নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেমন আছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা?

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫২


২০১৬ সালে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন ও নিধনের তালিকাঃ ৯৮ জন সংখ্যালঘুকে হত্যা করা হয়েছে -১০০৯ জনকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে -১৮ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে -২৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে -২২জন নিখোঁজ রয়েছেন -২০৯টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে -৩৬৬টি মন্দিরে পূজা বন্ধ করা হয়েছে -৩৮ জনকে অপহরণ করা হয়েছে -৩৫৭ জনকে জখম করা হয়েছে -৯৯ জনকে চাঁদাবাজি-মারধর ও আটকে রেখে নির্যাতন -১৬৫টি লুটপাটের ঘটনা -১৩টি বসতঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে -৮৬টি সম্পত্তি দখলের ঘটনা ঘটেছে -৬১টি ভূমি দখল -২১০টি উচ্ছেদে ঘটনা ঘটেছে -৩২৬টি উচ্ছেদের তৎপরতার ঘটনা ঘটেছে -৩৪৩১টি উচ্ছেদের হুমকি -৭১১টি দেশ ত্যাগের হুমকি -১৪১টি মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, চুরি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে -২,৩২৮ বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, চুরি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে -জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত বা ধর্মান্তরকরণের চেষ্টা এক হাজার ২৫১টি। সব মিলিয়ে চলতি বছর ১৫ হাজার ৫৪টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ এই দেশে প্রতি ৩০ মিনিটে এমন একটি ঘটনা ঘটছে। ত্রিশ মিনিটে একটি। ভাবুন একবার। মগজ দিয়ে ভাবুন।
সংবাদসূত্রঃ প্রথম আলো, বাংলাদেশ।

ভারত ও বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের তুলনামূলক পরিসংখ্যানঃ

ভারতে মুসলিম জনসংখ্যাঃ
১৯৫১- ০৯.৯৩%
১৯৬১- ১০.৭০%
১৯৭১- ১১.২১%
১৯৮১- ১১.৩৫%
১৯৯১- ১২.১২%
২০০১- ১৩.৪৩%
২০১১- ১৪.২৩%

পরিসংখ্যানের ওপর মন্তব্য: ভারত চরম অসহিষ্ণু, ভারতে সংখ্যালঘুরা ভয়ে শুকিয়ে কিসমিস হয়ে থাকে, ভারত তেরী টুকরে হোঙ্গে- এই অত্যাচারেই যাদের কোন ধর্ম, নেই তারা সন্ত্রাসী হয়ে যাচ্ছে..

বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যাঃ
১৯৫১- ২২.০৫%
১৯৬১- ১৮.৫০%
১৯৭৪- ১৩.৫০%
১৯৮১- ১২.১৩%
১৯৯১- ১১.৬২%
২০০১- ০৯.২%
২০১১- ০৮.৫০%

পরিসংখ্যানোত্তর মন্তব্য: ওখানে দেশভাগের পর একটা ওয়েলফেয়ার ইকোনমি হয়, ভূমি সংস্কার হয়, হিন্দু জমিদারের বিরুদ্ধে বিপ্লব, হিন্দুরা ওখানে ভালো আছে, যারা এখান থেকে ভারত যাচ্ছে, তারা স্বেচ্ছায় যাচ্ছে, বাংলাদেশ খুবই সহিষ্ণু, হিন্দুরা আসলে পোটেনশিয়াল তালিবান...

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪

বারিধারা বলেছেন: ভারত এবং বাংলাদেশ - দুই জায়গাতেই হিন্দু জনসংখ্যা কমছে। তাহলে বাড়ছে কোথায়? আমেরিকায়? শুনেছি আয়ারল্যান্ডের প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী নাকি হিন্দু!

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: গরু-ছাগলের মতো জনসংখ্যার বিষ্ফোরণের কথা বলা হয় নি; নির্যাতনের দরুণ কমা কিংবা বাড়ার হিসেব দেওয়া হয়েছে।

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: বাংলাদেশে হিন্দুরা ভালোই আছে ভারতের মুসলিমদের তুলনায়।
হিন্দুদের একটু মালকড়ি হলেই দাদার দেশে পাড়ি জমায় উন্নত জীবনযাপনের আশায়। এটাই মূলকারণ বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা কমে যাওয়ার।

ভারতে মাংস রাখার অপরাধে যে কজন মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে, তার অর্ধেকও যদি বাংলাদেশি হিন্দুদের মারা হত , তবে দাদাবাবুরা এতোদিনে বাংলাদেশে পারমানবিক বোমা ফেলে দিতো।

ভারতের কট্টরপন্থী হিন্দুরা প্রকাশ্যে যে ধরনের হুমকি ধামকি দেয় , বাংলাদেশে হলে এতো দিনে মামলা মকদ্দমার অভাব থাকত না।

উপমহাদেশে সংখ্যালঘুর হিসেবে বাংলাদেশের হিন্দুরা সবথেকে ভালো আছে।
না মানলে আপনার সমস্যা আছে। সেক্ষেত্রে পতঞ্জলি বাবার অসুধ খেয়ে নিয়েন।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: শখ করে কেউ স্বদেশ ছেড়ে যায় না। কে অন্যদেশে গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে চায়? জান-মালের নিরাপত্তা না থাকার কারণেই যেতে বাধ্য হচ্ছে। ভারতের কোন সংখ্যালঘুকে দেশান্তরি হতে বাধ্য করা হয়েছে; এমন নজির নেই। অথচ বাংলাদেশ-পাকিস্তানে অহরহ এমন হচ্ছে। চোখে টিনের চশমা লাগানো থাকলে এসব চোখে পড়বে না।
সংখ্যালঘুরা সব দেশেই নিপীড়িত। মিয়ানমার, ভারতে যেমন মুসলিম; পাকিস্তান, বাংলাদেশে হিন্দুরা। শুধু অপর দেশের সংখ্যালঘুদের জন্য মায়াকান্না করে নিজের দেশের সংখ্যালঘুদের অস্বীকারের সুযোগ নেই।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: চুমকি ম্যাডামের প্রকাশ্য হুমকি বোধহয় দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে আপনার।

