নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাষ্ট্র সংস্কারে শহীদ জিয়া তাহার শাসনামলে ঘোষনা করেছিলেন ১৯ দফা। অন্যদিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তারেক রহমানের পক্ষে খন্দকার মোশারফ হোসেন গত ১৯/১২/২০২২ সালে ঘোষনা করেছিলেন ২৭ দফার
Click This Link তারই ধারাবাহিকতায় ১৩/০৭/২০২৩ বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ৩১ দফা রূপরেখার ঘোষণা করেন। সেই সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছিলেন, রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের এই রূপরেখা জিয়াউর রহমান ঘোষিত '১৯ দফা', খালেদা জিয়া ঘোষিত বিএনপির 'ভিশন-২০৩০' এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ২৭ দফা কর্মসূচির সংশোধন ও সম্প্রসারণ করে প্রণয়ন করা হয়েছে। ঘোষিত রূপরেখায় প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা এবং পরপর দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল এবং বর্তমানে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপি জনগনের সামনে সারাদেশে গণসংযোগের মাধ্যমে তা ব্যাপকভাবে তুলে ধরা ও সে লক্ষ্যে জনমত গঠনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এবং ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস দেশের দায়বদ্ধতায় আসার পর মানুষ আশা করছে সকল প্রকার রাষ্ট্রীয় সংস্কার শেষে নিরপেক্ষ নির্বাচনের,যেখানে সকল মানুষ নির্ভয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। এর ফলে দেশ পাবে এক নতুন সরকার যেখানে জনমতের সঠিক প্রতিফলন ঘটবে-থাকবে।আর এরই লক্ষ্যে দেশের সকল রাজনৈতিক দল নিজেদের লক্ষ্য স্থির করছে বা কিভাবে তারা নির্বাচনে জয়লাভ করলে দেশ পরিচালনা করবে তা জনগনের সামনে তুলে ধরছে এবং সে বিষয়ে জনমত গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচছে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূলকে গুরুত্ব দিয়ে মাঠ গোছাচ্ছে ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। এজন্য গত বছরের ১৩ জুলাই সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ঘোষিত ‘রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা’ নিয়ে জেলায় জেলায় যাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এসব সমাবেশে নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীর উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের জনগণের হাতে রাষ্ট্রের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের পর বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার হটানোর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে একটি ‘জনকল্যাণমূলক জাতীয় ঐকমত্যের সরকার’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি আরো বলেন, গত এক দশকের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার হীন উদ্দেশ্যে অনেক অযৌক্তিক মৌলিক সাংবিধানিক সংশোধনী এনেছে। একটি “সংবিধান সংস্কার কমিশন” গঠন করে সকল বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক সাংবিধানিক সংশোধনী ও পরিবর্তনসমূহ পর্যালোচনা করে এসব রহিত বা সংশোধন করা হবে। অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সাংবিধানিক সংস্কার করা হবে। সংবিধানে গণভোট ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।
বিএনপি ঘোষিত জাতীয় সরকার রাষ্ট্র রূপান্তরমূলক সংস্কারের লক্ষ্যে ৩১ দফা হলো -
দফা - ১ - প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে সকল মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক “রেইনবো নেশন” প্রতিষ্ঠা করা হবে। এজন্য অব্যাহত আলোচনা, মতবিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ভবিষ্যৎমুখী এক নতুন ধারার সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে। এজন্য একটি “ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন” গঠন করা হবে।
দফা - ২ - বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এবং স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে স্থায়ী সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে একটি “নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার” ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।
দফা - ৩ - সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচারবিভাগের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সুসমন্বয় করা হইবে।
দফা - ৪ - পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
দফা - ৫ - বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সংসদে “উচ্চ-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা ” করা হবে।
দফা - ৬ - আস্থাভোট, অর্থবিল, সংবিধান সংশোধনী বিল এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত এমন সব বিষয় ব্যতীত অন্যসব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মতামত প্রদানের সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর (দেখা হইবে) বিবেচনা করা হবে।
