নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দল ১ - হাসিনার দল ০
১৬ বছরের একটানা অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন দল আওয়ামীলীগ ২০২৪ সালে সম্পূর্ণ নতুন দল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার দেয়া ১ - ০ গোলে পরাজিত হয়ে হাসিনা দলের প্রধান শেখ হাসিনার সেনা-পুলিশ প্রহরায় মাঠ-দেশ ছেড়ে পলায়ন।
১৯৮৬ ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে আর্জেন্টিনা ২ - ইংল্যান্ড ১ জয়লাভ করে এবং পরে ফাইনাল জিতে শিরোপা হাতে ম্যারাডোনা।
খেলা হবে, খেলা
এ ডায়ালগ বা কথাটি গত ১৬ বছর যাবত সবচেয়ে প্রিয় ছিল আওয়ামীলীগ দল ও তাহার নেতাদের এবং আতংকের বিষয় ছিল সাধারন মানুষের নিকট। কারন,তাদের খেলা মানেই ছিল জনগনের দূর্ভোগ।পতিত স্বৈরাচারী হাসিনা দলের অন্যায্য খেলার আক্রমণভাগের নেতৃত্বে ছিল তুখোড় আক্রমণাত্মক খেলোয়ার ওবায়দুল (কাউয়া কাদের),শামীম উসমান(পারিবারিক সন্ত্রাসী),হাসান মাহমুদ (মিথ্যা ও দূর্নীতিতে ডক্টরেট ), হাসানুল হক ইনু(নিরপেক্ষ ভোটে গ্রামের member ভোটেও যে জামানত হারাবে),দিপু মনি (শিক্ষা খেকো আপা), শেখ ফজলুল হক সেলিম (দূর্নীতির বরপুত্র), গোলাম দস্তগির গাজী (পাট-কাপড়ের সাথে সাথে মাটি-পানি-বাতাসে সব খেকো),পলক (যাদুকরী বিবি র জামাই যিনি টিউশনি করে হাজার কোটি টাকা জামাইকে রোজগার করে দিয়েছেন),সালমান এফ রহমান (ব্যাংক-বীমা-শেয়ার বাজার খেকো),লোটাস কামাল (ডিমনেশিয়া রোগী,নিজের সাথে সাথে যিনি দেশের অর্থনীতিকেও ঘুম পাড়িয়েছেন),বে-নজীর (নজীর বিহীন সব ঘটনার হোতা),ম খা আলমগীর(ব্যাংক খেকো),শ ম রেজাউল (ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা),আবদুর রউফ (এস আলমের গৃহদাস),আনিসুল হক(বে-আইনী বিষয়ে বিশেষজ্ঞ),আসাদুজজামান (পুলিশ কমিশন'খোর) প্রমুখ। হাসিনার মূল দলের এসব খেলোয়ারদের সাথে সাথে সাইডবেঞ্চের খেলোয়াররা সহ সবাই একযোগে খেলত খেলার সকল নিয়ম-নীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তথা নিজেদের সুবিধামত খেলার নিয়ম-নীতি তৈরী করে।আমাদের সমাজে-দেশে-বিশ্বে অনেক খেলা প্রচলিত এবং হাডুডু আমাদের জাতীয় খেলা। অবশ্য তারা নির্দিষ্ট কোন খেলা খেলতে চাচছে বা খেলছে তা কখনো খোলাসা করেনি তবে জনপ্রিয়তার নিরিখে ফুটবল আমাদের দেশে এবং বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। সেই হিসাবে তর্কের খাতিরে ধরে নেই তারা বিগত ১৬ বছর জনগকে বল বানিয়ে ফুটবলই খেলেছে দেশ-জাতি ও বিরোধীদলের সাথে। যে খেলার নিয়মিত সময় হলো ৯০মিনিট এবং খেলোয়ার হলো সমসংখ্যক বা দুই দলেই ১১ জন করে খেলে এবং গোল হলো এ খেলায় জয়ী হওয়ার মাধ্যম।
তবে আমাদের পতিত স্বৈরাচারী হাসিনা দল খেলা শুরুর আগেই রেফারীকে হাত করে, বিপক্ষ দলের খেলোয়ারদের মাঠের বাহিরে আক্রমণ করে আহত করে,হামলা-মামলা এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে মাঠের বাহিরে রাখার জন্য সব কিছু করত। তারপরও যদি আহত কিংবা অখ্যাত খেলোয়ার নিয়ে বিপক্ষ দল মাঠে খেলত নামত তাহলে রেফারীর সাহায্যে কিংবা নিজের খেলোয়াররা এমন ভাবে বিপক্ষদলকে চেপে ধরত কিংবা ফাউল করত যাতে তাদের ছেড়ে দে মা কেদে বাঁচি অবস্থা হতো। এভাবে বিগত ১৬ বছর দেশের সকল দলকে হারিয়ে হাসিনা দল দেশে অপ্রতিরোধ্য চ্যাম্পিয়ন ছিল।
