নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা কি আসলেই অনুভূতি হীন হয়ে যাচ্ছি!!!
কিংবা সেই গল্পের মতো- আরে ওরে মারছে মারুক- আমার কি?
দিনে দিনে যখন একদিন নিজের উপর আসবে-দু:সময়, কেবল তখনই কি আমরা জাগব???
তখন যদি পাশের জন বলে আমার কি? এই চক্র না ভাংগলে কারোরই মুক্তি নেই....সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে
শুধু কথায় নয়- বাস্তবেই হৃদয়ে জাগুক এই বোধ।..
গুম হওয়া পরিবারের কষ্ট অনুভব, পিতৃহীন সন্তানদের আজীবন যন্ত্রনা......
হলঘরের মাঝামাঝি সিঁড়িতে বসেছিল ছোট্ট রায়তা। হাতে পিতার ছবি। কিছুটা ভাবলেশহীন। কিছুক্ষণ আগেও যে সে কাঁদছিল, মুখ দেখে তা বোঝা যাচ্ছিল। চোখ দু’টো কিছুটা লাল। গালে শুকিয়ে যাওয়া অশ্রুর চিহ্ন। পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া এ মেয়েটির পিতা সাজেদুল ইসলাম সুমন নয় মাস আগে গুম হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে শাহীনবাগের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকে আর খোঁজ নেই তার। রায়তার এখন প্রতিটি দিন কাটে অপেক্ষা আর কান্নায়। তার বিশ্বাস, বাবা একদিন ফিরে আসবে। সে আল্লাহর কাছে প্রতিদিন প্রার্থনা করে। বলে, আমার বাবাকে ফিরিয়ে দাও। আমি যেন আমার বাবাকে নিজের চোখে দেখতে পাই।
রায়তার মতো ছোট্ট আরিয়ানের হাতেও পিতার ছবি। যে সময়টিতে তার দুষ্টুমি আর দুরন্তপনায় মেতে ওঠার কথা, সে-ও বসে আছে নিশ্চুপ। চোখে-মুখে বিষণ্নতার ছাপ। বয়সে ছোট্টটি হলেও সে জানে তার পিতার কিছু একটা হয়েছে। মায়ের কান্না দেখে কাঁদছিল সে-ও। গত বছরের ২৮শে নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে তার পিতা খালেদ হাসান সোহেল নিখোঁজ হয়েছেন। ‘প্রশাসনের লোক’ পরিচয় দিয়ে পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে তাকেও একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারও ফেরা হয়নি আর। পিতার কথা জানতে চাইতেই ছোট্ট আরিয়ান বলে, ‘আমার বাবাকে পুলিশ আর র্যাব ধরে নিয়ে গেছে। তোমরা আমার বাবাকে এনে দাও।’ মা শাম্মি সুলতানা বলছিলেন, আমার ছেলে সব সময় তার বাবাকে কাছে পেতে চায়। ‘বাবা বাবা’ বলে বাসায় চিৎকার করে ডাকে। প্রশ্ন করে- বাবা আসবে কবে? আমি তার কোন উত্তর দিতে পারি না। আমরা প্রত্যেকটি সকালের জন্য অপেক্ষায় থাকি। আশায় থাকি এই বুঝি আমার ছেলের পিতা ফিরে এলো। কিন্তু আমাদের প্রতীক্ষার প্রহর আর শেষ হয় না। শাম্মি বলেন, তার স্বামী সোহেল সূত্রাপুরের ৭৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। গত ২৮শে নভেম্বর তারা ছয় বন্ধু মিলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে গিয়েছিল। এলাকার অনেককেই পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে, তাদের খোঁজ নিতে গিয়েছিল সে। কিন্তু ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে ‘প্রশাসনের লোক’ পরিচয়ে তাদের পাঁচজনকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আমরা একাত্তর