নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চুপ থাকা, নির্লিপ্ততা! আপাততঃ ধ্যান করছি।

নাজনীন১

আমি বাংলাদেশি নারী।

নাজনীন১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটবেলায় পরিবারকে লুকিয়ে করা দুষ্টুমীগুলো

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২২

আমাদের অনেকের শৈশবই দূরন্ত থাকে। তবে আমার মেয়েবেলাটা এতোটা দূরন্ত না হলেও দুষ্টুমীর কমতি ছিল না। কিছুটা বড়দের সাথে মিলে, কিছুটা বান্ধবীদের সাথে মিলে, একসময়ে বড় হয়ে ক্লাসমেটদের সাথে।

দুষ্টুমী ১ঃ আমাদের গ্রামের বাড়িতে আমার দাদুর বাড়ীর পাশেই আব্বার বড় চাচা মানে আমার বড় দাদার জমি ছিল। নানা কারণেই ওই দাদার সাথে আমার দাদুর মনোমালিন্য হতো। বলা যায় আমাদের মনে এক ধরণের বিরক্তি ছিল ঐ দাদার ব্যাপারে। তাই কোরবান ঈদে যখন সবাই বাড়িতে ঈদ করতে যেতাম, আমার ছোট দুই চাচাসহ আরো কয়েকজন মিলে বাড়ীর পাশের ক্ষেত থেকে আখ চুরি করে খেতাম। উনার তাল গাছ থেকে তাল পড়লেও কেউ আগে টের পেলেই ঐ তাল চুরি করে নিয়ে আসা হতো। উনাকে জানানো হতো না, তবে আমি প্রত্যক্ষভাবে ঐ তাল চুরি করে আনার সাথে ছিলাম না। তবে তাল বানানো পিঠা খেয়েছি।

দুষ্টুমী ২ঃ আমার বিখ্যাত একজন চাচা, যিনি যথারীতি আমার বন্ধুর মতোও, নোয়াখালীতে আমাদের বাসায় আব্বার তত্ত্বাবধানে লেখাপড়া করতেন। উনি হরিনারায়ণপুর স্কুলের সামনে তৎকালে নোয়াখালীতে বিখ্যাত মাইজদীর রৌশনবাণী সিনেমাহলে স্কুল ফাঁকি দিয়ে সিনেমা দেখতেন। বাসায় এসে বিকেলে পাড়ার বন্ধুরা মিলে আলোচনা করতো সিনেমাতে কি কি দেখিয়েছে। আমিও কাছে ধারে দেখে সব শুনে ফেলতাম, কিন্তু উনাদেরকে কিছু বলতাম না। এরপর সন্ধ্যায় আব্বা পড়াতে বসলে স্কুলে কি কি পড়িয়েছে এগুলো জিজ্ঞ্যেস করতো, বা স্কুল থেকে উনার কাছে রিপোর্টও আসতো, দিত মাইর চাচাকে। যেদিন আব্বা কোন খবর পেত না, সেদিন আমিই বলে দিতাম, আজকে চাচ্চু সিনেমা দেখেছে। আর যায় কই। ধুম ধুম মাইর পিঠে। এরকম কয়েকদিন করার পর একদিন চাচা আমাকে এমন মাইর!!! |-)

দুষ্টুমী ৩ঃ এই একই চাচা নামাজ ফাঁকি দিত। আব্বা মাগরিবের টাইমে বলে যেত অযু করে মসজিদে নামায পড়ে আয়। চাচা বলতো আসছি, আপনি যান। আব্বা মসজিদে ঢুকে যেত, চাচা যথারীতি তার বন্ধুদের নিয়ে মসজিদের বাউন্ডারীর ভিতরে গল্পে রত। নামায পড়তে ঢুকে নাই। আমিও পিছে পিছে দেখে আসতাম চুপি চুপি। আবারো আব্বা বাসায় আসলে বলে দিতাম সব। এবারো বকা খেত। এমন করে যে চাচাকে কত বকা খাইয়েছি! B-)

