নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।
একদিন এক কৃষক বাড়ি থেকে ধানের বস্তা কাঁধে নিয়ে বাজারে বিক্রি করার জন্য বাজারের উদ্দেশ্যে বের হলো। পথে এক অপরুপা সুন্দরী মেয়ে দেখে তার চোখ আটকে গেলো। কী সুন্দর সবুজ রংয়ের সালোয়ার কামিজ পরে হরিণের মত হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে! কৃষকটা কাঁধে বস্তা নিয়ে মন্ত্রমুগ্ধের মত মেয়েটির পেছনে পেছনে হাঁটতে লাগলো। কিছুদূর যাবার পর আরেকটি অপরুপা সুন্দরী মেয়ে দেখে তার চোখ আটকে গেলো। কী সুন্দর গোলাপী রংয়ের সালোয়ার কামিজ পরে হরিণের মত হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে! কৃষকটা কাঁধে বস্তা নিয়ে মন্ত্রমুগ্ধের মত মেয়েটির পেছন পেছনে হাঁটতে লাগলো। কিছুদূর যাবার পর আরেকটি অপরুপা সুন্দরী মেয়ে দেখে তার চোখ আটকে গেলো। কী সুন্দর কালো রংয়ের সালোয়ার কামিজ পরে হরিণের মত হেঁটে হেঁটে যাচ্ছে! হঠাৎ কোথায় যেন উষ্ঠা খেয়ে কৃষক ধরমড় করে পরে গেলো। রাগে ক্ষোভে বলে ওঠলো ধুর ব..! হরলিক্স প্রজন্ম কি ঐ কৃষকের অনুগামী হয়ে গেলো?
০২
পাক বাহিনীর হামলায় পড়ে মহিলারা দৌড়ে পালানোর সময় এক লোক এক বৃদ্ধাকে জিজ্ঞেস করে, "কী গো বুড়ি মা, তুমি দৌড়াও কেন? যারা যুবতি আছে, তারা তো ইজ্জতের ভয়ে দৌড়াচ্ছে।" বুড়ির জবাব, "ওদের মাঝে কিছু বুড়ো সৈনিকও আছে।"
০৩
গ্রামের এক যুবতী রমনী একটু দূরের এক
কূয়া থেকে পানি তুলছিলো। পাশ দিয়ে
এক দরবেশ হেঁটে যাচ্ছিলো। যুবতীকে দেখে তাঁর মনে হলো, "এই নারী জাতির মাঝে এমন কী শক্তি, কৌশল ও ছলনা রয়েছে; যা দ্বারা তারা বাদশাকে ফকির,
বীরকে ভীরু, আলেমকে জাহেল, পাথরকে মোম, বৃদ্ধকে যুবক বানিয়ে ইচ্ছে মতো খেলাতে পারে?"
দরবেশ এসে তাঁর মনের কথা গুলো ঐ যুবতীকে বললো। দরবেশের কথা শুনে যুবতী তার শাড়ীর অর্ধেক খুলে ফেললো, চুলগুলো এলোমেলো করে "আমাকে বাঁচাও" বলে চিৎকার জুড়ে দিলো।
দরবেশ তখন মেয়েটাকে বললো, "মা, আমি তোমার কাছে একটা জিনিস জানতে চাইলাম, আর তুমি কিনা আমার
সাথে ছলনা করে আমাকে এখন মানুষের
হাতে মার খাওয়াবে?" তিনি কেঁদে ফেললেন, এবং বললেন, "এটাই কি তোমার মনে ছিলো?"
০৪
একবার একলোক তার বউকে একটা মেসেজ পাঠালো। কিন্তু ভুল বশত সেই মেসেজটা চলে গেলো এক বিধবা মহিলার কাছে। সেই বিধবা মহিলার স্বামী মাত্রই গতকাল মারা গিয়েছেন। যাই হোক, মহিলা মেসেজটি খুললেন, পড়লেন, এবং সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন!
কী লেখা ছিল সেই মেসেজে?
মেসেজে লেখা ছিলঃ
আমার প্রিয় বউ! আমি ঠিকঠাক মতই পৌঁছেছি! আমি জানি তুমি আমার কাছ থেকে মেসেজ আশা কর নি! এখানে আজকাল মোবাইল ফোন এসে পড়েছে! আমি আসার সাথে সাথে তারা আমাকে একটা মোবাইল ফোন গিফট করেছে! সেই মোবাইল থেকেই আমি তোমাকে মেসেজ পাঠালাম! তুমি জেনে আরো খুশি হবে যে, তারা সবাই এখানে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে! আশা করা যায়, কাল-পরশুর মধ্যেই তুমিও চলে আসবে! আশা করি তোমার যাত্রাও হবে আমার মত সুখের! তোমার অপেক্ষায় রইলাম!
ইতি,
তোমার প্রিয় স্বামী
০৫
পুরুষের বোকামো
গাধাকে সৃষ্টি করার পর সৃষ্টিকর্তা বললেন, "তুই আজীবন কঠোর পরিশ্রম করবি, অন্যের বোঝা বয়ে বেড়াবি! তোর মাথায় কোনো বুদ্ধিও থাকবেনা! তোকে আয়ু দিলাম ৫০ বছর!"
