নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৭১: ভেতরে বাইরে বইয়ের প্রকাশনা উত্সব আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বেঙ্গল গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বইয়ের লেখক মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এ কে খন্দকার (বীর উত্তম)। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালের অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণের কথা তিনি বইটিতে তুলে ধরেছেন।
ইতিহাসবিদ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, লেখক এ কে খন্দকার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সংবাদ সূত্র : প্রথম আলো
নির্বাচিত অংশ....
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নি:একে খন্দকার
কোনো মাধ্যমে বা চিরকুটে পাঠিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নি।। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যেসব যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয় তার সাথে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষনার কোন প্রমাণ পাওয় যায় না। আর যা প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয় তার বিশ্বাসযোগ্যতাও খুঁজে পাওয়া যায় না। এমনটি বলেছেন মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান ও আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক মন্ত্রী এ কে খন্দকার।তাঁর সদ্য প্রকাশিত "১৯৭১:ভেতরে বাইরে"গ্রন্থে তিনি এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন অনেকে মনে করেন ২৫ মার্চ রাতে এক হাবিলদারের মারফত চিরকুট পাঠিয়ে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আবার বলা হয় বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামের আওয়ামীলীগের নেতা জহুর আহমেদ চৌধুরীকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার জন্য সংবাদ পাঠিয়েছিলেন। কোথাও কোথাও এমনও উল্লেখিত হয়েছে যে বঙ্গবন্ধু ইপিআর এর বেতার যন্ত্রে বা ডাক ও তার বিভাগের টেলিগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা ঘোষনার বার্তাটি প্রচার করেন। কিন্তু এগুলোর কোন যুক্তি সঙ্গত প্রমাণ নেই।
একে খন্দকার বলেন, কোন যুক্তিতে বঙ্গবন্ধু চিরকুট পাঠাবেন,যেখানে প্রকাশ্যে স্বাধীনতা ঘোষণায় তাঁর কোনো বাধাই ছিল না?বলতে গেলে মার্চ মাসের শুরু থেকে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই চলছে দেশ। ২৩ মার্চ পাকিস্তানের জাতীয় দিবসেও সারা দেশে দুচারটা সরকারি ভবন ছাড়া কোথাও পাকিস্তানি পতাকা ওড়েনি, বরং সবাই স্বাধীন বাংলার পতাকা অথবা কালো পতাকা উড়িয়েছে।এধরণের অনুকুল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু গোপনে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে যাবেন কেন ? স্বাধীনতা ঘোষণা করতে চাইলে তিনি তো জনগণের পাশে থেকেই তা করতে পারতেন।তাঁর মতো সাহসী ও ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় নেতার স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে রাতের অন্ধকারের প্রয়োজন হয় না।আমরা যতদিন যুদ্ধ করেছি ততদিন পর্যন্ত এই চিরকুট পাঠানোর কথা শোনা যায় না। বরং আমরা সবই আলোচনা করতাম যে বঙ্গবন্ধু কেন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে গেলেন না,দিলে কি ক্ষতি হতো ইত্যাদি।স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে আমি যতটুকু জানি, আমার স্মৃতিতে যতটুকু আছে এবং যুদ্ধের সময় যা ঘটেছে তা নিচে উল্লেখ করলাম।
২৫ মার্চ সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান যখন ঢাকা ছেড়ে চলে যান, তখন একটা চরম সংকটপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়।সবাই ভাবতে থাকেন,এখন আমাদের কি করণীয়। এসময় তাজউদ্দিন আহমদসহ আরও কিছু নেতা বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে সমবেত ছিলেন।সেখানে এক ফাঁকে তাজউদ্দীন সাহেব একটি টেপ-রেকর্ডার এবং স্বাধীনতা ঘোষণার একটি খসড়া বঙ্গবন্ধুকে দেন এবং তাকে তা পড়তে বলেন।কিন্তু তিনি তা পড়েন নি।এ ঘটনা স্বয়ং তাজউদ্দীন আহমদ সাংবাদিক ও লেখক মঈদুল হাসানকে বলেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওযার পর লেখক মঈদুল হাসান মে মাসে ভারতে যান।পরে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের স্পেশাল এইড হিসাবে বিশেষ দায়িত্ব পালন করেন।তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হয়ে কয়েকবার দিল্লি যান।ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করতেন।মঈদুল হাসান যখন কলকাতায় থাকতেন প্রতিদিন সকালে তাজউদ্দীনের সঙ্গে আলোচনায় বসতেন।তার নির্দেশে নানা বিষয়েও কাজ করতেন।স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রহের জন্য তাজউদ্দীনের সঙ্গে দেখা করেন।তাজউদ্দীনের কথাগুলো তখন তার ডায়েরীতে তিনি লিখে রাখেন।সেই সময় তাদের মধ্যে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধূর সিদ্ধান্ত নিয়ে যে কথোপকথন হয়েছিল তা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য বলেই প্রতীয়মান হয়।
কোনো মাধ্যমে বা চিরকুটে পাঠিয়ে বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নি, তার সবচেয়ে বড় প্রমান হচ্ছে,২৫মার্চ রাতে তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা-কর্মিরা প্রায় শেষ সময় পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ছিলেন।অথচ তাঁরা কেউ আঁচ করতে পারবেন না বা জানতে পারবেন না, এটা তো হয় না।তবে কি তিনি তাদের বিশ্বাস করতে পারেন নি? এটা তো আরও অবিশ্বাস্য। বঙ্গবন্ধু যদি স্বাধীনতার ঘোষণাই দেবেন,তবে তিনি ৩২ নম্বর সড়কের বাসায় থাকবেনই বা কেন।মুক্তিযুদ্ধকালে আমিও একদিন তাজউদ্দীন আহমদকে ২৫ মার্চের রাতের ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম।তাজউদ্দীন আহমদ স্বীকার করেছিলেন,সেই খসড়া ঘোষণাটি তার নিজের লেখা ছিল এবং তিনি বঙ্গবন্ধুকে খসড়া ঘোষণাটি পাঠ করতে বলেছিলেন।লেখাটি ছিল সম্ভবত এই রকম:'পাকিস্তানি সেনারা আমাদের আক্রমন করেছে অতর্কিতভাবে।তারা সর্বত্র দমননীতি শুরু করেছে।এই অবস্থায় আমাদের দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে এবং আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম'।তাজউদ্দীন সাহেব আরও বলেন,এই খসড়া ঘোষনাটি শেখ মুজিবুর রহমানকে দেওয়ার পর সেটা তিনি পড়ে কোনো কিছুই বললেন না,নিরুত্তর রইলেন।অনেকটা এড়িয়ে গেলেন।