দুষ্টুমী ৪ঃ ক্লাস ফাইভে পড়ি। ভীষণ গরম তখন, অনেক লম্বা দিন। আম্মা আমাকে রোযা রাখার অভ্যাস করাতেন। ভীষণ কষ্ট হতো। আমার ছোট ভাই তখন খুব ছোট, সেরেলাক খেত। আমি বিকেল হতে ক্ষুধা-তৃষ্ণার জ্বালায় অস্থির হলে কোনদিন লুকিয়ে সেরেলাক কখনো রোযা ভাঙ্গার কথা বলতাম না। হাতের মুঠোয় নিয়ে খেয়ে ফেলতাম, নয়তো টিউবওয়েল-এ গিয়ে বারে বারে কুলি করতাম গলা ভেজানোর জন্য। কিন্তু আম্মার সামনে সন্ধ্যাবেলায় ক্ষুধার্তের মতো ইফতার করতাম। 8-|

দুষ্টুমী ৫ঃ দশম শ্রেণীতে পড়ার টাইমে আমি আর আমাদের এক অতি দুষ্টু বান্ধবী অপর্ণা স্কুলের গাছ থেকে আম চুরির প্ল্যান করি। প্ল্যানটা এরকম, আমাদের ক্লাসরুম তিনতলায় ছিল। ঠিক তার পাশেই প্রায় কাছাকাছি উচ্চতার একটা আমগাছ ছিল। আমি ইচ্ছে করে স্কার্ফ গাছে ফেলে দিব। অপর্ণা সেটা গাছে উঠে আনতে গিয়ে আমও পেড়ে নিয়ে আসবে। আমরা অবশ্যই আমাদের অতি কড়া সহকারী প্রধান শিক্ষিকা বেবি আপার ভয় পাচ্ছিলাম, যে উনি টের পেলেই বলতে হবে স্কার্ফ বাতাসে পড়ে গেছে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ! আমি স্কার্ফ ফেলে দিলাম। অপর্ণা নিচে গেল, ঠিকই টাইম মতো কিভাবে যেন বেবী আপা এসে হাজির। অপর্ণা তো ভয়েই শেষ, আমিও উপর থেকে দেখে ভয়ে ভয়ে আছি। তবুও অপর্ণা মিথ্যেটা বলতে পেরেছে। কিন্তু আপাও নাছোড়বান্দা। উনি ঠায় নিচে দাঁড়িয়ে আছেন, শুধু স্কার্ফই আনা যাবে। আর কিছু করা যাবে না। বেচারী অপর্ণা আর কি করবে, শুধু স্কার্ফ নিয়ে মুখ কালো করে চলে এসেছে। |-) মনে হয় বেবী আপা মুচকি মুচকি হেসেছিলেন, সেটা দেখার আর সুযোগ হয়নি।

দুষ্টুমী ৬ঃ স্কুল লাইফে দূরে কোন বান্ধবীর বাসায় যাওয়া নিষেধ ছিল। আমরাও কম যাই না। ঈদের দিন আগে থেকেই আমরা প্ল্যান রেডি করে রাখতাম। কাছের এক বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার কথা বলে মাইজদী শহরের এ মাথা ঐ মাথা অনেক বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে চলে যেতাম। একজনে বাসায় যেতাম, একজন করে জুটাতাম। এমন করে করে বিকেল পর্যন্ত প্রায় দশ বারোজন একসাথ হয়ে যেতাম। তারপর সবাইকে নিয়ে আমার বাসায় যেতাম, বলতাম কাছেই সুখীদের বাসায় সবাই এসেছে। সেখান থেকে আমাদের বাসায় এসেছে। আম্মা আমার এই মিথ্যে কোনদিন ধরতে পেরেছে কিনা জানা নেই। আজ পর্যন্ত বলি নাই।

দুষ্টুমী ৭ঃ মাইজদীতে প্রচুর বৃষ্টি হয়। একদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার টাইমে খুবই ঝমঝম বৃষ্টি। আমি আর মুক্তা মিলে স্কুলের পেছনের রাস্তা দিয়ে বাসায় ফিরছিলাম। হঠাতই কুবুদ্ধি মাথায় এলো। চল, এই বাড়িগুলোর ভিতর দিয়ে যাই, কাদামাটি দিয়ে। যেমন ভাবা তেমন কাজ! পাকা রাস্তা রেখে কাঁচা উঠোন দিয়ে হাঁটা শুরু। আমি আর মুক্তা কে কয়বার পিছল খেয়ে পড়ে গেছি আর পড়ে গিয়ে কি বিপত্তি! হয় জুতা হাত থেকে ছিটকে পড়ে, নয়লে ব্যাগ কাঁধ থেকে পড়ে বই ভিজে যায়। কে কয়বার পড়লাম, কেমন করে পড়লাম, পড়ে কি হলো, খুবই আলোচনার বিষয়। শেষমেষ একবার মুক্তা বা আমি কেউ একজন কেঁদে ফেলারই অবস্থা। :(( আর পারছি না! রাস্তাও শেষ হয় না, ফিরে যাবারও উপায় নেই। জামা কাঁদায় মাখামাখি, রাস্তা দিয়ে আর যাওয়া যাবে না। কোনরকম বাড়ির উঠোন পেরিয়ে ক্ষেতের আইল পেরিয়ে কোনাকুনি বাসায় ফিরলাম বটে, বাসায় গিয়ে আর কি হলো আজ আর মনে নাই!

