নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেতাঙ্গ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার লড়াইয়ের এক অবিংসবাদিত নেতা কালে পরিণত হন কর্তৃত্ববাদী শাসকে

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

"বিপ্লবীদের বেশি দিন বাঁচা ঠিক নয়। বেশি বাঁচলেই তারা প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে।"
হুমায়ূন আজাদ

জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে (১৯৬০-৭০ এর দশকের স্বাধীনতা আন্দোলনের নায়ক)। "দলীয় বোঝায় পরিণত" হওয়া বর্ষীয়ান (৯৩) এই নেতা একদা এমন মন্তব্যও করেছিলেন, ঈশ্বর ছাড়া কেউই তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবেন না। কিন্তু ইতিহাস ভবিষ্যতে সাক্ষী দেবে, তাঁর আগমন যতটা বীরোচিত, বিদায় ততটাই পরিহাসের।
শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা স্বাধীনতা আন্দোলনের এই টানা ৩৭ বছর ধরে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন। দেশটির অবিংসবাদিত এই নেতা হয়ে উঠেছিলেন জিম্বাবুয়ের এক অবিচ্ছেদ্য নাম। সমালোচনা রয়েছে, তিনি এমন এক নায়ক, যিনি ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে একটি দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। আর তাঁর সর্বশেষ ভুলটি হলো, নিজ উত্তরসূরী হিসেবে নিজের চেয়ে বয়সে প্রায় ৪০ বছরের ছোট স্ত্রী গ্রেসকে বসানোর চিন্তা করা। এতেই কাল হয় তাঁর। যেই নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ভর করে ক্ষমতাকে আরও দীর্ঘায়িত করতে চেয়েছিলেন, সেই তারাই তাঁকে সরাতে গত ১৪ নভেম্বর ঘটায় "রক্তপাতহীন এক ব্যতিক্রমী অভ্যুত্থান। "
তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ মনে করে যে জিম্বাবুয়ের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছেন রবার্ট মুগাবে। তাই তো তাঁর বিদায়ে তরুণসহ বেশিরভাগ পেশাজীবী রাজপথে নেমে উচ্ছ্বাস করেছেন। জনতার মত, এর মধ্য দিয়ে দেশটির কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটেছে।
মালয়েশিয়ার ড. মাহাথির মোহাম্মদ ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে বোধহয় সঠিক কাজটি করেছিলেন। বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, জনগণের নেতা হয়ে উঠেছিলেন; কালক্রমে ঠিকই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যান। ইরাকের সাদ্দাম হোসেন, লিবিয়ার মোয়াম্মার গাদ্দাফির পরিণতি তো আরও ভয়াবহ হয়েছিলো। ফিদেল ক্যাস্ত্রোর ক্ষেত্রে অবশ্য এমন হয় নি।

তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

শাহিন-৯৯ বলেছেন: নেতা আর শাসকের মধ্যে অনেক পার্থক্য, নেতার উদ্দেশ্য তাকে একটি আর শাসকের হাজারো। অনেকে নেতা থেকে শাসক হয়ে জিতেছেন অনেকে পরাজিত হয়েছেন। সিঙ্গাপুরের বাক লিং জিতেছেন আর মুগাবে হেরেছে। ক্ষমতা অনেক সময় স্বাবিরুধী আচরণের প্রলুব্ধ করে যে তা টপকে যায় সেই জিতে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৩২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মহান নেতা হওয়া আর সফল শাসক হওয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। মহান নেতাদের সফল না হতে পারাটা বোধহয় সবচেয়ে বেশি বেদনার।

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুগাবে যেভাবে সাদাদের উৎখাত করেছে, ভারতীয়দের উৎখাত করেছে, সেখানেই তার ভুল মনোভাব ধরা পড়েছিল; রোডেশিয়ার লোকেরা মগজ হারিয়ে সাধারণ সাদাদের উৎখাত করেছে, যারা নিজেদের জন্মুভুমিতে থাকতে চেয়েও থাকতে পারেনি, এই লোক রোডেশিয়া কোথায় নেবে, সেটা বুঝা গিয়েছিল প্রথম দিকেই।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: উনি মূলত স্বজাতির স্বাধীনতা আর বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন।

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সমস্যা কী চেয়ারটাতে নাকি মগজে সেটা আজো বুঝলাম না। ১/১১-এর পর কত আশাই না জাগিয়েছিল মঈনউদ্দিন, ফখরুদ্দিন। কিন্তু দুই দিন পর যেই লাউ হেই কদু...

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মহান নেতারা শাসক হিসেবে অনেকসময়ই ব্যর্থতার পরিচয় দেন। প্রশাসনিক কর্মকান্ড আর রাজনীতি সম্পূর্ণই ভিন্ন। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পর মহান নেতা আর আসেননি, প্রশাসক হিসেবে জিয়া কিছুটা দক্ষ ছিলেন আর অন্যদের অবস্থা লেজেগোবরে। শেখ হাসিনা মোটামুটি করছেন, তবে সন্তুষজনক না।

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: ইতিহাসে বড় শিক্ষাটা হলো ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয়না | যদি নিতো ...

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: জ্ঞানীরা ঠিকই শিক্ষা নেন, অযোগ্যরা ঝরে পড়ে।

৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.