দেখিনি। কিন্তু একাত্তরের মতোই কেন আমাকে স্বামীর জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে? কেন আমার সন্তানকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে? আমার স্বামীকে আপনারা ফিরিয়ে দিন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে গুম আর ক্রসফায়ারে মারা যাওয়া এমন ৯৭টি পরিবার গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটরিয়ামে একত্র হয়েছিল। আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস-২০১৪ উপলক্ষে ‘স্বজনদের ব্যথা- গুম, খুন ও নির্যাতন আর না’ শিরোনামে একটি সম্মেলনের আয়োজন করে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি। সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম-খুনের শিকার হওয়া ৯৭টি পরিবারের মধ্যে ২২টি পরিবারের সদস্যরা নিজেদের করুণ কাহিনী তুলে ধরেন।
গত বছরের ২৭শে নভেম্বর রাতে কুমিল্লা থেকে গুম হওয়া সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম হীরুর মেয়ে মাশরুফা ইসলাম বলেন, ‘আমার আব্বু ফ্রিডম ফাইটার ছিল। উনি কি দেশ স্বাধীন করেছে এই জন্য যে, এই দেশে তাকে গুম করা হবে। নয় মাস ধরে আমরা বাবাহারা হয়ে আছি। আমার বাবা হার্ট ও ডায়াবেটিসের রোগী। জানি না তার এখন কি অবস্থা। আমার আব্বুকে মেরে ফেলছে কিনা তাও জানি না। কেস করেছি তারও কোন আপডেট নাই।’ মাশরুফা বলেন, ‘বাবা যেখানেই থাকতো প্রতিদিন হয় আমাকে ফোন দিতো অথবা আমি বাবাকে ফোন দিতাম। নয় মাস ৪ দিন হলো আমাকে কেউ ফোন দেয় না। বলে না, মা তুমি কি করছো?’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো তার পিতাকে হারিয়েছেন, স্বজন হারিয়েছেন। তিনি স্বজন হারানোর বেদনা বোঝেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি জানাই আমার বাবাকে যেন ফিরিয়ে দেয়া হয়।’ বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
মাশরুফার পিতা সাইফুল ইসলাম হীরুর সঙ্গে গুম হয়েছেন হুমায়ূন কবীর পারভেজ। তার স্ত্রী শাহনাজ আক্তার বলেন, আমি আমার ছেলেমেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেছি। ঈদের সময় আমার মেয়ে বলেছে, আমার তো বাবা নেই, আমি একটার বেশি জামা নেবো না। এ কথা শুনে আমি হু হু করে কেঁদেছি।
শাহনাজ বলেন, আমার স্বামীর কিছু লোন ছিল আমরা তা শোধ করতে পারছি না। স্বামীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা ছিল তা-ও তুলতে পারছি না। তার স্বাক্ষর ছাড়া ব্যাংক টাকা দেয় না। এখন তাহলে আমরা কোথায় যাবো? কিভাবে বাঁচবো? তিনি বলেন, ‘নয় মাস ধরে কাঁদছি। এখন আমাদের কান্নাও হারিয়ে গেছে। কাঁদতে কাঁদতে চোখের জল শুকিয়ে গেছে। এখন আর কাঁদতেও পারি না।’
শাহনাজ বলেন, ‘তবু আমি বিশ্বাস করি, আমার স্বামী বেঁচে আছে। সে র্যাবের কাছেই আছে। আমার তিন ছেলেমেয়ে এতিম করবেন না।’ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘উনিও (প্রধানমন্ত্রী) তো আমাদের মতো স্বজনহারা। উনি কি আমাদের মতো স্বজনহারাদের কান্না শুনতে পান না?’