স্কুলে আমরা ষাটজনের একটা ব্যাচ ছিলাম। একেকজন এমন বাহারী দুষ্টুমী করতাম যে ক্লাস টিচার কাসেম স্যার একটা কথা আমাদের প্রায়ই শোনাতেন, কুকুরের লেজ বারো বছর ধরে চুঙ্গির ভিতরে ঢুকাইয়া রাখলেও সোজা হয় না, তোরা হইছস সেরকম শয়তান! আর মানুষ হবি না!
ছোট বেলা থেকে আজ পর্যন্ত মানুষই হইতে পারলাম না! আফসুস!

দুষ্টুমী ৮ঃ স্কুল- কলেজে পড়াকালে পূজোর সময় হিন্দু বান্ধবীদের বাসায়, স্যারদের বাসায় দল বেঁধে সবাই বেড়াতে যেতাম। রমানাথ স্যারের বাসায় গিয়ে, স্যার আপনাকে দেখতে আসছি। স্যার গান প্র্যাকটিস করছিলেন ছাত্রদের নিয়ে। আমাদের গণিতের শিক্ষক। স্যার উত্তর দিলেন, সে তো দেখতে পাচ্ছি। আসো আসো, ভিতরে বসো, তোমাদের আন্টি আছেন, গল্প কর। আমরা ভেতরে গিয়ে বসলাম। আগে থেকেই প্ল্যান, সব খাওয়া যাবে না, অনেক বাসায় যেতে হবে। অতএব,…। আন্টি অনেক গল্প করলেন, বিশেষ করে উনি কতটা সিরিয়াস মা, আর কতটা ফাঁকিবাজ কলেজ টিচার সেটার গল্প করলেন। মেয়েকে নিয়ে নাচ শেখাতে গিয়ে উনার অনেক ক্লাস মিস হয় বা হেরফের হয় এরকম। একসময় আমাদের সন্দেশ, নাড়ু খেতে দিলেন কয়েক পদের। আমরা খুবই শর্মিন্দা ভাব ধরে হাত গুটিয়ে রাখলাম। একটা নেই তো নেই না এমন ভাব! আন্টি বুঝলেন আমরা লজ্জা পাচ্ছি। আচ্ছা তোমরা খাও বলে উনি চলে গেলেন পাশের রুমে। যেই না উনি গেলেন অমনি কাড়াকাড়ি পড়ে গেল। সবাই সব চালান করে দিলেম ব্যাগে। আর হাতে একটা একটা করে রাখলাম। একটু পর আন্টি এসে দেখলেন সব সাবাড়। আমরা খুবই উচ্ছ্বাসের সাথে বললাম, আন্টি সব খেয়ে ফেলেছি। :-0 আন্টি বলে গুড! এরপর আমরা আরো কয়েকজনের বাসায় গিয়ে একই কাজ করলাম।

দুষ্টুমী ৯ঃ সেই ক্লাস সিক্স থেকে টেন পর্যন্ত কত যে স্যার আপাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সেবা প্রকাশনীর প্রেমের গল্পের বই, ওয়েস্টার্ন সিরিজ, দুস্য বনহুর, তিন গোয়েন্দা পড়া হয়েছে তার তো কোন ইয়ত্তাই নেই! একেবারে সামনের বেঞ্চে বসে ক্লাসে প্রথমেই পড়াটা দিয়ে আমি আর অপর্ণা একেকটা বই পড়া শুরু করতাম, বিকেল হতে হতে স্কুল ছুটির আগেই পড়া শেষ। এভাবে সারা ক্লাসে একেকটা বই ঘুরতো সবার হাতে হাতে। অনেকেই এই কাজ করতো। বই কিনতো অল্প কয়েকজন, বাকীরা ফ্রি ফ্রি পড়তো! আরো ছিল ভিউ কার্ড কেনার ধুম। আমি শুধু টাকা দিতাম, ক্লাসের দুই একজন দূরন্ত বান্ধবী টিফিন পিরিয়ডে স্কুলের দেয়াল টপকে দোকানে গিয়ে কিনে আনতো। আমরা কেউওই এগুলো স্যার-আপাদের কাছে কখনো স্বীকার করিনি। মাঝে মাঝে কেউ কেউ হয়তো ধরা পড়তো, বেশির ভাগ দিনই ফাঁকি দেয়া যেত। আপারা ঠিকই আড়ালে জিজ্ঞ্যেস করতেন আমাদেরকে। আমরা কিচ্ছু জানি না। :-<

