নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ।
আমাদের প্রিয় জন্মভূমি। মাতৃভূমি।
রচনায় সবার আগে যে লাইনগুলো আগে চলে আসত- বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নদী। সুজলা সুফলা শস্য শ্যমলা আমাদের এই মাতৃভূমি।
এখন বুঝি সেই দিন শেষের পথে। যে পদ্মা, মেঘনা, যমুনার ভয়াল রুপ দেখে বহু বহু বীর- বাঙলা মুলুক জয়ের স্বপ্ন শিকেয় তুলে পালাত, যেই পদ্মা ছিল রাক্ষুসে পদ্মা, যেই পদ্মা ছিল হৃদয় শূন্য করা পদ্মা-
পদ্মার ঢেউরে
মোর শূন্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা যা রে..
আজ সেই পদ্মা, মেঘনা যমুনারা কেমন আছে?
কোথাও ধূধূ মরুভূমি! কোথাও হেটে চলাচল আর কোথাও চলছে চাষাবাদ!
চলুন এক নজরে দেখে নেই বাংলাদেশের নদী গুলোর অবস্থা কেমন?
বাংলাদেশে ছোট বড় নদী রয়েছে ২৩০টি৷ এর মধ্যে ৫৭টি নদী আর্ন্তজাতিক৷ এই নদীগুলোর মধ্যে ৫৪টির উৎসস্থল ভারত এবং বাকি ৩টি মিয়ানমার৷
তারা প্রত্যেকটি অভিন্ন নদীতে বাঁধ, পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প, রিজার্ভারসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করে পানির প্রবাহ আটকে রেখেছে। ফলে শুষ্ক মওসুমে বাংলাদেশের নদ-নদীতে পরিমাণমতো পানির প্রবাহ থাকছে না। আবার বর্ষা মওসুমে অতিরিক্ত পানিতে বন্যায় ভাসছে এ দেশের মানুষ।
বাংলাদেশে প্রবাহিত আন্তর্জাতিক নদীর সংখ্যা ৫৭টি। এর মধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশকারী নদী গুলো হচ্ছে : গঙ্গা, ইছামতি-কালিন্দী, রায়মঙ্গল, বেতনা-কোদালিয়া, ভৈরব-কপোতাক্ষ, মাথাভাঙ্গা, পাগলা, আত্রাই, পুনর্ভবা, গোমতি, কাকরাই-ডাকাতিয়া, সিলোনিয়া, মুহরী, ফেনী ও কর্ণফুলী প্রভৃতি।
শুধু পদ্মা আর তিস্তায় নয় অভিন্ন ৫৪টি নদীই বাঁধের কবলে পড়ে হাসফাস করছে। ভাবলেও অবাক হতে হয়, বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে ১৩টি নদী৷ আরও সাতটি নদী এখন মৃত প্রায়৷ যে কোন দিন এগুলোয় আর পানি থাকবে না৷ শুকিয়ে তা হয়ে যাবে পায়ে চলা পথ৷ বড় নদীগুলোর থেকে ছোট নদীগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়া, প্রতিকুল পরিবেশ, ভারত থেকে পানির প্রবাহ কমে যাওয়া ইত্যাদি কারণে নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলো প্রচন্ড হুমকির মুখোমুখি৷ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে এই তথ্য পাওয়া গেছে ৷
ঐ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মৃত নদীগুলোর তালিকায় রয়েছে নরসুন্দ্রা, বিবিয়ানা, শাখা ররাক, পালাং, ভূবেনেস্বর, বুড়িনদী, বামনী, হামকুরা, হরিহর, চিত্রা, মুসা খান, বরালের শাখা নদী এবং হিসনা৷ এ ছাড়া করতোয়া, ইছামতি, ভৈরব, কালীগঙ্গা, কুমার, চিত্রা এবং ভদ্রা নদী এখন মৃতপ্রায়৷
বাংলাদেশের দূর্ভাগ্য তার জন্ম লগ্ন থেকেই ভারতের সাথে বিভিন্ন সময় পানি সমস্যা নিয়ে বিরোধে জড়িত। বিষয়টি সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে রাজনীিতবিদ, আমলা, প্রশাসন সহ বাংলাদেশের সাধারণ জনগন পর্যন্ত সকলেই অবগত। ১৯৭৬ সালে ফারাক্কা ইস্যুেত মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক লং মার্চ ছিল বাংলাদেশের নদী সমস্যা নিয়ে স্বাধীনতার পর প্রথম শক্তিশালী প্রতিবাদ। এরপরও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সরাসরি আলোচনা ও কূটনৈতিকভাবে সমাধানের প্রচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোন প্রচেষ্টাই কাজে আসেনি। বরং ফারাক্কা সমস্যার সমাধান করতে গেলে ভারত আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের দাবী করে। স্বাভাবিক কারণেই বাংলাদেশ জোর করে কোন কিছু বলতে পারে না। আন্তর্জাতিক নদী সংক্রান্ত আইনের দাবি বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও ভারত তাতে কোন গুরুত্ব দেয়নি। অসমভাবে ৩০ বছরের জন্য নদীর পানি বন্টন চুক্তি হলেও ভারত বাংলাদেশের প্রাপ্য অংশ কখনোই দেয়নি । অপরদিকে শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রবাহ যখন সবচেয়ে কম থাকে তখন ভারত প্রায় সম্পূর্ন পানি প্রত্যাহার করে নেয়। এই নীতি শুধু ফারাক্কা নয় বরং ভারত যে ৫৪ টি নদীতে বাঁধ দিয়েছে তার সবগুলোর ক্ষেত্রেই করে থাকে।
সমস্যার কারণে এখন এই দেশের বিভিন্ন নদীতে সঠিক প্রবাহে পানি আসছে না৷ বড় বড় নদীগুলো থেকে সৃষ্ট ছোট নদীগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ পরিকল্পনাহীন ভাবে রাস্তাঘাট নির্মানের ফলে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে৷ প্রতি বছর যে হারে বাংলাদেশের উপর দিয়ে নদীবাহিত পলি পড়তো তাও এখন প্রবাহের অভাবে সাগরে যেতে না পেরে ভরে যাচ্ছে নদীর তলদেশ৷ অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তাঘাট এবং বাঁধ নির্মানের ফলেও নদী হয়ে যাচ্ছে মৃত৷
বাংলাদেশের পানি সমস্যার কারণে হিসাবে সকলেই বলছেন পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়া! ব্যবহারের অধিক্যেরই নাকি তা ঘটছে। অথচ পানির যে মূল প্রবাহ যে প্রবাহের স্বাভাবিকতাই বিগত দীর্ঘ শত শত বছর পানির স্তরকে স্থিতিশীল রেখেছিল তা কেন যেন উহ্য রেখে যাচ্ছেন সবাই। তাকি কেবলই ভারতকে খুশি করতে নাকি নারাজ না করতে। কিন্তু সত্য বলতে গেলেতো এর বাইরে কোন সত্য নেই। পূর্বে পদ্মায় যে ৪০-৫০ হাজার বা ততোধিক কিউসেক পানি প্রচন্ড গতিতে প্রবহমান ছিল তার ফলে পানির স্তরের ব্যালেন্স যা ছিল এখন সেই প্রবাহ ১০-১২ হাজার কিউসেকেও কি তাই থাকবে? পানির স্তর নেমে যাবে না? শুকিয়ে যাবে না?