দফা - ৭ - রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত এবং বিশিষ্টজনের অভিমতের ভিত্তিতে স্বাধীন, দক্ষ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও দৃঢ়চিত্ত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠন করার লক্ষ্যে বর্তমান “প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২” সংশোধন করা হবে। ইভিএম নয়, সকল কেন্দ্রে পেপার-ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান নিশ্চিত করা হবে। রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন সংস্কার করা হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করা হবে।
দফা - ৮ - সংকীর্ণ রাজনৈতিক দলীয়করণের ঊর্ধ্বে উঠে সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে এসকল প্রতিষ্ঠান আইনি সংস্কারের মাধ্যমে পুনঃগঠন করা হবে। শুনানির মাধ্যমে সংসদীয় কমিটির ভোটিং সাপেক্ষে এসকল প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে নিয়োগ প্রদান করা হবে।
দফা - ৯ - সংবিধান ও মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। বর্তমান বিচারব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি “জুডিশিয়াল কমিশন” গঠন করা হবে। অধস্তন আদালতসমূহের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধানের কর্তৃত্ব সুপ্রিম কোর্টের নিকট ন্যস্ত হবে। বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি পৃথক সচিবালয় থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অভিশংসন প্রশ্নে সংবিধানে বর্ণিত ইতঃপূর্বেকার “সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল”ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা হবে। এজন্য সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়ন করা হবে। দলীয় বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে কেবলমাত্র জ্ঞান, প্রজ্ঞা, নীতিবোধ, বিচারবোধ ও সুনামের কঠোর মানদণ্ডে যাচাই করে বিচারক নিয়োগ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের লক্ষ্যে সংবিধানের ৯৫(গ) অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা ও মানদণ্ড সম্বলিত “বিচারপতি নিয়োগ আইন” প্রণয়ন করা হবে।
দফা - ১০ - দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ পরিষেবা, জনপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে যোগ্য, অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি “প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন” গঠন করে প্রশাসন সংস্কার ও পুনঃগঠন করা হবে। মেধা, সততা, সৃজনশীলতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসনে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতিতে যোগ্যতার একমাত্র মাপকাঠি হিসাবে বিবেচনা করা হবে।
দফা - ১১ - গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চয়তা বিধান ও সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি, মিডিয়া সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী এবং বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ ও গ্রহণযোগ্য মিডিয়া ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি “মিডিয়া কমিশন” গঠন করা হবে। সৎ ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে; এই লক্ষ্যে আইসিটি অ্যাক্ট ২০০৬, সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর প্রয়োজনীয় সংশোধন ও স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট - ১৯৭৪, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট -২০১৮ সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সকল কালাকানুন বাতিল করা হবে। চাঞ্চল্যকর সাগর-রুনি হত্যাসহ সকল সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার বিচার নিশ্চিত করা হবে।
দফা - ১২ - দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না। বিগত দেড় দশকব্যাপী সংগঠিত অর্থপাচার ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা এবং শ্বেতপত্রে চিহ্নিত দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশের বাইরে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে। দুর্নীতি দমন কমিশন ও দুর্নীতি দমন আইন সংস্কারের পাশাপাশি পদ্ধতিগত সংস্কারের মাধ্যমে 'দুদকের' স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী “ন্যায়পাল ” নিয়োগ করা হবে।
দফা - ১৩ - সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। মানবিক মূল্যবোধ ও মানুষের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং অমানবিক নিষ্ঠুর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অবসান ঘটানো হবে। গত দেড় দশক যাবত সংগঠিত সকল বিচারবহির্ভূত হত্যা, ক্রসফায়ারের নামে নির্বিচারে হত্যা, গুম, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, নির্মম শারীরিক নির্যাতন এবং নিষ্ঠুর ও অমানবিক অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকল ব্যক্তিকে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সুবিচার নিশ্চিত করা হবে।
দফা - ১৪ - অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ ও গবেষক, অভিজ্ঞ ব্যাংকার, কর্পোরেট নেতা, প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তির সমন্বয়ে একটি “অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন” গঠন করা হবে।