দুষ্টুমী ১০ঃ ঢাকা ভার্সিটির লাইফে অনেকটাই স্বাধীন ছিলাম। আব্বা-আম্মার বিশেষ অনুমতি নিতে হতো না। হলে থাকবার কারণে অনেক ঘোরাঘুরি করেছি নিজের ইচ্ছেই, লুকানো বা বাসায় শেয়ার করার বিশেষ দরকার বোধ করিনি। তাই সেগুলো ঠিক লুকোনো দুষ্টুমী বলা যাবে না। অনেক পিকিনিকের খব্র আব্বা-আম্মা জানতেনই। তখন আর না বলতেন না। তাই গোপনীয়তা মজাটা আর ছিল না। কোরিয়ায় গিয়ে আরেকবার দুষ্টুমী করেছি। ল্যাব ফাঁকি দিয়ে দুই তিনদিনের জন্য চলে গিয়েছিলাম জেজু ট্যুরে। জেজু কোরিয়ার অন্যতম বিখ্যাত দ্বীপ। বিখ্যার হালা সান (পর্বত) সেখানে আছে। সেখানে গিয়ে এক কনফারেন্সে স্টুডেন্ট রিসার্চার সেজে ঢুকে চা-বিস্কিট খেয়ে বেরিয়ে এসেছি। এরপর হোন্ডা ভাড়া করে হালাসান আরোহণে গিয়েছি। এটা খুবই একটা থ্রিলিং ভ্রমণ, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না এবং অবশ্যই বাসায়ও বলা যাবে না। কোরিয়ায় হঠাত হঠাতই ল্যাবমেটদের সাথে কোন এক ভাই-ভাবীর বাসায় গিয়ে রাত বিরেতে আনটাইমে চা খেতে যাওয়ার মজা, রোববারে কখনো এই বাসায় আড্ডা-দাওয়াত, কখনো ঐ বাসায় আড্ডা-দাওয়াত লেগেই থাকতো। বেশির ভাগই বাসায় শেয়ার করতে পারতাম না। বললেই শুনতে হতো, খুব ফুর্তি হচ্ছে, ছেলে মেয়ে দেশে রেখে খুব মজায় দিন কাটাচ্ছো! তাই এই আনন্দগুলো বেশির ভাগ নিজের কাছে স্মৃতি হিসেবে থেকে গেছে। বাসায় শেয়ার করা হয়নি।

দুষ্টুমী ১১ঃ আমাদের দেশে এক সময়ে তেমন একটা ট্রাফিক আইন মানা হতো না, ফুট ওভার ব্রিজ খুব কমই সবাই ব্যবহার করতো। এই অভ্যাসটা কোরিয়াতেও গিয়ে থেকে গেছে, একটু ডাউন টাউন হলেই আর রাস্তায় গাড়ি কম দেখলে, বিশেষ করে রাতের বেলায়, সোজা রাস্তায় নেমে যেতাম। আমাদের এক সিনিয়র ভাই শিখিয়ে দিয়েছিলেন, হঠাই ট্রাফিক পুলিশ দেখে ফেললে, বলতে হবে, হাঙ্গু মাল মোল্লায়ও, মানে কোরিয়ান ভাষায় কি বলছো কিছু বুঝি না। এরপর যত তাড়াতাড়ি পারা যায় সেখান থেকে সটকে পড়তে হবে। যদিও বেকায়দায় পড়ি নাই কখনো, কদাচিৎ আইন ভঙ্গ করেছি। তাই পুলিশের মুখোমুখি হতে হয়নি। দেশেও কয়েকবার প্রায়ই ট্রাফিক পুলিশ ধরে ফেলছিল, একটুর জন্য বেঁচে গেছি! :-P

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:০৫

শায়মা বলেছেন: আপুনি!!!

কত্তদিন পর!!

কোথায় ছিলে??

