নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একে একে সব স্বপ্ন মাটি দিয়ে এখন প্রহর গুনছি দেহটা কবে আমাকে মুক্তি দেবে।

মিজানুর রহমান এএমএস

মৃত ব্যক্তির কোন অভিব্যাক্তি থাকতে নেই। স্বপ্নেরা নিছে ছুটি, আমি রয়ে গেছি দেহ টা বয়ে বেড়াতে।

মিজানুর রহমান এএমএস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ন্যাকামি না প্রেম !!!!!!!!!!!

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫

একটা গল্প কিন্তু অনেক ভাবনার, চিন্তার, আর কিছু না। জীবন কে একটা এঙ্গেল থেকে দেখলে কেমন হয়? এই গল্পের সাথে নিজেকে মেলানোর কোন দরকার নেই। দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। কাল্পনিক... কোন ব্যক্তির সাথে মিলে গেলে আমি দায়ী নই। .........................







অনেক দিন ধরে তোমাকে জানি, আমি যেমনটা জানি এর মধ্যে কোন ঘাবলা আছে কি? দেখ আমি স্টেট-কাট কথা বলতে পছন্দ করি। তুমি যে কাজটা করেছ তা কি ঠিক?

ঈশাঃ ঈবিশ্বাস করুণ আমি করিনি, আমার বান্ধবী করেছে ওটা। আমাকে বলতে নিষেধ করেছিল, তাই আপনার অনুরোধ সত্যেও বলিনি।

এটা করার কারণ কি? আমাকে বিরক্ত করে কি খুব মজা পেলে তোমরা?

ঈশাঃজ্বি না , বললাম তো সরি।

ঠিক আছে,



আমি রুহান একজন মেয়েকে পড়াতাম, মেয়েটি অনেক ভদ্র, কোন পুরুষ মানুষের সাথে কথা বলে না, মানে কথা বলতে পারে না। মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করেছে। থাকে খালার বাসায়, বাবা এক মসজিদের ইমাম। মা পরহেজগার কোন বেগানা পুরুষের সাথে দেখা করেন না, এমনকি আড়াল থেকে কথাও বলে না। মেয়ে এক প্রাইভেট কলেজ এ পড়ে। দেখতে শ্যাম বর্ণের, লম্বা পাঁচ ফিট দুই-তিন ইঞ্চি, বাকি বর্ণনা পরে দিচ্ছি।

প্রথম দিন এক ছেলের সাথে আমি গিয়ে ছোপায় বসলে চা নিয়ে এলো এক মেয়ে, পরিচয় করিয়ে দিল এ ছাত্রীর বড় বোন। একটু পর ছাত্রী এলো নেকাব পরে। শুধু মুখ দেখা গেল তাও আবছা, ছোপায় বসে নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে ছিল। নিজের ই লজ্জা লাগছিল মনে হল যে ছাত্রী না পাত্রী দেখছি। আমি জিগ্যেস করলাম কোন কলেজ নিচের দিকে তাকিয়েই উত্তর দিল। আর কিছু প্রশ্ন করার দরকার হল না। বড় বোন সব বলে দিল। নাম ঈশা হাটা চলা লাজুক প্রকৃতির।

পরের দিন পড়াতে গেলাম এসে বসল কিন্তু আমার দিকে তাকাল না, কথা তো দূরে থাক । কি করি এখন, প্রায় দের ঘণ্টা সময় দিলাম একটা কথা বলল না। এভাবে কি পড়ানো সম্ভব? ছেড়ে দেব ভাবলাম, পরে মনে হল পরাজয় মেনে নেয়া ছাড়া তো কিছু নয়। আগেই তো বলে দিছে বেগানা অপরিচিত ছেলেদের সাথে কথা বলতে পারে না। তাই ছেড়ে দেয়ার চিন্তা বাদ দিলাম। একদিন গ্যাপ দিয়ে আবার হাজির হলাম। আপু নাস্তা দিতে এলো মেরি বিস্কিট আর চা। বললাম কোন কথা বলে না, কিভাবে বুঝব যে ঈশা কিছু বুঝে নাই? প্লিস বলেদিন যেন না বুঝলে জিগ্যেস করে ।

