নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মান্ধদের প্রশ্রয় দিলে কী হয়?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৭


বাংলাদেশের অনেক মানুষ শরিয়া আইন চায়। কিন্তু এর রূপরেখা কী এটা বলতে পারে না। উদাহরণ হিসেবে একটা দুটো দেশের নাম বলতে পারে না। সৌদিতে কি শরিয়া আইন আছে? এমন শাসন হলে কেমন হয়? দারুণ না? কিন্তু সৌদির লোকেরা আমাদের মা বোনদের ধর্ষণ করে কেন (ধর্ষিতার আবার ৪ সাক্ষী জোগাড় করতে হয়)? বাঙালিদের মানুষই মনে করে না কেন? এখানেই কবি নীরব।

পাকিস্তান, আফগানিস্তান কেমন দেশ? সাচ্চা মুসলমানের দেশ? বোমা হামলা কেন হয়? আমেরিকা তো নেই। ওদের ওখানে অরাজকতা কারা করে?
আল কায়েদা, তালেবান, বোকো হারাম কেমন? ইহুদি নাসারাদের তৈরি সংগঠন। সদস্যরা সব মুসলিম কেন? কবি নীরব। ম্যা ম্যা করতে করতে, ওরা সহি মুসলমান নয় (অথচ ওরা মরলে শোক প্রকাশ)। তাহলে কারা সহি মুসলমান? আপনার মতো দাড়ি-টুপি ছাড়া বেনামাজি মুসলমান?

সৌদিতে সিনেমা হল খুললে ছি ছি। অথচ নিজে ঠিকই সিনেমা হল, পর্ন, মাগিবাজি কিছ বাদ না।

মেয়ে ধর্ষিত। নিশ্চয়ই ছোটো পোষাক? দেখা গেল পর্দানশিন। স্বামীর সামনে থেকে উঠিয়ে নিয়ে ধর্ষণ, মসজিদ-মাদ্রাসায় ধর্ষণ। কবি নীরব।

আকাম-কুকাম যাই করুক। নামাজি খোদা মাফ করবে। ধরা খাওয়ার পর সব ষড়যন্ত্র। সমর্থন করা যাক। যেহেতু ধর্মকর্ম করে। নিজে তো অধার্মিক। হুজুরের কল্যাণে নিজেকে বিলাই।


সুদ খায়, ঘুষ খায়। চুরি, ডাকাতি কিছু বাদ না। সে যাই হোক দেশে ইসলাম কায়েম করতে হবে।
সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইডেন এ তো ইসলাম নেই। ৯৫% মুসলমানের দেশে কারাগার অপরাধীতে ভরা অথচ নাসারাদের দেশে কারাগার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এখানেও কবি নীরব।

সব সয়ে যাই। হঠাৎ বোমাবাজি। নিজেদের মধ্যে ধর্ম নিয়ে ক্যাচাল। অথচ শান্তির জন্য সব চাওয়া, নীরবে সব সহ্য করা। এটা কি বোঝা উচিত ছিল না ধর্মান্ধরা বেহেশতকেও দোজখ বানাতে পারে?
নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায়?
পৃথিবী তাদের হাতে ধ্বংস হবে না যারা অন্যায় করে বরং প্রশ্রয়দাতাদের কারণেই হবে। ধর্মকে নিজের স্বার্থেও কেউ কেউ ব্যবহার করে। সারাদিন জাজাকাল্লাহ খাইরান বললেই ইমানদার হয়ে যায় না, চুরির শুরুতে বিসমিল্লাহ বললে সওয়াব হয় না।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৪

কামাল৮০ বলেছেন: সহমত।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ঠিক আছে।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:২৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ওরা নিজেদের ছাড়া সবাইকে অমুসলিম মনে করে। অথচ ওরাই সবচেয়ে বেশি অপরাধী।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:২৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ভণ্ড এরা!

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:০২

ককচক বলেছেন: একটা সময় পরিক্ষা নীরিক্ষা করে ধর্ষণের আলামত পাওয়ার টেকনোলজি ছিলো না। তখন কেউ ধর্ষিত হয়েছে, এমন অভিযোগ করলে ধর্ষিতাকে সাক্ষী প্রমাণ হাজির করার নিয়ম হয়তো ছিলো; অন্যথায় যেকেউ যেকারো নামে ধর্ষনের অভিযোগ তুলে মানহানি করার কাজটা হতো। তেমনি অভিযুক্ত ব্যাক্তির নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সাক্ষী হাজির করার নিয়মও হয়তো ছিলো।
এখন ধর্ষণের অভিযোগের সত্যমিথ্যা নির্ণয়ের টেকনোলজি আছে। এখন এইসব আইনকানুন গ্রহনযোগ্য নয়। ১৪০০-১৫০০ বছর পূর্বে এমন টেকনোলজি থাকলে আমার মনে হয় নবী বা ইসলাম এই টেকনোলজিতেই আস্থা রাখতেন।

ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষ ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করছে। ধার্মিকরা নিজ দায়িত্বে সেটা না বুঝলে বেহেশতে যেতে যেতে শেষে নিজেকে নরকে আবিষ্কার করবে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:২৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষ ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করছে। ধার্মিকরা নিজ দায়িত্বে সেটা না বুঝলে বেহেশতে যেতে যেতে শেষে নিজেকে নরকে আবিষ্কার করবে। নিঃসন্দেহে।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪০

রানার ব্লগ বলেছেন: এদের কে আমি ধর্মান্ধ বলি না বলি ধান্দাবাজ !!! এরা নিজেদের ব্যাবসায়িক কর্মকান্ড পরিচালনার স্বার্থে ধর্ম কে সামনে ঢাল হিসাবে ব্যাবহার করে । যদি স্বর্গ নরক বলে কিছু থাকে বিশ্বাস করুন বাংলাদেশের ৯৯ ভাগ মৌলোভী সোজা নরকে !!!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: অথচ এই বাটপারদের সমর্থন করা লোকের অভাব নেই।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: সবচেয়ে বেশি রাস্তাঘাটে বাসে ট্রেনে নারী ধর্ষিত হয় ভারতে। মোদী আর বিজেপি সেখানে অখণ্ড ভারত ও হিন্দুত্ববাদী রাজত্ব তৈরি করতে চাচ্ছে। কোনোদিন তো দেখলাম না সেটা নিয়ে পোস্ট দিলেন? দিয়েছেন আগে? সাধুরা যে আশ্রমে ক্রমাগত মেয়ে ধর্ষন করতো সেটা নিয়ে লিখেছেন? বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পরকীয়া করে তাদের নিয়ে কিছু লিখেছেন?
অন্যের ধর্ম নিয়ে কিছু বলার আগে নিজেরটা নিয়ে আগে আলোচনা করা উত্তম।
ধর্ম নিয়ে বেসাতি ব্যক্তিগতস্খলন। এর জন্য ধর্ম বা গণহারে সবাইকে দায়ি করা ভুল সিদ্ধান্ত।
এই পৃথিবীর কোন ধর্মই কাউকে খারাপ কিছু শেখায় না। খারাপ হয় মানুষ এবং ধর্ম সব সময় নিঃপাপ।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: নিজেদের মানুষ ভাবতে পারলেন না। আমি কি ইণ্ডিয়ার লোক? ইণ্ডিয়ার গোঁড়ামি নিয়ে কথা বলা বাংলাদেশে জরুরি না কি বাংলাদেশের গোঁড়ামি নিয়ে কথা বলা জরুরি? ইণ্ডিয়ার উগ্রতার প্রভাব কি বাংলাদেশে পড়ে? আগে তো নিজের চারপাশটা নিয়ে কথা বলব, না কি?

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪

নতুন বলেছেন: ধমান্ধ আর ভন্ডধামিক দুইটা দুই জিনিস, এদের আপনি সম্ভবত গুলিয়ে ফেলেছেন।

বর্তমানে টয়লেট পেপার থাকা সত্যেও ঢিলাকুলুক ব্যবহার করা পাবলিক ধমান্ধ।
লবন কে নুন বলে সোয়াবের আসায়,
ফেসবুকে গোস্টের টুকরায় আল্লাহ লেখা ছবিতে লাইক এবং সেয়ার করে সোয়াবের আশায় এরা হইলো ধমান্ধ।

আর টুপি পড়ে দাড়ী রেখে মসজিদ কমিটির নেতা হয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হলো ভন্ডর্ধামিক।

ধান্দাবাজেরা ধর্ম ভিরুদের বিশ্বাসের সুযোগ নিতে র্ধমিক সাজে, এটা সকল ধর্মে, দলে আছে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ঠিক আছে।

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৬

নতুন বলেছেন: আর একটা জিনিস আছে সেটা হইলো ধর্মের প্রভাব মানুষের উপরে কমে যাচ্ছে।

মানুষ আগের মতন মৃত্যু ভয়ে ভীতো না তাই অনেকেই জানে যে গুনাহ হবে, দোজখে যাবে, কিন্তু সেই কাহিনিতে মানুষ ভীত হয় না। তাই অনেকেই লোক দেখানো ভাবে র্ধম পালন করে কিন্তু আকাম ও করে।

এটাও বিশ্বের সকল ধর্মের মাঝেই দেখা যায়।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আমি কিন্তু কোন ধর্মকে সাপোর্ট করছি না। কেবল ধর্মের নামে ভণ্ডামি, বাটপারি বা দ্বিচারিতা নিয়ে কথা বলছি।

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: You have to be a lion when you are arguing with so called fake religious.

