারের ৬-এস পিলার অতিক্রম করে প্রায় ৫০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে বাংলাদেশীদের অপহরণ করে। দেশের ভেতর রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৭১৬১ জন আহত আর ১৬৯ জন নিহত হন।
২০১২ সালে ৫ জন সাংবাদিক নিহত, ১৬১ জন আহত, ৬৩ জন হুমকির সম্মুখীন, ১০ জন আক্রমণের শিকার, ৫০ জন লাঞ্ছিত এবং ১ জন র্যাব ও ১ জন ডিবি পুলিশের হাতে নির্যাতিত হন।
সবশেষে আমাদের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের একটি বিবৃতি
বিবিসি-সিএনএন রাবিশ, সত্য প্রকাশ করে বিটিভি: মানবাধিকার মিজান
বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দুটি সংবাদমাধ্যমকে ‘রাবিশ’ (আবর্জনা) বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। একই সঙ্গে তিনি সরকার নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ টেলিভিশন-বিটিভিকে সত্য প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম বলেও দাবি করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই) আয়োজিত ‘শিশু সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকতার নীতিমালা শীর্ষক’ সেমিনারে সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
গণমাধ্যমের সমালোচনা করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, গণমাধ্যমের মালিক যদি ব্যক্তি পর্যায়ের কেউ হয়, তাহলে তো মালিকের কথাই শুনতে হবে। মালিকের স্বার্থ কোনটায় রক্ষা হবে, কোনটায় হবে না সেটা মেনেই সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ করতে হয়। সেজন্য কিছু কিছু জিনিস রাষ্ট্র মালিকানাধীন থাকা দরকার। যেমন বিটিভি থাকতে হয়, থাকতে হবে।
মিজানুর বলেন, সত্যকে প্রকাশ করার জন্য বিটিভিই একমাত্র মাধ্যম। বাংলাদেশ বর্তমানে সুস্থ ধারার সাংবাদিকতার সর্বত্তোম পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, সবকিছুতেই রাজনীতি হচ্ছে। !!!!!!
বর্তমান মানবাধিকার কতটুকু রক্ষিত বা আদায় হচ্ছে বা হবে এই বাণীর পর আর কছিু বলার বাকী থাকেনা বলেই বোধকরি।
আমাদের কথা কাজে তথ্যে বাস্তবতায় যেন আকাশ জমিন ব্যবধান। এই ব্যবধান বিশ্বাসেও। তাইতো আজ্ও মানবাধিকার কাঁদে।
কাঁদে গুম হ্ওয়া পরিবার! কাঁদে হারানো গণতন্ত্র! কাঁদে স্ব-দেশ। শুধু আনুষ্ঠানিক সভা সেমিনার আর র্যালীকে আটকে আছে চেতনা। দিবস আস দিবস যায়- মানব যেই কে সেই! এ অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হবে।
মানবাধিকার দিবসে দাবী- সকলের মৌলিক মানবাধিকার কোন দলীয় দৃষ্টিভঙ্গতে নয়, দিবসের আয়োজনে নয়- সার্বজনীন মানবাধিকারের আ্ওতায় সবময়ের জন্য চেতনা প্রতিষ্ঠিত হোক। আর যেন কোন একজনকেও কাঁদতে না হয়-তার অধিকারহীনতার জন্য।
কৃতজ্ঞতায়:
বিবিসি বাংলা, ঢাকা
ডয়চে ভেলে
নিউজওয়ার্ল্ডবিডি.কম
SHOMOY24
বাংলাপিডিয়া
উইকি
গুগল
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ ছড়াকার ভাই।
মানবাধিকার নিয়েও কিন্তু একটা ছড়া চাই
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: সাম্প্রতিক কয়েক বছরে বাংলাদেশে যে পরিমাণ লঙ্ঘন হয়েছে তা সম্ভবত স্বাধীনতার পরে সবচেয়ে নিকৃষ্ট রেকর্ড গড়তে সম্ভব হয়েছে৷
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভুপেনের গানটার কথা মনে পড়ে ---
ব্যক্তি যদি হয় ব্যক্তি কেন্দ্রিক
সমষ্টি যদি হয় ব্যক্তিত্ব রহিত
তবে শিথিল সমাজককে থামাও না কেন!!!
ও গঙ্গা তুমি বইছো কেন!!!
আমাদের নিকৃষ্টতার, ব্যক্তিত্ব বিসর্জনের, মানবতা লঙ্গনের, বিধান পরিবর্তনের, স্বার্থের কারণে নীতি বদলানোর সব সব ক্ষেত্রই যেন অনন্য রেকর্ড ! দু:খজনক!
৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪
সাহসী সন্তান বলেছেন: অনেক চমৎকার একটা তথ্যবহুল পোস্ট সেটা পোস্টের উদ্ধৃতি দেখলেই বোঝা যাচ্ছে! সময় করে পড়তে হবে। তবে আপাতত প্লাস খিলাইলাম.......!!
