নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই জেগে ওঠা কি সেই জেগে ওঠা!!!!!
৫২, ৬৯, ৭১।
আত্মায় স্বত্বায় প্রতিবাদ। দ্রোহের অঙ্গিশিখায় জ্বলে গেছে ক্ষমতার একেক দানব।
দানবদের লোভ, প্রলোভন, ভয় কোনকিছূই তাদের পিছু হটায় নি।
-
-
কিন্তু সরকারের আচল তলে, সরকারী নিরাপত্তা বলয়ে বেস্টিত থেকে আন্দোলন! কেমন প্রহসন ঠেকে না।???
বিশেষত সেই সরকার যার ৭২-৭৫ রেকর্ড বাদ- ৩০ হাজার জাসদ কর্মী হত্যার কথাও বাদ- বিগত শুধু ৪ বছরে বিরোধী দমনের নামে যেখানে একজন সম্মানীত চীফ হুইপকে বর্বর কায়দায়, স্বৈরাচারী মানসিকতায় পিটানো হল, প্রতিটা দিন যেখানে অবরুদ্ধতা, গ্রেফতার, গুম, হত্যার মহোৎসবে বিরোধী দলের নির্ঘুম রাত কাটে,
সেখানে সরকারী নিরপত্তা বলয়ে এই আন্দোলন কি ভ্রু কুচকানোর জন্য যথেস্ট নয়?
রাজাকারের ফাসি চাই। সকলেই একমত।
সমস্যা কোথায়? বিচার বিভাগের রায় নিয়ে। এই সেই বিচার বিভাগ কিছুদিন আগে পর্যন্ত যেখান থেকে ছুতায় নাতায় রুল জারি হত। ভিন্ন মত প্রকাশ করলেই আদালত অবমাননার মামলা ঠুকে দিত। কে কিভাবে লিখবে তাও রুলে নসিহত দিত......কেন?
আজ সেই আদলত নিরব কেন?
কেন জনদাবী নিয়ে সরকারের কোন প্রেসনোট নেই?
কেন এই রুপ রায় দেয়ার দায় নিয়ে এই সরকারের বিচার দাবী করা হয়না?
যেখানে আদালতের দরজায় লাথি মারা লোক বিচার পতি নিয়োগ হয়েছে- দলীয় করণের নিলজ্জতম উপমা হয়ে আছে এই চলমান সময়ের আদালত! স্কইপি কেলেংকারী নিয়ে বিব্রত সরকার! আদালত!!!
কেন এইসব ঘটছে? প্রশাসনিক ভাবে ৮৫ ভাগ ব্যর্থতা নিয়েও সরকার কেন গায়ের জোরে সব চাপাতে চাইছে জনতার নামে?
মিডিয়াগুলো যেন অঘোষিত বাকশালের খপ্পরে!!!! একমূখিতায় ডুবে যাচ্ছে গণতন্ত্র, মত প্রকাশের অধিকার ! এক অন্যায় দূর করতে গিয়ে আরেক অন্যায় ফ্যাসিজম আর স্বৈরাচারের পথে হাটার এই আবেগকে সরকার কেন উস্কে দিচ্ছে?
তবে কি বিচার ব্যবস্থা ব্যার্থ? সরকার ব্যর্থ ? নয়?
যদি নাই হবে- তবে রায় পূন বিবেচনা করে সঠিক রায় দেয়া হোক। অনুপস্থিতকে ফাসি দিয়ে কি তবে বাহবা নেবার চেষ্টায় ছিল সরকার?
আর জামাতের সাথে আতাত- বিশ্বকাপে স্পন্সর করা সহ অন্য কোন দায়েই কি কাদের মোল্লার রায় নিয়ে নাটক চলছে?
একক সংকখ্যগরিষ্টতায় যেখানে বলা মাত্র আইন পাস হচ্ছে!
সেখানে এই জাতিয় ঐক্যের ইস্যুতে এত দ্বীধা কেন সরকারের?
৪,৮, ৪০ বা শতজনের ফাসির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছুই কি দেশে নাই? এই আন্দোলনকে কি তবে ওয়াশিং প্লান্ট বানিয়েছে সরকার?
নিজেদের সকল ব্যর্থতাকে খুব চতুরতার সাথে আড়াল করা যাচ্ছে!
দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, জীবন যাপনের নাভিম্বাস, পিলখানা, শেয়ার, হলমার্ক, অগুনন ধর্ষন, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, সীমান্তে হত্যা, করিডোর, ট্রানজিট, দফায় দফায় তেল বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধাতে অতীষ্ট জীবনে ক্লান্ত জনতাকে মেমোরি ওয়াশের জন্য আবেগ দিয়ে নামিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করছে আবার সরকারই!!!!!!!!!!
