নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একে একে সব স্বপ্ন মাটি দিয়ে এখন প্রহর গুনছি দেহটা কবে আমাকে মুক্তি দেবে।

মিজানুর রহমান এএমএস

মৃত ব্যক্তির কোন অভিব্যাক্তি থাকতে নেই। স্বপ্নেরা নিছে ছুটি, আমি রয়ে গেছি দেহ টা বয়ে বেড়াতে।

মিজানুর রহমান এএমএস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাবনা

২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২৮

ভাবতে বসলে মনে হয়, ভাবনার জগতে কোন বাধা ধরা নিয়ম নেই । যা করতে বারণ আছে, আছে লোক চক্ষুর ভয়, সমাজের চোখ রাঙ্গানোও তা ভাবনায় অনায়াসে করা যায়। এই যেমন আমি স্বপ্নে তোমাকে নিয়ে...... থাক যা স্বপ্নে ভাবি তা বলে দেব কেন? স্বপ্ন যে দেখতে পারে সে কিন্তু বাস্তবেও করতে চায় এমনকি পারেও। এই যে ২৯ এ ফেব্রুয়ারি কে স্মরণীয় করতে তোমাকে চমকে দিলাম। এটা কিন্তু অনেক আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম। সামনের অধিবর্ষ আসতে আসতে আমি কিন্তু মোটামুটি বুড়া হয়ে যাব । মানে ছাত্র জীবন শেষ হয়ে যাবে, এই অলস সময় পার করার চিন্তা দূর হয়ে ব্যস্ত জীবনের ফাকে সময় বের করে আড্ডা দেয়ার জন্য মন টানবে। বিয়েও করে ফেলতে পারি। কত পরিবর্তন আসবে বুঝতে পারছি বলেই চব্বিশতম বর্ষে এসে মনে হল আয়োজন করে মনের একটা অনুভূতি প্রকাশ করব। সামনে পেয়েই করে দিলাম। বিনিময় যে কিছু পাব না সেটা জেনেও করেছি। অই যে বুড়া হলে বলতে তো পারব চেষ্টা করেছিলাম তো ! আরেহ ভাবনার জগত থেকে বেড়িয়ে যে স্মৃতি কাতর হয়ে গেলাম।
ভেবেছি তো অনেক কিছুই, কত কিছুই তো আশা ছিল। সব কি আর মেলে ? নাহ মেলে নাহ। মিলবে না জেনেও আমরা কত স্বপ্ন আকিউকি করি।স্বপ্ন কিন্তু স্মৃতির পটে থেকে যায় যতই ই-রেজার ব্যবহার করি না কেন। মুছে ফেলা যায় না কিন্তু। এই যে খুব বড় স্বপ্ন ছিল ক্যাম্পাসে এসে একটা প্রেম করব। হয়েছে কি ?আরেকটা স্বপ্ন ছিল কিন্তু ইচ্ছাশক্তির কাছে হার মেনেছি বলেই সেটা প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
একটা কথা মনে পরছে, একটা গোলাপ নিয়ে কাউকে প্রস্তাব দিলে, সে গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দিল যখন, তো ফেলে না নিয়ে আবার চেষ্টা করে দেখো , অন্য কেউ হয়তো তোমার ফুলের অপেক্ষা করছে ,খুঁজে বের করো তার পর ধরিয়ে দেও বা কেউ তোমাকে ফুল দিতে চাচ্ছে কিন্তু ভয়ে আশে পাশে আসতে পারছে না,তাকে দেবার সুযোগ টা দিতে হবে বাপু । একবার না পারিলে দেখ শত বার , কথাটা শুধু অংক কিংবা পড়াশোনার জন্য কি? সেটা কেন প্রেমিক কিংবা প্রেমিকাকে খোজার জন্য নয়? তুমি শুরু করলেই হবে গুরু, এবার তো হোক শুরু :P
সামনের সময়গুলো যেন স্থবির ! চলবে কি করে সেটা ভাবতেই গায়ের তাপমাত্রা বেড়ে যায় । কিন্তু বিগত সময় কি করে যে চলে গেছে বুঝতেই পারলাম না। বিগত সময়গুলো কেন যে ইলাপ্স করা জানি না। সুখের সময় হোক আর দুখের, সবই ইলাপ্স হয়ে গেছে । শুধু স্বপ্নের ডালপালা গজিয়েছে দিনকে দিন । মনের মত অপ্সরী পাইনি বললে ভুল হবে পেয়েছি কিন্তু এরা যে আমার চেয়ে সহস্রগুণ উপরে। আমার যোগ্যতা নেই এদের ধারে কাছে পৌছতে। একটা অপ্সরী পেতে হলে নিজেকেও অনেক হ্যান্ড-সাম হতে হবে, হতে হবে মেধাবী ও বিত্তবান, কিন্তু কেমন করে যেন এই তিনটে যোগ্যতার কোনটাই সৃষ্টিকর্তা আমাকে দেননি। আফসোস নেই কিন্তু দুঃখ হয় আমার মন সেটা মানতে নারাজ, সে যুক্তিও মানে না তার অপ্সরীই চাই চাই।

