নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একে একে সব স্বপ্ন মাটি দিয়ে এখন প্রহর গুনছি দেহটা কবে আমাকে মুক্তি দেবে।

মিজানুর রহমান এএমএস

মৃত ব্যক্তির কোন অভিব্যাক্তি থাকতে নেই। স্বপ্নেরা নিছে ছুটি, আমি রয়ে গেছি দেহ টা বয়ে বেড়াতে।

মিজানুর রহমান এএমএস › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরীক্ষা পেছানোর আনন্দে আমরা যা করেছিলাম

০৪ ঠা জুন, ২০২১ সকাল ৯:০৯

স্কুল ডায়েরি_২
২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি তে পরীক্ষা হবে এমন রুটিনে আমাদের সবার মাথা খারাপ। এমনেই ফাঁকিবাজ ছাত্র ছিলাম। তার মধ্যে পরীক্ষার তারিখ আগানো হল ২ মাস। তবুও পুরোদমে চলছে প্রস্তুতি। ডিসেম্বর ১৯ তারিখ খবর প্রকাশিত হল যে পরীক্ষা হবে ২৭ মার্চ। আমাদের তো সেই আনন্দ। আর এই আনন্দে আমরা কয়জন গেলাম শোলাকুড়ি বাজারের হলে (মজার হল ছিল সেটা, টিভির বড় স্ক্রিনে ছবি-টবি! দেখানো হত।) আমি, রায়হান, আর বিজ্ঞান বিভাগের সোহেল সহ আরও দুই-তিনজন দল বেধে যাওয়া হল। বাদাম আর চিপস নিয়ে বসছি সবার পেছনে, মুখে মাফলার বেধে যেন কেও না বুঝে। ছবির মাত্র মিনিট ত্রিশ দেখেছি, মোসাদ্দেক স্যার হাজির হাতে লাঠি একটা নিয়ে। এত ভিড়ের মাঝেও কেমনে যেন রায়হান রে খুজে পেল, হালায় আমারেও দেখিয়ে দিলে, আমাকে আর রায়হানকে ধরে নিয়ে গেল প্রধান শিক্ষকের কক্ষে। স্যার আমাদের রেখে যেইনা অন্যরুমে গেছে আমি আর রায়হান পালাইছি।


স্যার ও কম কিসে? দারোয়ান রে দিয়া আমার আর রায়হানের সব বইপত্র বস্তায় ভরে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে রাখল যেন আমরা ধরা দেই। আমরা সন্ধ্যা থেকে রাত দশটা নাগাদ বাইরে ঘুরে খুদা পেটে হোস্টেলে গিয়ে দেখি একটা বই খাতাও নেই, বাকিরা বলল স্যার বই নিয়ে গেছে আমরা দেখা করে যেন নিয়ে আসি। কি আর করা, অগত্যা ধরা দিতে হবে।
রায়হান তো একের পর এক প্যান্ট, শার্ট পড়ে নিল, আমি কি করি? আমার সব কাপড় ধুয়ে দিছি বিকালে, কিচ্ছু করার নাই। পটাপট এই শীতে ভেজা প্যান্ট আর ভেজা শার্ট পড়ে গেলাম স্যারের কাছে। যাওয়ার পর যা হবার হল সব কাপড় খুলে এর পর একটু ধহরম-মহরম আদর যত্ন করে ছেড়ে দিল। আর শাস্তি ওই বইয়ের বস্তা মাথায় করে হোস্টেল এ ফিরো।
সে কি লজ্জা, যদি রাতিনের আব্বায় জানে তো সর্বনাশ। লজ্জায় ২ দিন খাইতে যাইনাই রাতিনের বাসায়। পড়ে রাতিন এলে সব খুলে বললাম। সে সাহস দিয়ে বলল যে আব্বা সেটা জানে না এবং স্যারও বলবে না। আর বাকি ছেলে পেলেরা হোস্টেল এ থাকত না বিধায় বেঁচে গেছে। সেই কথা এখন মনে হলে ভাবী এইসব এখন হরহামেশাই হয়, তখন ছবি দেখাও অপরাধ ছিল।


মাইরের প্রতিশোধ নিলাম এর তিন-চারদিন পর। রাতের অন্ধকারে স্কুলের নারকেল গাছের সব নারকেল আর ৩০-৪০ টা ডাব পেরে। রায়হান, আলামিন আর আমি সাথে নিলাম রুবেল কে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.