শেখ হাসিনার দলের খেলোয়ারবৃন্দের একাংশ
এ দিকে দেশের সব পূরনো দল যখন হাসিনার দলের সাথে তাদের অন্যায্য খেলায় গোহারা হেরে যাচছিল, তখন দেশের সকল ছাত্রসমাজ দল-মতের উপরে উঠে -
"বারে বারে চড়াই (চড়ুই) তুমি খেয়ে যাও ধান,
এবার চড়াই তোমার বধিব পরান"
- এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী দল নামে এমন একটি দল তৈরী করে দল-মতের উপরে উঠে, যারা সাফল্যের জন্য যেকোন ত্যাগ করতে প্রস্তুত ছিল এবং সে দলের মূল নীতিই ছিল শুধু এক কিংবা দুই নেতা তথা দুই স্ট্রাইকারের ওপর নির্ভর করে খেলা নয় বরং সকলে মিলে একসাথে খেলা এবং দলে সবার সমান দায় তথা ১১ জনই সমানভাবে খেলবে। যেখানে দলের সবার ভূমিকাই স্ট্রাইকারের তথা আক্রমণাত্মক থাকবে। যাকে ফুটবলের ভাষায় বলে (All attacking player/ All-out attack at a time ) কোন প্রকার বিরতি না দিয়ে-নিয়ে একের পর এক বিরোধী দলের গোল মুখে আক্রমণ করা এবং গোল আদায় করে নেওয়া। আর এই এক নীতির কারনেই একেবারেই নতুন ও খেলার মাঠে আনকোরা ছাত্রসমাজের দলের নিকট গোহারা হারে অপ্রতিরোধ্য চ্যাম্পিয়ন হাসিনার দল।
খেলা ছেড়ে-মাঠ ছেড়ে পলায়নরত অবস্থায় শেখ হাসিনা দলের ধৃত কয়েকজন খেলোয়ার
ছাত্র-জনতার সমন্বয়ে গড়া অভূতপূর্ব এ দলের খেলা শুরুর আগে ‘খেলা হবে, খেলা বলে আওয়ামী যেসব ভুয়া আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় গলাবাজি করত, ০৫ ই আগস্ট ছাত্র-জনতার খেলা শুরু হবার পর তারা তাদের খেলার জার্সি খুলে, লুঙ্গি পরে,দাড়ি কামিয়ে,লেজ উঁচিয়ে যেভাবে মাঠ ছেড়ে পলায়ন করেছিল তা ছিল একটা অপার বিষ্ময়ের ও স্মার্ট অ্যাকশন। এই খেলোয়াড় ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের পাকড়াও করার জন্য দেশজুড়ে এত বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোর মধ্য দিয়ে এদের সব ধরনের রক্ষণব্যূহ ভেদ করে মেসি-ম্যারাডোনা-রোনালডো টাইপের পলায়ন এক চরম বিস্ময়। ম্যারাডোনা ৮৬ সালে ৫/৬ জনকে কাটিয়ে গোল করেছিল আর এরা দেশের লাখ লাক মানুষকে ফাকি দিয়ে যেভাবে মাঠ ছেড়ে-দেশ ছেড়ে গায়ে তেল মেখে পালিয়েছে এ আসলেই বিষ্ময়ের। এর মাঝে এ দলের অনেক আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় তথা রুই-কাতলা ধরা পড়েছে ঠিকই, তবে এর ভেতর এই স্মার্ট শোল-গজার-বোয়ালদের পলায়ন ও তাদের দাদাদের দেশে তথা বিশ্বের নানা ধর্মীয় জায়গায় ঘুরাফেরা দেখে মনে হয় তারা শুধু আক্রমণাত্মক খেলোয়ারই ছিলনা,তারা বহুরুপী,ছদ্মবেশ ধারন ও পলায়নেও ওস্তাদ ছিলেন বটে । দেশবাসীকে হয়তো আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে এই ‘খেলা হবে খেলা হবে’ ধ্বনি তোলা খেলোয়াড়দের আবার খেলা দেখার জন্য।
খেলা ছেড়ে-মাঠ ছেড়ে পলায়নরত অবস্থায় শেখ হাসিনা দলের ধৃত কয়েকজন খেলোয়ার