একে খন্দকার বলেন,"পরবর্তী সময়ে মঈদুল হাসানের কাছ থেকে জানতে পারি, বঙ্গবন্ধুকে তাজউদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, ‘মুজিব ভাই, এটা আপনাকে বলে যেতেই হবে। কেননা কালকে কি হবে, যদি আমাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় তাহলে কেউ জানবে না যে আমাদের কি করতে হবে এই ঘোষণা কোন গোপন জায়গায় সংরক্ষিত থাকলে পরে আমরা ঘোষণাটি প্রচার করতে পারবো। যদি বেতার মারফত কিছু করা যায়, তাহলে সেটাও করা হবে।’ বঙ্গবন্ধু তখন প্রত্যুত্তরে বলেছিলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে একটা দলিল হয়ে থাকবে। এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের বিচার করতে পারবে।’ এ কথায় তাজউদ্দীন আহমদ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে সম্ভবত রাত নয়টার পরপরই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ছেড়ে চলে যান। অবাক করার বিষয় হলো, পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা ঘোষণার সেই ছোট্ট খসড়াটি, যা তাজউদ্দীন আহমদ তৈরি করেছিলেন, তার প্রায় হুবহু একটি নকল বঙ্গবন্ধুর ২৬শে মার্চের ঘোষণা হিসেবে প্রচার হতে দেখি। ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত পত্রপত্রিকাতেও তাজউদ্দীনের সেই খসড়া ঘোষণার কথাগুলো ছাপা হয়েছিল। ২৫শে মার্চ রাতে যখন পাকিস্তানি বাহিনী আমাদের আক্রমণ করে, সেই রাতেই শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্বাধীনতার ঘোষণাটি জনসম্মুখে কিভাবে এলো ২৬শে মার্চ তারিখে তো সারা দেশেই সান্ধ্য আইন ছিল। আওয়ামী লীগের তরুণ কর্মী এবং ছাত্রলীগের নেতারা স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য বঙ্গবন্ধুকে মার্চ মাসে বেশ চাপ দিচ্ছিল। ধারণা করা যায়, সেই সময় তাজউদ্দীন আহমদ তাঁর খসড়াটি তাঁদের দিয়েছিলেন এবং এদের মাধ্যমে যদি এটা স্বাধীনতার ঘোষণা হিসেবে প্রচারিত হয়ে থাকে, তাহলে আমি বিস্মিত হবো না।
পরবর্তী সময়ে ঘটনার প্রায় এক বছর পর আরেকটা কথা প্রচার করা হয় যে, ধবংসযজ্ঞ শুরু হওয়ার ঠিক আগে শেখ সাহেব ইপিআরের বেতারযন্ত্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরীর কাছে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠিয়েছিলেন। এই তথ্যটি মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়। প্রথমত, সামরিক বাহিনীতে থাকার ফলে আমি জানি যে, সিগন্যাল সেন্টার বা বার্তাকেন্দ্র সব সময় অত্যন্ত বিশ্বাসী লোক দ্বারা পরিচালনা করা হয়। সিগন্যালই কোনও বাহিনীর প্রতিরক্ষা ও আক্রমণের মূল যোগাযোগমাধ্যম। সেখানে তো বিশ্বাসীদের বাদ দিয়ে সন্দেহের পাত্র বাঙালিদের হাতে সিগন্যাল ব্যবস্থা থাকতে পারে না। বাস্তবেও পাকিস্তানি বাহিনী আগে থেকেই পিলখানায় ইপিআরের বেতারকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছিল। তার চেয়েও বড় প্রশ্ন, বঙ্গবন্ধু যার মারফত এই ঘোষণা ইপিআরের বার্তাকেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন, সেই ব্যক্তি স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও জনসমক্ষে এলেন না কেন বঙ্গবন্ধুও তার জীবদ্দশায় কখনও সেই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি কেন একই ভাবে চট্টগ্রামের ইপিআর বেতার কেন্দ্র থেকে কে, কিভাবে জহুর আহমেদকে বার্তাটি পাঠালেন, তা রহস্যাবৃতই থেকে গেছে। কাজেই ইপিআরের বার্তাকেন্দ্র ব্যবহার করে শেখ সাহেব স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠিয়েছিলেন- এটা সম্ভবত বাস্তব নয়। দ্বিতীয়ত, জহুর আহমেদ চৌধুরীর কাছে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠিয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এমন কোন সংবাদ আমরা শুনিনি। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের জুন মাসে বাংলাদেশের নেতারা স্বীকৃতিদানের প্রশ্নে ভারত সরকারকে বেশ চাপ দেয়া শুরু করেন। ভারত সরকার বাংলাদেশ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও অন্য প্রধান নেতাদের জিজ্ঞেস করে, শেখ মুজিবুর রহমান কি স্বাধীনতার প্রশ্নে কাউকে কিছু বলে গেছেন তারা আরও জানতে চান যে স্বাধীনতার ঘোষণার কোন প্রমাণ, কোন দলিল, কোন জীবিত সাক্ষ্য আমাদের কাছে আছে কি না এসময় জহুর আহমেদ চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেকেই বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু কাউকে স্বাধীনতার ঘোষণার কথা বলে যাননি। জহুর আহমেদ চৌধুরী নিজে তাজউদ্দীনকে বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁকে কিছু বলে যাননি। ইপিআরের বেতারযন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠান- এ দাবিটি প্রচার শুরু হয় ১৯৭২ সালে। এর আগে এটি শোনা যায়নি। অথচ ২৫শে মার্চ রাত সাড়ে ১২টায় টেলিযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে শেখ মুজিব চাইলে শুধু একটি ফোন করে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে (এখন রূপসী বাংলা) ভিড় করা যে কোন বিদেশী সাংবাদিককে স্বাধীনতার ঘোষণার কথা জানাতে পারতেন। তাহলে মূহর্তের মধ্যে সেটি সারা পৃথিবীতে প্রচার পেয়ে যেতো। বেশ পরে স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়ে আরেকটি তথ্য প্রকাশ পায়। এতে বলা হয় যে বঙ্গবন্ধু টেলিগ্রামের মাধ্যমে কাউকে কাউকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠিয়েছিলেন। সেই ঘোষণার একটি কপি কিছুদিন আগে পত্রিকায় ছাপানো হয়। এই ঘোষণায় পাওয়া বিবৃতি আগের ঘোষণা থেকে পৃথক। ঘোষণা সংবলিত টেলিগ্রামটি হাতে লেখা এবং প্রাপকের স্ত্রী দাবি করেছেন যে এটি বঙ্গবন্ধুর নিজের হাতে লেখা। মিথ্যা প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতায় সাধারণ বিবেচনা ও জ্ঞানও রহিত হয়ে যায়। টেলিগ্রাম যে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে পাঠানো হয় এবং এখানে প্রেরকের হাতের লেখা প্রাপকের কাছে যায় না, তা তারা ভুলে যান।