পঞ্চম দিন কথা বলল, যাক হাফ ছেড়ে বাঁচলাম একটু হলেও সাথী হল কথা বলার। একা একা বক বক করে বোরিং হয়ে যাচ্ছিলাম। এক ধরনের নাস্তা খেতে আর ভালও লাগছে না। লবণ দিয়ে চা আর মেরি বিস্কিট। না করে দিলাম নাস্তা দিতে, বললাম আমি আসলে স্টুডেন্ট এর বাসায় নাস্তা করি না, যদি দেন তো শুধু চা দিবেন তবে লবণ দিবেন না।

এক দু মাসে ভালই জমে গেল। পরিবারের একজন হয়ে গেলাম। ঈশা কথা বলে, শেয়ারও করে কিছু কিছু কথা।

চার মাসের মাথায় একদিন আমার এক বন্ধুর বাসায় ঘুরতে গিয়েছি। বিকাল বেলা ঐ আপুর কল, তুমি কোথায়? আমি যথাযথ উত্তর দিলাম, সে বলল আমি যেন ত্রিশ মিনিট এর মধ্যে তাদের বাসায় আসি। আমি বললাম সম্ভব না। কারণ আমি হরিপুর, আর জায়গাটা সিলেট থেকে প্রায় দের- দু ঘণ্টার মামলা। শুনে উত্তর দিল, ঈশা আজ কলেজ থেকে ফেরেনি। মাথা চক্কর দিল, কি হল মেয়ের? মোবাইল ও নাই, একটু চিন্তায় পরলাম, দ্রুত থানায় ডাইরি করতে বললাম, বলল সাথে সাদি আর মারিয়া আছে। আমাকে চিন্তা করতে মানা করে যত দ্রুত সম্ভব ফিরতে বলল।

এসে আপুর সাথে দেখা করলাম ঈদগাহ এক দোকানের সামনে। মারিয়াদের বাসায় গেলাম, আমাকে বাহিরে দাড় করিয়ে ভীতর থেকে দেখা করে এলো। আপুদের বাসায় এলাম, এসে দেখি ঈশা পড়ার টেবিলে বসে আছে। বাসায় প্রবেশ করার আগে বলল আমি যে ঘটনাটা জানি এটা যেন ঈশা বুঝতে না পারে। কাহিনী নাকি মারিয়া তার প্রেমিকের সাথে দেখা করতে গিয়েছিল আর ঈশা সাথে ছিল আর কি।

একটা টি-শার্ট পেলাম আপুর নিকট থেকে ঈদ বোনাস হিসেবে। বাসায় গেলাম, মাস্তি করে ঈদ পার করলাম, আম্মু কেন জানি একটু সন্দেহ করা শুরু করল। আমি নাকি কেমন রহস্য রেখে কথা বলি আম্মুর সাথে। আসলে ঈশাকে পড়ানো বাদ দেব কিনা সেটা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। ওরা ভেবেছে আমি ঈশাকে নিয়ে সারা দিন ঘুরেছি, বাড়ি আসার পর এটা ঈশাই টেক্সট করে বলেছে । কেন বলেছে তাও জানি না।

ঈদ শেষে পড়াতে গেলাম কেন জানি একটু সন্দেহ হল, কথা বলে একটু আর চোখে। আর আমার মনে কেমন সন্দেহের দানা জমতে থাকল। প্রথম প্রেম অনেক দিন হল ভেঙ্গে গেছে, আমি একটা রীতি মেনে নিজেকে সব মেয়ে থেকে আড়াল করে রাখি। আপু কেন জানি মাঝে মাঝে আমার সাথে গল্প করতে চায়। আমি যেহেতু সদ্য ছ্যাঁক খাওয়া সব উপভোগ করি। আর অজানা মনটা কিছু কিছু জিনিস জানতে উদগ্রীব। উনি আমার বড় বোনের দায়িত্ব নিয়ে জানানোর ভার নিলেন। মোটামুটি চলছিল। হটাত একদিন আপু আমাকে এক অপবাদ দিলেন, যদিও এটা আমার এবং তার মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু আমি ঠিক কিছু করিনি, তবুও কয়েক দিন দুশ্চিন্তায় ঘুম হারাম হয়ে গেল। নিজেকে অনেক খারাপ মনে হতে শুরু করল। ক্ষমা চেয়ে নিলাম। উনি পাত্তা দিলেন না। আরও খারাপ হয়ে গেল মাথা। এবার ছেড়ে দেয়ার অফার করলাম, অন্য জায়গায় টিউশনি করাই, এটা না করালে কিচ্ছু জায় আসে না। এবার অনুরোধ করলেন যেন আমি চালিয়ে যাই। চলছিল ভালই কিন্তু আগের মত পড়াশোনা করেছিল না। আমি পড়াব না বলে চেয়ার ছেড়ে চলে আসতে ছিলাম, পিছন থেকে হাত টেনে ধরল, অনেক কাঁদল মেয়েটা। মায়া লাগল। তাই পরের দিন পড়াব বলে চলে এলাম। রাত এ ঐ চোখের জল বার বার পেরা দিল আমায়।

