নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আখাউড়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূমি অধিগ্রহণ চক্রান্ত রুখে দাঁড়ান বসতভিটা, হাট-বাজার, মার্কেট, মন্দির ও মসজিদ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

আখাউড়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূমি অধিগ্রহণ চক্রান্ত রুখে দাঁড়ান বসতভিটা, হাট-বাজার, মার্কেট, মন্দির ও মসজিদ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন



১.১ বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্ম ১৫১ বছর আগে ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর। ১৮৭১ সালের আদমশুমারি ধরে হিসেব করলে রেলের জন্মের সময় এদেশের জনসংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ আড়াই কোটি। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। প্রায় সাত গুণ বেশী। জনবসতিও সেভাবেই বেড়েছে। বৃটিশ সরকার ১৫১ বছর আগে জনবসতিহীন খালি জায়গায় যেভাবে ভূমি অধিগ্রহণ করে গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০১৩ সালে সেই রাজকীয় কায়দায় ভূমি অধিগ্রহণ করতে পারে না।

১.২ ভবিষ্যতে রেল লাইন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা মাথায় রেখেই বৃটিশ সরকার রেলের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান

জমি অধিগ্রহণ করে গেছে।

১.৩ আখাউড়া-আগরতলা রেল ট্রানজিটকে এলাকাবাসী স্বাগত জানায়। কিন্তু এর নামে যেমন খুশি মানুষের বাড়ী-ঘর উচ্ছেদের পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত নয়। আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন যেহেতু নির্মান করা হবে। তাই ঘনবসতির এই এলাকায় আগরতলা ট্রানজিটের জন্য আখাউড়া থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত তিনটি রেল লাইনের আদৌ প্রয়োজন আছে কী? এটা কি বিলাসিতা নয়।

১.৪ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আয়তন ১০.৪৯১ বর্গ কি. মি। জনসংখ্যা ৩৬ লাখ ৭১ হাজার ৩২ জন। প্রতি বর্গ কি.মি. জনঘনত্ব মাত্র ৩৫০ জন। অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়ীয় জেলার আয়তন মাত্র ১,৮৮১ বর্গ কি.মি। অথচ লোকসংখ্যা ২৮ লাখ ৪০ হাজার ৪৯৮ জন। প্রতি বর্গ কি.মি. জনঘনত্ব: ১৫৯০। অর্থাৎ ত্রিপুরার চাইতে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা আয়তনে প্রায় নয় ভগের এক ভাগ। কিন্তু লোকসংখ্যা প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। বৃহত্তর কুমিল্লার জনসংখ্যা আরও বেশি।

১.৫ মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে মোগড়া বাজার থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেল লাইনের পাশের মানুষ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সময় লেগেছে ৪২ বছর। এখন আবার মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুরিকে ভিটামাটি থেকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা কেন? এই তৎপরতা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কাজ।

১.৬ উন্নয়ন কাজে সরকার ভূমি অধিগ্রহণ করতে পারে। আইনে সে কথা বলা আছে। কিন্তু কোন সরকারই

ভূমি অধিগ্রহণ আইন খেয়ালখুশী মত প্রয়োগ করতে পারে না। মুন্সিগঞ্জ জেলায় বিমানবন্দর নির্মাণ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুরে শিল্প স্থাপন করতে গিয়ে জনতার প্রতিরোধের মুখে সরকারকে ফিরে আসতে হয়েছে। জনগন না চাইলে সরকার অনিচ্ছুক মালিকের জমি কেড়ে নিতে পারে না।

১.৭ ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রথমে অনাবাদী জমি এরপর এক ফসল, দুই ফসল ও তিন ফসলের জমি

সাধারণত সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকে। বসতভিটা অধিগ্রহনতো আরও পরের কথা। ভূমি অধিগ্রহণ আইনে বলা আছে সরকার কোন উপাসনালয় (মন্দির, মসজিদ ইত্যাদিকে) অধিগ্রহণ করবে না। কিন্তু মোগড়া বাজারে নয়শ বছরের প্রাচীন দশভূজা কালি মন্দিরের গায়েও রেলওয়ে জরিপদল লাল দাগ দিয়েছে। মসজিদও বাদ যায়নি। এসব কাজ আইন বিরোধী।

১.৮ এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। আখাউড়া, দেবগ্রাম, নয়াদিল, দরুইন ও মোগড়া বাজারের

মানুষ একতাবদ্ধ হউন। দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলুন। আপনাদেরকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের লক্ষ্যে রেলওয়ে যে ধ্বংসাত্মক খেলায় মেতে উঠেছে তা রুখে দাঁড়ান। ঐতিহ্যবাহী মোগড়া বাজার বাঁচান।