২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তান বাহিনীর অভিযানের পর ইস্ট পাকিস্তান রেডিওর চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বাঙালি কর্মকর্তারা বেতারের মাধ্যমে কিছু করার পদক্ষেপ নেন। চট্টগ্রামে সান্ধ্য আইনের মধ্যেই তাঁরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে সেখান থেকে কিছু প্রচার করতে উদ্যোগী হন। এ সময় তারা দু’টি বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে লাগলেন। প্রথমত, যদি কোন সামরিক ব্যক্তিকে দিয়ে এই কথাগুলো বলানো যায়, তাহলে এর প্রভাব আরও ব্যাপক হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন চালুকৃত বেতার কেন্দ্রটির নিরাপত্তা প্রদানের জন্য সামরিক বাহিনীর লোক প্রয়োজন। তাঁরা জানতে পারলেন, সেনাবাহিনীর বাঙালি সৈনিকেরা চট্টগ্রাম সেনানিবাস থেকে বিদ্রোহ করে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধ করছেন। তাঁরা খোঁজ নিয়ে আরও জানতে পারেন যে মেজর জিয়াউর রহমান নামের একজন উধর্বতন বাঙালি সামরিক কর্মকর্তা অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অন্যান্য কর্মকর্তা, সৈনিকসহ পটিয়ায় রয়েছেন। ২৭শে মার্চ সকাল ১০টার দিকে এসব বেতারকর্মী পটিয়ায় যান। তাঁরা মেজর জিয়াকে বেতার কেন্দ্রের প্রতিরক্ষার জন্য কিছু বাঙালি সেনাসদস্য দিয়ে সাহায্য করার অনুরোধ জানান। মেজর জিয়া সঙ্গে সঙ্গে এ ব্যাপারে সম্মতি দেন। এ সময় তাঁদের মধ্যে কেউ একজন মেজর জিয়াকে অনুরোধ করে বলেন, কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার একটি ঘোষণা তিনি পড়তে রাজি আছেন কিনা। মেজর জিয়া বেশ আগ্রহের সঙ্গে এই প্রস্তাবে রাজি হন। তিনি পটিয়া থেকে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে এসে প্রথম যে ঘোষণা দিলেন, সেটা ভুলভাবেই দিলেন। কারণ, তিনি প্রথম ঘোষণায় নিজেকে প্রেসিডেন্ট বলে ঘোষণা করেছিলেন। পরে সংশোধন করে মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। সেটি টেপে ধারণ করা হয় এবং ২৭শে মার্চ সন্ধ্যার কিছু আগে তা পুনঃপ্রচার করা হয়। আর এভাবেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রকাশ ঘটলো। রেডিওতে আমি মেজর জিয়ার ঘোষণা শুনেছি। ওই সময় আমি জিয়াকে চিনতাম না। তবে এই ঘোষণায় আমি স্বস্তিবোধ করলাম এবং আশ্বস্ত হলাম যে অন্তত মেজর পর্যায়ের একজন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা এই যুদ্ধে জড়িত হয়েছেন। এখানে একটি কথা বলা প্রয়োজন, ২৭শে মার্চ চট্টগ্রাম বেতারের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ উদ্যোগে মেজর জিয়ার কাছে গিয়েছেন এবং তাঁকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। মেজর জিয়া নিজস্ব উদ্যোগে তাঁদের কাছে আসেননি। এটা ঠিক জিয়া তাঁদের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তিনি নিজে স্বপ্রণোদিত হয়ে ব্যক্তিগতভাবে এ উদ্যোগ নেননি। মেজর জিয়ার ঘোষণাটিকে কোনভাবেই স্বাধীনতার ঘোষণা বলা চলে না। মেজর জিয়া রাজনৈতিক নেতাও ছিলেন না বা স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার মতো উপযুক্ত ব্যক্তিও ছিলেন না। তবে মেজর জিয়ার এই ঘোষণাটি প্রচারের ফলে সারা দেশের ভেতরে ও সীমান্তে যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে এবং সাধারণ মানুষের মনে সাংঘাতিক একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। সেই সঙ্কটময় মূহর্তে জিয়ার ভাষণটি বিভ্রান্ত ও নেতৃত্বহীন জাতিকে কিছুটা হলেও শক্তি ও সাহস যোগায়। যুদ্ধের সময় অনেক মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে শুনেছি এবং যুদ্ধের পরবর্তী সময়ও শুনেছি, মেজর জিয়ার ঘোষণাটি তাঁদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে কতটা উদ্দীপ্ত করেছিল। মেজর জিয়ার ঘোষণায় মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে, হ্যাঁ এইবার বাংলাদেশ সত্যিই একটা যুদ্ধে নেমেছে। হান্নান সাহেব বা অন্য ব্যক্তিদের ঘোষণা ও মেজর জিয়ার ঘোষণার মধ্যে তফাৎটা শুধু এখানেই ছিল। মেজর জিয়া যে কাজটি করতে পেরেছিলেন, তা করা উচিত ছিল জাতীয় পর্যায়ের প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের এবং এর জন্য তাঁদের একটা পূর্বপরিকল্পনাও থাকা প্রয়োজন ছিল। স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে আরেকটি চরম সত্য ও বাস্তব কথা হলো, ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর স্বাধীনতার ঘোষণা হলো কিনা, তা শোনার জন্য সাধারণ মানুষ কিন্তু অপেক্ষা করেনি। পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।"
======
নির্বাচিত অংশটুকু জনাব আমিরুল ইসলাম কাগজীর ফেসবুক থেকে সংকলিত।
=======
আমরা কবে একটি নিরেট দলীয় গন্ধহীন নির্ভেজাল সত্য ইতিহাস পাব???
জাতি হিসাবে এগিয়ে যেতে আমাদের খুব প্রয়োজন দলীয় বৃত্ত থেকে বেরিয়ে দেশীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রকৃত সত্য তুলে ধরা। তাতে কে হিরো হল কে জিরো হলো তা ভাবতে গেলে দেশ এভাবেই পিছিয়ে পড়তে থাকবে।
দল দুই বা ততোধীক থাকুক বা আরো বেশী হোক। কিন্তু ইতিহাসতো একটাই। এখন আমরা যদি নাও করি- কালের কষ্টিপাথরে কিন্তু সত্যটাই টিকে থাকবে- তা শত বছর পরে হোক বা তার আগে বা পরে....
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঘটনা কি?
পোষ্ট পুরোটা পড়েছেন?
না খালি আবেগই চিৎকার করে বসলেন????
এটা আমার কথা না। জনাব একে খন্দকার যিনি একজন প্রত্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা শুধু নন পদক প্রাপ্তও বটে। মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান ও আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক মন্ত্রী এ কে খন্দকার ।
আপনি কে?
আপনি কি মুক্তিযুদ্ধে গেছেন?
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
কষ্টবিলাসী বলেছেন: হরি কে কলকাতা পাঠান। সে কিন্তু পাঠক৭১ এর মাল্টি নিক।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বৃক্ষ তোমার নাম কি ফলে পরিচয়...
ব্লগার তোমার পরিচয় কি কমন্টে ফুটে রয়
এরাতো ৭১এ কলকাতা পিকনিক করছে ৯ মাস-- তাই সেই গোপন পাপ ঢাকতেই জোরেই চিৎকার করতে হয় চেতনার আলগা চাদল গায় রাখতে হয়!!!!
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৯
বান০০৭ বলেছেন: হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: উনি স্বাধীনতা ঘোষনা দিলে আপনি যুদ্ধে যেতেন? সাট-আপ!
এক মডারেটরের ১০ টা করে নিক নেম- ।
কাজেই ১জনই আপনাকে ১০ রকমে ধমকাবে- ঘাবরাবার কোন কারন নেই!!!
সাট-আপ!কে- ডবল আপ দিলেই- ব্যান্ড!!!
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মরণে আর ভয় কি
যখন এমনিই মরছি
অনির্বচাতি স্বৈরাচারের ভক্তদের কন্ঠেতো আর বিনয়, নীতি থাকবে না। তারা চিৎকার করেই কথা বলবে!!!!!!
ধন্যবাদ
৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এসব নিয়ে বিতর্ক করা ঘাধামি ছাড়া কিছু না।
ঘোষনা দিল কি দিল না, এটা সেই সময়ের বাস্তবতায় কোন ব্যাপার ছিল না, কারন বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চেই যা বলার বলে ফেলেছিলেন -
আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি ..........
... এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
তবে জণগন কোন ঘোষনার জন্য বসে থাকেনি মোটেও।
এখন সবাই জানে ৭১ এর ২৬সে মার্চ নিউইয়োর্ক টাইমস, NBC News, ABC News, রয়টার্স সহ সকল বিশ্ব মিডিয়াতে বলা হয়েছিল -
"মুজিব গ্রেফতার হওয়ার আগে বেতার বার্তায় স্বাধীনতা ঘোষনা দিয়ে গেছেন"।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাই ৭ই মার্চ যদি সব বলা হয়েই থঅকে.. তবে ২৩-২৪ মার্চ ভুট্ট্রোর সাথৈ আলোচনার এজেন্ডাটা কি ছিল ? জানাবেন???
৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,
উনি কেনও ব্লাক এ্যান্ড হোয়াইটে স্বাধীনতার ঘোষনা দেননি তার মর্ম বুঝতে হলে সবাইকে মাথাটি আরো নির্মোহ করতে হবে । বইটির লেখকের কথামতো তাজউদ্দিনের স্বাধীনতার ঘোষনার প্রস্তাবে শেখ মুজিবের কথাটি আবার স্মরন করুন - "বঙ্গবন্ধু তখন প্রত্যুত্তরে বলেছিলেন, "এটা আমার বিরুদ্ধে একটা দলিল হয়ে থাকবে। এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের বিচার করতে পারবে।"
একদম বাস্তব সম্মত এবং একই সাথে দুরদৃষ্টি সম্পন্ন এক ঝানু নেতার মতোই আচরন করেছেন তিনি । যদি স্বাধীনতার ঘোষনাই দিতেন তবে আমরা একঘরে হয়ে পড়তাম বিশ্বঅঙ্গনে । কেউই আমাদের সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসতেন না কারন আমরা একটি প্রতিষ্ঠিত ও স্বীকৃত দেশের বিরুদ্ধে দ্রোহ ঘোষনা করেছি বলে সবাই আমাদের দোষটাই আগে দেখতেন । তাই যখোন বিশ্ব দেখলো এক নিরিহ , অস্ত্রহীন, অসহায় জনগোষ্ঠীর উপর জেনোসাইড চালানো হচ্ছে তখোন বিশ্ব বিবেক নড়েচড়ে বসেছেন । পাকিস্তানের আভ্যন্তরীন বিষয় বলে এড়িয়ে যেতে পারেননি কেউই, শুধুমাত্র চিহ্নিত কয়েকটি দেশ বাদে । । এটাই আমাদের স্বাধীনতার পক্ষে সবচাইতে জোড়ালো ও কার্য্যকরী ভূমিকা রেখেছে তাই রাশিয়া আর ভারতের পক্ষে আমাদের এই নিরিহ , অস্ত্রহীন, অসহায় জনগোষ্ঠীর সাহায্যের জন্যে যা যা করনীয় তা তারা করতে পেরেছেন তাও অনেক বাধা বিপত্তি পেড়িয়ে । আমাদের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়েছে ।
আর ঘোষনা দিয়ে এটা করলে হয়তো আজও আমরা যুদ্ধরত থাকতাম বা নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতাম । কোনটা ভালো হলো , তা ঠান্ডা মাথায় সবাইকে ভেবে দেখতে বলি । আর দেশ যখোন উত্তাল ৭১য়ে মুজিবের কথাতেই স্বাধীন ভাবেই চলেছে তখোন কাগজে কলমে যারা স্বাধীনতার ঘোষনা দেখতে চান তাদের উদ্দেশ্য প্রশ্নবোধক হয়ে দাঁড়াবেই ।
সংক্ষেপে এটুকুই বলা । বইটির লেখক জন্ম থেকে রাজনীতিবিদ হলে এরকম একটা ব্যাখ্যা দিতেন তার লেখায় , স্বাধীনতার ঘোষনা কেন ব্লাক এ্যান্ড হোয়াইট হলোনা ।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ। আলোচনা করেছেন বলে।
এখন আসুন আপনি যা বলেছেন- দূরদর্শীতা ইতিহাসে অনেকের কাছেই তা কারুপুষৌচিত আচরন। অনেকে বলেন যুদ্ধের সেনানায়কদের মধ্যে যুদ্ধের মূখে জাতিকে ঠেলে নিজে স্বেচ্ছায় কারারুদ্ধ হবার ইতিহাস আর একটিও নাই।
আবার শুধু অসহায়ের উপর জেনোসাইডেই যদি বিশ্ব বকিবেক নড়েচড়ে উঠতো- তবে কাশ্মীর আজ ৪৭-৫০ বছর ধরে লড়াই করতে হতো না! কিংবা ফিলিস্তিনের শিশুদের আজও অসহায় ভাবে জীবন দিতে হতো না। অথচ পূর্বতিমুর স্বাধীন হল চোখের পলকে। এখানে বিশ্বরাজীনিতর ভূমিকাও কম নয়।
রাশীয়া ভারতের সহযোগীতা এবং কূটনৈতিক সামরিক তৎপরতা সাহাজ্য করেছে এবং সবচে বেশী আমাদের মুক্তযোদ্ধাদের অসীম সাহসী, কৌশলী লড়াই আমাদের বিজয়ী করেছে। এবং ভাগ্যতো অবশ্যই সহায় ছিল।
নইলে হয়তো আজও আমরা যুদ্ধ রত থাকতাম কাশ্মীরি বা ফিলিস্তিনিদের মতো।
সংক্ষেপে যা বলেছেন- হয়তো তেমনি হতো
৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৫
াহো বলেছেন:
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনার বিষয়ে ১৯৭১ সালের অনেক আন্তর্জাতিক নিউজ-মিডিয়া,
নিউ ইয়র্ক টাইমস (২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে (২৭শে মার্চ, ১৯৭১)
টাইম USA(৫ই এপ্রিল, ১৯৭১)
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
বিষয়গুলো নিশ্চয়ই লেখের নজরে আছে। না থাকলে থাকা উচিত
৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৬
কলাবাগান১ বলেছেন: মুজিব স্বাধীনতা ঘোষনা করে নাই তাই বলে কি বাংলাদেশ মিথ্যা....... কাদের গা জ্বলে আজ বাংলাদেশ হওয়াতে তা আর বলতে হয় না......... কেবল ফাক ফোকর খুজা যাতে স্বাধীনতা কে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় আর তাতে যদি মানুষ ভুলে যায় এত ত্যাগের কথা ... আর বিশ্বাস করবে রাজাকারদের বানানো ইতিহাস........। একটা গাছের পাতাকেও ১৯৭১ এ জিজ্ঞেস করা হত কার কথায় দেশ স্বাধীন হচ্ছে, সেও বলত বংগবন্ধুর কথা.......
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: না মোটেও বাংলাদেশ মিথ্যা নয়। কারও গাও জ্বলে না।
কিন্তু কোন কিছূকে সামগ্রিকতার বদলে দলীয় বৃত্তাবদ্ধে আবদ্ধ করার কুফলই হলো এমন বিষয়ে স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও বই লিখতে হয় স্বাধীনতা যোদ্ধাদের।
মুক্তিযুদ্ধ যেমন সারা বাংলার, প্রতিটি বাঙালীর, এর কর্ম, এর ইতিহাস এর সম্মাননা যার যা তা দেওয়া হলো না। কুক্ষিগত করার চেষ্টা হলো কলকাতায় পালীয়ে থাকা ৯ মাসের কাপুরুষ সুবিধাবাদীদের দ্বারা..
আর তাইতো আজও ইতিহাস বাংলাদেশের না হয়ে দ্দি-দলীয় বৃত্তে হাবুডুবু খাচ্ছে!!!
