নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।
ব্লগে পোস্ট দেই না অনেকদিন। হঠাৎ ভাবলাম একটা পোস্ট দেই। কোন বিষয়ে লেখা যায়? বুঝতে পারছি না ঠিক। সংখ্যালঘুদের নিয়ে লিখবো? না থাক, সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের লোক হয়ে ও ব্যাপারে না লেখাই ভালো। হিন্দুদের দালাল, "র" এর এজেন্ট- এ সব ট্যাগ খেতে কার ভালো লাগে? এমনিতে তো সুখেই আছি। সুখে থাকতে ভূতে কিলায়?
"এ দেশে সংখ্যালঘুরা কেমন আছে?" এ প্রশ্ন করতে গেলে অনেকেই বলেন, "পাশ্ববর্তী দেশগুলো থেকে ভালো আছে। ভারতে তো গরু খাওয়ার কারণে মুসলমানদের পিটিয়ে হত্যা করা হয় (সে-ই দায় বোধহয় এ দেশের হিন্দুদের)! এখানকার হিন্দুরা রাজার হালে আছে, বড় বড় পদগুলোতে হিন্দুরা অধিষ্ঠিত (মনে হয় অযোগ্যতা বলে, সরকারের অনুগ্রহে)!"
"হিন্দুরা ভারতে চলে যাচ্ছে কেন?" এর উত্তরে বলবেন, "ওরা এ দেশকে আপন ভাবে না (৪৬, ৪৭, ৫৬, ৬৪, ৭১, ৯১, ২০০১, ২০১৪, ২০১৬, ২০১৭ সালে সর্বস্ব হারানোর পরও এ দেশ তাদের আপন না) । ভারতের মুসলমানরা তো কোথাও যায় না; তারা ভারতে ছুটে কেন?"
মানুষ কতটা অসহায় হলে পৈতৃকভূমি ত্যাগ করে বিদেশে মানবেতর জীবনযাপন করে; এ উপলোব্ধি বাঙালি মুসলমানদের হবে না কোনদিন!
সম্প্রতি টিটু রায়ের নামে যে স্ট্যাটাসটা শেয়ার করা হলো, সেটা টিটু লিখেন নি প্রমাণিত হওয়ার পরও তিনি চারদিনের রিমান্ডে। এর কিছুদিন আগে রসরাজের নামে মিথ্যে স্ট্যাটাস ছড়ানো হলো; অথচ এরা দুজনই নিরক্ষর। শিক্ষিত হলেই কি ইসলাম ধর্ম অবমাননা এদের সাহসে কুলোবে যেখানে নিজেরাই অস্তিত্ব সংকটে আছে? যদি স্ট্যাটাস দিয়েও থাকে, একজনের দায়ে সবার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া ইসলাম সমর্থন করে?
হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হলো, লুটপাট করা হলো, কদিন যেতে না যেতেই আবার রংপুরে পুরনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি । নাসির নগরের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা জড়িত ছিলো; এবারের ঘটনায় জামাতের জনৈক নেতা। কেউ এদের বাড়িতে আগুন জ্বালায় নি, লুটপাট চালায় নি।
আমাদের মানবতা রোহিঙ্গাদের জন্য জাগে, ফিলিস্তিনিদের জন্য জাগে, কাস্মিরিদের জন্য জাগে শুধুমাত্র ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে অথচ আবহমান কাল ধরে একসাথে থাকার পরও হিন্দুরা আপন হতে পারে নি। কী ট্রাজেডি!
৪৭ সালে পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া, একাত্তরে ভুলের উপলোব্ধিতে ধর্মীয় গোঁড়ামির উর্ধ্বে উঠে দেশ স্বাধীন করা। আবারও সে-ই ৪৭ এর সূচনা। ভুল থেকে শিক্ষা বুঝি শিক্ষা হলো না।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, নচিকেতা, সুচিত্রা সেন, শ্রাবন্তি, সৌরভ গাঙ্গুলী- এঁদের জন্য আমরা গর্ব করি। এরা যে বাঙালি; এঁদের জন্ম বাংলাদেশে। কীভাবে এঁদের বিদায় দেওয়া হয়েছিলো সেটা কি জানি?