দফা - ১৫ - “ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার” এই মূলনীতির ভিত্তিতে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবেন। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং তাদের সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দফা - ১৬ - মুদ্রাস্ফীতির আলোকে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা হবে। শিশু-শ্রম বন্ধ করে তাদের জীবন বিকাশের উপযোগী পরিবেশ ও ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও গণতান্ত্রিক ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা হবে। পাটকল, বস্ত্রকল, চিনিকলসহ সকল বন্ধ শিল্প পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রবাসী শ্রমিকদের জীবন, মর্যাদা ও কর্মের নিরাপত্তা এবং দেশে বিমানবন্দরসহ সকল ক্ষেত্রে হয়রানি মুক্ত সেবা প্রাপ্তি ও ভোটাধিকার নিশ্চিতের ব্যবস্থা করা হবে। চা-বাগান, বস্তি, চরাঞ্চল, হাওড়-বাওর ও মঙ্গাপীড়িত ও উপকূলীয় অঞ্চলের বৈষম্য দূরীকরণ ও সুষম উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।
দফা - ১৭ - বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ খাতে দায়মুক্তি আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল করা হবে। রাষ্ট্রীয় অর্থনীতিতে রক্তক্ষরণ রোধ করার লক্ষ্যে জনস্বার্থবিরোধী কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ে চলমান সীমাহীন দুর্নীতি বন্ধ করা হবে। আমদানি নির্ভরতা পরিহার করে নবায়নযোগ্য ও মিশ্র এনার্জি-নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং উপেক্ষিত গ্যাস ও খনিজ সম্পদ আবিষ্কার ও আহরণে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দফা - ১৮ - বৈদেশিক সম্পর্কের সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ, জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে। সমতা, ন্যায্যতা, পারস্পরিক স্বার্থের স্বীকৃতি ও স্বীকৃত আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান অনুযায়ী দ্বিপাক্ষিক ও বহু-পাক্ষিক সমস্যাদির সমাধান করা হবে। বাংলাদেশ ভূখণ্ডের মধ্যে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী তৎপরতা বরদাশত করা হবে না। কোন সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা আশ্রয়-প্রশ্রয় পাবে না। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দফা - ১৯ - দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সুসংগঠিত, যুগোপযোগী এবং সর্বোচ্চ দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত করে গড়ে তোলা হবে। স্বকীয় মর্যাদা বহাল রেখে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা হবে।
দফা - ২০ - ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর স্বাধীন, শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান করা হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও অন্য কোনো জনপ্রতিনিধির খবরদারি মুক্ত স্বাধীন স্থানীয় সরকার নিশ্চিত করা হবে। মৃত্যুজনিত কারণ কিংবা আদালতের আদেশে পদশূন্য না হলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ করা হবে না। আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নির্বাহী আদেশবলে সাসপেন্ড/বরখাস্ত/অপসারণ করা হবে না।
দফা - ২১ - ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে যার যার অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিবিড় জরিপের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের একটি তালিকা প্রণয়ন করা হবে এবং তাদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান করা হবে। এই তালিকার ভিত্তিতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কল্যাণার্থে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করে একটি সঠিক তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
দফা - ২২ - সমাজের ভিশন, চিন্তা ও আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব-উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে। বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে নানামুখী বাস্তবসম্মত কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী- সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি বিবেচনা করা হবে।
দফা - ২৩ - জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নারীর কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নারীর ক্ষমতায়নে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। জাতীয় সংসদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।
দফা - ২৪ - বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান নৈরাজ্য দূর করে নিম্ন ও মধ্য পর্যায়ে চাহিদা-ভিত্তিক শিক্ষা এবং উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হবে। যোগ্য, দক্ষ ও মানবিক জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৫% অর্থ বরাদ্দ করা হবে। ক্রমান্বয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হবে।
দফা - ২৫ - স্বাস্থ্যকে সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করে “সবার জন্য স্বাস্থ্য” ও “বিনা চিকিৎসায় কোনো মৃত্যু নয়” এই নীতির ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের 'এনএইচএস' এর আদলে সর্বজনীন ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
দফা - ২৬ - স্বাস্থ্যসেবা (ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ) প্রবর্তন করে সবার জন্য স্বাস্থ্য কার্ড চালু করা হবে। বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৫% অর্থ বরাদ্দ করা হবে।