প্রায় সাড়ে চার বছর আগে গুম হওয়া বিএনপি নেতা ও ওয়ার্ড কমিশনার চৌধুরী আলমের মেয়ে মাসুদা আক্তার বলেন, একটা মানুষ মরে যাওয়া স্বাভাবিক। খুন হলেও তার লাশ পাওয়া যায়। কিন্তু বাবাকে সাড়ে চার বছর ধরে গুম করে রাখা হয়েছে। আমার বাবাকে আমি ফেরত চাই।’ তিনি বলেন, বাবা ছাড়া আমরা কেমন আছি, কেউ খোঁজ নেয় না আমাদের।
এই দেশ কি এভাবেই চলতে থাকবে? প্রশ্ন করেন তিনি।
ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া ফেরার সময় গুম হওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আল মুকাদ্দেসের পিতা মাওলানা আবদুল হামিদ বলেন, ৩০ মাস ধরে ছেলের জন্য অপেক্ষা করে আছি। কিন্তু ছেলে ফিরে আসে না। আমার স্ত্রী মাঝে মধ্যে স্বপ্ন দেখে- মুকাদ্দেস বাড়িতে এসেছে। সে কান্নাকাটি করে। ছেলের বন্ধুরা আসে। আড়াই বছরের প্রতিটা দিন আমাদের চোখের জল ফেলে কাটাতে হয়েছে।’
গুম হওয়া বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন সানজিদা ইসলাম বলেন, আমার ভাইয়ের একটাই দোষ ছিল সে বিএনপি করতো। সে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ছিল। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে র্যাবের লোক র্যাব-১ লেখা গাড়িতে তাকেসহ ৬ জনকে সবার সামনে তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু পরদিনই র্যাব তা অস্বীকার করে। সানজিদা বলেন, ‘র্যাব যদি তাদের না-ই তুলে নিয়ে যায় তাহলে তারা খুঁজে বের করে দেয় না কেন? র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমাদের ট্যাক্সের টাকায় চলে। তাহলে আমাদের ভাইকে খুঁজে বের করবে না কেন?’
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি গুম হওয়া সবাইকে তাদের স্বজনদের কাছে জীবিত ফেরত দিতে হবে।’ সুমনের সঙ্গে গুম হওয়া কাউসারের স্ত্রী মিনু বলেন, ‘আমার স্বামী ড্রাইভারি করতো। সুমন ভাইয়ের কর্মী ছিল। তাকেও ধরে নিয়ে গেছে র্যাব। একটা সন্তান নিয়ে আমি কষ্টে বেঁচে আছি। আমার দেখার কেউ নেই। বাবা-মায়ের সঙ্গে কখনও গ্রামের বাড়ি বরিশালে থাকি। কখনও ঢাকায় ভাইয়ের বাসায় থাকি। আমার মেয়ে মীমের এখন কি হবে?’ কোলের মেয়েকে দেখিয়ে মিনু বলেন, ‘ছোট্ট মেয়েটা শুধু বাবার কাছে যেতে চায়। বাবার কথা মনে করে নিজে নিজেই নামাজের পাটি বিছিয়ে হাত তুলে আল্লাহর কাছে বাবাকে ফেরত চায়।’
মিনুর কোলে থাকা শিশু মীমকে বাবার কথা জিজ্ঞাসা করলে বলে, ‘আমার বাবাকে র্যাব ধরে নিয়ে গেছে। আমার আব্বু আসবে।’ একই সময়ে নাখালপাড়া থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া আদনানের বাবা রুহুল আমীন মাস্টার বলেন, ‘রাতে যখন র্যাব পরিচয়ে লোকজন আমার বাসায় ঢুকে আমি তখন নিজের হাতে ছেলেকে র্যাবের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। কারণ র্যাবের প্রতি আমার আস্থা ছিল। কিন্তু পরদিন র্যাব, থানা, ডিবি যেখানেই গিয়েছি সবাই তাকে গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করেছে। এমনকি থানা পুলিশ আমাদের জিডি পর্যন্ত নিতে চায়নি।
‘তিনি বলেন, ‘দেশটা কি মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। আমরা কি মগের মুল্লুকে বাস করি?’ তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় একটি শিশুর নিখোঁজ সংবাদ দেখে সেই শিশুকে যদি উদ্ধার করতে পারে তাহলে র্যাব যাদের নিয়ে গেছে তাদের উদ্ধার করতে পারে না কেন?’ তিনি ছেলেকে দ্রুত ফেরত দেয়ার দাবি জানান।
কুমিল্লার বাসা থেকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নেয়া ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী রকিবুল হাসান শাওনের পিতা মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল মতিন বলেন, ‘প্রতিপক্ষের কাছ থেকে টাকা খেয়ে র্যাব আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে গুম করেছে। ছেলে অন্যায় করলে তার ১০০ বছর জেল দেন আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু এমনভাবে গুম করে ফেললেন যে লাশটাও দেখার সৌভাগ্য আমাদের হলো না।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো স্বজন হারানোর কষ্ট বোঝেন। তাহলে এভাবে যারা গুম-হত্যা করছে তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না?’