গাধা বলে, "ক্যামনে কি? এত কষ্ট করে আমি দীর্ঘদিন বাঁচতে চাইনা! পিলিজ লাগে, আমার আয়ু কমিয়ে ২০ বছর করে দেন!"
সৃষ্টিকর্তা বললেন, "যাহ, তাই দিলাম!" কুকুরকে বললেন, "তুই হবি মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু, কিন্তু মানুষের উচ্ছিষ্ট খেয়ে বেঁচে থাকবি! তোর আয়ু হবে ৩০ বছর!" এ কথা শুনে কুকুর তো পুরাই মাননীয় স্পিকার! সে ঈশ্বর কে বলল, "দয়া কইরা একটু শর্ট কইরা ঐটা ১৫ কইরা দেন! এতদিন বাঁচতাম চাই না!" ঈশ্বর এইবারও রাজি হয়ে গেলেন! এরপর উনি বানরকে বললেন, "হে বানর, তোর একমাত্র কাজ হবে লাফায়া লাফায়া এক গাছ থেকে আরেক গাছে যাওয়া! আর তামাশা দেখায়া মানুষকে বিনোদন দেয়া! তোর আয়ু দিলাম ২০ বছর!"
বানর মনে মনে কয়, "কেউ আমারে মাইরালা.........। সে আবেগে কাইন্দালাইয়া ঈশ্বরকে বলল, "দিবেনই যখন ১০ বছর দেন, আমি এত বড় জীবন দিয়া কী করাম?"
ঈশ্বর এইবার পুরুষকে বললেন, "তুমি হইবা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব! সবচেয়ে জ্ঞানী এবং বিচক্ষণ! তোমার আয়ুও হবে ২০ বছর!"
সেতো ভেতরে ভেতর খুশিতে পাগল হয়ে গেছে । কিন্তু এত মহৎ জীবন নিয়ে মাত্র ২০ বছর? ক্যামনে কী?
সে কড়জোরে প্রভুকে বলল, "একটা কাজ করন যায় না? আপনি আমারে গাধার ফেরত দেয়া ৩০ বছর, কুত্তার ১৫ বছর, বানরের ১০ বছর দিয়ে দেন! আই ওয়ান্ট টু লিভ মাই লাইফ টু দ্য ফুলেস্ট!"
ঈশ্বর বললেন, "নিজের বোঝ পাগলেও বোঝে, কিন্তু তুই বুঝলি না! যাহ, দিলাম!"
সেই থেকে ছেলেরা পুরুষ মানুষ হিসেবে বাঁচে ২০ বছর, পরের ৩০ বছর গাধার মত সংসারের বোঝা টানে! তার পরের ১৫ বছর ছেলে-মেয়ে যা দেয়, তাই খেয়ে পরে বেঁচে থাকে কুকুরের মত! আর তার পরের দশ বছর বানরের মত, কখনো এক সন্তানের বাসা, তো কখনো আরেক সন্তানের বাসায় ঘুরে আর নাতি নাতনিরে বিনোদন দেয়াই হয় তাদের প্রধান দায়িত্ব!
০৬
সংসদে এক সরকারি এম.পি তাঁর বক্তৃতার সময় এক গল্প বললেন, “এক বাবা তাঁর তিন ছেলেকে ১০০ টাকা করে দিয়ে বললেন যে, এমন কিছু কিনে আনো, যাতে ঘরটা পুরো ভর্তি হয়ে যায়.......। ১ম ছেলে ১০০ টাকার খড় কিনে আনলো, কিন্তু ঘর পুরোপুরি ভর্তি করতে পারলোনা...
২য় ছেলে ১০০ টাকার তুলা কিনে আনলো, কিন্তু সেও ঘর পুরোপুরি ভর্তি করতে পারলোনা...
৩য় ছেলে ৫টাকা দিয়ে একটা মোমবাতি কিনে আনলো এবং রুমের মাঝে জ্বালালো। এতে পুরো ঘর সম্পূর্ণ আলোতে ভর্তি হয়ে গেলো।“
এম.পি সাহেব আরও বলতে লাগলেন যে, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তৃতীয় ছেলের মতো। যেদিন থেকে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন এই দেশের, এই দেশ উন্নতির আলোতে পূর্ণ হয়ে গিয়েছে........ ।”
পেছন থেকে আওয়াজ এলো “সেটা তো ঠিক আছে, কিন্তু বাকি ৯৫ টাকা কই গেলো?"
২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:৫৩
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ঠিক কৌতুকও বলা যায় না, কৌতুকাশ্রয়ী গল্প বলা যেতে পারে ।
২| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
নং ০৪, আমার জন্য নতুন; আসলেই ভীতিকর
২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন:
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ৪ এবং ৫ ভাল লেগেছে।। ৬নং তো বাস্তব
২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:৪৬
ওমেরা বলেছেন: কৌতুক দিয়ে বলছেন গল্প !! কৌতুক আর গল্প কি এক হল ?