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১৫

মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: ভারতের কোন সংখ্যালঘুকে দেশান্তরি হতে বাধ্য করা হয়েছে; এমন নজির নেই।

যাবে কোথায়?? যাওয়ার জায়গা কই?? বাংলাদেশের অবস্থাতো এম্নিতেই বেহাল। পাকিস্তান তো নিবেই না।
বাংলাদেশে এমন কোনো সরকারি দপ্তর নেই যেখানে উচ্চ পদে কোনো হিন্দু কর্মকর্তা নেই।
আর ভারতে এখন মুসলমানদের অবস্থা সরকারী ক্ষেত্রে ১ শতাংশের মত, যা দলিতদের থেকেও কম।
আজকে দেখলাম ৩০ বছর সেনাবাহিনীতে জব করা কর্মকর্তাকে অবৈধ বাংলাদেশি বলে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এইসব ছাগুগিরি ছাড়া আর কি হতে পারে??

পেচানো বন্ধ করেন। আমি বলিনি যে আমাদের সংখ্যা লঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে না। বলেছি "উপমহাদেশেসংখ্যালঘুর হিসেবে বাংলাদেশের হিন্দুরা সবথেকে ভালো আছে। "
তুলনা বুঝিয়েছি এখানে।

ভারতের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নেতারা উগ্র মন্তব্য করে। তাদের কিছু হয় না। বাংলা দেশে একজন মালু বলেছিলো বলে আপনারা আন্দোলন , মিছিল মিটিং , এমনকি তার গাড়িবহরেও হামলা করেছেন।

আপনার টিনের চশমা খুলে প্রতিবেদন লিখুন। উভয় দেশেরই ভালো মন্দ দুটই তুলে ধরুন। অইখানের পজিটিভ আর এই খানের নেগেটিভ টুকু তুলে ধরলে তুলনা চলে না।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আয়তন কিংবা জনসংখ্যা কোনটাতেই দুদেশের তুলনা চলে না, তারপরও হিসেব দেখান কোন দেশে সংখ্যালঘু বেশি নির্যাতিত হয়েছে বা হচ্ছে। অপর দেশের সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি নিজের দেশের সংখ্যালঘুদের কথাও ভাবুন।

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১৮

মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: শখ করে কেউ স্বদেশ ছেড়ে যায় না। কে অন্যদেশে গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে চায়?

বাংলাদেশের হিন্দুরা বাংলাদেশকে তাদের স্বদেশ মনে করে নাকি???
খেলাধুলা থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে, এমনকি সিমান্তে বাংলাদেশি হত্যাতেও তারা ভারতের সাপোর্ট করে।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ভারত-পাকিস্তান খেলা হলে পাকিস্তানের পক্ষে, ভারত-বাংলাদেশ খেলা হলে ভারতের পক্ষে; এ রকম রাজাকারপন্থি লোক সব দেশেই আছে। এরা মূলস্রোত নয়।

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: বাংলাদেশের হিন্দুরা বাংলাদেশকে তাদের স্বদেশ মনে করে নাকি???

এই বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। সচারচর দেখা যায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা এদেশে কামাই করে আর জমায় ওইদেশে।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: হুম। ঈদ বা পুজার সময় ধর্ম-দল-মত নির্বিশেষে ভারতে খরচ করতে যায়।

৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩

এ আর ১৫ বলেছেন: @ মোঃ তানজিল আলম
তৃতীয় বিশ্বের সব দেশে সংখ্যা গুরুদের হাতে সংখ্যা লঘুরা নির্যাতিত হয় । বাংলাদেশে এর হার এখন ভয়াভয় ভাবে বেড়ে গেছে ।

ভারতে মাংস রাখার অপরাধে যে কজন মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে, তার অর্ধেকও যদি বাংলাদেশি হিন্দুদের মারা হত , তবে দাদাবাবুরা এতোদিনে বাংলাদেশে পারমানবিক বোমা ফেলে দিতো।
ভারতে মোট কয়জন মুসলমানকে গরু জবাই করার জন্য হত্যা করা হয়েছে ??? গরু যেখানে হিন্দুদের দেবতা সেখানে মুসলমানরা কি কারনে জীবনের ঝুকি নিয়ে গরু জবাই করে ? গরুর মাংস খাওয়া কি ইসলাম ধর্মের ইবাদতের অংশ ? আমাদের নবি ( সা: ) সহ সাহাবার কখনো কি গরুর মাংস খেত ?? তারা খেত উট দুম্বার মাংস এবং ইসলামের কোথাও দাবি করা হয় নি উট দুম্বার মাংস না খেলে ইবাদত গ্রহন যোগ্য হবে না এবং ঔ গুলো খাওয়া ফরজ কর্ম । হিন্দুদের কাছে গরু হত্যা মনে ধর্ম অবমাননা ---- ধর্ম অবমাননার জন্য হত্যার রেকর্ড বাংলাদেশের ধারে কাছে কেউ নেই , ধর্ম অবমাননার মিথ্যা ঘোষনা দিয়ে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে অন্তত ৫০টার বেশি ঘটনার নজির আছে বাংলাদেশে । চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে অনেক ব্লগারকে হত্যা করা হয়েছে কোথায় ??? সেটা বাংলাদেশ না ভারত ???
হিন্দুরা ভারতে তাদের ধর্ম অবমাননার জন্য যতটা খুন করছে তার থেকে বহু গুন হত্যা আপনারা করেছেন । কিছু উদাহরন
১) রামুতে ফেসবুকের একটা ভুয়া পোষ্টিং দিয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ এবং বৌদ্ধ মন্দির ধংস
২) ব্রাক্ষণবাড়ীয়ায় জাহাঙ্গির নামে একজন রসরাজ নামে একজনের ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে কাবা শরিফের উপর একটা শিবের মুর্তি বসিয়ে গোটা হিন্দু পারা ধংস সহ তাদের উপাসনালয়ের ব্যপক ক্ষতি সাধন
৩) নারায়নগন্জে স্কুলের প্রধান শিক্ষকে মিথ্যা ধর্ম অবমাননার অভিযোগে প্রকাশ্যে কান ধরে উটবস করানো
৪) মসজিদের মাইক ব্যবহার করে মিথ্যা ধর্ম অবমাননার ঘোষনা দিয়ে বহু তান্ডব
৫) প্রতি বৎসর দুর্গা পুজার সময় কয়েক শত পুজার প্রতিমা ধংস করা
৬) নির্বাচনের আগে ও পরে সংখ্যা লঘুদের উপর চলে চরম নির্যাতন

