নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।
সেটা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের তৃতীয় বর্ষের ঘটনা । ভাইবা দিতে গেলাম । "ম্যা আই কাম ইন, স্যার?" বলতেই প্রবেশের অনুমতি পাওয়া গেলো । ঢুকেই সবাইকে লম্বা একটা সালাম দিলাম । সালাম নিয়ে আমাকে বসতে বললেন পর্যবেক্ষক সাহেব । নিশ্চুপে বসলাম তাঁর সামনে । মনে মনে ভয় কাজ করছিলো । পড়াশোনা সামান্যই হয়েছে গতরাত্রে! কী ভাইবা দেবো বুঝতে পারছিলাম না!
শ্রদ্ধেয় আশরাফুল আলম স্যার আমার সাথে উনার পরিচয় করিয়ে দিলেন, "স্যার, হি ইজ অ্যা পোয়েট!" মাসুদ রানা স্যার তখন আমাকে চিনতেন না; তিনি কিছুদিন হলো এসেছেন । তিনিও ভাইবাবোর্ডে ছিলেন । নিষ্ক্রিয় দর্শক হয়ে বসেছিলেন অবশ্য ।
যাহোক, আমার এই পরিচয়ের (কাব্যপ্রেমিক অার কী) কথা দুঃশ্চিন্তায় প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম । এবার একটু আত্মবিশ্বাস ফিরে এলো । ভদ্রলোক উৎসাহিত হয়ে বললেন,"ও আই সি! নিজের সম্পর্কে বল!"
"কী বলবো" ভাবছি! আশরাফুল আলম স্যার বললেন, "আপনার নিজের সম্পর্কে বলুন ।"
নিজের সম্পর্কে বলা শুরু করলামঃ আমার নাম, বাবার নাম, এলাকার নাম সহ অনেককিছুই ।
এবার হুকুম এলো নিজের লেখা কোন কবিতা পাঠ করার ।
আমার তো কোন কবিতা মুখস্ত থাকে না । বিভিন্ন পরিস্থিতিতে লিখে ফেলি । পরে আর মনে থাকে না কিছুই । কী করি, কী করি! কিছু একটা তো বলতেই হবে । যেহেতু আমার পছন্দের আর কোন কবিতা মনে ছিলো না, জীবনের প্রথম লেখা কবিতাটাই আবৃত্তি শুরু করলাম ।
মনে আমার ছিল আশা
হয়ে আমি দেশান্তর,
মুগ্ধ হয়ে দেখব শুধু
বাংলার গ্রাম-গ্রামান্তর ।
কবিতাটা ২৪ লাইনের, ২০০৩ সালে লেখা; যখন আমার বয়স দশ বছর ছিলো । কিছু ভুল-ত্রুটি রয়েই গেছে, ঠিক করি নি (এখন অবশ্য সংশোধন করা হয়েছে)। ভয়ে ছিলাম ভুল ধরা পড়ে যায় কি না, এই ভেবে । যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত্রি হয় । ভদ্রলোক বললেন, "এখানে দেশান্তর কেন? দেশান্তর মানে তো অন্যদেশ । আমি দেখব বাংলা, দেশান্তরী হলে তো আর বাংলা দেখা হলো না ।"
আমি বললাম, "অনেক আগের লেখা তো!"
উনি বললেন, "ঠিক করে ফেলো!"
আমি বললাম, "ঠিক আছে, স্যার!"
"ওকে! তুমি এখন আসতে পারো ।" পর্যবেক্ষক সাহেব বললেন ।
আমার ভাইবা শেষ । বেরিয়ে এলাম । মনের মধ্যে কেমন যেন একটা খুঁতখুঁতানি রয়েই গেলো । "ইশ, কেন যে ভালো একটা কবিতা মুখস্ত করে এলাম না?"
০৩ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন:
২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩২
দ্বীপ ১৭৯২ বলেছেন: সুন্দর
০৩ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: শুভেচ্ছা ।
৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০২
মেঘের সাথী বলেছেন: নিজের লেখা কবিতা আর যাই হোক মুখস্থ থাকেনা। অন্তত আমার ক্ষেত্রে মুখস্থ রাখা সম্ভব হয়নি এখনো।
০৩ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১৪
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সে বড্ড কঠিন কাজ!
৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: জীবন থেকে নেয়া ভাল লাগল।
আমার শুভেচ্ছা নিন।
০৩ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: পাঠ ও প্রতিক্রিয়ায় শুকরিয়া ।
৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:০৬
ওমেরা বলেছেন: আচ্ছা আপনার চাকরীটা কি হয়েছিল ?
০৩ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ওটা চাকরির ভাইবা ছিলো না, বিবিএ তৃতীয় বর্ষের।
৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিবিএ পড়া মানে কি ইউনিভার্সিটিতে নাম লেখালেই ডিগ্রি?
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ?
৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:০১
রাজীব নুর বলেছেন: এযুগের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি গুলোর লেখা পড়ার মান খুব খারাপ।
যারা এই সব জাগা থেকে লেখা পড়ে করে আসে- কর্ম জীবনে তাদের অনেক বেগ পেতে হয়।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: জনাব, আমাকে উদ্দেশ্য করেই কি বললেন? তাহলে ভুল হলো যে! আমি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম ।
৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৬
সুমন কর বলেছেন: মজার ভাইবা।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন:
৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কবি হওয়াতে ভাইবাটা কত সহজ হয়ে গেল, তাই না??
তবে, মুগ্ধ হয়ে দেখব শুধু
বাংলার গ্রাম-গ্রামান্তর । এই লাইন দুটো আমাকে আসলেও মুগ্ধ করেছে।।
০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:০৫
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আসলেই! বিবিএ, এমবিএতে ভাইবায় যথেষ্ঠ ছাড় পেয়েছি; সহপাঠিদের পাশাপাশি শিক্ষকগণও মূল্যায়ন করতেন খুব!
কবিতাটা যখন লিখি, তখন আমি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র! তখনকার পারিপাশ্বিকতা বিবেচনায় লেখা আর কী!
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৯
তাতিয়ানা পোর্ট বলেছেন: