নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘আমরা দেশ পাহারা দিই, আমাদের লাশ কাঁধে নিতে এত সমস্যা!’
নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) থেকে: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দুছড়ি ইউনিয়নের লেমুছড়ি গ্রামের দুছড়ি খালের কালুরঘাট পাড়। রোববার সকাল পৌনে ১০টার দিকে নৌকায় করে সেখানে আনা হয় মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) হাতে নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ। পঁচে, ফুলে ভারী হয়ে যাওয়া লাশটি পাড়ে তুলতে পারছিলেন না বিজিবি সদস্যরা। বাধ্য হয়ে তারা উপস্থিত সাধারণ লোকের সহযোগিতা চান। কিন্তু দুর্গন্ধের কারণে কেউই লাশটি তুলতে চাচ্ছিলেন না।
এসময় এক বিজিবি অফিসার লোকজনের উদ্দেশ্যে কাতর কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা দেশ পাহারা দিই, আমাদের লাশ কাঁধে নিতে আপনাদের এত সমস্যা!’ অপর এক বিজিবি সদস্য লাশ তোলার জন্য সবার কাছে গিয়ে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, একদিন সবাইকে মরতে হবে। এই জওয়ান দেশের জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন। আমাদের সহযোগিতা করুন।
এসময় দুছড়ি খালপাড়ের পরিবেশ কিছুটা ভারী হয়ে উঠে। পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ ভারী হয়, সহকর্মীর কাঁধেও যে সহকর্মীর লাশ ভারী হয় তার প্রমাণ দেখা গেলো দুছড়ি খালপাড়ে।
---
পঁচে, ফুলে ভারী হয়ে যাওয়া এ লাশ নয়- এ আমাদের নতজানু রাজনীতির লাশ! এ পঁচে যাওয়া লাশ বিজিবির নয়- এ পঁচে যাওয়া কথিত চেতনার!!!
৪ দিন ধরে একজন জওয়ান গায়েব- আর আমাদের কথিত ডিজ সাব এসি রুমে বসে সাহিত্যিক বর্ণনা যেন- রক্তের দাগ চলে গেছে মায়ানমার সীমান্তে...
আর ৪ দিন পর দেশরক্ষার অকুোতোভয় সৈনিককে যখন ফেরত পাওয়া গেল তখন তাদের সর্বোচ্চ হুমকি... জওয়াব চাওয়া হবে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
"সকালে দুছড়ি খালপাড়ে গিয়ে দেখা যায়, নিহত মিজানুরের পরনে এখনও বিজিবির পোশাক, পায়ে জুতা। লাশ ফুলে বিকৃত হয়ে গেছে। দুর্গন্ধ এড়াতে লাশের শরীরে বারবার ঢালা হচ্ছে কেরোসিন।"
হায় বীর! আমাদের ক্ষমা করো। তোমার মৃতদেহে আতর-লোবান দিতে পারেনি রাষ্ট্র! দিয়েছে কেরোসিন! একটি হেলিকপ্টার জোগার করতে পারেনি- এনেছে বিকল্প বাঁশের খাটিয়ায়...
অথচ ইতিহাস বলে এর আগে মিয়ানমার ৯১-৯৬এ শৌ-ডাউন করার পরই বাংলাদেশ যখন জঙ্গী বিমান সীমান্তে পাঠীয়ে দেয়.. সুরসুর করে তল্পি তল্পা গুটায় নাসাকা/বিজিপি গং!!!
আর আজ মেরে ৪ দিন পরে লাশ ফেরত দেবার পরও- শুধূ রাষ্ট্রদূতকে ঢেকে আলাপ!! আর বিজিবির ডিজি নাকি জওয়াব চাইবেন!!!!!!
এক সিনিয়র পার্সন আলাপ শুনে জানালেন- শহীদ বিজিবি’র সদস্য নায়েক মিজানের বাবাও নাকি একাত্তরের একজন অন্যতম শহিদ। যার লাশটিও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
দেশপ্রেমে আজ তার সন্তানও একই পথে চলে গেলেন।
আমাদের ক্ষমা করো হে শহীদ!
০১ লা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শুধূ কি বোর্ডে আক্ষেপে এ্ ছাড়া কিইবা বলার আছে বলুন।
জাতিগ পঙ্গুত্বের দোরগোড়ায় পৌছে যাচ্ছি মনে হচ্ছে!!!!!!!!!!!!!!
দু:খজনক
২| ০১ লা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬
কৃষিবিদ মোঃ শহীদুল আলম বলেছেন: নিহত এই নায়েক সুবেদারের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। Why only five lacs?????????????
০১ লা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঐ রাজনীতিবিদদের কাউরে মেরে এর দ্বিগুন, তিনগুন দেয়ার প্রস্তাবেও তারা রাজি কিনা জিজ্ঞেস করুন!!!
আমজনতা চান্দা তুলে মনে হয় কোটি কোটি টাকা দিতে রাজি!