----- এর জন্য ভারত সরকার বাংলাদেশের উপর কোন বোমাতো দুরে থাক কোন প্রতিবাদ বা উদ্দ্যেগ প্রকাশ করেনি ।
২০০১ সালে বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসার পর ইথনিক ক্লিনসিং এর মত সংখ্যা লঘুদের উপর অত্যাচার হয় কয়েক লক্ষ হিন্দু নিজেদের এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং একটা বড় সংখ্যা ভারতে আশ্রয় নেয় এবং বাকিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্বগোপন করে ।
বাংলাদেশের সংখ্যা লঘু নির্যাতনের মাত্রা এখন ভারতের মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে ।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এসব তাদের চোখে পড়ে না!

৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: দাদা ভাই পেচানো বন্ধ করুন। এখানে অনেক সুখে আছেন যেটা আপনার প্রকৃত(!) স্বদেশ ভারতেও পাবেননা। কথায় আছেনা সুখে থাকতে ভুতে কিলায়; আপনারও তাই হয়েছে। যতসব ফাউল লোক।

বাংলাদেশে এমন কোনো সরকারি দপ্তর নেই যেখানে উচ্চ পদে কোনো হিন্দু কর্মকর্তা নেই। আর ভারতে এখন মুসলমানদের অবস্থা সরকারী ক্ষেত্রে ১ শতাংশেরও কম, যা দলিতদের থেকেও কম। আজকে দেখলাম ৩০ বছর সেনাবাহিনীতে জব করা কর্মকর্তাকে অবৈধ বাংলাদেশি বলে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। চিন্তা করতে পারেন কী হচ্ছে ভারতে! ভারতে রাজনৈতিক নেতারা প্রকাশ্যে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কথা বলছে। মুসলিমদের নানা ভাবে হেনস্থা করছে এর ১ শতাংশও বাংলাদেশে হয়না। বাংলাদেশে কোন রাজনৈতিক নেতা দেখাতে পারবেন যে কোন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি এমন উস্কানীমূলক কথা বলে?

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এখানে "আপনারা" বলতে কী বোঝাচ্ছেন? মুসলমান মানেই গরু-ছাগল হবে? সংখ্যালঘুদের পক্ষে কথা বলতে পারবে না? মানবিকতা দেখাতে পারবে না? ভারতের উগ্রতাকে কি এখানে সমর্থন করা হয়েছে?

৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: ১৯৬১-এর অক্টোবরে আলিগড়ে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৬২-তে মধ্য প্রদেশের জাবালপুরে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৬৪-তে মহারাষ্ট্রের ভিভান্ডিতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৬৭-তে বিহারের রানচিতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৬৯-তে গুজরাটের আহমেদাবাদে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৭০-এ মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্দি, জালগন ও মালাদে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৭১-এ বিহারে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৭৮-এ আলিগড়ে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৭৮-৮০ সাল পর্যন্ত বিহারের জামশেদপুর ও উত্তর প্রদেশের ভানারসিতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮০-তে উত্তর প্রদেশের মুরাদাবাদে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮১-তে আলিগড়ের মিনাকশিপুরাম ও বিহারাশরীফে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮২-তে উত্তর প্রদেশে মিরাটে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৩-তে আসামে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৩-তে কর্নটকের ভাটাকালে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৬-তে বিহারে নেওয়াদাতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৭-তে উত্তর প্রদেশের মিরাটে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৯-তে বিহারের ভাগলপুরে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৯০-৯১-এ আলিগড়ে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৯২-৯৩-এ মুম্বাই, সুরাট, আহমদাবাদ, কানপুর, দিল্লিসহ সমগ্র ভারতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৯৭-এ তামিলনাড়–তে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
২০০০-এ আহমদাবাদসহ বেশ কয়েক এলাকা মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
২০০১-এ কানপুর, মালিগাও তে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
২০০২-এ গুজরাটে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা সংঘটিত হয়।
আরেকটি হিসেব:
২০০৩-এ মুসলিম নিধনে মোট ৭১১টি দাঙ্গা
২০০৪-এ মুসলিম নিধনে মোট ৬৭৭টি দাঙ্গা
২০০৫-এ মুসলিম নিধনে মোট ৭৭৯টি দাঙ্গা
২০০৬-এ মুসলিম নিধনে মোট ৬৯৮টি দাঙ্গা সংঘটিত হয়।
(Source: Riots and its Aftermath by Shashank Shekhar)
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের হিসেবে অনুযায়ী দেশবিভাগের পর ১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ৩৯ বছরে মুসলিমবিরোধী বড় ধরনের দাঙ্গা সংখ্যা প্রায় ১৩,৩৫৬টি। তবে, পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৪৮ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে দাঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ। অর্থাৎ স্বাধীনতার পর থেকে ভারতে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার সংখ্যা দৈনিক ৪টিরও বেশি।
সে হিসেবে বাংলাদেশে কি হিন্দুরা অনুরূপ কোনো দাঙ্গা বা ক্ষয়ক্ষতি দেখাতে পারবে? কখনইও পারবে না। ১৯৬১-এর অক্টোবরে আলিগড়ে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৬২-তে মধ্য প্রদেশের জাবালপুরে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৬৪-তে মহারাষ্ট্রের ভিভান্ডিতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৬৭-তে বিহারের রানচিতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৬৯-তে গুজরাটের আহমেদাবাদে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৭০-এ মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্দি, জালগন ও মালাদে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৭১-এ বিহারে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৭৮-এ আলিগড়ে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৭৮-৮০ সাল পর্যন্ত বিহারের জামশেদপুর ও উত্তর প্রদেশের ভানারসিতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮০-তে উত্তর প্রদেশের মুরাদাবাদে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮১-তে আলিগড়ের মিনাকশিপুরাম ও বিহারাশরীফে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮২-তে উত্তর প্রদেশে মিরাটে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৩-তে আসামে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৩-তে কর্নটকের ভাটাকালে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৬-তে বিহারে নেওয়াদাতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৭-তে উত্তর প্রদেশের মিরাটে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৮৯-তে বিহারের ভাগলপুরে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৯০-৯১-এ আলিগড়ে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৯২-৯৩-এ মুম্বাই, সুরাট, আহমদাবাদ, কানপুর, দিল্লিসহ সমগ্র ভারতে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
১৯৯৭-এ তামিলনাড়–তে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
২০০০-এ আহমদাবাদসহ বেশ কয়েক এলাকা মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
২০০১-এ কানপুর, মালিগাও তে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা;
২০০২-এ গুজরাটে মুসলিম নিধনে দাঙ্গা সংঘটিত হয়।
আরেকটি হিসেব:
২০০৩-এ মুসলিম নিধনে মোট ৭১১টি দাঙ্গা
২০০৪-এ মুসলিম নিধনে মোট ৬৭৭টি দাঙ্গা
২০০৫-এ মুসলিম নিধনে মোট ৭৭৯টি দাঙ্গা
২০০৬-এ মুসলিম নিধনে মোট ৬৯৮টি দাঙ্গা সংঘটিত হয়।
(Source: Riots and its Aftermath by Shashank Shekhar)
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের হিসেবে অনুযায়ী দেশবিভাগের পর ১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ৩৯ বছরে মুসলিমবিরোধী বড় ধরনের দাঙ্গা সংখ্যা প্রায় ১৩,৩৫৬টি। তবে, পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৪৮ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে দাঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ। অর্থাৎ স্বাধীনতার পর থেকে ভারতে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার সংখ্যা দৈনিক ৪টিরও বেশি।
সে হিসেবে বাংলাদেশে কি হিন্দুরা অনুরূপ কোনো দাঙ্গা বা ক্ষয়ক্ষতি দেখাতে পারবে? কখনইও পারবে না।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ৪৬, ৪৭, ৫৬, ৬৪ তে কি এ দেশে দাঙা হয় নি? বাবরি মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার সংখ্যালঘুকে কি উচ্ছেদ করা হয় নি? কিংবা এখনও কি হচ্ছে না?

৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: @এ আর ১৫, ভাইয়ের জন্য উপরোক্ত মন্তব্যটি।

১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

এ আর ১৫ বলেছেন: @ মোঃ তানজিল আলম

আমি বলেছি বর্তমানে সংখ্যা লঘু নির্যাতনের হিসাব । বর্তমানে বাংলাদেশ এগিয়ে ভারত থেকে ।আপনি যেটা দিলেন সেটা কি সংখ্যা লঘু নির্যাতন না সম্প্রদায়িক দাঙ্গা ??? এবং এটা অতিতের হিসাবই বেশি ।সংখ্যা লঘু নির্যাতন এবং দাঙ্গা এক জিনিস নহে । দাঙ্গাতে হিন্দু মারে মুসলমানদের এবং মুসলমান মারে হিন্দুদের । বাংলাদেশের সংখ্যা লঘুদের দাঙ্গা করার ক্ষমতা নেই কিন্তু ভারতে মুসলমানদের আছে যদি ও মুসলমানরা মার খায় বেশি তবুও আছে ।
এতো দাঙ্গার পর কি কারনে ভারতের মুসলমানের হার নিম্ন রুপ ????
ভারতে মুসলিম জনসংখ্যাঃ
১৯৫১- ০৯.৯৩%
১৯৬১- ১০.৭০%
১৯৭১- ১১.২১%
১৯৮১- ১১.৩৫%
১৯৯১- ১২.১২%
২০০১- ১৩.৪৩%
২০১১- ১৪.২৩%
ভারতে মুসলিম জনসংখ্যাঃ
১৯৫১- ০৯.৯৩%
১৯৬১- ১০.৭০%
১৯৭১- ১১.২১%
১৯৮১- ১১.৩৫%
১৯৯১- ১২.১২%
২০০১- ১৩.৪৩%
২০১১- ১৪.২৩%

১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

মোঃ তানজিল আলম বলেছেন: ভারতে মোট কয়জন মুসলমানকে গরু জবাই করার জন্য হত্যা করা হয়েছে ???
হা হা। চরম কমেডি তো!!!
বাসে, ট্রেনে, রাস্তায়,এমনকি বাড়িতে গরুর মাংস বহনের অভিযোগ, রান্নার অভিযোগ,বিক্রির অভিযোগ আরো কত শত অভিযোগে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো তখন বোধহয় আপনি শীত নিদ্রায় ছিলেন।

ভারতের সিবশেনা সহ আরো কিছু দল প্রকাশ্যে সরকারি অনুমোদনে তাণ্ডব চালায়, অথচ তাদের নিসিদ্ধ করা হয় না।

এর জন্য ভারত সরকার বাংলাদেশের উপর কোন বোমাতো দুরে থাক কোন প্রতিবাদ বা উদ্দ্যেগ প্রকাশ করেনি ।
@১৫, আপনি কি আসলেই কোনোদিন ভারতীয় পত্রিকা পড়েছেন, মনে তো হয় না।

