নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।
২০০৮ এর ডিসেম্বরে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে বিজয়ী হলেও ২০১৪-২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ খালি মাঠে গোল দিয়েছে। এ পর্যায়ে শেখ হাসিনার আত্মবিশ্বাস এমন বাড়া বাড়ল যে, তিনি আমেরিকাকেও গোনায় ধরলেন না। ২০২৪ এ তো ডামি নির্বাচন করে মহাকাশে উঠে গেলেন। দিন যে সবসময় একরকম যায় না; এটা উনিও বুঝলেন না, উনার নেতাকর্মীরাও বুঝল না। সর্বশেষ পচা শামুকে পা কাটলেন।
আওয়ামী লীগের পতনের পর বিএনপি-জামায়াতিদের খুশিতে বাকবাকুম অবস্থা। আওয়ামী লীগের বিলুপ্তি চাচ্ছে। আচ্ছা, তাদের অপকর্ম কি একাত্তরের জামায়াতের চেয়েও বেশি? জুলাই থেকে আগস্টের ৫ তারিখ পর্যন্ত ধরি ২০০০ মানুষ মারা গেছে। আগস্টের ৫ তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত কতজন মরল? এসবের বিচার কে করবে?
ব্লগেও দেখছি এক পাক্ষিক বাক-স্বাধীনতা। এক-দুইজন আওয়ামী লীগের হয়ে পোস্ট দিত; এরা এখন পলাতক। এতদিন যারা বাক-স্বাধীনতার কথা বলে চিল্লাত তারা এখন অন্যদের কথাই বলতে দেয় না। এক অচল মাল দেখলাম শেখ হাসিনাকে ডাইনি সম্বোধন করে পোস্ট দিল। পতিতা, স্বৈরাচারী আরও কত বিশেষণ তথাকতিথ শিক্ষিতদের। শেখ হাসিনার সাথে মৃণাল কান্তি নামে একজনকে জড়িয়ে অশ্লীল কথাও বলা হলো (শেখ হাসিনার জন্ম ১৯৪৭ আর মৃণালের ১৯৫৯। ১৯৭১ সালে জয়ের জন্মের সময় মৃণালের বয়স ১২। একটু গুগল করলেই জানা যাবে)। বঙ্গবন্ধুকে দেবদাস চক্রবর্তী বলে গুজবও রটানো হলো। অথচ ব্লগে এখনও দেখলাম না ফালুর সঙ্গে জড়িয়ে খালেদার নাম নেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার জন্ম নিয়েও কোনো আলোচনা-সমালোচনা দেখিনি শুধু ৫টা জন্মতারিখ ছাড়া।
শেখ হাসিনার সময় তার প্রশংসা করলে উন্নয়ন উন্নয়ন বলে ভেঙ্গানো হতো। এখন যখন দেশ স্থিরতার দিকে যায়নি, এ নিয়ে কথা বললে আফসোসলীগ বলে উপহাস করা হচ্ছে। এই দুই শ্রেণির পার্থক্য কোথায়? আগে আওয়ামী লীগ লাভবান ছিল, এখন বিএনপি-জামায়াত। সাধারণের কী লাভ হলো?
©somewhere in net ltd.