নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত পথিক

প্রগতি বিশ্বাস

মুক্ত পথিক

প্রগতি বিশ্বাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার সংস্কারের কথা বলছে, আদৌ কি সাংবিধানিক জটিলতার কারণে সেই সংস্কার করা সম্ভব?

১২ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার যদি সংস্কার করতে চায়, তা সাংবিধানিক জটিলতার মধ্যে পড়তে পারে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী কোনো পরিবর্তন বা সংস্কার করার জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যা অনেক সময় জটিল হতে পারে। যেমন:

১. সংবিধান সংশোধন: সংবিধানের কোনো ধারা পরিবর্তন বা সংশোধন করতে হলে সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন। সূতরাং বর্তমান পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক কোন পরিবর্তন আনা অসম্ভব।

২. আইনগত বাধা: সাংবিধানিক সংস্কারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন আইনগত বাধা ও আদালতের নির্দেশনা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। আদালত যদি মনে করে যে কোনো প্রস্তাবিত সংস্কার সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সাথে বিরোধপূর্ণ, তবে তারা সেই সংস্কার বাতিল করতে পারে।

৩. রাজনৈতিক প্রতিরোধ: সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলো রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত সংবেদনশীল হতে পারে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বা অংশীদারগণ সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারে। যদি সংস্কারের ফলে কোনো একটি দলের শক্তি বা স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে তারা তীব্র বিরোধিতা করতে পারে। এতে সংসদে মতপার্থক্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হতে পারে।

৪. সামাজিক প্রতিক্রিয়া: কোনো বড় ধরনের সংস্কার জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যদি সংস্কারগুলি সাধারণ মানুষের স্বার্থের বিপরীতে যায়, তবে জনগণের প্রতিবাদ, ধর্মঘট, বা অন্যান্য সামাজিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে, যা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

৫. প্রশাসনিক জটিলতা: সরকারি প্রশাসনকে সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রায়শই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়। তবে প্রশাসনের মধ্যে ব্যুরোক্র্যাটিক বাধা, দুর্নীতি বা অদক্ষতার কারণে সংস্কার কার্যকর হতে বিলম্ব হতে পারে। প্রশাসনিক ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জটিলতা সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

উপসংহার: ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার যদি প্রকৃতপক্ষে সংস্কার করতে চায়, তবে তাদেরকে সাংবিধানিক, আইনগত, রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং প্রশাসনিক জটিলতাগুলো মোকাবেলা করতে হবে। প্রতিটি ধাপেই বিশদ পরিকল্পনা ও কৌশল প্রয়োগ করতে হবে, যাতে তারা সফলভাবে সংস্কার কার্যকর করতে পারে। সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে না পারলে এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হলে, সেই সংস্কার কার্যকর করা সম্ভব হবে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮

নাহল তরকারি বলেছেন: সংবিধান সংশোধন হয় আইন সভায়। তবে জণগন যদি অন্যকিছু চায়....?

১২ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩৯

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: সেই প্রশ্ন আমারও

২| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৩৯

প্রগতি বিশ্বাস বলেছেন: সেই প্রশ্ন আমারও

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই সরকারের পিছনে শক্ত কোন দেশ থাকলে এই সরকারের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করা সম্ভব। এছাড়া এই সরকারের পিছনে দেশের আর্মির সমর্থন খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি এগুলি পাড়া যায় তাহলে অনেক সংস্কার করা সম্ভব। আর্মি বা বিদেশী শক্তিকে সামলাতে না পারলে এই সরকার বেশী দিন থাকতে পারবে না। তবে ভবিষ্যতে কোন দল এসে আবার বাড়াবাড়ি করলে এই ধরনের আন্দোলনের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। দেশের মানুষ আন্দোলন করা শিখে গেছে। ভবিষ্যতে রাজনীতি করা কঠিন হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.