নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনরাষ্ট্র ভাবনা-৫

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আইনসভা (সংসদ):

আইন প্রণয়ন এবং নির্বাহী ও বিচার বিভাগের কর্মকাণ্ড তদারকির দায়িত্ব "প্রতিনিধি সভা" (সংসদ) এর উপর ন্যস্ত থাকবে।

১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বছর বয়সী নাগরিকদের সরাসরি ভোটে ৪ বছরের জন্য প্রতিনিধি (সংসদ সদস্য) নির্বাচিত হবেন।

প্রতি চার বছর পর একটা নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিনিধি সভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিনিধি সভার মেয়াদ এবং প্রধান নির্বাহীর (প্রেসিডেন্ট)মেয়াদ একই সাথে শেষ হতে পারবে না। এই নিয়মের হিসাবের সুবিধার্থে প্রধান নির্বাহী যে বছর নির্বাচিত হবেন তারা ঠিক দুই বছর পর অর্থাৎ মধ্যবর্তী সময়ে প্রতিনিধি সভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উদাহরণ: ২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাহী পদের নির্বাচন হলে প্রতিনিধি সভার নির্বাচন হবে ২০২৬ সালের ১৫ নভেম্বর। আবার ২০২৮ সালের ১৫ নভেম্বর হবে প্রধান নির্বাহী পদের পরবর্তী নির্বাচন। এই রীতি অনুসারে ২০৩০ সালের ১৫ নভেম্বর হবে পরবর্তী প্রতিনিধি সভার নির্বাচন।

এই নিয়মের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রধান নির্বাহী এবং প্রতিনিধিরা প্রত্যেকেই ৪ বছরের জন্য নির্বাচিত হলেও প্রত্যেক পদের মেয়াদের মধ্যবর্তী সময়ে নাগরিকরা ভোটের মাধ্যমে তাদের কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন করতে পারছেন।

"জন প্রতিনিধি" বা "প্রতিনিধি" (সংসদ সদস্য) কমপক্ষে ৪০ বছর বয়স্ক হবেন। একজন প্রতিনিধি তিন মেয়াদের বেশি দায়িত্বে থাকতে পারবেন না।

প্রতিনিধিরা দলীয় মনোনয়নের মাধ্যমে প্রার্থী হলেও নির্বাচিত হওয়ার পর তারা স্বাধীন ভাবে নিজের বিবেক বুদ্ধি অনুসারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, মতামত এবং ভোট প্রদান করতে পারবেন।

প্রতিনিধিদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে "প্রতিনিধি সভা পরিচালক" বা "সভা পরিচালক" (স্পিকার) নির্বাচিত হবেন।

সরকারি দল বা বিরোধী দল বলে নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরকে চিহ্নিত করা যাবে না। পরিচয় এবং কাজের সুবিধার্থে "সংখ্যাগরিষ্ঠ দল" এবং "সংখ্যালঘিষ্ঠ দল" এই ভাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের দলনেতাকে "সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা" এবং সংখ্যালঘিষ্ঠ দলের নেতাকে "সংখ্যালঘিষ্ঠ নেতা" বলে উল্লেখ করা যাবে।

প্রতিনিধি সভার দায়িত্ব ও কার্যাবলী:
১. আইন প্রণয়ন করা।
২. প্রধান নির্বাহী (প্রেসিডেন্ট) কর্তৃক বিভিন্ন পদে মনোনীত ব্যক্তিদেরকে অনুমোদন প্রদান।
৩. অসঙ্গতি পূর্ণ বা অসাংবিধানিক মনে করলে যেকোনো নির্বাহী আদেশকে বাতিল ঘোষণা করা।
৪. প্রধান নির্বাহী এবং প্রধান নির্বাহী কর্তৃক নিয়োগ কৃত যে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করা।
৫. তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে উক্ত ব্যক্তিকে পদ থেকে অপসারণের জন্য সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ দায়ের করা। অভিযোগ বিচার করে সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে।
৬. নির্বাহী বিভাগের কর্মকাণ্ড তদারকি করার জন্য প্রতিটি বিভাগের (মন্ত্রণালয়ের) জন্য একটি করে কমিটি গঠন করবে। যেমন, অর্থ বিভাগের (অর্থ মন্ত্রণালয়) জন্য অর্থ কমিটি, বাণিজ্য বিভাগের জন্য বাণিজ্য কমিটি ইত্যাদি।
৭. এই কমিটিগুলি ১১ সদস্য বিশিষ্ট হবে। ৬ জন সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের এবং ৫ জন সংখ্যালঘিষ্ঠ দলের সদস্য নিয়ে প্রতিটি কমিটি গঠিত হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল থেকে কমিটির প্রধান নির্বাচিত হবেন।
৮. এই কমিটিগুলি যেকোন বিষয় তদন্ত করার জন্য প্রধান নির্বাহী ছাড়া যেকোনো উপদেষ্টা, সরকারি বা বেসরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা নাগরিককে সমনের মাধ্যমে তলব করতে পারবেন। তলবিকৃত ব্যক্তি নিদিষ্ট তারিখে কমিটির সামনে উপস্থিত হতে এবং শপথ পূর্বক জবাব দিতে বাধ্য থাকবেন।
৯. বিশেষ কোন কারণ এবং সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিনিধিরা প্রতিদিন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন। তবে বিশেষ কারণ বা পরিস্থিতিতে ছুটির দিন সহ যেকোন দিন যেকোন সময়ে অধিবেশন বসতে পারবে।
১০. যেকোনো প্রতিনিধি আইন প্রণয়নের জন্য বিল এবং যেকোনো প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.