নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপিঃ জন্মই যার আজন্ম পাপ

২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২১

ক্যান্টনমেন্ট এ বিএনপির জন্ম। জিয়া যখন স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের দলে ভেড়াতে পারছিলেন না, একাত্তরের পরাজিত শক্তিদেরই কাছে টানলেন। যোদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত কারাবন্দীদের নিঃশর্তভাবে মুক্ত করে দিলেন। গোলাম আজমকে পাকিস্তান থেকে দেশে আসার সুযোগ করে দিলেন, শাহ্ আজিজুর রহমানের মতো কুখ্যাত যোদ্ধাপরাধীকে প্রধানমন্ত্রী করলেন; যে মুক্তিযোদ্ধাদের গাড়ির পেছলে বেঁধে টেনে নিয়ে জবাই করে হত্যা করতো। দেশটাকে মোটামুটি পাকিস্তানের পথে নিয়ে গেলেন। সংবিধান নিয়ে যাচ্ছেতাই খেললেন।
তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে তাঁর কাজকে আরও একধাপ এগিয়ে নিলেন। আবদুর রহমান বিশ্বাসকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত করলেন, যেখানে তাঁর (খালেদা জিয়ার) নিজের সংসদ সদস্যরাই ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন। কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লা, নিজামীদের মতো কসাইদের তাঁর মন্ত্রীসভার মন্ত্রী বানালেন, তাদের হাতে পতাকা তুলে দিলেন; যে পতাকা লাখো শহিদের রক্তে রঞ্জিত। যোদ্ধাপরাধী জানজুয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী হয়ে শোকবার্তা পাঠালেন। '১৫ আগস্টে জন্মদিন উদযাপন শুরু করলেন। মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। সর্বশেষ সংযোজন, যোদ্ধাপরাধীদের আইনজীবী জন কার্লাইলকে নিজের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিলেন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

রসায়ন বলেছেন: হুম বিএনপির এই কাজ গুলো আসলেই খুবই নিন্দনীয় । তবে বর্তমানে কোটার বাহুল্য আর পিএম হাসিনার কোটার প্রতি মায়া দেখে আসলেই আমার জানতে ইচ্ছে করে এই জন্যই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল ।

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা এবং তদীয় সন্তানদের জন্য কোটা ঠিক আছে, কিন্তু তারও পরের প্রজন্মের জন্যও কোটা- এটা বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই তরুণ প্রজন্মের ভাবনা বুঝতে হবে। পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠির জন্য কোটা ব্যবস্থা আপাতত রাখা যেতে পারে।

২| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: হক কথা বলেছেন

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এ ব্যাপারে বিএনপিপন্থিরা নিশ্চুুপ।

৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: বেগম জিয়ার বয়স হয়েছে, তার অবসর দরকার। এখন চোর-ডাকাতের দল চালাবে কে? তাই বিএনপি কে নিষিদ্ধ করা হোক।

জয় বাংলা।

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: দলে যোগ্য লোক নিশ্চয়ই আছে, তাঁরাই চালাবে। কিন্তু বাঙালি কি পরিবারতন্ত্রের বাইরে কিছু ভাবতে পারবে?

৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনার উচিত ছিলো বিএনপি'র রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করা।

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এক দৃষ্টিতে ঠিক আছে। কিন্তু মুশকিল হলো, গণতন্ত্রের অনুপস্থিতে স্বৈরাচার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠবে।