==
তবে কি মুষ্ঠিমেয়র কথায় সব হবে। নাকি গণতন্ত্রের মূলণীতিতে বহুমত, বহু পথ নিয়েই মধ্যমপন্থী পথে চলবে সবাই। ৮০ ভাগ মুসলমানের দেশে গুটিকয় নাস্তিক, ধর্মদ্রোহী, বাম-রামের কথায় নীতি নির্ধারিত হবে? নাকি গণমানুষের মূল স্বপ্ন প্রধান্য পাবে?
ধর্ম এবং ধর্মীয় রাজণীতি নিয়ে আওয়ামী দ্বিমূখী নীতি আগে পরিহার করতে হবে। নির্বচনের পুর্বে মাথায় হিজাব, হাতে তসবিহ নিয়ে ৮০ ভাগ আমজনতাকে ধোকা দেয়ার বদলে সত্যিই যদি বাম-রামেরই তাদের নীতি হয়ে থাকে বুক ফুলিয়ে সেই কথা বলেই নির্বচান করা উচিত। দেখা যাবে কে কয়টা আসন পায়!
আর যুব জাগরনের এই মহান উদ্যোগ যেন কোন চতুরতায় ভেস্তে না যায়, সজগা থাকতে হবে। এবং অবশ্যই রাজাকারের ফাসির পাশাপাশি আমজনতার মৌলিক সমস্যগুলো যুক্ত হওয়া দরকার। নয়তো এর চলমানতা থমকে যাবে। এই জাগরন যেন হয়ে উঠে সকল প্রচলিত রাজণীতির জন্য থার্ড আই। তাদের স্বেচ্চাচার রোধের এক দারুন চলমান প্রক্রিয়া হয়ে উঠতে পারে এই জাগ্রত যুব সমাজ। যারা যে কোন অন্যায়ে পলকে জ্বলে উঠবে- ঠেকাবে সকল অণ্যায়, অনাচার, সরকারী-বেসরকারী যে কোন হঠকারী সিদ।দান্তের বিরুদ্ধে হয়ে উঠবে কঠোর প্রাচীর।
যে দেয়াল হবে আম জনতার সামগ্রিক ভরসার স্থান। মূর্খতা, দলীয় সংকীর্ণতার উর্ধে, ধর্ম-নাস্তিকতা যেখানে উদার আলোচনার প্লটফর্ম হবে, যেখানে কোন ব্যক্তিক, গোষ্টিক বা সামাজিক দর মতকে নোংরা ভাষায় আক্রমন করা হবে না। পরমত সহিষহ্নুতা যেখানে চর্চা হবে অবাধে, নামাজে মৌলবাদ আর পূজায় অসম্প্রদায়কতা খোজার মতো হীনতা যেখানে থাকবেনা- একটা প্রকৃত ভবিষ্যত সুন্দর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রযোজ্য সকল উপাদানের আকর হবে এই ৬ষ্ঠ শক্তি।
হবে কি?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কেন জনদাবী নিয়ে সরকারের কোন প্রেসনোট নেই?
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিজেদের সকল ব্যর্থতাকে খুব চতুরতার সাথে আড়াল করা যাচ্ছে!
দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, জীবন যাপনের নাভিম্বাস, পিলখানা, শেয়ার, হলমার্ক, অগুনন ধর্ষন, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, সীমান্তে হত্যা, করিডোর, ট্রানজিট, দফায় দফায় তেল বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধাতে অতীষ্ট জীবনে ক্লান্ত জনতাকে মেমোরি ওয়াশের জন্য আবেগ দিয়ে নামিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করছে আবার সরকারই!!!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই জাগরন যেন হয়ে উঠে সকল প্রচলিত রাজণীতির জন্য থার্ড আই। তাদের স্বেচ্চাচার রোধের এক দারুন চলমান প্রক্রিয়া হয়ে উঠতে পারে এই জাগ্রত যুব সমাজ। যারা যে কোন অন্যায়ে পলকে জ্বলে উঠবে- ঠেকাবে সকল অণ্যায়, অনাচার, সরকারী-বেসরকারী যে কোন হঠকারী সিদ।দান্তের বিরুদ্ধে হয়ে উঠবে কঠোর প্রাচীর।
যে দেয়াল হবে আম জনতার সামগ্রিক ভরসার স্থান।