শুধু পদ্মা বা ফারাক্কায় আমাদের ন্যায্য পানি প্রাপ্তি নিয়ে চলুন এ পর্যন্ত যা হয়েছে তার দিকে একটু চোখ বুলাই..
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই ফারাক্কা ইস্যু দেশ দুটির আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব পায়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী শেখ মুজিব কলকাতায় মিসেস গান্ধির সাথে সাক্ষাত করেন। ৭২ সাল ফেব্রুয়ারী মাসেও সাক্ষাৎ করেন এবং বিভিন্ন বিষয় সমঝোতার জন্য অলোচনা করেন। অলোচনার ধারাবাহিকতায়
@ ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ উভয়দেশ ২৫ বছর মেয়াদী মৈত্রি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
১৯৭৫ সালে১৮ ই এপ্রিল বাংলাদেশে ও ভারতের মধ্য ২১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে ৪১ দিনের একটি স্বল্প মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর হয় যাতে করে
@ ভারতকে ১১ হাজার থেকে ১৬ হাজার কিউসেক পানি প্রত্যাহারের সুযোগ দেয়া হয় এবং বাংলাদেশের জন্য ৪৪ থেকে ৪৯ হাজার হাজার কিউসেক পনি। কিন্তু এ চুক্তি ছিল অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী।
১৯৭৫ সালে ৩১ মে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ভারত একতরফা ভাবে প্রায় সম্পূর্ন পানি ( ৪মি হাজার কিউসেক) প্রত্যাহার করতে থাকে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর এক মারাত্বক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্ট হয়। ফলে অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশ ধংসের মুখে পতিত হয়।
১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের পক্ষে গঙ্গার পানি নিয়ে ভারতকে আলোচনায় বসানো অসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত সমস্যা সমাধানের পথ খুজে না পেয়ে
@ বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে ওআইসির পররাষ্ট্র মন্ত্রিদের বৈঠকে, ১৯৭৬ এর আগষ্টে কলোম্বতে জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে এবং ১৯৭৬ সালে নভেম্বর মাসে জাতিষংঘের সাধারণ পরিষদে আলোচ্য সূচিতে বিষয়টি পেশ করে। ১৯৭৭ সালে ভারতে নির্বাচনে মিসেস গান্ধির পরাজয় এবং মোরাজি দেশাই ক্ষমতা গ্রহন করলে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রি দেশাই এর নেতৃত্বে দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। এই সুযোগে
@ ১৯৭৭ সালে নভেম্বর মাসে দু’দেশের মধ্য গঙ্গার পানি বন্টন একটি পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী ফারাক্কার মোট প্রবাহের ৫৫ হাজার কিউসেক পানির মধ্যে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ করা হয় ৩৪ হাজার ৫ শত কিউসেক এবং ভারতের জন্য ২০ হাজার কিউসেক বরাদ্দ করা হয়।
এই সরবরাহ ছিল শুষ্ক মৌসুমের জন্য ২১ এপ্রিল থেকে ৩০ মে। যদিও এখানে পানির পরিমান পূর্বের তুলনায় কম ছিল,
@ তথাপি এই চুক্তিতে একটি গ্যারান্টি ক্লজ ছিল যাতে স্পষ্ট বলা ছিল যে, শুষ্ক মৌসুমের যে দশ দিনে পানির প্রবাহ সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায় সে দশ দিন মোট প্রবাহের ৮০ শতাংশ পানি বাংলাদেশ পাবে। এই গ্যারিন্টি ক্লজ ছিল এই চুক্তির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
দৃশ্যত এবং বাস্তবিক পক্ষে এই চুক্তি ছিল প্রেসিডেন্ট জিয়ার অন্যতম সাফল্য। মোরাজি দেশাই সরকারের পর মিসেস গান্ধি পুনরায় ক্ষমতা গ্রহন এবং বাংলাদেশে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করলে ১৯৭৭ সালের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবার অগেই ১৯৮২ সালের ৭ অক্টোবর জেনারেল এরশাদ সরকার মিসেস গান্ধির সাথে চুক্তির পরিবর্তে ১৮ মাস দীর্ঘ একটি সমঝোতা স্বারকে স্বাক্ষর করে । চুক্তির পরিবর্তে সমঝোতা স্বরের কারণ ছিল এইযে, এখানে গ্যারান্টি ক্লজের কোন উল্লেখ ছিল না। ফলে ভারত একতরফাভাবে পানি নিয়ন্ত্রন করত। ১৮ মাসের সমঝোতা সমাপ্তি ঘটে ১৯৮৪ সালের মে মাসে । একই শর্ত অনুয়ায়ী পরবর্তি ৩ বছরের জন্য এই সমঝোতার জন্য ৩ বছর বাড়ানো হয়। পরবর্তি ১৯৮৫ সালে নভেম্বর মাসের এর মেয়াদ তিন থেকে পাঁচ বছরে উত্তীর্ন করা হয। এর পর থেকে ১৯৯৬ সালের ১২ ই ডিসেম্বর নয়া পানি বন্টন পর্যন্ত ভারতের সাথে আর কোন চুক্তি হয়নি।
১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার সময় গঙ্গার পানি সমস্যা সমাধানের জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহন করা হলেও ভারতের গড়িমসির জন্য কোন স্বারক বা চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। দ্বিপাক্ষিক ভাবে পানি সমস্যার সমাধানকল্পে ভারত এগিয়ে না এসে আধিপাত্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করলে ১৯৯৫ সালের সেপ্টেমবর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিষয়টি বাংলাদেশ উত্থাপন করে। তবে এই প্রস্তাব জাতিসংঘে উত্থাপনের পূর্বে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র রাষ্ট্র সমূহের উপর প্রয়োজনীয় গ্রাউন্ড ওয়ার্কের অভাবে বিষয়টি ব্যাপক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভে ব্যর্থ হয়।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পানি সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করে। ভারতের সাথে ভাল সম্পর্কের কারণে ভারত সরকার পানি সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করে।
৩০ বছর মেয়াদী পানি চুক্তিঃ ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে বাংলাদেশ ও ভারত পানি চুক্তি হলেও ভারত বাংলাদেশকে তার প্রাপ্য কখনোই দিচ্ছে না। বিশেষ করে এ চুক্তিতে গ্যারান্টি ক্লজ না থাকায় ভারত শুষ্ক মওসূমে যখন পানি সর্বনিম্ন প্রবাহ তাকে তখন ভারত একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে নেয়।
সবচে দু:খ লাগে কিছু দালাল, বাংলাদেশের কুলাঙ্গার বলে বেড়ায় ভারতের পানি প্রত্যাহার নয় পলিমাটি পড়ে আমাদের নদী ভরে যাওয়ার ফলেই নাকি বন্যা হয়!!!!!!!! কিন্তু দিনকানারা এটা ভুলে যায়- পলি জমছে কেন? যে ফ্লো পলিকে নিয়ে সাগরে ফেলত সেই ফ্লো বন্ধ হবার কমে যাবার ফলেই যে তা ঘটছে তা কাকান্ধ হয়ে অস্বীকার করতে চায়!