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ম্যাটার থাকিলে এন্টি ম্যাটার থাকিবেই।আলোর অভাব হইলে অন্ধকার আসিবেই ! দেশে আওয়ামীলীগ আর এন্টি আওয়ামীলীগ ছাড়া আর কোন দল ছিল না , এখনো নাই ! বলিতে হয়, আওয়ামীলীগের ব্যার্থতার কারণেই জাসদ, বিএনপির জন্ম হয়।জামাতিরা সরকারে ভাগ বাসায় ! ভারতে যেমন কংগ্রেসের ব্যার্থতার কারণেই অন্যদলগুলোর উত্থান হয়, গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরামের আদর্শিক দল বিজেপিও সরকারে আসে! ইহা বিজেপির কারিশমার কারণে নহে , কংগ্রেসের ব্যার্থতার কারণে ! একই কারণে বিএনপি ক্ষমতায় আসে, জামাতিদের গাড়িতেও জাতীয় পতাকা দেখা যায়! ইহা বিএনপি-জামাতের কারিশমার কারণে নহে, ইহা আওয়ামীলীগের ব্যার্থতার কারণে !

জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয় দিয়েছিলেন সত্য, কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কেন আওয়ামীলীগ করে নাই ?উচিত তো ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করিয়া জাতির রিকন্সিলিয়েশনের উদ্যোগ গ্রহণ করা ! সাধারণ ক্ষমা ঘোষিত হওয়ার পর যুদ্ধাপরাধী ব্যাতীত বাকিদের রাজনীতি বা সরকারে অংশগ্রহণ করানো এক ধরণের রিকন্সিলিয়েশনই ছিল বোধহয়।ইহাতে অপরাধ দেখিনা ! অপরাধ দেখি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করায়, তাহাদের রাজনীতি ও সরকারে নেওয়ায় ! আশ্চর্য হইল জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা হইয়া কিভাবে যুদ্ধাপরাধীদের সহায়তা করিলেন ? বিচার করা হইতে বিরত থাকিলেন ? উনারও উচিত ছিল তাহাদের বিচার সম্পন্ন করিয়া বাকিদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে নেওয়া !

ক্ষমতায় থাকিতে হইলে আওয়ামী বিরোধীদের সহায়তার প্রয়োজন ছিল জিয়ার। সেসময়কার আওয়ামীলীগ, জাসদ কেহ জিয়াকে সমর্থন দিতো না ! সুতরাং স্বাধীনতা বিরোধীরা ছাড়া জিয়া আর কাহাকেও পায় নাই। রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ হইতে দেখিলে জিয়ার পদক্ষেপ বুদ্ধিদীপ্ত ছিল, কিন্তু নৈতিক দিক হইতে ইহা অন্যায় ছিল। একই কারণে ১৯৯৬ এ তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে আওয়ামীলীগের জামাতিদের সাথে জোট বাঁধিয়া বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ২০০৬ এ বিএনপির জামাতের সাথে জোট বাঁধিয়া নির্বাচন রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বুদ্ধিদীপ্ত সন্দেহ নাই, কিন্তু নৈতিক দিক হইতে অন্যায় !

২৩ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যোদ্ধাপরাধীদের বিচারিক কার্যক্রম চলছিলো। সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছিলো শুধু তাদের, যারা খুন, ধর্ষণ, লুন্ঠনে জড়িত ছিলো না। জিয়া এসে যোদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে দেন। বিচারটা তাড়াতাড়ি করে ফেললে অবশ্য মামলা চুকে যেতো। সত্যি বলতে কী, বঙ্গবন্ধুর সরকারকে এতসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিলো যে, অনেক ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজ করতেও দেখা গেছে। যেমন ১৯৩ জন যোদ্ধাপরাধীর ব্যাপারে পিছু হঠতে হয়েছে।
আওয়ামীলীগ এর ব্যর্থতার সুযোগে বিরোধী যে কোন শক্তি আসতে পারে। তারা অবশ্যই স্বাধীনতার পক্ষের হবে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীরা কীভাবে ক্ষমতায় আসতে পারে? যারা নিজ দেশের মানুষকে বর্বরের মতো হত্যা করেছে, পাকিবাহিনীকে সাহায্য করেছে? পৃথিবীর আর কোন দেশে বোধহয় স্বাধীনতা বিরোধীদের এভাবে পুনর্বাসিত করা হয়নি, তাও আবার কোন মুক্তিযোদ্ধার হাতে।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.