বিগত ২১ বছরের সাথে সাথে এ বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে প্রতিদিনই বাংলাদেশের ১৭ কোটি দর্শক আওয়ামীলীগের খেলোয়াড়দের খেলা দেখে মনে করেছেন তাদের জীবন সার্থক হয়েছে। তবে সর্বশেষে ছাত্র-জনতার গড়া নতুন দলের অভূতপূর্ব এক গোলের জয়ের (হাসুর ছেলে জয় নয় এ জনতার দলের দেয়া গোলের ফলে জয়) ঘোর থেকে জনতা এখনো বের হতে পারছেনা । তারা ভাবছে কি চমতকারভাবে খেলছে নতুন দল এবং তাদের করা এক অসাধারন গোল ভেংগে দিয়েছে হাসুর অপরাজেয় চ্যাম্পিয়ন থাকার অহমিকা। যার ফলে হাসু ভেংগে দিয়েছে তাহার সেই বহু পূরনো দল এবং পালিয়ে গেছে পাশের দেশে নতুন করে দল গড়ার আশায়।ছাত্র-জনতার দেয়া এ গোল নিয়ে দেশ-বিদেশে আলোচনা চলবে হয়ত আগামী কয়েক যুগ ধরে।
ছাত্র-জনতার দেয়া গোলের মত আরও একটি গোল নিয়ে বিশ্বে আলোচনা চলছে বিগত কয়েক যুগ ধরে যা "The hand of God goal বা "ঈশ্বরের হাতের গোল নামে পরিচিত। যা দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলের বরপুত্র ম্যারাডোনা।
ছবি - bing.com
ম্যারাডোনার হ্যান্ড অব গড বা "ঈশ্বরের হাত" হচ্ছে ১৯৮৬ ফিফা বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা বনাম ইংল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে আর্জেন্টিনীয় ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনার করা একটি গোল। বিশ্ব ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তথা ফুটবলের নিয়ম অনুযায়ী এই গোলটি অবৈধ ছিল, কারণ ম্যারাডোনা গোল করার জন্য তার হাত ব্যবহার করেছিলেন। রেফারিরা সেই ব্যাপারটি (হাত ব্যবহার করে গোল ) সম্পর্কে পরিষ্কার হতে পারেননি এবং গোলটিকে বৈধতা দিয়েছিলেন। এই গোলের ফলে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। সেই খেলায় আর্জেন্টিনা ২ - ১ ব্যবধানে জয়লাভ করে এবং ম্যারাডোনা বিশ্বকাপ জয়ের পথে "শতাব্দীর সেরা গোল" নামে পরিচিত দ্বিতীয় গোলটিও করেন এ ম্যাচেই।
গোলের নামটি (ঈশ্বরের হাতের গোল) ম্যারাডোনার অবৈধভাবে গোল করা হয়েছিল কিনা সে সম্পর্কে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে এটি "কিছুটা ম্যারাডোনার মাথা দিয়ে এবং কিছুটা ঈশ্বরের হাত দিয়ে করা হয়েছিল"। অবশেষে ম্যারাডোনা স্বীকার করেন যে তিনি অবৈধভাবে বলটি পরিচালনা করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি এই গোলটিকে চার বছর আগে ফকল্যান্ডস যুদ্ধে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের জয়ের "প্রতীকী প্রতিশোধ" হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন।
সাধু সাধু - ম্যারাডোনা জীবিত থাকাকালীন স্বীকার করেছিলেন যে, গোলটি অবৈধ ছিল। যদিও তাহার এ সত্য স্বীকারের ফলে সত্য কিছুটাও পরিবর্তন হয়নি( খেলার ফলাফল পালটায়নি)।