ফারাক্কার ভারত অংশ
ফাক্কার ফলাফল
আর এখনকার তিস্তার সাম্প্রতিক খবরতো সবাই জানেন। গেল ক' বছর টিপাইমূখ বাঁধ নিয়ে বেশ সরগরম ছিল সামাজিক সাইট ব্লগ সহ সকলেই। কিস্তু এখন আবার যেন সবাই সব ভুলেই গেছে। ভারত কিন্তু ভোলেনি। সে তার কাজ করেই যাচ্ছে। আর আমরা শুধু অনাগত দিনে ক্ষতির অপেক্ষায় যেন বসে আছি।
টিপাই নিয়ে সামু ব্লগের সংকলন : টিপাইমূখ বাধ সংকলিত লিংক সমূহ
আরও দেখুন: "ফারাক্কা বাধ" - সামুতে লেখা পোস্ট সংকলন
শুধূ শিরোনাম গুলো লক্ষ্য করুন-
ফারাক্কা বাধ:
■ ইন্দিরা গান্ধী প্রথম যে উপহার বাংলাদেশকে দিয়েছিলেন
■ ফারাক্কার ফাঁসির দড়িতে ঝুলছে মা গঙ্গা
■ ভারত মাতার পদতলে আজ বঙ্গ পিতার বাংলাদেশ - ১
■ ভারত মাতার পদতলে আজ বঙ্গ পিতার বাংলাদেশ---- (২) ফারাক্কা
■ ফারাক্কা টিপাইমুখ বাঁধ এবং বাংলাদেশ।
■ ফারাক্কা বাধঁ: আজও কাঁদছে বাংলাদেশ
■ মওলানা ভাসানীর জীবনের শেষ সংগ্রামঃ ফারাক্কা লংমার্
■ ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস আজ : দীর্ঘ ৩৭ বছরেও পানির ন্যায্য হিস্যা পায়নি বাংলাদেশ
■ আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবসঃ পদ্মার বুকে এখন মরুর হাহাকার
■ স্বাধীনতার চার দশক পর ফারাক্কা দিবসে যে কারণে বাংলাদেশের সাথে ভারতের বন্ধুত্ব আজ প্রশ্নবিদ্ধ
■ একটি বাঁধের ছবি এবং আরো কিছু কথা
■ এবার কি পানিতে মরবার ষোলকলা পুর্ণ হবে?
■ বাংলাদেশ : পানি শূন্য ভয়ঙ্কর অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে - ১
■ বাংলাদেশ : পানি শূন্য ভয়ঙ্কর অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে - ২
■ ফারাক্কার হিংস্র ছোবলে আজ এ ৫টি নদী নাব্য হারিয়ে ধূ-ধূ বালুচরে পরিণত হয়েছে।
■ পদ্মা শুকিয়ে মরা খাল : দুই কোটি মানুষ হুমকির মুখে
■ ফারাক্কার করাল গ্রাস: বিপর্যস্ত উত্তর জনপদ
■ জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পদ্মা নদী : বুকজুড়ে ধুধু বালুচর
■ মরে যাচ্ছে প্রিয় মেঘনা, সুরমা, কুশিয়ারা
আমাদের চেতনা জাগাতে এওকি যথেষ্ট নয়?
আমাদের ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে সুজলা সুফলা এবং সোনার বাংলা হিসাবে দেখতে চাইলে ভাষার জন্য যেমন ঐক্যবদ্ধ বাঙালী লড়েছিল, রক্ত দিয়ে হলেও আদায় করেছিল ভাষার দাবী;
পানি সংকটে আজ বাংলা মায়ের গলা শুকিয়ে গেছে.. পানির তেষ্টায় কাঁদছে পদ্মার বুক! কাঁদছে প্রকৃতি, প্রাণী, পাখি, আর কাঁদছে ভবিষ্যত প্রজন্ম!
তাই যে যার স্থান থেকে যেভাবে সম্ভব পানির অধিকার নিয়ে নদীর অধিকার নিয়ে আমাদের ন্যায্যতার লড়াইয়ে সোচ্চ্চার হোন। কারণ একদিনেইতো ফল ফলবে না। ধারাবাহিক আইনি, জাতীয় আন্তর্জাতিক সকল প্রযোজ্য ন্যায় সংগত মাধ্যমেই আমাদেরকে আমাদের দাবী আদায় করতে হবে।
তবেই কাটবে পানির শংকা। কাটবে আগামী সোনার বাংলার শস্মান হবার শংকা।
পদ্মায় পালতুলে মাঝি আবারো গাইবে পদ্মার ঢেউরে..
কিংবা ভয়াল ঝড়ের রাত্রে চিৎকার করে উঠবে বদর বদর বদর মাঝি সামাল সামাল হেইয়ো!!!!!!!
