নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ্যাডলফ হিটলারের সততা, ফ্যাক্টস ও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১০


অ্যাডলফ হিটলারের সততা
অ্যাডলফ হিটলার ছোটবেলায় একবার দুষ্টুমি করে তাঁর বন্ধুবান্ধবদের বললেন তাকে জার্মানীর প্রেসিডেন্ট বলে মিছিল দিতে । মিছিল দিলে তিনি সবাইকে মিষ্টি খাওয়াবেন । তো সবাই মিলে হিটলারকে জার্মানীর প্রেসিডেন্ট বলে মিছিল দিলো । পরে কথামত হিটলার তাদের সবাইকে একটা মিষ্টির দোকানে নিয়ে গেলেন এবং সবাইকে মিষ্টি খাওয়ালেন । সবাইকে মিষ্টি খাওনোর পর হিটলার দোকানের বিল না দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন; এমন সময় দোকানদার হিটলারকে মিষ্টির বিল দিতে বলল । হিটলার বিল না দিয়ে বললেন, "আমি জার্মানীর প্রেসিডেন্ট, আমার কি বিল দিতে হয়"?
দোকানদার বললো, "কে বলেছে তুমি
জার্মানির প্রেসিডেন্ট"?
তখন হিটলার বললেন, "দেখলেন না সবাই আমাকে জার্মানীর প্রেসিডেন্ট বলে মিছিল দিয়েছে"!
এসব বলে তিনি বিল না দিয়েই চলে গেলেন ।
একসময় এই হিটলার ঠিকই জার্মানীর প্রেসিডেন্ট হলেন । তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, "প্রেসিডেন্ট হবার পর এখন আপনার প্রথম কাজ কী"?
তখন হিটলার বললেন, "আমি ছোটবেলায় দুষ্টুমি করে এক মিষ্টির দোকান থেকে বন্ধুদেরকে মিষ্টি খাইয়েছিলাম, কিন্তু তার বিল দেইনি । তাই আমার প্রথম কাজ হলো, ঐ মিষ্টির দোকানদারের বিল পরিশোধ করা" ।

ফ্যাক্টস
♦জার্মানীর স্বৈরশাসক হলেও হিটলার কিন্তু সেখানে জন্মগ্রহণ করেন নি । তাঁর জন্ম হয় অস্ট্রিয়ায় ১৮৮৯ সালে ।
♦হিটলারের মা যখন হিটলারকে গর্ভধারণ করেন, তখন তিনি গর্ভপাত করতে চেয়েছিলেন । কিন্তু তাঁর ডাক্তার তাঁকে বলে কয়ে গর্ভপাত না করতে রাজি করায় ।
♦হিটলার ছোটবেলায় অ্যডি নামে পরিচিত ছিলেন ।
♦কৈশোরে হিটলার একজন চিত্রশিল্পী হতে চেয়েছিলেন । তিনি দুইবার ভিয়েনা আর্ট একাডেমিতে অাবেদনও করেছিলেন কিন্তু একবারও তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয় নি ।
♦হিটলারের মায়ের মৃত্যু হয় স্তন ক্যান্সারে ১৯০৮ সালে । মায়ের মৃত্যুর পর হিটলার চার বছর ভিয়েনার রাস্তায় নিজের আঁকা পোস্টকার্ড বিক্রি করে জীবনযাপন করতেন ।
♦এটা এখনো নিশ্চিত নয় যে কীভাবে হিটলার ইহুদীবিরোধী মতবাদী হয়ে যান, তবে অনেকে মনে করেন এটা তাঁর দাদার থেকে (তাঁর দাদা কি ইহুদী ছিলেন?) । আবার অনেকে মনে করেন হিটলারের মা এর যখন মৃত্যু হয়, তখন তিনি এক ইহুদী ডাক্তারের অধীনে ছিলেন, যে হিটলারের
মায়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী । আবার অনেকের
ধারণা, ভিয়েনায় হিটলারের জীবনকালে তিনি এই মতবাদে বিশ্বাসী হন ।
♦হিটলার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রিয়ান সেনাবাহিনীর সার্ভিস এড়াতে মিউনিখ চলে যান । সেখানে তিনি জার্মান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন আর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের চার বছর অনেক কষ্ট করে কাটিয়ে দেয় । প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তাঁর সাহসিকতার জন্য তাঁকে দুটি লৌহক্রুশ দেয়া হয় ।
♦হিটলার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে দুবার মারাত্মকভাবে আহত হন । প্রথমবার ১৯১৬ সালে তিনি একটা গ্রেনেড অ্যটাকে পায়ে আঘাত পান আর দ্বিতীয়বার তিনি গ্যাস আক্রমনে সাময়িকভাবে অন্ধ হয়ে যান । তিনি যখন এর জন্য হাসপাতালে ছিলেন, তখন জার্মানি আত্মসমর্পণ করে । হিটলার এতে প্রচন্ড ক্ষ্রিপ্ত হন ।
♦পরবর্তীতে হিটলার আবার মিউনিখে চলে আসেন, আর একটা ইহুদী বিরোধী পার্টির ৫৫তম সদস্য হন ।
♦পরবর্তীতে তিনি এই পার্টির প্রধান হন, আর এর নাম বদলে ফেলেন; যাকে আমরা নাৎসী পার্টি নামে চিনি । এর প্রতিক ছিল রক্তলাল ব্যকগ্রাউন্ডের উপর স্বস্তিকা চিহ্ন ।

আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
অ্যাডলফ হিটলারের জীবন ঘিরে এমন কতগুলো তথ্য আছে, যা জানলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য । সেরকম সাতটি অজানা তথ্য । এগুলো নিয়ে প্রথম থেকে গুঞ্জন থাকলেও আধুনিক ঐতিহাসিক এবং গবেষকরা মনে করেন, এই তথ্যগুলো সত্যি । যেগুলো নাকি তাঁর ভাবমূর্তির সঙ্গে আপাতভাবে বিরোধী ।
♦ইহুদি প্রেমিকা : হিটলারের প্রথম জীবন অন্ধকারে ঢাকা । জীবনীকাররাও বেশি আলো ফেলতে পারেননি । ভিয়েনা-সহ অস্ট্রিয়ার নানা শহরে কেটেছিলো তাঁর বাল্য এবং কৈশোর । শোনা যায়, ১৬ বছর বয়সে প্রেমে পড়েছিলেন অ্যাডল্ফ, কিশোরী স্তেফানি আইজ্যাকের । পদবী দেখেই বোঝা যাচ্ছে, সে ছিলো ইহুদি পরিবারের কন্যা; কিন্তু লাজুক হিটলার কোনদিন মুখ ফুটে বলতে পারেননি প্রেমের কথা ।
অ্যাডল্ফের প্রেমে নাকি অনেক মেয়েই পড়েছিলো । কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে স্তেফানি কোনদিন পাত্তা দেয়নি তাঁকে । অব্যক্ত প্রেম নিয়ে কবিতা, গানও লিখেছিলেন হিটলার । এমনকী অবসাদে আত্মঘাতী হওয়ার কথাও ভেবেছিলেন । অনেক ঐতিহাসিক বলেন, কৈশোরে ইহুদি কন্যার কাছ থেকে আসা এই আঘাত তাঁর ইহুদি বিদ্বেষের অন্যতম এক কারণ ।
♦ধূম্রপানের বিরোধিতা : রোজ গড়ে ২৫-৪০ টি সিগারেট খেতেন তিনি, কিন্তু ধীরে ধীরে ছেড়ে দেন । নাৎসিরা দেশ জুড়ে স্মোকিং ব্যান করতে উদ্যোগ নেয় । বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রকাশ্য ধূমপান । পরে অবশ্য এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যায় । কিন্তু মানুষের মনে তামাকের প্রতি বিদ্বেষ থেকেই যায় ।
♦একটি অণ্ডকোষ : হিটলারের যৌনাঙ্গ নিয়ে প্রথম থেকেই বহু গুজব ছিলো । কিন্তু মৃত্যুর পরে অটোপ্সিতে নাকি প্রমাণিত হয় সত্যিই হিটলারের দেহে একটি অণ্ডকোষ ছিলো । হয়তো রণাঙ্গনেই এই অঙ্গহানি হয়েছিলো তাঁর ।
♦১০০ % নিরামিষাশী : হিটলার ছিলেন সম্পূর্ণ নিরামিষাশী । এমনকী পশুপাখির প্রতি তিনি ছিলেন অত্যন্ত সদয় । পশুদের উপর নির্মমতা রুখতে আইন প্রণয়ন করেছিলেন তিনি । বলা হয়ে থাকে, এই সদয় মনোভাব যদি মানুষের উপর দেখাতেন, পৃথিবীর ইতিহাসে রক্তপাত অনেক কম হতো ।
♦সাধু হওয়ার স্বপ্ন : চার বছর বয়সে একবার জলে ডোবার হাত থেকে তাঁকে বাঁচান এক খ্রিস্টীয় সাধু । তারপর থেকেই হিটলারকে পেয়ে বসে সাধু হওয়ার স্বপ্ন । গির্জায় গিয়ে নিয়মিত ক্যারল গাইতো বালক হিটলার । সেই হিটলার পাল্টে যান তাঁর ভাই এডমুন্ডের মৃত্যুর পর থেকে । সবার থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন । মনে করা হয়, এই বিচ্ছেদ থেকেই হিংস্রতার বীজ তাঁর মনে বাড়তে থাকে ।
