নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।
জেসাস ক্রাইস্ট অর্থাৎ যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন (শুভ বড়দিন), আজকে ২৫ ডিসেম্বর। ইহুদিদের যেমন মোজেস, মুসলমানদের যেমন মোহাম্মদ তেমনি খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছে উল্লেখযোগ্য প্রফেট হলেন যিশু। উল্লেখ্য, মূল তিনটি (ইহুদি, খ্রিষ্ট এবং ইসলাম) ধর্মেই উপর্যুক্ত নবীদের (যিশু, মোজেস) স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
যিশুর অনুসারীর সংখ্যা মনে হয় সর্বাধিক। তিনি কখনো কারো প্রতি ঘৃণা পোষণ করেননি, কখনো কোন যুদ্ধ-বিগ্রহে জড়াননি। তাঁর অনুসারীগণও অগ্রসরমান জনগোষ্ঠি।
মোজেস এর অনুসারী মাত্র দেড়কোটি। তাঁরা রক্তের বিশুদ্ধতায় বিশ্বাসী। কেউ ইচ্ছা করলেও ইহুদি হতে পারে না। প্রধান তিনটি ধর্মেই তাঁর নাম সর্বাধিকবার উল্লেখ আছে এবং তাঁর সম্প্রদায় সবচে উন্নত।
বৌদ্ধ ধর্মের গৌতম বুদ্ধের দর্শনও আবেদনময়। তিনিও কখনো কারো প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ পোষণ করেননি, যুদ্ধও করেননি। জীবকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন।
মোহাম্মদ এবং রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবও যথেষ্ট প্রভাব বিস্তারকারী মহামানব। যদিও তাঁদের অনুসারীগণ উগ্রতা, ধর্মান্ধতা ও গোঁড়ামির পথ থেকে পুুরোপুরি মুক্ত হতে পারেননি।
কথা সেটা না; কথা হলোঃ ধর্মগুলো যদি এই আধুনিক সময়ে প্রবর্তিত হতো কী করতেন? পূর্বপুরুষদের ধর্ম ত্যাগ করে উদ্ভূত ধর্ম সহজে মেনে নিতেন?
পূর্ববতী মহামানবদের ধর্ম প্রচার করতে গিয়ে বহু দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। যিশুকে তো হত্যাই করা হলো (যদিও মুসলমানগণ বিশ্বাস করেন তাঁকে সাত আসমানে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি আবার আসবেন।)।
আগের মানুষজন শিক্ষিত ছিলো না, তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সহজ ছিলো তুলনামূলকভাবে। এ সময়ে ঐসব মতবাদ প্রতিষ্টা বেশ কঠিন হতো। তার ওপর স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়েও যথেষ্ট গোলমেলে ব্যাপার আছে। কেউ বলেন তিনি সাত আসমানে থাকেন, কেউ বলেন তিনি মানুষের মধ্যে থাকেন আবার কেউ বা বলেন তিনি সর্বত্রই বিরাজমান। যারা বিশ্বাস করেন না, তাদের হিসাব আলাদা।
তখনকার সময়ে যে ধর্মগুলো প্রবর্তিত হয়েছে, সেগুলো ঐ সময়ের জন্যই প্রযোজ্য। বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রযোজ্য নয়। যদিও কিছু কিছু ধর্ম দাবি করে তাদের ধর্মগ্রন্থগুলো সর্বকালের জন্যই প্রযোজ্য।
ইউরুপ-আমেরিকায় ধর্মের আধুনিকায়ন হয়েছে, তারা সারাবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে। কিছু কিছু দেশ (চীন, রাশিয়া) তো ধর্মই মানছে না। তবুও উন্নতির শীর্ষে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, যেসব দেশগুলোতে ধর্মের ব্যাপারে শিথিলতা আছে, সে সব দেশগুলোতেই অপরাধপ্রবণতা কম। অপরাধপ্রবণতা বেশি তথাকথিত ধর্মপরায়ণ দেশগুলোতে। ভারতীয় উপমহাদেশ তন্মধ্যে সর্বাগ্রে। এখানে শুধু মাত্র গরু খাওয়ার অপরাধে পিটিয়ে কিংবা পুড়িয়ে মানুষকে হত্যা করা হয়। ধর্মীয় অবমাননাার অজুহাতে নিরীহ মানুষদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়, কুপিয়ে হত্যা করা হয়। শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণেই, অনেকসময় রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ভূমিদখল করা হয়, ধর্মান্তর অথবা দেশান্তর করানো তো এখানকার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। পরকালের শাস্তির ভয় কিংবা চিরকালীন সুখের লোভও তাদের খুন, ধর্ষণ, দুর্নীতি, লুটপাট থেকে নিবৃত্ত করতে পারছে না।