পানি নদী এবং সংশ্লিষ্ট পোষ্ট সমূহের লিংক : তথ্য সূত্র হিসাবে যদি কাজে লাগে। কিংবা মরু চেতনায় জল দিতে যদি কোন একটা তথ্য বা লাইন যদি জেগে উঠে:
“এখানে এক নদী ছিলো” আহমেদ জী এস
কষ্টে শুকিয়ে যাওয়া এক সাগর
ভারতের আন্ত:নদী সংযোগ প্রকল্প ও বাংলাদেশের নদী লুট -দিনমজুর
বাংলাদেশের নদ-নদী ( অবস্থা খুব খারাপ ) - রাজীব নুর
বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে আনেক নদী-৩ -মোহাম্মদ আলী আকন্দ
আন্তজার্তিক নদী আইনঃ বাংলাদেশের আশার আলো -আশিক হাসান
নদী ভাঙ্গন, জলাদ্ধতা, বন্যা এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে বাংলাদেশ -স্বাধিকার
নদীমাতৃক দেশে মরা নদী -নাহুয়াল মিথ
(গল্প)বাংলাদেশের নদী-ইন্ডিয়া তার তুলতুলে সব জল গিলে নেয়-ভাবে না সে-দুর্গামায়ের প্রতিমা বিনির্মাণেও পদ্মা-মেঘনা-যমুনার জল লাগে - জসীম অসীম
ভারত বাংলাদেশ পানির ইতিহাস। পানি শোষনের যত তথ্য -সংকলন। সহজ পৃথিবী
অভিন্ন নদী ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক - KAMRUL25007
আন্তর্জাতিক পানি আইনের আলোকে ভারত বাংলাদেশের পানি বণ্টন বিরোধের ইতিহাস-মাহমুদুর রহমান -নির্ভীক বিপ্লবী
আমাদের সবার শ্লোগান হওয়া উচিত ‘নদী বাঁচাও দেশ বাঁচাও, বাঁচাও বাংলাদেশ’। -মোঃ মাকসুদুর রহমান
শুকিয়ে যাবে বাংলাদেশ -ঘন্টুর ডায়েরী
অভিন্ন নদীতে ভারতের ৩ হাজার ৬০০টি বাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন, তৈরীর অপেক্ষার আরো ১ হাজার। -ত্রিকালদর্শী
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত পুরোপুরিভাবে পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। বাংলাদেশের মানুষ এই যুদ্ধে শুধু হেরে যাচ্ছে না, কোটি কোটি মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।- আমি বিডি
বাংলাবান্ধা (তেঁতুলিয়া) ভ্রমণ : বাংলাদেশের নদীগুলোকে হত্যা করেছে ওরা।। দুর্ভিক্ষের আশংকা -জামিলা শফী সিদ্দীকি
খরা ও মরুময়তার হুমকিতে বাংলাদেশ - আমনুল ইসলাম সুজন
বাংলাদেশের ন্যায্য পানি লুণ্ঠন করে বাঁধ দিয়ে তৈরি বিদ্যুৎ ভারত নিয়ে যাবে বাংলাদেশের উপর দিয়েই! -বিবাগী বাউল
এ সম্পর্কিত যে কোন লেখার লিংক মন্তব্যের ঘরে দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
কৃতজ্ঞতা:
লেখাটিতে তথ্য সহায়তায়
ডয়েছে ভেলে
বিডি ব্লগার হাসান
যুগান্তর
কিরিটি রায়
কবির চৌধূরী
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমাদরে জাতীয় ইস্যু গুলোকে দলীয় ইস্যু থেকে পৃথক করা শিখতে হবে।
জাতীয় মৌলিক বিষয়ে ঐক্যমত দলমত নির্বিশেষে সকলকে একাত্ব হতে হবে। নদী সমস্যা তেমনি একটা।
২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,
সুন্দর সচেতনতার পোষ্ট । আমারও এধরনের লেখা আছে সামুতেই । দেখে নিতে পারেন -
“এখানে এক নদী ছিলো”
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩
http://www.somewhereinblog.net/blog/GSA1953happy/29751553
এখানে এক নদী ছিলো .........ছবি ব্লগ ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩
http://www.somewhereinblog.net/blog/GSA1953happy/29753433
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
ঘূরে এসেছি...চিহ্ণ রেখে এবং আপনার পোষ্ট গুলো দেখেই অন্য পোষ্টের লিংক দেবার প্রেরণা পেয়েছি। সেজণ্য ডাবল ধন্যবাদ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার লিংকগুলোর জন্য ধন্যবাদ
৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পানির যে মূল প্রবাহ যে প্রবাহের স্বাভাবিকতাই বিগত দীর্ঘ শত শত বছর পানির স্তরকে স্থিতিশীল রেখেছিল তা কেন যেন উহ্য রেখে যাচ্ছেন সবাই। তাকি কেবলই ভারতকে খুশি করতে নাকি নারাজ না করতে। কিন্তু সত্য বলতে গেলেতো এর বাইরে কোন সত্য নেই।
সহমত ।
পরিশ্রমী ও তথ্যবহুল পোস্টে প্রথম লাইক ।
সমবিষয় ভিত্তিক একটা পোস্ট স্টিকি হয়ে না থাকলে , স্টিকি করার দাবি জানাতাম ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞথা ও ধন্যবাদ।
ষ্টিকি পোষ্টটাই কিন্তু এটা লেখার উৎস!! ওটার যেখানে শেষ এটার সেখানে শুরু
পানি সংকটে গা-ছাড়া যুক্তি আর মাইনর বিষয়কে হাইলাইটস করলে মনে হয় চোখের সামনে হাত রেখে আকাশকে ঢেকে ফেলার গল্পের মতো
পানি এবং নাব্যতার সংকটের মূল বিষয়কে সামনে আনতেই হবে। এটা লুকোচুরির কোন বিষয় নয়, বা এমন নয় ঢেকে রাখলে বা চেপে গেলেই সমাধঅন হয়ে যাবে। বরং যতবেশি সামনে আনা হবে ততই মুক্তির পথের নতুন নতুন মত, পথের সন্ধান মিলবে।
এটা আমাদের ন্যায্যতার লড়াই। পানি আর নদী অধিকারের যুদ্ধ।
৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৫
পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: + ++
চমৎকার পোষ্ট। এরকম একটি পোষ্ট আমাদের দেখার সময় নাই! অথচ কত আজে-বাজে পোষ্টে মন্তব্যের বন্যা বয়ে যায়! চেতনার ক্যাপসুল কেমন কাজ করছে খেয়াল করেছেন? মিডিয়া তিস্তার কথা বার-বার বলছে। অথচ চোখের সামনে পদ্মা ধ্বংস হয়ে গেল। যে .....চুক্তির জন্য একসময় নোবেল আশা করা হচ্ছিল, সেই চুক্তি অনুযায়ী পানির কথা কেউ বলছে না! আমার শুধু একটা কথাই বার-বার মনে হয়, আচ্ছা এদের কি মৃত্যুভয় নাই? যেদেশে শ্বাস নিয়ে এরা বাঁচে সেই দেশের সাথে কিভাবে এরকম প্রতারনা করে!
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যে আত্মার সাথেই প্রতারণা করতে পারে তার আর শ্বাসের ভয় কি?
বিবেক যখন লোপ পায় বাকী চেতনা তখন আপনাতেই চেতনার! রং ধারন করে
কালকেও এক দলান্ধ দালালরে দেখলাম নোবেল দেয়ার জন্য পোষ্টারিং করছে। তাকেতো পাইনি- তার চামচা যারা লাগাচ্ছে তাদের বল্লাম ভাই.. এইটা এই ঢাকার দেয়ালে লাগায়া লাভ নাই! পারলে সুইডেন গিয়া লাগান
ওরা হা করে তাকায় থাকল আমি চলে আসলাম।
আমজনতাকে সাহস দিতে হবে। সচেতন করতে হবে। ভয় ভেঙ্গে দিতে হবে। নিজের অধিকার কেউ এমনি এমনি সেধে দেয়না ছিনিয়ে নিতে হয়- ৭১এর চেতনায় জাগাতে হবে নদী অধিকার আর পানি অধিকার আদায়ে।
অপশক্তিরা ভাগ্যের মিস ইন্টারপ্রিটেশনে তাদের হতাশাকে বাড়িয়ে দেয়- সেখানে আশার বীজকে দৃঢ় তায় বপন করতে হবে !