ম্যারাডোনা - আমরা জানি ঈশ্বরের বিচরণ দুনিয়ার সর্বত্র। ঠিক তেমনি ফুটবল মাঠে ম্যারাডোনার বিচরণও ছিল মাঠের সর্বত্র। পুরো ফটবল ক্যারিয়ার জুড়ে চোখ-ধাঁধানো পারফরম্যান্স দিয়ে পুরো বিশ্ব মাতিয়ে রেখেছিলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। ম্যারাডোনাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে গণ্য করা হয় যদিও ক্রীড়া জগতের সবচেয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিও ছিলেন তিনি । আবার গণমাধ্যমে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের অন্যতম হিসেবেও তাকে বিবেচনা করা হয়। নানা বির্তকের পরও ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ আসরের শিরোপাটাও শেষ পর্যন্ত উঠেছিল ম্যারাডোনারই হাতে। সে আসরে মাঠের দুর্দান্ত নৈপুণ্যের পাশাপাশি অকল্পনীয় এক বিতর্কের (হ্যান্ড অফ গড) জন্ম দিয়েও স্মরণীয় হয়ে আছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের পুরো প্রতিযোগিতাজুড়ে ছিল ম্যারাডোনার দাপট। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের আতঙ্কের কারণ ছিলেন তিনি। কেবল নিজের একক নৈপুণ্যে বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয় আর্জেন্টিনা। ম্যারাডোনার সাথে ঈশ্বরের হাত না থাকুক, তবে নিজের দেশকে এমন গৌরবময় সাফল্য এনে দেওয়ায় আর্জেন্টাইনদের কাছে তিনি হয়ে আছেন ‘ফুটবলের ঈশ্বর’।
শেখ হাসিনা - ০৫ আগস্ট ২০২৪ সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরপর বঙ্গভবন থেকেই হেলিকপ্টারে পালিয়ে দেশ ছাড়ার আগে দোর্দন্ড প্রতাপে একটানা সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করেন হাসিনা। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণের বিপুল সায় নিয়ে তিনি ক্ষমতায় বসেছিলেন। এরপর একটানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসন সহ ২১ বছর দোর্দন্ড প্রতাপে দেশ শাসন করেন। অবশ্য জনগনের মতে, শাসন নয়, শোষন করেছেন তিনি দেশ ও জনগণকে এ সুদীর্ঘ সময়। শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে ভোটাধিকার ও বাকস্বাধীনতা হরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ব্যাপক দুর্নীতি ও অর্থ পাচার, দেশকে স্বজনতোষী পুঁজিবাদের কবলে ফেলা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা, ঋণের নামে ব্যাংক লুটের সুযোগ দেওয়া, আয়বৈষম্য চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াসহ বিস্তৃত অভিযোগ রয়েছে। এসবের বিপরীতে তিনি ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেন অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে। কিন্তু শেষ সময়ে অর্থনীতিকেও সরকার সংকটে ফেলেছিল। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) কমে গেছে, খেলাপি ঋণ ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে, দ্রব্যমূল্য সীমিত আয়ের মানুষের নাগাল ছাড়া হয়ে গেছে।এসব কারনে সমাজের সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েই ছিল। সেটার বহিঃপ্রকাশ ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। উপলক্ষ তৈরি করে দেয় সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা ৯ দফা দাবি জানিয়েছিলেন। ২ আগস্ট ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে ৯ দফা দাবিকে এক দফায় রূপান্তর করা হয়। বলা হয়, সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। ওদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে অস্বীকৃতি জানায়। পুলিশও আর গুলি করতে রাজি ছিল না। আর তাই শেখ হাসিনা শেষ চেষ্টা হিসেবে নামিয়ে দেন তাঁর রাজনৈতিক দলকে জনগনের বিরুদ্ধে ।