১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫

উচ্ছল বলেছেন: তথ্য বিভ্রাট। যে তথ্য উল্লেখ করেছেন তাঁর প্রায় পুরোটাই হিন্দু হিসেবে নির্যাতন কিংবা সংখ্যালঘু নির্মূল দৃষ্টিকোন থেকে ঘটেনি।
বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রতিঘন্টায় যে সমস্ত অজাচার চলছে তার শিকার ওই নাগরিকেরাও হয়েছে।
এটাকে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোন থেকে না দেখার পরামর্শ।

১৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

কানিজ রিনা বলেছেন: সবদেশেই উগ্রপন্থি আছে। ভারতে বাবড়ি
মসজিদ ভাঙা কেন্দ্র করে বাংলাদেশেও
কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।
ভারতের ঝড়ের বাতাশ আমাদের দেশেও
বয়। তাই উগ্রপন্থি বাড়তে দেওয়া কোনও
সরকারের উচিৎ না। এখানে প্রটেষ্ট করে
আর কি হবে। ঘু খায় সব উগ্রপন্থিরাই
কম বেশী।
চোখের সামনে দেখছেন কিভাবে রাখাইন
রাজ্যে মুসলিম নিধন চলছে। যুগযুগ ধরে
রহিঙ্গারা নির্যাতিত। তবুও ওরা মাতৃভূমি
আকঁড়ে থেকেছে। হাজার বর্বরতায় রহিঙ্গারা
আজ বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত।
ভারত সরকার বলছে ভাঙালী বাংলাদেশী
যারা এসেছে তাদের বেড় করে দেওয়া হবে।
এমন এপরিস্থিহলে কি দশা হবে?

১৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬

উদুম্ভূত বলেছেন: ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা আরো বেশি। আগে থেকেই বেশি। ভারত সরকার মুসলমানদের সংখ্যা কম করে দেখায় ডেমোগ্রাফিক কিছু এডভানটেজ নেয়ার জন্য। দাংগা-ইত্যাদির কথা বাদই দিলাম।

আবার বাংলাদেশে প্রতিদিন অনেক মানুষ খুন ধর্ষনের শিকার হয়। আলাদা ভাবে হিন্দুদের জন্য পরিসংখ্যান দিতে গেলে অ-হিন্দু এবং হিন্দু দের মধ্যে শতকরা হিসাব দিয়ে দেখাতে হবে।

১৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সে হিসেবে দেশের মুসলিম নির্যাতনের সংখ্যা দিলে ভাল হতো । তাহলে বুঝা যেত কোন দেশে হিন্দুরা ভাল আছে। আর মুসলিমরা খারাপ অবস্থায় আছে ?

১৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা কেমন আছেন সেটা বুঝতে যদি আপনার পরিসংখ্যানকে সুত্র বিবেচনা করা হয় তাহলে তারা খুব মারাত্মক পরিস্থিতিতে আছেন। তবে বাস্তবতা যে এমন সেটা মনে করি না।

আমার এলাকায় হিন্দু-মুসলিম এখনো একসাথে মিলেমিশে চলছে। বাজার-হাট কেনা বেচা বিনিময় সব হচ্ছে। তারপরও আমার ছোটবেলার বন্ধুদের অনেকেই পরিবার নিয়ে ভারতে চলে গেছে। এর কারণ হলো ভারত ধর্মীয়ভাবে সর্বাধিক গুরুত্বপুর্ণ। আমাদের এলাকায় কখনো দাঙ্গা-হামলা সমস্যা হয়নি বলেই জানি।

এর মানে এই নয়- হিন্দুরা খুব ভাল আছেন সারা দেশে। বেশ কিছু এলাকায় হিন্দুদের সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন বলে মিডিয়ায় এসেছে। আপনি খোঁজ করলে দেখবেন এরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী আর নিজেদের ক্ষমতা ব্যবহার করেই তারা এই অন্যায় করছেন। শুধুমাত্র ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে হিন্দু নির্যাতন হয়েছে এমন ঘটনা খুব কম। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।

এখন সংখ্যালঘু তথা হিন্দুদের এই দেশত্যাগ বন্ধ করতে কি করা যায় সেটা যদি সামনে আসে তাহলে সরকারের সদিচ্ছা সবচেয়ে বড় ব্যাপার। সরকার এই ব্যাপারটা আন্তরিকভাবে দেখুক, এটাই চাওয়া।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:০৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আপনি খোঁজ করলে দেখবেন এরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী আর নিজেদের ক্ষমতা ব্যবহার করেই তারা এই অন্যায় করছেন।" রাজনীতির সাথে ধর্ম মিশিয়ে দিলেই তো ফায়দা বেশি। প্রভাবশালীরা ঠিক এই কাজ করছেন।

১৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভারতের সব মুসলমান আমাদের জাতি নন, সব হিন্দুও আমাদের জাতি নন; বাংলাদেশের সব হিন্দুই আমাদের জাতির মানুষ; আমাদের জাতির একাংশের কস্ট যদি আমাদের সবার কস্ট বলে মনে না হয়, আমাদের সমস্যা আছে, ধরে নিতে হবে।

ভারতের বিহারীরা, মুসলমান হিসেবে ভারতের হিন্দু বিহারীদের হাতে নিগৃহিত হয়ে বাংলা এসেছিলেন; তারা ১৯৭১ সালে যে হত্যাকান্ড চালিয়েছে, তাতে প্রমাণ হয়, সব মুসলমান একই নয়, মুসলমান একটা ধর্মীয় গোষ্ঠী, এটা জাতি নয়।

ভারতে মুসলিম, খৃস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুরা অধিকার বন্চিত হচ্ছে, এটা সঠিক; আমাদেরকে সেটা থেকে শিক্ষা নিতে হবে যে, আমরা যেন ভারতীয়দের মতো না হই, আমাদের স্বজাতি শুধুমাত্র ধর্মের জন্য যেন আমাদের হাতে নির্যাতীত না হয়।

