নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্তির অনুশীলন করি.....

আরিফ সিদ্দিকি

নিউইয়র্কে থাকি, পড়া লেখা করছি। এখানের বাংলা কমিউনিটি সংবাদ পত্রে কাজ করি।

আরিফ সিদ্দিকি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাবিতে প্রতিদিন ২লাখ টাকার সিগারেট বিক্রি হয়

১১ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শতাধিক ছোট বড় দোকানে সিগারেট বিক্রি হয়। এসব দোকোনে প্রতিটিতে গড়ে প্রতিদিন ২ হাজার টাকার সিগারেট বিক্রি হয় বলে ওই দোকানিরা জানায়। ক্যাম্পাসের বেশির ভাগ ক্রেতাই শিক্ষার্থী। সে হিসাব অনুযায়ী প্রায় ২লাখ টাকার সিগারেট বিক্রি হয়। এদের মধ্যে বেশির ভাগই ব্রিটিশ-আমেরিকান টোবাকো ব্রান্ডের ৫ টাকা দামের বেনসন ও ৩ টাকা দামের গোল্ডলীফ সিগারেট পছন্দ করে। উচ্চবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের পছন্দ ১০ টাকা দামের বিদেশি ব্রান্ড গুদাম গাম। এছাড়া কম দামের কারনে কিছু শিক্ষার্থীরা ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো ব্রান্ডের ক্যাপেস্টান, পলমল ও স্টার এবং দেশি ব্রান্ডের বাংলা ফাইভ, সেনোর গোল্ড, সুপার গোল্ড, নেভী বেছে নেয়। তবে এদরে সংখ্যা বেশি নই। অনেক শিক্ষার্থী আর্থিকভাবে গরিব হলেও বেশী বেনসন/গোল্ডলীফ ছাড়া অন্য সিগারেট খায়না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও টিএসসির ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদানদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক শাহীন ইসলাম বলেন, সখ, ফ্রাসটেশন, ফ্যামিলি, বন্ধু বান্ধবের পাল্লায় পড়ে, সিনেমার নায়ক, মডেল, অনুকরণীয় যে কোনো ব্যক্তি প্রভাবে কারণে ধূমপায়ী ও মাদকসেবী বাড়ছে। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে এই বধ অভ্যাস বিমুখ বা রা করতে যেসব পদে নেয়া যেতে পারে তা হচ্ছে- সচেতনতা বাড়ানো, আইনের যথাযথ ব্যবহার, সম্ভব হলে রাষ্ট্রীয়ভাবে কম্পানীগুলোতে বন্ধ করে দেয়া। এছাড়া ক্যাম্পাস ধূমপান মুক্ত করার জন্য নির্দিষ্ট স্থান চিহ্নিত করে ছোট আকারে পদপে দেয়া।

‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য তিকর’ এ বাক্যটি লেখা রয়েছে সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে। আবার বিজ্ঞাপনচিত্রে ‘ধূমপান বিষপান’, ধূমপান মৃত্যু ঘটায়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার ছাত্রীরা ধূমপানে বেশি আগ্রহী বলে মনে করেন অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরা সবাই ফ্যাশন হিসেবে খায়। ক্যাম্পাসে মেয়েদের সিগারেট

গ্রামের অনেক শিক্ষার্থীই পূর্ব থেকে ধূমপান অভ্যাসে পরিচিত নয়। কিন্তু মূলত পলিটিক্যাল পরিবেশে এসে ধূমপান ও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। আবার অনেকে সখের বসে ও মানসিক কারনেও এ অভ্যাসে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বলেন, কোম্পানি বন্ধ করে দেয়া উচিত।

ক্যাম্পাসে নির্ধারিত জোন করা উচিত। এক সময় অভ্যাসে পরিণত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পূর্বে ধূমপান করতাম না। এখানে ইতিহাস বিভাগের এক স্যার ধূমপান