♦খাবারে ইস্ট্রোজেন : চরিত্রে আগ্রাসন কমাতে নাকি মার্কিন এবং ব্রিটিশ গোয়েন্দারা হিটলারের খাবারে মিশিয়ে দিতেন ফেমিনিন হরমোন ইস্ট্রোজেন । কিন্তু কোনও লাভ হয়নি । ইস্ট্রোজেন দমিয়ে রাখতে পারেনি তাঁকে ।
♦বিড়াল-আতঙ্ক : দোর্দণ্ডপ্রতাপ ফুয়েরার যমের মতো ভয় পেতেন একটি প্রাণিকে । সেটি হল বিড়াল । বিড়াল থেকে ভয় বা Ailurophobia-র শিকার ছিলেন তিনি । হয়তো ছোটবেলার কোনও স্মৃতি তাড়া করে বেড়াত তাঁকে । হিটলারের মতো এই আতঙ্কের শিকার ছিলেন আরও দুই বীর মুসোলিনি এবং নাপোলেয়ঁ বোনাপার্তে ।
♦হিটলার ১৯৩৯ সালে নোবেল
শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত
হয়েছিলেন ।
♦হিটলারের নাম কিন্তু প্রথমে ছিল
Adlof Shicklgruber । তবে তার বাবা
১৮৭৭ সালে তাঁর ছেলের নামের শেষ অংশ পরিবর্তন করে এডলফ হিটলার রাখেন ।
♦হিটলার Chronic flatulence এ আক্রান্ত ছিলেন । এর থেকে প্রতিকার
পেতে তিনি ২৮ ধরণের ওষুধ সেবন
করতেন ।
♦ব্রিটেন ও জার্মানির সম্পর্ক
অতীতে কখনোই তেমন ভালো ছিল
না । প্রথম বিশ্বযুদ্ধে একজন ব্রিটিশ
সেনা একজন জার্মানের প্রাণ
বাঁচিয়েছিল । আর সেই জার্মানটি
ছিলেন অ্যাডলফ হিটলার!
♦হিটলার ইংল্যান্ডের লিভারপুলে
তাঁর ভাগ্নের বাড়ির উপর বোমা
বর্ষণ করেন । কেন জানেন? যাতে
তাঁর ভাগ্নে তাঁর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে
আমেরিকান সেনাবাহিনীতে যোগ
দেয় ও তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ।
♦আমেরিকার সাথে শত্রুতা থাকা
সত্ত্বেও হিটলারের অনুপ্রেরণা
ছিলেন হেনরি ফোর্ড । আমেরিকার এ ব্যক্তি ছিলেন বিখ্যাত ফোর্ড গাড়ি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা । হিটলারের ডেস্কের পেছনে ফোর্ডের একটা পোট্রেট
ছিল ।
♦জার্মানিতে সে সময় একজন ইহুদী
বংশদ্ভূত চিকিৎসক ছিলেন, যিনি হিটলারের পরিবারের কাছ থেকে চিকিৎসার জন্য অর্থ নেন নি ।
কারণ, হিটলারের পরিবার সেসময়
আর্থিক অনটনে ছিল । পরে ইহুদীদের
প্রতি চরম অত্যাচার চালালেও
হিটলার সে চিকিৎসককে রক্ষা
করেন । তিনি এ ব্যক্তিকে ডাকতেন
‘মহান ইহুদী’ ।
♦ইহুদীদের নির্যাতন করে মারার
জন্য হিটলারের নাৎসি বাহিনী তৈরি করেছিল কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প । তবে অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে, হিটলার তাঁর জীবনে কখনোই এসব কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প নিজের চোখে দেখেনই নি!
♦ছোটবেলায় হিটলার চেয়েছিলেন একজন পাদ্রী হতে ।
♦হিটলার ছিলেন ডিজনি নির্মিত
কার্টুনের বিশাল ভক্ত!