দফা - ২৭ - কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হবে। পর্যায়ক্রমে সকল ইউনিয়নে কৃষিপণ্যের জন্য সরকারি ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও শস্য বীমা, পশু বীমা, মৎস্য বীমা এবং পোল্ট্রি বীমা চালু করা হবে।
দফা - ২৮ - দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে সড়ক, রেল ও নৌপথের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে সারাদেশে সমন্বিত বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। দেশের সমুদ্র বন্দর ও নৌবন্দরগুলোকে আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হবে।
দফা - ২৯ - জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট ও ক্ষতি মোকাবিলায় টেকসই ও কার্যকর কর্মকৌশল গ্রহণ করা হবে। বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বাধুনিক ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করে রাখা হবে।
দফা - ৩০ - তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতকে বৈশ্বিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সর্বক্ষেত্রে প্রয়োগকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। মহাকাশ গবেষণা এবং আণবিক শক্তি কমিশনের কার্যক্রমের প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রায়োগিক সুযোগ সমৃদ্ধ করা হবে।
দফা - ৩১ - এক জাতীয় মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে শহরে ও গ্রামে কৃষি জমি নষ্ট না করে এবং নগরে জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাপ হ্রাস করে পরিকল্পিত আবাসন ও নগরায়নের নীতিমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আবাসন নিশ্চিত করা হবে।
সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে বিএনপি ৩১ দফার রূপরেখা ঘোষণা করার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তখনকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফার রূপরেখাকে অন্তঃসারশূন্য ও অকার্যকর বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন । তিনি বলেছিলেন, " বিএনপির রাজনীতি দফার বিভ্রান্তিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। কখনো ১০ দফা, কখনো ২৭ দফা কখনো ১ দফা, আবার কখনো ৩১ দফা। বিএনপির বিভিন্ন সময়ে ঘোষিত এসব দফা জনগণ ইতোমধ্যেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তাই তারা কিছু দিন পর পর নতুন নতুন দফা নিয়ে রাজনীতিতে টিকে থাকার বার্থ চেষ্টা করছে।'' তিনি আরো বলেছিলেন, " মুখে গণতন্ত্রের কথা বলছে বিএনপি। আসলে গণতন্ত্রের মোড়কে তারা তাদের সেই হিংস্র রাজনীতির পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চায়। গণতান্ত্রিক পন্থায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রধানতম অন্তরায় বিএনপি এবং তার দোসররা। বিএনপির তথাকথিত রূপরেখা ও আন্দোলনের হুমকি বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।"
জনাব ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয়, ''সত্যি সত্যি দেশের জনগন স্বৈরাচার-অপশক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রধানতম অন্তরায় (বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তথা শেখ হাসিনা ও তাহার পাপাচারের সকল সংগী)কে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করেছে।
বিএনপি তাদের ৩১ দফায় তাই বলতে চেয়েছে,''জনগন যদি তাদের পরবর্তী ভোটে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করে তবে তারা আলোচ্য দফার ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করবে''।(রাজনৈতিক দল হিসাবে তারা তাদের আকাংখা জনগনের সামনে তুলে ধরেছে ,যাতে জনগন তাদের সিদ্ধান্ত নিতে পারে)।
সকল রাজনৈতিক দলের মূল লক্ষ্য যদিও দেশের কল্যাণ সাধন তারপরও দল ভেদে রাজনৈতিক দলের করণীয় বা অবশ্য করণীয় কাজে কিছুটা প্রার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। বিএনপি দেশ পরিচালনার যে ৩১ দফা জনগণের সামনে তুলে ধরেছে তার সবগুলোই দেশের মংগলের জন্য একথা ঠিক, তবে তারা ক্ষমতাশীন হলেই তাদের প্রণীত ৩১ দফার সবগুলোই শতভাগ পালন হবে এমন কোন নিশ্চয়তাও নেই । তবে তাদের প্রণীত -
**দফা ২ - দফা - ২ - বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এবং স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে স্থায়ী সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে একটি “নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার” ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।- যা বর্তমান সরকারের আমলে উচচ আদালতের রায়ে বাতিল করা হয়েছে।
দফা - ৩ - সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচারবিভাগের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সুসমন্বয় করা হইবে।