নিজের ভাগ্যকে নিজেই বদলে দিতে আল্লাহ অনুপ্রানীত করেছে উৎসাহিত করেছেন সেই চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে হবে।
আবার সুজলা সুফলা হোক সোনার বাংলা
আবার মাঝি গেয়ে উঠুক ভাটিয়ালি
আবার পাখিরা মাছেরা যত সব জলজ বনজ
সব মেতে উঠুক জলকেলীতে....
৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৪
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: দরকারি পোস্ট
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
নদী আর পানি অধীকারে সোচ্ছার হউন- আগামী প্রজন্মের জন্য। নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে!
৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:১৯
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: পরে সময় করে পড়বো । লেখাটি প্রিয়তে রাখলাম । এই ব্যপারে আমার যথেষ্ট ইন্টারেস্ট রয়েছে , মনে হচ্ছে কাজে লাগবে । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আপনার শোকেসে ঠাই দিয়েছেন বলে।
আপনাকেও আবারোঅনেক অনেক ধণ্যবাদ। মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিষয়োপরি আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায়........
৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:২৭
কোলড বলেছেন: Hats off to you! Rare to see such a well researched article like this here.
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার ভাললাগায় আপ্লুত।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। সবাইকে জাগিয়ে তুলুন নদী আর পানি নিয়ে। এযে জীবন মরণের লড়াই। নদী নইলে পানি নাই- পানি নাইতো জীবন নাই....
বাঁচতে হলে পানি চাই
পানির জন্য নদী বাঁচাই।
ভাল থাকুন।
৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৬
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক কিছু জানার আছে পোস্ট প্রিয়তে সযত্নে রাখা হলো । আপনাকে পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ । এরকম পোস্ট তথ্যের
প্রয়োজনে বিশেষ কাজে লাগবে সকলের । তাই কৃতপক্ষের কাছে বিশেষ ভাবে অনুরোধ এবং দাবী থাকবে পোস্টটি স্টিকি করলে
অনেকের নজরেই আসবে ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয়তে রেখেছেন বলে।
ধন্যবাদ। পানি সংকটে অনেকেই ভাসা ভাসা মিলিয়ন কারন এভং সমাধানেও বিলিয়ন পথ বলে- কিন্তু মূল ফোকাসটা কেন যেন এড়িয়ে যায়। তাই সোজা ভাষায় মোটা দাগে বলতে চেয়েছি সরল সত্যটুকু!
নধী বাঁচলে দেশ বাঁচবে!
পানি আর নদী অধিকার আদায়ের লড়াই চলুক আদায় না হওয়া পর্যন্ত!
আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই পানির জন্য একসময় যারা সোচ্চার ছিলেন তাঁরা কেউ প্রাণ দিয়ে শহীদ হয়েছেন আর কেউ এখন মৃত্যুর পর অবহেলিত।
যাই হোক, খুব ভাল একটি পোষ্ট। +++
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাললাগা আর প্লাসের জন্য।
মাওলানা ভাসানীর পর আর নেতা কই? অন্তর থেকে নামের মোহহীন স্রেফ দেশ আর জনতার স্বার্থে আন্দোলন করেছে?
এখনতো কর্মসূচীর আগেই ষ্ট্যটাস আর ফঠোগ্রাফার এডভান্স বুক করা থাকে! ছবিটা যেন ঠিক এঙ্গেলে ওঠে যাতে নিজেকে একজন বি--শাল নেতা বানানো যায় তার কদর্য প্রতিযোগীতা।
নদীর জন্য চাই একজন ভাসানী-
একজন নি:স্বার্থ দেশপ্রেমিক নেতা।
১০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ যে পানির জন্যই হবে এখান থেকেই বোঝা যায়।
একটা শক্তিশালি চুক্তি দরকার ছিল।
আমরা আন্তর্জার্তিক আদালতে মামলা করলে পক্ষেই রায় পাব। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার চায় না সমপর্কটা নষ্ট হোক। বহু ঝামেলা।
তবে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সহমত
ধন্যবাদ। শুধূ সরকারের পথ চেয়ে নয়..জনগণের ইস্পাত কঠিন ঐক্যে জেগে উঠতে হবে এই বিষয়ে। এবং নিরন্তর কর্মসূচীর মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করতে হবে বিয়ষটির সমাধানে যেন তারা ব্যাপক উদ্যোগী হয়।
সস্তা রাজনীতির ধারায় হলেও অনেকটা এইরকম- পানি আনবে যে ভোট পাবে সে টাইপ!
বাংলাদেশের নদ-নদী আবার বঁচে উঠুক জলে টই টুম্বুর হয়ে সারাটা বছর! ফিরে আসুক নদী মাতা বাংলার আবহমান প্রান।
১১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩
তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: ভারত এভাবেই আমাদের শোষণ করে আসছে ------------
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জলে স্থলে বানিজ্যে সাংস্কৃতিতে!!
আর আমরা যেন দুই দলে বিভক্ত হয়ে অপেক্ষায় একদল চায় শোষিত হতে আরেক দল চায় এই শোষনকে পূজি করে স্বার্থ হাসিল করতে। এনজিওরা যেমন দরিদ্র থাকুক তেমনটিই চায়- তাহলে তাদের দারিদ্রতাকে পূজি করে ফান্ডিং মিলতে থাকে!!!
ফাকতালে শেষ হয়ে যাচ্ছে মা মাটি দেশ!