সূত্রঃ ইন্টারনেট








মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১৮

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: হিটলার কর্তক হ্যভারা প্রগ্রামের মাধ্যমে ইহুদদের ফিলিস্তিনে আসার ব্যবস্থা এর্ং কনসেন্টশেন ক্যামপ এর মাধ্য কোন ক্লু খুজে পাইনা।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বিষয়টা সর্প হয়ে দংশন করো ওঝা হয়ে ঝাড়ো; এমন কি?

২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

হিন্দুস্তানি বলেছেন: আমিই অ্যাডলফ হিটলার’, দাবি ১২৮ বছরের বৃদ্ধের!আমিই অ্যাডলফ হিটলার’, দাবি ১২৮ বছরের বৃদ্ধের! হারমান গুটেনবার্গ, যিনি নিজেকে অ্যাডলফ হিটলার বলে দাবি করছেন।
ফের শিরোনামে উঠে এল অ্যাডলফ হিটলারের নাম। সৌজন্যে আর্জেন্তিনার এক বৃদ্ধ!
সম্প্রতি হারমান গুটেনবার্গ নামে ওই বৃদ্ধ নিজেকে হিটলার বলে দাবি করেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর বয়সও নাকি ১২৮! এই খবর আর্জেন্তিনা এবং লাতিন আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের একাংশে ফলাও করে ছাপা হয়েছে। তবে, খবরটিতে বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব থাকায় বিশ্বের নামী সংবাদমাধ্যমগুলি এ নিয়ে তেমন একটা উত্সাহী হয়নি। এমনকী ওই বৃদ্ধের স্ত্রীও তাঁর দাবি মানতে নারাজ। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী অ্যালঝাইমার’স-এ আক্রান্ত হয়েই এ সব বলছেন।
সম্প্রতি গুটেনবার্গ দাবি করেন, তিনি-ই নাকি অ্যাডলফ হিটলার। কিন্তু, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর পরাজয়ের পর ১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল হিটলার তো আত্মহত্যা করেছিলেন! ইতিহাসবিদেরা তো তেমনটাই বলেন। তা হলে তিনি কী ভাবে আর্জেন্তিনায় এলেন? ওই বৃদ্ধের দাবি, ১৯৪৫ সালে বিপর্যয়ের পরে তিনি আর্জেন্তিনায় চলে আসেন। আত্মগোপন করতে নিজের নামও বদলে নেন। শুধু তাই নয়, ‘জার্মান গুপ্তচর’রা নাকি তাঁর নামে পাসপোর্টও বানিয়ে দেয়। তবে, ওই বৃদ্ধের কোনও দাবির সপক্ষে একটিও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। ওই বৃদ্ধের আরও দাবি, দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে তিনি যখন আত্মগোপন করেছিলেন, সেই সময়ে ইজরাইলের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ-এর গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। তাঁর কাজ ছিল যুদ্ধপরাধী নাৎসি বাহিনীর শীর্ষ নেতাদের খুঁজে বের করা।