৪ আগস্ট ঢাকার রাস্তায় এবং দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করেন। তাঁদের কারও কারও হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র, অনেকের হাতে ছিল দেশীয় অস্ত্র। ওই দিন সংঘর্ষে নিহত হন অন্তত ১১৪ জন মানুষ।যদিও ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখে আওয়ামী লীগ বেশি সময় রাজপথে টিকতে পারেনি। ওই দিনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ‘মার্চ টু ঢাকা’ বা ঢাকামুখী গণযাত্রার ডাক দেওয়া হয়। ৫ ই আগস্ট দুপুর নাগাদ স্পষ্ট হয়ে যায় যে সরকার নড়বড়ে হয়ে গেছে। সেনাবাহিনী তাহার সাথে থাকতে না চাওয়ার ফলে পদত্যাগ করে সেদিন বেলা আড়াইটায় হেলিকপ্টারে করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা, Click This Link যিনি কদিন আগেই (১ আগস্ট) বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা কখনো পালিয়ে যায় না। এর ফলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দল জিতে গেল হাসিনার দলের সাথে ১ - ০ গোলে এবং অবসান হলো অপ্রতিরোধ্য হাসিনা দলের বিজয় গাথা। শেখ হাসিনা দেশে থাকুন কিংবা পালিয়ে দাদাদের দেশে যান, বাকী জীবন তিনি দেশবাসীর নিকট থাকবেন স্বৈরাচারীর পরিচয়ে এবং মূর্তিমান আতংক হিসাবে,যাহার নিকট দেশ-জাতি কেহই কখনো নিরাপদ ছিলনা।
এখন আমরা যদি জানতে চাই, ১৯৮৬-র বিশ্বকাপ ফুটবলে ম্যারাডোনার সেই ‘বিধাতার হাত’ দিয়ে দেওয়া গোলের মতো গোল এবার বাংলাদেশে স্বৈরাচারী ঘাঘু হাসিনার দলের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার করা গোলটি সেরা? নাকি ম্যারাডোনার "ঈশ্বরের হাত" গোল সেরা? আমার মনে হয় দেশের ১৭ কোটি মানুষের ভোটেই সেরা হবে ৫ আগস্টের অবাক করা ছাত্র-জনতার গোলটির জন্য। ম্যারাডোনা তাহার কারিশমা দেখিয়েছিল হাত দিয়ে আর ছাত্র-জনতা দেখিয়েছিল তাদের দলীয় একতা। ছাত্র-জনতার একতার নিকট পরাভূত হয়ে হারতে ভূলে যাওয়া ঘাঘু হাসিনা দেশের ১৭ কোটি দর্শককে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিজের দলকে খেলার মাঠে ছেড়ে এবং সমর্থকদের কাঁদিয়ে উড়াল দিলেন তাহার প্রিয়তমের কাছে যাকে উপুর করে ঢেলে দিয়েছেন বিগত ২১ বছর। এ যেন অনেকটা গোপন অভিসারের উদ্দেশে দিল্লী যাচ্ছেন শ্রীরাধা (হাসু), যেখানে তাহার আগমন প্রতীক্ষায় দু’বাহু বাড়িয়ে অপেক্ষায় আছেন তাহার প্রিয় শ্রীকৃষ্ণ (মোদি)।
হাসিনার দেশ ছেড়ে পলায়ন - বড়ই অবাক করা কাণ্ড ছিল এটি । তাহার হাজার হাজার নেতা-আতি নেতা-পাতি নেতা, লক্ষ লক্ষ নিবেদিতপ্রাণ কর্মী-সমর্থক, ১৭ কোটি দেশবাসী, যাদের রক্ত-ঘামের জ্বালানিতে বিগত ২১ টি বছর মাঠে চালিয়েছেন তাহার খেলা তথা তথাকথিত বিজয়রথ,পালানোর আগে তিনি তাদের কথা একটিবারও ভাবলেন না? এ এক আশ্চর্য!
