নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।
বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির উত্থান
৭০-এর দশকে সমাজতন্ত্র খুবই জনপ্রিয় একটা ধারণা ছিল, এমনকি পাকিস্থানের পিপলস পার্টির ভুট্টোও তাঁর অর্থনৈতিক কর্মসূচি সমাজতান্ত্রিক হবে বলে ঘোষণা দিয়েই নির্বাচন করেছিলেন । বাংলাদেশের চীনাপন্থী সমাজতন্ত্রীরা বিশ্বাসই করতে পারেন নি যে শেখ মুজিবুর রহমানের মতো গণতন্ত্রপন্থী নেতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারে । কারণ, তিনি বিপ্লবী ছিলেন না ।
এই চীনাপন্থীদের অনেকেই দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও তাঁদের দলের নাম বদলান নি । ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সমস্ত আওয়ামীলীগ - বিরোধীকে নিয়ে জিয়াউর রহমান যে বিএনপি গঠন করেন, তাতে যেমন রাজাকারদের ঠাঁই হলো, তেমনি তার একটা বড় অংশ জুড়ে রইলেন চীনাপন্থী বামপন্থীরা ।
আওয়ামীলীগ ছিল প্রধানত কৃষকের দল । বিএনপি হলো সামরিক-বেসামরিক আমলা, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের দল । চাল-চলনে জিয়াউর রহমান ছিলেন আধুনিকতর, তিনি ব্যান্ডসংগীতে পৃষ্ঠপোষকতা করেন, শিশুপার্ক নির্মাণ করেন এবং টেলিভিশনকে রঙিন করেন । দেশের তরুণ সমাজ সেই সময় বিএনপি ও জিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হতে লাগল । স্ববিরোধীতায় আক্রান্ত জিয়া ধর্মভিত্তিক রাজনীতির দুয়ার খুলে দিলেন, আবার গোলাম আযমের বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধাদের উসকে দিলেন ।
বিএনপি যে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, তার মূলে ছিল তারা আওয়ামীলীগের চেয়েও আধুনিক ও প্রগতিশীল বলে নিজেকে পরিচিত করাতে পেরেছিল তরুণদের কাছে । এমনকি খালেদা জিয়া যে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হলেন, তাও তাঁর এরশাদবিরোধী আন্দোলনে আপসহীনতার ভাবমূর্তির কারণেই । প্রখ্যাত সাহিত্যিক আহমদ ছফা বলেছিলেন, "আওয়ামীলীগ যখন নির্বাচনে জেতে একা জেতে, কিন্তু যখন হারে সারা বাংলাদেশ হারে ।" কারণ, এই দলের কাছে জনগনের চাহিদা বেশি । দল যখন চাহিদা যখন পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তখন জনগনের নিরাশ হওয়া ছাড়া কিছু করার থাকেনা ।
হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন, "আওয়ামীলীগ যার প্রতিদ্বন্দ্বী, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য তার কিছু করার দরকার পড়ে না ।" বড় পরিতাপের বিষয় এই, আওয়ামীলীগ জনগনের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না । জনগন এই দলের বিকল্প খুঁজছে । সোহরাওয়ার্দী, মুজিবের আওয়ামীলীগ এখন আর নেই । যেটা আছে, সেটা দুর্নীতিবাজদের, লুটেরাদের । আওয়ামীলীগ দুর্নীতিগ্রস্ত, কিন্তু তার বিকল্প বিএনপি নয় । আওয়ামীলীগ যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রশ্নে দ্বিধাগ্রস্ত, কিন্তু তার বিকল্প বিএনপি নয় । আওয়ামীলীগের বিকল্প হতে পারে আরও প্রগতিশীল, আরও আধুনিক, আরও দক্ষ একটা রাজনৈতিক দল । আমরা সেই দলেরই পথ চেয়ে আছি ।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সময় লাগবে কিছুটা।
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: জিয়া গোলাম আজমের বিরুদ্ধে জেলায় জেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের উস্কে দিয়েছিলেন , এটা কিভাবে ???
গোলাম আজমের নাগরিকত্ব কে যেন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন <<??
পাকিস্তানপন্থীদের আশ্রয়স্থল ছিল বিএনপি ।
সামরিক বাহিনীর সহায়তায় বিএনপির জন্ম । বাংলাদেশে পাকিস্থানপ্রেমীদের অস্তিত্ব বিলুপ্তির পথে , তাই আজ বিএনপির করুণ দশা ।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারি কোন রাজনৈতিক দল গড়ে উঠুক । নির্বাচন কেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল কখনো সফল হতে পারে না
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী কোন রাজনৈতিক দল গড়ে ওঠুক। প্রত্যাশা এমনই।
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১০
সেলিম৮৩ বলেছেন: এদেশে বিক্ল্প কোন রাজনৈতিক দল হয়তো কোনদিন মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আশা করা যায়।
৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২১
যোখার সারনায়েভ বলেছেন: নতুনের আহবান শোনা যায়। তবে সময় লাগবে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: খুব বেশি নয়।
৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আওয়ামী লীগ এখন জেনারেল জিয়ার কৌশলগুলো কাজে লাগাচ্ছে। আওয়ামী লীগ কৃষকদের দল নয়, ব্যবসায়ীদের দল।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৩
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: পরিবর্তিত আওয়ামীলীগ।
৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: একদল ব্যাপক কাজ করেছেন, কিছু ভুলভ্রান্তি করেছেন। আরেকদল কোন উল্লেখযোগ্য কাজই করেননি, অপকর্ম করেছেন সীমাহীন।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সঠিক।
৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৫
নজসু বলেছেন:
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১১
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আপনাকেও।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২০
নজসু বলেছেন:
দেখা যাক।