শুভ কামনা প্রিয় ভৃগু ভাই!
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার সময়ের অপেক্ষায় রইলাম। পড়ুন এবং মতামত জানান।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।
৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০২
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দুটি সংবাদমাধ্যমকে ‘রাবিশ’ (আবর্জনা) বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। একই সঙ্গে তিনি সরকার নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ টেলিভিশন-বিটিভিকে সত্য প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম বলেও দাবি করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআরডিআই) আয়োজিত ‘শিশু সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকতার নীতিমালা শীর্ষক’ সেমিনারে সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
মিজানুর বলেন, সত্যকে প্রকাশ করার জন্য বিটিভিই একমাত্র মাধ্যম। বাংলাদেশ বর্তমানে সুস্থ ধারার সাংবাদিকতার সর্বত্তোম পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, সবকিছুতেই রাজনীতি হচ্ছে। !!!!!! ----------------
আ হা রে ----------- কতই রংগ জানো রে বন্ধু!!!!! ধিক ----
আসলে আমরাই দুর্ভগা!!!!
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কামরুন নাহার বীথি বলেছেন :
--
আ হা রে ----------- কতই রংগ জানো রে বন্ধু!!!!! ধিক ----
আসলে আমরাই দুর্ভগা!!!!
সহমত এবং ধন্যবাদ
৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮
নিমগ্ন বলেছেন: ইনফোরমেটিভ পোস্টে +
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নিমগ্ন ভাই ...
৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭
কল্লোল পথিক বলেছেন: সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরেছেন ভাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন।
৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪
নেক্সাস বলেছেন: মানবাধিকার বিদেশী পণ্য। বাংলাদেশে আপাতত বিদেশী পন্য বর্জন চলছে। দয়া করে মানবাধিকার চেয়ে লজ্জা দিবেন না।
----বিনীত জনৈক চেতনার দোকানদার।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
কারণ কথিত চেতনার সাথৈ আবার মানবাধীকার কমই যায়। তা ৭২-৭৫এ হোক বা ডিজিটাল বাকশালেই হোক
৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মানব অধিকার তখনই কার্যকর হবে যখন মানব বলে মনে করা হবে।
আমাদের কি মানব বলে গণ্য করা হয় ?
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মিলিয়ন ডলার কোশ্চেন!
আমরা তবে কি?
জমিদারতেন্ত্রের প্রজা!? সামন্তবাদীর গোলাম! নাকি কর্পোরেট ডিজিটাল ক্রীতদাস!!!!!!!!
৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৯
কিরমানী লিটন বলেছেন: অসাধারণ কার্যকরী তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট- অনেক শুভকামনা প্রিয় বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়া, অভিবাদন রইলো...
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
সামান্য কাজে লাগলেও সার্থক।
১০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১০
রমিত বলেছেন:
মানবাধিকার নিয়ে আমিও একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। তবে আপনার তুলনায় ম্রিয়মান।
তথ্যবহুল ও সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি যে বলেন না ।
লজ্জ্বিত করেন। কোথায় আপনার লেখনি, কোথায় আমার ছাইপাশ অনুভব
কিন্তু আপনি কিন্তু আমাদের ঠকাচ্ছে। ইসলামের স্বর্ণযুগ সিরিজটা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছেন! তার ভুত সিরিজেও আটকে রেখেছেন। আমরা সংক্ষুদ্ধ
সামুর কমেন্ট নোটিফিকেশন মনে হয় পূর্ণ কাজ করছে না। আপনার দেখা এক খাবের উত্তর আজকে দেখলাম! তাও ম্যনুয়ালী!
ভাল থাকুন। মাঝে মাঝে ব্লগধূলি দিয়ে ধন্য করুন।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার পোষ্টটার লিংক দিলে খুশী হবো।
১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক পরিশ্রম করে খুবই চমৎকার একটি তথ্যবহুল পোস্ট লিখেছিলেন। কিন্তু পোস্টে সে অনুযায়ী তেমন মন্তব্য আসে নাই। এখন কেন জানি মনে হয়, এ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলাটাও যেমন বৃথা, লেখাটাও।
'মানব' না চাইলে মানবাধিকার আসে না, আসবে না।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।
কারন এখানে মানবাধিকারো দলান্ধতায় আবদ্ধ।
এখানে অধিকারের সীমা নির্ধারিত হয় দলীয় পরিচয়ে, মানুষ পরিচয়ে নয়।
সার্বজনীনতার ধারনাও ম্লান!
জীবনের অনেক বৃথা কর্মের মতোই নূন্যতম দাগ রেখে যাওয়া।
মহাকালের কোন সুসময়ে যেন সময়ের পরিচয় ফুটে রয়!
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রিয় সিনিয়র।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১
প্রামানিক বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