ধূমপান করেন চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জাবের হোসেন ধূমপায়ী হয়েছেন শিককে অনুকরণ ও সখের বসে করে। এখন তা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ৫০ টাকা ব্যয় হয় শুধু সিগারেটের পিছনে। তিনি বলেন, ক্যাম্পাস ধূমপান মুক্ত হোক তা আমি চাই না। তবে এজন্য অপরের যাতে তি না সেজন্য নির্দিষ্ট এলাকা থাকা উচিত। ধূমপান অভ্যাসে



মেয়েরা কেন ধূমপায়ী হয় সে নিয়ে কথা হয় বেশ কয়েকজন ঢাবি শিক্ষার্থীর সঙ্গে। রোকেয়া হলের ছাত্রী শাহেলা সারমিন মরেন করেন-র্স্মাটনেস, উগ্র মেয়ে ও ছেলে বন্ধুদের পাল্লায় পড়া ও ডিপ্রেশন। তিনি বলেন, ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে জোড়ালো সচেতনতা বাড়ানো উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপীয়ভাবে কঠোর আইন করে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

ফজিলাতুন্নেসা হলের ছাত্রী সোনিয়া বিনতে জাহিদ ও জেসমিন আক্তার মনে করেন- সাধারণত কোন মেয়েই ধূমপায়ী ছেলেদের পছন্দ করে না। শিা জীবনে কেউ কেউ ধূমপায়ীদের সঙ্গে মিশলেও ধূমপায়ীদের ছেলেদের বিয়ে করতে অনাগ্রহ থাকে।

ছাত্রদলের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আবদুল মতিন বলেন, কর্তৃপীয়ভাবে ক্যাম্পাস ধূমপান মুক্ত করতে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা মনে করেন, ক্যাম্পাসে ধূমপান ও মাদক বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। আর ছাত্র সংগঠন হিসেবে সাধারণ শিার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ধূমপানে অনুসাহিত করবে।

ঢাবি প্রক্টর সাইফুল ইসলাম খান বলেন, আমরা চাই একটি মাদক ও ধূমপান মুক্ত ক্যাম্পাস। সে লে কর্মপšা’ নির্ধারণ করা চিন্তা চলছে। কর্তৃপীয়ভাবে প্রচার বাড়ানো হবে। এছাড়া নির্দিষ্ট জায়গা যেমন একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল ও প্রশাসনিক ভবন বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার চিন্তা চলছে। তিনি বলেন, এরই অংশ হিসাবে গত ২৮ দিন ধরে সিগারেট বিক্রি বন্ধ করতে বিশেষ অভিযান চলছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৮:১৯

মানু্ষ বলেছেন: আপনার প্রতিটি লেখাই সুন্দর - চালিয়ে যান - ধন্যবাদ

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৮:৪৩

মৃত৬৬৬ বলেছেন: ২ লাখ টাকা! আমি দিনে মাত্র ১৫ টাকার খাই। আর ওইসব বন্ধ অভিযান বাদ দিন। এখানে কেউ কচি খোকারা পড়েনা যে জোড় করে কিছু করতে হবে।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৩৪

আরিফ সিদ্দিকি বলেছেন: আমিতো বন্ধের কথা বলেনি।প্রক্টর বলেছে।

৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৮:৫৮

ডিজিটাল কলম বলেছেন:
সিগ্রেট খাওয়া ভালো না........যে খায় তার ব্যাপার....... তবে ১৮+ না হলে তাকে নিষেধ করা যেতে পারে

১২ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৩৯

আরিফ সিদ্দিকি বলেছেন: আমি কাওকে নিষেধ করতে চাইনা ,সিগারেট কোম্পানি নিজেই খাওয়ার জন্য অনুউৎসাহিত করে।তার পরেও খায়।আমিও এক সময় খাইছি।পরে ২১দিন টানা হসপিটালে থাকার পর ছেড়ে দেয়েছি।

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২৫

পৃথিবীর আমি বলেছেন: আমিও এক সময় খাইছি।পরে ২১দিন টানা হসপিটালে থাকার পর ছেড়ে দেয়েছি।

কন কি ভাই??? কি হইছিল???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.