নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।
মৃত্যুর অনেক বছর পর অমর নায়ক সালমান শাহের মৃত্যুরহস্য ধীরে ধীরে আশার আলো দেখছে। ২১ বছরের কিনারা করতে অপারগ প্রশাসন যা পারেনি আসামি রুবির ভিডিও প্রকাশের পর সেটি বেরিয়ে আসছে। দেশীয় গণমাধ্যমের কর্মীদের কর্ম সাফল্যের কারণে নায়ক সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের এক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গেছে । নতুন এই তথ্যানুযায়ী সালমান শাহকে হত্যা করার জন্য চুক্তি হয়েছিলো মাত্র ১২ লাখ টাকা। এই চুক্তির চূড়ান্ত রুপেই তাকে হত্যা করা হয়।
এই ১২ লাখ টাকার চুক্তি করেছিলেনসালমানের স্ত্রী সামিরার মা লাতিফা হক। এই তথ্য ১৯৯৭ সালের জুলাইয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামি রিজভী জানিয়েছিলেন। রিজভী বলেছিলেন, সালমানকে হত্যা করতে সামিরার মা লাতিফা হক, ডন, ডেভিড, ফারুক, জাভেদের সঙ্গে ১২ লাখ টাকার চুক্তি করেন। চুক্তিতে উল্লেখ ছিল, সালমানকে শেষ করতে কাজের আগে ৬ লাখ ও কাজের পরে ৬ লাখ দেয়া হবে।
কিভাবে হত্যা করা হয় সেই ঘটনা নিয়ে আসামি রিজভি আরো জানায়, সালমানকে ঘুমাতে দেখে তার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে, ফারুক পকেট থেকে ক্লোরোফোমের শিশি বের করে এবং সামিরা তা রুমালে দিয়ে সালমানের নাকে চেপে ধরে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মামলার তিন নম্বর আসামি আজিজ মোহাম্মদ এসে সালমানের পা বাধে এবং খালি ইনজেকশন পুশ করে। এতে সামিরার মা ও সামিরা সহায়তা করে। পরে ড্রেসিং রুমে থাকা মই নিয়ে এসে, ডনের সাথে আগে থেকেই নিয়ে আসা প্লাস্টিকের দড়ি আজিজ মোহাম্মদ ভাই সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলায়।
রিজভী জবানবন্দিতে ডন, ডেভিড, ফারুক, জাভেদ ও আসামি রিজভি ছাড়াও ছাত্তার ও সাজু নামে আরো দু’জনের নাম উল্লেখ করেন। তবে প্রত্যক্ষ আসামির এই জবানবন্দির পরও তালিকায় যাদের নাম ছিল সবসময়ই তারা ছিলো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এরপর হত্যার এক বছর পারও হলে সিআইডির রিপোর্টে বলা হয়েছিলো, এটি আত্মহত্যা। অবশেষে হত্যার ১২ বছর পরেও জুডিশিয়াল ইনকোয়ারির রিপোর্টে একই কারণ বর্তানো হয়। কিন্তু কোন আসামি বা সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের কোন অস্তিত্ব নেই রিপোর্টগুলোতে। যা জানতে পেরে দু’বারই নারাজ হয়ে অসম্মতি দেন সালমানের পরিবার। তাদের দাবি সবসময়ই ছিল সালমান শাহ আত্মহত্যা করেননি। নায়ককে হত্যা করা হয়েছে।
অতপর ২০১৫ সালে র্যাবকে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হলে আইনী জটিলতায় তাও বন্ধ থাকে। ২০১৬ সালে মামলাটি নিম্ম আদালতে পাঠানো হলে তদন্তভার দেয়া হয় পুলিশ পিবিআইকে।
ডিআইজি সদস্য বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘গাড়িচালক ও গেটকিপারকে খুঁজছি ওখানে খালেক সহ দুইজন ছিল। আমি তো সহকারী আবুলকে খুঁজছি। যেই ডাক্তার সার্টিফিকেট দিয়েছেন তাকে খোঁজা হচ্ছে, আমরা কাছাকাছি চলে এসেছি। ’
এদিকে সালমানকে হত্যার পরিকল্পনা জানার বিষয়টি যে আগে থেকেই রুবি জানতেন তা বোঝা যায় রিজভির জবানবন্দিতে। হত্যার আগে রুবির বাসায় যান হত্যাকারীরা।
ফারুক আহমেদ, বাদীপক্ষের আইনজীবী জানান, ‘এই মামলার তদন্তের সময় রিজভী কিন্তু জেলখানায় ছিলেন। কিন্তু কখনো রিমাণ্ডে নেয়নি। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি এমন কোন স্টেটমেন্ট দেখি নাই। ইনভেস্টিগেশনে যেই দায়িত্ব ছিল আমার মনে হয়েছে তারা সঠিকভাবে করতে পারে নাই। ’
অথচ ২১ বছর পর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সালমান শাহ হত্যা মামলার অনেক কাগজপত্র। বারবার নারাজি দেয়ার পরও তদন্ত বা মামলা পরিচালনায় গুরুত্ব পায়নি চিত্রনায়ক সালমান শাহ’র মৃত্যুর ঘটনা। এমনকি আদালতে হত্যার সঙ্গে জড়িত রিজভী স্বীকারোক্তি দেয়ার পরও কোন আসামিকে গ্রেফতার বা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। বরং তদন্তে গাফেলতির কারণে বেশিরভাগ আসামিই রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এসব কর্মকাণ্ডে প্রশাসনের গাফলতি ও অসহযোগিতা স্পষ্টভাবে প্রমাণ হয়। তারপরও তাদের কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। তবে হাল ছাড়ছেন না সালমানের পরিবার ও তার ভক্তরা। বিচারের দাবি জানিয়ে হুংকার দিচ্ছেন সবাই।
সূত্র- সময়টিভি
১১ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০১
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সাধারণ ভক্ত হিসেবে আমাদের চাওয়া এতটুকুই।
২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩
জাহিদ অনিক বলেছেন: খালি ইনজেকশন পুশ করে - খালি বলতে কি বাতাস পুশ করা ? পাতাস পুশ করে হত্যার কথা আগে গোয়েন্দা বইতে পড়েছি ।
১১ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: হুম!
৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: রিজভী কোথায় এখন? ঐ সময় তো তাকে মনে হয় মানসিক রোগী বলে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল...
১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ধরাছোঁয়ার বাইরে মনে হয়!
৪| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রুবি তো ভিডিওতে বলেছিল "যারা মেরেছে তারা সবাই চাইনিজ।
১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:১৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: গোলমেলে।
৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২১
রানার ব্লগ বলেছেন: সালমানের সাবেক শ্বশুর জনাব হীরা কে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি, তাকে প্রশ্ন করলে তিনি অবান্তর সব কথা বার্তা বলেছেন। তার আচারন সন্দেহজনক। সামিরাকে পুলিশ কাস্টেডিতে নেয়া হোক। তারা এমন কেউ না যে তাদের পুলিশ কাস্টেডিতে নিলে দেশ ও জাতি অনেক লজ্জায় পরে যাবে।
১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সব কয়টাকে ধরে রিমান্ডে নিয়ে ডলা দিলেই রহস্য বেরিয়ে আসবে। প্রশাসন কেন নীরব; বোধগম্য হচ্ছে না!
৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আহ সালমান! হত্যা না আত্মহত্যা?
১১ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: উন্মোচিত হোক রহস্য!
৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩
নীলপরি বলেছেন: ঠিকই রহস্য উন্মোচিত হওয়া উচিত ।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সেটাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: সালমান শাহ্ এর হত্যা কারীদের ফাঁসি চাই !