ছবি - bing.com
যেখানে ম্যারাডোনা খেলায় তাহার ঈশ্বরের হাতের গোল করে ফকল্যান্ডস যুদ্ধে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের জয়ের "প্রতীকী প্রতিশোধ" হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন এবং এর ফলে বিশ্বকাপ জিতল আর্জেন্টিনা এবং এ গোলের ফলে দেশ ভাসল আনন্দের জোয়ারে। অন্যদিকে বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার দেয়া অভূতপূর্ব এক গোলের কারনে দেশ থেকে পতন হলো স্বৈরাচারী হাসিনার দলের এবং দেশ মুক্তি পেল তাহার একটানা ১৬ বছর সহ ২১ বছরের দুঃশাসন থেকে। এর ফলে দেশ-জনতা ভেসে গেল বাধ ভাংগা আনন্দের জোয়ারে এবং হাসিনা ও তাহার দল পালিয়ে বাঁচল দেশ ছেড়ে।
ছবি - bing.com
আর তাইতো এই একটি প্রশ্নই বার বার মনে ভেসে উঠে, শতাব্দীর সেরা গোল কোনটি?
১। ১৯৮৬ সালের ম্যারাডোনার করা ঈশ্বরের হাতের গোল নাকি ২ য় গোল?
২। ২০২৪ সালের ০৫ ই আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার দেয়া গোল?
সবশেষে, ম্যারাডোনা জীবিত থাকাকালীন স্বীকার করেছিলেন যে, তার দেয়া গোলটি ছিল অবৈধ । এখন আমরা সাধারন মানুষ দেখার অপেক্ষায় আছি ম্যারাডোনার মত বিবেক তাড়িত হয়ে শেখ হাসিনা কোন বিবৃতি দেয় কিনা বা তাহার শাসনকাল নিয়ে তাহার বিবৃতির। তিনি তার জীবদ্ধশায় স্বীকার করেন কিনা যে , তাহার পুরো শাসনকালই অবৈধ ছিল এবং তিনি জন অধিকার ( ভোটাধিকার ) হরন করে অন্যায় ভাবে ক্ষমতায় ছিলেন ।
=================================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -
===============
১৯। রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপির ৩১ দফার রূপরেখা ও আমার ভাবনা। -
Click This Link
১৮। শেখ হাসিনা বিহীন ১ মাসের বাংলাদেশ - কেমন কাটলো ডঃ ইউনুসের অধীনে।-
Click This Link
১৭।'' বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন '' নাকি " বাংলাদেশে ও তাহার জনগনের জন্য গজব আইন''?
Click This Link
১৬।"শেখ হাসিনার একটানা ১৫ বছরের শাসন বনাম তথাকথিত আওয়ামী উন্নয়ন " -
Click This Link
১৫।" আসন ভাগা-ভাগি (সিলেকশনে) কিংবা ভোটের আগেই বিজয়ী আওয়ামীলীগ "- এভাবে আর কত দিন?