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ব্যস্ততার ফাঁকে ব্লগে আসি, পোস্ট দেই। মনটা খারাপ হয়ে যায় কিছু বরাহশাবকের কারণে। ওপরে জ্যাকেল নামের এক বরাহশাবকের মন্তব্যটা দেখুন। কেমনটা লাগে? আমি হতাশায় আছি না কি অভাবে আছি আমি কি একে কিছু বলেছি? এই বরাহশাবকেরা আবার ফ্রিডম অব স্পিচ চায়। অথচ অন্যকে কিছু বলতে দিতে চায় না।

৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৮

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি কিন্তু কোন ধর্মকে সাপোর্ট করছি না। কেবল ধর্মের নামে ভণ্ডামি, বাটপারি বা দ্বিচারিতা নিয়ে কথা বলছি।

আমি এই জন্য ধর্মান্ধ এবং বকধর্মিক দুই ভাবে ভাগ করি এদের।

ধর্মান্ধরা বোকা, বকধর্মিকরা বাটপার।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ধর্মান্ধরা বোকা, বকধর্মিকরা বাটপার। সহমত।

১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৯

অক্পটে বলেছেন: "সুদ খায়, ঘুষ খায়। চুরি, ডাকাতি কিছু বাদ না। সে যাই হোক দেশে ইসলাম কায়েম করতে হবে।
সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইডেন এ তো ইসলাম নেই। ৯৫% মুসলমানের দেশে কারাগার অপরাধীতে ভরা অথচ নাসারাদের দেশে কারাগার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এখানেও কবি নীরব।"

নিদারুণ সত্য।
যে কোন ধর্মই হোক এর সাজানো ও মন ভুলানো যেসব শ্লোক সমাজের ধর্ম ব্যবসায়িরা প্রচার করে বেড়ায় এটা তারা নিজেরাই মানেনা। অপরকে মানানোর জন্য হাজারো কৌশল অবলম্বন করে। সত্য এবং মিথ্যার ফায়সালা চোখের সামনেই জ্বলজ্বল করছে। আজকের সমাজে কি ঘটে যাচ্ছে প্রতিদিন! এজন্য আলেমে দ্বীন সাধু হবার কোন দরকার নেই। ৯৫% মুসলমানের ধর্ম ইসলাম। এই ইসলাম কি ধর্ষণ ঘুষ খুন দুর্ণীতি একচুলও কমাতে পেরেছে। তাহলে ধর্ম কি কাজে লাগছে? কোন ধর্মই এসব কমাতে পারেনা। ধর্ম ভয় দেখাতে জানে শুধু। ধর্ম নির্বোধদের জন্য। আমরা ঘর থেকে বাপ মায়ের মাধ্যমে ধর্ম শিখি মানবিকতার কোন শিক্ষা আমরা পাইনা। অথচ এটা কত জরুরী ছিল। ধর্ম শিখে আমরা মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ শিখ ঈসায়ী পার্থক্য করতে শিখি অতপর ঘৃণা করতে শিখি।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যে কোন ধর্মই হোক এর সাজানো ও মন ভুলানো যেসব শ্লোক সমাজের ধর্ম ব্যবসায়িরা প্রচার করে বেড়ায় এটা তারা নিজেরাই মানেনা। অপরকে মানানোর জন্য হাজারো কৌশল অবলম্বন করে। সত্য এবং মিথ্যার ফায়সালা চোখের সামনেই জ্বলজ্বল করছে। আজকের সমাজে কি ঘটে যাচ্ছে প্রতিদিন! এজন্য আলেমে দ্বীন সাধু হবার কোন দরকার নেই। ৯৫% মুসলমানের ধর্ম ইসলাম। এই ইসলাম কি ধর্ষণ ঘুষ খুন দুর্ণীতি একচুলও কমাতে পেরেছে। তাহলে ধর্ম কি কাজে লাগছে? কোন ধর্মই এসব কমাতে পারেনা। ধর্ম ভয় দেখাতে জানে শুধু। ধর্ম নির্বোধদের জন্য। আমরা ঘর থেকে বাপ মায়ের মাধ্যমে ধর্ম শিখি মানবিকতার কোন শিক্ষা আমরা পাইনা। অথচ এটা কত জরুরী ছিল। ধর্ম শিখে আমরা মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ শিখ ঈসায়ী পার্থক্য করতে শিখি অতপর ঘৃণা করতে শিখি। একেবারে সত্য কথা। এগুলো উপলব্ধি করার জ্ঞান অনেকেরই নেই।

১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৮

সোনালি কাবিন বলেছেন: আর প্রশ্রয় দেয়া যাবে না আমাদের স্বার্থেই

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.