নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকি সম্পর্ক ছিন্ন করা কোনো সমাধান নয়- ড. জিনিয়া জাহিদ

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৬



"২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ এ সাংবাদিক ওয়াল্টার শুয়ার্টজ এর লাহোর থেকে করা রিপোর্ট দি অবজার্ভারে প্রকাশিত হয়। যার শিরোনাম ছিল "Kisses seal the Mujib deal"। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে প্রথম পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে বাংলার পাঁচের মত মুখ করে থাকা অসুখী ভুট্টোর দিকে বন্ধুত্বের হাত প্রথম বঙ্গবন্ধু বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। জড়িয়ে ধরে বন্ধুত্বের চুম্বন দিয়ে শত্রুতার মুখে সীলমোহর এঁকে দিয়েছিলেন তিনি। শত্রুর সঙ্গেও বন্ধুত্বের নজির স্থাপন করেছিলেন তিনি।"









যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতি ও পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে আনা নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপিত হবার প্রতিবাদে বাংলাদেশে সমালোচনার ঝড় বইছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে পাকিস্তান তাদের নোংরা নাক গলিয়ে অবশ্যই কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করেছে।



এর প্রতিবাদে আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিকরা প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠব, তা অত্যন্ত স্বাভাবিক ও যৌক্তিক। পত্র-পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, এমনকি রাজপথেও কুশপুতুল জ্বালিয়ে আমাদের প্রতিবাদ আমরা জানিয়েছি।



কিন্তু কূটনৈতিক সমস্যার সমাধান কূটনৈতিকভাবে হওযাই শ্রেয়। আমাদের সরকার কূটনৈতিকভাবে এই নিন্দনীয় আচরণের বিরুদ্ধে কড়া ও জোরালো ভাষায় যথাযথ প্রতিবাদ জানিয়েছে।



ইতোমধ্যেই ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার মিয়া আফরাসিয়াব মেহেদী হাশমি কুরেশিকে জরুরি কৈফিয়তের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল। হাশমি কুরেশি তাদের রাজনৈতিক নেতাদের এই ঘৃণ্য আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে কি বলেছিলেন আমরা জানি না। আমাদের চার পাতার চিঠির জবাবে পাকিস্তান সরকারের জবাবও এখনো আমাদের জানা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আমাদের সরকার তড়িৎগতিতে যেভাবে এই আচরণের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে তা সত্যি প্রশংসনীয়।



পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত আমরাই আগে বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। একটু পিছনের দিকে তাকাই।



২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ এ সাংবাদিক ওয়াল্টার শুয়ার্টজ এর লাহোর থেকে করা রিপোর্ট দি অবজার্ভারে প্রকাশিত হয়। যার শিরোনাম ছিল "Kisses seal the Mujib deal"। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে প্রথম পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে বাংলার পাঁচের মত মুখ করে থাকা অসুখী ভুট্টোর দিকে বন্ধুত্বের হাত প্রথম বঙ্গবন্ধু বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। জড়িয়ে ধরে বন্ধুত্বের চুম্বন দিয়ে শত্রুতার মুখে সীলমোহর এঁকে দিয়েছিলেন তিনি। শত্রুর সঙ্গেও বন্ধুত্বের নজির স্থাপন করেছিলেন তিনি।

সেদিনের বন্ধুত্বের সেই হাত আস্তে আস্তে বিভিন্নভাবে প্রসারিত হয়েছে। সন্দেহ নেই, আমরা পাকিদের সঙ্গে আমাদের তিক্ত সম্পর্ক হৃদয়ের ভেতর পুষে রেখেই ৪২ বছর ধরে সুসম্পর্কের ভান করে গেছি।

কিন্তু কূটনৈতিক সম্পর্কের ধরনটাই আসলে এরকম হয়। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের সঙ্গে আমাদের যতই সুসম্পর্কের কথা কাগজ-কলমে থাকুক না কেন, ওদের দাদাগিরিকে আমরা চরমভাবে ঘৃণা করি। ইন্দো-চীন, ইন্দো-মার্কিন এরকম প্রায় সব দেশের সঙ্গেই সবার সম্পর্ক উপরে উপরে ভালো। কারণ, বিশ্বায়নের এই যুগে সম্পর্ক ভালো রাখতে হয়। ঝগড়া-কাজিয়া করে সামনে এগিয়ে যাওয়া মুশকিল হয়ে ওঠে।

কোনো দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের মানে হলো অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক-কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন। নিজের স্বার্থ সবার আগে দেখতে হবে। তেতো মুখ করে হলেও নিজেদের স্বার্থেই সম্পর্ক ভালো রাখতে হবে।



আমরা আবেগী জাতি এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আবেগের বশে আমরা অনেক কিছুই করে বসি। ঠিক যেমন এখন আমরা আবেগের বসেই পাকিস্তানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি করছি। আমরা বাংলাদেশে অবস্থিত পাক দূতাবাস ঘেরাও করছি। দূতাবাসের সব কার্যক্রম গুটিয়ে তাদের বিদায় করে দেবার দাবি তুলছি।



গণজাগরণমঞ্চ থেকে পাকিস্তান হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি কি আমাদের অতি আবেগের বহিঃপ্রকাশ নয়? কাদেরের ফাঁসির বিরোধিতা করায় আমরা কি এখন জাতিসংঘ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সবার সঙ্গেই এখন সম্পর্ক ছিন্ন করব? কূটনৈতিক পাড়ায় এভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা আসলে কি প্রমাণ করতে চাইছি?