দফা - ৪ - পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। - এই ৩ দফার শতভাগ বাস্তবায়ন করতে পারলেই দেশের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বিএনপি উপস্থাপিত ৩১ দফা নিয়ে দেশে-বিদেশে ও জনগনের মাঝে হবে নানা রকম আলোচনা-সমালোচনা ও পর্যালোচনা। জনগন যদি বিএনপিকে ৩১ দফার আলোকে ভোট দিয়ে দেশ পরিচালনার ভার তাদেরকে দেয় তথা তারা নির্বাচিত হয় বা জনগণ তাদেরকে ভোট দিয়ে শাসকের আসনে বসায় এবং তারা পরিবার-দল-মত-স্বার্থের উপরে উঠে এ তিনটি দফার যদি সফল বাস্তবায়ন করতে পারে তবে, বাকী সব দফার বাস্তবায়ন সহজ হয়ে যাবে বলেই মনে হয়। তবে এর জন্য অনেক কিছু করার (ত্যাগ-সমঝোতা) প্রয়োজন হতে পারে এবং এই তিন দফার সফলতার জন্য দেশে প্রচলিত সকল রাজনৈতিক দল ও এর নেতাদের মাঝে মিল ও একমত হওয়া অতীব জরুরী। কোন দলের একার পক্ষে (আগের শেখ হাসিনা সরকার কিংবা নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা- এ দুটি থেকে এ বিষয়ে সকল দলের উদ্যোগে জাতীয় ঐক্যমত জরুরী ) এ ৩ দফা বাস্তবায়ন শুধু কঠিনই নয় বরং দুরুহ বলেই মনে হয়। অতীতে আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে যেমন অবস্থা (দ্বন্দ্ব-অবিশ্বাস) ছিল তাতে তাদের মাঝে সর্বদলীয় ঐক্য আশা করা কঠিনই ছিল তবে এ বিষয়ে বর্তমানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ ব্যতীত বাকী সব রাজনৈতিক দল গুলোর ঐক্যমত দেশের ও জনগনের কল্যাণে আশা করা যেতেই পারে। যদিও রাজনীতিতে শেষ বলে কোন কথা নেই এবং আওয়ামীলীগও হয়তো এতে রাজী হতে পারে নিজেদের প্রয়োজনেই। কোন একদিন আমাদের দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও নেতারা এ বিষয়েও একমত হবে দেশের ও জনগণের প্রয়োজনে এবং সাথে সাথে আওয়ামী লীগও। সেই আশাবাদই আমার, দেশের মংগলের জন্য - একজন সাধারন নাগরিক হিসাবে।
তথ্যসূত্র -
১। রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা রূপরেখা দিল বিএনপি - https://www.dhakapost.com/politics/207909
২। মাঠ গোছাচ্ছে বিএনপি - নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতি - Click This Link
৩। রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে সক্রিয় হচ্ছে বিএনপি ও যুগপৎসঙ্গীরা - Click This Link
৪। বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা অন্তঃসারশূন্য: ওবায়দুল কাদের - https://www.prothomalo.com/politics/p3hd2mdddy
পূর্ববর্তী পোস্ট -
===============
১৮। শেখ হাসিনা বিহীন ১ মাসের বাংলাদেশ - কেমন কাটলো ডঃ ইউনুসের অধীনে।-
Click This Link
১৭।'' বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন '' নাকি " বাংলাদেশে ও তাহার জনগনের জন্য গজব আইন''?
Click This Link
১৬।"শেখ হাসিনার একটানা ১৫ বছরের শাসন বনাম তথাকথিত আওয়ামী উন্নয়ন " -
Click This Link
১৫।" আসন ভাগা-ভাগি (সিলেকশনে) কিংবা ভোটের আগেই বিজয়ী আওয়ামীলীগ "- এভাবে আর কত দিন?
Click This Link
১৪।"জাতীয় নির্বাচন ২০২৪" - সমস্যা ও সমাধান, কোন পথে - কত দূর?।
Click This Link
১৩।" দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবে আওয়ামীলীগ " এটা কিসের ইংগিত দেয়? - Click This Link
১২। "আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী" - আসুন একনজরে দেখি আমাদের স্বপ্নপুরীর সর্বশেষ অবস্থা।
Click This Link
১১।"স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের আলোচ্যসূচী" - সত্যিটা কি ? Click This Link
১০। " সংবিধান থেকে একচুলও নড়া হবে না" - নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাস্তবতা ।
১ম পর্ব - Click This Link
শেষ পর্ব - Click This Link
৯।"হিরো আলম কার প্রতিদ্বন্দ্বী " - Click This Link
৮। সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ কিংবা বিক্রি - সত্যিটা কি ? - Click This Link
৭।আমেরিকার ভিসা নীতি বনাম বাংলাদেশের ভিসা নীতি-এর পর কি হবে?-
Click This Link
৬। আমার সোনার বাংলা কি কোটিপতি ও খেলাপি ঋণ তৈরীর কারখানা ? - Click This Link
৫। " রংপুর সিটি কর্পোরশন নির্বাচন - লাঙলের জয় ও নৌকা চতুর্থ " - কি বার্তা দেয় আমাদের? - Click This Link
৪। " বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন " - তুমি কার ? -
Click This Link
৩। সামাজিক রীতি-নীতি-শিষ্ঠাচার এখন যাদুঘরে - আপনি কি একমত ? -
Click This Link
২। বর্তমান সময়ে আমরা কি একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও দৃষ্টিশক্তি হীন জাতি বা প্রজন্মে পরিণত হচছি বা হতে যাচছি? -
Click This Link
১। আমাদের সমাজের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়ছে ? -
Click This Link
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ (rufushudson) রুফুশুদসন - আসলে ধন্যবাদ দিব কি দিবনা তা নিয়ে কিছুটা সংশয়ে ছিলাম । তবে সামুতে আপনার জন্ম ও কার্যক্রম বিস্তারিত দেখে ধন্যবাদ দেয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না এবং তা না দিলে আপনার প্রতি অন্যায়ও করা হবে বলে মনে হয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ রুফুশুদসন, সামুতে জন্মের ৭ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের মাঝেই আপনার প্রথম মন্তব্যের জন্য। এভাবেই করতে থাকুন অসংখ্য মন্তব্য (তবে লিখিত বিষয়ের সাথে প্রাসংগিক হলে ভাল হয়)
সামুতে আপনার আমলনামা - আমি বিমোহীত আপনার কার্যক্ষমতা দেকে
পোস্ট করেছি: ০টি
মন্তব্য করেছি: ১টি
মন্তব্য পেয়েছি: ০টি
ব্লগ লিখেছি: ৭ মিনিট ২৪ সেকেন্ড
অনুসরণ করছি: ০ জন
অনুসরণ করছে: ০ জন
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫
নতুন বলেছেন: কিভাবে বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, দূনিতি দমন কমিশনকে সরকারী দলীয় প্রভাব থেকে রক্ষা করা যাবে?
