নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোজাম্মেল হক ,
শংকুচাইল গ্রামের মরহুম কাজী আব্দুল কাদের মাষ্টার ও বেগম মেহেরুন্নেছার
বড় সন্তান জনাব হকের শিক্ষক পিতার কর্মস্থল কসবায় হওয়ায় তিনি তাঁর বাল্যকাল কসবায় অতিবাহিত করেন । কসবা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে একজন মেধাবী ছাত্র হিসাবে ১৯৬৬ সালে ট্যাঁলেন্টপুল বৃত্তি সহ প্রথম বিভাগে এস এস সি পাশ করেন ।১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদ হতে বি, এস, সি ইঞ্জিনিয়ারিং { এগ্রিল } ডিগ্রি লাভ করেন ।
সরকারী মনোনয়ন লাভ করে ১৯৮৭ সালে জাপান , ১৯৯২ সালে যুক্তরাজ্য ও ১৯৯৫ সালে আবার জাপান হতে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন ,
প্রকৌশলী হক ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ পানি উন্নায়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে কর্ম জীবন শুরু করেন । বিগত তিন দশকের অধিক কাল যাবত তিনি বাংলাদেশ পানি উন্নায়ন বোর্ড , বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন
কর্পোরেশন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন । বর্তমানে তিনি জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার জাতীয় পানি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ হিসাবে কর্মরত আছেন , দীর্ঘ কর্ম জিবনে তিনি জাতীয় ও অন্তর্জাতিক পর্যায় অনুষ্ঠিত কারিগরি সেমিনার/ কর্মশালায় সরকারী প্রতিনিধি হিসাবে যোগদান করেন , এ উপলক্ষে তিনি নেপাল , ভারত , থাইল্যান্ড সিঙ্গাপুর, বাহরাইন ,জাপান , যুক্তরাজ্য প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেন ।
অনেক প্রখ্যাত কারিগরি জার্নালে তাঁর লিখা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ।
প্রকৌশলী হক ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অত্যন্ত সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করেন , ২ নং সেক্টরের ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর ৭ নং প্লাটুনের এক জন বীর ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তিনি কসবা - বুড়িচং ফ্রন্ট এ বীরত্ত্ব গাঁথায় । গৌরবান্তিত সালদা নদী , মন্দভাগ , চানলা , দেউস ও মাধবপুর অপারেশনে অংশ গ্রহণ করেন । এসব যুদ্ধে তাদের বিশাল সফলতার খবর বিবিসি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্ত্র হতে বার বার প্রচারিত হয়েছে ।
বিশেষ করে দেউসের প্রতিরোধ যুদ্ধে জনাব হকের দল পাক বাহিনীর ৩৩ বালুচ রেজিমেন্টকে সমূলে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয় , যুদ্ধ শেষে তারা পাক সেনাদের ৩১ টি মৃত দেহ উদ্বার ও গুরুতর ৫ জন সৈনিক কে বন্দী করতে সক্ষম হয় । এ যুদ্ধে ৭ নং প্লাটুন পাক বাহিনীর ৭ টি মেশিন গান ,১৯ টি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল , ১টি রকেট লেঞ্ছার ও ২ টি ২'' মটার দখলে নেন।
সুদূর মেলাগড় হতে ২ নং সেক্টরের অধিনায়ক মেজর খালেদ [ পরবর্তীতে মেজর জেনারেল পদে উন্নিত ও এক সামরিক অভুত্থানে নিহত ] কোনা বনে ছুটে আসেন এবং এ বিরাট সফলতার জন্য উষ্ণ অভিনন্দন জানান , তাছাড়া মাধবপুর অপারেশনেয জনাব হক ও হাবিলদার মঙ্গল জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ময়দান হতে সাঈদ খান নামের এক জীবিত পাক সেনাকে বন্দী করতে সক্ষম হন ।
প্রকৌশলী হক চাকুরীর কারনে দেশের জেলা থেকে জেলা ছুটে চলার পর ও নিজ গ্রাম শংকুচাইলকে সব সময় মনে রেখেছেন ও গ্রামের মানুষ ওনাকে ডাকলেই সাড়া দিয়েছেন , মসজিদ মাদ্রাসাতে সাধ্য মত সহযোগিতা করেছেন ,
১৯ দশকে শংকুচাইল গ্রামে একটি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ হোক এই টা মনে প্রানে চাইতেন । যখন কলেজের জন্য কমিটি ঘোষণা হয় উক্ত কমিটিতে প্রকৌশলী হক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন ও কলেজের জন্য তৎকালীন ৩০ হাজার টাকা অনুদান করেন ।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন
কর্পোরেশন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে বিভিন্ন পদে থাকা কালে গ্রামে ডিপটিউবল বসাতে ও ড্রেন, নালা নির্মাণ করতে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন , সময় পেলে কৃষকদের কে কৃষি সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য দিতেন ,গ্রামে প্রকৌশলী হক '' জাহাঙ্গীর'' নামে পরিচিত ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:১০
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: হক ভাইরে আমার সালাম -
আমার দেখা প্রথম মুক্তিযোদ্ধা'র গপ পড়েন