সোনার বাংলা মরু বাংলার পথে।
এ থেকে উত্তরণ ঘটাতেই হবে।
১২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: বাংলাদেশে এক শ্রেণির মানুষ আছেন যারা ভারতকে দু-চোখে ঘৃণা করেন। ঘৃণা করার যথেষ্ট কারণ আছে বলেই তারা ঘৃণা করেন। ধর্মের পর সম্ভবত পানি সংক্রান্ত ইস্যুই সবচেয়ে বড় কারণ।
ব্যক্তিগতভাবে আমি ভারত তোষণ এবং ভারত বিদ্বেষ উভয় চিন্তার বিরোধী। সর্বাগ্রে মনে রাখতে হবে, আমরা স্বাধীন ও সার্ভভৌম একটি দেশ। আমাদের নিজস্ব পতাকা, শাসনব্যবস্থা, সেনাবাহিনী আছে। কোনভাবেই আমাদের অন্য যেকোনও রাষ্ট্রের দিকে নির্ভরশীল হলে সেটা আমাদের স্বাধীনতাকে, আমাদের সার্ভভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে।
এটা নিতান্তই অকল্পনীয়, অস্বাভাবিক ও আত্মঘাতি চিন্তা হবে যদি, কেবলমাত্র দলীয় সুবিধার আশায় রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা, সার্ভভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলা হয়। সেটা জ্ঞাতে হোক কিংবা অজ্ঞাতে।
দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, বাংলাদেশে দলীয় সংকীর্ণতা এত তীব্র পর্যায়ে চলে গেছে যে,অনেক আওয়ামীলীগ মনষ্করা কেবলমাত্র হাসিনা, মুজিব, ক্ষমতা নিয়েই নিজেদের চিন্তাকে সীমিত করে ফেলেছেন। অপরদিকে কতিপয় বিএনপি-জামায়াত পন্থীরা কেবলমাত্র ভারত বিদ্বেষী চিন্তার লালন করে চলেছেন। কেউই বাংলাদেশের জন্য চিন্তা করছেন না। করছেন ক্ষমতার ও দলের।
অদূর ভবিষ্যতে যদি দেশপ্রেমী ও স্বদেশী চিন্তার কার্যকরী উন্মেষ না হয় তবে সীমান্ত সমস্যা থেকে শুরু করে সাংষ্কৃতিক, সামাজিক, চিন্তা সবদিকেই আমাদের হতে ফসকে যাবে। সেদিন আর অনুতাপ করে লাভ হবে না।
টিপাইমুখ ও ফারাক্কার জন্য আমাদের নদীর মাঝ বরাবর গোরস্তান হবে শশ্মানঘাট হবে। বর্ষা মৌসুমে এর উপর দিয়ে সলীলে ভেসে যাবে মৃত মানুষের লাশ, পতিত কাক, বাদূড়, ঘরের আসবাব।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেই পরিণতির অপেক্ষায়ই যেন আত্মঘাতি বাঙালী অপেক্ষমান!
দলান্ধতায় বুজি বিশ্বে একমাত্র অনন্য রেকর্ড আমাদেরই। আর তার চিপায় পড়ে দেশের স্বার্থের যে বারটা থেকে তেরটা বেজে যাচ্ছে -তা বুঝেও বুঝতে চাইছে না তারা!
অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে।
দেশের মৌলিক ইস্যুতে ঐক্যমত হতেই হবে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, দেশের অস্তিত্ব, স্বার্থ বানিজ্যিক, সাংস্কৃতিক, কৌশলগত যাই হোক দেশের স্বার্থে প্রাধিকার দিতেই হবে।
কিন্তু উল্টো হাওয়াই দেখছি কথিত চেতনার সরকারের কাছে। তা ট্রানজিট দিয়ে সিংগাপুর হবার অলিক স্বপ্নই হোব বা বিনা মাশুলে এইরক উন্মুক্ত করিডোর দেয়াই হোক- দেশের দিকে একবরাই চেয়ে দেখছে না!
স্রেফ গদি আর সাময়িক ক্ষমতার মোহেই সব জলাঞ্জলি!!!
থামুন। দেশটার স্বার্থের দিকে তাকান। সময় চিরদিন আপনাদের পক্ষে থাকবে না। বন্দুকের নল যখন ইতিহাস হয়ে যাবে- নিজেরাও যখন ঘাসের আড়ালে ঢাকা পড়ে যাবেন- তখনকার সময়ের বিচারকে ভয় করুন। বড়ই নিষ্ঠুর নির্মম কঠিন সত্য সেই বিচার। সত্য প্রেমে যেমন প্রতারণা চলে না- দেশপ্রেমেও তেমনি। তাই সত্য দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ঞয়ে দেশের স্বার্তে নদী নিয়ে লড়াই করুন।
পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করুন। সকল বিষয়ে দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিন।
তবেই দেশ আপনাদের শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে।অন্যথায় নয়।
১৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬
সুলতানা রহমান বলেছেন: সৈয়দ শামসুল হক তার এক কবিতায় লিখেছেন, তেরোশত নদীর দেশ বাংলাদেশ.। আমি ও এতদিন তাই জানতাম।
অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উপনদী শাখা নদী মিলিয়ে হলে হতেও পারে্
তবে এই বিষয়ে উইকির তথ্য লক্ষ করুন...
Bangladesh is a riverine country. About 700 rivers including tributaries flow through the country constituting a waterway of total length around 24,140 kilometres (15,000 mi).[1] Most of the country's land is formed through silt brought by the rivers. Following is a list of some of the major rivers of Bangladesh:
https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_rivers_of_Bangladesh
ধন্যবাদ আপানকেও অনেক অনেক।
১৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কোথাও কেউ নেই, এসব দেখবার, এসব কথা শুনবার, এসব কথা বুঝবার।
গুড পোস্ট। +++
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কারো না কারো তো থাকতেই হবে। নইলে চলবে কিভাবে?
নিজের প্রতি দায়, বিবকের দায়,। আত্মার দায় থেকে থাকতে হবে। রাজনৈতিক দর্শনে নয়, স্বার্থ ধান্থায় নয়, স্রেফ মা মাটি আর নদীর, মানুষের, প্রকৃতরি প্রেমে থাকতে হবে। নি:স্বার্থপরতায়।
ধন্যবাদ।
১৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৩
অগ্নি সারথি বলেছেন: চরম পরিশ্রমী এবং তথ্যবহূল পোস্ট ভৃগু। ভাললাগা জানবেন।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাললাগায়!
সামান্য চেষ্টা একটা সত্যকে সরল ভাবে উপস্থাপন করার।
রাজা তুই ন্যাংটো যেমন কেউ সাহস করে বলেনা-
পানি ইস্যুতেও্ তেমনি- নানান ঘুরিয়ে পেচিয়ে অনেক কথা বল-ে নিজেদের কৃচ্ছতার কথা্য়ও আমার আপত্তি নেই। কিন্তু পানির মূল সমস্যাকে পাশকাটিয়ে গেলে কেমন জ্বলে ্ওঠে কোথা্ও.
ফারাক্কা সহ ৫৪টি নদীতে অবৈধ বাধ নিয়ে কঠিন অবস্থান নিতে হবে। নেপালরে মতো ল্যান্ড লকড দেশ্ও যদি নিজেদের অস্তত্বের প্রয়োজনে জাগতে পারে- আমাদের নেতৃত্বের ভীরতা কোথায় খুঁজে পাইনা..