কেমন ছিলে???

ছোটবেলায় এত দুষ্টু ছিলে!!! #:-S

৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:১৫

নাজনীন১ বলেছেন: হ্যাঁ ছিলাম তো! এখনো দুষ্টু আছি! তুমি কেমন আছ? তুমি তো সতত প্রতিনিয়ত ব্লগার। ব্লগার জুন আপু আর তুমি সতত!

২| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিরোমন্থন। মেয়েরা সাধারণত শান্ত, ভদ্র হয় আর ছেলেরা দুষ্ট বেশী হয়। আপনি ছিলেন বিপরীত। ছেলেদের সাথে বেশী মিশতেন মনে হয়।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:১৬

নাজনীন১ বলেছেন: ছোট বেলায় ফ্যামিলির ছেলেদের সাথে তো মিশেছি। বাইরে তেমন মেশা হয়নি। তবে বড়কালে ছেলেদের সাথেও মিশে দুষ্টুমী করি। তবে আমরা মেয়েরাই অনেক পারি!

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:১৮

শায়মা বলেছেন: তুমি আসো না কেনো??

পি এইচ ডি তো কবেই শেষ!! :)

৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:২৪

নাজনীন১ বলেছেন: আসলে সোশাল নেটওয়ার্কে কম আসি, অনেকের সাথে ঝগড়া লেগে যায় তো! :|

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৩০

শায়মা বলেছেন: শুনো অবসর সময়ে আসবে!!

ছুটিতে ঝগড়া!!!

সব কিছুই মূল্যবান জীবনে।

কত কিছু শেখা যায় ঝগড়া থেকে। :)

৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:০৩

নাজনীন১ বলেছেন: মাঝে মাঝে নিরবে এসে তোমার ব্লগ পড়ে যাই কিন্তু। এই মাসে দুই মাসে একবার আসি, ঢু মেরে যাই। কিছু পোস্ট পড়ে যাই। মন চাইলে কমেন্ট করি, নয়তো লগ ইন করি না। আবার নিরবে চলে যাই। বুঝোই তো, পুরোনো ভাল লাগার জায়গা। মায়া ছাড়তে পারি না। :)

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার প্রথম দুষ্টমির কথায় বুঝা গেছে
আপনি আপনার বড় দাদাকে অপছন্দ করতেন!
নিজের দাদাকে দরফ ভরা কণ্ঠে দাদু আর তাকে
দাদা!

অনেক দ্যষ্টামির কথা জানলাম তবে
অনেকগুলো রইলো অজান!

৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:০১

নাজনীন১ বলেছেন: ্দাদু হলো দাদার স্ত্রী, মানে দাদী। আমরা দাদু বলতাম। মানে হলো গিয়ে ভাবী-দেবর মনোমালিন্য ছিল। ভাল থাকবেন।

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বহুদিন পরে আপনাকে দেখলাম মনে হয়! মাঝে মধ্যে আমাদের মতো গরীবদের একটু খোজ-খবর নিয়েন!

আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন শুনে দুঃখ পেলাম। ব্লগে শুনি, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা পাশ করে বের হয়, তাদের মগজ থাকে না। আমিও এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র ছিলাম। ভাবছি, একটা সিটি স্ক্যান করে দেখবো, স্যাররা আসলেই মগজ রেখে দিল কিনা!!!! B:-)

আপনি কুট্টিকালে দুষ্টু ছিলেন জানলাম, আমি অবশ্য হাবাগোবা টাইপের নাদুস-নুদুস একটা কিছু ছিলাম। এখন বড় হয়েও অবস্থার খুব একটা যে পরিবর্তন হয়েছে, তা বলা যাবে না। আপনার আরো কাহিনী জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে রইলাম।

১৭ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪৯

নাজনীন১ বলেছেন: আর জামাই বলে আরো দু:খের কথা। যাহারা শিক্ষকতা করে তাহারা নাকি দিনে দিনে পাগল হয়ে যায়! আমি ইতিমধ্যে আধ পাগল! আরো লেখাপড়া করলে নাকি ফুল পাগল হয়ে যাব! :((

৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩০

কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার লাগল। নষ্টালজিক হলাম। এসএসসি পড়ি তখন, আমরা কয়েক বন্ধুরা মিলে প্রায় এক চাচার ডাব গাছ থেকে ডাব চুরি করে খেতাম। একবার আরেক চাচার কলা বাগান থেকে কলা চুরি করতে গিয়ে ধরা খাই, পরে যেই চাচার গাছ থেকে ডাব চুরি করতাম সে এসে বলল ভাতিজা আমার গাছের ডাবও কি তোমরা চুরি করতা! সে এক রকমের জীবন গেছে!

