নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত পথিক

প্রগতি বিশ্বাস

মুক্ত পথিক

প্রগতি বিশ্বাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন ভোরের ডাক: শিক্ষার্থীদের জন্য স্বপ্ন ও সৃজনশীলতার পথচলা

২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৩১

স্বৈরাচারের পতন ও শিক্ষার্থীদের জীবনে নতুন প্রেরণা
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ডামাডোলের অবসান ঘটেছে। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন এক নতুন সূচনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে। এই পরিবর্তন একদিকে যেমন গণতন্ত্রের বিজয়, তেমনি অন্যদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে নতুন দিগন্তের সূচনা। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্দোলন ও প্রতিবাদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে চলে গিয়েছিল। কিন্তু এখন সময় এসেছে সেই দিক থেকে ফিরে আসার এবং নিজেদের শিক্ষার প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার।

শিক্ষার প্রতি নতুন মনোযোগ
দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণের দায়িত্ব এখন এই তরুণ প্রজন্মের কাঁধে। তাদের লেখাপড়ায় ফেরার সময় এসেছে। শিক্ষাই আমাদের সমাজের মেরুদণ্ড, এবং শিক্ষার্থীদের কাঁধেই এই মেরুদণ্ডকে সুদৃঢ় করার দায়িত্ব। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সাহিত্য, এবং ইতিহাসের মতো বিষয়গুলোর গভীরে প্রবেশ করে তাদের জ্ঞানার্জন করতে হবে। তাদের লক্ষ্য হতে হবে এমন একটি সমাজ নির্মাণ যেখানে বিজ্ঞান ও মানবিকতা একত্রে কাজ করে।


শিল্প-সাহিত্য ও খেলাধুলার মাধ্যমে মানসিক বিকাশ
তবে শিক্ষার পাশাপাশি খেলা-ধুলা, শিল্প-সাহিত্য, সিনেমা, এবং রোমান্টিক জীবনকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এই ক্ষেত্রগুলোতে মনোনিবেশ করলে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটবে। খেলা-ধুলা যেমন শরীরকে সুস্থ রাখে, তেমনি শিল্প-সাহিত্য এবং সিনেমা মনের বিকাশ ঘটায়। আর রোমান্টিক জীবন আমাদের মধ্যে মানবিক গুণাবলী এবং একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ গড়ে তোলে।

সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনার পথে
স্বৈরাচারের অবসানে যে পরিবর্তন এসেছে, তা শুধুমাত্র রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। শিক্ষার্থীদের এখন সুযোগ এসেছে নিজেদের সৃজনশীলতাকে নতুনভাবে প্রকাশ করার। সৃজনশীলতা মানে কেবল ছবি আঁকা বা গান গাওয়া নয়, বরং চিন্তার দিগন্ত প্রসারিত করা এবং নতুনভাবে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করা।

শিক্ষার্থীদের উচিত সাহিত্য, কবিতা, সঙ্গীত, নাটক, এবং চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নিজেদের অনুভূতি এবং চিন্তাগুলো প্রকাশ করা। এই সৃজনশীল ক্ষেত্রগুলো আমাদের সমাজের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে, নতুন চিন্তাধারার উন্মেষ ঘটায়, এবং সামাজিক পরিবর্তনের পথে নতুন আলোকরশ্মি জ্বালায়।


ক্যারিয়ার গঠনে মনোযোগ

প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে ক্যারিয়ার গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এই পরিবর্তনের সময় শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা। কীভাবে তারা নিজেদের পছন্দের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হতে পারে, কীভাবে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে, সেই বিষয়ে পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।

তথ্যপ্রযুক্তি, উদ্যোক্তা উদ্যোগ, এবং অন্যান্য সৃজনশীল ক্ষেত্রগুলোতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে।এই ক্ষেত্রগুলোতে দক্ষতা অর্জন এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের জীবনে উন্নতি করতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।


মানবিক গুণাবলী ও নৈতিকতা
শিক্ষার্থীদের শুধু জ্ঞানার্জনই নয়, বরং মানবিক গুণাবলী ও নৈতিকতার দিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিত। রাজনীতির উত্তাল সময় অনেক ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে বিরোধ, হিংসা, এবং প্রতিহিংসার মনোভাব তৈরি করে। এখন সময় এসেছে সেই বিরোধ ভুলে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার।

নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ন্যায়পরায়ণতা, সততা, এবং মানবিক গুণাবলীর চর্চা করা। এটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উন্নতি নয়, বরং একটি সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে সহায়তা করবে।

পরিবেশ সচেতনতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা
এই নতুন সময়ের প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের উচিত পরিবেশ সচেতনতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি আরও মনোযোগী হওয়া। পরিবেশের প্রতি যত্নশীল থাকা, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো, এবং বৃক্ষরোপণ অভিযানে অংশগ্রহণ করার মতো কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হতে পারে।

এছাড়াও, তারা সমাজের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা পূরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে। সমাজের দরিদ্র ও অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করা উচিত।

সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা
স্বৈরাচার পতনের পর এই নতুন সময়ে শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের শিক্ষা, সৃজনশীলতা, মানবিক গুণাবলী, এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি মনোযোগ দিয়ে সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করা। তাদের কর্ম, চিন্তা, এবং সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, এবং মানবিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

একটি প্রগতিশীল সমাজ গঠনের প্রেরণা
আমাদের এখন প্রয়োজন একটি প্রগতিশীল সমাজ যেখানে সবাই শিক্ষিত এবং মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন। নতুন প্রজন্মের কাছে প্রত্যাশা যে, তারা শুধুমাত্র নিজেদের জীবন নয়, বরং পুরো সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

তাই, নতুন সূচনায় নিজেদের শিক্ষার প্রতি মনোযোগী হতে হবে, খেলা-ধুলা এবং শিল্প-সাহিত্যে মনোনিবেশ করতে হবে, এবং নিজেদের জীবনকে সম্পূর্ণতা দিতে রোমান্টিক জীবনের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। কারণ, একটি প্রগতিশীল এবং মানবিক সমাজ গঠনে এই সবগুলো দিকের গুরুত্ব অপরিসীম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৪:২৫

প্রহররাজা বলেছেন: আপনার মতো সুশীল গুলা দেশে আইসিস আমদানীর জন্য দায়ী

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৫৬

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: লেখাটা ভালো করে পড়ে, আমাকে বিশ্রি ভাষায় একটি গালি দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.