নদী বাঁচা্ও দশে বাঁচাও প্রকৃতি বাঁচা্ও
১৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০
আমি মিন্টু বলেছেন: ভালো পোস্ট অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে । তাই কৃতপক্ষের কাছে বিশেষ আবেদন থাকবে
@ঠ্যঠা মফিজ ভাই বলেছেন অনেক কিছু জানার আছে পোস্ট প্রিয়তে সযত্নে রাখা হলো । আপনাকে পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ । এরকম পোস্ট তথ্যের
প্রয়োজনে বিশেষ কাজে লাগবে সকলের । তাই কৃতপক্ষের কাছে বিশেষ ভাবে অনুরোধ এবং দাবী থাকবে পোস্টটি স্টিকি করলে
অনেকের নজরেই আসবে । আমিও ওই মন্তব্যের সাথে সহমত প্রকাশ করছি ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
খুব সাধারন সরল ভাবেই মূল সত্যটাকে ফোকাস করতে চেয়েছি্ আপনাদের ভাললাগায় মনে হচ্ছে কষ্টটা সার্থক।
আমাদের নদী গুলোকে বাঁচাতেই হবে- যদি আমরা বাঁচতে চাই!
২০১৬ কে নদী রক্ষা বর্ষ ঘোষনা করলে কেমন হয়?
চায়নারে যেমন একে বছরকে একেক নামে উৎসর্গ করে!
আপনাকে আবারো আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৮
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ছোট বেলায় যখন শুনেছিলাম নদীটি মোরে গেছে , তখন বুঝতাম না নদী কিভাবে মোরে যায় । পানিবণ্টন নিয়া অনেক শুনতাম ছোট বেলা থেকেই । তাই আগ্রহটা অনেক । দেশের বাইরে আমাদের সবাই ইন্ডিয়ান ভাবে , যখন বলি , আমার দেশ বাংলাদেশ , তখন মোটামটি যারা চেনে তারা ঐ দেশটিকে বন্যার্ত আর দরিদ্র দেশ হিসেবে চেনে আর খুব খুব সস্তায় শ্রম পাওয়া যায় - এমন একটি দেশ হিসেবে চেনে । ভীষণ খারাপ লাগে তখন , নিজেকে ভীষণ দরিদ্র অসহায় লাগে । আমার দেশের বন্যা হওয়ার এবং নদী মোরে যাওয়ার কারণটা জানাতে ভুলিনা কখনোই , জোড় গলায় বলি ।
আমার একটা ইচ্ছা আছে আমি ইন্টারন্যাশনাল ল এর আন্ডারে একটা ডেজারটেশন করবো , আর বিষয়বস্তু হিসেবে পানি বণ্টন চুক্তিটাকে মাথায় রাখতে চাচ্ছি । জানি না আমার প্রজেক্ট লিডার রাজি হবেন কিনা , তারপরও চেষ্টা করবো ।
সত্যিই বাংলাদেশর অন্যতম বড় একটি সমস্যা এই পানি বণ্টন চুক্তি । আপনার পোস্টটি তথ্যে সমৃদ্ধ । তাই মনে হল হয়তো কাজে লাগবে ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । প্রজেক্টটি পেলে আপনাকে জানাবো ।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এক চরম সত্যের মূখোমূখি হন আপনারা!
এর জন্য আমাদের দরিদ্র রাজনীতিবিদরা দায়ী! যাদের মাথা ভরা স্রেফ ন্বার্থ চেতনা।
কান্ট্রি ব্রাডিং কি জিনিষ তাদের সামনে বলে দেখেন- হা করে থাকবে!
আরা আমাদের মিডিয়া যেই কাজটা অনায়াসে করতে পারত- মিডিয়া এম্বাসাডর হিসাবে সহজেই পজিটিভ হোপফুল, লাভলি, বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পারত তাদের অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে- তাতেও তারা যেন কুম্ভকর্ণের ঘুমে!
স্রেফ কটা বিজ্ঞাপনা, সস্তা কিছূ নাটক আর নতুন কিছুর! গন্ধ শোকার উদগ্র নেশায় চুর! সেখানেও আর্ট/ ষ্টাইলটাও জানে না! একেবারে হাভাতের মতো রুচি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে! ফলে না হয় শিল্প, না পায় জাতি মেধার ছাপ- দেশ নিয়ে ভাবাতো দূর অস্ত!
আপনার পরিকল্পনা জেনে ভাল লাগল। যে যেখান থেকে পারে বিষয়টিতে হাইলাইটস করতে হবে। কাব্যে, প্রবন্ধে, গল্পে, টুইটে, ষ্ট্যাটাসে, নাটকে, শর্টফিল্মে, মেইন স্ট্রীম ফিলমে....
তবেই না জাগবে বোধ। আসবে ঐক্য,
ধ্বসিয়ে দেবে অত্যাচারীর শোষকের বাধার প্রাচীর-
বইবে নদী বন্ধনহীন প্রকৃতির নিত্যতায়!
সুখবরের অপেক্ষায়!
১৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮
আনু মোল্লাহ বলেছেন: বাংলাদেশের দূর্ভাগ্য বাংলাদেশের কোন রাজনীতিক কিংবা কোন মিডিয়া দেশপ্রেমিক না। মিডিয়াগুলো উচ্ছিষ্টভোগী, অজনবান্ধব, দৃষ্টির প্রখরতাশূণ্য। রাজনীতিকরা স্বার্থপর সে তো জানা কথা। মিডিয়াগুলো দেশপ্রেমিক হলেও কিছু আশা থাকত।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বলেছেন।
স্রেফ মিডিয়াগুলো যদি সত্যিকারের দেশপ্রেমকি হত- রাজনীতিবিদদের্ও বদলাতে হতো বাধ্য হয়ে!
আপনাকেও ধন্যবাদ।
পানি যেমন জীবনের আরেক নাম, নদী তেমনি দেশের প্রাণ।
নদী বাঁচাও দেশ বাঁচাও।
১৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০২
পুলহ বলেছেন: আপনার সচেতনতামূলক পোস্টগুলো খুব বেশি পড়া হয় নি, তবে যে কয়টি পড়েছি-এরপর আর বলার মত কিছু খুজে পাই না- সেগুলোর বিষয়বস্তু এতোটাই থাকে স্পর্শকাতর। এটা পড়েও আসলে তেমনই অনুভূতি হচ্ছে...
আমার জানামতে এখনকার এক্সপার্টগণ অববাহিকাভিত্তিক ব্যবস্থাপনার কথা বলেন। সলিউশন আছে, কিন্তু রাজনীতি আর ক্ষমতাশালীদের চাপে সেই সমাধান মরীচিকা বলেই ভ্রম হয়....
সমুদ্র বিজয়ে যেমন বলিষ্ঠ ভূমিকা বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে, নদীর ক্ষেত্রেও সেটা কেন নেয়া হচ্ছে না- এটা আমার কাছে একটা বিস্ময়। বিশেষতঃ ভারতের যখন নদী নিয়ে আন্তঃনদী সংযোগের মতন সামনে আরো ভয়ংকর সব পরিকল্পনা আছে...