খেতাবপ্রাপ্ত এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘জয় ও সায়মা হোসেনকে যদি এভাবেই গুম করা হতো তবে প্রধানমন্ত্রী মা হিসেবে কি বলতেন?’ ২০১১ সালে নয়া পল্টন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সাবে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শামীমের স্ত্রী ঝর্ণা খানম বলেন, রাজনীতি করার জন্যই তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। তার থানায় জিডি করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছি। আমার সন্তানের বয়স এখন দশ বছর। ছেলে জানতে চায় তার বাবাকে মেরে ফেলেছে কিনা? আমি কিছু জবাব দিতে পারি না।
তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনায় রাষ্ট্রের দায়। রাষ্ট্র কর্তৃক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। প্রতিটি পরিবারের একই দৃশ্য। মা সন্তানের জন্য, স্ত্রী স্বামীর জন্য, বোন ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। তারা জানতে পারছে না তাদের স্বজনদের ভাগ্যে আসলে কি হয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের অন্যতম আইনজীবী চন্দন সরকারের ভাইয়ের ছেলে অমিতাভ সরকার বলেন, আমার কাকা চন্দন সরকারের কোন শত্রু ছিল না। তিনি ফৌজদারি মামলাও পরিচালনা করতেন না। তিনি বাসায় কবিতা লিখতেন, বাঁশি বাজাতেন। তিনি ছিলেন অন্য জগতের মানুষ। অথচ তাকেই মরতে হলো র্যাবের হাতে।
তিনি বলেন, র্যাব ১১-এর সিও তারেক সাঈদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল। কিন্তু মন্ত্রীর জামাই বলে তাকে কিছু বলা হতো না। ঘটনার পর আমরা যখন র্যাব অফিসে গিয়েছিলাম তিনি আমাদের সঙ্গে উদ্ধত আচরণ করেন। এ বিচার চাইতে গিয়ে আমরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছি।
যে র্যাব আমাদের ট্যাক্সের টাকায় চলে সেই র্যাব যদি এরকম করে তাহলে আমরা কোথায় যাবো? তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, আর যেন কোন লোকের এমন পরিণতি না হয়।’ কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের দিন সূত্রাপুর থানা ছাত্রদলের সভাপতি সেলিম রেজা পিন্টুকে পল্লবীর এক বাসা থেকে ধরে নিয়ে প্রশাসনের লোক। তার ভাই ইসলাম রেজা ফেকু বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে তাকে ধরে নিয়ে গেছে। এটা কোন আইন হলো? বিরোধী রাজনীতি করলেই তাকে ধরে গুম করতে হবে?’ তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পারছি না আমাদের ভাই বেঁচে আছে না তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। বছর দুয়েক আগে পিন্টু বিয়ে করেছিল। তার স্ত্রী নুহাশ এখনও প্রতীক্ষায় আছে তার স্বামী ফিরে আসবে। তিনি গুমের শিকার হওয়া সবাইকে ফেরত দেয়ার আহ্বান জানান।
সূত্র: দৈনিক মানব জমিন
Click This Link
৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এটা কোন দলের বা পক্ষের নয়।
এটা বাংলাদেশের বর্তমান চালচিত্র। বাস্তবতা। যার ভুক্তভোগী আমজনতা।
সামু যদি কোন দিন কেবলই বিশেষ ক্ষমতাসীনের প্লাটফর্ম হিসাবে নিজেরে ঘোষনা দেয়-তখন আমজনতার কোন লেখা বা আমজনতারা সামুতে আসবে না।
মুক্ত মত দমনে সরকারতো এমনিতেই বহু কালাকানুন করেছে- শেষ টুকু কি এইরকম দলকানা দিয়ে ব্লগেও খুচাখুঁচি!!!!!
