নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কি মজার ব্যাপার!
আমার ছোট ছেলেটি সারা দিনরাত কৃষ সাজবে, সুপারম্যান সাজবে, মারামারির অভিনয় করবে! কিন্তু যেই বাথরুমে গিয়ে তেলাপোকা বা ইঁদুর দেখবে, এমনকি আমরা সামনে উপস্থিত থাকাকালীনও তার আশেপাশে তেলাপোকা বা ইঁদুর দৌড়ে যাবে, অমনি ভয়ে আটখানা। এক্কেবারে গায়ের কাছে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে, আড়ষ্ট হ যাবে নয়তো চিৎকার!
ধিঙ্গি মেয়েটা আরেক কাঠি সরেস! ও মাগো, বাবাগো বলে আমার হার্টবিটই নাই করে দিবে!
আমার মনে পড়ে না ছোটবেলায় এসব ভয় পেতাম কিনা! অন্ধকারে ভূত প্রেতের ভয়ে একটু গা ছমছম করতো, তবে খুব ছোটবেলায়ও আমি বাড়ি উঠোনে চাঁদের আলোতে নেচে গেয়ে বেড়াতাম, সুন্দরী কমলা নাচে…!
রাতের বেলায় জানালা দিয়ে বাঁশ বাগানের উপরে পূর্ণিমার চাঁদ অবলোকন করা আর সেই কবিতাটা আওড়ানো আমার আজো স্বভাবের মধ্যে আছে। বিশেষ করে পূর্ণিমা বিলাস বা রাতের আকাশের বিশালতা, নীরবতা অবলোকন করা আমার সারা জীবনের অভ্যেস। কোরিয়ায় থেকে রাতে চলাফেরা করাও একটা অভ্যেসে পরিণত হয়েছে!
আমার মানুষকেই ভয়! দেশে ছিনতাইকারীর ভয়, বিদেশে পাঁড় মাতালের ভয়। কলেজ জীবনের বায়োলজির ক্লাসেই কেঁচো, ব্যাঙ, তেলাপোকার ভয় বা অস্বস্তি কাটিয়ে ফেলেছি!
আমার ছেলেকে অবশ্য শাকচুন্নীর ভয় দেখানো হয়, একা একা ছোটরা বাইরে গেলে শাকচুন্নী নিয়ে যাবে বা দিনের বেলায়ও একা একা বেরিয়ে গেলে রাস্তায় গলাকাটারা বা ছেলেধরারা ধরে নিয়ে যাবে! এভাবেই হয়তো তার মনে ধীরে ধীরে ভয় তৈরী হয়েছে।
নয়তো আরো ছোটবেলার ব্যাপক সাহসী ছিল, তেলাপোকা ধরে মেরে ফেলতো, একা একাই বাবার পিছনে বেরিয়ে যেত অফিসে যাবে বলে। একদম ঠিক আমার স্বভাব! আমিও ছোটবেলায় ফুফুদের পিছে পিছে স্কুলে যেতে চাইতাম, নিতে চাইতো না বলে চুপি চুপি পিছু নিতাম! কিন্তু রাস্তার ওঠার আগেই খালের উপরে সাঁকো ছিল, সেটা পেরোতে পারতাম না, তাই সাঁকোর এপারেই বসে থাকতাম! তখন অবশ্য আমাকে কেউ মেয়ে ধরার ভয় দেখায়নি! দিনকাল ভাল ছিল!
আজ রাতে যখন রাকীন আবারো তেলাপোকার দেখে বাথরুমে যেতে ভয় পাচ্ছিল, আমি বললাম তুমি না সুপারম্যান! তুমি না কালকেই কতগুলো সুপারহিরো কিনে আনলে। এগুলো তেলাপোকাকে দেখিয়ে দাও! সে ভয় পাবে!
আমার ছেলের সে কি বুদ্ধি! ওগুলো তো খেলনা! ওরা তো সত্যিকারের নয়! ওরা পারবে না তেলাপোকা মারতে! তো, আমিই লেডি মাস্তান সাজলাম! বললাম, শোন তেলাপোকা, আমি কৃশ-এর মা হই, সুপার হিরোর মা হই, আর এক পা এগোবি তো! তারপর ছেলে বাথরুমে গেল!
আমি মনে মনে ভাবলাম সে এই বয়সেই বুঝলো এই ডামি পুতুলগুলো কেবলি খেলার জন্য, বাস্তব উপকারের জন্য নয়! আমাদের আদি পিতা ইব্রাহীমও এরকম বলেছিলেন তার জাতিকে যে তোমাদের নিজেদের হাতে গড়া মূর্তি তোমাদের কোন উপকারে আসতে পারে না, তারা তো নিজেদেরই রক্ষা করতে পারে না!
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩২
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: রাকীনের বয়স কত?
৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: বাচ্চাকে ভয় দেখাবেন না। তাকে আনয়ান্দ নিয়ে বড় হতে দেন।
৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: কথাটা প্রচলিত : বনের বাঘ না এলে ও মনের বাঘ আসে !
....................................................................................
আমাদের দেশের শৈশবকাল কাটে মায়েদের সেকেলে ধ্যান ধারনা বিশ্বাসের উপর ।
বাচ্চাকে নিয়ন্ত্রন না করতে পারলে, সকল মা'রাই ভুতের ভয় দেখায় ।
আমরাও একরকম সেভাবেই বড় হয়েছি । এরপর তো সামাজিক ও রাজনীতির ঘোরচক্কর
ফলাফল কি আসল ?
বিদেশের মাটিতে দেখলাম ৩০/৩৫ বৎসরে একজন সার্জন নামকরা ডাক্তার
সেখানে আমরা তখনও শিশু ! আমাদের এই শিশুত্ব আর কতদিন চলবে ?
..................................................................................................................
আমার পর্যবেক্ষন (সিডনী) : এদেশের মায়েদের দেখলাম সারাদিন কাজ করার পর, বিকেলে কেউ ঘুমায়না
বিকেলে বের হয় বাজার করতে বা হাঁটতে কিন্ত নিজ ছোট বাচ্চাটি ট্রলিতে, ট্রলিতে চারটা বাচ্চাও দেখেছি ।
সব কাজেই তারা আছে মায়ের সঙ্গে ।
একজন আমাকে বলছিল, আশ্চর্য বাচ্চারা কাদঁছে না, বা বিরক্ত করছেনা । মনে হয় এগুলো বোকা ।
আসলেই কি বোকা ? এরা প্রশিক্ষিত, প্রতিটি মা তার বাচ্চা হবার পূর্বে পড়াশুনা করে বাচ্চা কিভাবে লালন
পালন করতে হবে ? প্রসুতি কালীন ছুটি ৬ মাস থেকে বেড়ে একবৎসর হলো ?
প্রসুতি কালীন মা ও বাচ্চার সুষ্ঠ স্বাস্হ্য ও মানসিক বিকাশের জন্য ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৪
বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?
বহদিন পর পোস্ট দিলেন।