নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।
এক লোক বাজার করতে গেছে। কয়েকজন পুলিশ এসে তাকে ঘেরাও করলো; বললো, আপনাকে সার্চ করবো।
লোকটা বিস্মিত হয়ে জিগ্যেস করলো, কেন? কী করেছি আমি?
পুলিশ বললো, আপনার কাছে মাদকদ্রব্য আছে।
লোকটা বললো, সার্চ করবেন ভালো কথা, অন্য যে কাউকে দিয়ে করান। আপনারা করবেন না। নিজেই পকেটে গাঁজা ঢুকিয়ে বিপদে ফেলবেন?
কয়েক জায়গায় পুলিশের চাঁদাবাজি লক্ষ্য করা গেছে। নিরীহ ব্যবসায়ীদের পকেটে গাঁজা ঢুকিয়ে পুলিশ তাদের ফাঁসিয়েছে। চাঁদা না দিলেই মামলার হুমকি। যাহোক, অন্য কাউকে দিয়েই লোকটাকে সার্চ করা হয়। কোন মাদকদ্রব্য পাওয়া যায় নি।
** রোগীবাহী মাইক্রো। হাসপাতালের কাছাকাছি যেতেই পুলিশ গতিরোধ করলো। ড্রাইভারকে বললো, কাগজপত্র দেখাতে। ড্রাইভার কাগজপত্র নিতে ভুলে গিয়েছিলো। পুলিশ গাড়ি থানায় নেবে। তাহলে রোগী? সিএনজি করে হাসপাতালে। বহু জোরাজুরি করেও গাড়ি ছাড়ানো যায় নি। টাকা দিয়ে গাড়ি ছাড়ানো হয় তিনদিন পর।
*** এক জোড়া কপোতকপোতিকে হোটেল লবিতে পাওয়া গেছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করলো। বলা হলো, মামলা হবে। তাহলে মুক্তির উপায়?
-দশ হাজার টাকা।
-দশ হাজার তো নেই।
-তাহলে হবে না।
-সাত হাজার আছে।
-আচ্ছা। ঠিক আছে।
**** মাঝরাত। ঢাকার রাস্তা। জনৈকা তরুণী সিএনজি করে যাচ্ছে। পুলিশ পথ আটকালো। জিজ্ঞাসাবাদ চললো অনেকক্ষণ। কথোপকথনের ভিডিও চললো। পুলিশ ভাবলো ঘটনাটা ভাইরাল করে নামডাক কুড়োবে। মাঝরাতে একটা মেয়ে রাস্তায়- ব্যাপারটা হালে পানি পাবে। আর দেশের মানুষও তো মদন!
কিন্তু বিধি বাম! নারীকে হেনস্থার দায়ে চাকরি গেল পাঁচ সদস্যের। চালাকি করলে বাঁচতে পারতো। যেমন সিএনজিতে গাঁজা রেখে, অথবা অস্ত্র রেখে কিংবা মেয়েটাকে দুষ্কৃতকারী আখ্যা দিয়ে। কাজের সময় মাথা খোলে নি বোধহয়। সৌরজগতের সবচেয়ে ক্ষমতাবানরা (বুদ্ধিমানও বটে) এভাবে ধরা খাবে কে জানতো!
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: তাদেরই যে সময়।
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
৮০ হাজার পুলিশকে অবসরে পাঠানো দরকার
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মাথাব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা সমাধান না, প্রতিটি কাজে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি।
৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২
মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: পুলিশরা একেকজন একেকটা জেম!ওয়াও! ওদের ধারার কোন শেষে নাই; ওদের না করার কোন শেষ নাই। এটা বর্তমান নয় অতীত এবং মনে হয় আগামী দিনেও এদের বদ খাসলত যাবে না।আমিও কয়েকবার খামাকাই ওদের বাজে সার্চিং এর খপ্পরে পড়েছিলাম অবশ্য আমিও জেম! ওয়াও! টিট করে দিসি।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ওদের বহু নির্মমতার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমি।
৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৫
ওমেরা বলেছেন: গত জানুয়ারীতে দেশে গিয়েছিলাম তখন একটা ঘটনায় দেখে এসেছি পুলিশ কত খারাপ ।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৪০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এদের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৬
নজসু বলেছেন:
আমার ছড়াখানা দয়া করে একুট দেখবেন কি?
মন্তব্য তির্যক ভালো যাই করেন না কেন সমস্যা নাই।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মন্তব্য তো করে এসেছি। আপনি হজম করতে পারেন কি না বুঝতে পারছি নে।
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫
নজসু বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা ভাই।
আমি আপনাকে আমার ব্লগে নিমন্ত্রণ করে গিয়েই আপনার মন্তব্য পেলাম।
খুশি হয়েছি। প্রতিমন্তব্য করেছি। দেখুন আমার প্রতিমন্তব্যে আপনার প্রতি ভালোবাসা আছে কিনা।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ভালোবাসা আছে বৈকি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: নষ্টরা জেগে রয় নাগরিক পাতায় ।