স্বার্থান্বেষীরা সবকিছূতেই মেনিপুলেশন দেখতে পায়! কারণ সত্যকে ওরা তেমনি ভয় পায়- যেমন বাদুর পায় সূর্যকে।
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫০
টাবলীগহেপী বলেছেন: খুচাখুঁচি!!!!! এর কিছু নেই- এটা Hightech এর ব্যাপার, আমি নিজেও সামুর পক্ষের। ভুক্তভোগী আমি নিজেও !!!
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জানলাম।
৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ৪৯ বার পঠিত ! মন্তব্য মাত্র একজনের!!!!!!!!!!!!!!!!!??????????
বাকী সবাই কি গুম খুনের ভয়ে ভীত!!!!!???????????????
নাকি একমত?
নাকি নিউটনের তৃতীয় সূত্রের অপেক্ষায়........................
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভয়ে যতই লুকাবে কোনায়
ততই ভয় ধরবে ঝেকে
ঝেড়ে কেশ উঠৌ দাড়িয়ে
ভয় পালাবে অচিন দেশৈ!!
তোমার মাঝেই তুমি যেজন
তারে জাগাও জাগবে জীবন
..........
আজকে অন্যের দূ:খে যারা নির্বিকার
কাল তার দু:খে পৃথিবী রবে নির্বিকার!!
৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৩
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
“বিষ যখন আজ উঠল শেষে তখন কারুর পাইনে দিশা,
বিষের জ্বালায় বিশ্ব পুড়ে, স্বর্গে তাঁরা মেটান তৃষা!
শ্মাশন-শবের ছাইয়ের গাদায় আজকে রে তাই বেড়াই খুঁজে,
ভাঙন-দেব আজ ভাঙের নেশায় কোথায় আছে চক্ষু বুঁজে!”
- কাজী নজরুল ইসলাম
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
“বিষ যখন আজ উঠল শেষে তখন কারুর পাইনে দিশা,
বিষের জ্বালায় বিশ্ব পুড়ে, স্বর্গে তাঁরা মেটান তৃষা!
++++
৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৯
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: টাবলীগহেপী -কি কইতে চায়??
এই দেশে কারোই নিরাপত্তা নাই। মুক্তিযুদ্ধা হউক আর সাধারণ মানুষ হক
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তিনারা বুঝেও বেবুজ!!!! চেতনার পার্সিয়াল বড়ি গিলছেনতো তাই চোখে ঝাপসে দেখেন ! বুঝে আদ্ধেক বুঝেন.. এই আর কি!!!!!!!!!!!!
৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সবাই নিরাপদে থাকুক , শান্তিতে থাকুক।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রার্থনাতো সবারই এক।
কিন্তু ঘটছে যা তাতো ভিন্ন!!!!
এসবের সমাপ্তি ঘটুক।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৩
টাবলীগহেপী বলেছেন: সামহোয়্যার ইন ব্লগ কোনো দলের বা পক্ষের নয় - জানা
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৬ |
প্রায় ১০ বছরের কাছা কাছি হতে যাচ্ছে - ঢাকার সামুর ভেতর অন্য সুপার পাওয়ার এর সামুরা অনায়াষে Manipulation কাজ করে যাচ্ছে-
আর আমরা ওটা কল্পনাই করতে পারছি না!!!