এর জন্য দু-দলই সমান দায়ী। আওয়ামীলীগের দায় বরং বেশী, কারণ বিএনপিতো বহু পরের জন্ম নেয়া দল।
বঙ্গবন্ধুকে দলীয় বৃত্তের বাইরে সারা বাংলার করা হোক। সকলেই প্রীত হবে। একই সাথে কাউকে অখ্যাত কুখ্যাত বলে নীচু দেখানো মানসিকতা পরিহার না করলে- এভাবেই চলতে থাকবে.. যা দু:খজনক।
৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০২
াহো বলেছেন:
শেখ মুজিব ‘টাইম’-এর সংবাদদাতা ডন কগিনকে বলেন- বর্তমান পাকিস্তানের মৃত্যু হয়েছে, সমঝোতার আর কোন আশা নেই
১৯৭১ সালের ১৫ মার্চ ‘টাইম সাময়িকী’ লিখলো-
আসন্ন বিভক্তির (পাকিস্তানকে দুটি পৃথক রাষ্ট্রে পরিণতকরন) পশ্চাতে যে মানবটি রয়েছেন তিনি হচ্ছেন শেখ মুজিবুর রহমান(মুজিব)। গত সপ্তাহে শেখ মুজিব ‘টাইম’-এর সংবাদদাতা ডন কগিনকে বলেন- বর্তমান পাকিস্তানের মৃত্যু হয়েছে, সমঝোতার আর কোন আশা নেই। তিনি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য পৃথক পৃথক শাসনতন্ত্র প্রণয়নের কথা বলেন এবং জানান যে তাঁর অনুগামীরা কেন্দ্রীয় সরকারের কর দিতে অস্বীকার করেছে, যা কিনা পশ্চিম পাকিস্তানে অবস্থিত। মনে হচ্ছে তিনি তাঁর ভাষায়, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনার দ্বারপ্রান্তে’ উপনীত হয়েছেন।…এর দুদিন আগেই পুর্ব পাকিস্তানের এই নেতা পশ্চিম পাকিস্তানিদের সম্পর্কে বলেন- ‘আমি তাদেরকে পঙ্গু করে দেব এবং তাদেরকে নতি স্বীকার করতে বাধ্য করবো।’ এ ধরনের একটি বিবৃতি দেবার পর সোজাসুজি স্বাধীনতার ঘোষণা আর অতিনাটকীয় কিছু নয়।
লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকার ১৬ই মার্চ ১৯৭১ সংখ্যায় সংবাদদাতা মার্টিন এডেনি আওয়ামী লীগের একটি সংগ্রাম কমিটির বৈঠকের বর্ননা প্রকাশ করে এইভাবে-
সারা প্রদেশে গঠিত এ ধরনের অন্যান্য কমিটির মতো এই কমিটিরও আলোচনার বিষয় ছিল- তাদের বিবেচনায় স্বাধীন হয়ে যাওয়া পূর্ববঙ্গে অর্থাৎ বাংলাদেশে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। ৫৮টি গ্রাম থেকে প্রায় তিনশ লোক এই সংগ্রাম কমিটিতে একত্রিত হয়েছেন। তারা প্রয়োজনবোধে সেনাবাহিনীর মোকাবেলা করতে প্রস্তুত এবং এ জন্য তারা এমন একজন গ্রামবাসীর কাছে যুদ্ধবিদ্যা ট্রেইনিং নিচ্ছেন যার একমাত্র অধিকার এই যে, তিনি রাজকীয় ভারতীয় সেনাবাহিনী সার্ভিস কোরে একজন ল্যান্স কর্পোরাল ছিলেন।
লন্ডনের ‘ডেইলী টেলিগ্রাফ’ ১৯৭১ সালের ৯ই মার্চ সংখ্যায় লিখলো-
শেখ মুজিবুর রহমান পুর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা এক রকম ঘোষণাই করেছেন, ২৫শে মার্চে জাতীয় পরিষদ অধিবেশনে যোগদানের পুর্বশর্ত হিসেবে প্রদত্ত ৪ দফা দাবির মধ্যেই এ কথা লুক্কায়িত রয়েছে, কাজেই প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পারেন না এসব দাবি পূরণ করতে। আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিব তার আন্দোলনকে ‘স্বাধীনতার আন্দোলন’ বলে অভিহিত করে জাতীয় পরিষদে সহযোগীতার জন্য বিভিন্ন শর্ত আরোপ করেন, যা প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান মেনে নিতে পারেন না।
একই দিন ‘ডেইলী টেলিগ্রাফ’ এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলে-
আমরা ইতোমধ্যেই পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে পুর্ব পাকিস্তানের সম্ভাব্য নামকরন শুনছি, যা বাংলাদেশ কিংবা বঙ্গভূমি হতে পারে। এর পতাকাও বানানো হয়ে গেছে।
২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা; শুধুই কি একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়?
http://projonmoblog.com/imran/2762.html
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিশ্লেষনেতো কেউ আপত্তি করছে না।
আর যাকে শুধূই আনুষ্ঠানিকতা বলছেন- তাকি শুধূই তাই।
অকস্মাৎ আক্রান্ত একটি জাতি শুধু রিফিউজি হিসাবে পালিয়ে বেড়াবে না রুখে দাড়াবে? রাজনৈতিক নেতাদের সিদ্ধান্তটা কি সবচে বেশী জরুরী নয়।? নেতৃত্বের অবস্থান পরিস্কার না হলে জাতিগত ভাবে একটি যুদ্ধ কি শুরু করা যায়?
তাই তা শুধূই আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। বরং সময়ের প্রয়োজন ছিল। যা জাতিকে উদ্দীপ্ত করেছে। সিদ।ধান্ত নিতে দৃঢ়তা দিয়েছে। এবং যুদ্ধকে বেগবান করতে মাইলফলক হিসাবে কাজ করছে।
৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৬
টাবলীগহেপী বলেছেন: হরিণা-১৯৭১ সাট-আপ!
বেশি কইলে- আমি তগ হগলরে ফাসী দিমু......।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পেশি শক্তি যেখানে সত্য আর যুক্তি হেরে যায় সেখানে- সাময়িক ভাবে!
তবে চূড়ান্তে সত্যই বিজয়ী হয়...