৩| ০১ লা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গত দুমাসে সরকারি সিদ্ধান্তে নাইক্ষ্যংছড়ি, উখিয়া ও টেকনাফে ইয়াবা স্মাগলিং কঠোর হস্তে দমন করা হয় ও ৫টি অতিরিক্ত বিওপি স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়, এতে বার্মিজ বিজিপিদের আয় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, এরপর বিজিপি ও বার্মিজ স্মাগলাররা পাগলা কুকুর হয়ে যায়
ওরা হঠাৎ এরকম ক্ষিপ্ত হওয়ার অন্যতম একটি কারন।
নায়েক মিজানের হাতে ১২০ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি ভারি ম্যেসিনগান ছিল, দলে ভারি বিজিপির দল গুলি করতে এগিয়ে এলে অকুতভয় মিজান ম্যেসিনগানের একটানা গুলিবর্শন করে দলের ৩ জনকে প্রান বাচানোর সুযোগ করে দেয়।
০১ লা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
কিন্তু বলুন- আমাদের রাষ্ট্রীয় এমনমিউ মিউ প্রতিক্রিয়া কি ঠিক হচ্ছে?
তার অস্ত্রটাও ফেরত আনতে পারে নাই!
৪ দিন লাগল শুধু লাশটা আনতে!!
একজন দেশরক্ষার শহিদের জন্য রাষ্ট্রীয় এত দৈনতা কেন?????
এরকম দেখে শুনে জেনে আর কেউকি দেশের জণ্য জীবন দিতে রাজি থাকবে???
পিলখানার পর বিজিবিকে যে ঠুটো জগন্নাথ বানানো হয়েছে বলে বলে- তাই যে সত্য, ঘটনা পরিক্রমায় কি তা বলা যায় না!??
৪| ০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৩
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
নতজানু দুর্বল সরকার, আর নতজানু পররাষ্ট্র নীতি।
এইজন্যই আমাদের এই অবস্থা।
ভারতীয় সীমান্তে হত্যার পর আমাদের নির্লিপ্ততা ওদের উৎসাহিত করেছে।
বাপ-ছেলে দুইজনই শহীদ।
তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা ছাড়া আর কিছু করতে পারি না আমরা।
আমাদের ক্ষমা করো শহীদ
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেরীতে উত্তরের জন্য দু:খিত। ২ দিন ২ রাত জ্বরে বিছানায়!!!
আজ কোনরকমে চলতে পারছি।।
পূর্ণ সহমত আপাত ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর পথ কি?
৫| ০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ৮:২২
নুসরাতসুলতানা বলেছেন: ''নায়েক মিজানের হাতে ১২০ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি ভারি ম্যেসিনগান ছিল, দলে ভারি বিজিপির দল গুলি করতে এগিয়ে এলে অকুতভয় মিজান ম্যেসিনগানের একটানা গুলিবর্শন করে দলের ৩ জনকে প্রান বাচানোর সুযোগ করে দেয়। '' --------- এ তথ্যটি জানা ছিলনা। যিনি পোস্ট টি দিয়েছেন তাঁর প্রতি অনুরোধ আপনার পোস্ট এর পাঠকের এই মন্তব্যটি পোস্ট এর অংশ করে নেন ।
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
কিন্তু অনেকগুলো পত্রিকা ঘেটেও সমর্থন সূচক কিছূ পেলাম না। যিনি উল্লেখ করেছেন তিনি দয়া করে লিংকটা দিলে অবশ্যই এড করে দিব।
৬| ০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মিউ মিউ প্রতিক্রিয়া কি দেখলেন?
বার্মিজ এম্ব্যাসেডরকে ৩ দফা তলব করে ঝাড়ি দেয়ার পর লাশ ফেরত দিতে সম্মত হয়।
বার্মিজরা একটি অবরুদ্ধ মুক্ত মিডিয়া বিহীন জাতি, এদের সাথে অকারন হুঙ্কার দিয়ে উত্তেজনা বাড়িয়ে কোন লাভ হতনা, এতে আরো সৈন্যসমাবেশ ও গোলাগুলি বাড়ত।
স্মাগলারদের উৎপাতে যুদ্ধাবস্থা তৈরি করা বোকামি ছাড়া কিছু না।
যেকোন যুদ্ধই বিপুল ব্যায়বহুল। সংঘর্ষ প্রস্তুতিও সমান ব্যায়বহুল। বর্তমান যুগে কোন দেশ কোন দেশের অঞ্চল দখল করে নিতে পারে না। এখন আর সেই দিন নাই।
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হাসান ভাই এইটা কি কইলেন?????
আমার জ্বরের ঘোরই কাইটা গেল গা!!!!!
আপনার ছেলেরে আমি মাইরা ফেলছি! এখন আপনি আমার ম্যেনেজাররে ৩ বার ঢাইকা, ঝাড়ি দিয়া শূধূ লাশ ফেরত নিয়াই সন্তুষ্ঠ!!!!!!!
