নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একে একে সব স্বপ্ন মাটি দিয়ে এখন প্রহর গুনছি দেহটা কবে আমাকে মুক্তি দেবে।

মিজানুর রহমান এএমএস

মৃত ব্যক্তির কোন অভিব্যাক্তি থাকতে নেই। স্বপ্নেরা নিছে ছুটি, আমি রয়ে গেছি দেহ টা বয়ে বেড়াতে।

মিজানুর রহমান এএমএস › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটু প্রেম!

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৩


প্রথম দেখায় প্রেম কি করে সম্ভব? জানা নেই শোনা নেই একটা মেয়েকে প্রথম পলক দেখেই প্রেমে পরা যায়! তাও আবার এই ২০১৪ সালের মত সময়ে? যে যুগের ছেলে-মেয়েরা নানান কিছু বিচার বিশ্লেষণ করে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়, সেই যুগে কিনা প্রথম দেখায় প্রেম এ পরে গেল? প্রেম পরার বুঝি আর সময় পেল না ছেলেটা! সূর্য পশ্চিম আকাশে বিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে, ক্যাম্পাস আস্তে করে নীরব হতে চলেছে, সব কটা টং বন্ধ হয়ে গেছে, রাজন সহ কিছু দুষ্ট ছেলের একটা দল টং বসে আড্ডা দিচ্ছিল, ই-বিল্ডিং এর সামনে আর কোন মানুষ নেই। নিরিবিলি গল্পে আড্ডা বেশ জমে উঠেছে। প্রেম করবে বলে দুষ্টুমি করে জুনিয়র এক মেয়েকে প্রেমিকা খুজে দেয়ার জন্য বলছে। এমন সময় রাজন দেখল ছয়-সাতজনের একটা দল তাদের টং এর দিকে এগিয়ে আসছে। একজনকে সে চিনতে পারছে বাকিরা অপরিচিত, দুজন মেয়ে আছে সাথে, এর মধ্যে একজনের দিকে চোখ যেতেই চমকে উঠলো, এত সুন্দরী মানুষ হয়? কোন দিক দিয়ে একটু খুত নেই, মিষ্টি মিষ্টি হাসছিল, হাসিটা রাজনকে পাগল করে দিচ্ছিল। যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ তো দেখা যাবে, পরে তো চলেই যাবে সুতরাং চোখ ফেরানো যাবে না। যেহেতু এই ক্যাম্পাসের মেয়ে নয় ,পরে তাকে খুঁজেও পাওয়া যাবে না। দেখেই তৃষ্ণার্ত মন ঠাণ্ডা করা যাক। একটু পর এক বন্ধু এসে পাসে বসল মেয়েটার এবার আর রাজন সুযোগ মিস করল না। ডেকে নিয়ে মেয়েকে যে পছন্দ হয়েছে সেটা বলল। অন্যরা কি বলছে সেদিকে খেয়াল নেই যেন রাজনের, তাকিয়েই রয়েছে সে, চোখের পলক যেন পরছে না। যদিয়ে হারিয়ে যায় এই ভয়ে চোখ সরাচ্ছে না। স্বপ্নের রাজ্যে পারি জমাতে দেরি হল না রাজনের। রাজন চল রিকশা নেই, আজ দুজনে এই নীরব ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করব। তোমার ক্যাম্পাসটা অসম্ভব সুন্দর, আমাকে নিয়ে ঘুড়িয়ে দেখাও না প্লিস। রাজন রিকশা নিয়ে ঘুরছে , তার বুক ফুলে শাটের বোতাম ছিঁড়ে যাবে যাবে ভাব। হটাত কেউ ডাকল রাজন কে। এই প্রথম কোন মেয়েকে দেখে রাজন তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখল। কি কি?? থাক চলে যাচ্ছি, রাজন বলল দারা বেটা, নাম কি, কি করে বল!
নাম নাজ্জি , পরে সিলেট এর একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে। পরের সংবাদটা শুনে কেমন ফাটা বেলুনের মত ফুটে গেল রাজনের হৃদয়। প্রেম থাকলে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ির একটা সুযোগ থাকত। কিন্তু এ যে বিয়ের এংগেজট, তবুও আশা আছে বিয়ে তো হয়নি? কিন্তু আশাটুকু জিইয়ে থাকত যদি বিয়ের দিন তারিখ ঠিক না হত। তাও তো ঠিক এই মাসের ষোল তারিখে নাকি............
কথা গুলো শুনে রাজন আর কথা বলেনি, চুপচাপ ও থাকে নি। হাসি মুখে ওদের বিদায় দিয়ে নিজের মনটাকে বুঝানোর চেষ্টা করছে কিন্তু মন বলতেছে এই নাজ্জি শুধুই তোর। তা না হলে কেন এই ক্যাম্পাসে আসবে? আর আসলে ঠিক এই টং এ কেন? আরও তো বসার মত টং ছিল কিন্তু এই টং টাকেই কেন তাদের পছন্দ হল? এসেছে যখন ঠিক তোর সামনা সামনি বসবে কেন? সামনা সামনি বসবেই যখন তো এমন প্রেমি চোখে তাকাবেই কেন? তাকাচ্ছে ভাল কথা কিন্তু হাসি দিল কেন?হাসিটাই তো সব নষ্টের মুল আর এসব কিন্তু তোর পক্ষেই যুক্তি দেখাচ্ছে।
রাজন আড্ডা শেষে না হতেই চেতনায় অনেকক্ষণ দাড়িয়ে রইল আরেক নজর দেখার জন্য কিন্তু আশা পুরন হল না । গেইট এ দাড়িয়ে রইল আসা পর্যন্ত ঠিক যখন সিগারেট আনতে গেল তখনই সিএনজি নিয়ে চলে গেল। রাজন ঠিক জানে না কি করলে নাজ্জি তার হবে। নাজ্জি কি পছন্দ করবে তাকে?
চাইলেই তার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না সে কিন্তু চেষ্টা করতে তো মানা নেই। রাজন যেটা করবে সেটা যদি নাজ্জির জন্য খারাপ হয়? সব কিছু রাজনকে অস্থির করে তুলল। সে একটার পর একটা সিগারেট টানছে কিন্তু কোন সমাধান খুজে পাচ্ছে না। প্রেম কি অধরাই থেকে যাবে তার জীবনে? পছন্দের মানুষটি একদিনেই হারিয়ে যাবে?
গভীর রাত পর্যন্ত ভেবে কোন কুল কিনারা না পেয়ে ফেসবুকে খুঁজতে শুরু করল কিন্তু পেল কি?
হ্যা পেয়েছিল, ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট ও পাঠিয়ে ছিল। কিন্তু সেটা আজ অবধি পেন্ডিং এ আছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখা বেশ সাবলীল। ভালোই লেগেছে। গল্পের পাশাপাশি আরো বিভিন্ন ইন্টারেস্টিং বিষয় নিয়ে লিখুন। অন্যদের লেখাও পড়ুন। যেহেতু আপনি চিন্তা করতে ভালোবাসেন, চিন্তা্র বহিঃপ্রকাশ থেকেই কিন্তু গঠনমূলক মন্তব্যের সুচনা হয়! :)

শুভেচ্ছা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.