১৭৫৭তে নবাব সিরাজের উপর আরোপিত কলংক অপবাদ কাটতে শত বছর লেগেছিল
১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৮
শেখ মফিজ বলেছেন: সে হিসাবে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা জিয়া সাহের ও দেননি ।
তিনি ঘোষণা দেবার আগে একই ঘোষণা পত্র হান্নান সাহেব ও অন্য ব্যক্তিরা পাঠ করেন । তবে এটা ঠিক মেজর জিয়ার ঘোষণাটি তাঁদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্দীপ্ত করেছিল। সেখানে মেজর জিয়ার সাথে মেজর মজুমদার বলেও একজন ছিলেন । যে সব রাজনিতীবিদ সেদিন মেজর জিয়াকে যোগাড় করেছিলেন নেপথ্যের কুশিলব তারাই ।
মেজর জিয়ার সেদিন আরেকটি ভূল ছিল, তা হচ্ছে জনগণকে তাদের অস্ত্র নিয়ে লালদিঘীর ময়দানে একটি নিদ্দিষ্ট সময়ে সমবেত হতে বলেছিলেন ।পরে একজন ( সম্ভবত জনাব এ,কে খান) এই বলে তার নজরে আনেন যে সমাবেশ হলে সমাবেশের উপর বিমান হামলা হবে ।
আসল কথা সেদিন সবাই ছিল স্বাধীনতা মূখী, সেদিন দলবাজী কিছু ছিল না ।শেখ মুজিব পুরো জাতিকে স্বাধীনতার জন্য তৈরী করেছিলেন । দিন সবাই চেয়েছে যে যেভাবে পারে এ যুদ্ধে অংশ নিতে ।সেদিনের সব লোকের চেষ্টায় আমরা একটা দেশ পেয়েছি ।
স্বাধীনতার কূশিলবদের চরিত্রহননের চেষ্টা নিত্যান্তই হীনমন্যতা ।
সেই উত্তাল দিনগুলোতে আমি চট্টগ্রামের পাচঁ লাইশে থাকতাম ।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ১৯৭১ সালের জুন মাসে বাংলাদেশের নেতারা স্বীকৃতিদানের প্রশ্নে ভারত সরকারকে বেশ চাপ দেয়া শুরু করেন। ভারত সরকার বাংলাদেশ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও অন্য প্রধান নেতাদের জিজ্ঞেস করে, শেখ মুজিবুর রহমান কি স্বাধীনতার প্রশ্নে কাউকে কিছু বলে গেছেন তারা আরও জানতে চান যে স্বাধীনতার ঘোষণার কোন প্রমাণ, কোন দলিল, কোন জীবিত সাক্ষ্য আমাদের কাছে আছে কি না এসময় জহুর আহমেদ চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেকেই বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু কাউকে স্বাধীনতার ঘোষণার কথা বলে যাননি। জহুর আহমেদ চৌধুরী নিজে তাজউদ্দীনকে বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁকে কিছু বলে যাননি। ইপিআরের বেতারযন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠান- এ দাবিটি প্রচার শুরু হয় ১৯৭২ সালে। এর আগে এটি শোনা যায়নি। অথচ ২৫শে মার্চ রাত সাড়ে ১২টায় টেলিযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে শেখ মুজিব চাইলে শুধু একটি ফোন করে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে (এখন রূপসী বাংলা) ভিড় করা যে কোন বিদেশী সাংবাদিককে স্বাধীনতার ঘোষণার কথা জানাতে পারতেন। তাহলে মূহর্তের মধ্যে সেটি সারা পৃথিবীতে প্রচার পেয়ে যেতো। বেশ পরে স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়ে আরেকটি তথ্য প্রকাশ পায়। এতে বলা হয় যে বঙ্গবন্ধু টেলিগ্রামের মাধ্যমে কাউকে কাউকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠিয়েছিলেন। সেই ঘোষণার একটি কপি কিছুদিন আগে পত্রিকায় ছাপানো হয়। এই ঘোষণায় পাওয়া বিবৃতি আগের ঘোষণা থেকে পৃথক। ঘোষণা সংবলিত টেলিগ্রামটি হাতে লেখা এবং প্রাপকের স্ত্রী দাবি করেছেন যে এটি বঙ্গবন্ধুর নিজের হাতে লেখা। মিথ্যা প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতায় সাধারণ বিবেচনা ও জ্ঞানও রহিত হয়ে যায়। টেলিগ্রাম যে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে পাঠানো হয় এবং এখানে প্রেরকের হাতের লেখা প্রাপকের কাছে যায় না, তা তারা ভুলে যান।
১১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১০
মুদ্দাকির বলেছেন:
বংলাদেশ জিন্দাবাদ
ংলাদেশী জাতিয়তাবাদ জিনাদাবাদ
জিয়া জিন্দাবাদ !
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
বাঙালী জাতীয়তাবাদ ঐ সময়ে পাকিদের বিপরীতে আমরা বাঙালী এই কনসেপ্ট প্রযোজ্য হলেও স্বাধীনতার পরপরই তার বিষফল পেয়েছি পাবর্ত্য অঞ্চলে। বঙ্গবন্ধু যখন উপাজতীদের বাঙালী হয়ে যেতে বললেন- তখনই ফুসে উঠলো তারা!
বাংলাদেশী জাথীয়তাবাদে সকল সমস্যার সমাধান। বাংলাদেশে বসবাসকারী সকলেই বাংলাদেশী। হিন্দু, মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীষ্টান , চাকমা, মারমা সাওতাল সহ সকলেই।
দলীয় দৃষ্টিকোনে বৃত্তিবদ্ধ না হরে আওয়ামীলীগেরও উচিত সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে জাতীয়তাবাদের মৌলিক সংগাকে মেনে নেয়া।
দুই দলে এই মৌলিক ইস্যুগড়ুলোতে ঐক্যমত্য হলে জাতি হিসাবে আমরা অনেক অনেক এগিয়ে যেতে পারতাম।
কিন্তু আমরাও যেন হুটু-টুটসিদের মতো দল-গোত্র বিভাজনে বিভাজিত।!!!!!!! দুইজন যেন দুই মেরুর বাসিন্দা!!!!!!!!
১২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯
াহো বলেছেন:
প্রথম আলো তারিখ: ২৪-০৩-২০১৩
এই ওয়্যারলেসের মাধ্যমে সারা দেশে
ঢাকা শহরে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রথম এই ওয়্যারলেসের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন পুলিশ লাইনের বেতার অপারেটর কনস্টেবল শাহজাহান মিয়া
Bottom line --ওয়্যারলেস চালু ছিল ২৫ -০৩-১৯৭১ রাতে
Click This Link
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ বিষয় নিয়ে একে খন্দকার বলেন,
"প্রায় এক বছর পর আরেকটা কথা প্রচার করা হয় যে, ধবংসযজ্ঞ শুরু হওয়ার ঠিক আগে শেখ সাহেব ইপিআরের বেতারযন্ত্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরীর কাছে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠিয়েছিলেন। এই তথ্যটি মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়। প্রথমত, সামরিক বাহিনীতে থাকার ফলে আমি জানি যে, সিগন্যাল সেন্টার বা বার্তাকেন্দ্র সব সময় অত্যন্ত বিশ্বাসী লোক দ্বারা পরিচালনা করা হয়। সিগন্যালই কোনও বাহিনীর প্রতিরক্ষা ও আক্রমণের মূল যোগাযোগমাধ্যম। সেখানে তো বিশ্বাসীদের বাদ দিয়ে সন্দেহের পাত্র বাঙালিদের হাতে সিগন্যাল ব্যবস্থা থাকতে পারে না। বাস্তবেও পাকিস্তানি বাহিনী আগে থেকেই পিলখানায় ইপিআরের বেতারকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছিল। তার চেয়েও বড় প্রশ্ন, বঙ্গবন্ধু যার মারফত এই ঘোষণা ইপিআরের বার্তাকেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন, সেই ব্যক্তি স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও জনসমক্ষে এলেন না কেন বঙ্গবন্ধুও তার জীবদ্দশায় কখনও সেই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি কেন একই ভাবে চট্টগ্রামের ইপিআর বেতার কেন্দ্র থেকে কে, কিভাবে জহুর আহমেদকে বার্তাটি পাঠালেন, তা রহস্যাবৃতই থেকে গেছে। কাজেই ইপিআরের বার্তাকেন্দ্র ব্যবহার করে শেখ সাহেব স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠিয়েছিলেন- এটা সম্ভবত বাস্তব নয় "
আক্রান্ত হবার খবর পাঠানো আর স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠানো কিন্তু ভিন্ন জিনিষ!!!
১৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০০
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আচ্ছা এই একটা বিষয় নিয়ে এত প্যাচালের দরকারটা কী?
ঘোষনা যেই দিক, অথবা কেউ না দিক তাতে কি আমাদের
স্বাধীনতা মিথ্যা হয়ে যাবে?
অর্থবিত্ত বা ক্ষমতার জোরে চাপিয়ে দেয়া ইতিহাস কখনই
চিরস্থায়ী হয় না। ইংরেজরা দুইশ বছর মীর জাফরকে
মহানায়ক হিসেবে প্রচার করেছে, তাতে কী মীর জাফরের
বেইমানীর ইতিহাস মুছে দেয়া সম্ভব হয়েছে?
সুতরাং বিষয়টা নিয়ে অতি বাড়াবাড়ি বন্ধ করে
ইতিহাসের হাতে ছেড়ে দিন। একশ বছর পর এই
আবেগ উচ্ছাস শেষে ইতিহাসে সেটাই উজ্জল হয়ে
থাকবে যা সত্য। আমরা কি এতটুকু ধৈর্যও দেখাতে পারি না?
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: না ভাই কচলানোর কিছু না।
অবশ্যই ইতিহাসের কষ্টিপাথরেই সত্যাসত্য টিকে থাকে।
জাষ্ট একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এই বিয়ষে একটি বই লিখেছেন তার মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।
সেই খবরটা নিশ্চয়ই শেয়ার করার মতো।! নাকি বলেন?
আর বইয়ের বিশেষ অংশতো বি্য়েই আছে- তাও শেয়ার করা নিশ্চয়ই কচলানো নয়
নিশ্চয়ই আমরা ধের্যশীল। নইলে কবে হুটু টুসিদের মতো নিজেরা নিজেরা গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে দিতাম! কিন্তু দেখূন হাজারো কথাকাটাকাটির পরও আবারা ভাই ভাই হয়ে কি সুন্দর সোনার বাংলায় বেঁচে আছি।
১৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: পরিস্হিতি খারাপ, কিছুই বলা যাবেনা, গুম টুম হতে পারেন।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাই... ভুই পাইছি!!!!!!!!!!!!
আমিতো কিছূ কই না। যা কইছে খন্দকার সাবে !!!
১৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: স্বাধীনতার ঘোষণার ব্যাপারটা পরিষ্কার হলো। বীর উত্তম এ কে খন্দকারকে সশ্রদ্ধ সালাম, বিষয়টা নিয়ে নির্মোহ ভাবে সত্য কথা গুলো বলবার জন্য।
আরেকটা বিষয় আবারো নতুন করে আনুভব করলাম - মুক্তিযুদ্ধটা আমলীগ বা মেজর জিয়ারও নয় - এটা সেই সময়ের আপামর সাধারণ মানুষের অপরিসীম ত্যাগের ফসল।
১৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সবচে বড় সত্যটা আপনি বলেছেন....................
"আরেকটা বিষয় আবারো নতুন করে আনুভব করলাম - মুক্তিযুদ্ধটা আমলীগ বা মেজর জিয়ারও নয় - এটা সেই সময়ের আপামর সাধারণ মানুষের অপরিসীম ত্যাগের ফসল। "
++++++++++++
১৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৬
জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: আপনারা কি সামুতে থাকা নিচের পোস্টগুলো পড়েন নাকি একটু পড়ার পরই সমস্যা হতে পারে দেখে এড়িয়ে যান
@লেখক: @শ্রাবণধারা
Click This Link
আর একেখন্দকার টাইপ কেউ একজন বলল তাই আওয়ামী বিরোধীতা করা যাবে এই সুযোগ ভেবে লাফিয়ে পড়েন। নাকি উল্টো যে লিংক দিলাম তা দেখে একটা কমেন্ট দিয়ে কোনমতে পরিস্হিতি মোকাবিলা করেন।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সমস্যাটা ঠিক এখানেই।
আপনারা ভিন্নমত হলেই সবাইকে আন্ডার এস্টিমে্ট করেন। এবং সমস্যার মূল ফোকাস থেকে ভিন্ন ট্র্যকে নিয়ে যান।
আপনার লিংকের উপর আপনার অনেক আস্থা।
আর একে খন্দকারকে চেনেন না। ????!!! জিয়াউর রহমান হয়ে যায় অখ্যাত মেজর!!!!
বইয়ের লেখক মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশ বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এ কে খন্দকার (বীর উত্তম) , বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান ও আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক মন্ত্রী ..
তা জনাব উনি যখন আপনার কাছে এলেবেল খন্দকার টাইপ কেউ একজন.. তবে আপনি নিশ্চয়ই তারচে বড় হস্তি!!! রথি মহারথি!!!!
তো দয়া করে আপনার পরিচয় এবং সত্যাসত্য দিয়ে জাতিকে ধন্য করুন।
তখন নিশ্চয়ই আমরাও সমস্বরে বলতে পারব- কোথাকার কে কি বলছে টাইপ কথা!!!!!!!!!!!!!!!!!!
বেশ গেলূম আপনার লিংকে..
প্রথম ভিডিও ইন্টাভিউটাই ধরুন...
সকালে বিদেশী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে:
WHAT DAMN ARMY CAN DO?
NOBODY CAN STOP IT" - "AUTONOMY - OOO DEFINITELY" - "I WANT MY RIGHT, I WANT MY EMANCIPATION" - "WHOCAN DO ANYTHING WHEN 75 MIL PEOPLE ARE UNITED BEHIND US" - "WHAT DAMN ARMY CAN DO? - WE DONT CARE FOR THEM"
কি বলা হয়েছে? অটোনমি... নট ইন্ডিপেন্ডন্ট!
তাই দলীয় বৃত্তের বাইরে দেশের ভাবনা বৃহত্তর কল্যান মাথায় রেখে তাকান দেখবেন কত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিষ সহজেই এভোয়েড করা যায়!
যত উপরে উঠবেন- ক্ষুদ্রতা হারিয়ে যেমন বিরাট ক্যানভাসে একট সত্য চিত্র ফুটে ওঠে... তেমনি
দলীয় বৃত্ত থেকে না বেরুল দ্বী-দলীয় ইতিহাসের আমাদের আটকে থাকতে হবে।
১৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৯
জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: আমাকে ব্যক্তি আক্রমণ করা ছাড়া যা দিলাম পুরোটা আগাগোড়া বিশ্লেষণ করতে পারবেন?আপনি ইতিহাস বিষয়ে সচেতন বলেই আপনারে কইলাম...
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: না ভাই ব্যাক্তি আক্রমন করবো কোন দু:খে!!!!
আপনার সাথৈ তো আমারা কোন কালের বৈরিতা নেই! না জমি নিয়ে না প্রিয়তমা নিয়ে
আপনি যে "ভার" ভরে বলেছেন তারই সাধারন আমজনতার সাধারন জিজ্ঞাসায় বলা ........
আপনিও একজন ইতিহাস সচেতন, বরং আমার চে বেশী.. তাই আসুননা সত্যকে সত্যের মতো তুলে ধরি .. কাইকে দেবতা কাউকে ম্লেষ বানানোর মানসিকতা বাদ দিয়ে।
আর আমরা যদি নাও করি- কালের ঘড়ি ঠিকই তার কাজ করে যাবে- হযতো আমরা দেখতে পাবনা-এই যা....