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আবার যারা ধর্মকর্ম করে আবার পাপও করে তাদের প্রতি আমাদের একটা সমীহ ভাবও কাজ করে এ জন্য যে আমরা তো কিছুই করছি না, তারা তো কিছু না কিছু করছে- আমাদের চেয়ে তারা নিশ্চয়ই শ্রেষ্ঠ।
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮
পলাতক মুর্গ বলেছেন: আবোল তাবোল পোষ্ট
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সামান্য ভাবনা শেয়ার করছি, যদিও এলোমেলো মনে হচ্ছে।
৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২
মানিজার বলেছেন: এইসকল পুস্ট লিকতে হৈলে আরু গিয়ান যুগ কর্তে হয় ।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: জ্ঞানান্বেষণের জন্যই সামান্য ভাবনা শেয়ার করছি।
৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫
আহমদ জসিম বলেছেন: আগের দিনের অশিক্ষিত লোকদের ্র্রথেকে এখনকার দিনের শিক্ষিত লোকদেরই দেখছি ধর্ম বেশা আকর্ষণ করছে, অতএব বিষয়টা এত সহজ ব্যাখ্যা যোগ্য না
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মূর্খদের নির্বুদ্ধিতার কারণেই ধর্ম ব্যবসায়ীরা আশকারা পাচ্ছে।
৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৭
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমরা যার যার পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত ধর্মকেই সেরা ধর্ম মনে করি। ধর্ম নিয়ে পৃথিবীতে কতই না হানাহানি। আগে আমরা সবাই মানুষ তার। পর ই ধর্ম। তাহলে কেন এত হানাহানি?
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মানুষ ধর্মান্ধতার বলয় থেকে এখনো মুক্ত হতে পারেনি।
৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২
বার্নাবাস বলেছেন: "খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছে উল্লেখযোগ্য প্রফেট হলেন যিশু"।যিশু কে তো তারা নবী না,আল্লাহর পুত্র আবার ঈশ্বর বলে মানে।যদি নবীরা বর্তমানেও আসতেন জয় সেই সত্যেরই হত।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সত্যের মধ্যেও তো ভেজাল! অনুসারীদের কর্মকান্ডে তো লোকজন বিভ্রান্ত!
৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
বর্তমান সময়ে নবী যদি আসতেন, তিনি টেকনোলোজী জানতেন, তাঁকে শিক্ষিত হতে হতো, কম্প্যুটিং জানতে হতো, জন্ম হতো পশ্চিমে।
ইহুদীদের শেষ নবী আসার কথা আছে: তিনি রাজা দাউদের বংশে জন্ম নেবেন, জন্মের সময় উনার বাবা জীবিত থাকবেন, উনি নবী হিসেবে আত্ম-প্রকাশ করবেন "পাস-ওভার"এর রাতে; তিনি জেরুসালেম এসে, আল-আকসা মসজিদ ভেংগে সেখানে ৩য় টেম্পল গড়ার কথা।
কম্প্যুটিং ও টেকনোলোজী ইহদীদের শেষ নবী আসার পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ইহুদিরা কি এখনো তাদের শেষ নবীর আসার কথা বিশ্বাস করে?
৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩
তারেক ফাহিম বলেছেন: প্রথম মন্তব্যকারীর মন্তব্য ভালো লেগেছে।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যথোপযুক্ত মন্তব্য!
৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০
মরুসিংহ বলেছেন: এটা সত্যিই অবাক যে, যারা কিনা মধ্যযুগীয় এমনকি প্রাচীনযুগীয় মানুষের কাছ থেকে এখনো জ্ঞান ধার করছে, তাদের পাঠ্যপুস্তকে এখনো সেসব প্রাচীন মানুষের জ্ঞানগর্ভ আলোচনাদি বিদ্যমান, সেই তারাই বলছে আগের যুগের মানুষরা শিক্ষিত ছিল না। এইসব মানুষরা শুধু ধর্ম পালনের জন্যই 'অশিক্ষিত' হয়ে গেল।
আখেনাটেন বলেছেন: ধর্মের সবচেয়ে দুর্বল দিক মনে হয় '''অপরাধ করে স্রষ্টার কাছে করজোড়ে ক্ষমা চাইলে স্রষ্টা ক্ষমা করেন।
এখানে কিছুটা বোঝার আছে। আমি অন্য ধর্মের ব্যাপারে বলবো না। ইসলাম ক্ষমার ব্যাপারে ভীন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রাখে। অপরাদধের ধরনের উপর ক্ষমা নির্ভর করে। আল্লাহর হক নষ্ট করার অপরাধ যেমন নামাজ রোজা না করা যাতে অন্য ব্যক্তির স্বার্থ জড়িত নয় ইত্যাদি অপরাধের পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে তা বর্জন করে সঠিক পথে আসলে আল্লাহ ক্ষমা করার কথা বলেছেন। অন্যদিকে বান্দার হক নষ্ট করার অপরাধ যেমন অন্যায়ভাবে খুন, ডাকাতি, চুরি, ঘুষ ইত্যাদি অপরাধ যতক্ষণ না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তা ক্ষমা করছে ততক্ষণ ক্ষমা পাওয়া যায় না।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: স্যরি! সবাইকেই কিন্তু নির্দেশ করা হয়নি। সবযুগেই কিছু কিছু জ্ঞানী মানুষ ছিলেন, সভ্যতা তাদের কাছে চির ঋণী!
১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মরুসিংহ বলেছেন: উপরিউক্ত মন্তব্যের সংযুক্তিঃ নিঃসন্দেহে আল্লাহই ক্ষমাকরার মালিক। তিনি কাউকে বঞ্চিত না করেই যাকে ইচ্ছা যেভাবে ইচ্ছা ক্ষমা করতে পারেন। আল্লাহর ক্ষমা থেকে বান্দার নিরাশ হওয়া নিষেধ।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৫
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সে যাইহোক, বহু মানুষকেই দেখেছি যারা সারাজীবনই কুকাজ করে শেষ দিকে এসে তওবা করে ফেলে, তাদের মনেই হয় না কখনো অনুতপ্ত। অনেকেই ধর্মকর্ম করা অবস্থাতেও পাপ করে, মুক্তির রাস্তা তওবা তো আছেই।
১১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধর্মগুলো ধার্মিক মানুষদের মুল্যবোধ সম্পন্ন ভাল মানুষ বানাতে পারেনি।
যেসব দেশগুলোতে ধর্মের ব্যাপারে শিথিলতা আছে, সে সব দেশগুলোতেই অপরাধপ্রবণতা কম। অপরাধপ্রবণতা বেশি তথাকথিত ধর্মপরায়ণ দেশগুলোতে।
উদাহরণ - সৌদিআরব, পাকিস্তান
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এ কারণেই বোধকরি মানুষ সন্দেহবাতিক হয়ে পড়ছে!
১২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৪
আরমান আরজু বলেছেন: Click This Link
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যাচ্ছি।
১৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সবই আল্লাহর ইচ্ছে। এখন আর তখন এসব চিন্তা হাইপোথেটিক্যাল...
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: হয়তো।
১৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৩
iibrahimmasum বলেছেন: দর্শনের সামান্য গ্যান মানুষ কে করে নাস্তিক আর গভীর গ্যান মানুষ কে করে ধার্মিক ।।। তাই গভীর চিন্তা করুন
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: জ্ঞানের কথাই বলেছেন।
১৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৩
হয়ত তোমারই জন্য বলেছেন: @আখেনাটেন ৷সহমত আপনার সাথে ৷
ধন্যবাদ লেখক অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য আপনার লেখার বিষয়বস্তু টা খুভ ভালো লেগেছে ৷
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৫০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সত্যি বলতে কী, ইদানীং ধর্মের নামে যে অনাচার হচ্ছে; এসব দেখেই প্রশ্নগুলো মাথায় আসে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭
আখেনাটেন বলেছেন: ধর্মের সবচেয়ে দুর্বল দিক মনে হয় '''অপরাধ করে স্রষ্টার কাছে করজোড়ে ক্ষমা চাইলে স্রষ্টা ক্ষমা করেন। তিনি পরম ক্ষমাশীল।'' এই সুযোগটাই আমরা বিশ্বাসীরা নেই নানা রকম অপরাধ করে। বুড়ো বয়সে মন্দির-মসজিদে ঘাঁটি গেড়ে বসব। নৈতিকতা এখানে খেলো হয়ে যায়। যদিও বলা হয় ধর্ম মানুষকে নৈতিক শিক্ষা দেয়।
তবে প্রকৃত ধার্মিকেরা সবসময়ই ভালো মানুষ। সংখ্যাটাও মনে হয় নগন্য।