নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একে একে সব স্বপ্ন মাটি দিয়ে এখন প্রহর গুনছি দেহটা কবে আমাকে মুক্তি দেবে।

মিজানুর রহমান এএমএস

মৃত ব্যক্তির কোন অভিব্যাক্তি থাকতে নেই। স্বপ্নেরা নিছে ছুটি, আমি রয়ে গেছি দেহ টা বয়ে বেড়াতে।

মিজানুর রহমান এএমএস › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসমাপ্ত

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

তিন দিন হল আপনার কোন পাত্তা নেই, কিন্তু কেন? কল রিসিভ করতেই কথাগুলো শুনতে হল তামিমকে। তামিম কোন কিছু না বলেই রেখে দিল। কারণ মাত্র রুমে এসে কাঁধের ব্যাগটা রেখেছে। এমন ঝাঁজালো কথা শ্রবণের কোন মুড নেই। আর সেটা যদি হয় অপরিচিতা। সাধারণত এই মোবাইলটা রুমেই থাকে, বিশেষ কেউ না হলে নিজের কাছে রাখা মোবাইল নাম্বার দেয় না তামিম। একটা থিম নিয়ে চিন্তায় মগ্ন আছে এমন সময় কল এলে কেউ কি মনোযোগ দিতে পারে নাকি? তাই শুধু কাছের মানুষদের জন্য যে মোবাইল সেটাই সাথে রাখে। আর যেটা রুম এ থাকে সেটা যে চায় তাকেই দেয়া হয়। যতক্ষণ অবসর থাকে ততোক্ষণ তো রুমেই থাকা হয় তখন কথা বলে। কাজ থাকলে তো অন্যদের সময় দেয়া সম্ভব না। তবে এই অবরোধ আর হরতাল এর কারণে কোন কাজ নেই। তাই প্রায় দিন সাথেই নিয়ে যেত। একটা জরুরী কাজে ঘুরতে বেরিয়েছিল তাই নেয়া হয়নি। তামিম চায়নি এই কয়েকদিন অন্য কেউ তাকে বিরক্ত করুক । এতক্ষণ ফ্রেশ হতে সময় নিল। কল লিস্ট চেক করে পরিচিতদের কল করে কথা শেষ করে রাখল। মৌশাত কিছু টেক্সট পাঠিয়েছে পড়ল কিন্তু উত্তর দিল না। একজন অপরিচিতা কে এত গুরুত্ব দিতে নেই পড়ে অধিকারের জায়গায় বসে রাজত্ব করবে অধিকার নামক রাজ্যে। যখনই একটু পড়তে বসার জন্য প্রস্তুত হল তখনই বার বার কথাগুলো মাথায় ঘুরতে লাগল। সেই অপরিচিতা, কতজনই তো কত কিছু বলে কিন্তু এই মৌশাত এর কথা কেন জানি একটু অন্যধাচের মনে হতে লাগল। তামিম প্রতিদিন ঠিক কখন বাসায় ফেরে সেটা নাকি সে বুঝতে পারে। আবার কখন ঘুমাতে যাওয়া হয় সেটাও। তামিম আপন মনে কথা বলছে “আমার সাথে দশমিনিট কথা বলে নাকি আমার চোখের আবরণ বুঝে গেছে। আমি যে চোখের উপর একটা সামান্য আস্তরণ করে রেখেছি মৌনিক ভাবে সেটা সে বুঝেছে। কোন অপরিচিতা কে যে ভাল করে দেখি না, দেখার সুযোগ নেই না সেটা কি করে বুঝল? শেষ টেক্সট একটু বেশি অভাগ করেছে, “ আপনার মাথায় শুধু গোবর থাকলেও চলত, কিন্তু গোবর এর পাশাপাশি যেটা আছে সেটা আমি”। একটু সাহসীই বটে। কিন্তু আমিটা দিয়ে কি বুঝচ্ছে ঠিক বুঝতে পারছে না তামিম ।

সকাল সাতটায় উঠেই তামিম প্রথমে মোবাইল এর দিকে হাত বাড়াল। কেন মোবাইল এর দিকে হাত চলল সে নিজেও জানে না। কিন্তু শুভ সকাল বলে যে টেক্সট টা স্ক্রিন এ ভাসছে সেটা মৌশাতের। তাও দেয় হয়েছে মাত্রই, মানে মিনিট দুই হল। অথচ মোবাইল সাইলেন্ট ছিল। ঘুম থেকে ওঠার মিনিট বিশেক এর মধ্যে কল এলো, কি করে বুঝল ফ্রেশ হয়ে মাত্রই রুম এ প্রবেশ করল।
তামিমঃ বলুন
মৌশাতঃ এতদিন কোথায় ছিলেন?
তামিমঃ কাজে ছিলাম, কি দরকার বলুন তো?
না, এমনেই বললাম। কেমন আছেন?
ভাল, তুমি কেমন ?
কাল পহেলা ফাল্গুন, ফ্রি আছেন?
কেন আসবে নাকি?
আগে বলেই দেখুন না।
হুম ফ্রি আছি।
আচ্ছা রাখি।
একটু ভড়কে গেল তামিম, এমন পাগল কেন? নিজেকেই জিগ্যেস করল।

সকাল থেকে বসন্ত এসে গেছে গানটি বার বার শুনছে তামিম। আজ বের হবে সেটা শাবিপ্রবির জন্ম দিন বলে। প্রস্তুত হয়ে যখন ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ এ চলল ঠিক তখন মনে হল এটা যেন হলুদ গাঁদা ফুলের বাগান, সে বাগানে নানান ফুলের মাজে নিজেকে আগাছা জাতীয় কোন অসুন্দর লতা মনে হচ্ছে। মাথায় একটা পাখির বাসা নিয়ে লতা ঘুরছে। কিন্তু কিছু করার নেই। র‍্যালি শেষ করে কোন রকমে রুম এ গেলেই বাঁচে। রুমে তো পাঞ্জাবী ছিল, ছিল প্রিয় রং এর টি-শার্ট। র‍্যালিতে বেশ ভালই মজা হল।

দুপুর হতে চলল, এখনো কিছু পেট এ পড়েনি। সবাই যখন প্রিয় মানুষদের নিয়ে ব্যস্ত ঠিক তখন তামিম ভাবছে অন্য কথা। কি করে দিনের বাকি অংশ কাটানো যায়। খাবার খেতে রুম থেকে বের হয়েছে মাত্র, রুমের নাম্বার এ রিং বাজছে।
শুভ বাসন্তী,
আপনি কোথায়?
কেন বলতো !
দরকার আছে বলুন।
রুম এ। খেতে যাচ্ছি ।
ঠিক আছে, কিন্তু কোথায় খেতে যাচ্ছেন?
গেট এ ।
আচ্ছা খেয়ে আসুন। কথা আছে। প্লিজ তাড়াতাড়ি আসবেন
দেখি।
আজ যাতে আর রুমে আসতে না হয় সে জন্য পাঞ্জাবী আর গায়ে চাঁদর জড়িয়ে বেড়িয়ে পরল । ইচ্ছে করেই মোবাইল রুমে রেখে গেল দুটোই ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অসমাপ্ত আক্ষরিক অর্থেই

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫২

মিজানুর রহমান এএমএস বলেছেন: প্রামানিক দাদা, আপনাকে অনেক দিন পর দেখলাম, ভাল লাগলো। প্রথম আলো বন্ধ করে দেয়ার পর খুব কষ্ট পেয়েছি। আমার অনেক গুলো লেখার কপি হারিয়ে ফেলেছি। কেমন আছেন দাদা ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.