সচেতনতা বাড়ুক, নদী বাচুক- এই প্রার্থনা। ভালো থাকবেন ভাই
১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ অনেক অনেক
সচেতনতা বাড়ুক, নদী বাচুক- এই প্রার্থনা।
২০| ০৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে সুজলা সুফলা এবং সোনার বাংলা হিসাবে দেখতে চাইলে ভাষার জন্য যেমন ঐক্যবদ্ধ বাঙালী লড়েছিল, রক্ত দিয়ে হলেও আদায় করেছিল ভাষার দাবী;
পানি সংকটে আজ বাংলা মায়ের গলা শুকিয়ে গেছে.. পানির তেষ্টায় কাঁদছে পদ্মার বুক! কাঁদছে প্রকৃতি, প্রাণী, পাখি, আর কাঁদছে ভবিষ্যত প্রজন্ম!
তাই যে যার স্থান থেকে যেভাবে সম্ভব পানির অধিকার নিয়ে নদীর অধিকার নিয়ে আমাদের ন্যায্যতার লড়াইয়ে সোচ্চ্চার হোন। কারণ একদিনেইতো ফল ফলবে না। ধারাবাহিক আইনি, জাতীয় আন্তর্জাতিক সকল প্রযোজ্য ন্যায় সংগত মাধ্যমেই আমাদেরকে আমাদের দাবী আদায় করতে হবে।
তবেই কাটবে পানির শংকা। কাটবে আগামী সোনার বাংলার শস্মান হবার শংকা।
পদ্মায় পালতুলে মাঝি আবারো গাইবে পদ্মার ঢেউরে..
কিংবা ভয়াল ঝড়ের রাত্রে চিৎকার করে উঠবে বদর বদর বদর মাঝি সামাল সামাল হেইয়ো!!!!!!!
২১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৪২
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা চুক্তি স্বাক্ষরের পর এবারের শুষ্ক মৌসুমে এই প্রথম বাংলাদেশ সর্বনিম্ন পানি পেয়েছে। এমনকি গঙ্গা চুক্তি যখন ছিল না; সেই সময়টাতে বাংলাদেশকে পানি নিয়ে এমন দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়নি।
দেশের পানি বিশেষজ্ঞরা জানান, গত ২১ থেকে ৩১ মার্চ ওই ১০ দিনে ভারত বাংলাদেশকে ১৫ হাজার ৬০৬ কিউসেক পানি দিয়েছে। যা ছিল স্মরণকালের সর্বনিম্ন পানির রেকর্ড। অথচ এ নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কিম্বা যৌথ নদী কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি।
যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) তথ্যানুযায়ী, ইতোপূর্বে ২০০৮ সালে ১১ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ওই ১০ দিনে ফারাক্কা পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন পানি পাওয়ার রেকর্ড ছিল ১৭ হাজার ৫১৯ কিউসেক। চলতি শুষ্ক মৌসুমে চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশ মাত্র ৪ বার ৩৫ হাজার কিউসেক করে গঙ্গার পানি পেয়েছে। এ ছাড়া ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনওয়ারি হিসেবে প্রতিটিতে বাংলাদেশ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
জেআরসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি শুষ্ক মৌসুমে প্রতি ১০ দিনওয়ারি হিসাবে ১ থেকে ১০ জানুয়ারি পানি পেয়েছে ৩৫ হাজার কিউসেক, ১১ থেকে ২০ জানুয়ারি পেয়েছে ৩১ হাজার ৩৯৪ কিউসেক, ২১ থেকে ৩১ জানুয়ারি ৩১ হাজার ১৪ কিউসেক। ১ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি ২৯ হাজার ৭৩৩ কিউসেক, ১১ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ২৮ হাজার ৮২০ কিউসেক, ২১ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পেয়েছে ২৬ হাজার ৮৬৫ কিউসেক পানি। মার্চের প্রথম ১০ দিনে অর্থাৎ ১ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত পেয়েছে ২৫ হাজার ৪১৯ কিউসেক, ১১ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত পেয়েছে ৩৫ হাজার কিউসেক, ২১ থেকে ৩১ মার্চ এই ১০ দিনে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৫ হাজার ৬০৬ কিউসেক পানি। যা স্মরণকালে সর্বনিম্ন রেকর্ড। ১ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত পানি পেয়েছে ৩৫ হাজার কিউসেক, ১১ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত পেয়েছে ১৮ হাজার ২৮২ কিউসেক এবং ২১ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পেয়েছে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি। দেশের পানি বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারের শুষ্ক মৌসুমে যে হারে গঙ্গার পানি বাংলাদেশ পেয়েছে, তা গঙ্গা চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
http://www.jaijaidinbd.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=16-05-2016&feature=yes&type=single&pub_no=1548&cat_id=1&menu_id=14&news_type_id=1&index=24
১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গত ২১ থেকে ৩১ মার্চ ওই ১০ দিনে ভারত বাংলাদেশকে ১৫ হাজার ৬০৬ কিউসেক পানি দিয়েছে। যা ছিল স্মরণকালের সর্বনিম্ন পানির রেকর্ড। অথচ এ নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কিম্বা যৌথ নদী কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি।
আফসোস! তারা নাকি হত্ত কত্তা!!!!!!!!!!!!!!!!
এতটা দেশপ্রেমহীন মানুষ হয় কি করে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!????????????????
২২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত শ্রমসাধ্য এই পোস্টটি লিখে আপনি ব্লগের তথ্যভাণ্ডারকে অনেক সমৃদ্ধ করেছেন। রেফারেন্স ম্যাটেরিয়াল হিসেবে এ পোস্টকে "প্রিয়" তে তুলে রাখলাম।
@গুলশান কিবরীয়া,
"আমার একটা ইচ্ছা আছে আমি ইন্টারন্যাশনাল ল এর আন্ডারে একটা ডেজারটেশন করবো , আর বিষয়বস্তু হিসেবে পানি বণ্টন চুক্তিটাকে মাথায় রাখতে চাচ্ছি । জানি না আমার প্রজেক্ট লিডার রাজি হবেন কিনা , তারপরও চেষ্টা করবো" - আপনি কি শেষ পর্যন্ত তা করতে পেরেছিলেন?
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
দরকারী তথ্য।
" ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার সময় গঙ্গার পানি সমস্যা সমাধানের জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহন করা হলেও ভারতের গড়িমসির জন্য কোন স্বারক বা চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। "
- ভারত বুঝেছিল যে, মিলিটারীর পুতুল কন্যা পানি মানি বুঝার মত বুদ্ধমতি নয়; তাই ভারত পানি দেয়নি