বাংগালী হিন্দুরা, ধর্মীয় সুবিধার কারণে, অর্থনৈতিক কারণে যদি ভারতে চলে যায়, যাক; কিন্তু যেন নির্যাতনের ভয়ে আর না যায়। অর্থনৈতিক কারণে অনেক বাংগালী মুসলমান ভারতে গেছে, ও ভবিষ্যতে যাবে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আমাদের কাছে ধর্মীয় পরিচয়টাই এখন মূখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, তার আগে আমরা যে বাঙালি এই আবেদন হারিয়ে ফেলেছি।

১৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

মাহিরাহি বলেছেন: ১১ এপ্রিল পিউ রিসার্চ সেন্টারের ১৯৮ টি দেশের বিশ্লেষণে দেখা গেছে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতায় বিশ্বে চতুর্থ ভারত।

ভারতের আগে শুধু সিরিয়া, নাইজেরিয়া এবং ইরাক

https://qz.com/959802/india-is-the-fourth-worst-country-in-the-world-for-religious-violence/

১৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

মাহিরাহি বলেছেন: A Dalit (formerly untouchable) man was beaten to death in the western Indian state of Gujarat allegedly for watching people dance as they celebrated the Hindu festival of Dussehra.

Despite laws to protect them, discrimination remains a daily reality for India's 200 million Dalits.

হিন্দুদের উৎসব দশেরা দেখার জন্য গুজরাতে একজন দলিত মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে।

তাদের রক্ষা করার আইন থাকা সত্ত্বেও, ভারতের ২00 মিলিয়ন দলিত প্রতিনিয়তই বৈষম্যের শিকার হয়।

http://www.bbc.com/news/world-asia-india-41466291

২০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

মাহিরাহি বলেছেন:

২১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আজাইরা বিষয় নিয়ে পোস্ট না দিলেই ভালো হয়। বাংলাদেশে যদি হিন্দুরা খারাপ থাকতো এতদিনে জনকন্ঠ আর ৭১ টিভি মুসলমানদের ল্যাংটা করে ছাড়তো। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, উপজাতি সবাই বাংলাদেশী। ২/১ জায়গায় হিন্দুরা নির্যাতিত যেমন হয় তেমন অনেক জায়গায় মুসলমানরাও নির্যাতিত হয়। হিন্দুরা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গিয়েছে কারণ, ভারতে ধর্মীয়ভাবে তাদের অবাধ বিচরণ হবে আর ভারতও তাদের সাপোর্ট করে। মুসলমানদের অত্যাচারে কোন হিন্দু দেশ ছাড়ে না। আর সবসময় বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়েই কেন চিন্তা করতে হবে? কই বৌদ্ধরা বা খ্রিস্টানরা দেশ ছেড়ে যাচ্ছে এমন খবর তো পাই না। তার কারণ, ঐতিহাসিক ভাবে ভারতে মাইগ্রেট করা তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ ও আরামদায়ক বাংলাদেশী হিন্দুদের জন্য। কয়টা হিন্দুকে বি সি এস থেকে বের করে দেয়া হয়েছে? কয়টা হিন্দুকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। আসলে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা কেউ দেয় না। এসব কথা খালি ব্লগ আর ফেসবুকে পাওয়া যায়। আজ পর্যন্ত কোন হিন্দু বন্ধু, ব্যবসায়ী বা প্রতিবেশীর কাছে শুনলাম না তারা বাংলাদেশে কষ্টে আছে...

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মুসলমানদের অত্যাচারে কোন হিন্দু দেশ ছাড়ে না।" শখ করে ছাড়ে।

২২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সোহানী বলেছেন: অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য দাদা, একটু চোখ মেলুন। দিবা স্বপ্ন বা রাত স্বপ্ন না দেখে চারপাশে দেখেন। দেশে কেমন আছে সাধারন জনগন? এর ভীতর হিন্দু মুসলিম রেশিও করেছেন কি? দেশের মোট জনসংখ্যার কত পার্সেন্ট আপনারা আছেন আর দেশের আপাময় চাকরীর কত পার্সেন্ট হিন্দু তার তুলনা করেন.............. ঘুম থেকে উঠুন দাদা...।

আমাদের দেশের মতো এতোটা সহিষ্নু দেশ কোথায় পাবেন? উপরের যে পরিসংখ্যান দেখেছেন ভারতীয় দাংগার তার কত পার্সেন্ট আমাদের দেশে দেখেছেন???মোঃ তানজিল আলম ও মাহিরাহির মন্তব্যটা আবার পড়েন।

নিজেদেরকে কেন সংখ্যালঘু ভাবেন, বাংলাদেশী এখনো ভাবতে পারেননি?

আরেকটা কথা, দেশে হিন্দু পার্সেন্ট কমার মানে কি সবাইকে মেরে তাড়িয়ে দিচ্ছে? হাহাহাহাহা.........বাস্তবতা থেকে অনেক অনেক দূরে বাস করেন আপনি। কি পরিমান অভিবাসী হিন্দু আছে ও প্রতি বছর যাচ্ছে তার পরিসংখ্যান কি জানেন? কারন দেশের ক্রিমটা খেয়ে আম্রিকা কানাডায় চলে আসে.... একটু তথ্যগুলো ঘেটে তাহার পর ব্লা ব্লা কইরেন ব্লগে..............

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আরেকটা কথা, দেশে হিন্দু পার্সেন্ট কমার মানে কি সবাইকে মেরে তাড়িয়ে দিচ্ছে? হাহাহাহাহা.........বাস্তবতা থেকে অনেক অনেক দূরে বাস করেন আপনি। কি পরিমান অভিবাসী হিন্দু আছে ও প্রতি বছর যাচ্ছে তার পরিসংখ্যান কি জানেন? কারন দেশের ক্রিমটা খেয়ে আম্রিকা কানাডায় চলে আসে.... একটু তথ্যগুলো ঘেটে তাহার পর ব্লা ব্লা কইরেন ব্লগে.............."। প্রথমত আমি সংখ্যাগুরুদের একজন, সংখ্যালঘু নই। ওদের দুর্দশা চোখে পড়ে তাই বলি, অন্যদেরটাও বলি। বাস্তবতা থেকে দূরে থাকি না। আর আমি দেশের ক্রিম খেয়ে দেশেই থাকি, কানাডা না।

২৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


@বিচার মানি তাল গাছ আমার,

আমাদের এলাকার একটা বড় খৃস্টান পরিবার আমেরিকায় চলে এসেছে; আমি পরিবারের বুড়ো মহিলাকে মাঝে মাঝে সামান্য সাহায্য করি; বাংলাদেশে উনার নিজের নামে অনেক সম্পত্তি ছিল; উনার মেয়েরা ও ছেলেরা চলে আসার পরও উনি আসেননি; শেষে উনাকে খুবই সামান্য টাকা দিয়ে একজন পান্ডা উনার সম্পত্তি কিনে নেয়, উনি প্রাণ ভয়ে আমেরিকা চলে আসেন; ছেলেমেয়েদের সাথে থাকেন না, থাকেন একটি পরিচিত পরিবারের সাথে; বয়সের কারণে হাঁটতে অসুবিধা হয়, তবুও হাঁটেন, মাঝে মাঝে রাস্তায় আমি সাহায্য করি ।

২৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: কোন রকম ঘটনা ছাড়া হটাৎ করে এই ধরনের পোস্ট সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছাড়া আর কিছু বলে মনে করি নাহ??

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সংখ্যালঘু নির্যাতন এ দেশে নিত্যদিনকার ঘটনা।

২৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: @কলিমুদ্দি - মাত্রই গতকাল মহাসমারোহে উৎসবের মাধ্যমে দুর্গাপূজা শেষ করলো তারা। এখন এই পোস্ট প্রসব করেছেন তিনি।

@চাঁদাগাজী - মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমে মাইগ্রেট কারীদের মধ্যে ৩য় স্থানে বাংলাদেশীরা। এলাকাভিক্তিক নির্যাতন আর সামগ্রিক ভাবে রাষ্ট্রীয় নির্যাতন এক নয়।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কতগুলো মন্দিরের প্রতিমা ভাঙা হয়েছে, হিসেব রাখেন?

২৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২২

নীরদ অর্ণব বলেছেন: বাংলাদেশের হিন্দুরা সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ভালো আছেন । ক্ষেত্রবিশেষে মুসলমানদের চেয়ে অনেক বেশি সুবিধা পাচ্ছেন । বিশেষ করে প্রশাসনে তাদের আধিপত্য অনেক বেশি।

২৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


@বিচার মানি তালগাছে আমার,

বহুদেশের তুলনায় সাধারণ বাংগালীরা খুবই নিরীহ, তারা পড়সীর ধর্ম নিয়ে কোনভাবে চিন্তিত নন; কিন্তু খুবই সামান্য সংখ্যক বাংগালী ভেতরে ভেতরে ত্রাসের সৃস্টি করে; আমি যেই ঘটনার কথা বলেছি, সেই ঘটনায় এই বৃদ্ধ মহিলাকে ঐ পাণ্ডা ছেলে বিমানের টিকিট কেটে দিয়েছে, পাস্পোর্ট ভিসায় সাহায্য করেছে, গাড়ী ভাড়া করে চিটাগং থেকে ঢাকা এয়ার পোর্টে নিয়েছে; গ্রামের বেশীর ভাগ মানুষ খুশী যে, মহিলাকে সাহয্য করা হচ্ছে। পান্ডা উনার সম্পত্তি যে টাকার বিনিময়ে কিনেছে সেটা বাজার মুল্যের চেয়ে বেশী; কিন্ত তার সিকি পরিমাণও উনাকে দেয়নি, এবং বলেছে কাউকে না বলতে; দেশের শেষদিনগুলোতে মহিলার খাবারও ক্রেতার পরিবার থেকে আসতো। এগুলো সমস্যার সৃস্টি করেছে; উনি যে টাকা পেয়েছিলেন, তাতে উনি বাকী জীবন নিজের ভিটায় থাকতে পারতেন, কিন্তু ভয়ে চলে এসেছেন। উনার টাকা এখনো বাংলাদেশে

২৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: @চাঁদগাজী - সে ক্ষেত্রে প্রচলিত আইনেই এসবের বিচার করা যায়। আমাদের আইন ঠিক থাকলে সব ঠিক থাকবে। এই পোস্টে বলা হয়েছে বা বলার চেষ্টা করা হয়েছে বাংলাদেশের সংখ্যাগুরুদের অত্যাচারে হিন্দুরা দেশান্তরি হয়েছে আর যারা আছে তারাও খারাপ আছে!

২৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: @চাঁদগাজী -
এটা মনে হয় এলাকাভিক্তিক নির্যাতনের ঘটনা। আপনি নিজেই বলেছেন বহুদেশের তুলনায় সাধারণ বাংগালীরা খুবই নিরীহ, তারা পড়সীর ধর্ম নিয়ে কোনভাবে চিন্তিত নন; কিন্তু খুবই সামান্য সংখ্যক বাংগালী ভেতরে ভেতরে ত্রাসের সৃস্টি করে। এরকম দখল বা জোর করে ভিটে ছাড়া তো মুসলমানদের বেলায়ও হয়...

৩০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৯

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: লেখক বলেছেন: এখানে "আপনারা" বলতে কী বোঝাচ্ছেন? মুসলমান মানেই গরু-ছাগল হবে? সংখ্যালঘুদের পক্ষে কথা বলতে পারবে না? মানবিকতা দেখাতে পারবে না? ভারতের উগ্রতাকে কি এখানে সমর্থন করা হয়েছে?


সমর্থন না করলে ভারতে সাথে তুলনা করলেন কেন আপনার পোষ্টে?

ও-তে ওড়না খুবই অশ্লীল (!) র-তে রথ টানিতে কোনও প্রবলেম নেই?

মূল কথা হলো মুসলিমরা জানেনা যে , তারা মুসলিম। কিন্তু আপনারা জানেন যে আপনারা হিন্দু (তথাকথিত সংখ্যালঘু)

৩১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


@দপ্তর বিহিন মন্ত্রী,

সমস্যা, ৮৪ বছরের মহিলার পক্ষে বিচার পাওয়া মুশকিল; আর বিচার বলতে বাংলাদেশে কিছু কি আছে ?