Click This Link
১৪।"জাতীয় নির্বাচন ২০২৪" - সমস্যা ও সমাধান, কোন পথে - কত দূর?।
Click This Link
১৩।" দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবে আওয়ামীলীগ " এটা কিসের ইংগিত দেয়? - Click This Link
১২। "আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী" - আসুন একনজরে দেখি আমাদের স্বপ্নপুরীর সর্বশেষ অবস্থা।
Click This Link
১১।"স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের আলোচ্যসূচী" - সত্যিটা কি ? Click This Link
১০। " সংবিধান থেকে একচুলও নড়া হবে না" - নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাস্তবতা ।
১ম পর্ব - Click This Link
শেষ পর্ব - Click This Link
৯।"হিরো আলম কার প্রতিদ্বন্দ্বী " - Click This Link
৮। সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ কিংবা বিক্রি - সত্যিটা কি ? - Click This Link
৭।আমেরিকার ভিসা নীতি বনাম বাংলাদেশের ভিসা নীতি-এর পর কি হবে?-
Click This Link
৬। আমার সোনার বাংলা কি কোটিপতি ও খেলাপি ঋণ তৈরীর কারখানা ? - Click This Link
৫। " রংপুর সিটি কর্পোরশন নির্বাচন - লাঙলের জয় ও নৌকা চতুর্থ " - কি বার্তা দেয় আমাদের? - Click This Link
৪। " বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন " - তুমি কার ? -
Click This Link
৩। সামাজিক রীতি-নীতি-শিষ্ঠাচার এখন যাদুঘরে - আপনি কি একমত ? -
Click This Link
২। বর্তমান সময়ে আমরা কি একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও দৃষ্টিশক্তি হীন জাতি বা প্রজন্মে পরিণত হচছি বা হতে যাচছি? -
Click This Link
১। আমাদের সমাজের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়ছে ? -
Click This Link
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই -
বুঝেছি তবে বউ ঝিনি ( বুঝিনি)।
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: কি থেকে কি হয়ে গেলো?
আসলে প্রকিতি কাউকে ক্ষমা করে না। অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হবেই।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
কি থেকে কি হয়ে গেলো?
- জী ভাই, কি থেকে কি হয়ে গেল। পালাব না আমরা পালাব না, বলতে বলতে সবই পালিয়ে গেল। কেমনে কি হয়ে গেল - কারো হিসাবই মিলেনা।
আসলে প্রকিতি কাউকে ক্ষমা করে না। অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হবেই।
- হাচা কথা ভাই।
পাপের ধন প্রায়শ্চিত্যে যায় - যদিও এটা প্রবাদ প্রবচন তবে শতভাগ সত্যি।
যে কোন অন্যায়ের শাস্তি দুইভাবে হয়।
এক - ইহকালীন ( যেটা পালানোর মাধ্যমে হাসু ও তাহার দলবল ভোগ করছে)।
দুই - পরকালীন - ঐডা মরার পর কবরে এবং শেষ বিচারের পর ভোগ করবে ২১ বছরের মজা তহন টের পাইব
তহন আর পালাইবারও পারব না । ছাই দিয়ে ধরে হিসাব বুঝাইয়া দিব পাই পাই করে।
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:১১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আপনার সেন্স অব হিউমার চমৎকার, ম্যারাডোনার পা থেকে কোথায় চলে আসলেন!!
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শূন্য সারমর্ম ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার সেন্স অব হিউমার চমৎকার, ম্যারাডোনার পা থেকে কোথায় চলে আসলেন!!
- কি যে কন ভাইয়ে, শরম লাগে ইভাবে বললে।
ম্যারাডোনার পা-হাত ছিল আর্জেন্টিনাবাসীর সাথে সাথে বিশ্ববাসীর আনন্দের উপলক্ষ ।
আর আমাদের হাসু'নিকে নিয়ে ছেল (তাহার বাক্য-চিন্তা-কর্মে) দেশবাসী ভয়ে আধমরা। তাহার বিরুদ্ধে গোলে জিতে দেশবাসী মরতে মরতে বেঁচেছে।আর সে পালিয়ে বেচেছে, দেশে আনন্দের উপলক্ষ আইছে ইডাই বলবার চাইছি ভাইজান।
মিছা নি কুন ?
