নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত পথিক

প্রগতি বিশ্বাস

মুক্ত পথিক

প্রগতি বিশ্বাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘মেগাফোন কূটনীতি’ (megaphone diplomacy) আসলে কি?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

“ড. ইউনূসের ‘মেগাফোন কূটনীতি’, স্তম্ভিত ভারত” এটি আজ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ইত্তেফাক পত্রিকার একটি শিরোনাম। হাসিনা সরকারের দেশ ছেড়ে পালানোর পর ড. ইউনূস সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর ইনূসের ভারতের সাথে কূটনৈতিক যে বিষয়টি গণমাধ্যমে সবেচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় তাহলে ‘মেগাফোন কূটনীতি’। প্রকৃতপক্ষে এই ‘মেগাফোন কূটনীতি’ (megaphone diplomacy) আসলে কি? তা নিম্নে আলোচনা করা হলো:


‘মেগাফোন কূটনীতি’ (megaphone diplomacy) বলতে বোঝায় যখন কোনো রাষ্ট্র বা তার প্রতিনিধি গোপন বা আনুষ্ঠানিক আলোচনার পরিবর্তে প্রকাশ্যে গণমাধ্যমে বা জনসমক্ষে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিষয়াদি নিয়ে বক্তব্য দেয়। এটি সাধারণত চাপ প্রয়োগ বা জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে করা হয়, যাতে সমঝোতার পরিবর্তে নিজেদের অবস্থান জোরালোভাবে তুলে ধরা যায়।
এই ধরনের কূটনৈতিক কার্যক্রমে দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনা না করে, মিডিয়ার মাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করে পরস্পরের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়।


‘মেগাফোন কূটনীতি’ (megaphone diplomacy) শব্দটির উৎপত্তি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো সময় বা স্থান নির্ধারণ করা কঠিন। তবে ধারণাটি ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশক থেকে কূটনৈতিক প্রসঙ্গে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। এর উৎপত্তি মূলত গণমাধ্যমের প্রসার এবং রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিষয়ে গণমাধ্যমের সক্রিয় ভূমিকা থেকে আসে।

'মেগাফোন' হলো এমন একটি যন্ত্র, যা মানুষের কণ্ঠস্বরকে উচ্চমাত্রায় বাড়িয়ে জনসমক্ষে পৌঁছে দেয়। এই ধারণা থেকে ‘মেগাফোন কূটনীতি’ শব্দটি তৈরি হয়েছে, যেখানে কোনো দেশ বা নেতা তাদের অবস্থান বা বক্তব্য সরাসরি গোপন কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে না করে জনসমক্ষে বা গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশ করে।

এ ধরনের কূটনীতির পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো জনমত তৈরি করা বা প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো মাঝে মাঝে প্রকাশ্যে কূটনৈতিক বার্তা প্রদান করে জনমতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করত, যা এই ধরনের কূটনীতির জনপ্রিয়তার পিছনে ভূমিকা রেখেছে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ইন্ডিয়ার এখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। একদিকে হাসিনা বেআইনীভাবে ইন্ডিয়াতে, আরেক দিকে সেভেন সিস্টারস্‌ তার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে প্রতিনিয়তঃ ড. ইউনুসের কড়া কড়া জবাব। সব মিলিয়ে ইন্ডিয়ার ব্যারাছেরা অবস্থা।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: ফলাফল দেখতে আমাদের আরও অপেক্ষা করা উচিৎ হবে!

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৯

ঊণকৌটী বলেছেন: মিলিয়ে ইন্ডিয়ার ব্যারাছেরা অবস্থা। সব মিলিয়ে ব্যারাছেরা তে কার তা একটু পাকিস্তানের ব্রাদার দের চ্যানেল গুলো দেখুন, Click This Link

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫১

ঊণকৌটী বলেছেন: আরেকটা লিঙ্ক Click This Link

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ডঃ ইউনুস ঠিক কাজই করেছেন। ভারত আশ্চর্য হলেও কিছু করার নাই।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৭

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: আমিও একমত তবে ইউনূস সাহেব সেটা সামলাতে পারবে তো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.