হিন্দুরা মোটামুটি ভালো আছেন, সমস্যা হলো কাউকে বিশ্বাস করার মতো লোকজন নেই; সেটা ওদের মাঝে ভয়ের সন্চার করেছে।

৩২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: @গাজী সাহেব

আপনি যে ঊদাহরন দিলেন এইটা কি সংখ্যালঘু নির্যাতনের মধ্য পড়ে???বাংলাদেশের যে সামাজিক প্রেক্ষাপ, কোন অঢেল সম্পদশালী বৃদ্ধার সম্পতি যদি তিন কুলের দেখার কেঊ নাহ থাকে, তাহলে তিনি মুসলিম হলে তার সম্পতি দখল হয়ে যাবে।

এখানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের স্টিকার লাগানোর কি আছে???

৩৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:১৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার হয় বা হচ্ছে এটা হয়তো খানিকটা সত্যি | কিন্তু এটা কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই সরকারি গুন্ডাপান্ডাদের কাজ | যত না ধর্ম তার থেকেও অর্থনৈতিক ব্যাপার স্যাপার জড়িত | সাদাহরণ মুসলিমদের উপরও সরকারি বা ক্ষমতাশীলদের এই চাঁদাবাজি, অত্যাচার কিন্তু প্রতিদিনই হচ্ছে,অনেকেই হচ্ছে | কিন্তু সেগুলো মুসলিম প্রধান দেশে খবর হয় না | কিন্তু ভারতের সাথে এই সংখ্যালঘু নির্যাতনে আমাদের পার্থক্য হলো বাংলাদেশে যেথা প্রাতিষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষকতা পায়নি কখনো | সরকারের এমপিদেরও এই সংখ্যালঘুদের সম্পদ দখলকারী তাদের সমর্থক লুকিয়েই সমর্থন করতে হয় | ভারতে এটা কিন্তু প্রকাশ্য | নইলে কি বাবরি মসজিদ ভাঙার মূল হত্যা আদভানি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হয়? আর এখনকার প্রধানমন্ত্রী -কি যেন নাম ? ও মোদী বাবু, হাজার হাজার মুসলিম হত্যার রক্ত যার হাতে লেগে আছে সেওতো ওই ভারতেই কেমন করে যেন প্রধানমন্ত্রীও হয় (এরকম আরো অনেক মহারথীই কিন্তু আছে এখনকার ক্ষমতাসীন সরকারি দলে)! আমরা না হয় তার বিরুদ্ধে শুধুই হাবিজাবি বলি কিন্তু পৃথিবীর সর্ববৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রীর আরেক বড় গণতন্ত্রের দেশ আমেরিকায় যাওয়াও নির্ভর করে তার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী মামলা তুলে নেওয়া হলো কি না তার উপর !! আমাদের অবশ্য এতে লজ্জা লাগে না | মানুষ মাত্রইতো ভুল করে তাই না ?

৩৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ইহা একটি বাল্পুস্ট সন্দেহ নাই ! উপমহাদেশে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের সাম্প্রদায়িক জিঘাংসার শিকার কমবেশি উভয় সম্প্রদায়ই ! তবে মুসলমান এখনো ইহার শিকার ! অন্যরা শিকারী !
পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে হাতি কাদায় পড়িলে যেমন চামচিকাও লাথি মারে, তেমনি ভারতে আজও মুসলমান হাতি হইয়াও লাথির শিকার হইতেছে, কারণ আর কিছু নহে কাদায় পড়িয়াছে !
বাংলাদেশে স্বাধীনতার পরে হিন্দু সম্প্রদায় নির্যাতনের শিকার হইয়াছে ধর্মের কারণে নহে, বরং তাহাদের সম্পত্তি দখলের জন্য ! এহেন অপকর্ম সব দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই করিয়াছে ! সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপত্তাবোধের অভাবে সবসময় ভোগে ! যাহার কারণে এদেশে কামাই করিয়া ভারতে বাড়ি করার একটা ট্রেন্ড প্রায় সব হিন্দুদের মধ্যেই দেখা যায় ! একই কারণে তাহাদের মধ্যে "দিলমে হিন্দুস্থানী " টাইপের বারোতীয় (বাংলাদেশে জন্মিয়াও যিনি মনে প্রাণে ভারতীয় ) আধিক্য ! কারণ ওখানে তাহারা সংখ্যাগরিষ্ঠ !

কিন্ত ভারতে মুসলমান নির্যাতন ধর্মের কারণেই হইতেছে ! সংখ্যালঘু হইয়াও তাহারা ভারতকে নিজ দেশ হিসেবেই নিয়াছে ! সাচার কমিটির রিপোর্ট আর বাংলাদেশে এখনকার হিন্দুদের অবস্থান যদি তুলনা কইরা দেখা যায় , তাইলে কইতে হয় ভারতের মুসলমানদের তুলনায় বাংলাদেশের হিন্দুরা স্বর্গে আছে ! এই সরকারের আমলে নির্যাতন তো দূরের কথা বরং বাআলের নেতারাও আতঙ্কে থাকে হিন্দু সম্প্রদায়ের কেহ তাহাদের নামে অভিযোগ করে কিনা ! তাই তাহাদের ইয়েতে তেল মাখিতে সবাইরে ব্যাস্ত দেহা যায় ! ইহুদিরা যেমন হলোকাস্টের কথা বলিয়া পশ্চিমা জাতিগুলারে আজও ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করিয়া থাকে ,
যাহার কারণে পশ্চিমারা ইহুদিদের ইয়েতে আজও তেল মাখে, আপনার এই পোস্ট তেলের প্রবাহ বর্তমান রাখা এবং ভবিষ্যতে আরো তেল আদায়ের জন্য নাকে কান্দন ছাড়া আর কিছু না !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.