যাইহোক চলছিল সব ঠিকঠাক কিন্তু আমার পায়ে লাথি মারা, আবার ঐ ছুতায় পায়ে হাত দিয়ে সেলাম করা শুরু করল, প্রতিদিন একবার এমন আচরণ করে। বিরক্ত হয়ে মাঝে চারদিন যাইনি। আপুকে দিয়ে কল করে যেতে বলল। আগের মত ঠিক হয়ে গেল। এবার আমি মিস করতে শুরু করলাম আগের প্রেমের কিছু স্মৃতি। এভাবে চলে গেল প্রায় একটা বছর।

একদিন রাত এ ফেসবুক ব্যবহার করতেছিলাম, মাথা ব্যথায় শুয়ে রইলাম, কখন ঘুমিয়ে গেছি জানি না। সকালে মোবাইল হাতে নিলাম একটা মেসেজ । অপরিচিত নাম্বার থেকে, ওপেন করে দেখে তো মাথা নষ্ট।

Hi kmon acen? Ria asle aktu bolben amar number a jno cl dey.schooler h.w jno dey. TASFIA JANNAT)

দ্বিতীয় টেক্সট

Plz kindly aktu bolun ok amr mb a cl dite, kub dorker,plz atay jno cl na dey, tobe amr tay jodi na pare tahole bolben atay tex diye h.w dite, plz bolun na hle ok ekta mb kine din, ok,,,.

আমি কিছুই বুঝলাম না। ভুল নাম্বার এ এসেছে ভেবে কল করলাম। ধরল না।

দুদিন পর আবার টেক্সট দিল।

Hi ki khobor ?

Kmon acen???



উত্তর না পেয়ে আবার শুরু করেছে।

Ki bepar? Ans diccen na j? Balance nai naki?

আমি এবারও উত্তর দিইনি দেখে কল করে কথা বলল না। আমি শুধু বললাম। ভুল নাম্বার এ কল করছেন, আমি রিয়ার কেউ না। কল কেটে দিয়ে টেক্সট দিছে

Apni amake chinen na?

Ha ha ha ha ha lol.....

ওর চেয়ে আমি মজা পাচ্ছিলাম কিন্তু নিচের টেক্সট পেয়ে মেজাজ ধরে রাখতে পারলাম না। দিলাম গালি।

Please apni number ta r kawke diben na, apni birokto hole amake bolben. Apnar nam ta ki???



এভাবে চলল কয়েকদিন, ছাত্রীকে গিয়ে বললাম বলল জানি না। নাম্বারটা ঐ আপুর কিনা তাও জানে না, বাসায় ফিরে দেখি আরেকটা মেসেজ। “আপনার কি জিএফ আছে ? শুধু বলুন আছে কিনা। থাকলে আমি আর কোন দিন কথা বলব না। শুধু এই টেক্সট এর উত্তর দিন প্লিস”।

আমি ভাবলাম বলে দেই আছে, তাই আর সমস্যা করত না। পরেই আবার টেক্সট, “ আপনার জিএফ এর নাম কি? প্লিস বলেন না, শুধু নাম টা বলুন আমি আর কোন ডিস্টার্ব করবো না” ।

এবার তাকে ইচ্ছামত জারলাম কল করে। একটা টু শব্দ করল না। পরে শুধু টেক্সট এ বলল আমি আপনাকে ভালোবাসি। (চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.