বিশ্বায়নের যুগে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না। সব কথার শেষ কথা হলো, পাকিস্তানকে শিক্ষা দেবার দায়িত্বটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেই নিতে দিই না কেন? এগিয়ে দেয়া হাত গুটিয়ে নয়, নিজের আত্মসম্মানবোধ যথাস্থানে সমুন্নত রেখেই পাকিস্তানকে তাদের কৃতকর্মের জন্য আমরা ক্ষমা চাইতে বাধ্য করতে পারি।



ড. জিনিয়া জাহিদ: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, অর্থনীতিবিদ ও গবেষক

Link: Click This Link

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: পাকিস্তানীরা প্রতিশাধ পরায়ন জাতি, তারা আমাদের থেকে বিকলাংগ মগজের মানুষ: খালেদা, জামাত শিবিরকে ভাড়া করে আমাদেরকে ধ্বংস করে আসছে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরা আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু শিখিয়েছীলেন ক্ষমা করতে।

তবে কি এখন আমরা কেন পাকিদের মতো প্রতিশৌধ পরায়ন হতে চাচ্ছি!!!

নইলে জাতির পিতার হাতে মীমাংসিত বিষয়গুলো কেন আবার সামনে আসছে? কে বা কারা বাংলাদেশে চলমান উন্নয়ন, ঐক্য এবং এগিয়ে যাবার গতিতে ভীত!!!!???

তারাই কি আবার ঐখ্য নষ্ট করে উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দিতেই বিভাজনের কূট চাল চালছে??????

যেখানে সকল বিষয়- ইভেন রাজনীতির সিদ্ধান্তও আদালত হয়ৈ এসেছে- সেই আদালতেরই আংশীক আদেশ মেনে আংশীক না মেনে দেশকে এই অবস্থায় আনতে কারা ইন্ধন দিচ্ছে??????????????????????

এক সময় হয়তো সবই ক্লীয়ার হবে- কিন্তু জাতি ততদিনে অনেক পিছীয়ে পড়বে! পড়বেনা কি?

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০০

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা, শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। গনজাগ দের অপরিপক্ক কার্যকলাপ অপছন্দ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এখন তবে বলতে ইচ্ছে করে জাতির পিতা কি তবে ভুল করেছিলেন????!!

নাকি বর্তমানের যারা তারা ভুল করছে???


নাকি তৃতীয় পক্ষের গুটি হয়ে খেলছে!!!????

অপরিপক্ক পাইলেন কই? তারা তো ইচরে পাকা- বাইপ্রডাক্ট অব কনস্পিরেসি!!!!!!

তার নমুনা তারা এম্বেসী ঘেরাও করতে গিয়া বোধে আসার কথা!

না আসলে- তবে খেলারাম খেলে যা!!!!

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

HHH বলেছেন: সবাইকে তো বন্ধু ভাবতেই ইচ্ছা করে। ভালবাসতেই ইচ্ছা করে। কিন্তু বাংলাদেশের মত একটা এতিম দেশের আদতে কোন বন্ধু ছিল কি?

পাকিস্তান ৭১এ আমাদের যে কষ্ট দিয়েছে সেই ক্ষত কি কোনদিন শুকাবে?
ভারত প্রতিনিয়ত যেভাবে সীমান্তে আমাদের ক্ষত-বিক্ষত করছে অথবা যেভাবে আমাদের পানির কষ্ট দিচ্ছে তা কি লাঘব হবে?
আমেরিকা-কানাডা সহ অনেকেই আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ পুড়িয়ে বা উড়িয়ে নষ্ট করেছে।
চীন-রাশিয়া তাদের বাতিল যুদ্ধাত্র ঘুষ দিয়ে আমাদের কাছে বিক্রি করে আমাদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
বার্মিজরা আমাদের জায়গা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।

কে আছে দুনিয়াতে যারা সব বিপদে আমাদের পাশে ?

তাই আমাদের উচিৎ নিজেদের এমন শক্ত করে গড়ে তোলা যাতে চারিদিকে ঘিরে থাকা এইসব হায়নাদের আমরা মোকাবেলা করতে পারি।

আহমেদিনেজাদের মত একজন নেতা দরকার। ইরানীয়ানদের মত একতা দরকার।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাই আমাদের উচিৎ নিজেদের এমন শক্ত করে গড়ে তোলা যাতে চারিদিকে ঘিরে থাকা এইসব হায়নাদের আমরা মোকাবেলা করতে পারি।

আহমেদিনেজাদের মত একজন নেতা দরকার। ইরানীয়ানদের মত একতা দরকার।

সহমত।

বল বল বাহু বল- নিজের শক্তিই বড়! অন্যের মুখে ঝাল খেয়ে আর কত দিন!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.