নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি আওয়ামী শক্তি বিজয়ী হতো, তবে বর্তমান ছাত্রদের কার্যকলাপকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে আখ্যা দিয়ে তাদের বিচার করা হতো। আর যেহেতু ছাত্ররাই বিজয়ী হয়েছে, সেহেতু তারা আওয়ামী শক্তিকে ফ্যাসিবাদী বলে আখ্যা দিচ্ছে এবং তাদের বিচারের মুখোমুখি করছে।
পৃথিবীতে বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল নিপীড়িত ও দুর্বল মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। তাহলে কেন আইনি ব্যবস্থা শক্তিশালীদের পক্ষেই কাজ করে যাচ্ছে?
উপরের নীতিগুলোকে সত্য বলে মনে করার কোনো প্রয়োজন নেই!
কারণ আইনি ব্যবস্থা প্রবর্তনের ইতিহাস ঘাটতে গিয়ে প্রকৃতপক্ষে যা পেলাম তা হলো:
“প্রাচীনকালে বিচার ব্যবস্থা মূলত সমাজের উচ্চ শ্রেণীর মানুষের জন্যই চালু করা হয়েছিল। সেই সময়ে ক্ষমতাশালী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই সমাজের নিয়ম-কানুন স্থির করতেন এবং নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনা করতেন। সাধারণ জনগণ বা নিম্ন শ্রেণীর মানুষের অধিকার রক্ষা বা তাদের জন্য ন্যায়বিচারের সুযোগ খুবই সীমিত ছিল।”
সুতরাং, এখনও সমাজে যে আইনি ব্যবস্থা প্রচলিত আছে, তা কখনই সাধারণ বা নিপীড়িত মানুষের পক্ষে ছিল না, এখনও নেই এবং সম্ভবত ভবিষ্যতেও থাকবে না। আইনি শাসনের ধুয়ো তুলে আমাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয় সে বিভ্রান্ত কিভাবে অতিক্রম করবেন-
সে সিদ্ধান্ত আপনার হাতে এবং এ বিষয়ে করণীয় কী, সেটাও আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:২০
প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:২৭
আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: “ এখনও সমাজে যে আইনি ব্যবস্থা প্রচলিত আছে, তা কখনই সাধারণ বা নিপীড়িত মানুষের পক্ষে ছিলনা ।এখনও নেই এবং ভবিষ্যতেও সম্ভবতঃ থাকবেনা ।”.... অপ্রিয় সত্য বচণ ..।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:৪৫
প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: আমি দু:খিত যে, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দিতে হচ্চে!
৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:৪৫
উদাসীন মেঘ ১২১৯ বলেছেন: ইতিহাস বলে 'ন্যায় বিচার' সব সময় বিজয়ীদের হাতে থাকে। এই উপমহাদেশে সিপাহী বিপ্লবের পর হাজার হাজার বিদ্রোহী সিপাহী-জনতাকে বিদ্রোহের অপরাধে ইংরেজরা মৃত্যুদন্ডের সাজা দেয় এবং দ্রত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তা কার্যকর করে। সেদিন যদি বিদ্রোহী সিপাহীরা জয়লাভ করতো। তারাও ইংরেজদের ক্ষেত্রে একই বিচার এবং সাজা কার্যকর করতো।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত নাৎসী ফিল্ড মার্শালকে ( এই মুহূর্তে নাম মনে পড়ছে না) বিচারের পর মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হও। দন্ড কার্যকর করার আগে যখন তাকে তাঁর কৃত অপরাধের ফিরিস্তি তাকে পাঠ করে শুনানো হয়, তখন তিনি মিত্রবাহিনীর জেনারেলকে বলেছিলেন। আমি পরাজিত, আর আপনি বিজয়ী। তাই আপনি যেটা বলবেন সেটাই 'ন্যায় বিচার'। আজ আমি যদি বিজয়ী পক্ষ হতাম, তাহলে একই অভিযোগের ফিরিস্তি আমি আপনার বিরুদ্ধে পাঠ করতাম এবং সেটাই হতো 'ন্যায় বিচার'।
৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১:০৮
ক্লোন রাফা বলেছেন: যেখানে টাকা পয়সা জড়িত সেটা নিপিরিত মজলুম মানুষের হয় কি করে‼️আধুনিক বিচার ব্যাবস্থা কায়েম করা হয়েছে বিত্তশালী ও অপরাধীদের রক্ষাকবচ হিসেবে। এটাই বাস্তবতা.....।
৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:১০
অপু তানভীর বলেছেন: বাংলাদেশ সৃষ্টির শুরু থেকেই আইন সব সময় ক্ষমতাবানদের পক্ষেই কাজ করেছে। এখনও করছে আর সামনেও করবে। ধরেন আওয়ামীলীগ সরকারের যদি পতন না হত তাহলে সবার আগে ঐ ছয় সমন্বয়ককে জেলে ঢোকানো হত । অন্যদিকে কোন ভাবে যদি এখন আবার আওয়ামীলীগ ফিরে আসে সবার আগে জেলে ঢুকবে সেনাপ্রধান । তারপর উপদেষ্টার দল । এভাবেই আইন কাজ করে এসেছে আমাদের দেশে !
৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: আইন আসলে গরীবদের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:১৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সত্য বচন।