১.৯ মনে রাখবেন, নিজের বাড়ী রক্ষার প্রথম দায়িত্ব আপনার। আত্মীয় স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও এলাকার

জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতা নিন। ন্যায়ের সংগ্রামে আপনাদের বিজয় অনিবার্য।

জোর গলায় বলুন, ‘রেলের জায়গায় রেল, আমার জায়গায় আমি’। ‘বসতভিটা উচ্ছেদ করে রেল লাইন

নির্মাণ মানিনা মানবনা’।



প্রচারেঃ বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী,



ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার উপর দিয়ে ট্রানিজেটর জন্য নতুন করে রেল লাইন বসাতে গিয়ে জনবসতি ধ্বংস সহ বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীর যে দাবী গুলো উচ্চারিত হচ্ছে তারপ্রতি সুশীল সমাজ, আমজনতা এবং নীতি নির্ধারনী সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছি।



আগে দেশ এবং দেশের জনগন পরে অন্য কিছু।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মাহিরাহি বলেছেন: ভাই আমার জন্ম আখাউড়ায়।

আমার জন্মস্থানটাও বোধহয় হুমকির মুখে।

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খবর নিন।

শুধূ ভারতকে রেল ট্রানজিট দিতে মরিয়া সরকার শেষ সময়ে নাকি খুব তাড়াহুরো করছে-

তাই বিক্ষুদ্ধ জনতা তাদের ক্ষুদ্র শক্তিতে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছে।

তাদেরই একটি প্রচারপত্র হাতে আসে। জনস্বার্থ এবং সার্বিক বিবেচনায় তা ব্লগে শেয়ার করা।

আমরা কি কখনো নিজের ভাল বুঝবো না?

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৩

রাজীব বলেছেন: আপনারা কি মুক্তুযুদ্ধের চেতনা বুঝেন না। এই আগরতলার মানুষ, ত্রিপুরা সরকার ও ত্রিপুরার মানুষ যুদ্ধের সময় আমাদের কত সাহায্য করছে ভুলে গেছেন???

এখন সময় এসেছে কিছুটা রৃন শোধ করার।

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বটে বটে।

নিজে হেসে মরণ করিয়া বরণ
শোধিতে হইবে সে ঋণ!!!!!!!

কাটাতারের ঝুলন্ত লাশে, সীমান্তে বিনা বিচারে পাখির মত জীবন বিলিয়ে দিয়ে, ট্রানজিটের নামে ফ্রি বানিজ্য সুবিধা দিয়ে, দেশবিরোধী চুক্তি করে, পদ্মার জল দিয়ে, তিস্তা সহ সকল নদী শুকিয়ে মেরে...

তবু বুঝি শোধ হবেনা ঋণ!!!!!

এ যেন কাবুলি মহাজনের প্রেম!!! জীবন দিয়েও সুদ শেষ না হওয়া!!!!!!

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪১

ইমরান খান সবুজ বলেছেন:
চরম সত্যিটাই বলেছেন।


আমি মসজিদপাড়ার, আপনি?

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই সত্যকে ছড়িয়ে দিন।

সরকারের সীমাহীন পাগলামোর দায় আর কত জনগণ শোধ করবে?

ভিটি মাটি মসজিদ মন্দির বসত ভিটা দিয়ে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

সোহাগ সকাল বলেছেন: আসলেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বরাবরই আমরা ষ্টান্টের পিছে যত দৌড়াই- তার শতভাগের একভাগও যদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের পিছে খাটতাম- দেশটা অনেক অনেক বেশি এগিয়ে যেত।

আশা করি ধাক্কা খেতে খেতেই সবাই সচেতন হব।

৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: বেরুবাড়ি দান করে বন্ধুত্বে দান মিটিয়েছিলেন পিতা, কণ্যা দিচ্ছেন আখাউড়া-ভালইতো, ভালনা?

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাংলালিংক দামে চুক্তি হচ্ছে!!
জনঘনকে অন্ধকারে রেখে ক্ষমতার লোভে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিচ্ছে!!!!

অনেক দিন পর ব্লগধূলি দিলেন;) শুকরিয়া।

৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

ক্ষুধিত পাষাণ বলেছেন: আমরা যারা আখাউড়াবাসী তাদেরকেও কি এখন ভারতীয় নাগরিকত্ব লইতে হইবে?

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শুধু আখাউড়াবাসী নয়- পুরা বাংলাদেশবাসীই শংকায় ;)


গণবিরোধী কোন সিদ্ধান্তই কোন সরকার পাস করতে পারেনা যদি জনতা সচেতন হয়।
আমরা কানসাটে দেখেছি
আমরা মুন্সীগঞ্জে দেখেছি...

চলূন আখাউড়াবাসীও দেখীয়ে দিন- জনতার স্বার্থ চিন্তাই সরকারের ব্রত হওয়া উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.