আচ্ছা বলে রাখি অপ্সরী মানে অধিক ফর্সা, লম্বা, ফিগারওয়ালি এসব কিচ্ছু না। আমার ধারনা অপ্সরী মানে সুন্দরী, সুন্দর মনের অধিকারী,স্মার্ট, বুদ্ধিমান, প্রতিবাদী ও সৎ। এই গুণগুলো থাকা মানেই সে অপ্সরী। কিন্তু ছোট থেকে সমাজের অপ্সরীর গল্প শুনতে শুনতে মাথায় সেট হয়ে গেছে সুন্দরী মানেই ফর্সা। ধুর সুন্দরী মানেই কালো কিংবা শ্যামা হয়তো ধলা কিন্তু চাকচিক্য না হলে তাকে সুন্দরী বলতে আমার বাধে। আরে ধলা ,লম্বা মেয়ে তো অনেক আছে কিন্তু ড্রেস, আর হাত পায়ের শ্রী দেখলে মনে হয় যে এরা বিশ্রী কারণ সৌন্দর্য হল পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতায়।
ধুর স্বপ্ন যেন কেমন ধূসর হয়ে যাচ্ছে। যে বয়সে স্বপ্নগুলোতে রঙ্গিন আভা থাকার কথা ছিল সেগুলো যেন ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। আমি অনেক দিন ভেবেছি্‌ ,তুমি যেই আমার অপ্সরী হবে, তাকে একটা নাম দেব। নামটা হল “গ্রিয়ো” । নামটা পছন্দ হবে কি হবে না সেটা জানি না কিন্তু অর্থটা জেনে অবশ্যই হতে হবে। এটা স্প্যানিশ শব্দ যার বাংলা দুটো অর্থ আছে কোনটা তোমার পছন্দ ?

১। জোনাকি
২ ঝিঁঝিঁ পোকা।
বাংলা সাহিত্যে এর অর্থ জোনাকি কিন্তু স্প্যানিশ ভাষায় এর নাম ঝিঁঝিঁ পোকা।

কত দিন ভেবেছি তোমাকে নিয়ে এক কিলো হাঁটব কিন্তু সে আশা আর পূর্ণ হচ্ছে না মনে হয়। কি করে হবে বল? ছাত্রজীবনের আশা বুড়ো বয়সে পূরণ হলে কি আর হয়? রিকশায় ঘুরতে হয়ত পারব, অই যে বিয়ের পর হা হা হা।
আমার এক বন্ধুর প্রেম ছয় বছর পেড়িয়ে সাত এ পা দেবে শুনে কোন একজন বলেছিল কি করে পারে এরা ? আমার কিন্তু অবাক লাগেনি তার কথা কিংবা বন্ধুর প্রেমের সফলতায়। কারণ ধৈর্য থাকলে সবই হয়। আমারও ধৈর্য আছে যদি এমন অপ্সরী পেয়েই যাই। মনোমত তো অনেক কিছুই পাইনি দেখি গ্রিয়োটাকে পাই কিনা। এই অপেক্ষা শেষদিন পর্যন্ত করে যেতে হবে।

যেদিন পেয়েই যাব সেদিন থেকে হয়তো বাস্তবতার মুখোমুখি দাড়াতে হবে। স্বপ্নের ডালপালা অন্যদিকে মোর নেবে। ধুসর স্বপ্নগুলো রঙ্গিন হবে, নতুন পাতা গজাবে, ফুল ফুটাতে হত ভ্রমর হব একটি কলিতেই। আচ্ছা ভাবতে গেলে কত ভাবনা আসে কিন্তু সামনে গেলে কি হবে ?

মনে পরে ফেব্রুয়ারি ২৯ এর কথা ! কত কিছুই তো ভেবেছিলাম কিছু কি গুছিয়ে বলতে পেড়েছিলাম ? পারলে আজ হয়তো স্বপ্নের পাতায় রংছটা পরত।কি আর করব, চলছে যেমন চলুক-না চলুক, ক্ষতি কি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর লেখা।
+++

২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৭

মিজানুর রহমান এএমএস বলেছেন: ধন্যবাদ #বিজন_রয় ভাই

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

তৌহিদ আরসালান ফাহিম বলেছেন: ও, এই তাহলে গ্রিয়োর রহস্য ! ভাল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.