নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি এবং আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.এম পাশ করি।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ

১৯৮৭ সালে আইনজীবী হিসাবে ময়মনসিংহ বারে এবং পরে ঢাকা বারে যোগদান করি। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বারে যোগ দেই।

মোহাম্মদ আলী আকন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনরাষ্ট্র ভাবনা-৪

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

বিচার বিভাগ:

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারক (প্রধান বিচারপতি) হবেন বিচার বিভাগের প্রধান।

শারীরিক ভাবে অক্ষম না হয়ে পরলে এবং কোন অসদাচরণ না করলে সুপ্রিম কোর্ট ও জেলা জজ উভয় আদালতের বিচারকগণ ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

প্রতিনিধি সভার (সংসদ) অনুমোদন ক্রমে প্রধান নির্বাহী (প্রেসিডেন্ট) সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ও জেলা জজ নিয়োগ প্রদান করবেন।

প্রথমে প্রধান নির্বাহী বিচারকের নাম প্রস্তাব করে প্রতিনিধি সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠাবেন। প্রতিনিধি সভা প্রস্তাবিত বিচারকের নাম সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অনুমোদন করবেন অথবা প্রত্যাখ্যান করবেন।

কোন ব্যক্তিকে প্রতিনিধি সভা বিচারক হিসাবে অনুমোদন করলে প্রধান নির্বাহী তাকে বিচারক হিসাবে নিয়োগ প্রদান করবেন।

কিন্তু প্রতিনিধি সভা প্রধান নির্বাহীর মনোনীত ব্যক্তিকে বিচারক হিসাবে অনুমোদন না করলে প্রধান নির্বাহী একই ব্যক্তির নাম পুনর্বিবেচনার জন্য আবার প্রতিনিধি সভায় প্রেরণ করতে পারবেন। কিন্তু দ্বিতীয় বারেও তা অনুমোদিত না হলে প্রধান নির্বাহী ঐ পদে অন্য কোন ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করবেন।

জেলা জজের অধস্তন পদে বিচারকদের নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে হবে। সুপ্রিম কোর্ট অধস্তন বিচারকদের নিয়োগ, বদলি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করবেন। নিম্নতর পদ থেকে উচ্চতর পদে পদোন্নতি মেধা ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে হবে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে একজন বিচারকের মেধার ভিত্তি হবে বিচারক হিসাবে তার প্রদত্ত রায়সমূহ। পদোন্নতির ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের একটি প্যানেল বিচারকদের প্রদত্ত রায়সমূহ পর্যালোচনা করে দেখবেন।

ক্ষমতার ভারসাম্যের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের ভূমিকা:
আইন প্রণয়ন বিভাগ অর্থাৎ প্রতিনিধি সভা যেসব আইন পাশ করবে সুপ্রিম কোর্ট কোন নাগরিকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিরীক্ষা করে দেখবে। কোন আইন যদি সংবিধানের পরিপন্থী হয় তা হলে সুপ্রিম কোর্ট তা বাতিল ঘোষণা করবে।

অনুরূপ ভাবে প্রধান নির্বাহী কোন নির্বাহী আদেশ জারি করলে সুপ্রিম কোর্ট কোন নাগরিকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিরীক্ষা করে দেখবে। এই নির্বাহী আদেশ যদি সংবিধানের পরিপন্থী হয় তা হলে সুপ্রিম কোর্ট তা বাতিল ঘোষণা করবে।

সংবিধান ব্যাখ্যা করার একমাত্র এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্টের। সংবিধানের কোন বিধান নিয়ে কোন বিরোধ বা অস্পষ্টতা দেখা দিলে সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ব্যাখ্যা প্রদান করে নির্বাহী ও আইন প্রণয়ন বিভাগকে দিক নির্দেশনা দিবে। প্রতিনিধি সভা ও ক্ষেত্রমতে প্রধান নির্বাহী সংবিধান সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের ব্যাখ্যার আলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

আদালতসমূহের স্তর বিন্যাস:
সর্বোচ্চ আদালতের নাম হবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারক এবং আরো আট জন সহযোগী বিচারক সহ মোট নয় জন বিচারক নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হবে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের মধ্যে যিনি কর্মে প্রবীণ তাকে প্রধান নির্বাহী, প্রধান বিচারক হিসাবে নিয়োগ প্রদান করবেন। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিনিধি সভার অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।

সুপ্রিম কোর্টের এখতিয়ার হবে মধ্যবর্তী আপিল আদালতের রায় এবং আদেশের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি করা। এছাড়া সংবিধান ব্যাখ্যা করা, আদিম অধিক্ষেত্র, রিট শুনানি ইত্যাদি ক্ষমতা থাকবে।

সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী ধাপ হচ্ছে মধ্যবর্তী একটি আপিল আদালত। এই আদালতের নাম হবে আপিল আদালত। এই আপিল আদালতের এখতিয়ার হবে জেলা জজের রায় এবং আদেশের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি।

আপিল আদালতের পূর্ববর্তী ধাপ হচ্ছে জেলা জজ আদালত। জেলা জজ আদালত দেওয়ানি এবং ফৌজদারি উভয় ধরণের মামলার বিচার করবে। এটা মূলত ট্রায়াল কোর্ট। প্রতি জেলায় জেলা জজ আদালত থাকবে।

জেলা জজের সংখ্যা, আদালতের বিন্যাস, আর্থিক এবং ভৌগোলিক এখতিয়ার ইত্যাদি সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারণ এবং নিয়ন্ত্রণ করবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.