নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কুরবানীর গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও শিক্ষাঃ
পার্থিব জীবনে অহংকার ও পাপ মুক্ত থাকা এবং পরকালীন জীবনে সফলতার জন্য কুরবানী করা অতীব জরুরী।
হায় কি দূভার্গ্য!!! সেই কোরবানী এখন হয়ে গেছে অহংকারের প্রতীক! সৎ সত্য মানুষের হিমশিম জীবনে চেয়ে চেয়ে দেখে দূর্নীতিবাজ, আর অসৎদের গরম পয়সার গরম প্রতিযোগীতা! লক্ষ্ টাকার পশু কেনার পাশবিক প্রতিযোগীতা....
কে কার চেয়ে দামী গরু কিনছে? অহংকার, গীবত আর নিন্দায় বাতাস ভারী! যে অহংকার নির্মুলে কোরবানী তাই ফুলে ফেপে উঠছে সামাজিক ষ্ট্যাটাসের অঘোষিত প্রতিযোগীতায়!!!
টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন করার কেউ নেই?
সাধারন মুমিন হিমশিম খায় কোরবানী নামের এই অসম খেলায়!
পরকালের হিসাব দূরে থাক, পৃথিবীতে যে বিনয়, যে নির্মোহ, আত্মশ্লাঘাহীন হয়ে বনের পশুর প্রতীকে মনের পশুকে কোরবান, বিলিন করার শিক্ষা তাইতো দূরপরাহত!!!
আজ আলেম সমাজও যেন চোখ কান মূখ বন্ধ! গান্ধীজির নীতিতে চলছে!!
আছেন কোন আলেম! যে দৃঢ় উচ্চারনে বলবে- অসৎভাবে অর্জিত যার টাকা তার কোরবানী দেয়া যাবে না।
যার দূর্নীতির টাকা তার কোরবানীর পশু কোন আলেম জবেহ করতে যাবে না!
যার অর্থে সন্দেহাতীত নয় সেই অর্থ, চামড়া, সাহায্য কোন মসজিদ, মাদ্রাসা বা লিল্লাহ বোর্ডিং গ্রহন করবে না!
আমরা আসলেই খুব বেশী সুবিধাবাদী চরিত্র হয়ে যাচ্ছি!
ইসলামের নাম, লেবাস এবং স্বার্থমত বিধিবিধানকে কাছে টেনে আংশিক এবং স্বার্থবাদী অনুসরনের মাধ্যমে কল্প সূখ অনুভবে মত্ত!
নইলে যেই কলেমার জন্য রাসূল সা:কে মাতৃভূমি ত্যাগ করতে হয়েছিল- সেই কলেমা আমরা রোজ লক্ষবার পড়ি কোন প্রতিক্রিয়া হয় না!!!
যেই কোরবানীতে ইব্রাহিম আঃ আল্লাহর সন্তুষ্ঠি লাভ করেছিলেন, সেই কোরবানী হারিয়ে গেছে প্রায়!
সৎ পথে আয়, সৎ পথে চলা, সৎ জীবন যাপন করা, তারপরই না বাকি বিধানাবলী কার্যকরে ফলাফল পরিপূর্ণ আশা করা যায়! নয়কি?
এইবারের কোরবানী আমাদের বাহ্য অহম, লোভ, লালসা, মিথ্যা, অন্যায় দূর্নীতি, মোনাফেকি, পরশ্রীকাতরতা, সকল অশূভকে ত্যাগের মাধ্যমে হয়ৈ উঠূক মহিমাময়।
আমাদের আলেম সমাজ জেগে উঠুক সতেন্দ্র জিতেন্দ্রিয়, প্রকৃত বিশ্বাসে বলিয়ান, সাহসী এবং নির্ভিক হয়ে।
তবেই বোধ করি ঈদ হবে ঈদের।
আমাদের কোরবানীর প্রকৃত উদ্দেশ্য অর্জিত হোক। এই ঈদে এই কামনা।
ঈদ মোবারক।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ঈদ মোবারক।
অসুস্থ প্রতিযোগিতা চারিদিকে।
একটা বাস্তব উদাহন দেই, আমি যে এলাকায় বড় হয়েছি, সেখানের চেয়ারম্যান এলাকার এক নাম্বারের স্মাগলার, গডফাদার, লুচ্চা; এটা এলাকার সবাই যানে। সে আবার এলাকার জামে মসজিদের সভাপতি। প্রতি শুক্রবারে সে প্রথম সারির মাঝে গিয়ে ঈমামের পেছনে বসতো, মাঝেমাঝে তার মহানুভবতার নিয়ে বয়ান ও হত!
কোরবানী নিয়ে যা হয় তা হাস্যকত পর্যায়ের।
আমাদের চিন্তাধারায় বড় ধরনের সমস্যা আছে,।
আশা করি এই দুঃসময় একদিন কেটে যাবে, ঈদ মোবারক।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
এই সত্য আমরা দেখি, শূনি, বুঝি...
কিন্তু বললেই চোখ পাকানোর লোখেরও অভাব হয়না। তারপরও..
আশা করি এই দুঃসময় একদিন কেটে যাবে,
ঈদ মোবারক।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: আমাদের কোরবানীর প্রকৃত উদ্দেশ্য অর্জিত হোক। এই ঈদে এই কামনা।
ঈদ মোবারক।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমিন।
ঈদ মোবারক।
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চিন্তাধারা পালটাবার সম্ভাবনা কম, তবু আশা করি একদিন ঠিক হবে।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সম্ভাবনা অমিত। আমাদের চেষ্টা কম।
ধর্মীয় বিষয় বলেই সকলেই তটস্থ থাকে! অথচ সত্য বলার হুকুমও ধর্মেরই!
শুরু হোক। এক থেকে একসময় বহুতে পূর্ণতা আসবেই।
ঈদ মোবারক।
৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নিজ ভাল জগত ভাল
হলে সচেতন
আসবে মুক্তি এসমাজের
শুভ অভিনন্দন
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঈদ মোবারক সবাইকে।