ভাল থাকুন।
১৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৩
গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: ক্ষমতার জোরে সত্যকে চেপে রাখা যায়না তা এ কে খন্দকার সাহেব প্রমান করলেন।
সত্যকে সকলেরই মেনে নেয়া উচিত। আর জাতিকে সত্য জানার সুযোগ দেওয়া উচিত।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
তাদের প্রতিক্রিয়াই বলছে খন্দকার সাহেব মৌছাকে ঢিল দিয়েছেন!!!
কলকাতাকেন্দ্রীক নয় মাস অনুপস্থিত চেতনাধঅলীরা অবশ্য সেরকম কোরাস তুলেছে... তলুবে নাইবা কেন? অস্তিত্বের প্রশ্ন জড়িত যে!!!
তবে- কালের বিচার বড় কঠিন!!!!
আগুনে লোহার বর্জ্য যেমর গলে যায়- ইতিহাসে কালের কষ্টি তেমনি মিথ্যাকে ধূয়ে ফেলে- টিকে থাকে শুধু সত্য।
২০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
ইসপাত কঠিন বলেছেন: শেখ মফিজ বলেছেন: সে হিসাবে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা জিয়া সাহের ও দেননি ।
তিনি ঘোষণা দেবার আগে একই ঘোষণা পত্র হান্নান সাহেব ও অন্য ব্যক্তিরা পাঠ করেন । তবে এটা ঠিক মেজর জিয়ার ঘোষণাটি তাঁদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্দীপ্ত করেছিল। সেখানে মেজর জিয়ার সাথে মেজর মজুমদার বলেও একজন ছিলেন । যে সব রাজনিতীবিদ সেদিন মেজর জিয়াকে যোগাড় করেছিলেন নেপথ্যের কুশিলব তারাই ।
মেজর জিয়ার সেদিন আরেকটি ভূল ছিল, তা হচ্ছে জনগণকে তাদের অস্ত্র নিয়ে লালদিঘীর ময়দানে একটি নিদ্দিষ্ট সময়ে সমবেত হতে বলেছিলেন ।পরে একজন ( সম্ভবত জনাব এ,কে খান) এই বলে তার নজরে আনেন যে সমাবেশ হলে সমাবেশের উপর বিমান হামলা হবে ।
আসল কথা সেদিন সবাই ছিল স্বাধীনতা মূখী, সেদিন দলবাজী কিছু ছিল না ।শেখ মুজিব পুরো জাতিকে স্বাধীনতার জন্য তৈরী করেছিলেন । দিন সবাই চেয়েছে যে যেভাবে পারে এ যুদ্ধে অংশ নিতে ।সেদিনের সব লোকের চেষ্টায় আমরা একটা দেশ পেয়েছি ।
স্বাধীনতার কূশিলবদের চরিত্রহননের চেষ্টা নিত্যান্তই হীনমন্যতা ।
সেই উত্তাল দিনগুলোতে আমি চট্টগ্রামের পাচঁ লাইশে থাকতাম
এবার আমার কথা বলি।
শেখ মফিজ, এমনিতেই ইতিহাস নিয়ে মানুষ চাপে আছে। এর মধ্যে আবার নতুন ইতিহাস তৈরী করবেন না দয়া করে।
আপনি মেজর মজুমদারের কথা বলেছেন। সেই সময়ে কোন মেজর মজুমদার চট্টগ্রামে ছিলেন না। একজন লেঃ কর্ণেল (অথবা ব্রিগেডিয়ার) মজুমদার ছিলেন (ব্রিগেডিয়ার পদবীতে অবসরে গিয়েছেন) যিনি ছিলেন ইস্ট বেংগল রেজিমেন্টাল সেন্টারের কমান্ড্যান্ট যে নিযুক্তিকে পাপা টাইগার নামে প্রচলিতভাবে ডাকা হয়। পাকবাহিনী চট্টগ্রামে তাদের গণহত্যা শুরুর পূর্বে প্রথম কাজ হিসাবে তাকে তার নিযুক্তি থেকে সরিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরবর্তীতে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হয় যেখানে তিনি অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন। ঘটনাক্রমে তিনি আমার একজন সহপাঠীর আপন চাচা।
অতএব গল্প কট এ্যান্ড বোল্ড।
আপনার বলা তৎকালীন মেজর জিয়ার ঘোষনা/ঘোষণাপাঠের একটা ভুল বলে আপনি যেটাকে অভিহিত করেছেন সেটা হলো জনগণকে তাদের অস্ত্র নিয়ে একটা নির্দিষ্ট সময়ে লালদীঘির ময়দানে জড় হতে বলা। আমি এই কথাটা কোনকালেই শুনিনি। তবে বিশ্বাস করে ফেলতাম, যদি না আপনি তথাকথিত মেজর মজুমদারের গল্পটা না বলতেন। আমি বিশ্বাস করি যে মানুষ একটা মিথ্যা বা ভুল তথ্য বলতে পারে, সে ১০টা মিথ্যা বা ভুল তথ্য বলতে পারে। আর তৎকালীন মেজর জিয়া কেন জনগণকে নির্দিষ্ট সময়ে লালদীঘির ময়দানে জড় হতে বলবেন? সম্ভাব্য ২টা কারন থাকতে পারে।
এক- যাতে তিনি সেখানে গিয়ে জনবল রিক্রট করতে পারেন। এবার আমি নিজেকে ঐ জায়গায় কল্পনা করি। আমি এতবড় গাধা না যে আমি ভাববো আমি যে আমার এতবড় সৈন্যবাহিনী নিয়ে কর্ণফুলীর ওপারে চলে গিয়েছি তা আমার প্রতিপক্ষ জানবে না। অতএব, ফেরার রাস্তা সমূহে শত্রু অপেক্ষায় থাকবে। আর যদি আমি রিক্রুটিং এর জন্য নির্দিষ্ট টাইম ও ভেন্যু দিয়ে দেই, তাহলে আমি শত্রুকে জানাচ্ছি যে আমি সেখানে যাচ্ছি এবং তোমরা আমাকে মেরে ফেল।
দুই- তিনি হয়ত পাকবাহিনীর হয়ে চাইছিলেন যে চট্টগ্রামের যোদ্ধারা অংকুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। এটা অবশ্য ২ টাকার পত্রিকা আমাদের সময়ে জনাব সৈয়দ বোরহান কবীরের দাবী করা তথাকথিত কর্ণেল বেগের চিঠির ঘটনার মতই অনেকের আনন্দের বিষয় হবে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ ইস্পাত কঠিন।
.............অতএব গল্প কট এ্যান্ড বোল্ড।
ইস্পাত কঠিন স্বাক্ষ্য দিয়ে মিথ্যাকে মিথ্যা প্রমাণ করায়।
আমাদের সত্য ইতিহাসই আমাদের জাতিগত ভাবে এগিয়ে যাবার পথে প্রাণ। কারণ মিথ্যা দিয়ে, চলনা দিয়ে, চেতনার ভ্যবসা দিয়ে কতিপয়ের কিছূ সময়ের জণ্য শাসণ, শোষন ক্ষমতার পথ হয়তো পরিস্কার হয়- কিন্তু জাতিগত ভাবে পিছিয়ে পড়তে হয়- যেমন এখনো আমরা পড়ে আছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০০
হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: উনি স্বাধীনতা ঘোষনা দিলে আপনি যুদ্ধে যেতেন? সাট-আপ!