নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুক্তরাষ্ট্র বহু বছর ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। ইসরায়েল-মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত এবং সেই অঞ্চলের নিরাপত্তা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখা হয়। ইসরায়েলকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতেও ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে থাকে। এর পেছনে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য কৌশল এবং জিও-রাজনৈতিক স্বার্থ কাজ করে, যেখানে ইসরায়েলকে তারা প্রধান মিত্র হিসেবে বিবেচনা করে।
বিশ্বের অনেক বিশেষজ্ঞ এবং সাধারণ মানুষ মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই সমর্থন ও সহযোগিতার ফলে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা ও সংঘাত বাড়ছে। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে এই অস্থিতিশীলতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে এ ধরনের সমর্থন প্রদান মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে পশ্চিমাদের দূরত্ব বাড়াচ্ছে, এবং অনেক ইসলামী সংগঠন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে, যার ফলে গ্লোবাল শান্তি প্রতিষ্ঠা জটিল হয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে তাদের পছন্দমত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আরোপ করতে চায়। বাংলাদেশ, একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্রের এই দ্বিমুখী আচরণের বিরোধিতা করা উচিত বলে মনে করা যায়। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে এ বিষয়ে তেমন কোনো বিরোধিতার ঝোঁক দেখা যাচ্ছে না।
এর পেঁছনে কি বাংলাদেশের পরিবর্তীত রাজনৈতিক পরিস্থিতির ভূমিকা রয়েছে, বলে আপনি মনে করেন? যে পরিস্থিতিতে ইসলামীদলগুলো ক্ষমতার স্বার্থে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষেপাতে চাইছে না?
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:১২
প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: সেই ইচ্ছেটা আমারও আছে, আমি বিয়ারের সাথে হয়তো ভাড়া করা বান্ধবীও রাখাবো্
২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০০
ছোট কাগজ কথিকা বলেছেন: বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির প্রতি ইসলামী দলগুলোর নীরবতার পেছনে মূলত রাজনৈতিক বাস্তবতা কাজ করছে। ক্ষমতার স্বার্থে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষেপাতে চাইছে না, কারণ আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার কৌশল হিসেবে এই নীরবতা দেখা যেতে পারে।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০২
প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: তাহলে বোঝা যাচ্ছে, এই রাজনৈতিক দলগুলো চাইলেও জনগণকে নাচাতে পারে
৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বাংলাদেশের বেশীরভাগ মুসলিম জনগণই আমেরিকার এই দ্বিমুখী নীতির (যারা রাজনীতি/পররাষ্ট্রনীতি বোঝেন) সমালোচনা করেন বলে আমার ধারনা। আমি নিজে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকান হয়েও এর বিরোধিতা করেছি আর আজও করি। এই সমালোচনার অধিকার সবারই আছে, বিশেষ করে আমেরিকান নাগরিক হিসেবে এই অধিকার আমার অবশ্যই রয়েছে। বিশেষ করে যেহেতু আমাদের ট্যাক্সের টাকায়ই ঐ দেশকে সাহায্য করা হচ্ছে। বিগত দু'দশকে আমেরিকার অভ্যন্তরেও ইসরায়েল বিরোধিতা বেড়েছে এবং ক্রমাগত বাড়ছে।
বাংলাদেশের ব্যাপারে বলবো, আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসায় রয়েছে। আগামীতে এই ব্যবসা আরো বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এই ব্যবসাগুলোর সাথে লাখো বা কোটি বাংলাদেশীর জীবন-জীবিকা জড়িত। ব্যক্তি পর্যায়ে আমেরিকাকে অপছন্দ করলেও তাদের সাথে ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ করা আর দেশ হিসেবে অর্থনৈতিকভাবে আত্মহত্যা করা একই কথা বলে আমার মনে হয়। বিষয়গুলো ততটা সহজ নয় যতটা আপনি ভাবছেন। ধন্যবাদ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৬
প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: বিষয়টি সহজ বা কঠিন সেটা আমার আলোচনার বিষয় নয়, আমার আলোচনার বিষয় এখন এদেশের মুসলীম ধর্মপ্রাণ মানুষগুলো কেন এখন নীরবতা পালন করছে?
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৬
আজব লিংকন বলেছেন: আমেরিকা খুব উন্নত দেশ। আমিও একদিন আমেরিকা যাব। মায়ামি বিচে বসে এক ক্যান বিয়ার খাব আর সান বার্থ নেব।