নিয়ম, আইন তো দেশে আছে, কিন্তু আয়ামী পদ্বতীতে দখলিকরন বন্ধ করতে হবে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার ছোট তবে অনেকগুলো প্রয়োজনীয় প্রশ্নের জন্য।
কিভাবে বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, দূনিতি দমন কমিশনকে সরকারী দলীয় প্রভাব থেকে রক্ষা করা যাবে?
- এসবের বাস্তবায়নের জন্য দেশের সকল রাজনৈতিক দল - সুশীল সমাজ,অংশীদার,উন্নয়ন সহযোগী সহ সবার অংশগ্রহন ও সহযোগীতা জরুরী।
অন্যদিকে এসব জরুরী বিষয়ে সংস্কারের লক্ষ্যে উপদেষ্টা পরিষদ কাজ করছেন। আশা করা যায় বাকী সবার অংশগ্রহন ও উপদেষ্টা পরিষদের সহযোগীতায় এবার একটা ভাল কিছু হবে এসব বিষয়ে।
নিয়ম, আইন তো দেশে আছে, কিন্তু আয়ামী পদ্বতীতে দখলিকরন বন্ধ করতে হবে।
- নিয়ম-আইন যদি নিজেদের সুবিধায় প্রয়োগের জন্য হয় তাহলে সেই নিয়ম-আইন জনকল্যাণে কাজে লাগেনা। আশা করি আওয়ামীলীগের পরিণতি দেখে ভবিষ্যতে এ জাতীয় কাজ আর কোন সরকার করবেনা।
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: শুনতেতো ভালই শোনায়। কিন্ত ক্ষমতায় গিয়েতো সবাই সব কিছু ভুলে যায়। আশা করছি অন্তবর্তী সরকার এটলিস্ট চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে দাড়ানোর সুযোগ দেবেন না।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাবিয়ান ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
শুনতেতো ভালই শোনায়। কিন্ত ক্ষমতায় গিয়েতো সবাই সব কিছু ভুলে যায়। আশা করছি অন্তবর্তী সরকার এটলিস্ট চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে দাড়ানোর সুযোগ দেবেন না।
- আমজনতা - আমরা বরাবরই আশাবাদী। অবশ্য এছাড়া আমাদের আর কিইবা করার আছে .
এতদিন সবাই (সকল সরকার) তো আমাদের সামনে মুলো ঝুলিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়েছে আর লংকায় গিয়ে রাক্ষস হয়েছে। তবে এবার আশা করি রাক্ষসীর পরিণতি দেখে নতুন করে আর কেউ রাক্ষস-খোক্ষস-ভোক্ষস হতে চাইবেনা।
৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৮
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার কাজ ও ভাবনা হচ্ছে গরুর রচনা লেখা।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাগাজী ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার কাজ ও ভাবনা হচ্ছে গরুর রচনা লেখা।
- জী ভাই, শুকরিয়া।
আপনার বেড়ি (মন্তব্য করার সুযোগ রহিতকরন) খুলে গেছে দেখে ভাল লাগল ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪
rufushudson বলেছেন: Relive the classic football experience with retro bowl! Draft your players, manage your team, and show the league who’s boss.