বুঝীনা আপনারা ক্ষনে শাহবাগেই বিশ্বযুদ্ধ ক।সেত্র বানায় ফেলেন। আবার যেখানে সত্যিকারের যুদ্ধাবস্ধা দাবী করে- সেখানে কতইনা বাহানা বানান!!! দেবানং না জানস্তি!!!!!!
৭| ০২ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
মামুন রশিদ বলেছেন: কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখানোর দরকার ছিল, যেন মিয়ানমার বাধ্য হয় ক্ষমা চাইতে ।
দেশের জন্য শহীদ নায়েক মিজানের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম ।
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই।
সত্যকে সত্য বলে বলার জন্য।
লাশের বদলে বলে- ভবিষ্যতে যেন আর না হয়--- হা হতোম্মি!! :ধরিত্রি দ্বিধঅ হও, ডুবে মরি!!!!!!
হাসান ভাইয়ের যযুক্তিগুলো দেখূন............এরাই নাকি স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করে!!!!???
মাঝে মাঝে বিস্মিত হয়ে যাই!!!
৮| ০২ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০৬
মুদ্দাকির বলেছেন: "আমাদের ক্ষমা করো হে শহীদ"
যারা লাশ তুলতে চানিনি তাদের স্বাস্তি হওয়া উচিৎ । একদিন ২৪ ঘন্টা ঢাকা মেডিক্যালের ডোম ঘরে থাকা !!!
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:১০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: "আমাদের ক্ষমা করো হে শহীদ"
যিনি দলীয় নেতাকর্মীদের বলতে পারেন তোমরা কি শঅড়িচূড়ি পড়ে থাকা?
১ টার বদলে ১০ টা লাশ চাই!!!
হায় আজ দেশৈর সীমান্ত রক্ষায় শহীদ বুঝী তার দলের কর্মী নয়। সে যে কেবলই দেশপ্রেমিক!
তাই ......আজ সব নপু!ষক!
৯| ০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ১২:৩২
মাহাদি হাসান বলেছেন: বুলেটের জবাব বুলিতে দিতে গেলে যা হয়, তাই হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় দেখলে রৌমারিতে যাদেরকে প্রতিরোধ করেছে আমাদের সাহসী সীমান্তরক্ষীরা তারা কিন্তু নিউক্লিয়ার পাওয়ারের অধিকারি, সামরিক শক্তির দিক থেকে শতগুন ক্ষমতার অধিকারি। কিন্তু বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীরা সাহসী বীরেরা কখনই নিজের ভুখন্ডের অখন্ডতার প্রশ্নে কোন নিউক্লিয়ার পাওয়ারের সাথে আলোচনার টেবিলে বসেনি। বুলেটের জবাব বুলেটে হয়েছে। যাই হোক অন্য বাংলাদেশ ছিল সেটা। এখনকার বাংলাদেশের তথাকথিত দেশপ্রেমিকেরা আলোচনায় রফাদফায় সিদ্ধান্ত নেবে। কি বলার আছে এদেরকে, দেশের আগে এদের মাথায় টাকার অংক আগে কাজ করে। ব্যয়বহুল হবার কারনে তো সীমান্তে কাঁটাতারে এদেশের "স্মাগলারদের" লাশ ঝুলে থাকে। এদের প্রিয় দলের সীমান্ত স্মাগলার এমপি বদির লাশ ঝুলে না। কৃষকের লাশ ঝুলে থাকে, লাশ ঝুলে থাকে কৃষকের ছেলে মিজানের। দেশরক্ষায় অনেক টাকার প্রয়োজন হবার কারনে আর রক্ষা করা যাচ্ছে না! কি বা আশা করবে শহুরে মধ্যবিত্তের কাছে ঝুলে থাকা "স্মাগলারটা"। ঠিক একই ভাষায় বিত্রসএফের প্রধান বাংলাদেশকে জানিয়েছিল সীমান্তে কেবলমাত্র "স্মাগলার" মারে তারা। কালবৈশাখি ঝড়ে যদি কোন "স্মাগলার" ঊড়ে যায় তাহলে মিজানদের কেন প্রান দিতে হবে?
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শুধূ আক্ষেপ ছাড়া কইবা করার আছে।
স্বৈরাচারিতা শুধূ বিরোধী দলের সাথে না করে দেশ দেশটা বাচাতেও করতে- মনরে মানানো যেত!!
কিসের কি?
রৌমারী, পাদুয়ার বীরদের হিজড়ে বানাইতেই কি পিলখানা ম্যাসাকার ছিল না?
আজ পিলখানা মহারাজা কার সুরে কথা বলে?
এতে কি কোন দেশপ্রেমিকের কণ্ঠস্বর বাজে??????????
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০
সিকদারভাই বলেছেন: আমাদের ক্ষমা করো হে শহীদ!
ক্ষমা করো আমাদের মত হিজরাদের ।