নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

হালিম শুধু একটা খাবারের নামই না, এটা মানুষের নামও; আমার এক শিক্ষকের নাম

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩২

গতবছরের কোন একসময় প্রাইমেরি স্কুলের হালিম স্যারের সাথে হঠাৎ দেখা গাড়িতে। সালাম দিয়ে কুশলাদি জিজ্ঞেস করতেই আমাকে চিনতে পারলেন। আমি খুব অবাক হলাম এটা দেখে যে উনি আমার নামও মনে রেখেছেন। আজকের কথা নয়, প্রায় ১৬ বছর আগে প্রাইমেরিতে পড়েছি।

হালিম স্যারকে যমদূত এর মতো ভয় পেতাম। এমন মারধর করতেন, বাড়িতে এসে শুতে-বসতে পর্যন্ত পারতাম না। সারা শরীর ফুলে কলাগাছ হয়ে যেত। এমনও হয়েছে ফোলা জায়গায় আবারও বেত্রাঘাত। যাকে বলে মরার ওপর খাড়ার ঘা!

গ্রামের স্কুল তো। প্লে-কেজি পড়া হয় নি। ইমিডিয়েট বড়বোন ওপরের ক্লাসে পড়ত। আমি তার খুব ঘনিষ্ঠ ছিলাম। তার সাথেই স্কুলে যাওয়া, খুব অল্প বয়সেই স্কুলে ভর্তি হওয়া। যদিও কথাবার্তা বলতে পারতাম না ঠিকমতো। তোতলামি স্বভাবও ছিল।

একবার আমাকে তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে নামিয়ে দেওয়া হলো, প্রচুর মারধরও করা হলো। আব্বাকে নিয়ে স্কুলে গেলাম। হালিম স্যার আবার আব্বারও শিক্ষক ছিলেন, যদিও উনি পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান নি। যাহোক, আব্বা স্যারকে রিকোয়েস্ট করলেন আমাকে যেন ওপরের ক্লাসে তুলে দেওয়া হয়। আমি যে পড়া ঠিকই বলি, উনারা যে বুঝতে পারেন না; এটা বোঝাতে সক্ষম হলেন।

চতুর্থ শ্রেণিতে হালিম স্যার "পরিবেশ পরিচিতি সমাজ" পড়াতেন, এখন সাবজেক্টটার নাম "বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়"। একগাদা পড়া দিয়ে দিতেন, পরদিন মুখস্থ বলতে হতো, না পারলে শরীরের ওপর তুফান বয়ে যেত। মনে মনে স্যারকে যে কত অভিশাপ দিয়েছি, তাঁর মৃত্যু কামনা করেছি! একবার লাল বাগের কেল্লা পড়া দিয়েছিলেন; বলেছিলেন, লালবাগের কেল্লা যা করে আল্লাহ্‌। পড়া মনে হয় পারি নি। মার খেয়েছিলাম খুব।

পঞ্চম শ্রেণিতে যখন উঠলাম, তোতলামো কিছুটা কমলো। সব টিচারের প্রিয় হয়ে উঠলাম। পড়ালেখায় খুব ভালো করতে লাগলাম। মনে পড়ে বাংলায় রেকর্ড পরিমাণ নাম্বার পেয়েছিলাম।

হালিম স্যার আর স্কুলে নেই, অবসরে আছেন অনেকবছর হলো। উনার কথা খুব মনে পড়ে। যেখানেই থাকুন,ভালো থাকুন। তাঁর সুস্বাস্থ্য কামনা করি।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

ঝিগাতলা বলেছেন: খাবরের নামটা হালিম কিভাবে হলো..........

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ঠিক বলতে পারছি নে।

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
পৃথিবীর সকল শিক্ষকরা ভালো থাকুক।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: Well wishes for them.

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
হালিম স্যারের সুস্থতা কামনা করি.....


এমন স্যার থাকা দরকার। !:#P

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মারের কারণেই হয়তো মানুষ হতে পেরেছিলাম।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: এখন আমার হালিম খেতে ইচ্ছা করছে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কাছাকাছি থাকলে হয়তো খাওয়াতে পারতাম।

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

আমি রোবট বলেছেন: হাহাহাহ আমার বাসার নিচে হালিম বিক্রি করে ,আজকেও খেয়ে আসলাম ! হালিম স্যারকে অনেক মিস করবো এর পর থেকে!!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আমার খুব প্রিয়!

৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




এহ এখন বাসায় আছি হালিম খেতে বাইরে যাবো ।

আর লাল বাঘ মনে হয় না লালবাগ হবে ।

ধন্যবাদ ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: হালিমের লোভ তাহলে লাগিয়ে দিলাম।

৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১০

নজসু বলেছেন:




প্রিয় অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য
আশা করি ভালো আছেন। ছেলেবেলার স্যারকে নিয়ে আপনার স্মৃতিচারণ
খুব ভালো লাগলো। আমারও মনে পড়ে গেলো বেশ কিছু ঘটনা।

তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ডাউন প্রমোশন বেদনাদায়ক অথচ মজার ছিলো। :)
তবে সুখবর হলো পরে সেটা বাবার সহযোগিতায় সেটা পরে আপোষ করে নিয়েছেন।
আমি এযাবত যা দেখেছি তা হলো তোতলা ছেলেরা মেধাবী ছাত্র হয়।
ছোট বেলায় না বুঝে স্যারকে অভিশাপ দিয়েছেন, মৃত্যু কামনা করেছেন।
এটা শিশুসুলভ আচরণ।

যখন সব শিক্ষকের প্রিয় ছাত্র হয়ে উঠেছেন, তখন নিশ্চয়ই হালিম স্যারেরও প্রিয় হয়েছিলেন।

আজকে বড় বেলায় তাকে যে সন্মান দেখিয়েছেন তাতে আমি অভিভূত।
তার সুস্থতা কামনা করেছেন।

আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা অনেক বেড়ে গেলো।
আমার একটা আবদার আছে। রাখবেন ভাই?

এতো সুন্দর একটা শ্রদ্ধার পোষ্টে শিরোনামটা মানায় না।
এই পোষ্ট তো শ্রদ্ধার পোষ্ট। স্যারের প্রাপ্য সন্মানের পোষ্ট।
স্যারের সাথে খাবাবের নামটা বেমানান।
আর লেখার কোথাও খাবার হালিমের নিশানা পেলাম না।
অবশ্য আপনি যদি মাইর খাওয়াটার সাথে তুলনা না করে থাকেন।

শিরোনামটা হতে পারতো- হালিম আমার স্যারেন নাম।

কি ভাই আমার উপর মন খারাপ করলেন?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: হালিম আবার আমার প্রিয় একটা খাবার; এটা সম্পর্কেও দুচার লাইন লিখতে চেয়েও লিখলাম না অপ্রাসঙ্গিক হবে ভেবে।

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১১

নজসু বলেছেন: শিরোনামটা হতে পারতো- হালিম আমার স্যারের নাম।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কিছুটা সংশোধন করলাম।

৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সুন্দর।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: glad to know that.

১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০০

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার শৈশবে যে স্কুলে পড়তাম মেয়েদের স্কুল বলে হয়ত , মারধর করত না তবে নাজনীন আপা সবসময় হাতে বেত নিয়ে ঘুরতেন। আমার মনে আছে ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করে ফিরে , দুই ক্লাসের মাঝে ভাঙা দেয়াল লাফিয়ে পাড় হয়েছিলাম বলে টিচার আমার কান ধরে টিচার্স রুমে নিয়ে গেছিলেন বিচার করার জন্য :P
পরে নিলু আপা বলে আরেয়ে এত বৃত্তি পরীক্ষার্থী ছেড়ে দাও ওকে । হাহাহাহা আসলে ই আমাদের শৈশব ছিল এমন সব শিক্ষকদের কড়া শাসন আর আদরে মাখা। যেখানেই থাকুক শিক্ষক রা ভালো থাকুক।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৩৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: অথচ এখনকার দিনে শিক্ষার্থীদের শাসন করলে বাড়িতে হুলস্থুল কান্ড বেঁধে যায়। শিক্ষকের চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়ে।

১২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২১

অপ্‌সরা বলেছেন: আমারও হালিম নামে এক টিচার ছিলো। তার কথা মনে পড়লো।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৫৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ইদানীং এ নামটা রাখতে দেখা যায় না। একদিন হয়তো খাবারেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

১৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৫৭

জগতারন বলেছেন:
আমারও শিক্ষক ছিলেন ঠিক যেন আপনার হালিম স্যারের মতন নাম; মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
তিনি আমাদের গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছলেন। তিনি এই স্কুলে ক্লাশ ফোর ও ফাইব-এর ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াইতেন।
তিনি খুব রাগি ও উৎকৃষ্ট শিক্ষক ছলেন, পড়া না পারিলে দুটি করে বেত দিয়া হাতে পিটান দিতেন । সেই ভয়ে ঠিকই আমরা
পড়া শিখিয়া স্কুলে যাইতাম।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:১০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এসব শিক্ষকই আমাদের পড়ালেখার ভিত শক্ত করে দিয়েছিলেন। তখন কষ্ট পেলেও এখন বুঝতে পারি তাঁরা কতটা সঠিক ছিলেন।

১৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৮

নজসু বলেছেন:



অনেআ অনেক ধন্যবাদ আমার প্রিয় ভাই।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: শুভেচ্ছা।

১৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

নজসু বলেছেন:
দেশের তরে যুদ্ধ করে দিল যারা প্রাণ
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে গাই তাদেরই গান।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ট্রিবিউট টু দেম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.