আপনি কোরিয়া থাকেন শুনে ভাল লাগল, আমি জীবনের গুরুত্বপুর্ন্য সময় কোরিয়াতে কাটিয়েছি পড়াশুনার তাগিদে ( ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স কোরিয়াতে করেছিলাম), জেজু গিয়েছিলাম আমি, আমাদের সকল কেজিএসপি সকল ছাত্র ছাত্রিদের নিয়ে গিয়েছিল সেবার।

১৭ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫২

নাজনীন১ বলেছেন: ও আপনিও কোরিয়ান এলামনাই! এখন কোথায় আছেন? আমি এখন দেশেই আছি। শবে বরাতের রাতে অনেক ঈমানদার তরুণেরাই মানুষের গাছের ডাব, কলা সাবাড় করে। আর ২১শে ফেব্রুয়ারির আগের রাতের গাদা ফুল চোরেরা!
আমার ছেলেও চুরি না বুঝেই পার্কের ফুল ছিঁড়ে ফেলে।

৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৩

রানার ব্লগ বলেছেন: আম্মা হজমী খেতে দিতো না তাই চুলার কয়লার সাথে লবন মিক্স করে বেটে গুড়া করে খেতাম, স্বাদ হজমীর মতোই !!!

১৭ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪

নাজনীন১ বলেছেন: কি বলেন! ইয়াক থু! মুখ কালি হয়ে যেত না! :-P

৯| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:০৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহা মজার অভিজ্ঞতা !

১৭ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬

নাজনীন১ বলেছেন: আরে আপু। কেমন আছেন! আপনিও তো মনে হয় রোকেয়া হল এলামনাই। সেখানেও মেয়েরা গাছে উঠে কিছু পাড়তে চাইলেই বেরসিক ম্যাডামেরা যে কি করে টের পেয়ে যেত! তবে আমার রুমমেটরা ক্যাম্পাসের কাঁঠাল চুরি করে সাকসেস্ফুল অপারেশন! :>

১০| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২১

অক্পটে বলেছেন: ভাল লাগল। সত্যি বলতে কি একটু রিফ্রেস হলাম। আমি আমার অতীতে ফিরে গেছিলাম। আহা কত আনন্দময় ছিল সেসব দিন গুলো। জীবনের তো ব্যাগ গিয়ার নেই, থাকলে ওইসব দিনে গিয়ে বসে থাকতাম চুপটি করে। শত ডাকাডাকি করলেও আর ফিরে আসতামনা।

১৭ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

নাজনীন১ বলেছেন: টাইম মেশিন আবিষ্কার না হলেও স্মৃতি রোমন্থন মানুষের জীবনে অংশ! একদিন ঠিকই টাইম মেশিন আবিষ্কার হয়ে যাবে!

১১| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: দাদু হলো দাদার স্ত্রী, মানে দাদী। আমরা দাদু বলতাম।

আমরা জানি দিদা হলো দাদার স্ত্রী, অর্থাৎ দাদী।
দাদু পুংলিঙ্গ অর্থাৎ দাদা। সে যা হোক পরিবারকে লুকিয়ে
করা অন্যান্য দুষ্টুমী গুলোকি একান্তই ব্যক্তিগত!

১৭ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯

নাজনীন১ বলেছেন: এবার আপনাদেরগুলো লেখেন! আরো আছে ভয়ংকর এডভেঞ্চার, সেগুলো বলা যাবে না! :-&

১২| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:১১

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: ছোট ছোট জীবনের গল্প। পড়ে প্রীত-নষ্টালজিক হলাম। নিজের জীবনের দুষ্টমীগুলো ছবির মতো লেন্সর সামনে ভাসেছে-হাসছে। শুভেচ্ছা রইলো।

১৭ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:০০

নাজনীন১ বলেছেন: আরে চোখের সামনে ভাসলে হবে! লিখেন, আমরা পড়ে মজা পাই!

১৩| ১৭ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩

অক্পটে বলেছেন: আপনি নূরু ভাইকে প্রতিউত্তর করেছেন এতদিন পর...
নূরুভাই আমাদের সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে
গেছেন।

আপনার লেখা খুব ভালো লাগে, এখানেও একটু সময় দেয়ার
চেষ্টা করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.