সংখ্যালঘুরা সব দেশেই নির্যাতিত। উপমহাদেশের দেশগুলোতেই বোধকরি সমস্যাটা প্রকট! সহমর্মিতা জানাই সবার প্রতি, শুধুমাত্র ধর্মীয় বিবেচনায় কমবেশ যেন না করি। অন্যদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভাবার আগে যেন নিজদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভাবি। এ দেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে হয় বলে উড়িয়ে যেন না দেই। বিপদেআপদে যেন সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়াই।
"সবার ওপরে মানুষ সত্য,
তাহার ওপরে নাই।"
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সে চিন্তা মাথায় নেই। যখন আসবে তখন ভারতের সমালোচনায় মেতে ওঠবো; বলতে থাকব ওরা সংখ্যালঘুদের তাড়িয়ে দিচ্ছে; ওরা সাম্প্রদায়িক। ব্লা ব্লা ব্লা...
২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮
জগতারন বলেছেন:
আমার মনে হয় এ গুলো লোক দেখানো ও পরিকল্পিত।
অন্য দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আমাদের দেশের প্রধান মন্ত্রীকে বলার কে কারে কি বা-লের ক্ষতিপুরন দিতে হবে।
আমাদের দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ঐ বা-লের দেশে যেইয়ে এ কথা বলে না ওকে ওই ক্ষতিপুরন দিতে হবে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়া আর কী! সুষমা হয়ত ভারতের সংখ্যালঘুদের দিকটাও বিবেচনা করছেন।
৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১০
অর্ক বলেছেন: অত্যন্ত নিষ্ঠুর সত্য। কিছুদিন আগে রাস্তায় কীসের যেন একটা ওয়াজ মাহফিলের লিফলেট দেয়া হচ্ছে দেখলাম। সেখানে দেখলাম, দাবী করা হচ্ছে ৯৫% মুসলিম'র দেশ! সত্যিই তাই, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আজ এখানে কমতে কমতে একেবারে পাঁচ শতাংশে এসে ঠেকেছে। যারা আছে তারাও মূলত দরিদ্র মানুষ শেষ হিন্দু পরিবারটা এ দেশ ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত এ দেশের সিংহভাগ মানুষ 'বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক' 'সকল সম্প্রদায় এখানে মিলেমিশে আছে', 'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ' ব্লা ব্লা ব্লা... নির্লজ্জ মিথ্যাচার।
একজন মানুষ কতোটা দুঃখ-বঞ্চনায় কতোটা বিপন্ন হলে, নিজের বাপদাদা চৌদ্দ পুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে সম্পূর্ণ নতুন আরেক দেশে পাড়ি জমান! এ ব্যথা অনুধাবন করার মানুষের দারুণ অভাব আমাদের দেশে। ১৯৪৭' অভিশাপ আজও বয়ে বেড়াচ্ছি। এতো যুদ্ধ, এতো রক্ত, এতো ত্যাগ, তারপরও পাকিস্তানের অভিশপ্ত প্রেতাত্মা আজও পিছু ছাড়েনি আমাদের। সুদিনের অপেক্ষা আজও, ২০১৭ সালেও!
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: যখন বুঝতে পারব ততদিনে অনেক দেরি হয়ে যাবে। সারাবিশ্বে আমার অবস্থান সুখকর নয়।
৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২২
অর্ক বলেছেন: এটা ও তিন নাম্বার মন্তব্য দয়া করে মুছে দিন।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ঠিক আছে।
৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭
নীলপরি বলেছেন: মানবিকতার জয় হোক । সেটাই আশা ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সে প্রার্থনাই প্রতি পদে পদে।
৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৮
জাহিদ অনিক বলেছেন:
সংখ্যালঘু শব্দটা যতদিন থাকবে ততদিন তারা ভাল থাকবে না
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সাম্প্রদায়িকতার মূলোৎপাটন না হলে কোন জাতিই এগোতে পারে না!
৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: এসব আসলে মিডিয়ার সৃষ্টি। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে তখন সাঙ্গাবাদিকদের দিয়ে এসব খবর পরিবেশন করে দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবার চক্রান্ত চলছে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন:
৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তারপরও বলবো এ দেশে হিন্দুরা ভালো আছে। গ্রামের ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় রূপ দেয়ার দরকার নেই। অপরাধ করলে শাস্তি পাবে। গ্রেফতার হয়েছে, মারাও গিয়েছে। মুসলমানের ঘরে আগুন লাগালেও শাস্তি আছে। পুলিশ, আইন, সরকার সৎ হলে হিন্দুদের উপর আক্রমণও কমে যাবে...
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ওরা এমনই হতভাগা কমতে কমতে শূন্যের কোটায় নেমে এলেও সংখ্যাগরিষ্ঠদের সহানুভূতি জুটবে না! আবহমান ধরে একসাথে থাকার পরও কারও আপন হতে পারেনি।
৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৮
আবু তালেব শেখ বলেছেন: সংখ্যালগু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাই।
তবে হিন্দুরা নির্যাতনের ভয়ে ইন্ডিয়া যায় এটা সম্পুর্ন ভুল। দেশভাগের সময় একপরিবারের কিছু গিয়েছে আর কিছু থেকে গিয়েছে। আস্তে আস্তে বাকিরাও যাচ্ছে, আর একটা স্বভাব দেখেছি
কিছু টাকা পয়সার মালিক হলেই
উন্নত জীবনযপ করার উদ্দেশ্যে জমি বিক্রি করে সপরিবারে পাড়ি জমায় ইন্ডিয়ায়।
আরো একটা কারন ধর্মিও টান।
ভারত মানেই হিন্দুদের তীর্থস্হান।
আমার এলাকায় দেখা এবং এখানে কোন হিন্দু মুসলিম বিরোধ নেই
২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আমার এলাকায় কোন সংখ্যালঘু নির্যাতন হয় না; সত্যি বলতে এখানে কোন সংখ্যালঘুই নেই। সামগ্রিকভাবে ওদের মূল্যায়ন করতে হবে। আত্মীয়তা সূত্রেই হোক আর ধর্মীয় সূত্রেই হোক, ওদের চলে চাওয়া মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বাংলাদেশের ওপর; সারাবিশ্বের কাছে অসহিষ্ঞু দেশ হিসেবে স্বীকৃত হবে। বিভিন্ন সময়ে ওদের ওপর নির্যাতন, ভূমিদখল তো দালীলিক প্রমাণ।
উন্নত জীবনের জন্য যে কেউ দে কোন দেশে যেতে পারে; এটা সমস্যা না, মুসলমানরা কি ইউরুপ-আমেরিকা যায় না? আমাদের দেখতে হবে নির্যাতনের কারণে কেউ যেন না যায়।
১০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭
চানাচুর বলেছেন: দুই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা যেগুলো দেখলেই বুঝা যায় পলিটিক্সের জন্য হয়েছে, সেসবকে দেখে বলা যায়না বাংলাদেশে হিন্দুরা খুব খারাপ আছে। ইন্ডিয়াতে মুসলিমরা যেরকম থাকে তার চেয়ে বাংলাদেশে হিন্দুরা অনেক ভাল আছে।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩১
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কমন ডায়ালগ! শখ করে কেউ দেশ ছাড়ে? দেশে হিন্দুদের সংখ্যা এখন ৫% এরও কম, অথচ একসময় ওরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলো।
শুধু রাজনৈতিক দায় চাপিয়ে দিলে হয় না; ওদের প্রতি হীন মনোভাব মোটামুটি সবার। কারণ, সবার কাছে তো ধর্মীয় পরিচয়টাই মূখ্য!
ভারতে গরু খাওয়ার কারণে মারা হয়। গরু খাওয়া বাদ দিলেই তো মামলা চুকে যায়; এটা খাওয়ার সাথে কি ধর্মের সম্পর্ক আছে? বাংলাদেশের প্রতিকার কী? সম্প্রদায়গত বিদ্বেষ তো কমানো কঠিন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
হিন্দুদের উপর অত্যাচার করলে, ৬ কোটী ভারতীয় মুসলিম বাংলাদেশে আসবে একদিন, উহা রোহিংগা সমস্যার মা-বাবাকে ছাড়িয়ে যাবে।