ইতিহাসবিদদের একটা ছোট অংশ যদিও দাবি করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর আর্জেন্তিনায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি হিটলার। এই মতামতের পক্ষে একাধিক প্রমাণ এবং যুক্তি সামনে এনেছেন তাঁরা। গুটেনবার্গ যখন নিজেকে হিটলার বলে দাবি করে একের পর এক নানা দাবি, তথ্য সামনে আনছেন, তখন কিছুটা কাকতালীয় ভাবেই আর্জেন্তিনার বুয়েনেস আইরেসের একটি বাড়ির গুপ্ত কুঠুরি থেকে মিলেছে নাৎসিদের ব্যবহৃত জিনিসপত্রের ভাণ্ডার। তাতে আলোচনা আরও জোরদার হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গুটেনবার্গের খবরটি মূলত ‘ব্যঙ্গ’ করেই প্রথমে প্রকাশ করা হয়। তার পরে তাতে নানা প্রশ্ন এবং যুক্তি জুড়ে আর্জেন্তিনা এবং লাতিন আমেরিকার সংবাদমাধ্যম খবরটি করে। তাতে যদিও খবরটি বিশ্বাসযোগ্যতার জায়গায় পৌঁছয়নি। গুটেনবার্গের স্ত্রী এঞ্জেলা মার্টিনেজ তাঁর স্বামীর সব দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতে, অ্যালঝাইমার’স-এ আক্রান্ত গুটেনবার্গ স্মৃতিভ্রংশের কারণেই ভুল বকছেন।
এবেল বাস্তি নামে এক লেখক ২০১৬-র জুলাইয়ে ‘হিটলার ইন একজাইল’ (নির্বাসনে হিটলার) নামে একটি বই লিখেছিলেন। সেখানে লেখক দাবি করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর পরাজয়ের পর হিটলার আর্জেন্তিনায় চলে আসেন। সেখানে দশ বছর আত্মগোপন করে থাকার পর তিনি নাকি প্যারাগুয়ে চলে যান। তবে, এবেল বাস্তির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১-এর ৩ ফেব্রুয়ারি সেখানেই হিটলারের মৃত্যু হয়। অনেকে আবার এর সঙ্গে এফবিআই-এর প্রকাশিত একটি রিপোর্টও প্রকাশ্যে আনেন। সেখানেও দাবি করা হয়, হিটলার মারা যাননি। তিনি আর্জেন্তিনায় পালিয়ে গিয়েছিলেন।
তবে যুক্তি-তর্কের ঊর্ধ্বে উঠে গুটেনবার্গের একটি দাবি অনেকেরই চোখ কপালে তুলে দিয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর বয়স নাকি ১২৮। বেঁচে থাকলে ১৮৮৯-এ জন্মানো হিটলারেরও একই বয়স হত। কিন্তু, এর সপক্ষেও কোনও প্রমাণ মেলেনি। ওই বৃদ্ধ তাঁর শেষ ইচ্ছের কথাও জানিয়েছেন। তিনি ‘আত্মজীবনী’ (অ্যাডলফ হিটলারের) লিখবেন। তাঁর বিশ্বাস, এই আত্মজীবনী বিশ্বের মানুষের কাছে হিটলার সম্পর্কে অনেক ধারনা পাল্টে দেবে।
সব মিলিয়ে একটি ধোঁয়াশা ভরা খবরই আপাতত শিরোনামে এনে দিয়েছে পরিচিত সেই হিটলারকে।
সু:---আনন্দবাজার

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বিশ্বাসযোগ্য না!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.