নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।
চলচ্চিত্র বোদ্ধা ও সমালোচকদের দৃষ্টিতে নিম্নের ছবিগুলো সর্বকালের সেরা বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের মর্যাদা পেয়েছে।
(১) তিতাস একটি নদীর নাম
তিতাস একটি নদীর নাম চলচ্চিত্রের পরিচালক ঋত্বিক ঘটক এবং এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭৩ সালে । অদ্বৈত মল্লবর্মণ বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক। তাঁর লেখা উপন্যাস ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ এমন একটি সফল সৃষ্টি, যা লেখককে বাংলা সাহিত্যের উপন্যাসের ধারায় একটি মর্যাদাপূর্ণ আসন দান করেছে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর “পদ্মা নদীর মাঝি” এর পর আর কেউ যদি খুব সফল ভাবে জেলেদের জীবন নিয়ে উপন্যাস রচনা করেছেন, তিনি হলেন অদ্বৈত মল্লবর্মণ। আর এই উপন্যাসকে সফল ভাবে মুভিতে যিনি চিত্রায়িত করেছেন, তিনি হলেন লিজেন্ডারী ঋত্বিক ঘটক। এই মুভিটি ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্ড্রাসটির এক জরিপে শ্রেষ্ঠ ১০ বাংলাদেশী সিনেমার তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে। এই নিয়ে স্বয়ং ঋত্বিক কুমার ঘটক একবার প্রবীর মিত্রকে বলেছিলেন “আমার এই ছবিটি সময় উপোযোগী হয়নি। সময়ের অনেক আগেই বানিয়ে ফেলেছি”। সত্যিই ২০ বছর পর দেখা গেল এই ছবিটি আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
(২) চিত্রা নদীর পাড়ে
চিত্রা নদীর পাড়ে চলচ্চিত্রের পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল এবং এই চলচিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালে।
(৩) নদীর নাম মধুমতি
নদীর নাম মধুমতি চলচ্চিত্রের পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল এবং এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৯৮ সালে।
(৪) সীমানা পেরিয়ে
সীমানা পেরিয়ে চলচ্চিত্রের পরিচালক আলমগীর কবির এবং এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে।
(৫) বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না
বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না চলচ্চিত্রের পরিচালক তোজাম্মেল হক বকুল এবং এ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৯৮ সালে।
(৬) সূর্য দীঘল বাড়ী
সূর্য দীঘল বাড়ী চলচ্চিত্রের পরিচালক শেখ নিয়ামত আলী ও মসীউদ্দীন শাকের এবং এ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭৯ সালে।
(৭) ধীরে বহে মেঘনা
ধীরে বহে মেঘনা চলচ্চিত্রের পরিচালক আলমগীর কবির এবং এ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭৯ সালে।
(৮) রূপালী সৈকতে
রূপালী সৈকতে চলচ্চিত্রের পরিচালক আলমগীর কবির এবং এ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭৯ সালে।
(৯) শ্রাবণ মেঘের দিন
শ্রাবণ মেঘের দিন চলচ্চিত্রের পরিচালক হুমায়ুন আহমেদ এবং এই চলচিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালে। এই চলচিত্র হুমায়ূন আহমেদের পরম যত্নে বানানো এক অমর সৃষ্টি। হুমায়ূন আহমেদ এ ছবির আগে ও পরে বহু নাটক-সিনেমা-টিভি ধারাবাহিক বানিয়েছেন। কোন কোনটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে, বোদ্ধামহলে প্রশংসিত হয়েছে।
আবার কোনটার জন্য তিনি সমালোচিতও হয়েছেন। খেয়ালি এই শিল্পী যেমন ইচ্ছে তেমন করেই কাটিয়েছেন সারাটা জীবন । পরোয়া করেননি কোন কিছুর। কিন্তু শ্রাবণ মেঘের দিন ছবিটি নির্মাণে হুমায়ূন তাঁর স্বভাবজাত স্টাইলে অনড় থাকলেও খেয়ালিপনায় না গিয়ে অনেক বেশি সতর্ক থাকার চেষ্টা করেছেন।
ছবির প্রতিটি দৃশ্য নির্মাণ, চরিত্র সৃষ্টি এমনকি ছোট-খাটো ডিটেইলগুলোতে তাঁর কড়া নজরদারি ছিলো। এর আগে এমনটি শুধু একবারই দেখা গিয়েছিলো, তাঁর সবচেয়ে আলোচিত দর্শকনন্দিত সৃষ্টি আগুনের পরশমণি-তে। শ্রাবণ মেঘের দিনের পরে আর কখনও এতটা প্রবলভাবে হুমায়ূনকে সেলুলয়েডে পাওয়া যায়নি।
(১০) সাত ভাই চম্পা
সাত ভাই চম্পা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় রূপকথার গল্প। গল্পটি অানুষ্ঠানিকভাবে প্রথম প্রকাশ হয়েছিল ১৯০৭ সালে দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের ঠাকুরমার ঝুলি নামক রূপকথার বইয়ে। সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বইয়ের ভূমিকা লিখেছিলেন।
১৯৪৪ সালে বিষ্ণু দে কর্তৃক গল্পটি পুনরায় বিস্তারিতভাবে সাত ভাই চাম্পা নামে প্রকাশিত হয়েছিল। সাত ভাই চম্পার গল্প অবলম্বনে বেশ কয়েকটি বাংলা চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছিলো। ১৯৬৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সাত ভাই চম্পা চলচ্চিত্রটিকে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট সর্বকালের সেরা দশটি বাংলা চলচ্চিত্রের মধ্যে স্থান দিয়েছে এবং এই চলচ্চিত্রের পরিচালক দীলিপ সোম।
সুত্রঃ উইকিপিডিয়া
১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:০৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আমারও তাই মনে হয় ।
২| ০৯ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: আসলেই এগুলো সেরা বাংলা ছবি। তবে বেদের মেয়ে জোছনা ১৯৯৮ সালের না। মনে হয় ১৯৮৮ সালের ছবি।
১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:০৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৩| ১০ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:১৮
মোস্তফা ভাই বলেছেন: বেশীর ভাগই আর্ট ফিল্ম।
০৩ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:২১
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: হুম!
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:২৭
শূণ্য পুরাণ বলেছেন: জীবণ থেকে নেয়া,থাকা দরকার ছিল