নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মৃত ব্যক্তির কোন অভিব্যাক্তি থাকতে নেই। স্বপ্নেরা নিছে ছুটি, আমি রয়ে গেছি দেহ টা বয়ে বেড়াতে।
আমি তোমাকে ভালবাসি রাজন। প্লিজ ফিরিয়ে দিওনা। আমি জানি এখনো বয়স হয়নি কিন্তু প্রেম যেকোনো বয়সেই আসতে পারে।
তুমি আমাকে......... পাগলামি করছ কেন। আর তুমি নিজেই বলেছ আমি পাগল, পাগলের সাথে কেউ প্রেম করে নাকি ?
হুম করে, যেমন আমি ।
ঠিক হচ্ছে না কিন্তু , আমি নেমে যেতে বাধ্য হব ।
না আমি ঠিকই করছি। তুমি যদি ফিরিয়ে দাও তো আজ আর ফিরব না ঘরে।
দেখ বৃষ্টি পাগলামি করার একটু হলেও মাত্রা আছে কিন্তু তুমি সেটা ছাড়িয়ে যাচ্ছ।
সেটা আমি জানি, আর আমি বুঝে শুনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।
কি বুঝেছ? হাহ ?
বুঝেছি যে তোমাকে আমার চাই চাই । তা না হলে আমি পাগল হয়ে যাব,
তোমার আমার এখনো ঐ বয়স হয়নি।
হয়েছে ,অনেক বই পড়ে জেনেছি ভালবাসার কোন বয়স নেই, সুতরাং বয়সের দোষ দিয়ে পার পাবে না। বল তোমার আমাকে কেমন লাগে? নাকি কেউ আছে?
আমার তোমার মত কেউ নেই, আর তোমাকে আমার অপছন্দ না...
প্লিজ তুমি আর যাই হিসেবে পছন্দ হোক বোন বলে সম্বোধন করো না।
বুজলাম, এসব পরে ভেবে দেখব, এখন চল মেস এ ফিরে যাব,
না তা হবে না, এখনই ভাবতে হবে, আর যেদিকে যাচ্ছি সেখানেই যেতে হবে।
দু দিন সময় কি পেতে পারি না?
কেন ? আমাকে তোমার ভাল লাগে না?
এই কয়েকদিনের মধ্যে তোমাকে কতটুকু চিনেছি?
এত কিছু বুঝি না, তুমি যতটুকু চিনেছ, আর আমি তোমাকে অনুসরণ করি গত পাঁচ মাস ধরে। তোমার সম্পর্কে আমি সব খোঁজ নিয়েই তোমাকে বলতেছি আমাকে তোমার ভাল লাগে, এমনকি আমি তোমাকে অনেক পছন্দ করি ।
সত্যি রাজন সেদিন ফিরিয়ে দিতে পারেনি । কোন এক অজানা কারণে মনে হচ্ছিল তাদের একসাথে চলার জন্য বিধাতা সৃষ্টি করেছেন। তা না হলে এভাবে কেন দেখা হবে ? সেই থেকে দুজনের একসাথে পথচলা । বৃষ্টি স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছে। আর রাজন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে । এখনো মাঝে মাঝে ঘুরতে বের হয় ওরা, নদীর তীরে বসে পানি দেখে, মাছরাঙ্গার খেলায় নিজেদের দুষ্টামি, মাছরাঙ্গা যেমন উড়ে যেতে যেতে খাবার তুলে নেয় মাঝ নদী থেকে, একটু আয়েশ করে খেয়ে নেয় আহার। রাজন ভিজিয়ে নেয় একটু পরশ মেখে বৃষ্টির পানিতে । ভালবাসা যখন অন্তিম মুহূর্তে । ঠিক সেই সময় রাজনকে চলে যেতে হয় সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তখন দুমাস পর পর বৃষ্টি আসত রাজনকে দেখতে। রাজন ছুটি পেলেই চলে যেত।
বৃষ্টি কলেজ পাশ করে কোথাও ভর্তি পরীক্ষা দিল না, সোজা বিদেশ পারি দিল। তাদের শেষ দেখা হয়েছিল এই সিলেট রেল স্টেশনে ৯ মার্চ । বলেছিল প্রতি বছর আসবে কিন্তু আজ তিনবছর পেরিয়ে চলেছে। আসছে মার্চে পূরণ হবে চার বছর। রাজন দাড়িয়ে থাকে এক বুক আশা নিয়ে কিন্তু আশা পূরণ হয়না। প্রতীক্ষা যেন ফুরাতে চায় না। নদীর তীরে আর যাওয়া হয় না তার । এই স্টেশন টাই এখন অপেক্ষার স্থান।
©somewhere in net ltd.