মজা করলাম ভাই , কিছু মনে ন করি।
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১১
সোনাগাজী বলেছেন:
গরুর রচনা লেখাই কি আপনার ব্লগিং?
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সোনাগাজী বলেছেন: গরুর রচনা লেখাই কি আপনার ব্লগিং?
- জী সোনাগাজী ভাই ,
খাড়া-বড়ি-থোড়<থোড়-বড়ি-খাড়া।
৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৭:৫০
আহরণ বলেছেন: ভাইয়া, আপনার পেশা কী?
লেখালেখি বাদ দিয়ে গরু কেনাবেচার ব্যবসা শুরু করেন। মানে গরুর দালালি। বুঝাতে পেরছি??
২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ আহরণ ভাই, আপনার চমতকার মন্তব্যের সাথে সাথে সুচিন্তিত পরামর্শের জন্য।
ভাইয়া, আপনার পেশা কী?
- জী ভাই, পেশা হিসাবে যা করছি তা নিয়ে আপনার সাথে বলার কিছু নেই তবে আপনার পরামর্শকৃত পেশা নয়
লেখালেখি বাদ দিয়ে গরু কেনাবেচার ব্যবসা শুরু করেন। মানে গরুর দালালি। বুঝাতে পেরছি??
- আমরা যে যা ঠিক অন্যকে তাই ভাবি এবং সেভাবেই অন্যকে মূল্যায়ন করি।
আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি না আপনার পেশা তবে বুঝতে অসুবিধা হয়নাই আপনার পেশা কি?
লেগে থাকেন বর্ণচোরা (নিজের বাপ-দাদার নাম-পরিচয় লুকিয়ে নাম রেখেছেন আহরন। আর যে নাম পরিচয় লুকায় সে কেমন মানুষ তা নিয়ে আশা করি বলার কিছু যে নেই তা বুঝতে পারেন) ভাই,দালালির পেশায়।
আর দালালি ব্যবসা সবচেয়ে ভাল ব্যবসা বর্তমান সমাজে। এতে নিজের কোন যোগ্যতা না থাকলেও শুধু দালালি করেই আংগুল ফুলে কলাগাছ হওয়া যায়। ভাল, খুব ভাল।
তারপরও আপনার পরিচয় জানার জন্য গিয়ে যা জানলাম এবং জেনে শিহরিত হলাম -
আহরণ
পোস্ট করেছি: ০টি
মন্তব্য করেছি: ১৯৪টি
মন্তব্য পেয়েছি: ০টি
ব্লগ লিখেছি: ১ মাস ১ সপ্তাহ
অনুসরণ করছি: ০ জন
অনুসরণ করছে: ১ জন
এবং কিছু মন্তব্যও দেখলাম। ভাল ----------- খুব ভাল।
লেগে থাকেন,আজ না হয় কাল হবে ।
সামুতে জন্মের বয়স মাত্র ৩৭ দিন। এখনো হামাগুড়ি দিতে শিখেননি তবে দালালী যে ভালভাবে শিখে গেছেন তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি।
আপনি যে পুরানো পাপী তাও বুঝতে পেরেছি ।
আগে কার আত্মায় ছিলেন এবং এখন কার আত্মায় ভর করেছেন - কইনছেন দেহি।
হাটা শুরুর আগেই দৌড়ানো
কিছু মনে কইরেন না ভাই। আগে হাটতে শিখেন পরে দৌড়াইয়েন। নয়ত হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাবেন।
তবে তার আগে মানুষ হন । এটা আমার অনুরোধ আপনার প্রতি
৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা দেখতে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা দেখতে।
- ভাই , আমার মনে হয় সামুতে মন্তব্য খরা চলছে।
আমরা সবাই হয়ত চোখ বুলাতে চাই, কষ্ট করে সময় নিয়ে বিষয়ের আলোকে মন্তব্য করতে ইচছুক নই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: